নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নির্মল হাসি সুস্থ থাকার সূলভ উপায়।সুস্থ থাকতে তাই চাই হাস্য উজ্জ্বল প্রতিবেশ।

হুতুম পেঁচার নকশা

এত হাসি দেখও যারা গোমড়া মুখে চায়, তাদের দেখে পেঁচার মুখে কেবল হাসি পায়........

হুতুম পেঁচার নকশা › বিস্তারিত পোস্টঃ

Bibliophobia একটি অদ্ভুৎ রোগ এবং একটি ততোধিক অদ্ভূৎ মানসিকতা।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১২:১৬

অবতারনিকা :

আজ (৭ ডিসেম্বর ২০১০) বিকাল ৫ টায় আকস্মাৎ আমি এক অদ্ভুত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংর্স্পশে আসলাম। ঘটনা চক্রের প্রত্যক্ষভাবে অকুস্থলে উপস্থিত না থাকলে , রোগটি কিংবা রোগটির ভয়াবহতা আমি কখন্ও বিশ্বাস করতাম না। বাসায় এসে রোগটি নিয়ে ইন্টারনেটে একটু খুজতেই অজানা এই রোগটি সম্পর্কে অনেক কিছুই জানলাম। রোগটির নাম Bibliophobia যার' বাংলা নাম দাড়ায় 'বই ভীতি'।



Bibliophobia কি?



সাধারণ ভাবে Bibliophobia বলতে বই ভীতি বোঝালেও , বিস্তৃতার্থে Bibliophobia দ্বারা বইযেল মত সম্পূর্ণ নিদোষ বা অক্ষতিকর বা ভীতিকর ( যেমন , তেলপোকা বা মাকড়সা ভীতি) কোন জিনিসের প্রতি ব্যক্তি আতংকগ্রস্ততা কে বোঝায়।

'বই ভীতি'র চরম প্রকাশ সাধারণত না দেখা গেলেও ; আমাদরে আসে- পাশের অনেকেই কিন্তু এই বই ভীতিতে ভোগেন । এমনকি , বই ভীতিগ্রস্ত ব্যক্তিও অনেক সময় বুঝতে পারে না যে বই তার কাছে আতংকের কারণ। এই বই ভীতির কিন্তু নানা ধরণের। কেউ কেউ যে কোন বই দেখলেই আতংকগ্রস্ত হয়ে পরেন ,এমন কি শেলফে সাজ্জানো বই দেখেও ভয়ে শিউড়ে উঠেন। আবার কেউ কেউ শুধু মাত্র বিশেষ শ্রেনীর বই ( স্কুলে পাঠ্য বই, ভুতের বই, কমসি ইত্যাদি ) দ্বারা বা বিশেষ আকৃতির বই দ্বারা আক্রান্ত হতে পারেন। Bibliophobia এর বাহ্যিক উপসর্গ গুলো ভিন্ন ব্যক্তির ক্ষেত্র বিভিন্ন ভবে বিবিন্ন মাত্রায় প্রাকাশ পায়।



Bibliophobia এর symptoms সম্পর্কে সংশ্রিষ্ট ওয়বেগুলোতে বলা হয়েছে



As with any phobia, the symptoms vary by person depending on their level of fear. The symptoms typically include extreme anxiety, dread and anything associated with panic such as shortness of breath, rapid breathing, irregular heartbeat, sweating, excessive sweating, nausea, dry mouth, nausea, inability to articulate words or sentences, dry mouth and shaking. .



একজন Bibliophobia গ্রস্ত একজন সহযাত্রী ...........

আজ বিকাল ৫:৩০ নাগাদ মলিবাগ মোড় থেকে কাঁটাবন মোড় যাবার উদ্দেশ্যে তরঙ্গপ্লাসে উঠি। ব্যতিক্রমভাবে আজ বাসটি ছিল ভীড় শুণ্য । আমার অবস্থান ৪ র্থ সারিতে সংরক্ষিত মহিলা আসনে ঠিক পিছনে। আমার সামনে সিটে বসা ২০/২২ বৎসরে মেয়েটি হঠৎ সমগ্র শরীরির খিচু দিয়ে মুহুর্তরে মধ্য জ্ঞান হারালেন .......হাত পা শক্ত হয়ে সিটে এরলয়ে পড়লেন (অনেকটাই মৃগী রোগী মত)।১৫/২০ সেকেন্ড পড়ে তার শরীরে কিছুটা চেতনা আসলেও শরীর -হাত তখন শক্ত ও বাঁকা হয়েই ছিল..........ভয়ংকর জোড়ে জোড়ে শ্বাস নিচ্ছিলেন।চিৎকার করে কথা বলতে চাইছিলেন কিন্তু মুখ দিয়ে কোন শব্দ বেড় হচ্ছিল না। যে টুকু শক্ত তার মাঝে ছিল তা দিয়ে তিনি বারবার হাতের ঈশারা কাউকে সরে যেতে বলছিলেন ।



আমি প্রথমে মনে করেছিলাম চারদিকে ভড়ি জমে যাওয়া তার সাপোকেশন বা দমবন্ধ হয়ে যাওয়ায় তিনি সবাই কে সরতে যেতে বলছেন। সবাই কে দূরে সারিয়ে দেওয়ার পরও তিনি ঈশারা করছিলেন সরে যাবার জন্য।যাহোক, প্রচুর পানি খাবার পর তিনি ৫ মিনিট পরে কথা বলবার কিছুটা শক্তি পেলেন। এবং তার প্রথম শব্দ হল ' বই'

বিষয় টি বুঝতে আমাদের সময় লাগল। হাঠাৎ খেয়াল করলাম কখন যেন বাসে একজন হকার কিছু বই নিয়ে উঠেছে এবং ' যাত্রা পথে একটা প্রয়োজনী বই কিনুন বা পড়ুন' এ জাতিও কথা বলতেই মেয়েটি Bibliophobia তে আক্রান্ত হয়েছে।বই হকার কে বাস থেকে নামিয়ে দিতেই তিনি প্রায় স্বাভাবিক হয়ে উঠলেন। পরে তার কাছ থেকে যা জানা গেল...........'বেশ কিছু বছর ধরে বই পড়া বিষয়ক কোন কথা শুনলেই তিনি এবাবে অসুস্থ হয়ে পরেন'।





...........এবং একটি ততোধিক অদ্ভূৎ মানসিকতার কাহিনী:



Bibliophobia নামক অদ্ভুৎঅজানা এই রোগ নিয়ে ইন্টারনেটে অনেক তথ্য পেলাম। আধুনিক অনেক চিকিৎসায় Bibliophobia আক্রান্ত মানুষ সুস্থ হয়ে উঠতে পারে। আশা করি আমার নাম না জানা সহযাত্রীটিও অদূর ভবিষ্যতে তার বই ভীতি কাটিয়ে উঠতে পারবেন সকলের সহর্মমিতায়। কিন্ত, একই সময় মিলিত হওয়া অপর এক সহযাত্রীনি আদৌ কোন দিন সুস্থ হয়ে উঠবেন না কিনা সে বিষয়ে আমার ভিষণ সন্দেহ আছে।



সে কাহিনী বলে বিদায় নিচ্ছি।



Bibliophobia আক্রান্ত মেয়েটির সামনে সিটে বসে ছিলেন ২০/২২ বৎসরের অপর একটি মেযে এবং একজন মাঝ বয়সী মহিলা ( সম্ভবত মা)। মেয়েটি Bibliophobia আক্রান্ত হবার পর আমি মৃগী রোগ ভেবে তার হাত থেকে পরে যাওয়া ব্যাগটিতে ঔষধ আছে কিনা কিংবা মোবাইলে পরিবারের কোন নম্বর পাওয়া যায় কিনা দেখবার জন্য সম্মুখবর্তি মেয়েটিকে দিলাম.............।

কিন্তু মেয়েটির মা ( বা অভিবাবক ) তখন ব্যস্ত মেয়েটির মাথাসহ কান ভাল ভাবে ওড়না দিয়ে মুড়ে দিতে। খেয়াল করে শুনরাম.......তিনি চাপা ধমকের সুরে মেয়েটিকে বলছেন ' ভালো করে কানটা ঢেকে রাখ......... ভেড়ের মধ্যে কানের দুল নিয়ে যেতে পারে।''

পুনশ্চ ঃ উল্লেখ্য করা যায় যে মা টি নিজের কান নিয়ে আতংকিত ছিলেন না ; কারণ তিনি ছিলেন উম্মুক্ত মুখ হিজাব পরিহিত।

মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +৬/-১

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১২:২৮

দা ডার্ক নাইট বলেছেন: খুব চিন্তায় ফেলে দিলেন ভাই, আমার তো ছোট থেকেই বই দেখে ভয় করে!!!

ডাউনলোড করুন AVG Anntivirus 8.0 সাথে Serial Key 2018 সাল পর্যন্ত!!! একদম Free !!
অথবা,
Kaspersky Internet Security 2011" হ্যাক করে ৫ বছরের লাইসেন্স ফ্রী-তে নিতে চাইলে ক্লিক করুন।
অথবা,
Internet Download Manager (IDM)~ 6.03 এর Full Version ফ্রীতে নিন!!!
অথবা,
NOD32 Username/Password Update

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১:৩৯

হুতুম পেঁচার নকশা বলেছেন: চকে বই দেখে ভয় না পেলেই হয়.................

২| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১২:৩৫

শব্দ-সওয়ারী বলেছেন: বেশীরভাগ ক্ষেত্রে এধরণের মানসিক রোগে ভুগতে থাকা রোগী/ রোগীণিরা চারপাশের মানুষের উপেক্ষা - উপহাসের শিকার হয়ে থাকেন। এটা সিম্পটম-গুলোকে পটেনশিয়ালি বাড়িয়ে দেয়, অর্থাৎ, পরবর্তীতে একই ধরণের এপিসোডে লক্ষণগুলো আরও তীব্রভাবে প্রকাশিত হয়। আপনি ওই মানুষটিকে সাহায্য করেছেন, এজন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। :)

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১:৪১

হুতুম পেঁচার নকশা বলেছেন: আপনার সাথে সহমত। সামাজকি পারিপার্শ্বিক সহমর্মিতা এদের প্রধান চিকিৎসা।

৩| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১২:৪৫

আকন্দ বলেছেন: পাঠ্য বই দেখলে কার না ভয় লাগে!

আপনি যেমনটা বললেন ; সত্যিই এমনটা জানা ছিল না।


বই পড়ার কথা শুনে অজ্ঞান ! সত্যিই অদ্ভুত !

২য় মহিলা সম্পর্কে মনতব্য নিষ্প্রয়োজন!

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১:২৯

হুতুম পেঁচার নকশা বলেছেন: বিষয় টি আমারও জানাছিল না। সামান্য বই আতংক যে কত ভয়ংকর হতে পারে Bibliophobia আক্রান্তকে কাছ থেকে না দেখলে কল্পনা করা কঠিন।

Bibliophobia বিষয়ে ঘাটাতে গিয়ে আর্ও একটি মনস্তাত্তিবক সমস্যার কথা জানলাম।

Geliophobia বা হাসি আতংক।

যা আমাকে রীতমিত ভাবিয়ে তুলেছে।

আমার মেযে ' অগ্নি' ( ৩ বছর ) এর মাঝে Geliophobia এর কিছু লক্ষণ দেখছি।
সে নিজে খুব হাসি খুশি সপ্রতিভ। কিন্তু তার কোন আচরণে কিংবা কথায় অন্য কেউ হাসলে ...এমন কি , তার সাথে সম্পর্কিত নয় এমন বিষয়ে / তার সম্মুখে নিজেদের মধ্যে আলোচনা কালে হাসলে অগ্নি ভয়ংকর রিয়্যাক্ট করে।

৪| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১:১০

সপ্রতিভ বলেছেন: শব্দ-সওয়ারী বলেছেন: বেশীরভাগ ক্ষেত্রে এধরণের মানসিক রোগে ভুগতে থাকা রোগী/ রোগীণিরা চারপাশের মানুষের উপেক্ষা - উপহাসের শিকার হয়ে থাকেন। এটা সিম্পটম-গুলোকে পটেনশিয়ালি বাড়িয়ে দেয়, অর্থাৎ, পরবর্তীতে একই ধরণের এপিসোডে লক্ষণগুলো আরও তীব্রভাবে প্রকাশিত হয়। আপনি ওই মানুষটিকে সাহায্য করেছেন, এজন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। :)

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১:৪৩

হুতুম পেঁচার নকশা বলেছেন: আমি তেমন কিছু করে নি । কেননা একজন অচেনা মেয়ে কে সাহায্য করা ঠিখ হবে কিনা সে আতংকই আমাকে গ্রাস করে রেখেছিল।

৫| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১:২৮

কাশিফ বলেছেন: মেয়েটির জন্য কষ্ট লাগলো। আপনাকে ধন্যবাদ যে আপনি সাহায্য করেছে।
চুপিচুপি একটা কথা বলে যাই। কাউকে বলবেন না। আমি তেলাপোকা খুউব ভয় পাই। দেখলেই লাফ দিয়ে ১০হাত দূরে...।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১:৩৬

হুতুম পেঁচার নকশা বলেছেন: আপনার আরশওলা ভীতি কে বলা হয় Katsaridaphobia

নিচরে লংিক আনপার জন্য কিছু ট্রপিস আছে

Fear of Cockroaches - How to Overcome Phobia of Roaches Easily

৬| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১:৫২

ফারহান আহমেদ বলেছেন: ভাই নীলক্ষেত গেলে কি হইবো ?
পাঠ্য বই দেখলে কার না ভয় লাগে! ওয়াক থু থু থু থু থু থু ওয়াককক

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ২:০৪

হুতুম পেঁচার নকশা বলেছেন:

৭| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ২:০৩

ডিজিটাল মুবিন বলেছেন: এতোদিন জানতাম বই মানুষের আজীবনের বন্ধু :P

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ২:১২

হুতুম পেঁচার নকশা বলেছেন: অবশ্যই বই সকল মানুষের বন্ধু।

তবে....................
সবার বন্ধু বানাবার প্রক্রিয়া তো এক নয়।
কেউ কেউ তো মুখ চোরা . এদের ভলবেসে বুকে টেনে নিলে তাদরে ভাগ্য বন্ধু জোটে।

৮| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১০ ভোর ৬:৪১

আক্তার হোসেন বলেছেন: বাংলাদেশে এই রকম ফোবিয়াতে আক্রান্ত মানুষদের কপাল আসলেই খারাপ, কারণ সাধারন মানুষের কোন ধারনাই নেই এই সব বেপারে। আর এর চিকিৎসাও অনেক ব্যয় বহুল।পরিবারের কাছ থেকেও ঠিক মত সাহায্য পাওয়া যায়না। আমার নিজেরও উচ্চতাভীতি আছে।কিন্তু এই সংক্রান্ত মানে উচ্চতাভীতির যেসব সিম্পটম বলা আছে তা পুরোপুরি মেলেনা।

যা হোক আপনাকে ধন্যবাদ , ওই সময় বাসে থাকার জন্য। কারন বেশি বুঝদার বাংগালী মেয়েটিকেই পাগল মনে করে বাস থেকে নামিয়ে দিতে পারতো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.