নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি আমার নিরক্ষর কিন্তু বুদ্ধিমতী মায়ের কাছ থেকে এই শিক্ষাই পেয়েছিলাম,যথাযথ কর্তব্য পালন করেই উপযুক্ত অধিকার আদায় করা সম্ভব। - মহাত্মা গান্ধী

পদাতিক চৌধুরি

হাই,আমি পদাতিক চৌধুরী।পথেঘাটে ঘুরে বেড়াই।আগডুম বাগডুম লিখি। এমনই আগডুম বাগডুমের পরিচয় পেতে হলে আমার ব্লগে আপনাদেরকে স্বাগত।

পদাতিক চৌধুরি › বিস্তারিত পোস্টঃ

মরীচিকা (পর্ব -২৯ )

০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১১:৩৬



মরীচিকা (পর্ব-৩০)

দরজা খুলেই দেখি বাইরে মিলিদি দাঁড়িয়ে।
- আরে মিলিদি যে!
চোখে মুখে বেশ উৎকণ্ঠা নিয়ে আমতা আমতা করতে করতে,
-হ্যাঁ দাদা একটা বিশেষ কথা জানতে এসেছিলাম।
- বিশেষ কথা! আমার কাছে? এইরে! যাক এসেছ যখন এখন বলো আমার কাছে কি জানতে চাও?
-আপনি রমেনদাকে দেখা করতে বলেছিলেন কেন? সেটা যদি একটু বলেন।
- ও এই কথা! রমেনদা বেশ কিছুদিন ধরে একটি পারিবারিক সমস্যার মধ্যে আছে।
-কি সমস্যা? আমাকে কি বলা যাবেনা?
-বলা যাবেনা কেন যাবে। তুমি তো আগে থেকেই জানতে রমেনদার মা ওর দুই ছেলেকে নিয়ে গ্রামে থাকেন। সাম্প্রতিককালে ওর মা একেবারে শয্যাশায়ী হয়ে পড়েছেন। বড় ছেলেই সর্বক্ষণ ওনাকে দেখাশোনা করছে। গ্রামে বৃদ্ধা মায়ের সেবা শুশ্রূষা নিজেই রমেনদা খুব চিন্তিত।
-আমরাও বেশ কিছুদিন ধরে দেখছি দাদা, মানুষটা একদম বদলে গেছে। কিছু জিজ্ঞেস করলে মুখে কিছু বলে না, কেবল যন্ত্রের মত কাজ করে যায়। সকলে বলাবলি করছে নিশ্চয় ওনার কিছু একটা হয়েছে।আজ আপনি ওকে দেখা করতে বলাতে সন্দেহ আরও ঘনীভূত হয় যে ওর সমস্যাটি নিশ্চয়ই দাদা জানেন। যে কারণে বিষয়টি নিশ্চিত করতেই আপনার কাছে আসা।
মিলিদির সঙ্গে ঘরের ভিতরে থেকে কথা বলাটা সমীচীন হবে না বিবেচনা করে বাইরে বারান্দায় দাঁড়িয়ে এতক্ষন কথা বলছিলাম। কথাশেষ হতেই ও আর দাঁড়াল না। দ্রুত পা চালিয়ে চলে গেল। আমি কিছুক্ষণ তার পশ্চাদ্গমন নিরীক্ষণ করতে লাগলাম।

ঘরে ঢুকে আবার ভাবতে লাগলাম রমেনদার অবসন্ন জীবনের কথা।এমন হাসিখুশি প্রাঞ্জল একজন মানুষ চোখের সামনে এভাবে গুটিয়ে থেকে নিজেকে ক্রমশ শেষ করে দিচ্ছে- মেনে নিতেও কষ্ট হচ্ছে। মিলিদির কাছ থেকে বিষয়টা জেনে চিন্তাটা আরো বেড়ে গেল। আপন মনে যখন এসব ভাবছি,মিলিদির চলে যাওয়ার ঠিক পনেরো-কুড়ি মিনিট পরে আবার দরজায় ঠক ঠক শব্দ। এবার অবশ্য একেবারে নিশ্চিত ছিলাম রমেনদা ছাড়া অন্য কেউ নয়। হলোও তাই।
না, এবার আর অনুমান ভুল হয়নি। একেতো নিকষকালো গায়ের রং সঙ্গে সারা মুখে সাদা কালো বেশ কিছুদিনের বাসি দাঁড়ি, দরজার আবছা আলোয় রীতিমত ভয়ার্ত মূর্তি মুহূর্তে আমার অন্তরে কু ডাক ডাকতে বাধ্য করলো। আমি কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে কথা বলার শক্তি হারিয়ে ফেললাম। বেশ কিছুক্ষণ দুজনে চুপচাপ দাঁড়িয়ে রইলাম। নিজের হৃদস্পন্দন নিজেই অনুভব করতে লাগলাম। এভাবেই কয়েক সেকেন্ড পর রমেনদার মুখ থেকে তেমন কোন অশনিসংকেত না পেয়ে অস্পষ্টভাবে চোখের ইশারায় ভিতরে আসতে বলাতে এক্কেবারে কাছে চলে এল। আমিও বুঝতে পারলাম যে এ যাত্রায় তেমন কোন ভয়ানক ঘটনা ঘটেনি। মায়ের অবস্থা তাহলে স্থিতিশীলই আছে। কিছুটা আশ্বস্ত হয়ে আমিই প্রথম মুখ খুললাম,
-দেখো রমেনদা আমরা পৃথিবীতে কেউ চিরদিনের জন্য আসিনি। সময় হলে আমাদের প্রত্যেককে পৃথিবীর মায়া-মহব্বত ছেড়ে চলে যেতে হবে। তোমার মা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।মা-বাবার এমন শয্যাশায়ী অবস্থা কোন সন্তানই দেখতে পারে না। তোমার মানসিক অবস্থা আমি উপলব্ধি করতে পারছি। আন্তরিকভাবে আমি তোমার সঙ্গে সমব্যথী। মাসিমার দ্রুত আরোগ্য লাভ- কামনা করছি। কিন্তু পাশাপাশি একটা কথা বলার যে এভাবে ভেঙ্গে না পড়ে বরং ওনার সুচিকিৎসার বা উপযুক্ত সেবা-শুশ্রূষার ব্যবস্থা করাটাই তোমার এই মুহূর্তে কর্তব্য বলে আমার মনে হয়। একইসঙ্গে তুমি একজন দায়িত্বশীল বাবাও বটে। দু-দুটি সন্তানও আছে তোমার। সুতরাং সকলের মঙ্গলের কথা ভেবে তোমাকে দৈনন্দিন কাজকর্ম যথাযথভাবে চালিয়ে যাওয়াটাই সমীচীন বলে আমার বিশ্বাস।

মাথা নিচু করে রমেনদা আমার কথাগুলো শুনে গেল।মুখে একটা টু-শব্দও করল না। কথা শেষ হতেই আমরা দুজনে আবার বেশ কিছুক্ষণ চুপচাপ বসে থাকলাম। বুঝতে পারছিলাম না যে তারও কিছু বলার থাকতে পারে বা কিছু বলার জন্য অপেক্ষায় আছে। কিছুটা অনন্যপায় হয়ে,
-আচ্ছা রমেনদা আমাকে একবার তোমাদের গ্রামে নিয়ে যাবে?
এবার দেখলাম মুখ তুলে আমার দিকে তাকালো। দুই ঠোঁটের মাঝে কিঞ্চিৎ শুভ্র দন্ত রাজিতে তার উৎফুল্ল মনের প্রতিচ্ছবি ধরা পড়লো।
-দাদা আপনি আমাদের গ্রামে যাবেন? আমরা যে খুব গরিব!
-তোমার পারিবারিক অবস্থা নিয়ে ভেবো না রমেনদা। আমরাও তোমার চেয়ে খুব বেশি সম্পদশালী নই। বরং তোমার অন্য কোনো সমস্যা থাকলে আমাকে জানাতে পারো।
-দাদা সমস্যা একটু আছে বৈকি, মাথা চুলকাতে চুলকাতে।
-কী সমস্যা? প্লিজ আমাকে জানাও।
-দাদা গ্রামে আমাদের মাটির বাড়ি। আগে খড়ের ছাউনি ছিল। কিন্তু এখন সব নষ্ট হয়ে গেছে। দু'টি ত্রিপল টাঙিয়ে কোনোক্রমে আমরা বসবাস করি।
আমি উচ্চঃস্বরে হাসতে হাসতে বললাম,
-ও এই সমস্যা! শোনো তাহলে, তোমাকে বলার সুযোগ কোনদিন হয়নি। তুমি বিশ্বাস নাও করতে পারো যে গ্রামে আমাদেরও মাটির বাড়িতে বসবাস। কাজেই তোমার এই সমস্যাটিও আমার কাছে কোন সমস্যা নয় বরং অজুহাত আর কি।
-আসলে দাদা আরেকটি সমস্যা ছিল। আপনাকে বলতে ভীষণ লজ্জা লাগছে।
-ও বুঝেছি! তুমি ঠিক করে রেখেছো যে আমাকে তুমি নিয়ে যাবেই না। সে জন্য একের পর এক সমস্যার উল্লেখ করছ। বেশ! তোমাকে আর অহেতুক ভয় পেতে হবে না। আমি আমার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এলাম।
-না না দাদা ভয় পাবো কেন? প্লিজ আমাকে ভুল বুঝবেন না।আপনি হলেন সাক্ষাৎ দেবতা। আপনাকে নিয়ে যেতে পারলে আমার পিতৃভূমি ধন্য হবে। কিন্তু সমস্যাটা যে মুখে আনতে পারছি না।
-আরে! আরে! কি সব উল্টোপাল্টা কথা বলছো! তোমার কি মাথা খারাপ হয়ে গেছে যে আমাকে দেবতার আসনে বসালে। ঠিক আছে বাপু তোমাকে আর আমি বিব্রতকর অবস্থায় ফেলবো না। তোমার সমস্যার কথা আর বলতে হবে না। তোমার গ্রামে যাওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে পাকাপাকিভাবে আমি সরে এলাম।
-খুব খারাপ লাগছে দাদা আপনার সিদ্ধান্ত বদলের কথা শুনে। তবে আসল সমস্যাটি তাহলে আপনাকে বলেই ফেলি।
-দেখো রমেনদা তোমার আপত্তি আছে যখন তাহলে দরকার কি প্রসঙ্গটি তোলার?
-আসলে আমাদের আদিবাসী সমাজের একটি অন্যতম প্রধান বদঅভ্যাস হলো হাঁড়িয়া সংস্কৃতি। সারাদিন হাঁড়িয়া খেয়ে পড়ে থাকাটা যেমন স্বাভাবিক ঠিক ততটাই এর কুপ্রভাব সমাজকে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে ফেলেছে। অথচ আমরা আদিবাসী সংস্কৃতির সঙ্গে সম্পৃক্ত এই হাঁড়িয়া সংস্কৃতি ছেড়ে বার হতেও পারবো না। কিন্তু এর সমস্যাটি হাঁড়িয়া মানুষকে কর্মবিমুখ করে তোলে। আপনি আমার গ্রামে গিয়ে দেখতে পাবেন গোটা এলাকার অনেকেই এখানে ওখানে অচেতন অবস্থায় পড়ে আছে। হয়তো আমার বাড়ির সামনেও দুই একজনকে দেখতে পাবেন। আর একথা ভেবেই আপনাকে নিয়ে যেতে অস্বস্তি বোধ করছিলাম।
- দেখো রমেনদা, তোমার হয়তো তোমাদের সমাজে বহুকাল ধরে চলে আসা হাঁড়িয়া সংস্কৃতির প্রসঙ্গে অস্বস্তি বোধ হতে পারে। তবে অস্বীকার করার উপায় নেই যে তোমরা একটি বঞ্চিত জাতি। সুপ্রাচীন কাল থেকেই তোমরা শাসকের চূড়ান্ত উদাসীনতার শিকার। হতাশা মানুষকে মদ্যাসক্ত করে তোলে। যে কারণে আমার মনে হয়, বংশপরম্পরায় জাতি হিসেবে আদিবাসীরা দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরি হাঁড়িয়ার প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েছে। কাজেই সমস্যাটি আঞ্চলিক বা তাৎক্ষণিক নয় বরং সুবৃস্তিত এবং সুদূরপ্রসারী। মদ যেকোনো মানুষ বা তার পরিবারকে ধ্বংসের পথে ঠেলে দেয়। আর এভাবেই তোমাদের সমাজে প্রজন্মের পর প্রজন্ম হাঁড়িয়া পান করে ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। হারিয়ে ফেলছে কর্মদক্ষতা বা কর্মক্ষমতা। তবে অন্যান্য পানিয়ের তুলনায় হাঁড়িয়াতে অ্যালকোহলের পরিমাণ কম থাকায় আমার মনে হয় এটা অপেক্ষাকৃত কম ক্ষতিকারক। তবুও সমাজের একজন সচেতন সভ্য হিসেবে আমার মনে হয় তোমার কিছু করণীয় আছে। আর এই মহৎ কাজে যদি তুমি কোনো ভাবে আমার সাহায্য চাও তাহলে আমি সর্বতোভাবে তা দিতে প্রস্তুত আছি।
-দাদা এই জন্যই বলছিলাম আপনি দেবতা!
-আরে! আরে! করছোটা কি! ছি: ছি: ছি: তুমি না আমার চেয়ে বয়সে অনেকটাই বড়। আর এইভাবে প্রণাম করে আমাকে অস্বস্তিতে ফেলে দিলে? তোমার এমন আচরণে আমি অত্যন্ত বিব্রতবোধ করছি রমেনদা।
-ঠিক আছে দাদা আপনি অস্বস্তিতে পড়ছেন যখন তাহলে আর কখনো করবো না। তবে আপনি যে সচেতনতার কথা আমাদের সমাজে প্রচার করার কথা বলছেন তা খুব একটা কাজে আসবে বলে আমার মনে হয় না।আপনাকে আগেও বলেছি যে গ্রামে অনাহার , অপুষ্টি, দারিদ্রতা মানুষের নিত্যসঙ্গী।সামান্য চিকিৎসার জন্যও বহু দূরে শহরের হসপিটালে যেতে হয়। আর সেখানে গেলেই যে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা মিলবে এমন নয়। এক হিসেবে বলা যায় বিনা চিকিৎসাই যেন আদিবাসীদের নিয়তি।খুব প্রয়োজনে মাঝে মাঝে দু-একজন অবশ্য শহরের হসপিটালে যায় ঠিকই কিন্তু সুস্থ হয়ে গ্রামে ফিরে আসাটাও একটা ভাগ্যের ব্যাপার।

রমেনদা আরো বলতে লাগলো,
-জানেন দাদা আদিবাসীরা জানে এক জীবনে ওদের পাহাড়প্রমাণ যন্ত্রণার কথা।আর শিক্ষার কথা নাইবা বললাম।এইসব বঞ্চনা অবিচার থেকে মুক্তি পেতেই বোধহয় বংশপরম্পরায় নিজেদের হাতে তৈরি হাঁড়িয়ার মধ্যে নিজেদেরকে ডুবিয়ে রেখেছে। আপনাকে তাহলে একটা গল্প বলি, কয়েক বছর আগে শহরের ডাক্তারবাবুরা স্বাস্থ্য-শিবির করতে গ্রামে এসেছিলেন।খুব আগ্রহ ভরে গ্রামবাসীরা স্বাস্থ্য পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল এবং ডাক্তার বাবুদের দেওয়া প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র সংগ্রহ করেছিল। ডাক্তারবাবুরা খুব খুশি, খুশি গ্রামবাসীরাও। কিন্তু দু'দিনব্যাপী শিবিরের দ্বিতীয় দিনে ডাক্তারবাবুরা সুস্বাস্থ্যের জন্য আলোচিত সভায় আদিবাসী সমাজের উদ্দেশ্যে হাঁড়িয়া পানের প্রসঙ্গ তোলেন এবং তাদের রোগ ব্যাধি, অপুষ্টির জন্য সরাসরি হাঁড়িয়াকে দায়ী করলে সংঘবদ্ধভাবে গ্রামবাসীরা তার প্রতিবাদ জানিয়েছিল। আসলে শহরের বাবুদের জানার কথা নয় যে হাঁড়িয়া আমাদের ঐতিহ্য। আমাদের বহু অনুষ্ঠানের সঙ্গে হাঁড়িয়া ওতপ্রোতভাবে জড়িত।কাজেই সেই হাঁড়িয়ার কথা বলাতেই গ্রামবাসীদের সম্মানে আঘাত লাগাটা খুবই স্বাভাবিক। কয়েকজন সরাসরি শহরের বাবুদের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছিল,
-বাবুরা আমরা হাঁড়িয়া ছেড়ে দিলে যে আপনাদের মত স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পানীয় জল সহ আধুনিক জীবন ধারণের উপকরণের দাবি করব। পারবেন বাবুরা আমাদের সব দাবি পূরণ করতে?পারবেন আমাদের ছেলেমেয়েদের আপনাদের সন্তানদের সঙ্গে একাসনে বসাতে বা সমানাধিকার দিতে? কিংবা কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার ব্যবস্থা করতে?সেদিন কিন্তু ডাক্তারবাবুরা আর কোনো প্রশ্নের জবাব দিতে পারেননি।

রমেনদার কথা শুনে আমার অন্তরাত্মা কেঁপে উঠল।আমার ধারণা ছিল নিতান্ত অশিক্ষিত আদিবাসী মানুষ গুলো সহজ সরল নিজেদের ভালো মন্দ বিচার করার ক্ষমতা না থাকার জন্য এভাবে মদ্যাসক্ত হয়ে নিজেদেরকে শেষ করে দিচ্ছে।কিন্তু তাদের সহনশীলতা তাদের অসহায় সচেতনতা ও সংযমশীলতার পরিচয় পেয়ে ওদের প্রতি অন্তরের শ্রদ্ধা শতগুন বেড়ে গেল।
রমেনদা আবারো বলতে লাগলো,
-দাদা আমরা অধিবাসীরা চূড়ান্ত ব্যর্থ একটি সম্প্রদায়।জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত একটি জিনিস আমাদের জীবনে প্রবলভাবে আছে; সেটা হলো না প্রাপ্তি। তবুও আদিবাসীরা গ্রাম ছাড়ার কথা ভাবতেও পারে না।অমি অবশ্য গ্রাম ছেড়েছি কিন্তু সারাক্ষণ মন পড়ে থাকে গ্রামে। আমার বন্ধুরা অনেকে আমাকে নিয়ে উপহাস করে। তারা আমার মায়ের মত চৌদ্দ পুরুষের ভিটা আগলে পড়ে আছে। তবে এখন দু-একজন অবশ্য আমার মতো বাইরে কাজে-কর্মে যাচ্ছে বলে শুনেছি।

মিলিদির রমেনদার প্রতি খোঁজ খবর নেওয়ার মধ্যে তার চোখে-মুখের অভিব্যক্তি আমাকে বেশ মুগ্ধ করেছিল।এমন একটি দিনের জন্য আমি যে অনেকদিন ধরে অপেক্ষায় ছিলাম।সেদিন সন্ধ্যাবেলায় মিলিদির আগমন ও খোঁজখবর নেওয়ার প্রসঙ্গটি আমি রমেনদার কাছে গোপন করেছিলাম।অবশ্য ওর মায়ের অবস্থার জন্য এক্ষণে এরকম খবর পরিবেশন করাটা সমীচীন নয় বিবেচনা করে। যদিও পরে বিষয়টি আমি প্রকাশ করে ফেলি। আমারও মনে হয়েছিল উভয়ের মানসিক অবস্থা বিবেচনা করে এটাই প্রসঙ্গ উত্থাপনের মোক্ষম সময়। বিপদের দিনে মানুষ যদি মানুষের পাশে না দাঁড়ায় তাহলে সে বন্ধু কিসের! সেইমতো একদিন মিলিদিকে ডেকে বিষয়টি সরাসরি উপস্থাপন করি।আমার কথাতে স্বভাবসুলভ নারী ভঙ্গিমায় কিছুটা লাজুক লাজুক চাহনিতে বিনুনিতে হাত ঘষতে ঘষতে কিশোরী সুলভ ভঙ্গিমায় ঘাড় ঘুরিয়ে মিলিদি অন্য দিকে তাকিয়েছিল।সেদিন অপরাহ্ণে আপাদমস্তক মিলিদির শরীরে যেন খুশির ছান্দিক নৃত্যম পর্যবেক্ষণ করলাম।বসন্তের প্রারম্ভে বৃক্ষরাজি যেমন ফুলে ফুলে নবরুপ ধারণ করে, তেমনি মিলিদির অন্তরঙ্গে খুশির ঝলক যেন তার বহিরঙ্গে বসন্তের আগমনী বার্তা রচনা করেছিল।

মরীচিকা (পর্ব-২৮)

মন্তব্য ৬৬ টি রেটিং +১৭/-০

মন্তব্য (৬৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১১:৫২

নীল আকাশ বলেছেন: প্রথম মন্তব্য করলাম আজকে।
পড়া শেষ। রমেনরা চিরকালই শোষিত শ্রেনী।
মিলিদির ভাবের বহিঃপ্রকাশ সুন্দর হয়েছে।
শুভ রাত্রী।

০৭ ই আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৮:০১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল প্রিয় নীল আকাশ ভাই,


প্রথম কমেন্টের জন্য আলাদা ভালোলাগা, অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে।
ঠিকই বলেছেন রমেনদারা চিরকালই শোষিত শ্রেণী। মিলিদির ভাবের বহিঃপ্রকাশ সুন্দর লাগাতে আনন্দ পেলাম; আবারো ধন্যবাদ জানাই।
পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম; কৃতজ্ঞতা জানবেন।

শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো।

২| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১২:২৩

মুক্তা নীল বলেছেন:
দাদা ,
হঠাৎ মরীচিকা দেখে বেশ আনন্দিত হলাম। আজকের পর্বটি পুরোটাই রমেন দা এবং উনাদের আদিবাসী জীবনধারা সম্পর্কে জানতে পারলাম। মিলিদি'র এতো খুশির কারণ কি ? আরেকটি কথা আজকের পর্বে রমেন দা সাথে শিক্ষকের হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক হোক এই ব্যাপারটি উঠে এসেছে খুব আন্তরিকভাবে । সব মিলে অনেক ভালোলাগা ও আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো ।শুভ রাত্রি।

০৭ ই আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৮:১১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় ছোট বোন,

সুন্দর মন্তব্যে পর্বটিকে যথার্থভাবেই তুলে ধরেছেন। পর্বটির মাধ্যমে আদিবাসীদের জীবন কথনের একটি খন্ডিত চিত্র তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। মিলিদির খুশির কারণটিই যে রমেনদা। যেটা নিয়েই পরের পর্বে আবার আসছি।
অনাত্মীয় কিছু লোকের সঙ্গে মাঝে মাঝে আত্মার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। রমেনদা তেমনই একজন মানুষ। চেনা জানার গণ্ডির বাইরেও অনাত্মীয় এই মানুষগুলি হৃদয়ের মনি কোঠায় স্থান করে নেয়। গল্প তারই কিঞ্চিৎ প্রতিফলনের চেষ্টা করা হয়েছে।
বোনের শুভাশিস গ্রহণ করলাম।
পোস্টটিকে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম। কৃতজ্ঞতা জানাই।

অফুরান শুভেচ্ছা রইল।

৩| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১২:৪৫

আরোগ্য বলেছেন: ৩য়।
পরে আসছি।

০৭ ই আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৮:১২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আমিও তোমার আগমনের অপেক্ষায় রইলাম.....

৪| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১:১২

সেতুর বন্ধন বলেছেন: আপনার আগের একটি পর্ব পড়েছিলাম। গল্পের শুরু দিয়ে শুরু না করলে গল্প পাঠ জমে ওঠে না। তবুও নতুন পর্ব দেখে পড়ার ইচ্ছা দমাতে পাড়লাম না।

০৭ ই আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৮:১৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল প্রিয় ভাইজান,

আমার কোন পোস্টে আপনার প্রথম কমেন্ট; সু-স্বাগতম আপনাকে।
একেবারে শতভাগ সহমত আপনার সঙ্গে যে একটা গল্পের শুরু থেকে না ধরলে মাঝখানে/কোন স্থানে গিয়ে আর লিংক পাওয়া যায় না। এতদসত্ত্বেও আপনি স্রেফ নতুন পোস্ট দেখে যে এসেছেন এতে আমি অত্যন্ত খুশি হয়েছি। যদি কখনো তেমন সময় পান তাহলে পুরানো পর্ব গুলো একটু চোখ বুলিয়ে যাওয়ার অনুরোধ রইল।

শুভেচ্ছা নিয়েন।

৫| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ২:০৭

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: মরীচিকা প্রথম দু'তিনটি পর্ব পড়েছিলাম। তারপর মাসখানেক ব্লগে না থাকায় পড়া হয়নি।
মাঝখান থেকে পড়ে মজা পাওয়া যায়না। পড়ার ইচ্ছে আছে, সময় করে পড়বো।

যাইহোক, এগিয়ে চলুক.... মরীচিকা।

০৭ ই আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৮:২১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল প্রিয় জুনায়েদ ভাই,


হ্যাঁ আপনাকে একেবারে শুরুতে কয়েকটি পর্বে পেয়েছিলাম। মাঝখানের দীর্ঘদিন আপনার কমেন্ট থেকে আমি বঞ্চিত হয়েছি। আজ যে কারণে আপনার প্রত্যাগমনে অত্যন্ত খুশি হয়েছি। সময় পেলে মাঝের পর্বগুলি পড়বেন সেই আশায় রইলাম।
ধন্যবাদ আপনাকে।

শুভেচ্ছা নিয়েন।

৬| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ২:৩৬

আনমোনা বলেছেন: রমেনদার গ্রামে গিয়েছিলেন? মিলিকে কি বললেন ঠিক বুঝলামনা।

০৭ ই আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১২:৪৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: পাঠ ও মন্তব্যে ধন্যবাদ আপনাকে। কথোপকথনের মাঝখান থেকে পর্বাকারে ভেঙে দেওয়াতে হয়তো বুঝতে অসুবিধা হয়েছে। সাথে সাথে গ্রামে যাওয়ার প্রসঙ্গে আশা করি পরের পর্বে আপনার প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন।
পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম; কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভেচ্ছা নিয়েন।

৭| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৭:১০

বলেছেন: হাফ পড়ে........ লাইক ও উপস্থিতি জানিয়ে গেলাম কিন্তু --

০৭ ই আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১২:৪৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপনার সম্পূর্ণ পড়া ও মন্তব্যের অপেক্ষায় রইলাম।

ভালো থাকুন সব সময়।

৮| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৮:১৫

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: বেশকিছু পর্ব মিস করেছি তবুও ভালোই লাগলো, রমেন দার আদিবাসী জীবন যাত্রা সম্পর্কে জানা হল। পোস্টে লাইক।

০৭ ই আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১২:৪৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: অনেকদিন পর আপনাকে পেয়ে খুব খুশি হয়েছে। হ্যাঁ মাঝে অনেকগুলো পর্বে আপনাকে মিস করেছি। রমেনদার আদিবাসী জীবন সম্পর্কে জেনেছেন জেনে আনন্দ পেলাম; ধন্যবাদ জানবেন।
পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম; কৃতজ্ঞতা জানাই।


শুভেচ্ছা নিয়েন।

৯| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৯ সকাল ১০:১১

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: পড়তে ভালো লাগছে । পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম : ধন্যবাদ ভাইয়া

০৭ ই আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১২:৪৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: পড়তে ভালো লেগেছে ও পরের পর্বের অপেক্ষায় আছেন জেনে প্রীত হলাম আপু।
পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম; কৃতজ্ঞতা জানবেন।

শুভকামনা জানবেন।

১০| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৯ সকাল ১০:১৩

ঢাবিয়ান বলেছেন: রমেন ও মিলিদির সহজ সরল অনুভুতির বহিঃপ্রকাশ ভাল লাগলো।

০৭ ই আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১২:৫০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: খুব সুন্দর মন্তব্য করেছেন প্রিয় ঢাবিয়ান ভাই। ধন্যবাদ আপনাকে।।

অফুরান শুভেচ্ছা জানবেন।

১১| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১:৫৭

করুণাধারা বলেছেন: পড়লাম। ভালো লাগলো।

০৭ ই আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৫:০৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপনার পাঠ ও মন্তব্যে ধন্যবাদ জানবেন। ভালো লাগাতে আনন্দ পেলাম।
পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম; কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভেচ্ছা নিয়েন আপু।

১২| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ২:৪১

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: আহা! রমেনদা তোমার জন্য দুঃখ
সুখের খোঁজে অন্য পৃথিবীতে
তবুও শান্তি কি ভাই আছে ?

০৭ ই আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৫:০৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন:

" আহা! রমেন দা তোমার
জন্য দুঃখ
সুখের খোঁজে অন্য পৃথিবীতে
তবুও শান্তি কি ভাই আছে?"
আপনার এমন আবেগময় মন্তব্যে মুগ্ধ হলাম। ধন্যবাদ প্রিয় মাইদুল ভাই।
শুভকামনা জানবেন।

১৩| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৫:০৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



গুরুজি,
রমেনদার চরিত্রটি কল্পনায় আঁকতে গিয়ে নিজেকেই আবিষ্কার করলাম। আসলে আমরা সবাই 'মানুষ;' এটাই আসল পরিচয়। মা অসুস্থ হলে পৃথিবীর সব বর্ণ, জাতি, ধর্মের মানুষের মানসিক অবস্থা এমনই হয়। আর সংকোচ! শহরের একটু উপর তলার সাহেবদের গ্রামের খড়ের তৈরী ঘর, নেশায় কাতর প্রতিবেশীদের দেখাত বড্ড ভয় হয়। এটা হীনমন্যতা কিনা জানি না, তবে সমাজের মানুষে মানুষে তারতম্য আর দৃষ্টিতে ফারাকের প্রভাব এগুলো।

আপনি লিখুন; পরের পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম।

০৭ ই আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৫:১৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় গুরুদেব,


আপনার সুন্দর মন্তব্য প্রীত হলাম। আপনার কথার সাথে একমত হয়ে বলি ঠিকই তো আমাদের প্রত্যেকের মধ্যে একটা মানবিক সত্তা আছে। বিশেষ সময় বা পরিস্থিতিতে সেটি বিকশিত হয়। তাই প্রবাসী সন্তানও দূর থেকে অসুস্থ বাবা মায়ের জন্য কিছু করতে না পারার যন্ত্রণায় ক্লিষ্ট হলে তারমধ্যে একদিকে অসহায়তা, অপরদিকে মানবিক সত্তা ফুটে ওঠে।
মন্তব্যের দ্বিতীয়াংশে, শহরের ওপর তলার সাহেবদের গ্রামের ছিন্নমূল প্রতিবেশীদের দেখাতে ভয় হওয়াটা খুবই স্বাভাবিক।এক্ষেত্রে আপনার কথা সূত্র ধরেই বলি হীনমন্যতা আমাদেরকে অপরাধপ্রবণ করে। এক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত ব্যাক্তির এক ধরনের ড্রগমা বা সামাজিক সম্মান হানির আশঙ্কা নির্দেশিকা শক্তি হিসেবে কাজ করে।
পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম; কৃতজ্ঞতা জানবেন।

নিরন্তর শুভকামনা আপনাকে।



১৪| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৫:১২

নজসু বলেছেন:




আশা করি ভালো আছেন?

০৭ ই আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৫:২৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হ্যাঁ নজসু ভাই উপরওয়ালা কৃপায় খুব ভালো আছি। আশা করি আপনিও কুশলে আছেন।
পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম ; কৃতজ্ঞতা জানবেন।
নিরন্তর শুভকামনা আপনাকে।

১৫| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৫:৫০

মাহের ইসলাম বলেছেন: রমেনদা'র কথা বার্তা কিন্তু খুব আন্তরিক ছিল।
জোর করেই না হয় বেড়াতে যেতেন ?

আমি কিন্তু মিলিদি'র পরিবর্তে অন্য কারো অপেক্ষায় আছি।
আশা করি বেশি অপেক্ষা করতে হবে না?

শুভ কামনা রইল।

০৭ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১১:৩৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হ্যাঁ মায়ের ভাই আপনি যথার্থই বলেছেন যে রমেনদার কথাবার্তার মধ্যে আন্তরিকতা ছিল।
বাস্তবে আমরা চলার পথে কখনো কখনো এমন কিছু মানুষকে পাই, আত্মীয় মানুষগুলি যখন আমাদের পরম আত্মীয়ে পরিণত হয়, রমেনদা তাদেরই একজন।
আর বেড়ানোর প্রসঙ্গ নিয়ে হা হা হা হা,পরবর্তী পর্বে দেখুন না তেমন কিছু পান কিনা।
আপনার অপেক্ষার প্রহর রীতিমত যুক্তিযুক্ত। না আর বেশি দেরি করবো না। তবে উনি যখন সামনে আসবেন তখন সিরিজটি শেষ হয়ে আসবে বলে আগাম জানিয়ে রাখলাম। আপনাকে একই সাথে বাকি পর্বগুলোতে আগাম আমন্ত্রণ জানিয়ে রাখলাম।
আপনার শুভকামনা গ্রহণ করলাম। আপনার জন্যও রইল অফুরান শুভেচ্ছা ।

১৬| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:১৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক দিন পর এসেই আপনার নতুন পর্ব পেয়ে গেলাম :)

হুম এই পর্বে সামাজিক অসঙ্গতির গভীরে ডুবিয়ে দিলেন হাড়িয়ায় চুবিয়ে ;)
সামাজিক এই বৈষম্য যেন নিয়তি হয়ে দাড়িয়েছে জ্ঞানপাপী, লোভি আর হিংসুক কিছু মানুষের কারণে!
যুগে যুগে নবী বা অবতারের এসেছেন এসব অসংগতি দূর করতেই। সমসাময়িক সমস্যার সাথে সাথে
মৌলিক মানবাধিকারের এই শুন্যতা পূরণে নানা ধর্মে নানা বিধান এসেছে, আদেশ এসেছে।
কিন্তু আমরা যেই কে সেই। কর্তা যেতে না যেতেই আবার স্বভাব ধর্মে ফিরে যাই। ধর্মকেও আচার বানিয়ে বসে
মনে মনে মনকলা খাই!

দেখা যাক কই নিয়ে যান।
আপনার মরিচকার ট্রেনে আমরা যাত্রী :)

০৭ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১১:৪৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শ্রদ্ধেয় কবি ভাই,

সমাজের নানা স্তরেই অসঙ্গতি বিদ্যমান। আমরা যারা অনুভূতিশীল তারা নীরব দর্শক, হৃদয়ে যন্ত্রণায় ভুগি কিন্তু কিছু করার থাকে না। সমাজের এই অসুখগুলো দূরীকরণে--একক প্রচেষ্টায় কার্যত অসম্ভব। চাই সমাজের যৌথ প্রচেষ্টা আন্তরিকতা। সমাজের বিভিন্ন হিংসা আমাদেরকে এক হিসেবে পঙ্গু করে রেখেছে। জানিনা এর হাত থেকে কোনদিন নিষ্কৃতি মিলবে কিনা।
মন্তব্যের শেষাংশে সহমত আপনার সঙ্গে যে যুগে যুগে নবী বা অবতার এসেছেন এই অসংগতি দূরীকরণে। এসেছে ধর্মের বিধান। যা মানবের মানবিক সত্তাকে জাগ্রত করে তোলে। কিন্তু কুটিল মন তাতেও বাঁধা মানে না। তাকে মনকলা দেখিয়ে আত্ম সুখে মগ্ন থাকে।
মরীচিকার ট্রেনে এমন একজন বিদগ্ধ যাত্রীকে পেয়ে আমি মুগ্ধ এবং কৃতজ্ঞ যে যিনি ট্রেনকে যথাযথ পথনির্দেশ করতে সহায়তা করছেন। এমন সহচর্য আগামীতেও পেতে চাই।

অফুরান শুভেচ্ছা আপনাকে।

১৭| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:৪৭

রাজীব নুর বলেছেন: এই পর্ব টি খুব মন দিয়ে পড়লাম মন্তব্য গুলো সহ।
রমেরদার কথা জানতে মিলি দি এসেছেন। বিষয়টা বেশ ভালো লেগেছে।
মিলি দি এবং রমেনদাকে চা নাস্তা কিছু খাওয়ালেন না??
রমেনদার আদীবাসীদের প্রতি ভালোবাসা দেখে আমি মুগ্ধ!

০৭ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১১:৫৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রথমেই ধন্যবাদ জানাই ভাইকে, পর্বটি মন দিয়ে পড়ার জন্য। রমেনদা ও মিলিদির কেমিস্ট ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। আরে! চা-যোগ করবে আর কোথায়? ওটা তো আর বক্তার বাড়ি নয়; হস্টেল মানে তো অন্য হিসাব হসপিটালও বটে। হাহা হা...
আদিবাসী সম্প্রদায়ের প্রতি ভালোবাসা ভাইকে খুশি করেছে জেনে আমিও প্রীত হলাম। ধন্যবাদ ভাইকে।
শুভকামনা রইল।

১৮| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:৫২

অন্তরা রহমান বলেছেন: খেই হারিয়ে ফেলেছি। আগের পর্ব কয়েকটা রিভাইজ দিয়ে আসতে হবে।

০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১২:১২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সম্ভবত আপু এটাই আমার কোন পোষ্টে আপনার প্রথম কমেন্ট। সু স্বাগতম আপনাকে। যেহেতু আগের পর্বগুলো পড়েন নি কাজেই লিংক না পাওয়ারই কথা। যদি সময় পান তাহলে পুরনো কিছু পর্ব পড়ার অনুরোধ করবো।
শুভেচ্ছা নিয়েন আপু।

১৯| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১২:০৫

রাকু হাসান বলেছেন:

হাঁড়িয়া সংস্কৃতি নিয়ে আরও জানতে চাই ভাইয়া । খুব ব্যস্ত নাকি ইদানীং ;)

০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১২:২০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় ছোট্ট ভাই,

একটু ব্যস্ত বৈকি। গত পোস্টে তোমার বস্তুনিষ্ঠ কমেন্টটি এত ভাল হয়েছে যে দু-দুবার উত্তর লিখতে বসেও উঠে যেতে বাধ্য হয়েছি।একবার মনে হল লিখে দেই যে সামরিক প্রতিমন্তব্য সময় নিয়ে আবার আসছি। কিন্তু পরক্ষণেই মনে হলো না, দেরি যখন হয়েছে তাহলে পূর্ণাঙ্গ প্রতিমন্তব্য আকারেই উত্তর দেব। প্লিজ তুমি আমাকে একটু ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবে।
তোমার শারীরিক কুশল কামনা করি। আশা করি বাড়ির সকলে ভালো আছেন।

শুভকামনা অফুরান।

২০| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১২:৪০

রাকু হাসান বলেছেন:


এমন কিছু একটা হয়েছে মনে অনুমান করেছিলাম । এই কষ্টটা খুব বেশি । একবার সুন্দর করে মন্তব্য লেখার পর যদি কোনো কারণে মুছে যায় তাহলে খারাপ লাগে । হুম বাড়ির সবাই ভালো আছেন । এখানে ক্ষমা চাওয়ার কিছু নেই ভাইয়া । :)
ব্যস্ত তো আমিও থাকি । তোমাদের উত্তর দিতে দেরি করে ফেলি । তাহলে আমি ক্ষমা প্রার্থী । এগুলো ব্যাপার না মানিয়েই চলতে হবে ।
কাওসার ভাই,বিদ্রোহী ভৃগু ভাই সুন্দর মন্তব্য রেখে গেছেন গল্প নিয়ে । আমি একটু অন্য কথা বলি ।
নিচের হাইলাইটকৃত লেখাটি আমার খুব ভালো লেগেছে । এমন ঢঙ্গে লেখা আামার সবচেয়ে ভালো লাগে ।

এমন কিছু একটা হয়েছে মনে অনুমান করেছিলাম । এই কষ্টটা খুব বেশি । একবার সুন্দর করে মন্তব্য লেখার পর যদি কোনো কারণে মুছে যায় তাহলে খারাপ লাগে । হুম বাড়ির সবাই ভালো আছেন । এখানে ক্ষমা চাওয়ার কিছু নেই ভাইয়া । :)
ব্যস্ত তো আমিও থাকি । তোমাদের উত্তর দিতে দেরি করে ফেলি । তাহলে আমি ক্ষমা প্রার্থী । এগুলো ব্যাপার না মানিয়েই চলতে হবে ।
কাওসার ভাই,বিদ্রোহী ভৃগু ভাই সুন্দর মন্তব্য রেখে গেছেন গল্প নিয়ে । আমি একটু অন্য কথা বলি ।
নিচের হাইলাইটকৃত লেখাটি আমার খুব ভালো লেগেছে । এমন ঢঙ্গে লেখা আামার সবচেয়ে ভালো লাগে ।


এই সিরিজে মাঝে মাঝে পেয়েছি এমন । আজকে বেশি পেলাম ।খুশি ।
কয়েকদিনপর ব্লগে লগইন করে একটি বিষয় ভালো লাগছে । আলোচিত পাতায় শক্তিমান ব্লগারদের পোস্ট । কাওসার ভাই গঠন মন্তব্য রেখেছেন চাঁদগাজী স্যারের পোস্টে ,তিনিও সুন্দর উত্তর দিয়েছেন । রাজীব ভাইয়ার দুটি কমেন্ট দেখে ভালো লাগছে । বুঝা যাচ্ছে খুব মনোযোগ দিয়ে পড়েছেন ।
ভালো থাকবে । আনন্দে থাকবে । শুভরাত্রি আজকের মতো ।

০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৭:৫১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল প্রিয় রাকু,

প্রথমেই শুনে খুশি হলাম যে তুমি বিষয়টি অত সিরিয়াস ভাবে নাউনি। ধন্যবাদ তোমাকে। সহমত তোমার সঙ্গে যে কাওসার ভাই, বিদ্রোহী ভৃগু ভাই প্রত্যেকেই খুব সুন্দর মন্তব্য রেখেছেন। ওনাদের মন্তব্যের কাছে আমার প্রতিমন্তব্য নেহাত তুচ্ছ। শুধু আমার পোস্ট বলে কথা নই, অন্যদের পোস্টেও উনাদের এমন বিচক্ষণ মন্তব্য পোস্টের জৌলুস নিঃসন্দেহে বৃদ্ধি করে।

উপরে হাইলাইটসকৃত অংশটির দেওয়ার জন্য তোমাকে অশেষ ধন্যবাদ।নৃত্য শব্দটি যে টাইপো হয়ে আছে সেটা তোমার হাইলাইটস কৃত অংশ থেকে বুঝতে পারলাম। টাইপোটি আমি ঠিক করে দিয়েছি। সময় নিয়ে আরো একবার দেখব কোথাও টাইপো আছে কিনা। তোমার চোখেও যদি পড়ে তাহলে অবশ্যই জানাবে।

মন্তব্য শেষ অংশে বেশ লজ্জা পেলাম। কি যে বলো!!! টুকটাক লেখালেখি করি। তোমরা পড়ে খুশি হও তাতে আনন্দ পাই। তাই বলে এমন অমৃত ভাষণ পোস্টে পাবে- এটা বোধ হয় একটু বেশি বাড়াবাড়ি হয়ে গেল। এনিওয়ে তোমার ভালো লেগেছে এতেই আমি খুশি। আবারো ধন্যবাদ তোমাকে।

আর তোমার উল্লেখিত পোস্টে কাওসার ভাইয়ের মন্তব্যটি দেখিনি। গত কয়েকদিনে একটু বেশি ব্যস্ত ছিলাম। ব্লগে তেমন সময় দিতে পারছি না। @রাজীব নূর ভাইয়ের কমেন্ট খুব ভালো হয়েছে। খুব আন্তরিক মন্তব্য।
সবশেষে পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম। কৃতজ্ঞতা জানাই।

অফুরান শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানবে।


২১| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:১১

আনমোনা বলেছেন: পদাতিক ভাইয়া, একটি অনুরোধ। আপনি যদি প্রতি পর্বের শুরুতে আগের পর্বের একটা ছোট্ট সামারী দিয়ে দেন, তাহলে পড়তে যেয়ে খেই হারাতে হবেনা।

০৯ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:২৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রথমেই বিলম্বিত উত্তর প্রদানের জন্য ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। গত কয়েকদিনে ব্যস্ততাটা এতটাই বেড়ে গেছে যে ব্লগে সময় দেওয়াটা একেবারেই সম্ভব হচ্ছে না। যা সামান্য সময় একটু পেয়েছি দু একটি পোস্টের বেশি কমেন্ট করতে পারেনি।
পোস্ট প্রসঙ্গে আপনার সুন্দর সাজেশনের কথা মনে রাখব। পরবর্তী পোস্টে অবশ্যই এরকম সারাংশ যাওয়ার চেষ্টা করব। সুন্দর সাজেশনের জন্য ধন্যবাদ আপু আপনাকে।

শুভকামনা জানবেন।

২২| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:১৩

আরোগ্য বলেছেন: ভাইটি,
তুমি তো জানো কিছুদিন যাবৎ আমার ভীষণ ব্যস্ততা যাচ্ছে তার উপর আবার সামনেই কোরবানি ঈদ তাই কাজের চাপ একটু বেশি । গতরাতেই মরীচিকা শেষ করেছি কিন্তু ঘুমের নেশায় আর মন্তব্য করতে পারিনি ।

আশা করি মিলিদি আর রমেনদার শুভ সূচনা হবে এবং সুখালগ্নে সময় কাটবে।
মন্তব্য দীর্ঘ করলাম না। পরে কথা হবে।

পরের পর্বের জন্য শুভ কামনা করছি।

০৯ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:৪২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় ছোট্ট আরোগ্য,

প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি বিলম্বিত উত্তর প্রদানের জন্য। তুমি তো জানো শেষ মুহূর্তে প্লান জমা দেওয়া ও পৌরসভা কৃত এন ও সি সংগ্রহের নিমিত্তে হাঁটা হাঁটি করার জন্য প্রচন্ড ব্যস্ত ছিলাম। এই মাসের লাস্ট উইকে প্ল্যানটা হাতে পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। সে ক্ষেত্রে যে সেপ্টেম্বর শুরু থেকে আরও ব্যস্ততা শুরু হবে সে কথা বলা বাহুল্য।
তোমার ব্যস্ততা আগে তো ছিলই, কুরবানির পরে তা ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করবে বলে আমার বিশ্বাস। সঙ্গে ফ্যামিলির এত বড় বার্ডেন সব মিলিয়ে খুব কঠিন সময় আসতে চলেছে। তোমার উপর দোয়া রইল যাতে সবকিছু ঠিকঠাক সামলাতে পারো। যে কারণে আলাদা ভাবে তোমার শরীরের যত্ন নেওয়ার কথা বলতে পারলাম না। তার মধ্য দিয়েও চাইবো যতটা সম্ভব হাসিখুশি থাকতে। সকলকে নিয়ে মিলেমিশে সুখে থাকো ও দারুণভাবে ঈদ সেলিব্রেট করো।

পোস্ট প্রসঙ্গে তোমার মন্তব্য ভালো লেগেছে। পরবর্তী পর্বে মিলিদি ও রমেনদার সূচনাপর্ব কেমন হয় সে বিষয়ে নজর রাখার জন্য অনুরোধ রাখলাম।
তোমার শুভ কামনা গ্রহণ করলাম। তোমার জন্যও রইল অনেক শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা।


২৩| ১১ ই আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৭:২৬

বলেছেন: দুইবার পড়লাম,
কারণ আপনার, কাওসার চৌধুরী, নীল আকাশ আপনাদের লেখা দেখে শিখি প্রতিনিয়ত।

আখেনেটানের মতো বলিনি,আপনার লেখায় গ্রামীণ সোঁদা গন্ধ পাওয়া যায়। একজন প্রমিতিউজ।। উজ্জ্বল নক্ষত্র।।

শ্রেণীভেদ সেই বৃটিশ আমল থেকেই শুরু হয়েছে, আজও আছে আর ভবিষ্যতে থাকবে নরেনদাদের ভাগ্য সুপ্রসন্ন হবে না।


ঈদের শুভেচ্ছা রইলো।।।


১১ ই আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৮:৩১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপনার আবার আগমনে আনন্দ পেলাম। ধন্যবাদ আপনাকে। কাওসার ভাই একজন এলিট ব্লগার। নীল আকাশ ভাইও খুব ভালো লেখেন।সহমত আপনার সঙ্গে যে আমরা প্রতিনিয়ত ওনাদের লেখা থেকে শিখতে পারি।
পাশাপাশি আখেনাটেন ভাই একদম স্টার ব্লগার। উনি হয়তো ওনার মতো ব্যাখ্যা করেছেন। আমি লেখায় সোঁদা গন্ধ আনার চেষ্টা করি বলে উনি যে উল্লেখ করেছেন তার জন্য ওনাকে ধন্যবাদ। তবে আমি জানি আমার সীমাবদ্ধতা। অমন সোঁদা গন্ধের ধারে কাছে পর্যন্ত এখনো অব্দি পৌঁছাতে পারিনি। আখেনাটেন ভাইকে ধন্যবাদ আমার মত একজন শিক্ষানবিশকে উৎসাহিত করার জন্য অমন সুন্দর বাক্যে অনুপ্রাণিত করার জন্য।
রমেনদা সম্পর্কে আপনার পর্যবেক্ষনে ধন্যবাদ।
আপনার ঈদের শুভেচ্ছা গ্রহন করলাম।
আপনার জন্যও রইল পবিত্র ঈদুল আযহার অফুরান শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা।

২৪| ১১ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:৫৪

ইসিয়াক বলেছেন:

১২ ই আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৯:২২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে।

আপনার উদ্দেশ্যও রইল পবিত্র ঈদুল আযহার প্রীতি শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা।

২৫| ১২ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২০

মুক্তা নীল বলেছেন:
দাদা ,
ঈদ মোবারক। আমার দাদা কি আমাকে ভুলে
গেলো? কোন খোঁজ খবর নাই কেন ? কাছের
মানুষের ওপর দাবি টা অন্য রকম থাকে তো,
তাই আর কি বললাম। কিছু মনে করেন না।

১৩ ই আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ২:২৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় ছোট বোন,

গত দুই-তিন দিন একটু বেশি ব্যস্ত থাকাতে ব্লগে আর তেমন সময় দিতে পারেনি। যদিও এর মধ্যে গুটি কয়েক পোস্ট পড়ে মন্তব্য রেখে গেছি। আলাদা ভাবে যে কারণে কাউকে ঈদ মোবারক জানাতে পারিনি। কাজেই বোনের অভিমান সংগত। তবে ভাই-বোনের সম্পর্ক অমলিন, শাশ্বত। কোন প্রতিবন্ধকতা মাঝে প্রাচীর হতে পারে না। ভাইয়ের কাছে বোন চিরকালই আদরণীয়।
পবিত্র ঈদুল আযহার প্রীতি ও শুভেচ্ছা রইলো প্রিয় ছোট্ট বোন ও বোনের পরিবারবর্গের প্রতি।

২৬| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:৫৭

ইসিয়াক বলেছেন: পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: যাক অবশেষে তৃতীয়বারের বার ভাইয়ের বাঘ দর্শন হলো এতে আমরা আনন্দ পেলাম।
তবে প্রসঙ্গ একটি কবিতা মনে পড়ছে,


কর্মখালি
-দেবব্রত দত্ত

পাড়ার মদন পাশ করেছে ইতিহাসে এম এ,
চাকরি পাওয়ার চেষ্টা করে যায় না তবু থেমে।
মদন পেল গোপন খবর আলিপুরের জু-তে,
বনমানুষের চাকরি আছে, জানতে গেল ছুটে।
বনমানুষের মুখোশ পরে থাকতে হবে খাঁচায়,
মাইনে পাবে সাতশো টাকা, খাবার পাবে যা-চায়।
বেকার মদন অনিচ্ছাতেও চাকরির খানা নিলো,
দর্শকরাও বেজায় খুশি, দারুন মজা পেলো।
একদিন তো লম্ফ দিয়ে পড়লো পাশের খাঁচায়,
পাশেই ছিল নেকড়ে বাঘ, কেই বা তাকে বাঁচায়!
হালুম করে বাঘবাবাজি যেই তুলেছে থাবা,
বনমানুষ চ্যাঁচায় বিষম, মরে গেলুম বাবা!
দাঁতটা তখন বলল কানে, উঠছো কেন ঘেমে?
আমিও ভাই তোমার মতন, ইতিহাসে এম এ।


অনেক ভালো লেগেছে। পড়া ছিলোনা ।
রাজীব নূর ভাইয়ের পোষ্ট থেকে ।
ধন্যবাদ

১৪ ই আগস্ট, ২০১৯ সকাল ১০:৪৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল প্রিয় ইসিয়াক ভাই,

হা হা হা হা... আপনি আবার এটি তুলে ধরলেন!
অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে।
তবে ওখানে একটু টাইপো হয়ে আছে।
এক্কেবারে শেষের দ্বিতীয় লাইনের শুরুতে হবে,
"বাঘটা তখন বলল কানে, উঠছো কেন ঘেমে?
আপনার পড়া ছিল না, পড়েছেন জেনে আনন্দ পেলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।

শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা রইলো।

২৭| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:০২

আরোগ্য বলেছেন: ঈদের বাসি শুভেচ্ছা । তোমার উপরের মন্তব্য পড়ে আমি তো ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। কিছুটা অসুস্থ ছিলাম মনে হয় দীর্ঘ কিছুদিনের একটানা পরিশ্রমের জন্য প্রেশার লো হয়ে গিয়েছিল তবে মনে হয় এবার কাজের চাপ কম ছিলো। প্রায় সব গুছনো শেষ। পরে আবার কথা হবে।

১৪ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:৩৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হাহাহাহা কখনো কখনো বাসি খাবারেরই টেস্ট বাড়ে বৈকি। তোমাকে ও বাড়ির সকলকে রইল আমার পক্ষ থেকে ঈদের প্রীতি ও শুভেচ্ছা।
প্রতিমন্তব্য পড়ে এত এত ভয় পাওয়ার কি আছে? কেন আমি কি উপরে তেমন কিছু প্রতি মন্তব্য করেছি? পুরানো পোস্ট, মন্তব্যগুলি আবার পড়তে হবে।
তোমার শারীরিক অবস্থার কথা জেনে আশ্বস্ত হলাম। ঠিক আছে পরে আবার কথা হবে।

২৮| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৯:০৫

বলেছেন: বোনের সম্পর্ক অমলিন, শাশ্বত।
কোন প্রতিবন্ধকতা মাঝে প্রাচীর হতে পারে না।
ভাইয়ের কাছে বোন চিরকালই আদরণীয়। -

----এমন ভাই সবার জীবনে জড়িয়ে থাকুক.........

১৬ ই আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ২:২২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হা হা হা হা হা.......
যথার্থই বলেছেন প্রিয় কবি ভাই। ভাই-বোনের সম্পর্ক শাশ্বত, চির অমলিন। চিরকালই আদরণীয়। কোন প্রতিবন্ধকতাই মাঝে দেওয়াল হয়ে উঠতে পারে না। মঙ্গলময় হোক সবার জীবন।

শুভকামনা জানবেন।

২৯| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:৫০

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: অনেকদিন পর পড়লাম। ধারাবাহিকতা হারিয়ে ফেলেছি। আগের ১০-১২ টা পর্ব বাকি আছে।

১৬ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:৩৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: অনেকদিন পর আপনার আগমনে আনন্দ পেলাম দাদা। হ্যাঁ ঠিকই আপনি অনেকগুলো পর্ব ইতিমধ্যে মিস করেছেন, ঠিক যেভাবে আপনাকে আমিও মিস করেছি। আশা করি এখন থেকে নিয়মিত হবেন। সম্ভব হলে বাকি পর্বগুলো পড়ার অনুরোধ রইল।
পোষ্টে চতুর্দশ লাইকের জন্য অনুপ্রেরনা পেলাম; কৃতজ্ঞতা জানবেন।

শুভেচ্ছা নিয়েন দাদা।

৩০| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৪:১১

নীলপরি বলেছেন: অনেকদিন বাদে এসে আপনার লেখা নতুন পর্বটা পড়লাম । খুবই ভালো লিখেছেন ।
++++++
শুভকামনা

১৭ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:০১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হ্যাঁ আপু বহুদিন পর আপনাকে দেখে ভীষণ খুশি হয়েছি। আসলে আপনাদের উপস্থিতি ভিন্ন পোস্টগুলি যেন পরিপূর্ণতা পায় না। যে কারণে আপনাদের আগমন এতটা কমনীয়।
গল্প ভালো লেগেছে,পোস্টে লাইক এবং সঙ্গে এতগুলো প্লাসে দারুন অনুপ্রেরণা পেলাম; কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাকে।

আপনার শুভকামনা গ্রহণ করলাম। আপনার জন্যও রইল নিরন্তর শুভেচ্ছা।

৩১| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:২৬

মা.হাসান বলেছেন: ভৃগু ভাই বড় কঠিন মন্তব্য করেছেন। বাস্তব অনেক রূঢ়। এসি রুমে বসে চৌমিন-কোকাকোলা খেয়ে হাড়িয়া পান কারিদের অসভ্য বলা যায়, কিন্তু ওরা হাড়িয়া কেন পান করে তার খবর আমরা রাখি না বা হাড়িয়া ছেড়ে দিলে আমরা তাদের সমস্যার সমাধান করে দেব না।

মিলিদির লাজুক ভঙ্গি শরৎ বাবুর কথা মনে করিয়ে দিলো, নারী সকল বয়সেই নারী। যে সমাধান আপনি ইঙ্গিত করছেন তা বড় সুন্দর, সহজ, স্বাভাবিক কিন্তু প্রথা বিরোধী। আগেও বলেছিলাম, আবারো বলি, এই সমাধান ভারতীয় সমাজ কি মেনে নেবে?

বরাবরের মতো মুগ্ধতা।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৩৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় মা.হাসান ভাই,

অবশেষে আপনার মন্তব্য পেয়ে আনন্দিত হলাম। সহমত আপনার সঙ্গে যে ভৃগু ভাই ঠিকই বলেছেন। এসি রুমে বসে বাস্তবকে কখনোই বোঝা যায় না। যারা বঞ্চিত, যারা নিঃস্ব বাস্তবে কবিগুরুর কথায় তারা রবে নিষ্ফলে হতাশার দলে। কাজেই হাড়িয়া কোন ঘটনা নয়। দরিদ্র অসহায় মানুষগুলোর ইহ জীবনে কোন পরিবর্তন হওয়ার নয়।
মিলিদি সংক্রান্ত আপনার অবজারভেশনে মুগ্ধ হলাম। খুব শিগগিরই পরবর্তী পরবর্তী আনছি। আশা করি আপনার জিজ্ঞাসা পরবর্তী পোস্টে কিছুটা হলেও পেয়ে যাবেন।
বরাবরের মতোই পোস্টে লাইক ও সুন্দর মন্তব্য করে অনুপ্রেরণা দেওয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা জানাই ।


অফুরান শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানবেন।


৩২| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:২১

নীল আকাশ বলেছেন: ভুলে গিয়েছিলাম এই পর্বের কাহিনী। নতুনটা পড়ার আগে তাই এটা আবার পড়ে নিলাম।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৫৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় নীল আকাশ ভাই,

আপনার আগমনে আনন্দ পেলাম। অনেকদিন পরে পোস্ট দিয়েছি। কাজেই লিংক না পাওয়াটাই স্বাভাবিক। আপনি যে লিংক পেতে পুরানো পোস্ট পড়তে এলেন এটা আমার কাছে পরম সৌভাগ্যের। ধন্যবাদ আপনাকে।

শুভকামনা জানবেন।

৩৩| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৩১

খায়রুল আহসান বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন, + +।
মিলিদি'র শেষের দিকের অভিব্যক্তিগুলো লেখায় চমৎকার ফুটিয়েছেন।
আদিবাসীদের অনিঃশেষ বঞ্চনার কথা যতই শুনি, ততই একজন সুবিধাভোগী শ্রেণীভুক্ত হিসেবে নিজেকে অপরাধী মনে হয়।
বিদ্রোহী ভৃগু এবং মা.হাসান এর মন্তব্যদুটো ভাল লেগেছে। +

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: রেসপেক্টেড স্যার,

আপনার কমেন্ট মানে আনুষ্ঠানিকভাবে আমার পোস্টে কমেন্টিং এর সমাপ্তি ঘোষণা স্বরূপ। উল্লেখ্য আপনার কমেন্টের পর আজ পর্যন্ত অপর কোন ব্লগারের কমেন্ট না পাওয়াতে এই ধরনের উদ্রেক।
পোস্টটিকে চমৎকৃত মনে হওয়াতে ও সঙ্গে ডাবল প্লাসে এবং পোস্টটিতে লাইক করাতে দারুন অনুপ্রেরণা পেলাম। কৃতজ্ঞতা স্যার আপনাকে।
সহমত স্যার আপনার সঙ্গে।‌আমরা যে পরিবেশে গড়ে উঠেছি আর্থিক বৈষম্য থাকলেও শিক্ষাদিক্ষা করে সমাজের মেইনস্ট্রিমে প্রবেশের বিবিধ সুযোগ আছে। কিন্তু স্বাধীনতার এত বছর পরেও জনজাতি সেই তিমিরেই পড়ে আছে। মুষ্টিমেয় কিছু সংখ্যক সরকারি সুযোগ সুবিধা পেলেও মোট জনসংখ্যার তুলনায় সেই সংখ্যা অতি নগণ্য।
বিদ্রোহী ভৃগু ভাই ও মা.হাসান ভাই বরাবরই বিভিন্ন পোস্টে সুন্দর কমেন্টের মাধ্যমে নিজেদের বিচক্ষণতা তুলে ধরেন। এই পোস্টেও তার ব্যতিক্রম নন। মন্তব্যের মূল্যমান বিচার করা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয় কাজ। ধন্যবাদ স্যার আপনাকে।

শ্রদ্ধাবনত শুভেচ্ছা জানবেন।




আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.