নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি আমার নিরক্ষর কিন্তু বুদ্ধিমতী মায়ের কাছ থেকে এই শিক্ষাই পেয়েছিলাম,যথাযথ কর্তব্য পালন করেই উপযুক্ত অধিকার আদায় করা সম্ভব। - মহাত্মা গান্ধী

পদাতিক চৌধুরি

হাই,আমি পদাতিক চৌধুরী।পথেঘাটে ঘুরে বেড়াই।আগডুম বাগডুম লিখি। এমনই আগডুম বাগডুমের পরিচয় পেতে হলে আমার ব্লগে আপনাদেরকে স্বাগত।

পদাতিক চৌধুরি › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাজদেওড়ার জঙ্গলে (শততম পোস্ট) পর্ব-১

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:২৮



রাজদেওড়ার জঙ্গলে (পর্ব-২)

ছুটি পড়লেই ভ্রমণের নেশা বাঙালি মাত্রই কমবেশি সবারই আছে। ভালো বা মন্দ যাইহোক, আমিও সেই অভ্যাস থেকে ত্রুটিমুক্ত নই। কতটা উপভোগ করি জানিনা তবে মনোরাজ্যকে কর্মের একঘেয়েমি থেকে সাময়িক স্বস্তি দিতে মাঝে মাঝে পরিবার নিয়ে বেরিয়ে পরি অজানা অচেনার জগতে। মাঝের কয়েক বছর সমুদ্রপাড়ে আস্তানা গাড়লেও এবারের গন্তব্যস্থল ছিল পশ্চিম দেশের পাহাড়-জঙ্গল।

সদ্য সমাপ্ত গ্রীষ্মবকাশে এমনই বায়ু সেবনের উদ্দেশ্যে আমরা রওয়ানা দিই বর্তমান ঝাড়খন্ড রাজ্যের রাজধানী রাঁচি -হাজিরবাগের উদ্দেশ্যে। যদিও আমাদের ভ্রমণটি ছিল মূলতঃ হাজারীবাগ শহরকেন্দ্রিক। স্থির ছিল হাজারীবাগ শহরের অন্যতম দর্শনীয় স্থানগুলোর সৌন্দর্য উপভোগ করে ফেরার পথে রাঁচি দর্শন করার। উল্লেখ্য পাঠকদের জ্ঞাতার্থে জানিয়ে রাখি, বাংলাদেশে পাবনা শহরের যে জন্য সুনাম আছে ভারতের রাঁচি ঠিক তেমনই একটি শহর। বিয়াল্লিশের দোরগোড়ায় গিয়ে পিটুইটারি গ্ল্যান্ডের বিভিন্ন নাট বল্টু গুলোকে যথেষ্ট লুজ অনুভব করায় লেখকের রাঁচি দর্শনের দুর্নিবার আকর্ষণ ছিল।যদিও পরিবার লেখক মহোদয়কে কতটা সহযোগিতা করবেন সে বিষয়টি স্পষ্ট হবে আগামী পর্বগুলিতে। সিরিজের উপরি পাওনা শহর থেকে তেরো কিলোমিটার দূরে নানান অভিজ্ঞতায় ভরা রাজদেওরার জঙ্গলে সপরিবারে নিশিযাপন। যাইহোক বিচিত্র ভ্রমণ অভিজ্ঞতার সঙ্গে রাঁচি সার্ভিস সেন্টার থেকে কতটা নিজেকে টিউনিন করতে পেরেছিলেন তা জানতে হলে পাঠকবর্গকে এই সিরিজের চোখ রাখতে অনুরোধ করা হচ্ছে। কোনভাবেই মিস করলে কতৃপক্ষ দায়ী থাকবে না।


গত ০৭. ১০.১৯ তারিখে আমরা নির্ধারিত সময়ের দেড় ঘণ্টা আগে শিয়ালদা স্টেশনে মিলিত হই। আমার আরো দুই সহকর্মীসহ এবারের ভ্রমণে সদস্য সংখ্যা ছিল মোট নয় জন। ট্রেন ছিল শিয়ালদহ আজমীর শরীফ এক্সপ্রেসের; নির্ধারিত সময় ছিল রাত১০:৫০মিনিট। উল্লেখ্য সময়ের আধা ঘন্টা আগেই ট্রেনটি ৯/A প্লাটফর্মে ঢুকে যায়। স্টেশনে ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে আমরাও নিজেদের লটবহরগুলো চেকিং এর জন্য অপেক্ষমান নিরাপত্তারক্ষীদের সামনে তুলে ধরি। প্লাটফর্মে ঢোকার ছাড়পত্র পেয়ে আমরা নির্দিষ্ট কম্পার্টমেন্টে উঠে পড়ি ও নিজ নিজ আসন চিহ্নিত করি। প্রাথমিক ব্যস্ততার অবসান ঘটিয়ে আমরা যে যার লটবহরগুলো আসনের নিচে সংরক্ষণ করি। কিছুক্ষণের মধ্যেই ট্রেন যাত্রা শুরু করে। আমরা তিনটি পরিবার আরও আধঘন্টা নিজেদের মধ্যে পরবর্তী দিনের কর্মসূচি নিয়ে আলাপ-আলোচনা সেরে যে যার আসনে শুয়ে পড়ি। দেখতে দেখতে ট্রেনের গতি ততক্ষণে হু হু করে বৃদ্ধি পেতে থাকে। বাইরে থেকে সমানতালে পাল্লা দিতে থাকে বাতাসের সুতীব্র আনাগোনা। প্রবল বেগে ধাবমান বাতাসের সঙ্গে ট্রেনের নিজস্ব প্রবল গতি মিশিয়ে উদ্ভূত পরিবেশ নিজের মনকে করে তোলে দোলায়িত। নিরবে প্রত্যক্ষণ করতে থাকি এক ভালোলাগা অনুভূতির। ক্লান্তি কখন যে চেপে বসেছিল তার খেয়াল ছিলনা।স্বপ্ন দেখতে থাকি কি যেন কাঁধে হাত দিয়ে ডাকছে। কিন্তু সেটা যে বাস্তব কিছুক্ষণের মধ্যে সম্বিৎ ফেরে। চোখ মেলে চেয়ে দেখি কালো কোট পরিহিত টিকিট পরীক্ষক টিকিট দেখতে চাইছেন। আমি ধড়ফড় করে উঠে বসলাম।ঘুমের মধ্যে কোথায় টিকিটটা রেখেছি ঠিক মনে করতে পারছিলাম না। তন্দ্রালু চোখে কয়েকটি জায়গায় হাতড়িয়ে না পেয়ে ঘাবড়ে গেলাম। ভালো করে আবার চোখ ঘষে নিলাম। হ্যাঁ মনে পড়ল, আমারই মাথার নিচে রাখা ছোট কালো ব্যাগের মধ্যে যে টিকিটগুগলো গুছিয়ে রাখা আছে। টিকিটের প্রতিলিপিটা দেখালেও উনি আর আসলটা দেখতে চাইলেন না। আমার পরপরই অন্যান্য যাত্রীরাও ওনাকে টিকিট দেখাতে লাগলেন। আশেপাশে উঁকি মেরে দেখলাম আমাদের দলের সবাই ততক্ষণে নিজ নিজ সিটে বসে আছেন।কিছুক্ষণের মধ্যে টিকিট পরীক্ষক টিকিট পরীক্ষার কাজ সমাধা করে ট্রেনের লাইট অফ করে গাত্রোত্থান করলেন। আমারও আবার শুয়ে পরলাম যে যার আসনে।

দ্বিতীয়বার শুয়ে পড়লেও নিদ্রাদেবী আর সহজে ধরা দিলেন না। আমার অবস্থান ছিল আপার বাথ। কাজেই সেখান থেকে আবছা অন্ধকারে নিচে লটবহর গুলোর অবস্থান ঠিকঠাক আছে কিনা দেখে নিলাম। যতদূর দৃষ্টি যায় চোখ তুলে দেখলাম আমার মত নিদ্রাহীন আর কেউ আছে কিনা মনে হলো না। এরমধ্যে কখন যে নিদ্রার জগতে গেছিলাম তার খেয়াল ছিলনা। পাশের বাথ থেকে স্ত্রীর ডাকে ঘুম ভাঙলো, পুত্রকে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেওয়াতে নিয়ে যেতে হবে। অগত্যা উপর থেকে নিচে নামলাম পুত্রকে জলবিয়োগ করাতে। কর্তব্য পালন করে আবার নিজ অবস্থানে শুয়ে পড়ি। চোখে ততক্ষণে গভীর নিদ্রা চলে এলেও এবার ঘুমোতে সাহস পেলাম না। ঘড়িতে ততক্ষন দেখলাম তিনটা পনেরো মিনিট হয়েছে। যেহেতু ট্রেনটি ছিল আজমির শরিফ এক্সপ্রেস, মাঝে ঝাড়খণ্ডের কোডার্মা জংশনে আমাদের নামতে হবে যার সিডিউল টাইম ছিল সাড়ে চারটা। কাজেই প্রাণপণ চেষ্টা করলাম আর না ঘুমানোর। পাশের বাথে আমার শ্রীমানের ঘন ঘন নাক ডাকানিতে তার স্বপ্নের জগতের গহীনে প্রবেশের পরিচয়ে বেশ উৎফুল্ল হলাম। জানি সারা দিন বেচারার উপর অনেক ধকল গেছে। আজ ট্রেন থেকে নামার পর সারাদিন কিভাবে কাটবে তার আগাম অনুমান করে কিছুটা ঘুমানোয় নিশ্চিন্ত বোধ করলাম। এমন সময় স্রেফ খেয়াল বসতো ব্রাউজারে ক্লিক করতেই প্রিয় সামু ব্লগের দেখা পেলাম। আলোচিত ব্লগে পাঁচটি পোষ্টের মধ্যে নিমেষে চোখে পড়লো প্রিয় ছোট ভাই রাকু হাসানের 'মুক্তির নাভিশ্বাস' পোস্টটি। পাশের বন্ধুবর ততক্ষণে গুগল সার্চ করে জানাল যে আমরা কোডার্মা স্টেশন থেকে মাত্র দশকিমি দূরে। সুতরাং চটপট প্রস্তুতি নিলাম সদলবলে ট্রেন থেকে নামার।


কোডার্মা স্টেশনে যথা সময়ে নামলেও পূর্ব সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অতটা ভোরে স্টেশন না ছাড়ার সিদ্ধান্তে প্রায় সকলেই সীলমোহর দেয়। ইত্যবসরে আমরা যে যার ব্যাগপত্র থেকে পেস্ট ব্রাশ বার করে হাত মুখ ধোয়ার কাজটি সম্পন্ন করে কিছুটা প্রাতঃভ্রমণও সেরে নিই। উল্লেখ্য সেদিন ভোরের স্নিগ্ধ পরিবেশে জনহীন সুবিস্তৃত প্লাটফর্মে পদব্রজের যে সুখানুভূতি তা কথায় অনির্বচনীয়। অস্বীকার করতে পারবনা যে তা মনরাজ্যে বহুদিন অনুরণিত হবে। স্টেশনে একটি টি-স্টল থাকলেও আমাদের দলপতি শ্রদ্ধেয় সহকর্মী শ্রীযুক্ত রঘুনাথ দে মহাশয়ের পরামর্শে সম্ভাব্য প্রকৃতির ডাককে উপেক্ষা করার জন্য আমরা চা-যোগের লোভনীয় সিদ্ধান্ত থেকে দলমত নির্বিশেষে পিছিয়ে আসি।এভাবে আরো প্রায় দেড় ঘণ্টা কাটিয়ে অবশেষে আমরা সদলবলে স্টেশনের দুনম্বর পার্কিং জোনে চলে আসি, যেখানে হোটেলের পক্ষ থেকে আমাদের জন্য নির্দিষ্ট স্করপিও গাড়ি পার্কিং করা ছিল। উল্লেখ্য ট্রেনটির সিডিউল টাইম ভোরবেলা হাওয়ায় ও নির্দিষ্ট সময়ে আসায় চালক তখন থেকেই নাকি আমাদের জন্য অপেক্ষা করছিল। ওর সঙ্গে পরিচয় পর্ব সেরে লটবহরগুলোকে গাড়ির মাথায় তুলে আমরা ভিতরে বসে পড়লাম। এবার আমাদের গন্তব্যস্থল হোটেলটি একশো কিমির অধিক হবে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য নিকটবর্তী স্টেশন থেকে হোটেলের দূরত্ব একশো কিমি বা তার অধিক দূরত্বে ভ্রমণ করার অভিজ্ঞতার সঙ্গে ইতিপূর্বে আমরা সবাই কমবেশি পরিচিত। কাজেই সামান্যতম বিচলিত না হয়ে চালককে পথে দু-একবার বাচ্চাদের জন্য জল-বিয়োগের আগাম অনুমতি নিয়ে রাখলাম।

পথিমধ্যে স্নিগ্ধ প্রভাতে গাড়ির একটার পর একটা ভোজপুরি গান নতুন স্থানটিকে আমাদের কাছে আরো আকর্ষণীয় করে তুলেছিল। গাড়ি গতিবেগও কখনো কখনো আশি-নব্বই কিমি প্রতি ঘন্টায় ছুঁই ছুঁই হবে। এমন সময় সুবিস্তৃত টলটলে জলরাশির উপরে চোখ আটকে গেল। আমাদের আনন্দের আতিশয্যে চালক সুবিধামতো স্থানে গাড়ীটা দাঁড় করালো। চারিদিকে সবুজে মোড়া সুবিস্তৃত জলাধারটি দেখে কচিকাঁচারাও পর্যন্ত চিৎকার করে উঠলো। কয়েকজন চলে গেল পার্শ্ববর্তী ঝোপের মধ্যে প্রকৃতির ছোট ডাকে সাড়া দিতে। চালককে জলাধারটির নাম জিজ্ঞেস করতেই হিন্দিতে কি যে বলল বুঝতে পারলাম না। গুগল সার্চ করে দেখলাম সুন্দর জলাধারটি বরাকর নদীর উপর অবস্থিত'তিলাইয়া ড্যাম'। আমরা ততক্ষনে বেশ কিছুটা সময় কাটিয়ে ফেলেছি; এখনো অনেক পথ যেতে হবে। চালক সে কথা মনে করিয়ে দিতেই আবার উঠে পড়লাম গাড়িতে। আরো প্রায় চল্লিশ মিনিট পরে আমরা আমাদের নির্দিষ্ট হোটেল 'মনোকামনা'তে পৌঁছে যাই।


হোটেলের আচরণটি বড় বিচিত্র লেগেছিল।আমরা আগে থেকে ইনফর্ম ছিলাম যে এই হোটেলের চেক ইন বা চেক আউটের কোন ধরাবাঁধা নিয়ম নেই। কাজেই সকালে পৌঁছেও রুম পেতে অসুবিধা হবে না বলে কিছুটা নিশ্চিত ছিলাম।কিন্তু বাস্তবে সেখানে পৌঁছে হোটেলের পক্ষ থেকে আমাদের দিকে কোনো সৌজন্য প্রদর্শন না করাতে বেশ কিছুক্ষণ বাইরে অপেক্ষা করে অবশেষে নিজেরাই উদ্যোগী হলাম রিসিপশনে যোগাযোগ করতে। আমাদের লটবহর ততক্ষণে বাইরে ডাই করে রাখা।বেশ কিছুক্ষণ ডাকাডাকির পর অবশেষে তোয়ালে পরিহিত এক কর্মী বেরিয়ে এলো। চোখ ঘষতে ঘষতে নেমে এসে আমাদের লটবহরগুলি উপরে তুলে নিয়ে দোতলার করিডোরে দাঁড় করাল। আমরাও তাকে অনুসরণ করে লটবহরকে ঘিরে দাঁড়িয়ে রইলাম।তিনটি পরিবারের জন্য তিনটি রুম বরাদ্দ হলো বটে কিন্তু দুটো রুম আমাদের পছন্দ না হওয়ায় বিকল্প রুম দিতে তাকে অনুরোধ করলাম। আমাদের অপেক্ষা করতে বলে সে চলে গেল।উল্লেখ্য গোটা হোটেলে আমরা ছাড়া অন্য কোন গেস্ট আছে বলে মনে হলো না।দেখতে দেখতে আমাদের অপেক্ষার প্রহর আধ ঘন্টার বেশি হয়ে গেলেও তার না আসাতে আমরা বিরক্ত হয়ে পড়লাম।আগ্রহ বশত দু'পা এগিয়ে গিয়ে ডান দিকের একটি ঘরে উঁকি মারতেই দেখি তোয়ালে পরিহিত কর্মীটি আরও তিনজনের সঙ্গে চলে গেছে স্বপ্নের জগতে। ওকে তন্দ্রা দশায় আবিষ্কার করতে পেরে হতাশার অবাকই হলাম বেশি।আমরা যার জন্য অপেক্ষা করছি, আর সে কিনা নিশ্চিন্তে ঘুমাচ্ছে! এমন বিরক্তের মধ্যেও এই বিশেষ মুহূর্তের সাক্ষী থাকতে আমাদের দলের সকল সভ্য ছুটে গেল তাকে দেখতে।দরজার সামনে সকলের সমবেত কোলাহলে তিনজনেরই উঠে বসলো। বাকি দুজন ওকে হিন্দিতে কিছু একটা বলতেই রাগে গজরাতে গজরাতে চলে এলো আমাদের রুম দিতে। আমরা অবশ্য ওর রাগকে আমল না দিয়ে পছন্দমতো তিনটি ঘর পেয়ে নিজেদের মধ্যে লটারি করে রুমে ঢুকে পড়ি।


যেহেতু হোটেলটি ফুডিং এন্ড লজিং সুবিধা যুক্ত। কাজেই আধঘণ্টার মধ্যে ফ্রেশ হয়ে নিচে ডাইনিং রুমে চলে আসি। উপস্থিত দুজন কর্মীকে দেখে সকালের ব্রেকফাস্ট সম্পর্কে খোঁজখবর নেই। কিন্তু মেনু চার্ট হাতে নিয়ে চোখ কপালে ওঠার উপক্রম। এক কাপ চা চল্লিশ টাকা। কফি ষাট টাকা। এগরোল একশো টাকা।আমরা উপস্থিত তিনজন একে অপরের মুখ চাওয়াচাওয়ি করে বুঝতে পারি এখানে আর সময় দেওয়া অযৌক্তিক। আসছি বলে বেরিয়ে এসে দ্রুত হোটেলের উল্টোদিকে 'অতিথি' নামে অপেক্ষাকৃত ছোট একটি রেস্টুরেন্টে হাজির হই। চলমান রেষ্টুরেন্টটিতে বেশ জনসমাগম দেখে শুরুতেই মনে আশা সঞ্চার হয়েছিল। সুবিধামতো একটি টেবিলে বসে মেনু চার্ট হাতে নিয়ে বেশ খুশি হলাম। এখানে খাবারের দাম যৌক্তিক। চা দশ টাকা, কফি কুড়ি টাকা। আর সময় নষ্ট না করে, নানারকম অজানা খাবারের মাঝে পরিচিত পরোটা ও মিক্স পনির অর্ডার করি।তৃপ্তি সহকারে মধ্যপ্রদেশ শান্ত করে আমরা স্থানীয় দুটি অটো রিজাভ করে সাইটসিন উদ্দেশ্যে রওনা দেই। প্রথমেই আমরা সেদিন পৌঁছায় হোটেল থেকে চার কিমি দূরত্বে কানারি হিলসে।ক্যানারি হিলসের এক্কেবারে পদদেশে অটো থেকে নেমে সাপের মত আঁকাবাঁকা সিঁড়ি বেয়ে আমরা ক্রমশ উপরে উঠতে থাকি।


এবারে কিছু ছবি দেখে নেওয়া যাক-
১-পরপর দুটি ছবি:-কোডার্মা- হাজারীবাগ রোডে অবস্থিত বরাকর জলাধার

২-

৩-আমাদের হোটেলের পাশে দেখা ভদ্রমহিলাকে একটু ব্যতিক্রমী মনে হয়েছিল। আগ্রহ ভরা দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিলেন আমাদের দিকে। আমি মনের মুখের চাহনি দেখে কুড়ি টাকা দেই। সঙ্গে ছবি তোলার সুযোগ পেয়ে ভীষণ খুশি হয়েছিলেন...

৪-যদিও ইতিপূর্বে ছবি ব্লগে পরিচয় করেছি হাজারীবাগ শহর -

৫- ছবিতে আমি ওনাদের সঙ্গে নেই; হাজারীবাগে অবস্থানকালে-

৬- ক্যানারি হিলসের উপরে ওঠার সিঁড়ি-

৭-ক্যানারি হিলসের অন্য একটি দিক-

৮- শহরের আঁকাবাঁকা রাস্তা -

৯-ক্যানারি হিলস থেকে একটু দূরে হাজিরবাগ ঝিলের একটি দৃশ্য-

১০-এক পাহাড়ি সুন্দরী-

চলবে.....

শততম পোষ্টে সকল পাঠককের উদ্দেশ্যে আমার পক্ষ থেকে রইল আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

মন্তব্য ৭৮ টি রেটিং +১৯/-০

মন্তব্য (৭৮) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৫০

ইসিয়াক বলেছেন: আবারো প্রথম

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:৫৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপনাকে প্রথমে দেখে আমিও আনন্দিত। ধন্যবাদ জানাই আপনাকে।
শুভকামনা জানবেন।

২| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৫২

নুরহোসেন নুর বলেছেন: শততম পোস্টে মন্তব্য রেখে গেলাম।
ভ্রমন কাহিনী তো নয় যেন নিজেই ভ্রমনে বেরিয়েছি,
চমৎকার সাজিয়ে লিখেছেন।
ভাল লাগলো।
ধন্যবাদ, পরবর্তী পর্বের অপেক্ষারত....

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:০০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় নুরহোসেন ভাই,

শততম পোস্টে মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে। কাহিনী ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। আবারো ধন্যবাদ আপনাকে।
পরবর্তী পর্বের জন্য আগাম আমন্ত্রণ জানিয়ে রাখলাম।
শুভকামনা জানবেন।

৩| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:০৭

ইসিয়াক বলেছেন: বেশ গোছানো লেখা যা আপনার স্বভাব সুলভ......। প্রথম দিকে দু’জায়গাতে টাইপো আছে।
যাত্রাপথের তুলনা মূলক খরচাপাতির হিসাব কি পাওয়া যেতে পারে?
যাহোক,
অনেক করে সকলের জন্য শুভকামনা।
শুভরাত্রি

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:১৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় ইসিয়াক ভাই,

পোস্টটি সাজানো গোছানো মনে হওয়াতে আনন্দ পেলাম। দুটি স্থানের টাইপোটি ঠিক চোখে পড়ছে না। প্লিজ একটু উল্লেখ করুন।
আপনি খরচাপাতি জানতে চেয়েছেন। আমাদের তিনজনের মোট খরচ হয়েছিল একুশহাজারের সামান্য বেশি।
আপনার শুভকামনা গ্রহণ করলাম।
আপনার জন্যও রইল অফুরান শুভেচ্ছ।

৪| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ২:৪৭

আরোগ্য বলেছেন: প্রিয় ভাইটি,
আপাতত শততম পোস্টের শুভেচ্ছা রাখো। কেবল ছবিগুলো দেখে লাইক দিলাম। পড়া শেষ করে আবার সময় করে মন্তব্য করবো।

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:২০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল প্রিয় আরোগ্য। শততম পোষ্টে তোমার উদ্দেশ্যেও রইল আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা এবং অভিনন্দন। অপত্য ছবি দেখে লাইক দিয়েছো।ধন্যবাদ তোমাকে। পরে পোস্টটি পড়ার সময় হলে আবার কমেন্টে আসবে আশা করি।
নিরন্তর শুভেচ্ছা তোমাকে।

৫| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৯ ভোর ৬:১৯

ইসিয়াক বলেছেন: শততম পোস্টের শুভেচ্ছা রইলো........
সুপ্রভাত

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:২৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হাহাহা.. শততম পোষ্টে আপনার শুভেচ্ছা হৃদয়ভরে গ্রহণ করলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম; কৃতজ্ঞতা জানবেন।

শুভকামনা প্রিয় ইসিয়াক ভাইকে।

৬| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:২১

রাজীব নুর বলেছেন: ১০০ তম পোষ্টে অভিনন্দন!

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:২৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় ছোট ভাইকে।

আপনার জন্যও রইলো অফুরান শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা।

৭| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:৩৯

হাবিব বলেছেন: দারুণ একখান পোস্ট। আপনার সাথে ব্লগীয় সম্পর্ক আরো মজবুত হোক

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:২৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আহা এমন করে ভালো বললে যে উদাসী হয়ে পড়ি।হাহা হা...
আপনার এমন সুন্দর আহ্বানে আনন্দ পেলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
শুভকামনা জানবেন।

৮| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:২৫

জুন বলেছেন: প্রথমেই জানাই শততম পোস্টের জন্য অভিনন্দন পদাতিক।
আপনার রাজদেওড়ার জংগল আমাকেও টেনে নিয়ে গেল হাজারীবাগ। প্রিয় লেখক সুবোধ ঘোষের লেখায় এই হাজারীবাগ আর রাচির কথা কত শতবার পড়েছি তার ইয়াত্তা নেই। মন চেয়েছে যেয়ে একবার ঘুরে আসি। স্বাস্থ্য সচেতন বাংগালীদের স্বাস্থ্য উদ্ধারের জন্য বছরে একবার সেখানে যাওয়া, সেই পাহাড়, সেই ঝর্না, তার মাঝে মাঝে সহজ সরল প্রেমের উতপত্তি আর সাথে যার সুন্দর সমাপ্তি। এবার দেখবো আপনার চোখে আর লেখায়।

ভালোলাগা রইলো :)
+

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৩৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল শ্রদ্ধেয়া আপুনি। আপনার সুন্দর মন্তব্যে প্রীত হলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ পশ্চিম দেশের পাহাড় জঙ্গল নিয়ে সাহিত্যের পাশাপাশি বিভিন্ন মুভিতেও যথেষ্ট কদর ছিল এবং আছেও। বিভূতি ভূষণ বন্দোপাধ্যায়ের রচনায় আমরা ঘাটশিলা মধুপুরের নিজের সুপেয় জলের পরিচয় পাই বাস্তবে কিন্তু আমরা গিয়ে জল কিনেই খেয়েছিলাম। সাঁওতাল পরগনায় রাজা দবরু পান্নার এলাকার পরিচয় অসম্ভব ভালো লাগা অনুভূতি কাজ করেছিল।
সুবোধ ঘোষের লেখা পড়ে স্থানটির অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ জানাই।পরবর্তী পর্বগুলোতে এমনই ঝর্ণা, জঙ্গলের বিস্তৃত বিবরণ দেওয়ার ইচ্ছা আছে। আশাকরি আপনাকে বরাবরই পাশে পাবো।

আপনি একজন ভ্রমণ তৃষ্ণাত্ব মনের মানুষ। সারা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছুটে বেড়ান মনের তৃষ্ণায়। যদি সম্ভব হয় তাহলে একবার ঘাটশিলা মধুপুর হাজারীবাগে আসতে অনুরোধ করবো। আশা করি আপু স্থানটি আপনার ভীষণ ভালো লাগবে।

আপনার ভাললাগা সুন্দর ইমো, ও লাইক প্রদানে অনুপ্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।

শ্রদ্ধা ও শুভকামনা প্রিয় আপুকে।


৯| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:০৫

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: শততম পোস্ট অভিনন্দন আর ভালোবাসা নিন।
ভ্রমণ ব্লগ দেখে আপনার সাথে ঘুরে এলাম। +++

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৩৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ধন্যবাদ সৌরভ ভাই শততম পোষ্টে আপনার ভালোবাসায় সিক্ত হলাম।
ভ্রমণ ব্লগে আপনাকে নিয়ে ঘুরে আসতে পেরে আমিও আনন্দিত। আপনার ট্রিপল প্লাস ও পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
নিরন্তর শুভকামনা আপনাকে।

১০| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:১৭

কনফুসিয়াস বলেছেন: শততম পোষ্টের শুভেচ্ছা দাদা।

অনেক সাজিয়ে গুছিয়ে লিখা। নুরহোসেন নুর ভাইয়ের সাথে একমত। যেন নিজেই ঘুরতে বেরিয়েছি। ধন্যবাদ।

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৩৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় কনফুসিয়াস ভাই,

যদিও আপনি ব্লগে ইতিমধ্যে দুই বছরের অধিককাল অতিক্রান্ত করেছেন কিন্তু আমার কোন পোস্টে আপনার প্রথম কমেন্ট; সু- স্বাগতম আপনাকে। লেখাটি সাজানো-গোছানো মনে হওয়াতে ও আপনাকে সঙ্গে নিয়ে ঘুরতে পারাতে পুলকিত হলাম; ধন্যবাদ আপনাকে। পোস্টটিতে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম; কৃতজ্ঞতা জানবেন।

নিরন্তর শুভকামনা আপনাকে।

১১| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৪২

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম।
শুধু মাত্র ছবি গুলো দেখতে।

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ছোট ভাইয়ের আবার আগমনে আনন্দ পেলাম। হোক সেটা ছবি দেখা তবুও তা সমান আনন্দের বৈকি। ধন্যবাদ ভাইকে।
শুভেচ্ছা অফুরান।

১২| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৯

জুল ভার্ন বলেছেন: শততম পোস্ট অভিনন্দন ও শুভ কামনা।
যথারীতি ভালো লেগেছে।
+

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:০৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শ্রদ্ধেয় ভাইজান,

আপনার আগমনে আনন্দ পেলাম। পোস্টটি ভাল লাগাতে খুশি হলাম। শততম পোষ্টে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা গ্রহন করলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
পোস্টটিতে like' করাতে প্রেরণা পেলাম; কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শ্রদ্ধা ও শুভকামনা আপনাকে।

১৩| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:০৯

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: বাপরে! একশো টাকার এগরোল।
এরকম ভ্রমণকাহিনী পড়লেই সোজা ঘুরতে চলে যেতে ইচ্ছে করে!

সেঞ্চুরি! অভিনন্দন!

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:১৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হাহাহাহাহা অবিশ্বাস্য হলেও 100% সত্য। 100 টাকার এগরোল আমি আমার লাইফে কোনদিন শুনিনি এখনও পর্যন্তও।
ভ্রমণকাহিনী পড়ে ঘুরতে যেতে ইচ্ছা হচ্ছে যখন তাহলে আর দেরি নয় সময়-সুযোগ করে একদিন চলেই আসুন।
পৌষ্টিকে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম ; কৃতজ্ঞতা জানবেন।

নিরন্তর শুভকামনা আপনাকে।

১৪| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:২৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আগের ছবি ব্লগটি ছিল নুন ছাড়া সালুন ;)

এখন বর্ণার গুনে, নুনে ফিরে পেল প্রাণ :) :P
হা হা হা

চলুন ঘরে আসি -- তারপর?

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৩২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শ্রদ্ধেয় কবি ভাই,

আপনার আন্তরিক মন্তব্যে মুগ্ধ হলাম। ঠিকই বলেছেন আগের ছবি ব্লগের সালুন দশার কথা। হাহাহা....

পোস্টটি আপনার ভাল লাগাতে আনন্দ পেলাম; ধন্যবাদ আপনাকে।
পরবর্তী পর্বের জন্য আগাম আমন্ত্রণ জানিয়ে রাখলাম।
পোস্টটিতে like' করাতে প্রেরণা পেলাম; কৃতজ্ঞতা জানবেন।
নিরন্তর শুভকামনা আপনাকে।

১৫| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৫৭

আসোয়াদ লোদি বলেছেন: মনে হল বিনে পয়সায় ভ্রমণ করে আসলাম।

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৩২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সুপ্রিয় ব্লগার,

আমার কোন পোস্টে আপনার প্রথম মন্তব্য সু-স্বাগতম আপনাকে। পোস্টটি পাঠ করে আপনার সুন্দর অনুভূতির পরিচয় পেয়ে খুশি হলাম। আপনাকে সঙ্গে নিতে পেরে আমিও আনন্দিত। ধন্যবাদ আপনাকে।

শুভকামনা জানবেন।

১৬| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:২২

কিরমানী লিটন বলেছেন: অভিনন্দন রইলো - শততম পোষ্টে - আপনার লিখায় একের ভিতর অনেক কিছু পাই। ছবিগুলোতো স্পেশাল পাওয়া। ভালোবাসা আর শুভেচ্ছা জানবেন।

++++++++++

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৩৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শততম পোস্টে আপনার শুভাশিস অন্তর থেকে গ্রহণ করলাম প্রিয় কিরমানী ভাই। ধন্যবাদ আপনাকে। আমার লেখার সাথে ছবিগুলো স্পেশাল মনে হওয়াতে পুলকিত হলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
পোস্টটিকে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।

নিরন্তর শুভেচ্ছা আপনাকে।

১৭| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৩৫

তারেক ফাহিম বলেছেন: শততম পোষ্টে অভিনন্দন।

এমন করে শত সহস্র পোষ্ট আসতে থাকুক।

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:০০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: অনেকদিন পর আপনার মন্তব্য পেয়ে আনন্দ পেলাম প্রিয় ফাহিম ভাই। আপনার অভিনন্দন অন্তর থেকে গ্রহণ করলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।‌

শুভকামনা জানবেন।

১৮| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:২৮

রাজীব নুর বলেছেন: দাদা মেঘ কি নতুন কিছু লিখেছে??
নতুন কোনো ধারাবাহিক শুরু করুন।

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:১৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় ছোট ভাইয়ের এভাবে খোঁজ নেওয়ায় আপ্লুত হলাম ধন্যবাদ ভাইকে। হ্যাঁ ও আরো দুটি কবিতা ইতিমধ্যে লিখেছে। তবে পড়াশোনা সব লাটে ওঠার উপক্রম। আর আমার লক্ষ্য আপাতত ভ্রমণ কাহিনীটি। ওটা শেষ করে আবার একটি ধারাবাহিক শুরু করবো।
পরীক্ষার খাতা নিয়ে নাভিশ্বাস অবস্থা, যে কারণে প্রতিমন্তব্য দিতে দেরি হওয়া।
শুভকামনা প্রিয় ছোট ভাইকে।

১৯| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ২:৪৮

মুক্তা নীল বলেছেন:
দাদা ,
শততম পোষ্টে ভাললাগা ও শুভেচ্ছা জানিয়ে গেলাম।
ছবি-ব্লগ ও বর্ণনা দৃশ্যপট সবই ভালো লেগেছে । দাদা, (সমন্বিত-২) পড়ে মন্তব্য রেখে এসেছিলাম সেটা মনে হয়
খেয়াল করেননি , একটু দেখে নিয়েন।
ভালো থাকুন দাদা ।

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:১৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় ছোট বোন,

শততম পোষ্টে ভালোলাগা ও শুভেচ্ছা অন্তর থেকে গ্রহণ করলাম। ছবি ব্লগ ও বর্ণনা ভালো লাগাতে খুশি হলাম। ধন্যবাদ প্রিয় ছোট বোনকে। সমন্বিতার মন্তব্যগুলি খেয়াল করেনি এজন্য মনের কাছে আন্তরিকভাবে দুঃখিত এবং ক্ষমাপ্রার্থী। পরীক্ষার খাতার চাপে গতকয়েকদিন ধরে একদম ব্লগে আসার সময় হচ্ছে না। এমনি তে ব্যস্ততা ছিল। কিন্তু এই মূহুর্তে তা মারাক্তক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।একটু সময় নিয়ে প্রতিমন্তব্য করে আসবো।
শুভকামনা প্রিয় ছোট বোনকে।


২০| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৭:০৯

এমজেডএফ বলেছেন: রাঁচির কথা স্বাস্থ্যকর স্থান হিসাবে আগে থেকে কিছু জানতাম। ঝাড়খন্ড নামটি ইতিহাসে পড়েছিলাম, 'ঝাড়খন্ড বনভূমির মাঝ দিয়ে ইখতিয়ারউদ্দীন মুহম্মদ বখতিয়ার খলজী দ্রুততার সাথে নদীয়া আক্রমণ করে লক্ষ্মণ সেনকে চমকে দিয়েছিলেন।' ইদানীং মাঝে মাঝে পত্রিকায় মাওবাদীদের আক্রমণের খবরে ঝাড়খন্ডের নাম চোখে পড়ে। যাই হোক, আপনার ভ্রমণের অভিজ্ঞতা থেকে এখন আরো অনেক কিছু জানতে পারবো।

আপনার ভ্রমণ কাহিনী লেখার শুরুতে ঝাড়খন্ডের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস, ভৌগলিক ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্রতা নিয়ে একটি প্যারা লিখলে আমরা পাঠকরা যেমন উপকৃত হতাম তেমনি আপনার ভ্রমণ কাহিনী ব্যক্তিগত কর্মকান্ডের বর্ণনার পাশাপাশি ঝাড়খন্ড বিষয়ক একটি ফিচারও হয়ে উঠতো। আপনি শিক্ষক হিসাবে অবশ্যই জানেন আমাদের মতো অমনোযোগী ছাত্রদেরকে জ্ঞান দেওয়ার সুযোগ হচ্ছে মজার মজার ঘটনার বর্ণনার মধ্য দিয়ে :)

আমার মনে হয় ভারতের রাজ্যগুলোর মধ্যে ঝাড়খন্ডের বিশেষত্ব হচ্ছে এটি রাজ্য হিসাবে বয়সে নবীন। তাছাড়া এটি বরাকর, দামোদর, ব্রাহ্মণী, বৈতরণী, মহানদী, সুবর্ণরেখা প্রভৃতি নদ-নদী বিধৌত কয়েকটি মালভূমিময় পাহাড় ও উপত্যকা নিয়ে গঠিত। সমগ্র অঞ্চলের রয়েছে একটি বিশেষ সাংস্কৃতিক পরিচিতি এবং এটি মুন্ডা, সাঁওতাল, কোল, ভীল, ওরাওঁ, হো, মাহাতো, সূরী, তেলী, ধোপা, রাজাওয়ার ও অন্যান্যদের নিয়ে অধ্যুষিত।

আপনার শততম পোস্টের সৌভাগ্যবান পাঠক হিসাবে অভিনন্দন জানাচ্ছি। শুভকামনা রইলো।

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৪০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় এমজেডএফ ভাই,

প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি বিলম্বিত উত্তর প্রদানের জন্য।বিগত বেশ কিছু পোস্টে আপনার কমেন্ট দেখে এখন আমার বলতে ইচ্ছা হচ্ছে আপনি হলেন কমেন্ট মাস্টার। এত সুন্দর করে কমেন্ট করেন যে কমেন্টের মাত্রাকে একটা বিশেষ পর্যায়ে নিয়ে গেছেন সে কথা বলা বাহুল্য। আপনার অসম্ভব সুন্দর মন্তব্যে প্রীত হলাম ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি ঠিকই বলেছেন, সুলতানি শাসক কুতুবউদ্দিন আইবকের অনুচর ইখতিয়ারউদ্দিন মোহাম্মদ বিন বখতিয়ার খলজির অতর্কিত বাংলাদেশ আক্রমণের প্রাক্কালে উনি ছোটনাগপুরের বনাঞ্চলের উপর দিয়ে নদীয়ার লক্ষণাবতীতে এসেছিলেন। আর এই বনাঞ্চল হওয়ার কারণে এই বিস্তীর্ণ এলাকা আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থা , শিক্ষাদিক্ষায় অনেকটাই পিছিয়ে। আরে অনুন্নয়নের কারণে মাওবাদী নেটওয়ার্ক বনাঞ্চলের কোথাও কোথাও বেশ সক্রিয়।

ছোটনাগপুরের বিস্তীর্ণ মালভূমি অঞ্চলকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা বনাঞ্চলের সৌন্দর্যের যে পরিচয়পর্ব তুলে ধরার কথা আপনি বলেছেন তা আমার কাছে ভীষণ প্রাসঙ্গিক মনে হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে। পরবর্তী পর্বে এদিকটা কিছুটা উল্লেখ করার চেষ্টা করবো। যদিও আপনার সুন্দর মন্তব্যে অনেকটা অংশ আপনি তুলে এনেছেন।পারলে এই অংশটুকুও পাঠকদের উদ্দেশ্যে আগামী পর্বে পাঠকদের সামনে উল্লেখ করব। আপনার কাছে আগাম অনুমতি নিয়ে রাখলাম। হাহাহা...

পাশাপাশি শততম পোস্টে আপনার উজ্জ্বল উপস্থিতিতে ধন্য হলাম। পোস্টটিতে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম; কৃতজ্ঞতা জানবেন।

নিরন্তর শুভেচ্ছা আপনাকে।



২১| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৪

নীল আকাশ বলেছেন: শততম পোস্ট আমি আগেই দেখে গিয়েছিলাম। আর এখন মন্তব্য করে গেলাম।
এতা ভ্রমণ কাহিনী না বলে মনে হয় ভ্রমণ কাহিনীর প্রিপারেশন বলাই ভালো হতো।
খুব বিস্তারিত ভাবে লিখেছেন। চমৎকার লাগলো পড়তে।
পরবর্তী পর্বের জন্য কতদিন অপেক্ষা করতে হবে?
ধন্যবাদ।

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৪৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় নীল আকাশ ভাই,

হাহাহা... ঠিকই বলেছেন একে ভ্রমণকাহিনীর না বলে, বরং ভ্রমণ কাহিনীর প্রস্তুতিপর্ব বলাই সঙ্গত। বিস্তারিত লাগলেও পোস্টটি পড়ে যে আপনার ভাল লেগেছে তাতে আনন্দ পেলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
পরবর্তী পর্ব আগামী 3-4 দিনের মধ্যে দেওয়ার ইচ্ছা আছে।
পোস্টটিতে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম, কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভকামনা অফুরান।

২২| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৫৫

মনিরা সুলতানা বলেছেন: এই লেখায় ফিরবো :)

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৫৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: কতদিন পরে আপুকে পেলাম। ভীষণ ভালো লাগছে। আপনার আগমনের অপেক্ষায় রইলাম আপু।

নিরন্তর শুভেচ্ছা প্রিয় আপুকে।

২৩| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:০৪

মলাসইলমুইনা বলেছেন: পদাতিক চৌধুরি,
আপনার বর্ণনার সাথেই হাজারীবাগ রাঁচি ঘুরে এলাম । আমি ভাবছি আপনি এতো লক্ষ্য করলেন কেমন করে সব বেড়াবার সময় ! অনেক ছোট বেলায় রাঁচির নাম মনে হয় প্রথম শুনেছিলাম মান্নাদের গানে (কাশ্মীরে নয় , শিলংয়ে নয় /আন্দামান কি রাচিতেও নয় - এটাই গানের কথা না ?) । খুব সুন্দর জায়গাগুলো আপনাদের ভ্রমণের স্পটগুলো । যেই ট্যুর স্পট সিলেক্ট করে থাকুক তার নান্দনিক মনের প্রশংসা করছি । আমাদের দেশের কাপ্তাইয়ের সাথে অনেক মিল আছে আপনাদের বেড়াবার জায়গাগুলোর । এমন কি আমাদের দেশের একমাত্র ইলেক্ট্রিসিটি জেনারেট করার বিদ্যুৎকেন্দ্রটাও কাপ্তাইয়ে যার জন্য বরাকর জলাধারও কাপ্তাই লেকের মতো লাগলো মনে হয় । এখন আমার মনে হচ্ছে উত্তম সুচিত্রার হারানো সুর সিনেমাটার শ্যুটিং রাচিতেই হয়তো করা হয়েছিল । কারণ আপনার দেওয়া কোডার্মা- হাজারীবাগ রোডে অবস্থিত বরাকর জলাধার-এর মতো জায়গা ওই সিনেমায় আছে । এই ড্যামটা কি রাঁচির কাছাকাছি কোথাও ? শত তম পোস্টে হাজার ফুলের শুভেচ্ছা নিন ।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:০৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শ্রদ্ধেয় নাইমুল ভাই,

হাহাহাহা বর্ণনার মধ্যে আপনাকে হাজিরবাগ ভ্রমণের সাথী হিসেবে পেয়ে আপ্লুত হলাম।বেড়ানোর সময়কার বিষয়গুলোকে যদি আপনি নিজেও লিখেন তাহলে দেখবেন ক্রোনোলজি অনুযায়ী বিষয়টি একদম চোখের সামনে ভেসে উঠছে। ব্যাস! সেটাকে আঁকড়ে একটার পর একটা ঘটনা লিখুন।আর দেখবেন গোটা বর্ণনাটি একটি পূর্ণাঙ্গ ঘটনার রূপ পাবে। রাঁচি ভ্রমণের সঙ্গে মান্নাদের চমৎকার গানটি মনে করিয়ে দিয়েছেন। ধন্যবাদ ভাই আপনাকে। সহমত আপনার সঙ্গে যে এই সময়ে বা হালকা শীতের শুরুতে এই স্থান গুলির প্রাকৃতিক শোভা অতুলনীয়। আর যেহেতু ছোটখাটো ট্রিপের ব্যাপারে আমরা নিজেরাই অ্যারেঞ্জ করে থাকি। কাজের নিজেরা স্পট নিয়ে শুরুতে আলোচনা সেরে নিই। সেইমতো 4 মাস আগে ট্রেনের টিকিট কাটা ও হোটেল বুক পর্বগুলি সম্পন্ন করা হয়।

স্থানটি সঙ্গে বাংলাদেশের কাপ্তাইয়ের অনেক মিল পাওয়াতে আনন্দিত হলাম আবারো ধন্যবাদ জানাই আপনাকে। কাপ্তাইয়ের বিদ্যুৎকেন্দ্রের স্ট্যাটাস পড়ে খুশি হলাম।
উত্তম-সুচিত্রার হারানো সুর' এর শুটিং ঠিক কোথায় হয়েছিল সেটা আমার জানা নেই।


সবশেষে শততম পোষ্টে আপনার শুভেচ্ছা অন্তর থেকে অংশগ্রহণ করলাম।

আপনার জন্যও রইলো হৃদয় ভরা ভালোবাসা ও শুভকামনা।



২৪| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:১৭

ফয়সাল রকি বলেছেন: শততম পোষ্টে শুভকামনা।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:১২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শততম পোষ্টে আপনার শুভেচ্ছা অন্তর থেকে গ্রহণ করলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
নিরন্তর শুভকামনা ফয়সাল ভাই আপনাকে।

২৫| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৮

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ব্লগে শততম পোষ্টে আমার অভিবাদন গ্রহন করুন একজন সুলেখক সুচিন্তক আমায়িক মানবিক ব্লগার! আপনার হাজারোতম লেখায় ও আপনার সাথেই থাকতে চাই।

ভ্রমন গল্প সবসময়ে ই আমার খুব খুব প্রানের কাছের লেখা; মনের আয়নায় লেখকের সাথে আমার নিজের ও ছোটাছুটির ছটফটানি কাজ করে। এতখানি চিত্ররুপায়ন ঠিক তখন ই রঙধনু রঙে সাজে, যখন লেখক তার সাথে আমাদেরকেও তার ভ্রমন সঙ্গী করেন।
আপনার ঝকঝকে ছবি আর চকচকে শব্দ বর্ণনায় পাঠকে ও গুছিয়ে বসতে হয় জাম্পেশ কায়দায় চা কফি' তে ভ্রমন আনন্দ নিতে।

চমৎকার ভ্রমন সিরিজের সাথেই আছি। শুভকামনা।

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:০৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় আপু,


শততম পোষ্টে আগেই আপনার আগমনী বার্তা পেয়েছিলাম।যথার্থ আগমন এবং পূর্ণাঙ্গ কমেন্ট করার জন্য আপ্লুত হলাম; অশেষ ধন্যবাদ আপু আপনাকে। আগামীতেও এমন হাজারবার সঙ্গে থাকবেন এমন নিশ্চয়তা পেয়ে পুলকিত হলাম আবারো ধন্যবাদ আপনাকে।
ভ্রমণকাহিনী আপনার ভালো লাগে, ইতিপূর্বে আমার বেশ কিছু পুরানো পোস্টে সে ব্যাপারে আপনার অভিব্যক্তির পরিচয় পেয়েছি। আজ আরও একবার নিশ্চিত হলাম। উল্লেখ্য আমি এসময়টা পেশাগত চাপে বাসাতেও ওষ্ঠাগত অবস্থায় আছি। একটু ফুরসৎ পেলেই কাহিনীর পরবর্তী পর্ব পোস্ট করবো। আপনাকে যথারীতি পাশে পাবো আশাকরি।
"ভ্রমণ গল্প সব সময়েই আমার খুব খুব প্রাণের কাছের লেখা; মনের আয়নায় লেখকের সাথে আমার নিজের
ছোটাছুটির ছটফটানি কাজ করে। এতোখানি
চিত্ররূপায়ণ ঠিক তখন ই রংধনু রঙে সাজে, যখন
লেখক তার সাথে আমাদেরকেও তার ভ্রমণ সঙ্গী
করেন।" চমৎকার। আপনার আবেগী মনের বহিঃপ্রকাশে মুগ্ধ হলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
সবশেষে পোস্টটিকে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম; কৃতজ্ঞতা জানবেন।

নিরন্তর শুভেচ্ছা আপনাকে।

২৬| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ২:৩১

ওমেরা বলেছেন: অনেক দেরী হয়ে গেল তাও শততম পোষ্টে অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানবেন।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৫২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: দেরি হলেও এসেছেন এটাই আমার পরম প্রাপ্তি আপু। শততম পোষ্টে আপনার শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন গ্রহণ করলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
পোস্টটিতে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম; কৃতজ্ঞতা জানবেন।

নিরন্তর শুভেচ্ছা আপনাকে।

২৭| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৩:৫৮

আকতার আর হোসাইন বলেছেন: গুরুজ্বি পোস্ট করেছেন দিন দশ বারো পেরিয়ে গেলো। সম্ভবত গ্রুপে আপনার সেঞ্চুরির পোস্ট পেয়েছিলামও।

আসবো আসবো করে আর আসা হল না...

পড়ব পড়ব করে আর পড়া হল না।

মন্তব্য করব করব করে আর করা হল না।

অভিনন্দন জানাবো জানাবো করে আর জানানো হল না।।


দুঃখিত আমি ভীষণ। সেঞ্চুরিতম পোস্টের জন্য অভিনন্দন জানবেন। এগিয়ে যান বহুদূরের পথে....

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:০২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল প্রিয় আক্তারভাই,

হা হা হা হা.. ‌‌‌‌এমন করে কথা বললে যে আমি উদাস হয়ে যায়।
হ্যাঁ দশ/এগারো দিন অতিক্রান্ত হল আপনাকে না পেয়ে হতাশ ছিলাম। কাজেই দেরিতে হলেও অবশেষে আপনার দেখা পেয়ে একপশলা হাল্কা বৃষ্টির মতো এক ঝলক আবেশে হৃদয় ভরে উঠলো। হোক না,
সে আসা আসা করে দেরিতে আসা
পড়বো পড়বো করে দেরিতে পড়া বা না পড়া
মন্তব্য করবো করবো করে না করতে পারা
অভিনন্দন জানাবো জানাবো বলেও না করা
দুঃখ প্রকাশ করছি করছি বলেও ভুলে যাওয়া...
সবকিছু ঠিকঠাক না থাকলেও দুম করে দর্শন দেওয়া।আর এমন দর্শনেই আমার আনন্দের জোয়ারে গা ভাসানো .. ‌
সুন্দর আন্তরিক মন্তব্যে প্রীত হলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।

শুভকামনা জানবেন।


২৮| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:১৩

নজসু বলেছেন:



শততম পোষ্টে শুভেচ্ছা।
ছবিগুলো অনন্য।

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৩৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় নজসু ভাই,

অনেকদিন পর আপনার কমেন্ট পেয়ে আনন্দ পেলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
শততম পোস্টের শুভেচ্ছা গ্রহন করলাম। ছবিগুলো অনন্য মনে হওয়াতে প্রীত হলাম আবারও ধন্যবাদ জানাই।

ইতিমধ্যে পরবর্তী পর্ব প্রকাশিত হয়েছে। সময় হলে একবার দেখে যাওয়ার অনুরোধ রইল।
পোস্টে লাইক করার প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।

অনিঃশেষ শুভেচ্ছা রইল।

২৯| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৩৮

ফয়সাল রকি বলেছেন: ছবির পরিমাণ আরো কিছু বাড়ান, ভ্রমনব্লগে লেখার তুলনায় ছবি কম মনে হচ্ছে। ব্যক্তিগত মতামত দিলাম আরকি।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপনার সুন্দর পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ। পরের পর্বে আপনার কথা মতো চেষ্টা করবো ছবি বেশি দিতে। এমন আন্তরিক মন্তব্যে একরাশ মুগ্ধতা।
পঞ্চদশ লাইকের জন্য প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভকামনা অফুরান।

৩০| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:১৯

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: শেষ ছবিতে যে পাহাড়ি সুন্দরীকে দেখালেন তার থেকে সাবধান। এটা সম্ভবতো পাহাড়ি বিলাই চিমটি।

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আমার কোন পোস্টে আপনার প্রথম মন্তব্য; সু- স্বাগতম আপনাকে।
আমরা অবশ্য অনেক আগেই চলে এসেছি। কাজেই এখন আর পাহাড়ি সুন্দরীর দ্বারা ভয় পাওয়ার কোন কারণ নেই।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ জানবেন।
পৌষালী শুভেচ্ছা আপনাকে।

৩১| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:১৮

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: পারফেক্ট ভ্রমন ব্লগ!

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:৪৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বহুদিন পর আপনার আগমনে আনন্দ পেলাম। পাঠ ও মন্তব্যে ধন্যবাদ আপনাকে।
শুভেচ্ছা নিয়েন।

৩২| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:১৯

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: শততম পোষ্টের শুভেচ্ছা রইল!

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:৪৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপনার শুভেচ্ছা গ্রহন করলাম। ধন্যবাদ ডানা ভাই আপনাকে।

পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম; কৃতজ্ঞতা জানবেন।

আপনার জন্যও রইলো নিরন্তর শুভেচ্ছা।

৩৩| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:০২

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: শততম পোষ্টে শত গোলাপের শুভেচ্ছা, হাজারতম পোষ্টের অপেক্ষায়.......

০৯ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:২১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হাহা হা.... আপনার আন্তরিক মন্তব্যের প্রীত হলাম; ধন্যবাদ আপনাকে। শত গোলাপের শুভেচ্ছা অন্তর থেকে গ্রহণ করলাম।

আপনার জন্যও রইল নিরন্তর শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা।

৩৪| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:০৩

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনার এই ধারাবাহিকটা পড়া/দেখা হয়নি। বাকী পর্ব দু‘টোও দেখে ফেলবো অচিরেই।
কোনটা ঠিক.....হাজিরবাগ নাকি হাজারীবাগ? তিলাইয়া ড্যামের কয়েকটা ছবি দিলে পারতেন, প্রশংসা করলেন যখন!!

শততম পোষ্টের মাইলস্টোনে পৌছার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা। দোয়া করি, সুপ্রিয় ব্লগার সোহানীর মতো আপনিও ব্লগে একযুগ পার করে দেবেন অতি স্বাচ্ছন্দ্যে!!! :)

১৪ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:১১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: এটাকে সেই অর্থে ধারাবাহিক বলতে আমি রাজি নই। আমি ভীষণ অলস প্রকৃতির। একসঙ্গে বড় একটা পোস্ট দিতে গেলে যে পরিমাণে মেহনত দিতে হবে সেটি আমার কাছে প্রচন্ড আলসেমি লাগে। সেজন্যেই সময় সুযোগ মত একটু একটু করে পোস্ট দিই আর কি। আপনার প্রমোশনের বিষয়টি জানতাম কিন্তু সাময়িক ভুলে গেছিলাম।শত ব্যস্ততার মধ্যেও সময় করে ব্লগে আসেন আমাদের পোস্ট দেখছেন, পড়ছেন এটা আমাদের কাছে পরম প্রাপ্তি।
পোস্ট প্রসঙ্গে, স্থানটির নাম হাজারীবাগ। তিলাইয়া ড্যাম দেখতে ভীষণ সুন্দর কিন্তু যেদিক থেকেই ছবি তুলিনা কেনো চারদিকে শুধু জল আর জল। সেজন্যই আর বেশি ছবি দেওয়ার প্রয়োজন বোধ করিনি।
শততম পোস্টের শুভেচ্ছা অন্তর থেকে গ্রহণ করলাম। ধন্যবাদ আপনাকে। সোহানী আপুর প্রসঙ্গে আনলেন যখন তাহলে বলেই ফেলি সময়ের মাইলফলক ওনারা এক হিসেবে কিংবদন্তী ব্লগার। উনাদের সঙ্গে কারোর তুলনা হয় না। আবারো ধন্যবাদ আপনাকে।

নিরন্তর শুভেচ্ছা জানবেন।

৩৫| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:৪৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: পদাতিক চৌধুরি,





আগেই শততম পোস্টের জন্যে অভিনন্দন জানিয়ে রাখি।
সপরিবারে ভ্রমন করতে গিয়ে হোটেলে রুম পাওয়ার বিড়ম্বনা আসলেই অস্বস্তিকর।
"বরাকর" বাঁধের সাথে পরিচয় আমার উপন্যাসেই । আজ ডিজিটাল চোখে সেই বরাকরের জল দেখলুম। বাঁধের ছবিটি দেখতে পেলে আরও ভালো লাগতো।

ভ্রমনে আপনার সাথেই আছি......................

২১ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:৩৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শ্রদ্ধেয় জী এস ভাই,

শততম পোষ্টে আপনার অভিনন্দন অন্তত থেকে গ্রহণ করলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
পোস্ট প্রসঙ্গে, হ্যাঁ ঠিকই বলেছেন। সহমত আপনার সঙ্গে যে বাইরে ঘুরতে গিয়ে কোনরকম বিরম্বনায় পড়লে ঘোরাঘুরির আনন্দটাই মাটি হয়ে যায়। একজন সাহিত্যানুরাগী ব্যাক্তি হিসেবে বরাকর ড্যামের সঙ্গে আপনার পরিচিত হওয়া খুবই স্বাভাবিক। যেহেতু আমরা রোড থেকে ছবিটি তুলেছি, বাঁধের মুখের দিকে যাওয়ার সুযোগ হয়ে ওঠেনি। যে কারণে তেমন ছবি আপনার সঙ্গে শেয়ার করতে পারলাম না। ভ্রমণের সাথে থাকার জন্য আবারো ধন্যবাদ।

নিরন্তর শুভেচ্ছা আপনাকে।

৩৬| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৫৩

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: অভিনন্দন ভাইয়া !:#P
আপনার জন্য শুভকামনা :)
অনেক দিন পর ব্লগে এলাম। আমাদের ক্লাস সিক্স বাংলা বইয়ের প্রথম গল্প ছিলো, রাঁচি ভ্রমণ। লেখক এস. ওয়াজেদ আলি।

রাঁচির মতো আমাদের পাবনা জেলাও খুব সুন্দর। আমি শুনেছি, আগে ইউরোপের যক্ষারোগীদের জন্য যে স্যানচুয়ারি ছিলো, সেগুলোর প্রাকৃতিক পরিবেশও বেশ সুন্দর ছিলো।
আমি ভার্সিটিতে পড়ার সময় লেখালেখি আর দেশভ্রমণ করবো। আমার বড়ো ভাই এর মধ্যেই দুবার ভারত ভ্রমণ করে এসেছে, ওনার মতে কিছু কারণে ভারতের মাটিতে ট্যুর দেয়া বাংলাদেশের চেয়ে আনন্দদায়ক এবং কম ধকলের। আমিও ভারত আসবো। ভারতে গেলে রাজীব নূরের মতো, আমিও আপনার সাথে দেখা করার সংকল্প রাখি :)

আমার পড়ালেখা আলহামদুলিল্লাহ ভালোই চলছে। কলেজের এনুয়াল টেস্ট পরীক্ষায় আমি ১৩৫০ জন ছাত্রের মধ্যে ১০ম হয়েছি। তবে আমার এখনো মনের মতো পূর্ণ প্রস্তুতি হয়নি, এপ্রিল ১ থেকে বোর্ড ফাইনাল। বেশ চাপেই আছি...

আপনার মন্তব্য দেখেই ব্লগে আসা,,,এভাবে এতদিন আমাকে মনে রেখেছেন জেনে আমি সত্যিই বেশ আনন্দিত :)

আর আপনার লেখা সম্পর্কে শেষ কথা... আমার মতে ভ্রমণ বিষয়ক পোষ্টে ছবি লেখার মাঝে মাঝে দিলে ভালো লাগে, লেখা আরো জীবন্ত মনে হয়। ধন্যবাদ, পাশেই আছি।
+

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:২০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় প্রান্ত,

অনেকদিন পর তোমার দেখা পেয়ে ভীষণ খুশি হয়েছি। টেস্ট পরীক্ষায় তেরোশো 50 জনের মধ্যে দশম হওয়া নিঃসন্দেহ গর্বের। তবে উৎফুল্লের পাশাপাশি ফাইনাল পরীক্ষা পর্যন্ত তোমার মোটোটাকে ধরে রেখো। আমি তোমার ভালো ফলাফলের অপেক্ষায় রইলাম।
তুমি ক্লাস সিক্সে পড়াকালীন এস ওয়াজেদ আলীর রাঁচি ভ্রমণ পড়েছো জেনে পুলকিত হলাম। সত্যি কি! ওই সময় প্রাকৃতিক বর্ণনাগুলি শিশুমনে আলাদা একটা দাগ কেটে যায়। তোমার মতো বয়সে আমিও বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিভিন্ন বর্ণনা ঘাটশিলার অপূর্ব প্রাকৃতিক পরিবেশের বর্ণনা পড়ে আনন্দ পেতাম। তখনই মনে একটা ধারনা তৈরি হয়েছিল ভবিষ্যতে কখনো সুযোগ পেলে ঘাটশিলা ঘুরতে যাওয়া। সাঁওতাল পরগনায় রাজা দোবরু পান্নার গরু চরানো যেন আজও চোখের সামনে ভেসে বেড়াচ্ছে।

পরীক্ষা শেষ হলে কলকাতায় আসবে, তোমার সঙ্গে নিশ্চয়ই দেখা হবে। আর মনে রাখার প্রসঙ্গ কেন আসছে? ভাইয়ার স্মৃতিশক্তি এতটা দুর্বল কেন ভাবলে ? হাহাহা... আমার একটা মন চাইছে প্রতি পোস্টে তোমার মন্তব্য পেতে। কিন্তু পরক্ষনেই তোমার ক্যারিয়ারের কথা ভেবে ব্লগে তোমার লগইন দেখাটা আমার না পছন্দ। তাহলে বুঝতে পারছ ভাইয়া তোমার কি চাই....

সবশেষে অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা প্রিয় ছোট্ট ভাই প্রান্তকে।


৩৭| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৪২

নিভৃতা বলেছেন: চমৎকার বর্ণনা। খুঁটিনাটি কিছুই বাদ যায়নি।
হোটেল বয়ের এহেন আচরণে বিস্মিত হলাম।

মহিলার কানে এত্তগুলো ফোঁড়! :D

বিস্তীর্ণ জলরাশি যেন হাত বাড়িয়ে ডাকছে।

এক রাশ ভালো লাগা রেখে গেলাম।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপনি মনে করে পুরানো পোস্ট পড়ে কমেন্ট করেছেন দেখে আনন্দ পেলাম। ঠিক এই প্রশ্নটা আমারো ছিল। ওনার কানের দিকে ইশারা করে জানতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আঞ্চলিক ভাষায় যে উত্তর দিলেন তা আমাদের পক্ষে বোধগম্য আর হয়ে ওঠেনি। আমার মিসেস মোটামুটি হিন্দি জানে। কিন্তু ও-ও ওনার মুখের কথার বিন্দু বিসর্গ বুঝতে পারেনি।
সুন্দর মন্তব্যে প্রীত হলাম। অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে।

অফুরান শুভেচ্ছা জানবেন।

৩৮| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৫৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: নির্ধারিত সময়ের দেড় ঘন্টা আগে শিয়ালদা স্টেশনে পৌঁছানো আপনাদের ভাল সময় জ্ঞান এবং সুষ্ঠু পরিকল্পনার পরিচয় বহন করে। শৃঙ্খ্লার সাথে ট্রেনে আরোহণ, ট্রেনের গতি প্রথমে ধীর গতি তারপরে ক্রমান্বয়ে প্রবল বেগ ধারণ করা, ক্লান্তিতে চোখদুটো বুঁজে আসা, তার পর কালো কোটধারীর মৃদু স্পর্শে জেগে ওঠা, ইত্যাদি বর্ণনা নিখুঁত হয়েছে।
আপনার লেখা থেকেই ধারণা পেয়েছি, আপনি একজন আত্মত্যাগী মানসিকতার মানুষ। আপনার আসন যে আপার বার্থেই হবে, সে কথাটি যেন আগে থেকেই জানতাম।
বরাকর জলাধারের ছবিদুটো খুব সুন্দর!
শততম পোস্টে উষ্ণ অভিনন্দন এবং শুভেচ্ছা! পোস্টে ১৯তম ভাল লাগা + +।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:০৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল স্যার। আশা করি ঈশ্বরের কৃপায় ভালো আছেন।
পোস্ট প্রসঙ্গে যে কথাটি না বললেই নয়-
আমি যেখানে থাকি সেখানে থেকে ট্রেনে শিয়ালদা স্টেশন একঘন্টার মধ্যে।আর শিয়ালদা থেকে হাওয়া মাত্র ছয়কিমি। কিন্তু জ্যামের কারণে তখন ঐ দূরত্বে পৌঁছাতে কত সময় লাগবে তা আন্দাজ করা কঠিন। সাধারণত দূরপাল্লার ট্রেন গুলি সব হাওড়া স্টেশন হয়ে থাকে। লোকাল ট্রেনের আধিক্য থাকায় শিয়ালদা থেকে আবার দূরপাল্লার ট্রেন তুলনায় কম। আমার বাসার অবস্থান অনুযায়ী শিয়ালদা স্টেশন পৌঁছানো যতটা সহজ, হাওড়ায় পৌঁছানো ঠিক ততটাই দুশ্চিন্তার হয়ে থাকে। যে কারণে আউটিংয়ের সময় শিয়ালদাতে লোকাল ট্রেন যোগে লাগেজ পত্র নিয়ে ট্রেনে গেলেও হাওড়াতে পৌঁছানোর জন্য ওলা বা উবের নিতে বাধ্য হই।ওরা মোটামুটি দু ঘন্টায় বিকল্প দক্ষিণেশ্বর ব্রিজ দিয়ে অনেকটা ঘুর পথে পৌঁছে দেয়। যদিও এই রুটে আজ পর্যন্ত তেমন জ্যামের কবলে পড়তে হয়নি। আমার পরিচিত একাধিক জন হাওড়া ব্রিজ দিয়ে যেতে গিয়ে ট্রেন মিস করেছে।আর এই কারণেই শিয়ালদা হলে কমপক্ষে দুই ঘণ্টা আর হাওড়া হলে তিন ঘণ্টা আগে পৌঁছানোর আপ্রাণ চেষ্টা করি। আগে ট্রেনের স্ট্যাটাস জানতে না পারায় স্টেশনে পৌঁছে দেখতাম পাঁচ ছয় বা তারও বেশি ঘন্টা লেটে আছে। তখন অবশ্য বিরক্তিকর ওয়েটিং রুমে অপেক্ষা করা ছাড়া উপায় থাকতো না। এখন অবশ্য শেষ মূহুর্তে স্যাটাস দেখে বের হই। কাজেই সময়ের অপচয় হয় না।

পোস্টে উল্লেখিত বিষয়দুটি আপনার কাছে নিখুঁত মনে হওয়াতে অনুপ্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
আর আত্মত্যাগ বিষয়টি মনে হয় স্যার একটি আপেক্ষিক ব্যাপার। আমি যেটা মনে করে ত্যাগ স্বীকার করছি।অন্যরা হয়তো মনে করবেন ওনার ন্যায্য পাওনা যেটা আমি মেটাচ্ছি। আবার বহুজনকে তো খুশি করতেই পারিনা। তাদের কাছে স্বার্থপরতার তকমাও পেয়েছি। ফলে বিষয়টি আমার খুব গোলমেলে লাগে। তারপরও চেষ্টা করি যতটা সম্ভব কম্পোমাইজ করতে।না পারলে পলায়নের রাস্তাই আমার পছন্দের...
কিছুটা অপ্রাসঙ্গিক কথা বলে ফেললাম।মাফ করবেন স্যার।

বিনম্র শ্রদ্ধা আপনাকে।


৩৯| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:০৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: এমজেডএফ এবং মুনিরা সুলতানার মন্তব্যদুটো ভাল লেগেছে। এমজেডএফ এর সাজেশনটা ভাল ছিল।
সামু ব্লগে আমার ২২২২২তম মন্তব্যটি আপনার এ পোস্টেই করে গেলাম। এটাই সেটা।
এটা নিছক একটা সংখ্যা মাত্র, কিন্তু সে সংখ্যাটির সৌন্দর্যের জন্যই আলাদা করে উল্লেখের দাবীদার। আর আমার বর্ষপূর্তির পোস্টগুলো পড়ে আপনি হয়তো ইতোমধ্যে জেনে গেছেন যে আমি সংখ্যা (পরিসংখ্যান) নিয়ে খেলতে ভালবাসি।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:০৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বরাবরের মতোই মন্তব্যকারীদের মন্তব্যের বিশেষ দিক উল্লেখ করে দ্বিতীয়বার মন্তব্যে আসায় আনন্দ পেলাম। ধন্যবাদ স্যার আপনাকে। আপনার বিশেষ সংখ্যায় ২২২২২ তম মন্তব্যটি পেয়ে আমি আপ্লুত ধন্য মনে করছি। কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাকে। সত্যিই কি দারুন অনুভুতি। ব্লগিংয়ের মাইলস্টোন স্পর্শ করেছেন। অভিনন্দন স্যার আপনাকে। আর আমার পোস্টে এমন একটা ঘটনার সাক্ষী থাকতে পেরে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছি। হ্যাঁ স্যার পরিসংখ্যান নিয়ে আপনার ঘাটাঘাটির পরিচয় ইতিপূর্বে পেয়েছি। আজও তার একবার নমুনা পেলাম।
আর উপরে এমজেডএফভাই ও মনে রাখুন মন্তব্যটি সত্যিই খুব সুন্দর হয়েছে। আপনার প্রতিমন্তব্যের মধ্যে দিয়ে আরেকবার ওনাদের ধন্যবাদ জানাই।
পোস্টটিতে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।

বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা স্যার আপনাকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.