নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

whatever

েপচাইললা

এত বিশাল ধরণী, আলোর সন্ধানে শুন্য হৃদয়- আবির্তত হয় বারেবার, কেন্দ্রেও সেই শুন্যতা।

েপচাইললা › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধর্ম-অধর্ম এবং কিছু কথা

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ৮:৪৩

একজন পছন্দের ব্লগার আমার একটি ব্লগে (Click This Link) মন্তব্য করেছেন। তার উত্তর দিতে গিয়ে এই লেখা। মনে হল আমার একটি দাবী এর মাধ্যমে আবারো জানাতে পারি কি-না দেখি।



আমি মাদ্রাসায় না পড়লেও অনেক ধার্মিক ছিলাম, পারিবারিক সূত্র ধরেই। আপনার উপরোক্ত প্রশ্নের মত আরো অনেক প্রশ্নের উত্তর না পাওয়ায় ধর্ম নিয়ে চিন্তা করাই বাদ দিয়েছি।



কিন্তু কারোর আন্তরিক বিশ্বাসকে শ্রদ্ধা করি যতক্ষণ পর্যন্ত না তা মানবতার বড় কোন ক্ষতি করছে। ধর্ম একটি একান্ত বিশ্বাস হলে আমার আপত্তি নাই। আমি ধার্মিকদের একটা জিনিসকে শ্রদ্ধা করি-সাধারণ এবং সরল সোজা ধার্মিকদের (যারা শুধু ধর্মের ভালটুকু গ্রহণ করেন এবং কোন প্রশ্ন তোলেন না তাদের কথা বলছি)। ধর্ম তাদের একটা আশ্রয়। পৃথিবীতে তাদের যত অপ্রাপ্তি আর বঞ্চনা সবগুলোর কার্যকারণ ঐশ্বরিক দিক থেকে চিন্তা করেন তারা। এটি তাদের প্রতিবাদী বা বিপ্লবী হতে দেয় না। বিষয়টি হয়তো সামাজিক পরিবর্তন বা সামাজিক সাম্যতা আনার ক্ষেত্রে একটা বড় বাঁধা এবং নিশ্চিতভাবেই এজন্যেই সমাজতন্ত্রে ধর্মীয় তত্ত্বকে অসার ধরে নেয়া হয়। কিন্তু সেদিকটি আমি আলোচনায় আনতে চাই না। আমি শুধু সাধারণ এবং নিরীহ মানুষের একটা মনস্তাত্ত্বিক আশ্রয় হিসেবে ধর্মের অবস্থানটা তুলে ধরছি। এটি খুব ছোট কোন বিষয় সম্ভবত নয়।

আবার, এখনও বেশিরভাগ সহজ-সরল ধার্মিক মানুষ একটা অন্যায় করার আগে ধর্মীয় দিকটি মাথায় আনে। এসব বিবেচনায় ধর্মকে আমি অশ্রদ্ধা কিংবা অসম্মান করি না। এটা হয়তো এর কোন যৌক্তিক বা গ্রহণযোগ্য কারণ নয় চিন্তাশীলদের বিচারের কাঠগড়ায দাঁড়ালে। তবুও আমার নিজস্ব চিন্তার একটা ধারা তো থাকতেই পারে।



ধর্ম তখনই আমার কাছে বিড়ম্বনা বা বিপত্তি হিসেবে সামনে আসে যখন একে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়। সাধারণ মানুষের সহজ মানবিক বিশ্বাসকে কাজে লাগিয়ে মজিদ শ্রেণীর লোকেরা সামাজিক-রাজনৈতিক বা আর্থ-সামাজিক স্বার্থোদ্ধারের চেষ্টা করে আসছে। এটিও সামাজিক বিবর্তনের একটা ধারা। ধর্ম অনেক আগে থেকেই সামাজিক রাজনৈতিক দমনের একটা সাধারণ উপায়। হিন্দু ধর্মের ইতিহাস ভারতীয় উপমহাদেশের ইতিহাস যারা পড়েছেন তারা একটা জিনিস খুব ভালোভাবেই জানেন যে হিন্দু ধর্মের উৎপত্তির কারণ এবং এর গোড়াটুকু(দুঃখিত, আমি অন্য কোন ধর্মীয় বিশ্বাসের ওপর ্আঘাত করতে চাইনি-কিন্তু এটা একটা ফ্যাক্ট, প্লিজ কেউ মর্মাহত হবেন না।) ঠিক কি কারণে হয়েছিল। আর্যরা তাদের সামাজিক রাজনৈতিক শ্রেষ্ঠ্ত্ব বজায় রাখতে গিয়ে নিজেদের ভেতর ব্রাহ্মণ্যবাদ জন্ম দিল কেন তা অনেকখানিই পরিষ্কার। কিন্তু সে আলোচনাও অবান্তর। মুসলমান ধর্মের ইতিহাস এখনও এদেশে সেভাবে পরিষ্কারভাবে না আসায় ব্যাখ্যা করা যাচ্ছে না হয়ত, কিন্তু সেটির পেছনেও যে আর্থ-সামাজিক-রাজনৈতিক কারণ নেই তা জোর দিয়ে বলা যাবে না।



আলোচনা হয়ত অন্যদিকে গড়াচ্ছে। হয়তো আমার অনেক কথাই কন্ট্রাডিকটারিও মনে হচ্ছে-কিন্তু ্আমার মোদ্দা কথা হল আমি ধর্মবিশ্বাসকে কোন অপরাধ বলতে চাই না, কেউ যদি তার ধর্ম নিয়ে ভাল থাকতে চায় তাতে তামার কিংবা অন্য কারো আপত্তি থাকার কথা নয়। আপত্তি তখনই যখন এই ধর্মকে পুঁজি করে কেউ ফায়দা নিতে চায়। আমরা সেটা সমর্থন করতে পারি না। পাশপাশি আমার আশেপাশের অনেক মানুষ এই ধর্মকে বুকে নিয়ে (তা অন্ধবিশ্বাস হোক আর শুদ্ধ হোক) একটু স্বস্তি পাবে তাকে এক কথায় উড়িয়ে দিয়ে স্মার্ট হবার কোন দরকারও আমার নেই।



তাই আমি চেয়েছিলাম ব্লগে ধর্ম-জীবন-দর্শন-রাজনীতি-সমাজব্যবস্থা ইত্যাদি সবকিছু নিয়ে আলোচনা হতে পারে কিন্তু ধরর্ম নিয়ে অকারণ অসুস্থ যুদ্ধ ভালো লাগে না। ধর্ম ব্যবহার করে লাভবান হবার চেষ্টা করে এমন ছাগুদের (ব্লগের সাধারণ ভাষা, আমি প্রথম ব্যবহার করলাম) প্রতিহত করতে হবে কিন্তু সেটি করতে গিয়ে সত্যিকাসরের কিছু ভালমানুষের মনে কষ্ট দিয়ে ফেলি কি-না তা ভেবে দেখতে হবে। আর যদি সত্যিই এমনটি হবার সম্ভবনা থাকে তবে আমরা এই যুদ্ধ এড়িয়ে চলি, অন্তত সবার জন্য উম্মুক্ত এই ব্লগে।

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ৮:৪৯

শূন্য আরণ্যক বলেছেন: ভালো বলেছেন ~

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ৯:০০

েপচাইললা বলেছেন: ভালো কি-না জানি না, কিন্তু আমার কেন যেন পছন্দ হয় না বিষয়গুলো।

২| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ৯:০৬

সালাহ্ উদ্দিন শুভ্র বলেছেন: আমিও আপনার মতই বলি। এখনকার যে ধর্ম হিংস্র তা রাষ্ট্র-সাম্রাজ্যবাদ-রাজনীতির তৈরি। আমাদের দেশে দেখুন-মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে কয়দিন হয়-সাথে বেড়েছে সন্ত্রাস। একটু খেয়াল করুন সারাবিশ্বে ইসলাম এখন এতো আলোচনার কারণ কি। কারণ মধ্যপ্রাচ্য-যুক্তরাষ্ট্র।

ভালো থাকুন।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ৯:২০

েপচাইললা বলেছেন: ধন্যবাদ শুভ্র।

আমি কিন্তু আপনার মন্তব্যের সাথে একমত হতে পারছি না। আপনি আন্তর্জাতিক যে উদাহরণটি দিলেন তাও কিন্তু ধর্মকে হাতিয়ার করে একেকেটা আগ্রাসন বলেই বেশিরবাগ ক্ষেত্রে প্রমাণ পাওয়া যায়। আমেরিকা ইরাকে হামলা চালায় নিজেরা সিএনএন-বিবিসিতে সে খবর দেয় না। কারণ তাদের দেশে মানুষ নি ন্দা জানাবে। তারা দেয় আল-জাজিরাতে যেন মধ্যপ্রাচ্যসহ মুসলিম দেশগুলোর লোকজন তা .দেখে এবং ধার্মিক হওয়ায় আরো ক্ষেপে গিয়ে নিজেরাও অস্ত্র তুলে নেয়। এতে তাদের অস্ত্রের ব্যবসাও যেমন হয় আবার সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধটাও টিকে থাকে। কিন্তু সেটি আলোচনার বিষয় নয়। ধর্ম যার তার কাছেই থাক- এটি নিয়ে বেশি জল ঘোলা করতে চাইলেই অনর্থের সৃষ্টি হয় । আপনার উদাহরণ সেদিক থেকে সঙ্গত।

৩| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ৯:২৩

জ্যাক দ্য রিপার বলেছেন: ধর্ম আর ধর্মহীনতা....সহনশীলতাই আসল কথা..এটিই শ্লোগান

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ৯:২৭

েপচাইললা বলেছেন: হক কথা। সহমত।
থ্যাংকস।

৪| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ৯:৪২

জিগ স বলেছেন: ধর্ম বিষয়টি সত্য হোক বা মিথ্যা, ব্যাক্তিগত ও মোরালগত ইন্টিগ্রিটি ধরে রাখতে হলে তথা সমাজে শৃংখলা বজায় রাখতে হলে ধর্মের প্রয়োজন আছে। আমি নিজেও যে প্রখ্যাত ধার্মিক তা নয়, তবে আমি মনে করি ধর্ম বিশ্বাস কে একটা নির্দিষ্ট লেভেলে রেখে (এক্সট্রিম পর্যায় তথা বোমবোমি তে না গিয়ে) যদি মোরালিটি ধরে রাখা যায়, তাহলে ধর্ম ভালো জিনিষ। আবার নাস্তিক হয়েও যদি একজন ব্যাক্তি মোরালিটি ঠিক রাখে তাহলে সেটাও ভালো, কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় নাস্তিক ব্যাক্তিরা ইমোরাল কাজে লিপ্ত হয়, যার পিছনে তার নাস্তিকতা কাজ করে। এক্ষেত্রে নাস্তিকতা খারাপ। মূল্কথা হল সব কিছুরই বালো খারাপ আছে।

৫| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ৯:৪৫

এস্কিমো বলেছেন: ভাল বলছেন।

একটা কমেন্ট -


মুহিব বলেছেন: লাকুম দিনীকুম ওয়ালিয়া দ্বীন
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৫:০৬
লেখক বলেছেন: সহীহ হাদিস!! (আরবীতে হাদিস শব্দের অর্থ সম্ভবত কথা।)



- এইটি হাদীস না, কোরানের আয়াত।


ধন্যবাদ।

৬| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ৯:৪৯

সালাহ্ উদ্দিন শুভ্র বলেছেন: @লেখক ঠিক তর্ক নয়-আরো কিছু কথা বলে যাই পরিষ্কার করার জন্য-যদিও কথায় কথা বাড়ার সম্ভাবনা আছে।

ইসরায়েলকে দেখুন তার ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে আগ্রাসনের উদ্দেশ্য যাই থাক-এই এতো দূর দেশের মানুষের কাছে তার কারণ হচ্ছে আল আকসা এবং তার দখল। এরিয়েল শ্যারণ জুতা পায়ে কেন আল আকসায় ঢোকেন-কেন আরাফাতের লাশ প্রকৃত অর্থেই আজো সমাহিত হয় নি। এগুলো হচ্ছে যুদ্ধের মনস্তত্ত্ব গঠন। ইরাক, সেখানে যে জন্যেই হামলা হোক-আমাদের দেশে ইরাক একটি মুসলমান রাষ্ট্র-সুতরাং মোল্লারা এর বিরুদ্ধে সোচ্চার। কেন সাদ্দাম হোসেনের ফাঁসি হয় কোরবানির ঈদের দিন। এ হচ্ছে উগ্র ধর্মকে বাতাস দেয়া-তা যেন আরো লেলিহান শিখায় জ্বলে ওঠে। লাদেনরে ধর্মইতো কাপিয়ে দিচ্ছে আমাদের দেশকে-পাকিস্তানকে-আফগানিস্তানকে। অথচ লাদেন নামে কেউ আছে কি-না তাই বা কে বলবে।

ফলে ধর্ম রাষ্ট্র-সাম্রাজ্যবাদই তৈরি করে আজকের যুগে। আর মানুষ তা মানে। কিন্তু মানুষের প্রকৃত যে ধর্ম বিশ্বাস তার বিরুদ্ধে কিন্তু সবাই দাঁড়ায়-ওই সাম্রাজ্যবাদ এমনকি সরলমনা অনেকেই।

৭| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ১০:০৩

সত্যান্বেষী বলেছেন: যে সহজ সরল লোকটা নাস্তিক থাকলে তালাকোত্তর স্ত্রীকে ফিরে পাবার জন্য সেই স্ত্রীকে অন্য কোথাও বিয়ে দেয়ার কিংবা বিয়ে হবার অপেক্ষায় থাকত না, সেই একই লোক ধার্মিক হলে কিন্তু হিলা ছাড়া আগের বউকে পাবার আসা করতে পারে না। এই হিলা পদ্ধতিটা কি কিছু জঙ্গি মুসলমানের আবিস্কার নাকি ইসলামের মৌলনীতির একটি? যদি মৌলনীতির একটি হয়ে থাকে তাহলে ধর্মের সরল প্রয়োগ কতখানি মানবিক? কতখানি নির্বিষ ধর্ম?

@ সালাউদ্দিন শুভ্র।

৮| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ১০:৪০

মনির হাসান বলেছেন: ..

প্রিয় লেখক
দুইদিন আগে একটা খোড়া (হয়তো) অজুহাত দিয়েছিলাম ... Click This Link

সময় পেলে ঘুরে আসবেন...

এবং আপনার দৃষ্টিভঙ্গীটিকেও শ্রদ্ধা রইলো ..

৯| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ১০:৪৭

সত্যান্বেষী বলেছেন: @সালাহ্ উদ্দিন শুভ্র: 'এখনকার যে ধর্ম হিংস্র তা রাষ্ট্র-সাম্রাজ্যবাদ-
রাজনীতির তৈরি।'

আপনি মনে হচ্ছে সময় সময় কাকের মতো এক চোখ বন্ধ করে থাকতে ভালবাসেন। মোহাম্মদের সময়কালীন ইসলামে যে হিংস্রতা ছিল তাও কি রাষ্ট্র-সাম্রাজ্যবাদ-রাজনীতির সৃষ্টি। স্মর্তব্য: চুরির শাস্তি বিষয়ে মোহাম্মদ বলেছিলেন- এই চুরি যদি আমার মেয়ে ফাতিমাও করতো তখনও আমি তার হাত কাটার কথা বলতাম।

আর আপনি যদি চুরির দায়ে হাত কাটাকে হিংস্রতা মনে না করেন, প্রিয়তম জোছনার শপথ, আমি আপনার সাথে কখনো কোন বিতর্কে যাব না।

১০| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৩:১৪

সালাহ্ উদ্দিন শুভ্র বলেছেন: আসলেই কথায় কথা বাড়ে-কিন্তু বাড়ন্ত কথা থেকে যদি কোন জপ্রাপ্তি ঘটে ক্ষতি কি।


যে ধর্ম অমানবিক তা টিকবে না-কিংবা কোন ধর্মে যে সমস্ত অমানবিকতা আছে তা টিকবে না। কখন টিকবে না যখন সমাজ তাকে অনুমোদন দিবে না। চুরির দায়ে হাত কাটার বিধান আমাদের দেশে কে মানে। কিন্তু বোমা ফাটানোর ধর্ম-সেটা কয়জন মানুষ মারলো। হাত কাটার বিধান এই সময়ে চালু থাকার কোন প্রাপ্তি নেই। এটা রাজনৈতিকভাবে ক্ষতিকর। কিন্তু বোমা ফাটানোর ধর্ম-রাজনৈতিকভাবে তা ঠিকই লাভজনক। আমাদের দেশে সেই ধর্ম ঠিকই মানা হয়।

কোন ধর্মের কোন অংশকে অসাড় প্রমাণ করবে সময়-সমাজ। হাত কাটার বিধান অসাড়-অমানবিক ঠিকই-এজন্যে কোন ধর্মকে খারিজ করে দিতে চান-সম্ভব হবে কি। আমাদের দেশে ইসলাম এনেছে কে-সাম্রাজ্যের নেশা আর রাজনীতিই নয় কি। ইসলামকে প্রচন্ড করে তুলেছে কে-রাষ্টইতো।

আপনি আমার সাথে কোন বিষয়ে তর্ক করবেন না-এটা খুবই বেদনাদায়ক হবে।

১১| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৫:২২

সত্যান্বেষী বলেছেন: @ সালাহ্ উদ্দিন শুভ্র: আপনি হয়তো ইসলামকে একটা সুন্দর অবয়বে চান। সেটা খুবই ভাল কথা। কিন্তু একটা ধারাকে, বিশেষ করে যখন তার নিজস্ব 'অখন্ডনীয়' কিছু বিধান থাকে, তখন সে তার পথ করে নেবেই ক্রমাগত। যে লোকটি আজ আমিনি কিংবা বা. মোকররমের খতিব, কিংবা কোন মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল সে কিন্তু ধর্মকে খন্ডিত চাইবে না, সে চাইবে ধর্ম তার সবটুকু নিয়ে প্রকাশিত হোক। একদিনে না হোক ধীরে। কিন্তু লক্ষ্যটা কিন্তু তার পূর্ণতার দিকে। যারা একে পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান বলে বিশ্বাস করে তারা কখনোই তার পুরাটুকু বাস্তবায়ন না করে ছাড়বে না, আমরা যদি রুখে না দাড়াই।

আপনি যদি বলেন আজকের যুগে হাত কাটা নির্মম, তাহলে কি সেই যুগে হাত কাটা (এমনকি সেই যুগের প্রেক্ষিতেও) কোন মানবিক কাজ ছিল? আপনি কি মনে করেন মোহাম্মদের সময়কালীন সারা পৃথিবীতেই আইয়ামে জাহেলিয়াত বিরাজ করছিল? আর ইসলামে দ্ব্যর্থহীনভাবে নির্দেশিত হাত কাটার বিধানকে পাশ কাটিয়ে আপনি কেমনতর ইসলাম চাচ্ছেন? নাকি আপনি মনে করেন ইসলামের কিছু মৌলিক সংশোধন দরকার স্থান কাল দেশ ভেদে? সত্যি আমি ঠিক বুঝতে পারছি না আপনার চাওয়াটা। কেমন যেন প্রহেলিকায় ঘেরা থাকলেন এখনো।

১২| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৫:৪৮

আমিই রূপক বলেছেন: "পৃথিবীতে তাদের যত অপ্রাপ্তি আর বঞ্চনা সবগুলোর কার্যকারণ ঐশ্বরিক দিক থেকে চিন্তা করেন তারা। এটি তাদের প্রতিবাদী বা বিপ্লবী হতে দেয় না।"

আমি জানিনা এই কথাটি আপনি কেন বলেছেন। আমার জানামতে পৃথিবীর সকল ধর্মই অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে শিক্ষা দেয়, এক সাথে কাজ করার শিক্ষা দেয়।

আমারতো মনে হয় যারা ধর্মকে মানেনা বা আর একটু গভীরে গেলে যারা ঈশ্বর মানেনা তারাই ভীরু হয়। কারণ তাদের ধারণা মৃত্যু মানেই পরম বিলোপ সাধন।

আমি কোন বিতর্কের সূচনা করতে চাইনা। আমি শুধু আপনাকে ধর্মকে নীরিহ মানুষের স্বান্তনা না বলার অনুরোধ করছি। ধর্মই অত্যাচারিতের শক্তি হয়ে উঠতে পারে যদি তার সঠিক চর্চা হয়।

ভালো লাগলো+++

১৩| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ৮:০৮

সালাহ্ উদ্দিন শুভ্র বলেছেন: @সত্যান্বেষী-
প্রহেলিকাতেই বাধা আছি-ঠিক বলেছেন-বিষয়টি নিয়ে আমার সাম্প্রতিক ভাবনার শিকার আপনারা। ফলে পরিষ্কার হতে সময়তো লাগবেই।


শুধুমাত্র ইসলামকে নিয়ে আলোচনা করলে আমার ধর্ম সম্পর্কিত আলোচনা অপরিষ্কারই থেকে যাবে। তারপরও বলছি-ধর্মকে বিনাশ না করেই পুঁজিবাদ তার সংযোজন-পরিবর্ধন ঘটিয়েছে-বিকৃতি ঘটিয়েছে। কারণ মনস্তাত্ত্বিকভাবে মানুষকে কাবু করার জন্য উত্তম পন্থা হচ্ছে ধর্ম। এখন কোন সমাজে ইসলাম কি রকম হবে সেটা ঠিক করবে সেই সমাজ। এমনি এমনিতো আর ঠিক করবে না-সামাজিক পরিস্থিতিতেই ঠিক করবে। রাষ্ট্র এবং সাম্রাজ্যবাদ তাই করেছে। সব দেশের ইসলাম এক নয়।

আপনি মুহাম্মদের দায় আমার ওপর চাপানোর চেষ্টা করছেন কেন বুঝতে পারছি না। সেই ধর্মের রুক্ষতা-সেই অঞ্চলের-সেই ইতিহাসের নিরিখে বিচার করা আমার জন্যে পরবর্তী সময়ের কাজ।

আমি শুধু এটুকু বলতে চাচ্ছি-ধর্মকে বাদ দিয়ে রাজনৈতিক আন্দোলনে সফলতা আসবে না। আর তাত্ত্বিকভাবেও রাজনীতি সমৃদ্ধ হবে না। মানুষ মানেই রাজনীতি নয়-কিন্তু মানুষ মানেই সংস্কৃতি। এই সত্য যদি মানেন তাহলে ধর্মকে গুরুত্ব দেয়ার বিষয়টি বুঝবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.