নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি আমার নিরক্ষর কিন্তু বুদ্ধিমতী মায়ের কাছ থেকে এই শিক্ষাই পেয়েছিলাম,যথাযথ কর্তব্য পালন করেই উপযুক্ত অধিকার আদায় করা সম্ভব। - মহাত্মা গান্ধী

পদাতিক চৌধুরি

হাই,আমি পদাতিক চৌধুরী।পথেঘাটে ঘুরে বেড়াই।আগডুম বাগডুম লিখি। এমনই আগডুম বাগডুমের পরিচয় পেতে হলে আমার ব্লগে আপনাদেরকে স্বাগত।

পদাতিক চৌধুরি › বিস্তারিত পোস্টঃ

বুক রিভিউ:- ঋদ্ধ তিন- ব্লগার সংকলন ( পর্ব- ২ )

০১ লা এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১২:১৬

সমগ্র সংকলনে ছোট-বড় মিলিয়ে ২৬ টি গল্প আছে। বইটির সম্পাদক আমাদের সবার প্রিয় হাসান মাহবুব ভাইয়ের এ এক অনন্য সৃষ্টি। বইটি উৎসর্গ করা হয়েছে শ্রদ্ধেয়া জানা আপুকে। উৎসর্গে জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা।
শুরুতেই কৃতজ্ঞতা জানাই শ্রদ্ধেয় মা. হাসান ভাইকে, যার অবদান ব্যতীত রিভিউ কার্যটি আমার পক্ষে এক প্রকার অসম্ভব ছিল। ১৫২ পাতার সংকলনটির দক্ষিণা মাত্র আড়াইশো টাকা। যারা এখনো পর্যন্ত বইটি ক্রয় করতে পারেন নি বা করেননি তাদেরকে অনতিবিলম্বে বইটি সংগ্রহ করার অনুরোধ রইলো ।

৫,
চোখাচোখি - মোহাইমিনুল ইসলাম বাপ্পী

প্যারাসাইকোলজিক্যাল গল্পে ড.জিব্রান একজন সাইকিয়াটিস্ট। ওনারই পেশেন্ট সুমনের সঙ্গে কেস টেকিং নিয়ে এই গল্পের বিন্যাস। আর পাঁচটা ছেলের থেকে সুমন একটু আলাদা প্রকৃতির। অন্য ছেলেরা যেখানে মেয়েদের শারীরিক বৈশিষ্ট্য বা খাঁজ গুলোকে লক্ষ্য করে সুমনের লক্ষ্য সেখানে মেয়েদের কেবল চোখের দিকে। এ প্রসঙ্গে ডাক্তারবাবুর যুক্তি ছিল মানুষের মস্তিষ্ক সব সময় ডিস্টিংক্টিভ ফিচারের প্রতি আকৃষ্ট হয় । পুরুষ হোমো স্যাপিয়েন্স থেকে নারী হোমো সেপিয়েন্স এখানে আলাদাকারি বৈশিষ্ট্যের মধ্যে পড়ে। যেটা সাইকো বায়োকেমিক্যাল।যদিও রেটিনা- কর্নিয়া এসবের মধ্যে তেমন পার্থক্য থাকে না। আর এ কারণেই তার চক্ষু প্রীতি একটু অস্বাভাবিক বৈকি।

নিজের চক্ষু প্রীতির সমর্থনের সুমন আরও বলতে থাকে, বিভিন্ন ভঙ্গিমায় চোখের ছবি দেখে ফেসবুকে একটি মেয়ের প্রতি সে প্রেমাসক্ত হয়ে পড়েছিল। কিন্তু যেদিন তারা সামনাসামনি সাক্ষাৎ করে, সেদিন মেয়েটির চোখকে ওর কাছে জীবন্ত বলে মনে হয় নি। বাড়ি ফিরে সে তাকে আনফ্রেন্ড করে দেয়। যদিও মেয়েটি সুন্দরী, শিক্ষিতা এবং মার্জিত স্বভাবের ছিল। এক্ষেত্রে ডাক্তারের যুক্তি ছিল,সুমন শুধু তার চোখের প্রেমে পড়েছিল। তার ঠোঁটের , চিবুকের বা শরীরের নয়।

সুমন আবার বলতে লাগল ,এবার সে প্রেমে পড়েছিল এক বোরকাওয়ালির নাম আদৃতা ।আশ্চর্যজনকভাবে উভয়ের পছন্দ অপছন্দের মধ্যে অদ্ভুত রকমের মিল ছিল । যেমন ছিল উভয়েরই চোখের গঠনেও। এক সেমিনারে তাদের প্রথম সাক্ষাৎ হয়েছিল। প্রথমে ফোন নম্বর দেওয়া -নেওয়া ,পরে প্রেম। বিয়ের আগে চেহারা দেখতে সুমনের ইচ্ছা না থাকলেও আদৃতা একদিন উপযাজক হয়ে খুলতে থাকে মুখের আবরণ, হাতের দস্তানা প্রভৃতি। কি আশ্চর্য! চোখের চারদিকে কিছুই নেই ,একদম ফাঁকা! এ যেন শুধু একটি অবয়ব। হলো ওম্যান! বোরকার ভিতর তার কোন শরীর নেই। ডাক্তারবাবু প্রথমে এক ধরনের ক্লাস্টার সি পার্সোনালিটি ডিসঅর্ডার বলে বিষয়টি চিহ্নিত করেন এবং কগনিটিভ থেরাপির ও সামান্য ওষুধ খেলে বিষয়টি ঠিক হবে বলে ব্যবস্থাপনা করেন । কিন্তু যখন জানতে পারেন সুমনের সঙ্গে আদৃতা পাশেই আছে। তখন পরোখ করেন পাশের চেয়ারের উপরে শূন্যে ভেসে আছে এক জোড়া চোখ। এক অদ্ভুত আতঙ্ক তার চোখে-মুখে ফুটে ওঠে।

সাহিত্য সমাজের দর্পণ। গল্পকাররা চলমান সমাজে বিভিন্ন ঘটনা তাদের গল্প-উপন্যাসে ফুটিয়ে তোলেন । সে দিক থেকে আলোচ্য গল্পে সুমনের ফেসবুকে মেয়েটির চোখের প্রতি আসক্তিতে ডক্টরের সাইকোলজিকাল ব্যাখ্যাটি নিঃসন্দেহে সদর্থক বলে মনে হয়েছিল। কিন্তু যখন আদৃতাকে পাশের চেয়ারে বসে শূন্যে ভেসে আছে এক জোড়া চোখ- প্রসঙ্গটি এল তখন বিষয়টা অনেকটা হরর মুভি মতো লাগলেও গল্পটা যে বাস্তবতা হারিয়েছে তা বলা বাহুল্য।

৬,
চন্দ্রমোহিয়ান - মিথি মারজান

শৈশব ও কৈশোরের স্মৃতি আমাদের প্রত্যেকেরই জীবনে কমবেশি জড়িয়ে আছে। আলোচ্য গল্পে লেখিকা ওনার শৈশব ও কৈশোরের স্মৃতি মাখা চন্দ্রমোহিয়ানকে অত্যন্ত সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন । কখনো ছোটবোন জুঁথিকে নিয়ে মাঝরাতে চন্দ্রালোকিত জোসনা গায়ে মাখা, কিংবা জানালার পর্দা সরানোকে কেন্দ্র করে খুনসুটিতে মেতে ওঠা। আবার কখনো বা মাঝরাতে ঘুমন্ত আব্বুকে চাঁদ দেখতে ডেকে তোলার মতো ঘটনা পরিবেশিত হয়েছে। নির্জন জলরাশিকে দুটি খণ্ডে বিভক্ত করে চলমান জাহাজের ডেকের উপর মাঝ রাতে চন্দ্রমহিয়ায় মোহিতো লেখিকা তার রূপে যখন উল্লসিত,আনন্দাশ্রু যখন চোখের বাঁধ মানলো না । তখন পরম মমতায় বাবার কান্দুনিবুড়ির জন্য স্মাইলিং এর মধ্যে এক অপার্থিব শান্তি খুঁজে পাওয়া যায়।

কথায় বলে, উত্তরসূরী শেখায় নিতে অঙ্গীকার এক নতুন ভোরের। কথাটির যেন সার্থক প্রতিফলন ঘটেছে গল্পের একেবারে শেষে যখন তিন বছরের মেয়ে একদিন বাবা- মাকে মাঝরাতে চাঁদ দেখানোর জন্য চিৎকার করে ওঠে। আর তখনই যেন পৃথিবীর সমস্ত চাওয়া পাওয়া গুলো এখন অনির্বচনীয় মিলনে একসূত্রে গাঁথা হয়ে যায়।

গল্পটি পড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমারও শৈশব ও কৈশোরের কিছু ঘটনা চোখের সামনে ভেসে উঠলো। কিছুক্ষণ চোখ মুদে স্মৃতি রোমন্থন করতে লাগলাম। পাশাপাশি এক অসম্ভব পারিবারিক সংহতি বোধের চিত্র ফুটে উঠেছে । আমরা প্রত্যেকে দোষে -গুণে মানুষ । জীবনের বিভিন্ন সময়ে প্রয়োজনে আমাদের আপনজন ছেড়ে দূর দেশে পাড়ি জমাতে হয়। কিন্তু এমন কিছু অমলিন স্মৃতি থেকে যায় যা হৃদয়ের মণিকোঠায় ভাস্বর হয়ে থাকে আজীবন।
গল্প বেশ কিছু টাইপো চোখে পড়লো- কৈশোর/কৈশর ,পাহারাদার/পাহাড়াদার, সখ্যতার/সখ্যেতার , পারতাম না/পারতামনা

৭,
মেমোরি ইরেইজ- সুমন কর
চলমান সমাজের অবক্ষয়তার এক সার্বিক চিত্র তুলে ধরেছেন লেখক আলোচ্য গল্পটির মাধ্যমে। গল্পের শুরুতেই তিনি তুলে ধরতে চেয়েছেন যে তিনি কাউকে চিনবেন না, কিন্তু সবাই ওনাকে চিনবে।এমন ইরেজ মেমোরি নিয়ে উনি যখন দুদিন পরে বাসায় পৌঁছালেন মায়ের একটার পর একটা প্রশ্নের উত্তরে নির্লিপ্ত থাকায় বিরক্ত হয়ে মা স্থান ত্যাগ করলে, পরে তিনি বাথরুমে শাওয়ারের নিচে দাঁড়িয়ে দীর্ঘ স্নান সেরে যেন স্মৃতিতে জমে থাকা হৃদয়ের ময়লাটুকু ধুয়ে মুছে সাফ করেন।

দ্বিতীয় পর্বে তিন অফিসে গিয়ে দেখেন, অসম্পূর্ণ ফাইলটি তার টেবিলে যথারীতি পড়ে আছে।সময়ে কাজ শেষ করতে না পারার জন্য উনার চাকরিটি চলে যায়। হতোদ্যম হয়ে নিকটবতী একটি পার্কে বসে তিনি আবিষ্কার করেন,
" পাড়ার ছোট্ট পার্ক ঘাস নেই আছে ধুলো,
ঘাসের অভাব পড়োয়া করেনা সবুজ বাচ্চাগুলো।" ( কবীর সুমনের বিখ্যাত গানটি)
উনি বুঝতে পারেন পার্কে যারা জীবন যাপন করে তাদের চেয়ে তো উনি অবশ্য অনেক সুখ -স্বাচ্ছন্দে ছিলেন। তবে সেখানে নিজের সঙ্গে নিজেকে প্রতিনিয়ত লড়াই করতে হচ্ছে। কিন্তু সত্যকে প্রতিষ্ঠা করতে পারছেন না-এটা এক ধরনের প্রতারণা নয় কি? আর এই বিবেক নামক বস্তুটির হাত থেকে রেহাই পেতেই ওনাকে মেমোরি ইরেইজ এর উপায় অবলম্বন করা। কিন্তু যেই মুহুর্তে আবার সব স্মৃতি ফিরে আসবে শুরু হবে আবার বেঁচে থাকার অভিনয় বা নাটক প্রভৃতি।

অত্যন্ত উচ্চমার্গ সম্পন্ন গল্পটি সাধারণ পাঠকদের ভালো নাও লাগতে পারে। আমার কাছেও গল্পটি একটু একটু নিরস লেগেছে। বিশেষ করে মায়ের সঙ্গে তার সংলাপ কালে মায়ের অভিব্যক্তি ও উনার মুখে কিছু সংলাপ বসিয়ে মেমোরি ইরেইজ এর মত চমৎকার বিষয়টি আরও বেশি টাচিং করা যেত।

৮,
অ- প্রস্ফুটিত- সায়েমা আক্তার

এটা একটা ট্রাজেডিক প্রেমের গল্প। বছর দুয়েক আগে পাশের বাড়ির শানুকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিল রমিজ। দুজনের পরিবার বিয়ে মেনে নেয়নি। গ্রাম্য সালিশে তাদেরকে গ্রাম ছাড়ার নির্দেশ দেয়। বাধ্য হয়ে তারা লোকালয় থেকে বহুদূরে এক নির্জন স্থানে ঘর বাঁধে। বিয়ের এক বছরের মাথায় রমিজ সুখবর শোনে যে সে বাবা হতে চলেছে। আরো এক বছর পরে যেদিন শানুর প্রসব ব্যথা শুরু হয় সেদিন অমাবস্যা ছিল। ঘরে ছিল না আলো দেওয়ার মতো ন্যূনতম কেরোসিন টুকুও। এমতাবস্থায় রমিজ মিয়া ছোটেন গঞ্জের ক্লিনিকে ও কেরোসিনের সন্ধানে। বাজারে গিয়ে শোনেন ফার্মেসির দোকানে থাকা আপদ বিপদে একমাত্র ভরসা ভ্যানটি নিয়ে চেয়ারম্যান সাহেব গঞ্জে চলে গেছেন, ফিরবেন পরের দিন সকালে। অগত্যা সামান্য কিছু ওষুধ ও বন্ধ একটি দোকানের ডাকাডাকির পর সামান্য কেরোসিন নিয়ে পিচ ঢালা অন্ধকারের মধ্যে যখন বাড়ি ফেরেন ততক্ষনে স্ত্রীর শ্বাসবায়ু উবে গেছে।

অথচ তাদের কত স্বপ্ন ছিল। একটা ফুটফুটে কন্যা সন্তান হবে যার নাম আগে থেকেই ঠিক করে রেখেছিলেন, পুতুল। কিনেছিলেন তার জন্য হরেক রকম খেলনা ও জামা কাপড়ও। কিন্তু সমস্ত স্বপ্নকে অধরা রেখে প্রস্ফুটিত না হয়েই চলে গেল পুতুল। চলে গেল রমিজের ভালবাসা; তার আদরের শানু।

গল্পটা আরো বেশি টাচি হতে পারতো। গল্পের বর্ণনায় আবেগের চেয়ে ঘটনার বর্ণনা বেশি বলে মনে হয়েছে। আরেকটি বিষয় চোখে পরলো- গল্পের শুরুতে লেখক যেখানে বলেছেন পৌষের মাঝামাঝি হালকা শীত । অন্যস্থানে বলেছেন, তার ওপরে শীত পড়ছে। বিষয়টি বেমানান লাগলো।তৃতীয়তঃ গল্পের সময় কাল হিসেবে তাদের বিবাহিত জীবন দু বছর দেখালেও শানু সুখবর দিচ্ছে ঠিক এক বছর পরে। আর তার প্রসব যন্ত্রণা সে ক্ষেত্রে আরও এক বছর পরে ; যেটা ও বেশ বৈসাদৃশ্য লাগলো।এ ক্ষেত্রে গাইনোকলজিস্ট সময় কালটি মেনে চলাই কাম্য ছিল।

উৎসর্গ;-পোস্টটি উৎসর্গ করা হল আমাদের সবার প্রিয় শ্রদ্ধেয় মা. হাসান ভাইকে।


মন্তব্য ৪৮ টি রেটিং +১৫/-০

মন্তব্য (৪৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১২:৫৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



আজ প্রথম কমেন্টটি আমি করার সুযোগ পেলাম, গুরু। মিথী মারজান আপু আর সুমন ভাইয়ের লেখা গল্প দু'টি আমিও পড়েছি। বাকি দু'টি যদিও এখনো পড়া হয়নি তবে সময় করে অবশ্যই পড়বো। দু'টি গল্পই আমার খুব ভাল লেগেছে; ভাবতে বাধ্য করেছে।

ভাল থাকুন, গুরুজি। আশা করি, ইলেকশন ট্রেইনিং শেষ হয়েছে।

০১ লা এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৯:১৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল প্রিয় গুরুদেব,

প্রথম কমেন্ট মানে আলাদা ভালো লাগা । তারপরে যদি এমন হাজার বছর পরে দেখা হয় তাহলে তো একেবারে বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস আরকি। অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে। আপনি মিথী মারজান আপু ওর সুমন ভাইয়ের গল্পটি পড়েছেন। সহমত আপনার সঙ্গে যে গল্প দুটি আমারও বেশ ভালো লেগেছে। আশা করি সময় পেলে বাকি গল্প গুলোও পড়বেন।

আপনার শুভ কামনা গ্রহণ করলাম।হ্যাঁ! সামনে ইলেকশন ।দুটি ইলেকশনের ট্রেনিং হয়ে গেছে আরেকটি সামনে আছে।
শুভকামনা ও ভালোবাসা জানবেন।

২| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১২:৫৮

রিম সাবরিনা জাহান সরকার বলেছেন: নির্মোহ সমালোচনা কঠিন কাজ। তবুও কাঁধে নিয়েছেন দেখে সাধুবাদ জানাই। এতে করে লেখকদের ভীষন উপকার হয়।
আর না বললেই নয়, মন্তব্য করতে এসে কাউসার ভাইকে দেখে দারুন আনন্দ হচ্ছে।

০১ লা এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:৪৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আমার ব্লগ আপনার প্রথম পদচারণ! সু স্বাগতম আপনাকে। আপনার অত্যন্ত আন্তরিক মন্তব্য প্রীত হলাম। হ্যাঁ! অস্বীকার করবো না যে নির্মোহ সমালোচনা একটি কঠিন কাজ, কয়েকজনের পোস্ট এর কিছু অপ্রিয় কথা লিখতে হবে ঠিকই। পাশাপাশি ভালোকে ভালো বলার অনন্য সুযোগও যে রয়ে গেছে সেটাই বা কম কিসে? প্রসিদ্ধ লেখকদের সমালোচনা করার ধৃষ্টতা আমাদের মতো ছোটখাটো পাঠকদের নেই ঠিকই কিন্তু ব্লগারদের দু একটি পোস্টে দু-একটি কথা বললে যে আমাদের এই একে অপরের কিছুটা কাজে আসবে সে বিষয়ে আপনার সঙ্গে আমিও সহমত পোষণ করছি।
আর কমেন্ট বক্সে কাউসার ভাইকে পেয়ে আপনার মত আমিও উৎফুল্ল। বহুদিন পর আপনার সঙ্গে ওনাকেও ব্লগে পেলাম। এমন একজন গুণী মানুষের কমেন্ট পাওয়া নিঃসন্দেহ গর্বের।

অফুরান শুভেচ্ছা জানবেন।

০১ লা এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:৪৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: স্যরি আপু একটা কথা বলতে ভুলে গেছি। পোস্টটিকে লাইক করাতে অনেক অনুপ্রেরণা পেলাম। কৃতজ্ঞতা জানবেন।

৩| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৯ ভোর ৬:১০

বলেছেন: সার্থক ও সুক্ষ রিভিউ অ থেকে পাঠক ও লেখক অনেক কিছু শিখতে পারবে বলে আমি মনে করি..

যাকে উৎসর্গ করা হয়েছে উনিও একজন দক্ষ রিভিউ লেখক।


ভালো থাকুন আমাদের দাদা।

০১ লা এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:৫৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় লতিফ ভাই,

আহা! কমেন্টে বিমোহিত হওয়া।" সার্থক ও সূক্ষ্ম রিভিউ থেকে পাঠক ও লেখক অনেক কিছু শিখতে পারবে বলে আমি মনে করি..."
দাঁড়ান! দাঁড়ান! আমি একজন মানুষ ;আমার মাথায় তালগোল পাকিয়ে গেছে। আমি এখন লজ্জায় পালাচ্ছি.....
তবে পালাই বা কেমন করে? এখনও যে অনেক কিছু কাজ পড়ে আছে।
উৎসর্গে ভালো লাগায় আনন্দ পেলাম ।ধন্যবাদ জানাই আপনাকে।
পোস্টটিকে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম ; কৃতজ্ঞতা জানবেন।

অনিঃশেষ শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা প্রিয় কবি ভাইকে।

৪| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৭:৫২

হাবিব বলেছেন: প্রিয় পদাতিক ভাইয়া, দক্ষ রিভিউ আমার বইটি পড়ার ইচ্ছা বাড়িয়ে দিলো।
এবার ভাবছি রকমারি থেকে অর্ডার করাতেই হবে। বেশ উপভোগ্য রিভিউ

ভালো থাকুন পরিবার আর স্বজনদের সাথে।

০১ লা এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১:০১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় হাবিব ভাই,

রিভিউটি ভালো লাগাতে খুশি হলাম। আরো খুশি হলাম বইটি পড়ার আগ্রহ জেগেছে জানতে পেরে। আশা করি খুব শীঘ্রই বইটি সংগ্রহ করে এর রসাস্বাদন করতে পারবেন। দ্রুতই রকমারিতে অর্ডার করুন। বইটি দারুণ উপভোগ্য।
আপনার দোয়া মহান উপরওয়ালা যেন কবুল করেন।
আপনি ও আপনার পরিবারের জন্যও রইল অনেক অনেক দোয়া ও ভালোবাসা।

০১ লা এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১:০২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় হাবিব ভাই,

একটি কথা বলতে ভুলে গেছি। পোস্টে লাইক কত প্রেরণা পেলাম; কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভকামনা ও ভালোবাসা অফুরান।

৫| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৮:০০

রাজীব নুর বলেছেন: সহজ সরল সুন্দর রিভিউ।

০১ লা এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১:০৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ছোট ভাইয়ের ছোট্ট আন্তরিক মন্তব্যে প্রীত হলাম। ধন্যবাদ রইল।

অফুরান শুভেচ্ছা ও ভালবাসা রইল।

৬| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:১৭

জাহিদ অনিক বলেছেন: বাহ ! সায়েমা আপু আর মিথী আপুর লেখা দুটো আগেইপড়া ছিল, তাই মিলিয়ে নিতে পারলাম; আপনি রিভিউ ভালো লিখেছেন ব্রাদার। বাকীটাও পড়ে নেব আশাকরি।
শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা রইলো

০১ লা এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১:১০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় কবি ভাই,

আপনার পাঠ ও মন্তব্যের আনন্দ পেলাম। ধন্যবাদ আপনাকে। সায়েমা আপু ও মিথী আপুর লেখা আগেই পড়েছেন ও বর্তমানে রিভিউতে পড়ে মিলিয়েছেন দেখে খুশি হলাম। এমন পাঠকের মন্তব্যই যে রিভিউকে সার্থক করে তোলে। পাশাপাশি যে গল্পগুলি এখন পড়ে উঠতে পারেননি ,আশা করি খুব শিগগিরি সেগুলি পড়ে রসাস্বাদন করবেন।

আপনার শুভেচ্ছা ও ভালবাসা গ্রহণ করলাম । আপনার জন্যও রইল আমার প্রাণভরা ভালোবাসা ও শুভকামনা।

৭| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:৪৪

ভুয়া মফিজ বলেছেন: প্রথম দু'টা পড়লাম। মুভি বা বই এর রিভিউ পড়লে আমি সেটার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলি, আমার এমন কেন হয় জানিনা। বইটা যেহেতু আমি সংগ্রহ করবো....তাই আর এগুলাম না।

তবে, আপনার রিভিউ ভালো হয়, নিঃসন্দেহে!

০১ লা এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১:১৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় মফিজ ভাই,

আপনার সুন্দর অনুভূতির কথা জানতে পেরে মুগ্ধ হলাম। বাস্তবে পাঠক বা দর্শক এমন হওয়াটাই কাম্য। আমরা বরং আপনার মত না হওয়ার জন্য কিছুটা অনুশোচনা গ্রস্থ। যে কারণে সম্পূর্ণ সহমত আপনার সঙ্গে কোন মুভি বা গল্পের বইয়ের রিভিউ পড়লে তার সম্পর্কে অনেকেরই আগ্রহ হারিয়ে ফেলে । সত্যিকারের পাঠক যে কারণে রিভিউ পড়তে চায় না। আপনি যখন দেশে আসবেন, আশা করি বইটি সংগ্রহ করে যথাযথ রসাস্বাদন করবেন।
রিভিউ যেটুকু পড়েছেন সেটুকু ভালো লাগাতে পোস্টটি কে লাইক করাতে খুশি হলাম; প্রেরণা পেলাম।। কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাকে ।

অনিঃশেষ শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানবেন।


৮| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:৪৫

মা.হাসান বলেছেন: পোস্ট আমাকে উৎসর্গ করায় আমার বুকের ছাতি এত ফুলে গেছে যে জামা আর গায়ে ফিট হয় নি, গেঞ্জি পরেই অফিসে আসতে হয়েছে। কাজেই আর বিব্রতকর অবস্থায় না ফেলার বিনিত অনুরোধ থাকলো।
চন্দ্র মোহিয়ান একটি চমৎকার গল্প । মনে হয় সবারই ভালো লাগবে।
চোখাচোখিতে বাপ্পি ভাই সম্ভবত ফিকশন-প্রেম-ফ্যান্টাসি-না হরর লিখবেন শেষ পর্যন্ত ঠিক করে উঠতে পারেন নি। ভাল গল্প হবার অনেক উপাদানই এটাতে ছিল।
মেমরি ইরেজের পড়ার পর Eternal Sunshine of the Spotless Mind মুভিটির কথা মনে পড়েছিল। তবে হলিউড অনেক বেশি প্রফেশনাল, তারা দর্শকের আগ্রহ ধরে রাখতে জানে।
সায়মা আক্তারের গল্প কিছুটা অগোছালো, সম্ভবত এক সিটিঙের লেখা না, অনেক দিন ধরে লেখা, কন্টিনিউইটি থাকে নি। গল্পের প্লটেও নতুন উপাদান কম। চমকপ্রদ কিছু ছিল না।

একটি জোক-
একজন মাড়োয়াড়ি ব্যবসায়িকে ২৫শে বৈশাখের জন্মোৎসবের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি করে আনা হয়েছে। দুপক্ষেরই লাভ, মাড়োয়াড়ি সামাজিক স্বীকৃতি চায়, আয়োজকরা পয়সা চায়। সব শেষে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মাড়োয়াড়ি ব্যবসায়ি বললেন
-আপনার শুধু ওনার কাব্য প্রতিভাই দেখলেন, ব্যবসা বুদ্ধি দেখলেন না। দু পয়সার কাগজে লিখে লাখ টাকার নোবেল নিয়ে গেলেন ...
রিভিউ করা তার জন্য সাজে যার মধ্যে নান্দনিকতা আছে। সাহিত্যিকই আরেকজন সাহিত্যেকের লেখার বিচার করতে পারে। আপনার সুন্দর রিভিউয়ের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
অফুরান শুভেচ্ছা।

০১ লা এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১১:০৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় মা. হাসান ভাই,

সকালবেলা আপনার বহুমুখী কমেন্টটি দেখে ভালো করে প্রতি মন্তব্য দেওয়ার জন্য সময় নিয়েছিলাম। তারপরে সেই যে গেলাম ,আর কিছুতেই সময় করে উঠতে পারেনি। যে জন্য এত বিলম্ব। কাজেই ক্ষমাপ্রার্থী বিলম্বিত উত্তর দেওয়ার জন্য। প্রচলিত প্রবাদ কি হলো, গঙ্গা জলে গঙ্গা পূজা। আবার 25 শে বৈশাখে রবীন্দ্র সংগীত না হলে অনুষ্ঠান হয় না। ফলে এটি যেন এক প্রকার রীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। পোস্ট উৎসর্গ প্রসঙ্গে আমার প্রথম চিন্তা ছিল, রিভিউ লেখার জন্য অন্তর থেকে যাকে গুরু বলে মেনে ছিলাম তিনি হলেন শ্রদ্ধেয় মাহমুদুল হাসান ভাই। পরপর দুটি রিভিউ পড়ে একেবারে মন্ত্র মুগ্ধ হয়ে গেছিলাম। তবে অস্বীকার করবো না যে আমি কাউকে অত শক্ত কথা বলতে পারি না। কিন্তু অন্তরের শ্রদ্ধা ও অনুকরণীয় হয়ে আপনি হৃদয়ে উচ্চাসনে আসীন হয়ে আছেন।
এমন বান্দার কৃতজ্ঞতায় আপনি বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছেন জেনে আমিও যারপরনাই বিব্রত বোধ করছি। অন্তরের জিনিস অন্তরে থাক ; মনুষ্য সমাজের না হয় আগামী দিনে নাই বা দেখালাম।
সহমত আপনার সঙ্গে যে চন্দ্রমোহিয়ান গল্পটি আপু ভালো লিখেছেন। আশা করি সবারই ভাল লাগবে। চোখাচোখিতে গল্পকার ভালো মসলা আমদানি করেছিলেন কিন্তু কিন্তু ফিনিশিং করতে পারেননি। আর বাকি দুটি প্রসঙ্গেও আপনার সঙ্গে আমি সহমত পোষণ করছি।
জোকসটা পড়ে ভীষণ মজা পেয়েছি, হা হা হা.. কমেন্টের বাকি অংশের জন্য মুগ্ধতা এবং পোস্টটি কে লাইক করাতে অনুপ্রেরণা পেলাম। কৃতজ্ঞতা জানবেন।
আপনার শুভাশিস গ্রহণ করলাম। আপনার জন্যও রইলো রইল অফুরান শুভেচ্ছা ও ভালবাসা।



৯| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ২:৩১

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
প্রত্যেক এর লেখায় নিজস্ব বৈশিষ্ট ফুটে উঠে।

০১ লা এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১১:১০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় মাইদুলভাই,

বিলম্বিত উত্তর দেওয়ার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী। ঠিকই ধরেছেন, প্রত্যেকের লেখার নিজের ছন্দ আছে। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

শুভকামনা ও ভালোবাসা জানবেন।

১০| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৪:২৭

পবিত্র হোসাইন বলেছেন: নাহ ! এবার দেশে গেলে বইটি কালেকশনে রাখতে হবে :-B

০১ লা এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১১:১৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় হোসাইনভাই,

হ্যাঁ! ঠিকই বলেছেন, দেশে ফিরলে আগে বইটি সংগ্রহ করবেন এবং দারুনভাবে উপভোগ করতে পারবেন। ধন্যবাদ আপনাকে ।

শুভকামনা ও ভালোবাসা জানবেন।

১১| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৪

আরোগ্য বলেছেন: চারটি গল্পের রিভিউই ভালো লাগলো। ইলেকট্রিসিটির সমস্যার জন্য মন্তব্য করতে দেরি হল।

মরীচিকা আসবে কবে ভাইটি?

০১ লা এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১১:১৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় আরোগ্য,

তোমার চারটি রিভিউ ভালো লাগাতে আনন্দ পেলাম। গতকাল আমাদের এখানেও ঝড় বৃষ্টি হওয়ার জন্য অনেকক্ষণ বিদ্যুৎ ছিল না। পাওয়ার কাটের জন্য তোমার মন্তব্য করতে দেরি হওয়াতে দুঃখিত। কি আর করা যাবে তুমি যে শেষ পর্যন্ত কমেন্ট করলে তাতে আমি দুশ্চিন্তা মুক্ত হলাম । অস্বীকার করবো না যে তোমার মন্তব্য না পাওয়া পর্যন্ত মনে একটা অতৃপ্তি থেকে যায়। পরপর দুটি রিভিউ দিয়েছি। এর পরের পোস্টটি আবার মরীচিকা পাবে। তোমাদের ভালোবাসায় আমি আপ্লুত। এমন করে মসজিদের খোঁজ করলে আমি না দিয়ে পারি?

বিমুগ্ধ ভালোবাসা ও শুভকামনা স্নেহের আরোগ্যকে।

১২| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৮

করুণাধারা বলেছেন: রকমারি থেকে প্রথম দফায় যে কটা বই এনেছি, সেগুলোই পড়ে উঠতে পারিনি। তাই এখন আর অর্ডার করছি না, তবে আপনার রিভিউটা পেয়ে জানা হলো ঋদ্ধ ৩ এর গল্প কেমন হয়েছে। আশা করি শিগগিরই এটাও আনাবো।

ভালো লেগেছে আপনার রিভিউ।

০১ লা এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১১:২৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় আপুনি,

আপনার পাঠ ও মন্তব্যের আনন্দ পেলাম। রকমারি থেকে প্রথম দফায় যে বইগুলো কিনেছেন এখনো পর্যন্ত পড়ে উঠতে পারেননি ।বেশতো! সময়-সুযোগমতো ওগুলো পড়ে নিন। তারপর না হয় খাবার অর্ডার করিয়ে ঋদ্ধ তিন আনিয়ে নেবেন। ভীষণ ভালো সংকলন পাঁচমিশালী গল্প পাবেন। দারুণ উপভোগ্য হবে এটুকু জোর দিয়ে বলতে পারি। আমার কাছে কিন্তু লেখাজোকার সংকলনটিও আছে। তবে আপনার পোস্টটির রিভিউ করা আমার পক্ষে অসম্ভব, হা হা হা ।
রিভিউ ভালো লাগাতে ও পোস্টটিকে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম; কৃতজ্ঞতা জানবেন।

বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভকামনা প্রিয় আপুনিকে।

১৩| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:১৫

ওমেরা বলেছেন: বই তো সংগ্রহ করতে পারব না মনে হয় তবে আপনার রিভিও পড়ে অনেকটা দুধের স্বাধ ঘোলে মিটবে আশা করি । অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া গঠন মূলক রিভিউর জন্য।

০১ লা এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১১:৩১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় আপুনি,

আপনার সমস্যা বুঝতে পারছি না। দেশে না ফিরলে সত্যিই তো বইটি সংগ্রহ করা‌ এক প্রকার অসম্ভব। রিভিউ পড়ে দুধের স্বাদ ঘোলে মিটানো যায় ঠিকই কিন্তু আমার রিভিউ পড়ে যে আপনার মোহ ভঙ্গ হবে তা হলফ করে বলতে পারি। কিন্তু কি আর করার ,আপনি যখন ঠিক করেই নিয়েছেন অগত্যা তাই করবেন।
রিভিউটি ভালো লাগাতে আনন্দ পেলাম । পোস্টটিকে লাইক করার প্রেরণা পেলাম ; কৃতজ্ঞতা জানবেন।

অফুরান শুভেচ্ছা জানবেন।

১৪| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:০১

নজসু বলেছেন:



শুভ সন্ধ্যা প্রিয় ভাই।

০১ লা এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১১:৩৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় নজসু ভাই,

সামুর ক্রান্তিকালে যাদেরকে আমরা প্রচন্ড মিস করেছি তাদের মধ্যে আমি আপনি অন্যতম। এই নিয়ে মাইদুল ভাই একদিন একটা পোস্টও দিয়েছিলেন। আমাদের প্রিয় শ্রদ্ধেয় সনেট কবি ভাইকে আমরা আজও পেলাম না। উনাকে আমরা প্রচন্ড মিস করছি। এখনো পর্যন্ত দেখছি না রাকুকে । প্রত্যেকদিন খুঁজে খুঁজে চলেছি। যেমনটি খুঁজেছি আপনাকেও। যে কারণে আপনার আগমন আজ আমার কাছে এতটা আনন্দের। উপরওয়ালার কৃপায় ভালো আছি। আশা করি আপনিও কুশলে আছেন।

আপনার শুভাশিস গ্রহণ করলাম । আপনার জন্যও রইল অনেক শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা।

১৫| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:৫০

নীলপরি বলেছেন: খুব সুন্দর লিখেছেন রিভিউ ।

শুভকামনা

০১ লা এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১১:৩৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় পরিআপু,

পোস্টটি পাট ও কমেন্টে আনন্দ পেলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।রিভিউটি খুব ভালো লাগাতে ও পোস্টটিকে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম ; কৃতজ্ঞতা জানবেন।

আপনার শুভাশিস গ্রহণ করলাম । আপনার জন্য রইলো অফুরন্ত শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা।

১৬| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১:৩০

সোহানী বলেছেন: আপনার রিভিউ পড়ে মনে একটা হাহাকার ফিল করি। মনে হয় এখনি বইটি পড়া দরকার..........।

ভালো লাগলো রিভিউ বা সমালোচনা।

০২ রা এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৭:২৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় আপুনি,

রিভিউ টির মাধ্যমে কিছুটা বিনোদন দিতে চেয়েছিলাম। ‌কিন্তু আপনার হৃদয় যে তোলপাড় করে হাহাকার করে উঠলো তাতে যারপরনাই বিব্রত বোধ করছি। মানসিক কষ্ট দেওয়ার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী। তবে মন্তব্যের শেষ অংশে, "এখনি বইটি পড়া দরকার......."দেখে আশ্বস্ত বোধ করছি। হ্যাঁ! আপু যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বইটি সংগ্রহ করুন; আর উপভোগ করুন এক অনাবিল আনন্দ।

বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভকামনা প্রিয় আপুকে।

১৭| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৮:০৬

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: বইটা পড়া হয়নি তবে আপনার রিভিউ পড়ে কিছুটা আইডিয়া পাওয়া গেল। আশাকরি যারা পড়েছে তাদের ভাল লাগবে।

০২ রা এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:২৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: পাঠ ও মন্তব্যে ধন্যবাদ। রিভিউ পড়ে আপনি হয়তো কিছুটা আইডিয়া পেতে পারেন, তবে উপভোগ করতে হলে আপনাকে অবশ্যই বইটা সংগ্রহ করতে হবে। আশাকরি দারুন আনন্দ পাবেন।
শুভকামনা ও ভালোবাসা জানবেন।

১৮| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:৩২

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: প্রবল দারিদ্রতার জন্য অনেক বই সংগ্রহ করা হয়নি :(
তবে আপনার রিভিউ গুলো খুব ভালো হচ্ছে :D

০২ রা এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:০৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় প্রান্ত,

তোমার দারিদ্রতার খবর পেয়ে আমি বেদনা ভারাক্রান্ত; সমবেদনা জানাচ্ছি। তবে দুশ্চিন্তা করো না দাঁতে দাঁত চেপে পড়াশোনা করো। আশা করি খুব তাড়াতাড়ি চাকরি পেয়ে নিজের অর্থনৈতিক অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে পারবে। পাশাপাশি আরও একটি পরামর্শ ছাত্র দশায় বেশি গল্পের বই পড়া ভালো নয়। সে দিক থেকে বই না কিনতে পারার আর্থিক সঙ্গতি না থাকাটা তোমার ক্যারিয়ারের পক্ষে মঙ্গলজনক বৈকি। হা হা হা ....
শুভকামনা ও ভালোবাসা জানবে।

১৯| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:৫৫

সুমন কর বলেছেন: গল্পগুচ্ছ সম্পর্কে আপনার বিচক্ষণ অনুভূতি জেনে সবাই উপকৃত হলাম। কাল অর্ধেক পড়ে ভালো লাগা জানিয়ে গিয়েছিলাম। গঠনমূলক সমালোচনা এমনটিই কাম্য।

আমি গল্পটি দ্রুত লিখেছিলাম, তখন সামুতে প্রায় নতুন। বলতে পারেন, এই গল্পটাই আমাকে সামুতে কিছুটা পরিচিতি দিয়েছিল। তাই আর কোন এডিট করিনি। আর ছোট গল্প হিসেবে বড় করিনি। আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানবেন।

০২ রা এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১১:০৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় দাদা,

গল্পগুচ্ছ সম্পর্কে আমার রিভিউ কতটা বিচক্ষণ হয়েছে জানিনা, কিন্তু আপনারা যে সদর্থক ভাবে নিয়েছেন এটাই আমার পরম প্রাপ্তি। অস্বীকার করব না যে এটি একটি অত্যন্ত অপ্রিয় কাজ। ভালোকে ভালো বলার মধ্যে যেমন কোন দুশ্চিন্তা হয় না বা থাকে আনন্দ উল্টো দিকে যদি কারো লেখার মাঝে কিছু ত্রুটি থেকে যায় তখন সেটা বলাটা নিঃসন্দেহে ঝুঁকিপূর্ণ। আমি অবশ্য আমার নিজের মনোভাব জানালাম।

তবে আনন্দের এখানেই, এই যেমন আপনি আপনার গল্প সম্পর্কে যে রিভিউটা লিখলাম সেটা পড়ে আপনি কি সুন্দর নিজের পুরানো দিনের স্মৃতির সঙ্গে অভিজ্ঞতার পরিচয় করালেন। নিঃসন্দেহে সময়ের উত্তরনের সঙ্গে সঙ্গে লেখার মানোন্নতি হতে বাধ্য। আগামীতে নিশ্চয় আমরা তার পরিচয় পাবো।

শুভকামনা ও ভালোবাসা প্রিয় দাদাকে।

২০| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১১:০২

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:


বইটা পড়ার আগ্রহ বেড়েই চলেছে । হাতের গুলো শেষ না করে ধরতে পারছি না ।

আরও কয়েক দিন অপেক্ষা করতে হবে ।

০২ রা এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১১:১০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হা হা হা হা হা..... দেখি আগ্রহ বেড়ে শেষ পর্যন্ত প্রশান্ত মহাসাগর দিকে যায় কিনা। হাতে কাজ আছে যখন আপাতত সেগুলো সামলে নিন। একটু অবসর পেলেই ঋদ্ধ নিয়ে বসবেন। আশা করি এক অনাবিল আনন্দে নিজেকে ডুবিয়ে রাখতে পারবেন।
আপনার অপেক্ষার অবসান ঘটুক।

শুভকামনা ও ভালোবাসা প্রিয় অপু ভাইকে।

২১| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:৩৩

অন্তরা রহমান বলেছেন: দারুন। এই লেখকদের খুঁজে খুঁজে বের করে সিরিয়ালি সব লেখা পড়তে হবে। ধন্যবাদ। রিভিউ জাঝা হয়েছে।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১২:২৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় অন্তরা আপু,

আমার ব্লগে আপনার পদচারণ; সু স্বাগতম আপনাকে। আপনার সুন্দর আন্তরিক মন্তব্যে প্রীত হলাম ; ধন্যবাদ জানবেন। আশাকরি বইটি শীঘ্রই সংগ্রহ করবেন আর দারুন দারুন মজাদার গল্প উপভোগ করতে পারবেন।

অফুরান শুভেচ্ছা জানবেন।

২২| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ২:৪৭

নজসু বলেছেন:



নিজের পোষ্টের মন্তব্যগুলোরও জবাব দিতে পারিনি এতোদিন। :(

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হাহাহা ......সময় নিয়ে তাহলে ঐ কমেন্টগুলোর উত্তর দিতে শুরু করুন।

অনেক দিন পরে আবার কথা হলো।

শুভ কামনা ও ভালোবাসা জানবেন।

২৩| ০৬ ই মে, ২০২০ রাত ৮:৩৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: যেসব গল্প নিয়ে রিভিউ লিখেছেন, সেসব পড়া না থাকলেও, রিভিউ লেখার স্টাইল ভাল লেগেছে। রিভিউ পড়ে বুঝতে পারি, সেটা নির্মোহ এবং অবজেক্টিভ রিভিউ হয়েছে।
পোস্টে প্লাস + +

০৭ ই মে, ২০২০ রাত ৯:৩৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন:
আপনার সুন্দর মন্তব্যে‌ প্রীত হলাম।‌‌‌ ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ স্যার আপনি ঠিকই ধরেছেন যেহেতু এগুলো সবই ছোটগল্প।
পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম; কৃতজ্ঞতা জানবেন।
নিরন্তর শুভেচ্ছা আপনাকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.