নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হাই,আমি পদাতিক চৌধুরী।পথেঘাটে ঘুরে বেড়াই।আগডুম বাগডুম লিখি। এমনই আগডুম বাগডুমের পরিচয় পেতে হলে আমার ব্লগে আপনাদেরকে স্বাগত।
ভীতুর ভূত দর্শন (পর্ব- ২)
ভীতুর ভূত দর্শন (শেষ- পর্ব)
সদ্য কলেজে ভর্ত্তি হয়েছি।কয়েকদিনেরর মধ্যে কলেজের বেশ কয়েকজনের সঙ্গে দারুণ বন্ধুত্ব হয়ে গেল।রবিবারের ছুটিতে বন্ধুদের জন্য মন খারাপ লাগত।কলেজের ক্লাসের ফাঁকে তপনদার ক্যান্টিনে চারটি চা সাতটি করে খাওয়া ও সঙ্গে চেন স্মোকারের শিক্ষা নেওয়ার মধ্যে আমার কলেজ জীবন বেশ উপভোগ্য হয়ে উঠেছিল।সঙ্গে ছিল ক্যান্টিনে আগত কোন মহিলাকে লক্ষ্য করে সিগারেটের ধোঁয়া দিয়ে বিভিন্ন রকম নক্সা বা রিং করে সদ্য পৌরুষত্ব জাহির করার এক অদ্ভূত প্রতিযোগিতা।আর চলতো দেশ ও জাতির মঙ্গলের লক্ষে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা এবং স্মার্টনেস প্রদর্শনের জন্য একটু খিস্তি খেউর দেওয়াও প্রভৃতি।
এরই মধ্যে একদিন আমার বন্ধু প্রসেনজিৎ কোন একটা প্রসঙ্গে জানাল,
-ওসব ভূত-ফুত বলে কিছু নেই।সবই নাকি মানুষের কারসাজি।
আমি বরাবরি ভীতু প্রকৃতির।পড়াশোনায় ভাল না হলেও অন্তত হাবেভাবে ভাল ছেলে হবার চেষ্টার কসুর করতামনা।স্কুলে প্রদীপ্ত, অর্নব,নীলুরা যখন আড্ডা মারতো, আমি তখন নষ্ট হওয়ার ভয়ে,
-এমা!এসব নোংরা কথা বলতে আছে? বলাতে বেশ কয়েকবার বন্ধুদের কাছে ধমক খেয়েছিলাম।
ওরা আমাকে পাল্টা লেডিস বলে খ্যাপাত।
আমি,
-ধ্যৎ অসভ্য! বলে একটু মৃদু প্রতিবাদ করতাম।তবে ওরা মিশতে নেবেনা এই ভয়ে খুব বেশি মাথা না ঘামিয়ে আবার ওদের পাশে ঘুরঘুর করতাম।
স্কুলেও একদিন ভূতের প্রসঙ্গ উঠেছিল জীববিজ্ঞানের শিক্ষক শ্রদ্ধেয় তাপসবাবু স্যারের ক্লাসে। সকাল থেকে সেদিন অবিরাম বৃষ্টি হচ্ছিল। টিফিনের পর পাঁচ পিরিয়ডের শুরুতে স্যার ক্লাসে এলে আমরা ওনার কাছে ভূতের গল্প শোনার বায়না করেছিলাম।স্যার সেদিন আমাদের এই সব অবাস্তব বিষয়কে মনে প্রশ্রয় না দিয়ে বরং যুক্তি দিয়ে সবকিছু গ্রহণ করতে পরামর্শ দিয়েছিলেন।তবুও মনের মধ্যে কেমন যেন ভূতের ভয় বরাবরি থেকে গিয়েছিল।
প্রসেনজিতের কথায়, কলেজের বন্ধু প্রবীর ওকে ভূত দেখানোর প্রস্তাব দিল।প্রসেনজিৎও সাহসী ছেলে। সহজে হার মানার পাত্র নয়। শুধু মুখের কথায় নয়, বাস্তবেও তা দেখাতে চায় কেন সে ওরকম বিশ্বাস করে।তবে ভূত দেখতে তো আর দল বেঁধে যাওয়া যায় না। কাজেই প্রবীর শর্ত বেঁধে দিল, প্রসেনজিৎ একজনের বেশি কাউকে সঙ্গে নিতে পারবে না।সঙ্গে সঙ্গেই উপস্থিত শিবু, সুমিত,রাজু, সুদীপ সকলেই যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলো।ওদের উচ্ছ্বাস দেখে আমারও সাহস বেড়ে গেল।উল্লেখ্য প্রসেনজিতের ডাকনাম গোরা।এবার আমিও বলে উঠলাম,গোরা তোর সঙ্গে আমিই যাবো। কলেজের এক অপরের ভালো নাম বাদ দিয়ে ডাকনাম ধরে ডাকাতেই আমরা অভ্যস্ত হয়ে উঠেছিলাম। যে যুক্তিতে আমি হিরণ্ময় থেকে হয়েছিলাম হিরণ।প্রবীর যেন আমার উত্তরের জন্য অপেক্ষা করছিল।ও তৎক্ষনাক প্রস্তাব দিল, -গোরা কতটা সাহসী সেটা পরীক্ষা করতে হলে অন্য কেউ নয় হিরণকেই সঙ্গে নিতে হবে।
আগেই বলেছি গোরা খুব সাহসী প্রকৃতির ছেলে। কাজেই প্রবীরের কথা গোরার সেন্টিমেন্টে আঘাত করলো।ও-ও চিৎকার করে বলে উঠলো,
-কোন শালাকেই আমি সঙ্গে নেব না। একাই যাব ভূতের ইন্টারভিউ নিতে।
উল্লেখ্য আমি না হয় একটু ভীতু, তাই বলে আমাকে নিয়ে এভাবে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করায় আমিও বেশ ব্যাথা পেলাম।আমি গোরাকে জানালাম, -তোর আপত্তি থাকলে আমি যাবোনা।
একথা অস্বীকার করবোনা যে, আমি যেতে রাজী হলেও আমার গলা শুকিয়ে আসছিল।বুকের ভীতর আসন্ন ভয় দুরুদুরু করছিল। তবুও প্রাণপণ চেষ্টা করে গেছি ওদের কাছে নিজেকে ধরা না দিতে। ওদিকে গোরা তখনো একা যাওয়ার সিদ্ধান্তে অটল।বাকিরা ওকে নানান ভাবে বোঝাতে লাগলো।শেষ পর্যন্ত ও আমাকে সঙ্গে নিতে রাজি হওয়ায় সকলে আনন্দে চিৎকার করে উঠলো।সুদীপ পাইন আমার হাত ধরতেই, বাকিরাও আমাকে নিয়ে একপ্রকার মাথায় তুলে নাঁচতে লাগলো।অথচ আমার ভেতর আসন্ন বিপদের আশঙ্কায় যে চোরা স্রোত বইতে লাগলো তা কেবল অন্তর্যামীই জানেন।
নির্দিষ্ট দিনে বাসস্ট্যান্ডে গোরা ও প্রবীর আগে থেকেই আমার জন্য অপেক্ষা করছিল।আমার দেরি হওয়াতে গোরা আমার পশ্চাদদেশে কষিয়ে দিল একটি লাথি।প্রবীরও কোন অংশে কম যায় না।সে একটি গালি দিয়ে বললো,
-ভাবলাম ভূতের নাম শুনে তোর** শুকিয়ে গেছে।
যাইহোক নিজের কৃতকর্মের জন্য এটুকু তিরস্কার আমার প্রাপ্য ছিল বলে মানসিক ভাবে তৈরী ছিলাম।কিছু পরে ওরা স্বাভাবিক হলে আমরাও গন্তব্যস্থানের উদ্দশ্যে রওনা দেই।
প্রবীরের বাড়ি যেতে আমাদের তিনবার নদী পাল্টাতে হয়েছিল।শেষবার ফেরি পার হতে হতে তখন বিকাল গড়িয়ে যায়।এখানে যোগাযোগের মাধ্যম একমাত্র পা-চালিত ভ্যান।কিন্তু এ অসময়ে সামনে একটাও না পাওয়ায় প্রবীরের নির্দেশ মতো আমরা হাঁটতে শুরু করি।ও জানালো,
- সন্ধ্যা নামলে এখানে আবার মামার আসার সম্ভাবনা থাকে।যেকারনে এই সমস্ত দ্বীপে বিকালের পর সাধারণত কেউ রাস্তায় থাকেনা।আর এজন্যই বাসস্ট্যান্ডে তোর দেরি করে আসাতে আমরা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছিলাম।
নিজের ভুলের জন্য আরো একবার ক্ষমা চাইলাম।কিন্তু বাঘের নাম শুনতেই, এবার বুকে ঝোলানো মা কালীর মূর্তিটি বার কয়েক কপালে ঠেকাতে লাগলাম।আগে ছিল ভূতের ভয়।এবার আবার যোগ হল বাঘ মামা।মনে মনে নিজেকে অপরাধী করলাম,কেন এমন হিরোজিমের পরিচয় দিতে এমন অনিশ্চিয়তার মধ্যে নিজেকে টেনে আনলাম।
এখনকার মত এমন ফোনের যোগাযোগ তখন না থাকায় আমাদের আসার খবর প্রবীর বাড়িতে আগেভাগে দিতে পারেনি। যেমন দিতে পারেনি তার নিজের আসার খবরও।স্বভাবতই এরকম অসময়ে ছেলের সঙ্গে আমাদের দেখা পেয়ে, বাবা-মা বোন যেন চাঁদ হাতে পেল। ওদের চোখে মুখে ছিল উৎসুক দৃষ্টি।মুহূর্তে বাড়িতে যেন একটা উৎসবের পরিবেশ তৈরি হলো। সেদিন ওখানে পৌঁছাতেই একটা মজার ঘটনা ঘটেছিল। আমরা সঙ্গের ব্যাগপত্রগুলো সবে ওদের বারান্দায় রেখেছি। মাসিমা মেসোমশায়ের সঙ্গে তখনও কুশল বিনিময়ের পর সামান্য কথাবার্তা চলছে। এরই মধ্যে একটা সুন্দরী মেয়ে আমাদের ব্যাগ নিয়ে চলে যাচ্ছে।আমি প্রথমটা যেন বিশ্বাস করতে পারছিলাম না এমন একটা স্থানে অত সুন্দর একটা মেয়ে থাকতে পারে ভেবে। পরক্ষণেই মনে হলো ও-ই বা আমাদের ব্যাগে হাত দিতে যাবে কেন। অথচ এখানে আসার আগে প্রবীর জানিয়েছিল, তারা দুই ভাই। ভাইয়ের নাম সুপর্ণ।স্বভাবতই মেয়ে হওয়ার জন্য আগ বাড়িয়ে কথা বলতে ইতস্ততঃ করছিলাম। মেসোমশাই আমাদের পরিচয় করিয়ে দিলেন। ভাই নয়, একমাত্র বোন সুপর্ণার সঙ্গে।কি অপূর্ব মায়াবী চাওনিতে লাজ লজ্জার মাথা খেয়ে আমি অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলাম।সেও একবার আমার দিকে মিষ্টি করে হেসে মাথা নিচু করে রইল। প্রবীরের সঙ্গে চোখাচোখি হল।সে হো হো করে হাসতে হাসতে বলল,
- বোনটা আমার বড্ড সুন্দরীরে।ওকে নিয়ে আমার খুব চিন্তা। তাই তোদের সঙ্গে অমনটি বলেছিলাম যে আমরা দুই ভাই।
প্রবীর আগে থেকে বাবা-মাকে আমাদের আসার কারণ বলতে নিষেধ করেছিল।কাজেই আমরা শহর থেকে ঘুরতে এসেছি,বলাই ওনারা খুব খুশি হলেন।
প্রবীরদের বাড়িটার একটু পরিচয় দেওয়া দরকার।একদিকে আছে ইটের গাঁথুনির উপর টালির ছাউনি দেওয়া তিন কামরার একটি বাড়ি।পাশে আছে একটি ধানের গোলা, একদিকে তুলসিমঞ্চ। আর ঠিক তার উল্টো দিকে একটু দূরে আরো একটি ইটের গাঁথুনি ও টালি দেওয়া বাড়ি।গ্রামের বাড়ি হলেও বেশ ছিমছাম,সাজানো গোছানো। সুপর্ণাই আমাদেরকে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে সব দেখালো।অনেকটা জায়গা জুড়ে ছড়ানো এহেন ভিটে বাড়ি দেখে আমাদের মনটি বেশ ভরে গেল। তবে একথা অস্বীকার করবো না যে সারা দিনের ক্লান্তির সঙ্গে প্রচন্ড ক্ষিদেও পেয়েছিল।হাতমুখ ধুয়ে বসতে না বসতেই মাসিমা আমাদের খেতে ডাকলেন।খাওয়ার পরে আমরা প্রবীরের ঘরে শুয়ে পড়লাম।
দীর্ঘ রাস্তায় ক্লান্তির এক শেষ ছিলাম। কাজেই শোয়ামাত্র গেলাম ঘুমিয়ে।হাতে কোন ঘড়ি না থাকলেও আনুমানিক বারোটা থেকে সাড়ে বারোটা নাগাদ প্রবীর ও গোরা আমাকে ডাকলো।ঠোঁটে হাত দিয়ে কথা বলতে বারণ করলো।চোখ ঘষতে ঘষতে প্রচন্ড বিরক্তের মধ্যে ওদের নির্দেশ পালন করলাম।বাড়ির বাকিরা তখন গভীর নিদ্রায় মগ্ন। অত্যন্ত সন্তর্পণে আমরা তিনজন ধানের গোলার পাশের ঘরটিতে ঢুকে পড়লাম।একটা কুপির আলো অবশ্য ঘরের মধ্যে জ্বলছিল।তবে তার আবছা আলোয় লক্ষ্য করলাম ঘরটি অপরিষ্কার, বলা চলে বেশ নোংরা বৈকি। ।ঘরে আসবাব বলতে কেবলমাত্র একটি বড় চৌকি ছিল। প্রবীর আমাদের দুজনকে পৌঁছে ওর ঘরে ফিরে গেল।ও ফিরতেই গোরা দরজা বন্ধ করে দিল। আমি দেওয়ালে ঠেস দিয়ে চৌকিতে আসন করে বসলাম। গোরাও আমার পাশে এসে বসলো।এই ঘরে এসে বুঝলাম, আমরা প্রকৃতই ভূতের সাক্ষাতের জন্য চলে এসেছি। নুতন করে আবার ভীতরটা শুকিয়ে কাঠ হয়ে এল।গোরা আমার মনের ভাষা বুঝতে পারলো। মাথায় হাত দিয়ে বললো,
-ভয় পাস না হিরণ আমি আছি।
ও এমন আশ্বাস দিতেই আমি আবার শুয়ে পড়লাম।(চলবে)
বিশেষ দ্রষ্টব্য:-রিপোস্ট করলাম। আজ কাভা ভাইয়ের ভূতের গল্পের লিংক দিতে ব্যর্থ হয়েই রিপোস্ট করা। আগামীকাল পরবর্তী পর্ব দেওয়ার ইচ্ছা আছে।
ওই পোস্টে যারা মন্তব্য করেছিলেন:-@সোহাগ তানভীর সাকিব @চাঁদগাজী @কাওসার চৌধুরী @ব্লগার প্রান্ত @তারেক ফাহিম @নিজাম উদ্দিন মন্ডল @সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই @মনিরা সুলতানা @বিএম বরকতউল্লাহ্ @মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন @রাজীব নুর @শিখা রহমান @সিগন্যাস @খায়রুল আহাসান প্রমুখ
২৪ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ৮:১১
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল শ্রদ্ধেয়। আপনি হয়তো কিছুটা ভৌতিক পরিবেশ খুঁজে পেয়েছেন কিন্তু আমার দিয়ে তেমন কিছু হবে না।পুরানো পোস্ট; সে সময়েও আপনার কমেন্ট ছিল।যাইহোক আশায় আছেন যখন পরবর্তী পর্বে চোখ রাখার অনুরোধ করবো। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
শুভেচ্ছা নিয়েন।
২| ২৪ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১:৪২
রাকু হাসান বলেছেন:
মাত্রই অবসর পেলাম ,এসেই তোমার লেখা পেলাম পড়লাম। বাকিটা পড়ে আসছি।
২৪ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ৮:১৫
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: রাত ১টা৪২!!! এ সময় তুমি অবসর পেলে? না আমি তোমার সঙ্গে একমত হতে পারলাম না। তোমার শারীরিক অবস্থা ভালো নয় এটা আমি আগেই জানতাম। তবে এই দীর্ঘ রাত জাগা যে অন্যতম কারণ এ বিষয়ে আমি নিশ্চিত। তুমি জানো তবুও আরেকবার স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি, 'স্বাস্থ্যই সম্পদ।' সেই সম্পদ রক্ষা করার দায়িত্ব তোমারই।
যাইহোক যাবতীয় ক্লান্তির অবসান ঘটিয়ে সময় পেলে আসবে এই অপেক্ষায় রইলাম।
নিরন্তর শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা প্রিয় ছোট্ট ভাইটিকে।
৩| ২৪ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৩:০৬
নেওয়াজ আলি বলেছেন: ভৌতিক গল্প বিরক্ত লাগে।
২৪ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ৮:১৬
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল প্রিয় নেওয়াজ ভাই। আপনার বিরক্তিকে জানাই সম্মান। তবে সব ধরনের লেখা মাঝে মাঝে একটু চেষ্টা করতে হয় এই যা।
শুভেচ্ছা জানবেন।
৪| ২৪ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৩:২৮
রামিসা রোজা বলেছেন:
প্রবীরদের বাড়িতে নিশ্চয়ই কোন পুরাতন সনাতনী ভূত আছে
তা না হলে আমারো ভয় লাগছে কেনো ?
বেশতো জমিয়েছেন তাও আবার গ্রামের বাড়িতে ,
দেখা যাক নেক্সটাইমে কি হয় ।
২৪ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ৮:২০
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: নাম দেখেই বুঝতে পারছি আপনি আমাদের ব্লগে আগত কোন নতুন আপু। আমার কোন পোস্টে আপনার প্রতি মন্তব্য; সু-স্বাগতম আপনাকে। সুন্দর কৌতুহল নিয়ে গল্পটি পাঠ করেছেন এবং শেষে একটা প্রশ্ন রেখে গেছেন। আপনার কৌতুহলী মনকে নিবারণ করতে আজই পরবর্তী পর্ব পোস্ট করব। অবশ্যই আপনি আসবেন। আপনার প্রতিক্রিয়া জানার অপেক্ষায় থাকবো।
অফুরান শুভেচ্ছা জানবেন।
৫| ২৪ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ৮:১৮
আনমোনা বলেছেন: পুরানো পোষ্ট দেখে একটু অবাক হয়েছিলাম। তার পরে কা_ভার পোষ্ট চোখে পরলো। যাই হোক আবার নতুন করে পড়ছি।
২৪ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ৮:২৪
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল আপু। আপনাকে দীর্ঘদিন খুব মিস করেছি। ব্যস্ততার কারণে হয়তো ব্লগে তেমন সময় দিতে পারেননি। যাইহোক আপনি পাঠ শেষে মন্তব্য করেছেন এতেই খুশি হলাম। লক্ষ্য করেছেন কি না জানিনা এই মুহূর্তে আমার আরও একটি চলমান গল্প চলছে। 'ফ্রম সাতক্ষীরা টু বেলগাছিয়া' শিরোনামে। যদি সম্ভব হয় তাহলে একবার চোখ বুলানোর অনুরোধ রইল।
পোষ্টটিতে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম; কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভেচ্ছা নিবেন আপু।
৬| ২৪ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ৮:৪১
আনমোনা বলেছেন: হ্যা, ব্লগে একটু অনিয়মিতই হয়ে পরেছি। 'ফ্রম সাতক্ষীরা টু বেলগাছিয়া' প্রথম কয়েক পর্ব পড়েছি। তার পরে এতগুলো পর্ব এসে গেলো, অথচ চোখে পরেনি। সবগুলো অবশ্যই পড়ব।
২৪ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ৮:৫০
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপনার আবার মন্তব্যে আসাতে খুশি হলাম। ধন্যবাদ আপু আপনাকে।
আপনার ব্যস্ততার অবসান ঘটুক। সম্পূর্ন ফ্রি যদি হন আশাকরি পর্ব গুলোর দিকে একবার চোখে রাখবেন।
আপনার আগমনের অপেক্ষায় রইলাম....
শুভেচ্ছা জানবেন।
৭| ২৪ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ১০:৫২
পদ্মপুকুর বলেছেন: প্রথমে মনে করেছিলাম ভুত কনটেস্টে অংশগ্রহণের জন্য আপনার নিজের অভিজ্ঞতাই বুঝি বলছেন। পরে বুঝলাম, না এটা গল্প। মনে হচ্ছে প্রবীরের বাসার ওই মেয়েটাকে নিয়েই কোনো কাহিনী ঘটবে...
ঝরঝরে গল্প ভালো লেগেছে। দেখা যাক পরবর্তীতে কি হয়।
২৪ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:৩২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বহুদিন পর আমার ব্লগে আপনাকে পেয়ে ভীষণ খুশি হয়েছি প্রিয় পদ্ম পুকুর ভাই। আপনার দু'রকম অনুমানের কথা শুনে আনন্দ পেলাম।তবে যেহেতু এটা চলমান কাজেই আপনার অনুমান কে এক্ষুনি উন্মোচন করতে চাইনা।শেষ পর্বের পর আপনি নিজেই আপনার উপলব্ধির কথা জানাবেন এই আশাই করবো।
লেখা ঝরঝরে মনে হওয়াতে ও পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম; কৃতজ্ঞতা জানবেন।
নিরন্তর শুভেচ্ছা আপনাকে।
৮| ২৪ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:৫৯
ওমেরা বলেছেন: অপেক্ষা করি দেখি ভুত টুত কিছু আসে নাকি ।
২৪ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:৩৪
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আমিও আপনার ফাইনাল কমেন্টের অপেক্ষায় রইলাম। অবশ্যই আসবেন আপু।
শুভেচ্ছা নিয়েন।
৯| ২৪ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:১০
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: যা বা্বা! ভূত গল্পেও ঝুলে থাকা!
না বাপু! অতক্ষন ভয় ঝুলিয়ে রাখতে পারবোনা নে
হা হা হা
পরের পর্বের অপেক্ষায় - - -
২৪ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:৩৭
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হেহেহে.....ঝুলে থাকা যেখানে জীবনের রীতি সেখানে ভূত মশাই আর বাদ যাবে কেন।
দেখি আজকেই পরবর্তী পর্ব দেওয়ার ইচ্ছা আছে।
পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
অফুরান শুভেচ্ছা শ্রদ্ধেয় কবি ভাইকে।
১০| ২৪ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:১৭
রাজীব নুর বলেছেন: দাদা ভূতের গল্প আমার ভীষন প্রিয়। ভূতের মুভি গুলোও আমি প্রতিদিন দেখি। গতকাল দেখলাম- চুপ কথা। কোলকাতার মুভি।
২৪ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:৪২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ওরে বাব্বা!! ভূতের গল্প প্রিয় মানে তো রীতিমতো নির্ভীক মানসিকতার মানুষ দেখছি ভাইয়া। আমার অবশ্য যেকোন রকম মুভি দেখতে সময় হয়ে ওঠে না কিম্বা ইচ্ছেও নেই।সময় পেলে ব্লগের বাইরে গল্প ও কবিতার বই পড়ি। ফিকশন পড়তে ভালো লাগে না। গতকাল মুভির প্রতিক্রিয়া বোধহয় ভায়ের ভূতের পোস্ট।
নিরন্তর শুভেচ্ছা প্রিয় ছোট ভাইকে।
১১| ২৪ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:৩৩
রাজীব নুর বলেছেন: একটা জিনিস দুনিয়ায়তে নাই অথচ তার ভয় আছে। কি আজিব!!! আমি ভূত ভয় পাই সবচেয়ে বেশি। আমার হাত পা কাপাকাপি শুরু হয় যায়।
২৪ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:৩৯
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ভাইয়ের আবার কমেন্টে আসাতে খুশি হয়েছি। ধন্যবাদ ভাইকে। ভূত সম্পর্কে ভয়ের অবজারভেশনটা বেশ ভালো লাগলো। তবে আমি এই নিয়ে কারও সঙ্গে আর কোনো তর্কে যাইনা। অস্বীকার করার উপায় নেই যে আমি ভীতুর ডিম।রাত বারোটার সময় কোন কবরস্থানে বা শ্মশানে যাওয়ার কথা বললে আমার আত্মারাম খাঁচাছাড়া।
শুভকামনা প্রিয় ভাইকে।
১২| ২৪ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪২
ভুয়া মফিজ বলেছেন: লেডির মতো আচরণ করলে বন্ধুরা আপনাকে 'লেডিস' বলে ক্ষেপাতেই পারে। কিন্তু একজনের মধ্যে বহুজনকে দেখার যে দুর্লভ প্রতিভা আপনার বন্ধুরা দেখিয়েছিল......সেটার প্রশংসা না করে পারছি না। আর সুন্দরী সবার ব্যাগ বাদ দিয়ে আপনার ব্যাগ নেয়ার একটাই কারন দেখতে পাচ্ছি। সম্ভবতঃ সে আপনাকে স্ব-গোত্রিয় ভেবেছিল।
পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকি.......ভুত আসে, নাকি পেত্নি; এটা দেখার জন্য টাইট হয়ে বসলাম।
২৪ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপনিও একথা বলছেন? বুঝেছি আপনিও বন্ধুগুলোর মতোই দুষ্টু। এইজন্যই বলে রতনে রতন চেনে। বন্ধুদের প্রতিভা দেখে আপনার উচ্ছাস দেখে খুশি হলাম।তবে এখানেও দুষ্টুমির ছোঁয়া পেলাম।সঙ্গত কারণেই সুপর্ণা হিরণের ব্যাগ নিয়েছিল। তবে কেন নিয়েছিল বা এক গোত্রের কিনা তা জানতে আরও একটু অপেক্ষা করতেই হবে।
পরের পর্বের অপেক্ষায় আছেন জেনে প্রীত হলাম। তবে কি পাবেন, অবশ্যই জানাবেন।
আজকের জন্য স্পেশাল দুষ্টু মফিজ ভাইকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা।
১৩| ২৪ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৪
আমি সাজিদ বলেছেন: দারুন এগিয়ে যাচ্ছে। পরের পর্বের জন্য অধীর আগ্রহে বসে রইলাম।
২৪ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:২৭
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: অনেকদিন পর আপনার আগমনে আনন্দ পেলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় আছেন জেনে খুশি হলাম। আজি পোস্ট করার ইচ্ছা আছে।
পোস্টটিতে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম; কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভকামনা রইল।
১৪| ২৪ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: পদাতিক চৌধুরি,
ভুত আমার পুত
পেত্নী আমার ঝি
সাথে আছে রাম লক্ষন
করবি আমার কি ?
এটা পড়ে বুকে ফুঁ দিয়ে ঘুমিয়ে পড়ুন। কালকে আপনার সাথে ভুত দেখতে যাবো .................।
২৪ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:৩৩
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শ্রদ্ধেয় জী এস ভাই,
আশা করি ভাল আছেন। দারুণ রম্য একটি মন্ত্র বাতলে দিলেন ভূতের হাত থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য। ভূত বিষয়ক না হলেও এমনি একটি নামাজের দোয়ার কথা মনে পড়েছে।
ছেলে মেয়ে বিয়ের পরে নতুন দুই বেয়াই জামাতে নামাজ পড়তে গিয়ে একে অপরকে সেদাসেদি করছে ইমামতি করার জন্য।
এ বলে বেয়াই আপনি ক পড়ান।
পরক্ষণে অপরজন বলে,
না বেয়াই আপনি পড়ান।
শেষ পর্যন্ত ছেলের বাবা বাধ্য হয়ে ইমামতি করতে রাজি হলেন।
নামাজে দাঁড়িয়ে নিয়েত করলেন এই বলে,
"নামাজ পড়ি না রোজা করিনা তরী তরফদার। তুইও মরেছিস আমিও মরেছি। আল্লাহু আকবার।"
শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা প্রিয় ভাইকে।
১৫| ২৫ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১২:২৮
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
শুরুটা সুন্দর হয়েছে ।
অনেকেই বলে ভুত বলে কিছু নেই।
তবে আমি প্রমান করে দিতে পারি
ভুত অবশ্যই আছে।
যারা ভুতে বিশ্বাস করেনা তাঁরা
পারলে প্রমান দেখান ভুত বলে
কিছু নেই!!!
শুভেচ্ছা রইল
২৫ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ৮:৩৫
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল শ্রদ্ধেয় আলী ভাই। বহুদিন পর আমার কোন পোস্টে আপনার কমেন্ট পেয়ে ভীষণ খুশি হয়েছি; ধন্যবাদ আপনাকে।
ভূত প্রসঙ্গে আপনার মনোভাবের পরিচয় পেয়ে খুশি হলাম আবারো ধন্যবাদ আপনাকে। এ প্রসঙ্গে আমার একটি পুরানো কথা মনে পড়ল। আমরা তখন বেশ ছোট। গ্রামে দুজনের মধ্যে খুব তর্ক বিতর্ক হয়েছিল ভূত আছে কি নেই তা নিয়ে।যিনি ভূতে বিশ্বাস করেন না তাকে অমাবস্যা রাতে কবরস্থান থেকে একটা পুরানো বাঁশের আতালি আনতে বলা হয়েছিল। সে ব্যাটা গিয়েছিল সেটা আনতে। কিন্তু রাতে বাড়িতে না ফেরায় পরেরদিন সকালে দেখা যায় কবরস্থানের পাশে তার মৃতদেহ পড়ে আছে। অনেকের সাপের কামড়ে মারা গেছে বলে অনুমান করলেও ভূত যে নেই একথা সেদিন কেউ জোর করে বলতে পারেনি। আমি নিপার ভীতু মানুষ; এ বিষয়ে কোনো তর্ক বিতর্কে জড়ায় না।
ইতিমধ্যে পরবর্তী পর্ব পোস্ট করেছি। আপনার পদচারণার অপেক্ষায় রইলাম...
পোষ্টটিতে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা আপনাকে।
১৬| ২৫ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১:১৬
সিদ্ধাচার্য লুইপা বলেছেন: চমৎকার ভৌতিক আবহ গড়ে তুলেছেন। পরের পর্ব পড়তেই হচ্ছে।
২৬ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:১৫
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: পরবর্তী পর্বের জন্য ব্যস্ত থাকার কারণে সময়ে উত্তর দিতে পারিনি। দুঃখিত। পর্বটা চমৎকৃত মনে হওয়াতে আনন্দ পেলাম ধন্যবাদ জানবেন। পরের আরও দুটি পর্বের ইতিমধ্যে পোস্ট করেছি। আপনার আমন্ত্রণ থাকলো।
পোস্টটিতে like'করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
নিরন্তর শুভেচ্ছা আপনাকে।
১৭| ২৫ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১:২৮
মুক্তা নীল বলেছেন:
দাদা ,
ভূতেরগল্প এটা আমি প্রথম পড়লাম আগে কখনো পড়িনি
সুন্দর লিখেছেন আজকের পোস্টটি ।
কি শুনশান নিরবতার মাঝে জমিয়ে দিলেন রাত্রিবেলায়
প্রবীরদের বাড়িতে ভূত , এখন তো দেখছি আমার ভয়
লাগছে আমি ভুত টুথ খুব ভয় পাই । দ্বিতীয় পর্ব পড়তে
যাচ্ছি দাদা।
২৬ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:২৩
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় ছোট বোন,
বিলম্বিত উত্তর দেওয়ার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী। আসলে পরবর্তী পর্বের জন্য ব্যস্ত ছিলাম। সম্ভবত উত্তর দিতে দেরি হওয়াতে বাকি পর্বে বোনের এখনও লেখা পাইনি। আমি অপেক্ষায় রইলাম...
পোস্টটি ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম ধন্যবাদ বোনকে।
তবে ভূতের গল্প কিনা... বেশি রাতে না পড়াই ভালো। শেষ পর্বোও দিয়েছি অথচ বোনের দেখা নেই।বিষয়টি আমার কাছে কাঙ্খিত নয়। তবে ব্যস্ত থাকলে আলাদা কথা।
পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা রইলো।
নিরন্তর শুভেচ্ছা প্রিয় ছোট বোনকে।
১৮| ২৫ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ৮:৫৩
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
ধন্যবাদ সুন্দর প্রতি মন্তব্যের জন্য।
আমার পরশ পাথর প্রাপ্তির পরের পর্বে
ভুতের নাগাল কিছুটা পাওয়া যাবে ।
তবে পর্বটি এখনো গর্ভাবস্থায় আছে।
আপনার পরের পর্বটি দেখব
সময় করে ।
শুভেচ্ছা রইল
২৬ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:২৯
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শ্রদ্ধেয় আলী ভাই,
আপনার আবার আগমনে আনন্দ পেলাম। প্রতিমন্তব্য ভালো হয়েছে জেনে খুশি ও। আবারো ধন্যবাদ আপনাকে। আপনার পরশ পাথরের সন্ধান কতটা পেয়েছেন জানিনা। তবে আপনার সুন্দর মন্তব্যে অভিভূত হয়েছি বারে বারে।
আপনার শুভেচ্ছা অন্তর থেকে গ্রহণ করলাম।
বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা প্রিয় ভাইকে।
১৯| ২৫ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ১০:১৪
মিরোরডডল বলেছেন:
পদাতিক, ভুতের গল্পগুলো পড়বো বলেই আজ দিনেই লগিন করলাম ।
ভুমের ১২ নং মন্তব্যে পোষ্টের চেয়ে বেশী বিনোদিত হয়েছে
সেকেন্ডটাও পড়লাম । চলছে চলুক ...
২৬ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:৩৪
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপনাকে এই সিরিজের পরের পর্বগুলোতে মিস করছি আপু। সময় পেলে ঘুরে যাবেন আশারাখি।
১২ কমেন্টে বেশি মজা পেয়েছেন। আপনিও ভূয়া ভাইয়ের মত দুষ্টু।
পরের গুলিতেও আপনার উপস্থিতি আমার একান্ত কাম্য।
শুভকামনা জানবেন।
২০| ২৫ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ১১:১৯
জুন বলেছেন: শুরুটাতো গা ছমছমে এক আমেজ নিয়ে শুরু হলো পদাতিক এখন দ্বীতিয় পর্বের অপেক্ষায় ।
আরেকটি কথা আপনি কি প্রথম থেকেই নায়কের বন্ধুদের ডাক নাম দিয়ে শুরু করতে পারতেন না !
বার বার ফিরে যেতে হচ্ছে গোরার গোড়ায়
কেইবা প্রবীর আর কেইবা প্রসেনিজিৎ এই ধাধাটি আমাকে বেশি ভুগাচ্ছে । হাজার হলেও বুড়ো হচ্ছি তো
( পদাতিক ভীতর না হয়ে মনে হয় ভেতর হবে । ভীতরটা শুকিয়ে আসলো চেক । )
২৬ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:১৫
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় আপু,
আশাকরি ভালো আছেন। শুরুতে গছমছম আমেজ থাকলেও পরে আর পাননি। এর বেশি কিছু যে দেওয়ার আমার সামর্থ্যে কুলায়না। তবুও আপনি আশা করেছেন জেনে খুশি হলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার নামাতাঙ্কের জন্য দুঃখিত। বহুদিন আগে লেখা হোস্টেলের একটা ঘটনা নিয়ে গল্প লেখা আছে। পদ্মপুকুর ভাইকে সে কথা বলেছি। এই গল্পেও এরকম নাম ব্যবহার করেছিলাম। আপনার সুবিধার জন্য সময় নিয়ে এডিট করে ব্লগে দেবো।আর একটা কথা, ঘন ঘন না এলে আপনার সতর্কবাণী মনে নাও থাকতে পারে। কাজেই মাঝে মাঝে মনে করাতে আপনাকে আসতে হবে।অন্যথায় আমাকে দায়ী করতে পারবেন না। হেহেহে...
সবশেষে টাইপো ঠিক করে দিয়েছি আপু। ধন্যবাদ আপনাকে।
বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা আপনাকে।
২১| ২৫ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:২৫
ইসিয়াক বলেছেন: আপনি কৈশরে দারুণ দুষ্টু ছিলেন তো।
২৬ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:২০
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আরে! ছেলেদের মধ্যে একটু দুষ্টুমি না থাকলে লবনহীন তরকারীর মতোই পানসে হয়ে যাবে। তাইতো আপনাকে বলি, শৈশবে ও কৈশোরে দুষ্টুমি করেননি তখন এখনও সময় আছে। নাইলে হাত কামড়াতে হবে। হেহেহে
২২| ২৫ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:৪৪
ইসিয়াক বলেছেন:
আশাকরি পরের পর্বে ভুত আসবে। দেখেন আবার বন্ধুর বোনের প্রেমে পড়ে যাইয়েন না । মফিজ ভায়ের মন্তব্যটাও মজার। আচ্ছা আপনি কি ওইবয়সে একটু হেলেদুলে কোমর বাকিয়ে হাঁটতেন? না হলে বন্ধুরা আপনাকে লেডিস বলবে কেন? আর একটু দুষ্টু মিষ্টি কথায় বাধা দেওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে মোটেও ভালো না। যাক হিরণ্ণয় বাবুর জন্য শুভকামনা ।
২৬ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:৩৮
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ভূত আসবে না ধোঁকা দিয়ে চলে যাবে সেটা পাঠকের দেখার উপর নির্ভর করে। সবার দেখার চোখ থাকে না। কাজেই আপনি যদি ভূত দেখতে না পান তাহলে আপনার জীবন ষোল আনাই মিছে। হেহেহে। ভূত দেখা কিম্বা চোখে সর্ষেফুল দেখা জীবনের একটা অপরিহার্য অঙ্গ। যা থেকে বঞ্চিত হলেন জীবন বৃথা।
এইবার একটা সত্যি কথা বলি। আমার এক ছাত্র,নাম সৌম্যদ্বীপ দত্ত। ছোট থেকেই একটু অন্যরকম করে কথা বলতো। ক্রমশঃ বড় হওয়ার সাথে সাথে বন্ধুরা ওকে লেডিস বলে খেপাতে লাগলো।ওকে স্বাভাবিক ভাবে কথা বলতে পরামর্শ দিলেও না শুনে মেয়েলিপনা করে কথা বলতো। একটু উঁচু ক্লাসে উঠলে,এমনি এক নালিশে আমিই ওকে প্রথম লেডিস বললে,ও দুই হাত মেয়েদের মতো করে ঝাড়া দিয়ে মুখ বেঁকিয়ে, অসভ্য! স্যার আপনি একটা দুষ্টু, বলাতে উপস্থিত সকলেই হেসে গড়িয়ে যায়।পরে রবীন্দ্র জয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত নাটকে ওকে একজন মহিলার চরিত্র দেওয়াতে খুব খুশি হয়েছিল। দারুণভাবে নিজেকে ফুটিয়ে তুলেছিল। এখানে হিরণ্ময় চরিত্রটি মূলত ওকে লক্ষ্য করেই তৈরি করা।
শুভেচ্ছা প্রিয় ইসিয়াক ভাইকে।
২৩| ২৫ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:১৩
জুন বলেছেন: পদাতিক আপনি কি ভুতো, ন্যাড়া, বল্টু ,গনশা নগা, পেনো এইসব নাম খুজে পান্নাই
কি সব হিরন্বয় , প্রসেঞ্জিত আমার বাকি দাত কয়টা
ডেন্টিস্টের কাছ থেকে ঘুরে আসলাম
পরের বার আমার বয়সের কথা মনে রাখবেন
২৭ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ১১:০৪
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল আপু।
হেহেহে আপু আগে মনে আসে নাই। আপনি বলার পরে মনে আইছে। ক্ষতি মা হবার হয়ে গেছে। ডেন্টিস্টকে যদি বলেন ব্লগে ভূতের গল্প পড়তে গিয়ে এই কম্ম হয়েছে। আমি নিশ্চিত উনি আপনাকে ফিস মকুব করে দেবেন। আর পরের বার শুধু আপনার কথা মাথায় রেখে অমন নাম মুখে আনবো না, কথা দিলাম।
ভালো থাকবেন আপু সবসময়।
২৪| ২৫ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৩
আখেনাটেন বলেছেন: দেখি ন্যাড়া আর গোরা ভূত দেখার জন্য কই যায়.........।
২৭ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:৩৩
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় আখেনাটেন ভাই,
আশাকরি ভাল আছেন। আশাকরি দ্বিতীয় পর্বে ইতিমধ্যে ন্যাড়া আর গোরার ভূত দেখতে কতদূর পৌঁছাল তার পরিচয় জানতে পেরেছেন। তবে শেষ পর্বে আপনার আগমন না হওয়ায় হতাশ হলাম।
শুভেচ্ছা নিয়েন প্রিয় আখেনাটেন ভাই।
২৫| ২৫ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:০০
মা.হাসান বলেছেন: চাঁদগাজীর মতো সাহসী লোককে ভুতের রেশ পাইয়ে দিয়েছেন, সে হিসেবে তো আমার বলা উচিৎ পাজামা ভিজাইয়া ফেলিয়াছি
তবে সত্য বই মিথ্যা বলিবো না, এখনো এত খারাপ অবস্থা হয় নাই, হয়তো ২য় পর্বে হইবে।
ট্রেড সিক্রেট ফাস হইয়া গেলো- ইহা রিপোস্ট। কাজেই সাসপেন্স বাড়িয়া গেলে ২য় পর্ব এই দফায় পোস্ট করার আগেই দেখার সুযোগ থাকিলো। এই রকম ক্ষেত্রে রিপোস্টের কথা প্রথম পর্বে স্বীকার না করিয়া দ্বিতীয় পর্বে কবুল করাই সাসপেন্স বজাইয়া রাখার পক্ষে ভালো হইবে
উত্তর-দক্ষিণ-পূর্ব-পশ্চিম কোন দিকে তিন কামরার বাটিকা এবং কোন দিকে তুলসি মঞ্চ, গোলা, অপর বাটিকা ঠাওর করিয়া উঠিতে পারিলাম না। অপর বাটিকায় কামরা সংখ্যা কত উল্লেখ করিলেন না , তাহা কি অপ্রাসঙ্গিক বলিয়া? নাকি সাসপেন্স বজাইয়া রাখিবার জন্য ?
আরো তিন খানা বিবাহের অপশন এখনো রহিয়া গিয়াছে। এই সময়ে সুপর্ণার অনুপম সৌণ্দর্যের কথা ব্যক্ত করিয়া অনেকের মনেই দোলা দিয়া গেলেন। আরো তিন খানা বিবাহ করিতে আগ্রহী আপুমনিদের জন্য দ্বিতীয় পর্বে সুদর্শন পুরুষের ব্যবস্থা করিতে আজ্ঞা হয়।
২৭ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:৩২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় মা.হাসান ভাই,
আশাকরি ভাল আছেন। আমরাও কুশলে আছি। আপনার চমৎকার প্রলম্বিত মন্তব্যে প্রীত হলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
মন্তব্যের প্রথম অংশ সম্পর্কে নুতন করে কিছু বলার নেই। যেহেতু পরের পর্বে আপনার কমেন্ট পড়ে অনুভূতি জেনেছি কাজেই ভূতের আছড় না থাকায় পাজামা নষ্ট করার কোন সুযোগ নেই।
রিপোস্ট নিয়ে একদম টিস করবেন না।তাহলে আর রিপোস্ট দেবোইনি। হেহেহে
বাটিকার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ তুলে ধরলে ভূতের আমেজ নষ্ট হয়ে রচনাশৈলী তৈরি হতো। তাছাড়া বাড়তি কথা বললে জুনাপু ধমকও দিতো। আমি ছোট মানুষ। ভয় লাগেনা বুঝি?
আরো তিন খানা বিবাহ সম্পর্কে নৈব নৈব চ।বাবারে! যে আছড় সম্প্রতি ব্লগের উপর দিয়ে গেল। তারপর আর ওসব কথায়! কখনোই কিছু কমুনা।
আপনার সুচিন্তিত সুতীব্র গন্ধযুক্ত রসে আদ্র কমেন্ট মুগ্ধ হলাম।
পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভেচ্ছা আপনাকে।
২৬| ২৬ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:৪৩
রাকু হাসান বলেছেন:
'স্বাস্থ্যই সম্পদ।' সেই সম্পদ রক্ষা করার দায়িত্ব তোমারই।--- হ্যাঁ ,মনে করিয়ে দেবার জন্য ধন্যবা ভাই। এই দায়িত্ব যেন নিতে পারি সেই দোয়ার কামনা। মাঝে মাঝে একটু বেশিই রাত জাগা হয়ে যায়। দোয়া করবে।
লেখাটি পড়তে গিয়ে মনে হচ্ছিলো আগের লেখা ,শেষে বুঝলাম। ওভার অল বলবো এটা মাত্র শুরু ... এখানে খুব বেশি প্রত্যাশা করাও বোকামি । পরের পর্বে নিশ্চয় ভয়ংকর কিছুর সন্ধান পাব।
ব্যাথা<ব্যথা,প্রচন্ড<প্রচণ্ড
সালাম রইলো।
৩০ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:৩০
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: তোমার আবার মন্তব্যে আসাতে ভীষণ খুশি হয়েছি। সেদিন ই তোমার মন্তব্যটা দেখেছিলাম। ভালো করে উত্তর দেওয়ার জন্য সময় নিয়েছিলাম। কিন্তু পরে আর সময় যেন হয়েই উঠছিল না।যাক শরীরের যত্ন নাও। কোস্টারিকা না কোথাকার এক প্রেয়সির কথা জানলাম @ সামু পাগলার ব্লগ থেকে। বিষয়টি হাস্যকর। আমার তো পড়ে বেশ মজা লেগেছে। হেহেহে...
তোমার বুঝতে একটু সমস্যা হওয়াতে বুঝতে পারছি লেখাগুলো কোথায় যেন প্রাণহীন হয়ে যাচ্ছে। চেষ্টা করবো আগামীতে রাতে আরও একটু সচল লেখা সম্ভব হয়।
টাইপো দুটি ধরিয়ে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ তোমাকে। হ্যাঁ ঠিক করে দিয়েছি।
অফুরান শুভেচ্ছা প্রিয় ছোট ভাইকে।
২৭| ০৪ ঠা মে, ২০২১ রাত ৮:৪৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: ৮ নং অনুচ্ছেদে "বোনটা আমার বড্ডো সুন্দরীরে" এর আগের লাইনটিতে বোধহয় ভুলক্রমে নামের পরিবর্তন হয়ে গেছে; প্রবীরের জায়গায় 'কবীর'!
ওহ! আগে জানাবেন তো যে এটা একটা রিপোস্ট। তাই তো বলি, পড়তে পড়তে কেন এটাকে পড়া পড়া মনে হচ্ছিল! যাহোক, শেষে নামোল্লেখ করাতে প্রীত হ'লাম।
০৫ ই মে, ২০২১ বিকাল ৫:৫৯
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ স্যার আপনাকে।টাইপোটি ঠিক করে দিয়েছি। হ্যাঁ স্যার রিপোস্ট।আগের পোস্টেও আপনি কমেন্ট করেছিলেন। আমার পুরানো সব পোস্টই আপনার পড়া। আবারো ধন্যবাদ আপনাকে। শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা জানবেন।
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১:০৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
দেখা যাক, শুরুটাতে ভৌতিক পরিবেশের রেশ পাওয়া যাচ্ছে।