নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি আমার নিরক্ষর কিন্তু বুদ্ধিমতী মায়ের কাছ থেকে এই শিক্ষাই পেয়েছিলাম,যথাযথ কর্তব্য পালন করেই উপযুক্ত অধিকার আদায় করা সম্ভব। - মহাত্মা গান্ধী

পদাতিক চৌধুরি

হাই,আমি পদাতিক চৌধুরী।পথেঘাটে ঘুরে বেড়াই।আগডুম বাগডুম লিখি। এমনই আগডুম বাগডুমের পরিচয় পেতে হলে আমার ব্লগে আপনাদেরকে স্বাগত।

পদাতিক চৌধুরি › বিস্তারিত পোস্টঃ

মরীচিকা ( পর্ব - ২৮ )

২৪ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৩:১৫

আমি একজন স্বীকৃত তেলের ডিলার। পাশাপাশি একজন গুপ্তচরও বটে।আমার পরিচয় নিয়ে যাদের এলার্জি আছে তাদেরকে এই ব্লগে কমেন্ট না করার জন্য অগ্রিম ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জানিয়ে রাখলাম। উল্লেখ্য যে মৌলিকত্বের অন্বেষণকারীরা ভুল করেও এই ব্লগে ঢুঁ মারবেন না। নিরাশ হবেন।এটা ছাইপাশ লেখার ব্লগ।

মরীচিকা (পর্ব-২৯)





চিঠিটা খুলে আমার স্বপ্নভঙ্গ হলো। এতক্ষণে যাকে ঘিরে মনের মধ্যে নানা দোলাচল তৈরি হয়েছিল মুহূর্তে সব উধাও হয়ে গেল। জীবনের প্রথম প্রেমপত্র যে এরকম অতিসংক্ষিপ্ত হবে তা কল্পনাও করতে পারিনি। চিঠিতে লেখা ছিল কেবল একটি শব্দ'স্যরি'। চিঠিটি হাতে পেয়ে এক রকম অনুভূতি হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে চিঠিটি উন্মুক্ত করার পর আমার মনে আবার হাজার প্রশ্ন দেখা দিল। আগে তো জানতাম শেলী ভুবনেশ্বরে বিশেষ প্রশিক্ষণ নিতে গেছে। তাহলে কেনই বা মাঝপথে এভাবে চলে এলো? আর এলোই যদি তাহলে আমিই বা কি করলাম, যেখানে আটঘাট বেঁধে এমন চিঠি লিখতে হলো? অথচ ছোট্ট একটি শব্দের মধ্যে রহস্য উন্মোচন তো হলোই না উল্টে তা শতগুণ বাড়িয়ে দিল। মনে প্রশ্ন জাগলো, তবে কি আমার সঙ্গে সম্পর্ক করে ও নিজেকে মাপতে চেয়েছিল? আর সেই মাপজোকের হিসাব-নিকাশে সন্তুষ্ট হয়ে নিজেকে সাবধানে সরিয়ে নিয়েছে। অথবা আমি যেমন ভাবছি তেমন কিছু নয়, হয়তো বা স্থায়ী চাকরি পেয়ে অন্য কোথাও চলে গেছে- এমন হাজারো প্রশ্নের উত্তর নিরন্তর খুঁজতে লাগলাম।নাহ! আমার ভাবনা কেবলই সারা হয়। সমাধান সূত্র অধরাই থেকে যায়। তবে জীবনের প্রথম ব্রেকআপ যে ঘটেছে সে বিষয়ে একপ্রকার নিশ্চিত হলাম। কারণ যা-ই থাকুক আমার দিক থেকে যে ব্রেকআপ হয়নি এটাই ছিল আমার বড় সান্ত্বনা।


শেলীর অন্তর্ধানের পর মানসিক দিক থেকে যথেষ্ট ভেঙে পড়লেও প্রত্যহিক জীবনে নিজেকে যতটা সম্ভব স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করলাম। দুশ্চিন্তা একটা ছিল। রমেনদা কিম্বা মিলিদির চোখকে কতটা ফাঁকি দিতে পারবো-সেটা নিয়ে আমায় যথেষ্ট সংশয় ছিল। আমার দিক থেকে মনে হয়েছিল আমি ওদের দুজনকে ফাঁকি দিয়ে নিজের মানসিক অবস্থাকে গোপন করতে পেরেছি। এ সময় যতটা বেশি সম্ভব স্কুলের কাজে নিমগ্ন রাখার চেষ্টা করেছি। কিন্তু কোন কিছুতেই মনের অস্থিরতা যেন কাটাতে পারছিলাম না। সকালে ঘুম থেকে ওঠা থেকে শুরু করে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগ পর্যন্ত মনের সঙ্গে প্রতিনিয়ত লড়াই করে গেছি। মন না চাইলেও পুরানো স্মৃতি গুলো সব যেন চোখের সামনে ভেসে উঠতো। তাই অবসর সময়ে চোখের সামনে রাখা মাসিক পত্রিকা প্রতিযোগিতা পরিপ্রেক্ষিত বা প্রতিযোগিতা উত্তরণের পাতাগুলো একটার পর একটা উল্টে পাল্টে গেলেও কি যে লেখা আছে তা ছাইপাঁশ কিছুই যেন মনোজগতে ঢুকতো না। মন চলে যেত দূরে কোন অচিনপুরীর দেশে।বেহিসাবি মনে লাগাম পরাতে না পারার যন্ত্রনা আমাকে আরো বেশি অস্থির করে তুলতো।

ক্রমশ আমার না পাওয়ার যন্ত্রনা একটু একটু করে ফিকে হতে থাকে। আমি আমার মত করে ফিরে পাওয়ার চেষ্টা করি আমার দৈনিন্দিন অবসরের সময় গুলোকে।যার একটা বৃহৎ অংশ এখন কম্পিটিশন সাকসেস বা কম্পিটিশন মাস্টার্সের মত ইংরেজি পত্রিকা গুলোও দখল করেছে। সাপ্তাহিক কর্মসংস্থানের পাশাপাশি এমপ্লয়মেন্ট নিউজেও এখন থেকে নিয়মিত চোখ বোলাতে লাগলাম। প্রায়ই রবিবারগুলি কোথাও না কোথাও চাকরির পরীক্ষার্থী হিসেবে অংশ নিতাম।সারা সপ্তাহে স্কুল আর স্কুল এবং রবিবারে চাকরির পরীক্ষা- এসব নিয়েই আমার ব্যস্ততা যা আমাকে যথেষ্ট পরিতৃপ্তি দিয়েছিল। মনে মনে বেশ জেদি হয়ে উঠলাম।কোন এক অদৃশ্য কারণে শেলী যদি নিজের মতো করে চলতে পারে,অতীতে কোনো কিছু যদি তার কাছে প্রাধান্য না পায়, তাহলে আমাকেও বা তাকে নিয়ে এতটা ভাবতে হবে কেন, নিজের মনকে নিজেই যেন প্রবোধ দিতে লাগলাম।

বেশ কয়েক মাস এভাবে চাকরি উপযোগী পড়াশোনার পর একটা ধারণা তৈরি হয়েছিল যে পড়াশোনাটা যদি এমনি চালিয়ে যেতে পারি তাহলে জীবনে বিকল্প কিছু করা অবশ্যই সম্ভব। এমনই এক রবিবার পরীক্ষা দিয়ে ফিরে হাতে-মুখে জল দিয়ে সবে নিজের ঘরে বসে একটা পত্রিকার পাতা উল্টাচ্ছি, এমন সময় বাইরে ঠক ঠক শব্দে মাথা উঁচু করে তাকিয়ে দেখি রমেনদা দাঁড়িয়ে।
-আরে! রমেনদা যে। দাঁড়িয়ে কেন? ভিতরে এসো।
-মাস্টারদা আপনার সঙ্গে একটু ব্যক্তিগত কথা ছিল।
-বেশতো! কি কথা?নির্দ্বিধায় বলতে পারো।
-দাদা কয়েকদিন ধরে ভাবছিলাম। আপনাকে বলব বলব করেও ঠিক সময় করে উঠতে পারছিলাম না। এখন যদিও আপনি প্রচন্ড ব্যস্ত। কোন রবিবারে তো আর আপনাকে আর আগের মতো হোস্টেলে থাকতে দেখিনা।আবার ছেলেদের কাছ থেকে খবরও পেয়েছি যে আপনি সারাক্ষণ ঘরে পড়াশোনা করেন। আজ সকালে আপনি চলে যেতেই ঠিক করলাম যতো রাত হোক আজ আপনি ফিরলে আপনার সঙ্গে বিষয়টা নিয়ে আলোচনা করব।
-হ্যাঁ তা তো বুঝলাম। এখন তোমার আলোচনার বিষয়টি কি, দ্রুত বলে ফেল দেখি। আমার ভীষণ জানতে ইচ্ছে করছে।
-দাদা আপনি তো জানেন দেশে আমার দুটো বাচ্চা আছে। মা ওদের দেখাশোনা করে। আমি প্রায়ই দেশে গিয়ে ওদের জন্য জিনিসপত্র কিনে দিয়ে আসি। সংসার চালানোর প্রয়োজনীয় হাত খরচাও দিয়ে আসি।কিন্তু সাম্প্রতিককালে মা বার্ধক্য জনিত কারণে এক্কেবারে শয্যাশায়ী হয়ে গেছে। আমার বড় ছেলেটাই মায়ের এই অসময়ে দেখাশোনা করছে। সারাক্ষণ একটি আতঙ্কে থাকি এই বুঝি মায়ের কোন খারাপ খবর এলো বলে।
-মাসিমার এই সমস্যাটা কতদিন ধরে চলছে?
-আগে থেকেও সমস্যা ছিল। তবে দুর্বল শরীরে মা খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে সংসারটা টেনে নিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু গত এক সপ্তাহ থেকেই একেবারে শয্যাশায়ী হয়ে পড়েছে। ছেলেটার উপরে প্রচণ্ড চাপ যাচ্ছে। বাড়ির যাবতীয় কাজ কারবার, রান্নাবান্না সহ মায়ের দেখা শোনা সব একহাতে ওকে করতে হচ্ছে। যে কাজটি করার কথা আমার, অথচ আমার অনুপস্থিতিতে ওকে বাধ্য হয়ে করতে হচ্ছে।
-তোমার পারিবারিক অবস্থার কথা শুনে সত্যিই খুব খারাপ লাগছে।
রমেনদা আবার বলতে লাগল,
-মাঝে মাঝে ভাবি স্কুলের কাজটি ছেড়ে দিয়ে আবার গ্রামে ফিরে যায়।
-না না তুমি আবার গ্রামে ফিরে যাবার কথা ভাবছো কেন? বরং তোমার পরিবারকে নিয়ে কি করে এখানে একসঙ্গে থাকা যায়, তেমন কিছু তোমাকে ভাবতে বলবো। তোমার মনের অবস্থা বুঝতে পারছি। এসময়টা তোমার এখন মায়ের পাশে থাকাটা খুব জরুরি।সেটা না করতে পারার যন্ত্রণা তোমাকে অস্থির করে তুলেছে। তবে সভাপতি মহাশয়কে বিষয়টি অবগত করে কিছুদিন ছুটি নিতে পারো কিনা একবার দেখতে পারো। বাড়িতে তোমার এই সঙ্গ দিতে না পারাটা সমস্যাটিকে বৃহত্তর করে তুলেছে বলে আমার ধারণা।
- হ্যাঁ দাদা আপনি এক দিক দিয়ে হয়তো ঠিকই বলছেন তবে ছুটি প্রসঙ্গে বলি, সভাপতি মহাশয়কে ইতিমধ্যে জানিয়েছি। কিন্তু উনি এক-দু দিনের বেশি ছুটি দিতে রাজি হলেন না।
- ও উনি রাজি হলেন না! তাহলে তো বেশ সমস্যায় ফেলে দিলে দেখছি।
রমেনদা চলে যাচ্ছিল। ইতিমধ্যে বেশ কিছুটা দূরে চলেও গেছে। হঠাৎ একটি কথা মনে আসাতে ডাকতে পিছন ফিরে দাঁড়ালো।
-আচ্ছা রমেনদা! সেবার তো বলেছিলে স্বামী-শশুরের ভিটে ছেড়ে আসতে তোমার মা রাজি হচ্ছেন না।এবার যেহেতু উনি খুবই অসুস্থ, কাজেই চিকিৎসার জন্যেও তো ওনাকে এখানে নিয়ে আসাটা খুবই জরুরি। আমার মনে হয় একটু বুঝিয়ে বললে এবার আর উনি না করবেন না।
-ঠিক আছে দাদা, আপনি বলছেন যখন তখন আর একবার না হয় মাকে বলে চেষ্টা করে দেখব ।
-দেখো রমেনদা জন্ম-মৃত্যুকে আমরা কেউ অস্বীকার করতে পারি না।সে কথা মাথায় রেখেই বলবো মাসিমা আবার সুস্থ হন। আবার আগের মতো হাঁটাচলা করে বেড়ান এবং আরো দীর্ঘ জীবন লাভ করুন, কামনা করি। হ্যাঁ যেটা বলার, তোমার দুইছেলে সহ মাসিমাকে যদি এখানে আনতে পারো তাহলে সমস্যাটি সমাধান হবে বলে আমার মনে হয়।
-মা সুস্থ থাকাকালীন রাজি হয়নি। আর ওনার অসুস্থতার সুযোগে গ্রাম ছাড়তে বাধ্য করাটা ঠিক হবে কিনা সেটা নিয়ে খুব চিন্তায় আছি দাদা।
-ঠিক আছে তুমি তাহলে এসো। দেখি তোমার জন্য তেমন কিছু সমাধান সূত্র বার করতে পারি কিনা।
-ধন্যবাদ দাদা।

রমেনদা চলে যেতেই বিষয়টি নিয়ে আমি আবার ভাবনায় বসলাম। অনাত্মীয় এই মানুষটি ছিল হোস্টেলে আমার অন্যতম আপনজন।সুতরাং মানুষটির চলমান সংকট থেকে কিভাবে উদ্ধার করা যায় সেই চিন্তায় ডুবে থাকলাম। অথচ মাসিমাকে স্বামী-শ্বশুরের ভিটে থেকে যে উৎখাত করা যাবে না সে চিন্তাও মাথার মধ্যে মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছিল। দেখতে দেখতে দুই-তিন দিন অতিক্রান্ত হল। প্রত্যেক বেলায় খাওয়ার সময় রমেনদার সঙ্গে দেখা হয়। শুকনো মুখে যন্ত্রের মত একটা নিষ্প্রাণ হাসি বিনিময় করে সামান্য খোঁজখবর নিয়ে কোনোক্রমে ডাইনিং রুম ছেড়ে চলে আসি। মায়ের খোঁজ খবর প্রসঙ্গে একটিই কথা,
-না দাদা অবস্থার কোন উন্নতি হয়নি। যেমন ছিল তেমনই আছে।

সে সময় টেলি-যোগাযোগ এতটা উন্নত হয়নি। বিদ্যালয়ে একটি ল্যান্ডলাইন ছিল। রমেনদার সঙ্গে কথা বলে জেনেছিলাম ওদের গ্রামের একটি মুদির দোকানেও একটি ল্যান্ডলাইন ছিল। দুই প্রান্তের দুটি ল্যান্ডলাইন ছিল ওদের খবরাখবর আদান-প্রদানের প্রধান মাধ্যম। পাঠকদের জ্ঞাতার্থে জানিয়ে রাখি বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত এস টি ডি, আই এস ডি বা লোকাল ফোন বুথের অনুমতি পাওয়া তখন যেমন ঝঞ্ঝাটের ছিল তেমনি কলরেটও ছিল বেশ চড়া। সে তুলনায় ডোমেস্টিক ফোনের কানেকশন পাওয়া বেশ সহজ ছিল। আর এ কারণেই গ্রামের ডোমেস্টিক ফোন অনেকে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করত। রমেনদার গ্রামের মুদির দোকানের ফোনটি ছিল এমন একটি আধা বাণিজ্যিক ফোন। জরুরী ফোন করা ও প্রয়োজনীয় খবরা-খবর সরবরাহ করার জন্য প্রত্যেক বার গ্রামে গিয়ে তাকে ভালো একটি অ্যামাউন্ট পরিশোধ করতে হত।

ঘটনার পরে আরো বেশ কিছুদিন কেটে গেছে। কোন সমাধান সূত্র মাথায় আসছে না। সেদিন সন্ধ্যাবেলায় টিফিন করতে গিয়ে রমেনদাকে দেখে নিজেকে খুব অপরাধী মনে হলো। কেবলি বলে মনে হচ্ছে আমি হয়তো ওর সমস্যাটার প্রতি আন্তরিক নই বলে বিষয়টি নিয়ে তেমন উচ্চবাচ্য করছি না। ওর করুণ চাহনি আমাকে যেন আরও বেশি বিব্রত করে তুলেছিল। কাজেই তেমন কিছু ভাবনা চিন্তা না করে মাঝপথে বলে ফেলি,
-যদি সময় পাও তাহলে আর রাতের দিকে একবার আমার ঘরে আসতে পারবে?
-ঠিক আছে দাদা। খাওয়া-দাওয়া শেষ হলে আপনার সঙ্গে গিয়ে দেখা করে আসবো।

রমেনদাকে আসার কথা বললেও তখনো ভেবে উঠতে পারিনি যে ঠিক কি কথা বলব।এদিকে ওর আগমনের সম্ভাব্য সময় যত এগিয়ে আসছে ততই নিজের অস্থিরতা বাড়ছে।নিজে নিজেকে শান্ত করার চেষ্টা করছি। তবে আশায় আছি যে একটা সন্তোষজনক সমাধান সূত্র নিশ্চয়ই বার হবে।মাথার উপরে দেয়াল ঘড়ির টিকটিক শব্দ যে নিজের হৃদপিন্ডের প্রতিধ্বনি বলে মনে হচ্ছে। একবার মনে হচ্ছে এতটা তাড়াহুড়ো করে আসতে বলাটা বোধহয় ঠিক হয়নি। আরো একটু সময় নেওয়া দরকার ছিল। আপন মনে যখন এসব ভেবে চলেছি, ঠিক তখনই বাইরে দরজায় আবার ঠক ঠক শব্দে মুখ-গলা শুকিয়ে গেল।পাংশু মুখে এক পা দু পা করে এগিয়ে গেলাম দরজা খুলতে।

মরীচিকা (পর্ব-২৭)

মন্তব্য ৭৪ টি রেটিং +১৭/-০

মন্তব্য (৭৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৩:২৫

মা.হাসান বলেছেন: না পড়ে লাইক দিলে কি ব্যান খাবার সম্ভাবনা আছে? B-))

২৪ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৪:২১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় মা.হাসান ভাই,

ব্লগিং মিথস্ক্রিয়ায় আপনাদের সঙ্গে যে আত্মিক যোগ গড়ে উঠেছে তার অন্যতম প্রধান আকর্ষণ হলো প্রিয়জনদের( আমি সবাইকে প্রিয় বলেই সম্বোধন করি) পোষ্টে যত দ্রুত সম্ভব মন্তব্য করা ও কিছুটা পড়ে যদি হৃদয় বিদারক ঘটনা না ঘটে থাকে তাহলে প্রয়োজনে লাইক প্রদান করা। একটি লাইক আমাদের মত একজন নব্য ব্লগারের কাছে কতটা আকর্ষণীয়, কতটা অনুপ্রেরণার হয় তা প্রিয়জনদের কাছ থেকে পাওয়ার পরেই বুঝতে পারি। ঠিক তেমনি অন্যকেও অনুপ্রাণিত করার জন্য অন্যের পোস্টে লাইক প্রদান আমার কাছে ততটাই আকর্ষণীয়,ততটাই গুরুত্বপূর্ণ। সামু যেহেতু কমেন্ট বক্সে এবং পোস্টে গুণগত মান বিবেচনা করে এই সুন্দর ব্যবস্থাটি রেখেছে আমি তার সুফল ষোল আনাই উপভোগ করার পক্ষে। সব মানুষের বিবেচনাবোধ সমান নয়। যারা উচ্চমার্গ দর্শনে বিশ্বাসী তারা তাদের মতো করে বিষয়টি নিয়ে ভাবতেই পারেন। তাদের কাজকর্ম নিয়ে আমার কোন মাথা ব্যাথা নেই। কিন্তু আমার মত ক্ষুদ্র ব্লগারের লাইক প্রদান যখন তাদের যন্ত্রণার কারণ হয় সেটাও আমার আমার ভাবনার বিষয় নয় বলেই আমার মত।

আর না পড়ে লাইক প্রদানের অপরাধে যদি কাউকে ব্যান করতেই হয় তাহলে মাননীয় ব্লগ কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিয়ে ভাবতে পারেন। তবে আপনার গত পোস্টে ত্রয়োদশ লাইক প্রদানটি কিন্তু অন্য কথা বলে। এ ব্যাপারে মাথা ঘামানোটা আমার এক্তিয়ার বহির্ভূত বলে মনে করি। সে চিন্তাটি কর্তৃপক্ষের। কাজেই আমি সমস্ত দায় থেকে মুক্ত। হাহাহাহাহা..



২| ২৪ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৩:২৯

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: চা চলুক আগে

২৪ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৪:২৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ অপরাহ্ণ আপু,

চা করে খাওয়ার ব্যাপারে আমি একটু অলস বৈকি। তবে আপনার চা যোগে একটু লজ্জা পেলাম।
কোথায় আপনাদেরই চা আপ্যায়নের কথা, আর আপনিই কিনা উল্টে আমাকে চায়ের আয়োজন করলেন। যাক আয়োজন যখন করেছেন খেয়ে তো নিলাম। আহ! কি টেস্টি চা!! এক্কেবারে মকাইবাড়ি বলেই মনে হলো। হাহাহাহাহা.... অশেষ ধন্যবাদ আপু আপনাকে।

অফুরান শুভেচ্ছা জানবেন।

৩| ২৪ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৩

মা.হাসান বলেছেন: এর মধ্যে ব্যান না খেয়ে ফেললে আনুমানিক সোয়া ঘন্টা পর এসে পুরো মন্তব্য করবো।

২৪ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৪:৩৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় মা.হাসান ভাই,

হ্যাঁ স্যার আপনি সোহা ঘন্টা কেন, আপনি ধীরেসুস্থে আসুন। আমিও ততক্ষণে বাড়িতে পৌঁছে গিয়ে আবার আলোচনায় বসবো। ব্যান খাওয়ার ব্যাপারটা কাভা ভাইয়ের এক্তিয়ার ভুক্ত। ওসব নিয়ে ভাববেন না হাহাহাহাহা.....

শুভকামনা ও ভালোবাসা জানবেন।

৪| ২৪ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৭

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: এই পর্বও ভালো লাগলো।

পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম । শেলীর সাথে জানি কবে দেখা হবে তার

২৪ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৪:৩৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় আপু,

আপনার পাঠ ও মন্তব্যে প্রীত হলাম; ধন্যবাদ আপনাকে। পর্বটি ভাল লাগায় ও পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় আসেন জেনে আনন্দ পেলাম। শেলীর সাথে নিশ্চয়ই একদিন দেখা হবে। আশা করব ততদিন সঙ্গে থাকবেন।
পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম; কৃতজ্ঞতা জানবেন।

নিরন্তর শুভকামনা আপনাকে।

৫| ২৪ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৪:১২

নতুন নকিব বলেছেন:



তেলের ডিলার আপনি? এই ব্লগে আপনার মত সদালাপী মানুষ খুব কমই পেয়েছি। প্রথম দিন থেকেই আপনি বিনয়ী। বিনয়কে কেউ তেল আখ্যায়িত করলে ক্ষতি নেই। দু:খ নিবেন না। এড়িয়ে যান। এগিয়ে যান।

২৪ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় নাকিব ভাই,

হ্যাঁ ভাই আমার লুক্কায়িত পরিচয় অনেকেই জেনে গেছেন। যে কারণে প্রথমেই বিষয়টি উল্লেখ করলাম। আশা করি নতুন করে কাউকে আমাকে আর কৈফিয়ত দিতে হবে না।
আপনার সুন্দর সাজেশনে মুগ্ধ হলাম। ধন্যবাদ দিয়ে আপনাকে খাটো করবো না।

পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম; কৃতজ্ঞতা জানবেন।

অফুরান শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা রইলো।

৬| ২৪ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৫:১০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আহারে প্রেম!
দিয়া জ্বলার আগেই নিভে গেল!!

অমন করে ঘা করে বলতে নেই লেখক সাব! বুেকর ভেতর পুরােনা কষ্টরা মোচর দিয়ে ওঠে ;) হা হা হা

আহারে! একটা না! একটা বেলি ফুলের মালা হাতে দিতে পেরেই যে স্বর্গ সূখ
এখন আস্ত রমনী রমনেও তা আর কই :P

সূখ কি তবে কেবলই নতুনতায়?
অজানা অচেনায় আবিস্কারের নেশায়!
নিষেধাজ্ঞার বেড়া টপকানোতে!
না জানা কে জানার মাঝেই???

নাটকে গতি আবার মুচরানি খাচ্ছে ;) চলুন দেখি সামনের বাঁকে কি অপেক্ষায়?

অনেক অনেক শুভ কামনা দাদা :)

২৪ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১০:৩৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শ্রদ্ধেয় কবি ভাই,

আপনার মন্তব্যের প্রতিমন্তব্য কেমন হওয়া উচিত তা ভেবে আমি রীতিমত অস্থির। হা হা হা ....
"প্রেম জ্বলার আগেই নিভে গেল"এক হিসেবে সত্য বৈকি।
আহারে! একটা না! একটা বেলি ফুলের মালা হাতে দিতে পেরেই যে স্বর্গ সুখ
এখন আস্ত রমণী রমনাও তা কই।" ভুল একটা হয়ে গেছে। বেলি ফুলের মালার কথা তখন মাথায় আসেনি। এবারের মত ক্ষমা করে দেন। আর কক্ষনো ভুল হবে না। হাহাহাহাহা
"সুখ কি তবে কেবলই নতুনতায়?
অজানা অচেনায় আবিষ্কারের নেশায়!
নিষেধাজ্ঞার বেড়া টপকাতে!
না জানা কে জানার মাঝেই???

"নাটকে গতি আবার মুচরানি খাচ্ছে। চলুন দেখি সামনের বাঁকে কি অপেক্ষায়? "একেবারে যথার্থই বলেছেন। পরবর্তী বাঁকে আপনার সংশয় দূর হতে হবে। প্লিজ সঙ্গে থাকবেন।
পোস্টে লাইক দেওয়াতে প্রেরণা পেলাম; কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাকে।

বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভকামনা জানবেন।

৭| ২৪ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৫:১৯

রাজীব নুর বলেছেন: খুব সুন্দর লেখা। ঝরঝরে। পড়ে আরাম পাওয়া যায়।

২৪ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১১:৪৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় ছোট ভাই,

লেখা সুন্দর, ঝরঝরে এবং পড়ে আরাম অনুভূত হওয়াতে আনন্দ পেলাম। ধন্যবাদ ছোট ভাইকে।

শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো।

৮| ২৪ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৫:২৭

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: পদাতিক ভাইয়া আপনার করা আমার পোস্টে মন্তব্য
দু:খিত পোস্টটি নতুন করে দিতে হলো আবার। আশাকরছি আবার আপনার মন্তব্য।

২৪ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১১:৫২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় আপু,

আমি ইতিমধ্যে গিয়ে আপনার নতুন পোস্টে মন্তব্য করে এসেছি। খুব সুন্দর হয়েছে পোস্টটি।

কমেন্টে এসে বিষয়টি জানানোর জন্য ধন্যবাদ জানবেন।

শুভেচ্ছা নিয়েন।

৯| ২৪ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৫:৪২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমি একজন স্বীকৃত তেলের ডিলার। পাশাপাশি একজন গুপ্তচরও বটে।আমার পরিচয় নিয়ে যাদের এলার্জি আছে তাদেরকে এই ব্লগে কমেন্ট না করার জন্য অগ্রিম ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জানিয়ে রাখলাম। উল্লেখ্য যে মৌলিকত্বের অন্বেষণকারীরা ভুল করেও এই ব্লগে ঢুঁ মারবেন না। নিরাশ হবেন।এটা ছাইপাশ লেখার ব্লগ।

চমৎকার স্বীকারোক্তি =p~ =p~ :P

মাঝখান থেকে একটু পড়ে কিছু বলার কোন মানে নাই। তবে, আপনার এই অভিনব স্বীকারোক্তির জন্য লাইক। ;)

২৪ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১১:৫৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় মফিজ ভাই,

স্বীকারোক্তিটি অভিনব মনে হওয়াতে আনন্দ পেলাম। কাজেই আজ আমার কপালটা ভালো। পোস্টে লাইক না পেলেও স্বীকারোক্তির গুনে আপনার মূল্যবান লাইকটি পেয়ে গেছি। হা হা হা হা হা।

শুভকামনা ও ভালোবাসা জানবেন।


১০| ২৪ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৫:৫০

ডার্ক ম্যান বলেছেন: আমি আবার তিতা জিনিসের ডিলার।

২৪ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১১:৫৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় ডার্ক ম্যান ভাই,

আশা করি বিদেশ-বিভুঁইয়ে আপনার জব স্যাটিসফ্যাকশনটি এতদিনে মিটেছে। আপনি তিতা ডিলার আর আমি তেলের ডিলার। আসুন দুই ভাই মিলে ব্লগে একটা ব্যবসা খুলি হা হা হা হা হা

শুভকামনা জানবেন।

১১| ২৪ শে জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি "কমেন্ট না করার জন্য বলাতে", কমেন্ট করছি; আপনার লেখার উপর নয়, ব্লগিং'এর কমনসেন্সের উপর: ব্লগিং কারো 'অধিকার নয়', ইংরেজীতে ইহাকে বলা হয়, প্রিভিলিজ', এবং ব্লগিং পাবলিক ডোমেইনের অংশ; এখানে আপনি ব্লগার হয়ে, অন্য ব্লগারকে লিখতে, কিংবা কমেন্ট করতে "না" করতে পারবেন না; অনেকদিন ব্লগে আছেন, মাথাটাকে কাজে লাগান।

২৫ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১২:০০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শ্রদ্ধেয় মান্যবরেষু,

ইউ আর গ্রেট। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

শুভেচ্ছা নিয়েন।

১২| ২৪ শে জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৭

মা.হাসান বলেছেন: পাবামনা মন্ত্রের সাথে আমার প্রথম পরিচয় বছর কুড়ি আগে, একটি গানের মাধ্যমে ( https://www.youtube.com/watch?v=DOtoIBrBAYE )। এটি কয়েকদিন আগে এক কমেন্টে উল্লেখ করেছিলেন, আজ পোস্টেও অ্যাড করে দিলেন। অসত্য থেকে সত্যতে, অন্ধকার থেকে আলোতে আসার জন্য জগদ্বিশ্বর আমাদের শক্তি দিন। খ্রীস্ট ধর্মে বিশ্বাসীরা এর কাছাকাছি করে বলে -forgive us our trespasses, as we forgive those who trespass against us; and lead us not into temptation, but deliver us from evil (Mathew- 6:9-13), আমরা মুসলমানরা প্রতিদিনই বলি اهْدِنَا الصِّرَاطَ الْمُسْتَقِيمَ এবং إِيَّاكَ نَعْبُدُ وَإِيَّاكَ نَسْتَعِينُ । তবে প্রার্থনা মুখ থেকে অন্তরে নিয়ে যাওয়া কঠিন, এখনো পারি নি।

প্রেমের চিঠি হবে নীল বা গোলাপি খামে (যদিও নীল শব্দটায় অনেকের অ্যালার্জি), ভিতরে গোলাপের পাপড়ি বা আতরের সুগন্ধ। এতো প্রেমের চিঠি না, একটি বুলেট, 'বাণের ঘায়ে প্রাণ নাহি রয়'। আজকালকার ছেলে মেয়েদের অনেকেই অবশ্য এরকম সমস্যা এড়ানোর জন্য এক সঙ্গে একাধিক প্রেমে বিশ্বাসী।

আগের পোস্টে সুমনের যে গানের কথা বলেছিলাম, আবার স্মরণ করিয়ে দিতে চাই- প্রথম প্রেম ঘুচে যাবার যন্ত্রনাকে নিয়ে, কান্না চেপে ঘুরেছিলাম তোমারি পথ দিয়ে।
৯০ এর দশক পর্যন্ত ফোন এর সমস্যা বাংলাদেশেও ছিল, সম্ভবত ভারতের চেয়ে বেশিই ছিল। ৯০এর দশকে মোবাইল ফোন আসলেও খরচ অনেক ছিল। ২০০৬ এর পর মোবাইল কল রেট কমতে থাকার পর জীবন অনেক বদলে গেছে।

রমেন সাহেবের সমস্যার সমাধান আছে, তবে সমাজের কাছে তার গ্রহনযোগ্যতা কম।

জ্বলতে জ্বলতে যাদের থার্ড ডিগ্রি বার্ন হয়ে গেছে তাদের যন্ত্রণা উপশম হওয়া দরকার। পোস্ট পড়ার পরই লাইক করেছিলাম, কাজে ব্যস্ত ছিলাম তাই মন্তব্য করার সুযোগ হয় নি। ওম শান্তি।

শেষের সাসপেন্সের বিষয়ে আর কিছু বললাম না। অনেক শুভকামনা।

২৫ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১২:২৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় মা. হাসান ভাই,

প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে আবার মন্তব্যে আসাতে আপনাকে অজস্র ধন্যবাদ। আপনার লিংকটির জন্য আবারো ধন্যবাদ জানাই। আমি আশ্চর্য হলাম যে আপনার কুড়ি বছর আগে পাবামনা মন্ত্রের সাথে পরিচয় ঘটেছে জেনে। ঠিকই ধরেছেন যে কয়েকদিন আগে একটি মন্তব্যে আমি বিষয়টি উল্লেখ করেছিলাম। আপনি অত্যন্ত সুন্দর ভাবে খ্রিস্ট এবং ইসলামের দৃষ্টিতেও বিষয়টির উপস্থাপন করেছেন। সহমত আপনার সঙ্গে যে আমরা মুখে যাই বলি অন্তরে সেখানে পৌঁছানো সত্যিই কঠিন।
প্রেমের চিঠি হবে নীল বা গোলাপি খামে। যদিও এখানে নীল শব্দের প্রতি অনেকের এলার্জি আছে। সে দিক দিয়ে গোলাপিই উত্তম। ভিতরে গোলাপের পাপড়ি বা আতরের সুগন্ধ। ঠিকই তো! এতো প্রেমের চিঠি নয়, যেন একটি বুলেট।" বাণের ঘায়ের প্রাণ নাহি রয়।"সহমত আপনার সঙ্গে। আর প্রেমটা হয়ে গেছে বহু মুখি। আজকালকার ছেলেমেয়েরা আধুনিক। তাদের দোষ দেওয়া যায় না। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তারাও নিজেদেরকে খাপ খাইয়ে নিয়েছে। কাজেই তারা বহুত্ববাদে বিশ্বাসে। আমরা এখনো সেকেলে হয়ে আছি। খামোকা তাদের দোষ খুঁজতে ব্যস্ত ব্যস্ত হই।

আগের পোস্টে সুমনের গানটি শুনেছি। আমি অবাক হয়ে যাই এত ব্যস্ততার মধ্যেও আপনি এত সময় কোথায় পান তা ভেবে। নব্বইয়ের দশকে ফোনের কথা আমিও ভাবতে পারিনি। 2002 সালেও পকেটে চশমার খাপকে আমার পরিচিত বন্ধু স্থানীয় অনেকে ফোন ভেবে স্পেশাল গুরুত্ব দিত। আমি আবার তাদেরকে বিষয়টি দেখিয়ে মনের ভ্রান্তির অবসান ঘটাতাম। তবে কয়েক বছরের মধ্যেই পরিস্থিতি আমূল বদলে যায়।

রমেনদার ব্যাপারটি আগামী পোস্টে দেখি কোনো সুরাহা দিতে পারে কিনা। প্লিজ সঙ্গে থাকবেন।

আর লাইক প্রসঙ্গে ব্যাপারটি সেটাই হয়। আমি নিজেও এমন বহু পোস্ট পড়ি অথবা সময়ের অভাব হলে প্রথম দিকে বেশ কিছুটা পড়ে অন্তত বুঝে নিই যে সেটি হৃদয় বিদারক কিনা। অথবা কোন বিদ্বেষমূলক লেখা কিনা। তারপর লাইক বাটনে চাপ দিয়ে পরে ধীরে সুস্থে আবার এসে মন্তব্য করি। কাজেই এটা নিয়ে যে যার মত ভাবতেই পারেন। যার ভাবনা তার কাছে।

সাসপেনশন কাকে হাহাহাহাহা..... পরের পর্বে অগ্রিম দাওয়াত থাকলো।


অফুরান শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানবেন।


১৩| ২৪ শে জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৪

নীল আকাশ বলেছেন: আমি একজন স্বীকৃত তেলের ডিলার। - আমার তাতে কোনই সমস্যা নেই! ডিপোতে তেল বেশি কমে আসলেই বরং জানাবেন!!!

আগে লাইক দিলাম। দেখি এতে কার কি সমস্যা হয়? তারপরে পড়তে বসলাম।

আগের পর্বগুলি পড়া হয়ে গিয়েছিল তবে মন্তব্য করা হয় নি। শেফালী / শেলীর সাথে প্রণয় অংশ আরও বড় করে দিতে পারতেন। আহা কত আশা করেছিলাম পড়ার জন্য!!! যা পেয়েছি সেটাই বা কম কিসের??

বিরহ হচ্ছে প্রেমিকদের জন্য ভল্টারিন সাপেজটরি। ইঞ্জেকশনও বলতে পারেন। আর লেখকদের জন্য ক্যাটালিস্ট!!
একজন লেখক বিরহ কতটা সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলতে পারেন সেটা তার লেখার মান নির্ধারন করে দেয় বলে আমি মনে করি। সেই জন্য বিরহের অংশটুকু আরও বড় করে লিখতে পারতেন। রমেনকে নিয়ে মনে হয় আবারও কোন প্যাচ দিবেন মনে হচ্ছে! লেখা চলুক সাথেই আছি! লেখা ভালই লাগছে!
ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা রইল!

২৫ শে জুলাই, ২০১৯ দুপুর ২:১৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় নীল আকাশ ভাই,

হাহাহা তেলের এলার্জি তো সবারই থাকে না, না। তবে যেহেতু আপনি আশার আলো দেখিয়েছেন, ডিপোতে তেল কম পড়লে অবশ্যই আপনাকে জানান দেবো তখন কিন্তু সাহায্য না করার অজুহাত দিয়ে পালাতে পারবেন না।
আগে লাইক দিয়েছেন। বলা যায় এই যাত্রায় বেঁচে গিয়েছেন। হয়তো অনেকের চোখ না পড়াতে তেমন কোনো অসুবিধা হয়নি। তবে আগামীতে পোস্ট না পড়ে লাইক দেওয়ার আগে অবশ্যই ভাববেন। আমি কিন্তু ভীষণ ভয় পেয়ে গেছি। নিজে মনের অবস্থা আপনাকে জানালাম হা হা হা হা।

আগের পর্বগুলো পড়া হয়েছে জেনে খুশি হলাম। কিন্তু মন্তব্য করতে পারেননি, ব্যস্ততা থাকতেই পারে। যদি কখনো তেমন সময় সুযোগ হয় তাহলে মন্তব্য করবেন, সেই অপেক্ষায় রইলাম।

বিরহ সম্পর্কে আপনার মতামতটা অসম্ভব ভালো লেগেছে। আপনার মনের সুন্দর এই অনুভূতিকে আগামীতে কাজে লাগাবো। রমেনদা সম্পর্কে আপনার জিজ্ঞাসার উত্তর আগামী পর্বে পাবেন আশা করি।।
লেখা ভালো হচ্ছে, সাথে থাকার অমিও বার্তা পেয়ে আপ্লুত হলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
পোস্টে লাইক করাতে অনুপ্রেরণা পেলাম; কৃতজ্ঞতা জানবেন।

অফুরান শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানবেন।

১৪| ২৪ শে জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩০

মুক্তা নীল বলেছেন:
দাদা ,
মরীচিকা দিয়েছেন আর আমি এতো দেরিতে দেখলাম ???

আমি একজন স্বীকৃত তেলের ডিলার ......ছাইপাশলেখার ব্লগ।---- এই কথাগুলো লেখার জন্য আমার আন্তরিক ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানবেন ।

আসছি একটু পরে মন্তব্য সহ ।
শুভ সন্ধ্যা ।

২৫ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ অপরাহ্ন প্রিয় ছোট বোন। বোনের এমন আন্তরিক মন্তব্যে মুগ্ধতা। দৈনন্দিন কাজে ব্যস্ত থাকতেই পারে। সময় করে যে এসেছেন এটাই আমার বড় প্রাপ্তি। উপরোক্ত স্বীকারোক্তিটি বোনের ভালো লেগেছে জেনে আপ্লুত হলাম। ধন্যবাদ জানাই বোনকে। সংগে এমন আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা প্রাণভরে গ্রহণ করলাম। পোস্টটি আবার পড়ে পূর্ণাঙ্গ কমেন্টের অপেক্ষায় রইলাম।

পোস্টে প্লাস দেওয়াতে অনুপ্রেরনা পেলাম; কৃতজ্ঞতা জানাই।

অফুরান শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা রইলো।

১৫| ২৪ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ৮:১২

ঢাবিয়ান বলেছেন: ব্যপারটা হচ্ছে তেল আর বিনয়ের পার্থক্য অনেকেই জানে না। অভদ্রতা ইনাদের কাছে স্মার্টনেস।

২৫ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় ঢাবিয়ান ভাই,

বিলম্বিত উত্তর দেওয়ার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী। অত্যন্ত দামি একটি কথা বলেছেন। ধন্যবাদ দিয়ে আপনাকে ছোট করবো না।

ভালোবাসা ও নিরন্তর শুভকামনা আপনাকে।


১৬| ২৪ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ৮:৩৩

আনমোনা বলেছেন: মৌলিক-সন্ধানীদের পড়তে মানা, কমেন্ট চলবে ষোলআনা! :)
যাক আমি অত মৌ টৌ বুঝিনা, ছাইপাশ উড়িয়ে রত্ন খুঁজি। পরে পড়ে আসছি।

২৫ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৪:০১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় আনমোনা,

আমার কোন পোস্টে আপনার প্রথম কমেন্ট। সু স্বাগতম আপনাকে। আপনার লেখার হাত বেশ ভালো। সাম্প্রতিককালে আপনাকে নিয়মিত লগইন দেখতে বেশ ভালো লাগছে।
পোস্ট সম্পর্কে,
"মৌলিক-সন্ধানীদের পড়তে মানা, কমেন্ট চলবে ষোলআনা!" হা হা হা হা চমৎকার লিখেছেন। আসলে ব্লগার ও কমেন্ট ব্লগিংয়ের সম্পদ। যারা পোস্ট দেন তারা নিশ্চয়ই জানেন একটা কমেন্টের কতটা মূল্য। কিন্তু কখনো কখনো দু একজনের কমেন্ট বুকে সেল বিদ্ধ করে। আমরা যারা একটু বেশি আবেগী, নিজের যন্ত্রণা শেয়ার করতে পারি না, সেক্ষেত্রে আমরা সেই ক্ষত বয়ে বেড়ানো ছাড়া অন্য কোন উপায় থাকেনা।

আপনি সুন্দর অনুভূতি নিয়ে ব্লগিং করছেন। এভাবেই মণি-মাণিক্যের অন্বেষণে থাকুন। ব্লগিংকে আরো উপভোগ্য করে তুলুন এবং অন্যদেরকেও ঋদ্ধ করুন।
পোস্ট পড়ে সময় পেলে আসবেন সেই আশায় রইলাম।

পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম; কৃতজ্ঞতা জানবেন।

নিরন্তর শুভকামনা আপনাকে।

১৭| ২৫ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১:৫৭

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
গুরুজি (ইহা তৈলাক্ত অর্থে ব্যবহৃত)!!
চমৎকার ভাবে আজকের মরিচীকার ২৬তম পর্ব উপস্থাপন করেছেন। খুব ভাল লেগেছে। তয় আমি যতটুকু জানি তৈলমর্দন করলে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা মিলে এক্ষেত্রে মুই গত একবছরেও কোন সুবিধা পাইনি। অতএব, আমার তেলের ডিলারশীপ স্বরুপ আমাকে যাবতীয় বকেয়া সুবিধাদি প্রদান করিতে বাধ্য আপনি। প্রয়োজনে গুপ্তচর হিসাবে আপনি যে হাজার হাজার ডলার ইনকাম করেন তার ন্যুনতম ৫০% দিতে হইবে। না হলে আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে। আমারা যারা নিয়মিত তৈল মর্দন করি তারা সুগঠিত হয়ে কঠোর আন্দোলনের ডাক দিব।

অতএব আমাদের মৌলিক দাবীনামা অতি সত্তর পূরণ করতে হুজুরের (তৈল) যেন মর্জি হয়!!

২৫ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১০:৫০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় গুরুদেব,

অসম্ভব সুন্দর ফটোটি শেয়ার করার জন্য লাখো লাখো ধন্যবাদ। আমি অবাক হয়ে কেবল তাকিয়ে থেকেছি ফটোর দিকে।
সঙ্গে সুন্দর মন্তব্য প্রীত হলাম। বিলম্বিত উত্তর দেওয়ার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী। মরীচিকার এই পর্বের উপস্থাপন চমৎকৃত মনে হওয়াতে আপ্লুত হলাম। তৈল মর্দন কার্যে আমার কাছে আপনার যা বকেয়া জমে আছে আশায় আছি সামনের আর্থিক বর্ষে পরিশোধ করার। এই বান্দার নিয়েত ভালো। একদম গ্যারান্টি দিয়েই বলছি। একদুম সাচ্চা বান্দা যাকে বলে। এরপরেও যদি কোন কারণে অপারগ হই প্লিজ ছেড়ে যাইয়েন না ।সে ক্ষেত্রে পরের আর্থিক বছরে আবার চেষ্টা করিব আপনাদের ঋণ পরিশোধ করতে। আপনি বিষয়টি জানেন কিনা জানি না তবে এভাবে ডিলারশিপের সঙ্গে গুপ্তচরবৃত্তি করার জন্য যথেষ্ট পয়সা কড়ি বিভিন্ন চ্যানেলে দিতে হয়। আয় আছে অস্বীকার করছি না। কিন্তু খরচও আছে বিপুল। তবে দুঃখের যে আপনাদের উদাসীনতায় দুটো করে খাচ্ছিলাম তাও যদি আপনার বন্ধ করে দেন তাহলে এই বান্দার না খেয়েই দিনানিপাত করতে হবে। হা হা হা....

সাথে সাথে স্পেশাল আরজি প্লিজ আন্দোলন করিয়েননা। আপনাদের মৌলিক দাবি-দাওয়ার সহ সমস্ত রকম তেল দিতে বাধ্য থাকিবো।

পোস্টে প্লাসে অনুপ্রেরণা পেলাম; কৃতজ্ঞতা জানবেন ।

শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো।



১৮| ২৫ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ৮:৪১

মুক্তা নীল বলেছেন:
দাদা ,
আজকের পর্বটি পুরোপুরি বিরহের।
সুখ-দুঃখ পালাক্রমে আসে আমাদের জীবনে । কিন্তু সুখের মুখ দেখতে না দেখতেই বিরহের অনলে যেনো নিজেকে সমর্পণের পরিস্থিতি ও অনিচ্ছাকৃত বাধ্যবাধকতায় ।
এমন একটা অবস্থায় মরীচিকার শেষ টানলেন আজকের পর্বের
খুব চিন্তা হচ্ছে আগামী পর্বে জানি কি হয় ।
বরাবরের মতো শ্রদ্ধা ও ভাললাগা জানবেন ।খুব প্রিয় একটি কথা রেখে গেলাম ,
চলে যাওয়া মানে প্রস্থান নয়- বিচ্ছেদ নয় চলে যাওয়া মানে নয় বন্ধন ছিন্ন-করা আর্দ্র রজনী চলে গেলে আমারও অধিক কিছু থেকে যাবে আমার না-থাকা জুড়ে ---রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ

২৫ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১০:৫৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় ছোট বোন,

বোনের আবার কমেন্টে আসাতে খুব খুশি হলাম। হ্যাঁ এবারের পর্বটা মূলতঃ বিরহের।
"সুখ-দুঃখ পালা করে আসে আমাদের জীবনে। কিন্তু সুখের মুখ দেখতে না দেখতেই বিরহের অনলে যেনো নিজেকে সমর্পণের পরিস্থিতি ও অনিচ্ছাকৃত বাধ্যবাধকতায়।"বোনের সুন্দর পর্যবেক্ষণ মুগ্ধ হলাম। মরীচিকা নিয়ে আগামী পর্বে চিন্তায় আছেন জেনে আবারও আনন্দ পেলাম। পরবর্তী পর্বে আশা করি মনের যাবতীয় ধোঁয়াশা পরিস্ফুট হবে।
বোনের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা হৃদয়াঙ্গম করলাম। কবি রুদ্রের কবিতার সুন্দর অংশটি শেয়ার করার জন্য অজস্র ধন্যবাদ। সত্যিই কি অপূর্ব কথাটি! হৃদয়ে গেঁথে রাখার মতোই। আবারও ধন্যবাদ জানাই প্রিয় ছোট বোনকে।

অন্তরের অন্তস্থল থেকে ভালোবাসা ও শুভকামনা রইল।



১৯| ২৫ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ৯:২৪

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম মন্তব্য গুলো পড়তে।
কে কি মন্তব্য করেছে তা আমার জানার দরকার আছে।

২৫ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১১:০১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় ছোট ভাইয়ের আবার কমেন্টের সাথে আনন্দ পেলাম। আমিও মাঝে মাঝে বিভিন্ন পোষ্টের মন্তব্য পড়তে যাই। ধন্যবাদ ভাইকে।
শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো।

২০| ২৫ শে জুলাই, ২০১৯ দুপুর ২:৪৬

তারেক ফাহিম বলেছেন: মরীচিকার সাথে তেলের সম্পর্ক প্রথমে বুঝে উঠতে পারলূম না, আমিতো ভাবলা মরীচিকা দূর করার জন্য তেলের আগমন B-)

আসলে অনেক দিন মরীচিকা থেকে দূরে থাকাতে বুঝে উঠতে পারছিনা, পূর্বের পর্ব ও মন্তব্যগুলো পড়ে পরীক্ষার খাতা পূরণ করতে হবে দেখছি। :-P

২৫ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১১:০৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় ফাহিম ভাই,

আশাকরি উপরওয়ালার কৃপায় ভালো আছেন। আপনি মাঝে একটু অনিয়মিত ছিলেন। যে কারণে আপনি বিষয়টি স্থানীয় অবগত নন।
অনেকদিন যাবত আমি নিজের পরিচয় গোপন রেখে ব্লগিং করছিলাম। কিন্তু কয়েকজন বিদগ্ধ ব্লগার আমার সেই পরিচয় পর্ব উন্মোচন করে হাটে হাড়ি ভেঙে দিয়েছেন।নতুন করে আমার পরিচয় নিয়ে যাতে কারো মনে কোন ধোঁয়াশা না থাকে, এ কারণেই পোস্টটির শুরুতে আমি স্বীকারোক্তি দিয়েছি।

পোস্ট সম্পর্কে, যদি সময় পান তাহলে পূর্ববর্তী অপঠিত পোস্টগুলো পড়ার অনুরোধ রইল। আর মন্তব্য করার যোগ্য বিবেচিত হলে আপ্লুত হব। ধন্যবাদ আপনাকে।

অনিঃশেষ শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানবেন।

২১| ২৫ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৩:১০

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: দাদা আমার মনে হচ্ছে মনকষ্ট নিয়ে ব্লগিং করছেন? আপনি ভাল করেই জানেন অনলাইন এক্টিভেটিজ একটি ক্যাচালের যায়গা। সব মানুষ একরকম না। আমি ব্লগে আপনাদের মতো মানুষদের যখন রত্ন মনে করি, তাদের সান্নিধ্যও কামনা করি। আপনার পাঠক ভক্তি সবি আপনার গুনের কারণে। একজন ভাল মানুষ তার সর্বোচ্চ ব্যবহারে তার উন্নত মনন তুলে ধরবেন। ব্লগের সবাইকে শ্রদ্ধা করি। এইবার আসি পর্ব ভাবনায়; এখানেতো পুরাই বিরহ লেপটে দিলেন ভাই। তবে কতো সুন্দর করে বিরহ রচনা করলেন একটি বিহ্ববল হৃদয়ের আকুতির কি রং হয় এই পর্বে বুঝিয়ে দিয়েছেন। কৈশরের এমন দিন অনেক কিশোরকেই দেখতে হয়েছে।

২৫ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১১:৩৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় সুজন ভাই,

আপনার এমন সুন্দর আন্তরিক মন্তব্যে অসম্ভব প্রীত হলাম। ধন্যবাদ আপনাকে। মনোকষ্টের বিষয়টি একেবারে অস্বীকার করতে পারি না। প্রথম দিকে একটু সমস্যা হয়েছিল। কিন্তু বিষয়টি এখন কাটিয়ে উঠতে পেরেছি। তবে মন্তব্যে আপনি এমন করে কথা বললে আমি যে বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে বাধ্য। হা হা হা হা..... মনি মানিক্যের সন্ধান!! এইরে এখন যে কোথায় পালায়। মন্তব্যের পরের অংশে আপনার সুন্দর অনুভুতিকে শ্রদ্ধা জানাই। সহমত আপনার সঙ্গে যে, ব্যবহারেই পরিচয়।

পর্ব ভাবনায় একটু বিরহ দিতে বাধ্য হলাম। মরীচিকাকে আস্তে আস্তে গুটিয়ে আনার লক্ষ্যে এরকম ভাবনা। আশা করি আপনারা এ বিষয়ে আগামী পর্বগুলোতেও পাশে থেকে সহযোগিতা করবেন। ঠিকই বলেছেন কৈশোরের এমন দিন অনেক কিশোরকে দেখতে হয়েছে। আর বিশেষ কিছু বললাম না হাহাহাহাহা..

নিরন্তর শুভকামনা ও ভালোবাসা জানবেন।


২২| ২৫ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৩:২৭

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: এগিয়ে যান পদাতিকদা।

২৫ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১১:৩৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় মাইদুল ভাই,

অনেকদিন পর আপনার কমেন্ট পেয়ে খুব আনন্দ পেলাম। এটা তো ঠিক নয়! এক কথায় সঞ্জীবনী মন্ত্র আর কি। ধন্যবাদ আপনাকে।

অনিঃশেষ শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানবেন।

২৩| ২৫ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৪:২৪

নজসু বলেছেন:




দেখতে এলাম প্রিয় মানুষদের।

২৫ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১১:৩৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় নজসু ভাই,

আপনি দেখতে এসেছেন এতেই আমি আনন্দিত আনন্দিত। পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম; কৃতজ্ঞতা জানবেন।

অফুরান শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা রইলো।

২৪| ২৫ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১০:১৫

বলেছেন: আমি একজন স্বীকৃত তেলের ডিলার ---তেল সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি নয়'তো ???


আপনি তেল নাকি জল তা বুঝতে হলে গুপ্তচর হতে হবে বৈকি ..............

২৫ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১১:৪৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় লতিফ ভাই,

হাহাহাহাহা..

না না এরকম দুশ্চিন্তার কারণ নেই। কোন ভাবে তেল সরবরাহের বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা নেই। অন্তত আপনারা যতদিন নিতে পারছেন ততো দিন তো নয়ই।
আমি তেল কি জল?? বাস্তবে পরীক্ষা প্রার্থনীয়। আশাকরি তথ্য সঠিকভাবে উদঘাটন করতে পারবেন।

অফুরান শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানবেন।


২৫| ২৬ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১২:১০

আনমোনা বলেছেন: ছাইপাশের নীচে ঝরঝরে ভাষায় জীবনের পথ চলার গল্প। ভালো লাগলো।
সব প্রেম পরিনতি পায়না। তবু শেলীর ব্যপারে কৌতুহল থেকে গেলো।

২৬ শে জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১২:৫৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় আনমোনা আপু(সম্মোধন ভুল হলে মন্তব্যটি পুনরায় করবো),
লেখা ভালো লাগাতে বা ঝরঝরে মনে হওয়াতে আনন্দ পেলাম। সংক্ষেপে অথচ খুব সুন্দর ভাবে বিষয়টি তুলে ধরেছেন, "জীবনের পথ চলার গল্প।" সহমত আপনার সঙ্গে যে সব প্রেম পরিণতি পায় না, কিন্তু কিছু কিছু প্রেম হৃদয়ে অমর কথায় লিখিত হয়ে থাকে। শেলীর ব্যাপারে কৌতুহল নিবৃত্ত করতে আপনাকে পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষা করতেই হবে। ধন্যবাদ আপনাকে।

অফুরান শুভেচ্ছা জানবেন।

২৬| ২৬ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১২:২৮

আখেনাটেন বলেছেন: পদাতিক দা, ও পাড়াতে বিরাট হাড্ডি কামড়া কামড়ি চলছে মনে হচ্ছে। গতকল্য থেকে শুরু হয়েছে নাকি। স্পিডি বলে একটা উইকেটও পড়েছে দেখছি। :P

পোস্ট পড়ি নাই। আপনার এই লম্বা কাহিনি'র আমি খেই হারিয়ে ফেলেছি। তবে শুধু প্রথম বাক্যটার জন্য লাইক দিয়েছি, তেলের উপকারীতার কথা বিবেচনায় নিয়ে। তেল ছাড়া কি জীবন চলে? ;)

২৬ শে জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১:৪৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় ফ্যারাও ভাই,

আপনি বোধহয় গত কয়েকদিনে খুব ব্যস্ত ছিলেন। ব্লগে তেমন সময় দিতে পারেননি। হাড্ডি কামড়াকামড়ি বিগত বেশ কিছুদিন ধরেই চলছে। এখন বরং উত্তাপ একটু কমে এসেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত দুটি উইকেটের পতন ঘটেছে। আমি নিজেও এই উত্তাপে একটু বিখ্যাত হতে পেরেছি। এটা আমার পরম সৌভাগ্যের বিষয়। যে ঘটনার সূত্র ধরে পোস্টের শুরুতেই আমার নিজের স্বীকারোক্তি উল্লেখ করতে হলো।

আপনি মাঝের বেশ কিছু পর্ব পড়েননি, কাজেই একটু খেই হারিয়ে ফেলেছেন।তবে যদি সময় পান তাহলে পুরনো 2/1 টি পর্ব পড়লে আশা করি লিংকটি ধরতে পারবেন । এই সিরিজের আরও 3-4 টি পর্ব বাকি আছে। আশা করি আগামীতেও আপনার এমন উপস্থিতি পেয়ে যাব।

পোস্ট নয়, স্বীকারোক্তি পড়ে লাইক দিয়েছেন তাতেই আমি অনুপ্রাণিত; কৃতজ্ঞতা জানাই। ঠিকই তো! তেল ছাড়া জীবনে সবি অচল। হা হা হা হা...
অফুরান শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানবেন।



২৭| ২৬ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১২:৫১

বলেছেন: দাদা,
আগের পর্বে সাসপেন্সশন চিঠির এই স্যরি দেখে মনে হলো ---

কত সহজেই বলতে পারো স্যরি.....
পুতুল ভেবে মনে রাখনি......
তবুও
আবেদন আর নিবেদন তোমাতেই
কোনকালে যদি আসো পুরানো পথ ধরি।।।।



দেখা যাক কি দাওয়াই দেন রমেনদাকে তার অপেক্ষায় রইলুম।।।


ভালোবাসা অবিরাম।।

২৬ শে জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১:৫১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় লতিফ ভাই,


এই না হলে কবি!!!
" কত সহজেই বলতে পারো স্যরি
পুতুল ভেবে মনে রাখনি....
তবুও
আবেদন আর নিবেদন তোমাতেই
কোনকালে যদি আসো পুরানো পথ ধরি ।।। "
আহা! এমন ভাবানুভবে মুগ্ধতা।

রমেনদার পরিণতি জানতে পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় আছেন জেনে আপ্লুত হলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।

অফুরান শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানবেন।


২৮| ২৬ শে জুলাই, ২০১৯ ভোর ৪:০৫

আরোগ্য বলেছেন: প্রিয় ভাইটি,
নেট অন করে তোমার মেইল পেয়েই ব্লগে লগইন করলাম। তিন দিন যাবৎ হসপিটাল ডিউটি করছি শুধু তিন চার ঘন্টার জন্যে বাসায় যাই। এখনও হসপিটালে বসেই ব্লগিং করছি। নানু হসপিটাল ভর্তি। তোমার হয়তো মনে নেই, বলেছিলাম আব্বু নেই, আম্মুও সিজোফ্রেনিক, নানুই আমাদের বটবৃক্ষ। পেটের অসুখে আক্রান্ত। খুব ভেঙে পড়েছিলাম। কিন্তু আল্লাহর উপর বিশ্বাসের জোরে আশাহত হয়নি। নানুর দীর্ঘায়ু কামনা করি। ওরকম কিছু৷ভাবলে আমাদের চারপাশ অন্ধকার বোধ হয়। নানুর জন্য দোয়াপ্রার্থী।

মরীচিকা আমি কখনও মিস করতে চাই না। এবারও করিনি। গতকাল পঞ্চম মন্তব্যকারী হতে পারতাম কিন্তু লগইন করার আগ্রহ কাজ করছিল না। সে যাই হোক আজকে বেশি কথা বলতে পারছি না। ম্যাডামের এভাবে স্যরি বলা নিয়ে বলতে চাই এমন স্বপ্ন না দেখানোই ভালো যেখানে হতাশা ছাড়া কিছু পাওয়া যাবেনা। রমেনদার সমস্যা সমাধানের জন্য অপেক্ষায় রইলাম।

প্রথম অংশ নিয়ে নলবো তোমার এভাবে লেখা দেয়ার কোন দরকার ছিল না। আমরা তোমাকে শ্রদ্ধা করি । মেঘের কি খবর? ।

২৬ শে জুলাই, ২০১৯ দুপুর ২:০০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় আরোগ্য,

তোমার খবরটি শুনে প্রচন্ড বিষণ্ণ বোধ করছি। গত কয়েক দিনে তোমাকে ব্লগে না দেখে আমি এরকম একটা আশঙ্কা করেছিলাম। মায়ের শরীর খারাপ জানতাম কিন্তু এই বিষয়টি জানতাম না। আব্বু নাই সেটা তুমি অনেক আগে আমাকে একদিন বলেছিলে। সব মিলিয়ে দেখছি নানুর বাড়িতে তোমাকে খুবই দায়িত্ব পালন করতে হয়। অত্যন্ত কম বয়স থেকেই তুমিএত কষ্টের জীবনে নিজেকে খাপ খাইয়ে নিয়েছে ও তৈরি হয়েছে কি করে পথ চলতে হয়।আশা করি এভাবেই তুমি আগামীর পথ করে নেবে এবং বাকি দুই ভাই-বোনকে সঠিক পথে চালিত করবে। তোমার এই সংগ্রামী জীবনকে জানাই কুর্নিশ। উপরওয়ালা যেন তোমার মনোবাসনা পূর্ণ করেন।

নানুকে নিয়ে তিনদিন খুবই ব্যস্ত আছো। আশা করি খুব দ্রুতই উনি সুস্থ হয়ে উঠবেন। মা নানু সহ তোমাদের গোটা পরিবারের প্রতি রইলো আমার সমবেদনা, শ্রদ্ধা,সহমর্মিতা ও ভালবাসা।

ভালোবাসা নিও।

২৯| ২৬ শে জুলাই, ২০১৯ দুপুর ২:৪৯

মা.হাসান বলেছেন: আরোগ্য ভাইয়ের বর্তমান পারিবারিক সংকটের কথা শুনে কষ্ট পেলাম। পরম করুনাময়ের কাছে প্রার্থনা করি উনি আরোগ্য ভাইয়ের সমস্ত সমস্যা দ্রুত সমাধান করুন।

১২ নম্বর মন্তব্যে একটু ভুল করেছি, গানটা সঙ্গে পরিচয় কুড়ি বছর হবে না ১৫ বছরের । ভুলের জন্য আন্তরিক দুঃখিত।

গ্রেট দের জন্য কুর্নিশ। জাঁহাপনা তুসি গ্রেট হো, তোহফা কবুল করো। এরপর একটা ইয়ে দেখানোর ইমো হবে। যারা সামলাতে পারবেন না, চোখ বন্ধ রাখুন।

২৬ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় মা. হাসান ভাই,

ছোট্ট আরোগ্যের জীবন সংগ্রামের ঝড়-ঝঞ্ঝা সামলানোর সর্বশেষ নমুনা হল বটবৃক্ষ সমূহ(বাবার অনুপস্থিতি,মায়ের সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত)কে নিয়ে সারাক্ষণ হসপিটালে কাটানো। বাড়ীতে ছোট ছোট দুটি ভাই বোনও আছে। এহেন নানুর দ্রুত আরোগ্য লাভ কামনা করি। আশা করব আরোগ্য কোন কোন কোন সময়ে আপনার মন্তব্য দেখে আপনার সহানুভুতির পরিচয় পেয়ে যথেষ্ট তৃপ্তি পাবে। আপনার প্রার্থনা যেন উপরওয়ালা কবুল করেন।
উপরের লিংকটি কুড়ি বছরের স্থলে 15 বছর হওয়াতেও খুশি হলাম।খুশি হলাম আপনার সংস্কৃতি প্রীতির পরিধির পরিচয় পেয়ে। তবে 15 বলুন আর 20 বলুন আমার কাছে এটা খুব বেশি মৌলিক পার্থক্য অধিকারী নয়।অমি এরাউন্ড দ্য ওয়ার্ল্ড ইন এইটি ডেস, যুলে ভার্নের সেই বিখ্যাত জায়গাটি যেখানে ব্রিজের উপরে ট্রেনটি যাবে কিনা ফিফটি-ফিফটি সম্ভাবনা থাকাতে, শেষ পর্যন্ত যাহা এইটটি তাহাই 90..... সেন্ট পার্সেন্ট প্রবাবিলিটি তৈরি হয়েছিল। সেই রেস্পেক্টে বলবো যাহা ফিফটিন তাহাই টোয়েন্টি। হা হা হা ....

গ্রেট দের প্রসঙ্গে আপনার সঙ্গে সহমত। হাহাহা ...
তবে ইমোটা খুব ভালো হয়েছে।

নিরন্তর শুভকামনা জানবেন।


৩০| ২৮ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ৮:০৯

মাহের ইসলাম বলেছেন: মরীচিকা পড়তেই আপনার ব্লগে এসেছি।
নতুন পর্ব দেখে, যারপরনাই পুলকিত।

তবে, পড়তে পড়তে ধাক্কা খেলাম !
আবার পড়লাম।
নাহ, ভুল হয়নি।
ঠিকই লেখা আছে, তেলের ডিলার, গুপ্তচর!
অবাক হয়ে গেলাম। বিস্ময় নিয়ে আবার পড়লাম।

কিছুটা কৌতূহল নিয়ে , ক্লিক করলাম বাকীটা পড়ার জন্যে।
পড়েই বুঝলাম, শুরুতে ধাক্কাটা একটু বেশি হয়ে গেছে !!

তবে, আপনার এবারের পর্ব আমার কাছে আশানুরূপ হয়নি।
অপেক্ষার প্রহরের সাথে ঘটনার অগ্রগতি মিলেনি।
তাঁর উপরে, হঠাত করেই শেলীর প্রসঙ্গ বদলালেও তাঁর ব্যাপারে কি একটু খোঁজ নেয়া স্বাভাবিক ছিল না?

তবে, বরাবরের মতোই সাবলীল এবং চমৎকার লেখা।
শুভ কামনা রইল, ভালো থাকবেন।

২৯ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৪:৫২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় মাহেরভাই,

মরীচিকা পড়তে এসেছেন এবং নতুন পোস্ট দেখে পুলকিত হয়েছেন জেনে আমিও যারপরনাই আনন্দিত। তবে পড়তে গিয়ে ধাক্কা লাগাটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। বিগত দেড় বছরে নিজের পরিচয় লুকিয়ে ব্লগিং করছিলাম। কয়েকজন বিদগ্ধ ব্লগারের করিতকর্মার ফলে আমার আসল রূপ প্রকাশ হওয়াতে আর ঝুঁকি না নিয়ে আগেভাগে নিজের পরিচয় জানিয়ে স্বীকারোক্তি দিয়েছি। উপরে আপনি তারই প্রতিফলন পেলেন।

পোস্ট সম্পর্কে আপনার সুন্দর মতামতে মুগ্ধ হলাম। আসলে দুটি বিষয় ভিত্তিক পর্বের মধ্যে একটা যোগসূত্র থাকে যেখানে কিছু ফর্মাল কথাবার্তা থাকে। সেই দৃষ্টিতে এই পর্বটি তেমনই একটি যোগসূত্র কারী পর্ব। যে কারণে আপনার কাছে এখানে একটু বিষয়ের ঘাটতি মনে হয়েছে। সুন্দর মতামতের জন্য আবারো ধন্যবাদ জানাই।

শুভকামনা ও ভালোবাসা জানবেন।


৩১| ৩০ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১১:১৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি যে, কিসব "ক্লিনিকয়াল" প্লাস, নাকি কিসব দিয়ে উসকানীমুলক কমেন্ট লিখছেন, ইহা কি ভালো কিছু হচ্ছে? আপনার নীচুমানের ভারতীয় চরিত্র এ পারের বাংলায় খুব একটা জনপ্রিয় নয়

৩২| ৩০ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১১:২৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনি "না পড়ে" লাইক ও প্লাস দিচ্ছেন পোষ্টে! তার উপর আবার উস্কানীমুল কমেন্ট দিচ্ছেন সেটার উপর; বাংলাদেশের ব্লগকে কি সস্তা পেয়েছেন? এখানে, আমাদের দেশের ব্লগে আমরা ব্লগিং করি, ইহার মান আছে!

৩৩| ৩১ শে জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪১

মা.হাসান বলেছেন: আমাদের দেশে কিছু ল্যাংটা পাগল দেখা যায়, এরা বিভিন্ন ট্রাফিক সিগনালে ট্রাফিক কন্ট্রোল করে, ঠিক করে দেয় কোন গাড়ি যাবে, কোনটা যাবে না। ভাবছি এটা নিয়ে একটা পোস্ট দেব। এরা ভালো বিনোদন দেয়। কোলকাতায়ও কি এসব আছে?

৩১ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ৮:১৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় মা.হাসান ভাই,

আপনার আবার কমেন্টে আসাতে খুব খুশি হলাম। আপনার জন্যে আমার পক্ষ থেকে রইলো অফুরান ভালোবাসা।
কলকাতাতেও থাকাটা অস্বাভাবিক নয়। হা হা হা ....

৩৪| ৩১ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ৮:০৮

জুন বলেছেন: আমি একজন স্বীকৃত তেলের ডিলার লাইনটা পড়েই সত্যিই চমকে গেলাম পদাতিক । ভাবলাম শিক্ষকতা ছেড়ে গল্পের নায়ক কি নতুন পেশা বেছে নিলো :-*
যাইহোক এসব ব্যাপারে কান না দিয়ে আপনার লেখালেখি চালিয়ে যান । আমরা আপনার প্রায় উপন্যাস এর সাথেই আছি । একদিন গজেন্দ্র কুমার মিত্রের কলকাতার কাছেই কিম্বা আশাপুর্না দেবীর প্রথম প্রতিশ্রুতি ট্রিলজির মত একটি উপন্যাস পেয়েও যেতে পারি বইকি ।
ভালোলাগা রইলো অনেক :)
+

অটঃ আমার লেখায় আপনাকে দেখি না কেনো পদাতিক ! কোন সমস্যা কি ??

৩১ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ৯:২৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শ্রদ্ধেয়া আপুনি,

পারস্পরিক সম্বোধনে সম্মান রেখে কথা বলাটা আমার ব্যাক্তিগত পছন্দ। ব্যক্তিগত জীবনেও কেউ আগ বাড়িয়ে ঝগড়া করলে আমি নিজের অপারগতার কথা তাদেরকে জানিয়ে দিই। আমি ভীষণভাবে হেরে পথ চলার পক্ষপাতী।

ব্লগে বেশ কয়েকজনের পোস্টে আমার এই ব্যক্তিগত ভালো লাগার নমুনা পেয়ে নিজের মন্তব্য-প্রতিমন্তব্যের মধ্যে সেই মনোভাবকে ফুটিয়ে তুলেছি বা এখনো তোলার চেষ্টা করি। সম্প্রতিককালে আমার এই অ্যাড্রেসিংটা কয়েকজনের চক্ষুশূলের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমার পোস্টে তো (মরীচিকা পর্ব- 25) বটেই প্রয়োজনে তারা পৃথকভাবে পোস্ট দিয়ে আমাকে চাঁচাছোলা ভাবে আক্রমণ করে যাচ্ছেন। অস্বীকার করবো না যে এর ফলে আমার স্বাভাবিক ব্লগিং রীতিমত বিঘ্নিত হয়েছে। এদেরই একজন তো আরো কয়েক ধাপ এগিয়ে আমাকে রীতিমত গুপ্তচর বলে অভিহিতও করে একটা পোস্টও দিলেন। যদি তিনি সেই পোস্টটি পরে তুলে নেন। ফলে নিজের চরিত্রে অহেতুক কালিমা লেপনে আমি যারপরনাই ব্যথিত। ওই সময়ে বেশ কয়েকদিন একেবারেই লগইন করতাম না। আমার ওই সদ্য সংকটকালে প্রকাশিত আপনার সর্বশেষ পোস্টটি পড়ে এবং খুব সুন্দর ছবিগুলো দেখে যে কারণে কমেন্ট না করে স্রেফ লাইক দিয়ে চলে আসি। আশা করি আমার সমস্যাটি আপনাকে বোঝাতে পেরেছি।

এবার পোস্ট প্রসঙ্গে, আপনার সুন্দর মন্তব্যে প্রীত হলাম। শ্রদ্ধেয় গজেন্দ্রকুমার মিত্র বা আশাপূর্ণ দেবি উনারা স্টার। আপনার অনুপ্রেরণা সূচক মন্তব্য মুগ্ধতা। আমরা নিতান্তই তুচ্ছ। তবে আশায় আছি, আপনাদের দোয়া নিয়ে একদিন মরীচিকাকে সম্পূর্ণ উপন্যাস আকারে বার করতে পারি কিনা।

বরাবরের মতই আপনার প্লাস ও লাইক প্রদানে প্রেরণা পেলাম; কৃতজ্ঞতা জানবেন।

শ্রদ্ধা ও শুভকামনা প্রিয় আপুনিকে।

৩৫| ৩১ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ৮:২০

জুন বলেছেন:

একদিন গজেন্দ্র কুমার মিত্রের কলকাতার কাছেই কিম্বা আশাপুর্না দেবীর প্রথম প্রতিশ্রুতি ট্রিলজির মত একটি উপন্যাস পেয়েও যেতে পারি বইকি ।

এইবার আমার পোষ্টে যাইবেন আশাকরি পদাতিক /:)
:`>

৩১ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ৯:৪২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শ্রদ্ধেয়া আপুনি,

আপনাকে একই পোস্টে পরপর দুবার কমেন্ট পেয়ে আমি অত্যন্ত আনন্দিত।হা হা হা হা.... যদি সেইরকম পরিস্খিতি হয় তাহলে অবশ্যই আমি আপনাকে উপন্যাসটি উপহার দিয়ে আসবো।
সাথে অবশ্যই আপনার পোস্টে আমি কমেন্ট করে আসছি। হাহাহা এরকম করে বলে আমাকে যে রীতিম লজ্জায় ফেলে দিলেন আপুনি ।

৩৬| ০২ রা আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৮

রাকু হাসান বলেছেন:


হুম ভাইয়া দেরিতেই আমার আগমন। :( । তবে আসবো যে সেটা নিশ্চিত । প্রথম অংশের জন্য উপন্যাসের মূল আলোচনার বিষয়বস্তু অনেকটাই ঢেকে গেছে মনে হচ্ছে । অনেকজন এটা নিয়েই বেশি উচ্চবাচ্য করছে । ব্লগে এত সমালোচনার পরেও তোমার নিরবতা আামাকে মুগ্ধ করেছে। নিরবতাও একটা প্রতিবাদ পদাতিক ভাই।তোমার পাঠক তোমাকে জানে এবং নিশ্চয় বুঝে।মন্তব্য ও পাঠকপ্রিয়তার কোনো প্রভাব পড়েনি যা বুঝলাম । সবাই একই নীতিতে ব্লগ্লিং করে না এবং করবে না। সবাই একই নীতিতে ব্লগিং করবে সেটা ভাবাও বোকামী । সবারই লজিক থাকবে,সেটার পেছনে ব্যাখ্যাও থাকবে। হয়তো তোমার মনে আছে ব্লগে ক্রমানয়ে মন্তব্য এর প্রতি উত্তর করার জোর দাবি জানিয়েছিলাম । সেখানে অনেক ব্লগার পক্ষে বিপক্ষে যুক্তি দিয়েছিল । বিপক্ষের যুক্তি হিসাবে নীল আকাশ ভাইয়ের যুক্তির কথা মনে করতে পারি । তিনি মনে করেন ব্লগে প্রত্যেক লেখকের পাঠকগোষ্ঠী আছে ,সখ্যতা আছে ,সেই হিসাবে তাদের মন্তব্যের প্রতি উত্তর আগে দেওয়াই যায় । উনার যুক্তির সাথে আমার যুক্তি মিলেনি । তারমানে এই নয় আমারটা ভুল উনার টা সঠিক বা তাঁরটা ভুল আমার টা সঠিক । নীল আকাশ ভাইয়ের সাথে একমত না হলেও তাঁর মতামত বা ব্লগীয় দর্শন কে শ্রদ্ধা করেই আসছি । এতে করে আমাদের সম্পর্ক নিয়ে টানা পোড়ান হয় নি ।

ভিন্ন মত ,ভিন্ন দর্শনের বড় জায়গা ব্লগ । ক্ষুদ্র জ্ঞানে আমি তাই বুঝি । না পড়ে মন্তব্য করায় অনেক সমালোচনা হচ্ছে । তবে এই ট্রেন্ডিংটা নতুন না । এখন এটা নিয়ে খুব কথা হচ্ছে।বিষয়টি নিয়ে ইতিবাচক দিক এবং নেতিবাচক দিক দুটিই আছে । ইতিবাচক দিকটা হচ্ছে ব্লগীয় মিথস্ক্রিয়া।
তোমার লেখা মৌলিক বা যৌগিক যায় হোক ,তোমার পাঠক রয়েছে । তাঁরা তোমার লেখা পড়বে ,অপেক্ষা করে লেখার জন্য।তোমার বরং তোমার পাঠকদের নিয়ে ভাবলেই হবে ,তার চেয়ে বেশি পাঠক নিয়ে ভাবলে সেটা খারাপ না । এটা তোমার ব্যক্তিগত ব্যাপার । এসব কথা তোমাকে না বললেও হবে । আশা করছি বোধহয় তাই ভেবে আসছো।

এখন মনে হচ্ছে মরীচিকা পেয়ে বসছে । প্রত্যাশিত চিঠিতে ভাবছিলাম বিশেষ কিছু আছে । কিন্তু শুধু একটা শব্দে চিঠি শেষ করে দিবে ভাবিনি । শেলীর এক চিঠিতে বিদায় নেওয়ার পর দিনগুলো অবশ্যই কঠিন ছিল । সেখানে অনেকেই নিজেকে খোঁজে পাবে। তবে আশার কথা গল্পের নায়ক নিজেকে তখন পড়াশোনায় ব্যস্ত রেখেছে । সামলিয়ে উঠার চেষ্টা করেছে । এই দিকটি অবশ্যই পাঠকদের সহায়তা করবে বাস্তব জীবনে । উপস্থাপনার জন্যই পড়তে ভালো লাগে । তা না হলে পড়তে মজা পেতাম না । আমি দেখছি বাক্যগঠনে খুব একটা কঠিন শব্দ ব্যবহার করো নি । সহজবোধ্য লেখা । প্রত্যেক পর্বের শেষে চলবে লেখা থাকে ,তবে এই পর্বে নেই কেন ?

আরোগ্য ভাই ---আপনার মন্তব্য পড়ে কষ্ট হচ্ছে । সত্যিই কঠিন সময় পার করছেন । দোয়া করি আল্লাহ্ আপনার সহায় হবেন । ধ
আপনার নানুর জন্য আমার অকৃত্রিম দোয়া থাকবে । আমি মনে করি আপনার সেই মানসিক বল আছে .যাতে যে কোনো পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে । শুভকামনা ও দোয়া রইলো ।

পদাতিক ভাইয়া আরও কিছু কথা বলার ছিল । বলতে পারলাম না হঠাৎ বের হতে হচ্ছে । কথা হবে তোমার সাথে । শেষ কথা বলবো তুমি মনে কষ্ট নিয়ে ব্লগিং করো না ,যদি করে থাক ।তোমার প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাাস রইলো । এখন আসছি । আজ ব্লগে আরও কিছু লেখা পড়ার জন্য ইচ্ছা পোষণ করছি ।

০৯ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১১:০৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় ছোট ভাই,

বহুৎ বহুৎ বিলম্বিত উত্তর প্রদানের জন্য প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।
হ্যাঁ তুমি দেরিতে আসবে ঠিকই, আবার আমিও নিশ্চিত যে তুমিও আসবেই। আশাকরি তুমিও ঠিক ততটাই নিশ্চিত যে আমিও সময় পেলে তোমার পোস্টে যাবোই। সুন্দর মন্তব্য রাখার জন্য শুরুতেই তোমাকে ধন্যবাদ জানাই।‌
নিরাবতা প্রসঙ্গে তোমার অবজারভেশন একেবারে সঠিক। আমার ও সব ঝুট ঝামেলা ভালো লাগেনা।

ভিন্ন মত , ভিন্ন দর্শন সম্পর্কে তোমার মতামত আমার খুব ভালো লেগেছে। এরকম পরিচ্ছন্ন মনকেই আমি পছন্দ করি। কোন কোন প্যাঁচালো বা ঘুরিয়ে কথা বলা আমার না পছন্দ। মতভেদ থাকতেই পারে কিন্তু সেটা সম্পন্ন যৌক্তিকভাবে কোন হিংসা মাধ্যমে নয়- বলে আমার বিশ্বাস। মতান্তর হতেই পারে কিন্তু মনান্তর নয়। আমার কাছের মানুষজন সম্পর্কে আমি চেষ্টা করি এই নীতিটি মেনে চলার।

লেখা প্রসঙ্গে, আমার লেখা এখনও শিক্ষানবিশ পর্যায়ের।তোমরা ভাইয়াকে একটু বেশি ভালোবাসো। সে জন্য বেশি বেশি প্রস্তুতি গাও। হাহাহাহাহা.... তবে অস্বীকার করবো না যে তোমাদের এমন মিষ্টি কমেন্টগুলো আমার কিন্তু বেশ ভালো লাগে।
প্রিয় আরোগ্যের পারিবারিক অসুবিধার সঙ্গে সমবেদনা জানাতে আনন্দ পেলাম। আরোগ্য এই অংশটি দেখে আশা করি কিছুটা মানসিক বল পাবে। আবারও ধন্যবাদ জানাই তোমাকে। ও অসম্ভব দায়িত্বশীল। অবশ্য দায়িত্ব নিতে বাধ্য। গোটা পরিবার এক হিসেবে ওর কাঁধে দাঁড়িয়ে আছে। কী অমানুষিক চাপ যে ও গ্রহণ করে তা ভেবে আমি অবাক হই। সংসারের বাইরে ওর লগইন করার মত সময় একেবারেই থাকে না। কি আর করার উপরওয়ালা সবাইকে তো একভাবে তৈরি করেনি।
সবশেষে জানাই,‌আশা করি আমার উপর অভিমান কমেছে। পবিত্র ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা রইল।‌

৩৭| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:০৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: 'স্যরি' - এই একটি ছোট্ট শব্দ যেমন শত সমস্যার জট খুলে দিতে পারে, তেমনি শত শত ভিন্নমুখি ভাবনার জন্মও দিতে পারে।
বোধকরি, আপনার সে চিঠিটাই বিশ্বের হ্রস্বতম চিঠি হিসেবে গিনি'র কেতাবে ঠাঁই পেতে পারে! :)
রচনার শুরুতেই একটি তেল বিষয়ক ঘোষণা এবং ৩৫ নং মন্তব্যে একটি ইম্পোর্টেড তেলের ড্রামের ছবি দেখে একটু ভড়কে গিয়েছিলাম। এটা এক বৎসরের পুরনো পোস্ট, তাই কিছু ঘটে থাকলেও মনে করতে পারছি না, তবে কিছুটা আন্দাজ করতে পারছি। যাক, কুকুরেরা ঘেউ ঘেউ করলেও ক্যারাভান এগিয়ে চলে, এটাই সত্য। তাই এগিয়ে চলুন!
পোস্টে শব্দসংখ্যা ততটা কম না হলেও গল্প কম এসেছে। তবুও, মৌলিকতার জন্যই, পোস্টে প্লাস + +।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৪৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: রেস্পেক্টেড স্যার,

আশাকরি ভালো আছেন। হ্যাঁ ঠিকই বলেছেন, "ছোট্ট শব্দ স্যরি যেমন শত সমস্যার জট খুলে দিতে পারে, তেমনি শত শত ভিন্নমুখি ভাবনার জন্মও দিতে পারে।" চমৎকার কথা স্যার। ধন্যবাদ আপনাকে। আর চিঠির আকৃতি নিয়ে আপনার রসাত্মক মন্তব্যে প্রীত হলাম। আমার একজ্যাক্ট নামটি মনে নেই তবে গিনেসবুকে ছোট্ট চিঠি হিসেবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এক সাহিত্যিক ও তার publisher এরমধ্যে আদান-প্রদান হওয়া চিঠিটিই হ্রস্বতম চিঠি বলে স্বীকৃতি পেয়েছে।যেখানে সাহিত্যিক জানতে চেয়েছিলেন তার বইয়ের বাজার কেমন চলছে, একটি মাত্র বিস্ময়সূচক চিহ্ন দিয়ে। প্রতিউত্তরে পাবলিশার্সও অকল্পনীয় বাজার চলছে জানিয়ে আরেকটি বিস্ময়সূচক চিহ্ন দিয়ে চিঠি পাঠিয়েছিলেন। তবুও আপনি গল্পের বিশেষ এই দিকটি নিয়ে ভেবেছেন বলে খুশি হলাম। আবারো ধন্যবাদ আপনাকে।

এবার আসি পোস্টটির সমকালীন এটি অপ্রীতিকর বিষয় প্রসঙ্গে। হ্যাঁ সে সময় খুব খারাপ লাগলেও পরে বিষয়টার সঙ্গে হ্যাবিচুয়েটেড হয়ে গেছি। জীবনে চলার পথে প্রতিনিয়ত আমরা পলিশ হচ্ছি। নানান বাঁধা আসবে কিন্তু নিজেকে অবিচল থেকে লক্ষ্যে পৌঁছাতে হবে। এ প্রসঙ্গে আপনার সুন্দর সাজেশনের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এখন অবশ্য সবকিছু আবার আগের মত হয়ে গেছে।

পোস্টের শব্দ সংখ্যার তুলনায় গল্পের পরিমাণ কম হলেও, আপনার কাছে মৌলিক লেখা মনে হওয়াতে এবং পোস্টটিতে like' করাতে ও ডাবল প্লাসে অনুপ্রাণিত হলাম। কৃতজ্ঞতা স্যার আপনাকে।

বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা জানবেন।

৩৮| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৪৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: নতুন নকিব, মা.হাসান, নীল আকাশ, মুক্তা নীল, মাহমুদুর রহমান সুজন, ল, আনমোনা, আখেনাটেন, আরোগ্য, জুন, রাকু হাসান প্রমুখের মন্তব্যগুলো ভাল লেগেছে। আপনার প্রায় সবগুলো প্রতিমন্তব্যই ভাল লেগেছে, তবে ৩৪ নম্বরটা একটু বেশী। বিশেষ করে "আমি ভীষণভাবে হেরে পথ চলার পক্ষপাতী" কথাটা। +

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:২০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বরাবরের মতো ভালো লাগা কমেন্ট গুলোকে সম্মান জানিয়ে আপনার আবার মন্তব্যে আসাতে প্রীত হলাম। ধন্যবাদ আপনাকে। হ্যাঁ স্যার নকিব ভাই, মা হাসান ভাই, নীল আকাশ ভাই, ছোট বোন মুক্তা নীল, সুজন ভাই, লতিফ ভাই, আনমোনা আপু, আখেনাটেন ভাই, প্রিয় আরোগ্য, জুনাপু ও ছোট ভাই রাকু হাসান প্রমুখের মন্তব্য খুব ভালো হয়েছে। বেশিরভাগ প্রতিমন্তব্যগুলোও আপনার কাছে ভালো লাগাতে খুশি হলাম। ধন্যবাদ স্যার আপনাকে।
আর উল্লেখিত কথাটি আমার মত সর্বস্থানে হেরো পার্টির পক্ষে মনকে সান্ত্বনা দেওয়া আরকি।
সবশেষে সুন্দর বিচার বিশ্লেষন ধর্মী, অনুকরণীয় মন্তব্য রেখে যাওয়াতে মুগ্ধতা।
বিনম্র শ্রদ্ধা আপনাকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.