নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি আমার নিরক্ষর কিন্তু বুদ্ধিমতী মায়ের কাছ থেকে এই শিক্ষাই পেয়েছিলাম,যথাযথ কর্তব্য পালন করেই উপযুক্ত অধিকার আদায় করা সম্ভব। - মহাত্মা গান্ধী

পদাতিক চৌধুরি

হাই,আমি পদাতিক চৌধুরী।পথেঘাটে ঘুরে বেড়াই।আগডুম বাগডুম লিখি। এমনই আগডুম বাগডুমের পরিচয় পেতে হলে আমার ব্লগে আপনাদেরকে স্বাগত।

পদাতিক চৌধুরি › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভীতুর ভূত দর্শন(পর্ব-২)

২৪ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:০২



ভীতুর ভূত দর্শন (পর্ব-১)

গোরার আশ্বাস মত শুয়ে পড়লেও শুরুতে ঘুম আসছিল না। চার হাত-পা এককরে গুটিসুটি মেরে চোখ বন্ধ করেই শুয়েছিলাম। যদিও চোখে নিদ্রালু ভাব ছিল। একটা অস্বস্তি হচ্ছিল। কিছুক্ষণ বালিশে এপাশ-ওপাশ করতে লাগলাম।কেমন যেন একটা ভেজা ভেজা বলে মনে হচ্ছিল। তবে আরও কিছুক্ষণ পরে সত্যিই ঘুমিয়ে গেলাম।

বেশিক্ষণ তখনও ঘুমাই নি, হঠাৎ পেচ্ছাপের কটুগন্ধে ঘুম গেল ভেঙে।যদিও প্রথমে পাত্তা না দিয়ে শুয়ে ছিলাম। কিন্তু পরে আর সম্ভব হলো না। অথচ আমরা আসার সময় কোনো গন্ধ-টন্ধ পাইনি । গোরাকে ডাকলাম। ও সঙ্গে সঙ্গেই উঠে বসলো। মুখে কিছু না বললেও আমার শোবার জায়গাটা ভালো করে খুঁটিয়ে দেখতে লাগলো। প্রথমটা আমি বুঝতে পারিনি। যাইহোক কিছু না পেয়ে,ওই প্রথম মুখ খুললো।
-পেচ্ছাপের গন্ধ আসছে কোথা থেকে রে হিরণ? আমি ভেবেছিলাম তুই হয়তো প্যান্টে করে ফেলেছিস।
আমিও ওর সঙ্গে সমানে গলা মেলালাম। খানিকবাদে গন্ধটা মিলিয়েও গেল। আমরা আবার শুয়ে পড়লাম।

এ সময়েও অনেকক্ষণ ঘাপটি মেরে শুয়ে থাকলেও ঘুম আর আসছিল না। বাইরে হাজারো ঝিঁঝিঁপোকা সহ নানা রকম পতঙ্গের ডাক কানে আসছিলো।তার মধ্যে বিভিন্ন খুট-খাট শব্দ গুলি যেন কানের পর্দায় ধাক্কা দিচ্ছিল। বালিশে একদিকে কান চেপে অপরদিকে হাত দিয়ে মাথা চেপে পড়ে রইলাম। এভাবেও পার হলো বেশ কিছু সময়। আরও অনেক পরে সবে তন্দ্রা তন্দ্রাভাব এসেছে । এমন সময় প্রচন্ড শব্দে ঝড় বইতে লাগলো। দূর থেকে বয়ে আসা শাশা শব্দে মনে হল যেন কোন উন্মত্ত ষাঁড় ছুটে আসছে। মুহূর্তেই ঝড় ঘরের মধ্যে প্রবেশ করলো।দপ করে কেরোসিনের কুপিটি গেল নিভে। গাঢ় অন্ধকার মুহূর্তেই ঘরটিকে গ্রাস করে ফেললো। বুঝতে পারলাম চারিদিকে লন্ডভন্ড অবস্থার উপক্রম। গোরা এর মধ্যেই চুপচাপ শুয়ে ছিল। আমি চোখ খুলতেই,
-প্রচন্ড ঝড় উঠেছে রে হিরণ।
আমি বললাম,
-তাতো বুঝতে পারছি। তবে জানালাগুলো তো সব বন্ধ। তাহলে ঘরে হাওয়া ঢুকছে কেমন করে?
ও আমার কথা শুনেছে কি শোনেনি তা না ভেবে অনেকটা কিংকর্তব্যবিমুঢ় হয়ে,গেলাম জানালাটা খুলতে।
গোড়া বাঁধা দিল
-পাগল হয়েছিস? এখন কেউ জানালা খোলে?
আমি পাল্টা জিজ্ঞেস করি,
-খুলবো না তাহলে?
-না।খুলিস না। এমনিতে এসব এলাকায় বাঘের উপদ্রব আছে। সঙ্গে আছে সাপেরও আনাগোনা। কাজেই জানালা খোলা ঠিক হবেনা । ওর
এমন কথা শুনে আমি অনেকটা হতোদ্যম হয়ে চুপচাপ বসে রইলাম। ওদিকে অমন ভয়াল অন্ধকারে আমার গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেল। খানিকবাদে ঝড়ও থেমে গেল। পাশে থাকা বোতল থেকে দুঢোক জল খেয় আবার শুয়ে পড়লাম।

সবে তখন ঝিমুনি এসছে, এমন সময় গোরা বলে উঠলো,
- ধুৎ শালা! কোনোভূত ফুত নেই, কেবল যা তা।
ওর বলার ধরণ দেখে আমার সাহস তিড়িং করে লাফিয়ে অনেকটাই বেড়ে গেল । মনে মনে বললাম, সেটাই যেন হয় ভগবান। গলায় মা কালীর তাবিজটিকে চুমু খেয়ে ও কয়েকবার মাথায় ঠেকিয়ে, বারে বারে মা কালীকে ডাকতে লাগলাম।
-মা মাগো তুমি কোথায় আছো উদ্ধার কর মা।
শান্তি মতো মাকে ডেকে কিছুটা খুশি হয়ে, আবার ঘুমিয়ে গেছি। উল্লেখ্য আমি বরাবরি ঘুম কাতুরে । বাসে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়েও আমি ঘুমাতে পারি । কাজেই বিছানায় গিয়ে শুয়ে পড়লে বা চোখবন্ধ করলেই আমার ঘুম চলে আসে। কিন্তু আজ যেন সব হাতের বাইরে চলে গেল । তবে এক্ষেত্রে অবশ্য সেটাই হল। চোখ বন্ধ করার সঙ্গে সঙ্গেই ঘুমিয়ে গেলাম।আচমকা গোরা আমাকে মারলো সজোরে এক লাথি। লাথি খেয়ে যাচ্ছিলাম চৌকি থেকে পড়ে। কোনক্রমে নিজেকে সামলে নিয়ে আমি একটা চাপা শব্দ করে ওঠি। তবে আপ্রাণ চেষ্টা করেও তার কিয়দংশও বাইরে বার হলনা। কিন্তু কি আশ্চর্য! আমাকে লাথি মেরে গোরা নিশ্চিন্তে ঘুমাচ্ছে। রাগে গজরাতে গজরাতে আমি ওর গায়ে হাত রেখে সামান্য ধাক্কা দিতেই, ও টোটালি অস্বীকার করলো । উল্টে আমাকে,
-কি যা তা বলছিস? ভূলবকা বন্ধ কর, নে শুয়ে পড়।
শালা! লাথি খেলাম আমি, আর বলে কিনা ভুল বকছি...। এবার আমার রাগোতো মূর্তি দেখে কিছুটা নরম হয়ে আমার গায়ে হাত বোলাতে বোলাতে বলতে থাকে,
-ভূতের নাম শুনে তুই স্বপ্ন দেখছিস বোধহয় ।
আমি অবাক হয়ে গেলাম, ওর আচরণে। যদিও মুখে কিছু না বলে গোরার ধমক খেয়ে আবার শুয়ে পড়লাম। কিছুক্ষণ পর এবারও আমার গায়ে হাতদিয়ে ডাকতেই ঘুম ভেঙে গেল।
- আমাকে লাথি মারলি কেন? তুই শালা স্বপ্নে লাথি খেয়ে আমার উপর শোধ তুললি?
আমি প্রায় কাঁদো কাঁদো হয়ে বললাম,
- বিশ্বাস কর ভাই,আমি তোকে মারিনি। তখন এরকম লাথি আমিও খেয়েছিলাম।
এবার গোরা বিশ্বাস করলো,
-হ্যাঁ তাহলে তেনারা চলে এসেছেন বুঝি।
আমি ওর তেনারা বলার ধরন শুনে আৎকে উঠলাম।
-অ্যাঅ্যাঅ্যা.... মানে! ভূত চলে এসেছে?
ও আমাকে মুখে হাত চাপা দিয়ে মৃদুস্বরে বললো,
-চুপকর শালা! চিৎকার করিসনা। পারলে আবার শুয়ে পড়।

আমি আবার শুয়ে পড়লাম। গোরা বসে ছিল। ঐ ঘুটঘুটে অন্ধকারে আমার তখন মৃতপ্রায় অবস্থা। এবারে আমি মা কালীর সঙ্গে সমানে রাম রাম বলে চলেছি। চোখ বুঁজেই ছিলাম । কেন জানি মনে হল, যা হয় হোক আমি আর চোখ খুলবোই না। কিন্তু নাহা! দম ধরে থাকতে পারলাম না। কিছুক্ষণ পরে পুরো চৌকিটা দমাদম নড়ে উঠলো। এবার আর বুঝতে বাকি থাকলো না যে ভূতব্যাটাই চৌকিটা নাড়া দিচ্ছে । আমার অবস্থাটা বুঝতে পেরে, গোরা পাল্টা আমার গায়ে হাত দিয়ে বললো,
-ভয় পাস না, আমি আছি।যাই ঘটুক তুই চোখ বন্ধ করে শুয়ে থাক।

কিন্তু শুয়ে থাকা বললেই কি আর শুয়ে থাকা যায়? কিছুক্ষণ পরে ঢকঢক করে জল খাবার শব্দে আবার চোখ খুললাম। অন্ধকারে ভয়ে ভয়ে ঘাড় ঘুরিয়ে এদিক ওদিক তাকাতে লাগলাম। নাহ! কারো কোনো চিহ্ন নেই । যদিও গোরার তখন বোধহয় কিছুটা ঘুম চলে এসেছে। দেখলাম কিছুটা ঝিমিয়ে আছে। ওর ঘুমানো দেখে, আমিও চোখ বন্ধ করলাম। তবে ঘুম কিছুতেই আর আসছিল না । উপরন্তু প্রায় সারারাত বারংবার এভাবে ঘুম ব্যাহত হওয়ায়, একটা অস্বস্তি শুরু হলো । তবুও চোখ বন্ধ করে পড়ে রইলাম ।

এবার কতক্ষণ ঘুমিয়েছিলাম ঠিক মনে নেই। হঠাৎ মনে হল বুকের উপর কে যেন বরফ চাপা দিয়েছে। ঘুমের মধ্যেই বুকের কাছে হাত দিতেই চিরিক করে উঠলো। ঠান্ডা বরফের মত কারো পায়ে আমার হাত ঠেকলো । চোখ খুলে তাকাতেই আমার আত্মারাম খাঁচাছাড়া । আমার বুকের উপর বাঁশের আড়াতে গলায় দড়ি দিয়ে কে একজন ঝুলছে । ওরে বাবারে! বলে চিৎকার করতেই গোরার ঘুম ভেঙে গেল । সেও এই দৃশ্যদেখে চিৎকার করে উঠলো । আমাদের যৌথ চিৎকারে প্রবীরের বাবা-মা হ্যারিকেন নিয়ে ছুটে এলেন। পিছন পিছন সুপর্ণাও ছুটে এল । আমরা তখন দুজনেই ভয়ে কাঁপছি। গোরাতো রীতিমত গোঁঙাতে শুরু করলো। সুপর্ণা, বাবার পিছনে গিয়ে মাথা নিচু করে খেক খেক করে হাসছে। আমি বাস্তবে কাপড়ে পটি করে ফেললাম। মাসিমা মেসোমশাই প্রবীরকে প্রচন্ড বকা দিলেন। তার কৃতকর্মের জন্য বারবার আমাদের কাছে ক্ষমা চাইতে লাগলেন । কিন্তু ক্ষমা যে আমাদেরই চাওয়া উচিত, তা বলার মত ভাষা তখন আমরা হারিয়ে ফেলেছিলাম।

বিশেষ দ্রষ্টব্য:- আগামীকাল শেষ পর্ব দেওয়ার ইচ্ছা আছে।

যেহেতু রিপোস্ট; সেদিন যারা মন্তব্য করেছিলেন-@কাওসার চৌধুরী @চাঁদগাজী @নতুন নকিব @বিএম বরকতউল্লাহ @শামচুল হক @আখেনাটেন @ফরিদ আহমেদ চৌধুরী @ব্লগার প্রান্ত @গিয়াস উদ্দিন লিটন @রাজীব নুর @খায়রুল আহাসান।

মন্তব্য ৪৪ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (৪৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:৪০

শায়মা বলেছেন: চারিদিকে ভূত! :P

২৫ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ৭:৪০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল আপু। হ্যাঁ এই মুহূর্তে ভুতুড়ে রাজ্যকে স্বাগত জানানো হয়েছে। ব্লগে কে কতটা ভূত ধরে আনতে পারে তারই প্রস্তুতিতে এই ছোট্ট নিবেদন। তবে মন্তব্যটা কিন্তু ফাঁকি দেওয়া হয়েছে হেহেহেহে....
শুভেচ্ছা জানবেন।

২| ২৪ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:৪৭

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: ভুত নেই এটা মুখে সবাই বলি বাস্তবে সবাই কম বেশী ভয় পাই। আমি আমার পূর্বের বাসায় এমন কিছু ফিল করতাম, বাতাস, কালো ছায়া ইত্যাদি।

২৫ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ৭:৪৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল প্রিয় সাহাদাত ভাই। অনেকদিন পর আপনার কমেন্ট পেয়ে খুশি হয়েছি ধন্যবাদ জানবেন।
একেবারে যথার্থই বলেছেন,"ভূত নেই এটা মুখে আমরা সবাই বলে বাস্তবে সবাই কম বেশি ভয় পায়।"সহমত আপনার সঙ্গে।
আপনার বাসার অভিজ্ঞতাটা ইন্টারেস্টিং। তবে ব্যাক্তিগত ভাবে যেহেতু আমি প্রচন্ড ভীতু সেকারনে নিজের বাসায় হলে কি হতো বলা মুশকিল। চমৎকার অভিজ্ঞতা ধর্মী মন্তব্যের জন্য প্রীত হলাম। আবারো ধন্যবাদ আপনাকে।
শুভেচ্ছা নিয়েন।

৩| ২৪ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:৫৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


ভূত কোথায়!

২৫ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ৭:৫০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল শ্রদ্ধেয়,

আপনার প্রতি সম্মান জানিয়েই বলছি, ভূত দেখতে হলে বা বুঝতে হলে আমার মত ভিতুর ডিম হতে হবে। বাড়ির অন্দরমহলে আনাচে-কানাচে সন্ধ্যেবেলায় বা অন্ধকার রাত্রে বিভিন্ন অস্বাভাবিক শব্দে আমরা ডরাই। তবে সিংহপুরুষ স্বদেশ-বিদেশ যেখানেই থাকুন, কখনো ভূত দেখতে পারবেন না। কাজেই আমার মনে হয় আপনার এ জন্মে আর ভূত দেখা হবে না। হেহেহে

৪| ২৫ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১২:২২

রাজীব নুর বলেছেন: দাদা ভূত আছে। আসলে শুধু ভূত না দুনিয়াতে অনেক কিছুই আছে যা খালি চোখে দেখা যায় না। তবে ইচ্ছা করলে তাদের অনুভব করা যায়।

গোরা নামটায় বারবার রবীন্দ্রনাথের গোড়াকে মনে পড়ছে।

২৫ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ৭:৫৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: এইতো! ছোটভাই দেখছি একদম মনের কথা বলেছেন। হ্যাঁ আমারই বিশ্বাস ভূত আছে। আর আছে বলেই অমাবস্যার রাতে কোন শ্মশান বা কবরস্থানে যেতে আমি ভয় পাই। তবে আপনাকে একটা সত্যি কথা বলি। আমার নতুন বাড়ির পাশে পশ্চিম দিকে একটা ঝোপালো বাগান আছে। ওই বিকাল থেকে জানলাগুলো সারাক্ষণ বন্ধ রাখি। তবে বন্ধ করলেও স্বস্তি নেই।সারাক্ষণ বাগান থেকে নানারকম শব্দ কানে আসে। একবার ভাবছি বাগানে যেসব গাছ গাছালি আছে তা কিনে নিয়ে কেটে ফেলি। কিন্তু জমি ওয়ালা অনেক দাম হাঁকিয়েছে। এই বাগানটিকে নিয়ে যে একটা অস্বস্তির মধ্যে আছি তা বলে বুঝাতে পারব না।

আর গোরা নাম প্রসঙ্গে,কি অদ্ভুত মিল ভাইয়ের সঙ্গে এক্ষেত্রে আমার।আমারও যাদের নাম গোরা শুনি সবার আগে রবীন্দ্রনাথের গোরা চরিত্রের কথা মনে আসে।
অফটপিকে একটি প্রশ্ন-ভাইয়ের বাসার বারান্দায় আজ রাতে কে এসেছিল তা জানার ইচ্ছা করছে

শুভেচ্ছা প্রিয় ছোট ভাইকে।


৫| ২৫ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১:৩৩

মুক্তা নীল বলেছেন:
দাদা,
শেষের দিকে এসে আমিও ভয় পেয়েছি কিছুটা যেহেতু
গল্পটাকে চোখে ভাসানোর চেষ্টা করছি।কিন্তু ভূতটা কে ?
প্রবীর / অন্য কেউ তা জানার আগ্রহ রেখে গেলাম।
ভালো লাগলো দাদা এই পর্ব । অনেক ধন্যবাদ খুব ভয়
পাইয়ে দিয়ে সুন্দর করে লিখেছেন তাই।

২৫ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ৮:০৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: গল্প পড়তে পড়তে প্রিয় ছোট বোনের ভয় পেয়েছে বা ভয় লেগেছে জেনে দাদা হিসেবে খুব দুঃখ পেলাম। গল্প দেওয়ার উদ্দেশ্য ছিল একটু বিনোদন দেওয়া, কোনভাবেই ভয়-ভীতি প্রদর্শন করা নয়।
প্রকৃত ভূত কে? তা জানার জন্য শেষ পর্ব পর্যন্ত অপেক্ষা করতেই হবে। বোনের ভালো লেগেছে জেনে প্রীত হলাম, তবে ভয় লেগেছে জেনে দুঃখও পেলাম। আগামীতে চেষ্টা করব যাতে আমার ভয় ভীতি না লাগে।
পোস্টটি লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা প্রিয় ছোট বোনকে।

দাদার পক্ষ থেকে নিরন্তর শুভেচ্ছা রইলো।

৬| ২৫ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১:৪৭

সিদ্ধাচার্য লুইপা বলেছেন: আমার মনে হয় সত্যিকার ভূতের সাথে দেখা হলে বেঁচে ফেরার সম্ভাবনা খুব ক্ষীণ। বেশ কাহিনী। সমাপ্তির অপেক্ষায়।

২৫ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ৮:০৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল প্রিয় সিদ্ধাচার্য জি। আশা করি ভাল আছেন। এই সিরিজের দুটি পোস্টে আপনার পরপর দুটি বৌদ্ধিক কমেন্ট পেয়ে আনন্দ পেলাম। আমি আশাবাদী আপনার সুন্দর লেখনিতে ব্লগকে আরও সমৃদ্ধ করবেন।
আপনার ধারণা অযৌক্তিক নয়। আমারও সেরকমই মনে হয় যে সত্যিকারের ভূতের সাথে দেখা পেলে জীবনে বেঁচে থাকার সম্ভাবনা ক্ষীণ। কাহিনী বেশ লেগেছে অসমাপ্তি অপেক্ষায় আছেন জেনে খুশি হলাম।
পোস্টটিতে like' করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভকামনা জানবেন।

৭| ২৫ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ২:০১

ওমেরা বলেছেন: বেশী ভয় পাই নাই —- একটু একটু ।

২৫ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ৮:১১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল আপু। বুঝতেই পারছি আপনি অন্তত আমাদের মত দুর্বল মনের নন। আর এ কারণেই পরপর দুটি পোস্টে আপনার মাক্স থেকে আমি বঞ্চিত। কি আর করার.... যে ভয় পায় না তাকে তো আর লেখালেখি করে ভয় পাওয়ানো সম্ভব নয়। তবুও শেষ পর্ব পড়ার আমন্ত্রণ জানালাম।
শুভেচ্ছা নিয়েন।

৮| ২৫ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ২:৩৩

নেওয়াজ আলি বলেছেন: আমাদের গ্রামের একজন মরে নাকি ভূত হয়েছে

২৫ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ৮:২২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: এইরে! আপনার গ্রামেও এক জন মরে ভূত হয়ে গেছে? ঠিক এই কারনেই আমি আমার গ্রাম ছেড়েছি। আমার গ্রামের ভূতের সংখ্যা এতটা বেড়ে গিয়েছিল সন্ধ্যার পরে কে মানুষ আর কে ভূত -চেনা বড় মুশকিল হয়ে দাঁড়িয়েছিল। আপনি বিশ্বাস করবেন কিনা জানিনা, একবার হয়েছে কি সন্ধ্যার একটু পরে চায়ের দোকান একসঙ্গে চা খাচ্ছি। দোকানদার আমাদের দুজনকেই চা দিল। পৌঁছে দেওয়ার সময় দেখি দোকানদার দুজনের পয়সা নিচ্ছে। আমিতো অবাক। আমার পাশে বসে যে চা খেলো সে নাকি আমারই বন্ধুর পরিচয় দিয়েছিল। একদিন রাতে বেলা টিউশনি পড়িয়ে ফিরছি। মূল রাস্তা নেমে গ্রামের পথ ধরলে মাঝে বড় একটা বাঁশ বাগান পরে। তার এক সাইডে আবার গ্রামের বিশ্বাস গোষ্ঠীর কবরস্থান। দু'দিন আগেই বিশ্বাসদেরি একজন এন্তেকাল করেছিলেন। হঠাৎ করে কবরস্থানের পাশে আসতেই কে যেন আমার দুই পা জড়িয়ে ধরল। আমি যত চেষ্টা করছি সে কিছুতেই পা ছাড়বেনা। নাম জিজ্ঞেস করতে মঈন উদ্দিন বিশ্বাস নাম বলল। আমিতো অবাক! মরা ব্যক্তি কি করে কবরস্থান থেকে উঠে এসে পা জড়িয়ে ধরে। যাইহোক বাড়ি গিয়ে জ্বরে পড়লাম।

আপনাকেও তার সাবধান করে দেই রাত-বিরাতে বাইরে বার হবেন না। সোশ্যাল ডিসটেন্স মেনে চলুন।

শুভেচ্ছা নিয়েন প্রিয় নেওয়াজ ভাই।

৯| ২৫ শে আগস্ট, ২০২০ ভোর ৬:১৬

আনমোনা বলেছেন: সত্যিই কি সত্যি ঘটনা?

২৫ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ৮:২৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল আপু। দেখুন ভুতের বিষয় এমন একটা বিষয় যে এর কোন সুনির্দিষ্ট প্রমাণ নেই। কাজেই আমি আপনাকে যে যেভাবেই বলি না কেন যদি ভুতের উপস্থিতির না মানেন তাহলে সব ভোগাস বুজরুকি বলবেন বৈকি। কিন্তু আমার প্রশ্ন এক্ষেত্রে, ওরা কেন যে আমাদের মতো নিরীহ মানুষদের ভয় দেখিয়ে মজা পায়। কখনোই কোন সিংহ পুরুষের সামনে ব্যাটারা যাবেই না। পরবর্তী পর্বের জন্য আমন্ত্রণ রইল।
শুভেচ্ছা নিয়েন।

১০| ২৫ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ৯:৫৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:


ভুতের গল্প পড়ার জন্য নিজেকে একটি ভয়ানক সাহসিকতায় নিমজ্জিত করে নিয়েছিলাম ।
ভুতের ভয়ের ফাঁদের রহস্য ভেদ করা সত্যিই একটি দুরুহ কাজ, তাতে কোন সন্দেহ নাই ।
ভুতের ভয়ের আবহ মাখানো একটি দুঃস্বপ্ন থেকে ভুতের ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি করে
ভয় ও উদ্বেগকে সুন্দরভাবে তুলে ধরতে পরেছেন গল্পটিতে !
পরের পর্ব দেখার অপেক্ষায় রইলাম ।

শুভেচ্ছা রইল






২৫ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:১০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শ্রদ্ধেয় আলী ভাই,

হেহেহেহে কি যে বলেন! ভূতের গল্প পড়ার জন্য নিজেকে আলাদা করে সাহসিকতায় নিমজ্জিত করেছেন জেনে লজ্জা পেলাম। ব্লগে অনেকের পোস্টে হয়তো আপনার এই অনুভূতিটি কাজ করবে। কিন্তু আমার পোস্টে এমন ভুতুড়ে কান্ড কারখানা নেই যে আপনাকে আলাদাভাবে মানসিকভাবে নিজেকে তৈরি হতে হবে।
তবে মন্তব্যের আরেকটি অংশ,"ভূতের ভয়ের ফাঁদের রহস্য ভেদ করা সত্যিই খুব দুরূহ কাজ।"শতভাগ সহমত আপনার সঙ্গে। সুন্দর মন্তব্যের জন্যে প্রীত হলাম; ধন্যবাদ আপনাকে।
শেষ পর্ব এই মুহূর্তে পোস্ট করেছি। আশা করি সময় নিয়ে মন্তব্য করবেন।
পোস্টটিতে like' করাতে প্রেরণা পেলাম; কৃতজ্ঞতা জানবেন।

শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা প্রিয় ভাইকে।

১১| ২৫ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ১০:০৭

পদ্মপুকুর বলেছেন: শুভ সকাল স্যার। সাধারণত সকালে অফিসে এসে ব্লগে ঢুকে যে লেখাগুলো পড়বো বলে ঠিক করি, সেগুলো আলাদা আলাদা উইন্ডোতে ওপেন করে রাখি, তারপর অফিসের কাজ কিছুটা সামলে সময় করে পড়তে থাকি। কিন্তু কি এক ভৌতিক আকর্ষণে এই পোস্ট পড়েই ফেললাম। এখনও টানটান উত্তেজনা।

আমার এখনও মনে হচ্ছে এগুলো সুপর্ণার কারসাজি হবে।

২৫ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:২৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সন্ধ্যা রেস্পেক্টেড স্যার। প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি বিলম্বে উত্তর দেওয়ার জন্য।

পোস্ট সম্পর্কে আপনার সরল স্বীকারোক্তিতে অভিভূত হলাম।এ আমার পরম সৌভাগ্য যে আপনার অফিসের কাজের ফাঁকে পড়বেন বলে উইন্ডোতে যে গুটিকয়েক লেখা নির্বাচন করেছেন তার মধ্যে আমার চলমান সিরিজটি স্থান পেয়েছে জেনে। এমন আন্তরিক মন্তব্যের জন্য কোনো ধন্যবাদ যথেষ্ট নয়।
লেখা ভালো লাগাতে আনন্দ পেলাম। এই মুহূর্তে ভীতুর ভুতু দর্শনের শেষ পর্বটি প্রকাশ করেছি। আপনার পদচারণার অপেক্ষায় রইলাম....
পোস্টটিতে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম;, কৃতজ্ঞতা জানবেন।
নিরন্তর শুভেচ্ছা স্যার আপনাকে।

১২| ২৫ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ১০:০৯

মিরোরডডল বলেছেন:

আমারতো মনে হচ্ছে এটা প্রবীরের সেট আপ গোরা আর হিরনকে ভয় দেখানো । আড়াল থেকে সেই কলকাঠি নাড়ছে :)

২৫ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:২৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: দেরিতে উত্তর দেওয়ার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী আপু। ইতিমধ্যে শেষ পর্ব পোস্ট করেছি। আপনার সুন্দর প্রশ্নের জন্য ধন্যবাদ। সাথে শেষ পর্ব পড়ে আপনার অনুভূতি কেমন হয়, তা জানার অপেক্ষায় রইলাম.
অফুরান শুভেচ্ছা জানবেন।

১৩| ২৫ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ১১:২৭

জুন বলেছেন: সুপর্নার আত্মা আমি কনফার্ম পদাতিক । সুন্দরী মেয়ে প্রেমে ট্রেমে পড়ে গলায় দড়ি দিয়েছিল , কিন্ত বাবা মা এই ভুত মেয়েকেই ভালোবেসে ঘরে আসার অনুমতি দেয় । দেখা যাক ।

আচ্ছা আপনি এত পর্ব পর্ব লিখেন ক্যানো পদাতিক ! ভুতের গল্পে এমন ভাবে লিখলে জমাটি ভাব থাকে না । দুই পর্বেই শেষ করতে পারতেন প্রথম পর্বের শুরুতে ফাও ফাও কথা না বইল্লা । কাভারে দিলে প্রথম পর্বটা এডিট কইরেন ।
অযাচিত উপদেশের জন্য ক্ষমাপ্রার্থী :`>
৩য় পর্বের অপেক্ষায় /:)

২৫ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:৪০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: গল্পটি মন দিয়ে পড়েছেন এবং নিজের সুন্দর অনুভূতি ব্যক্ত করার জন্য প্রীত হলাম। ধন্যবাদ আপু আপনাকে। তবে আত্মহত্যা সুপর্ণা করেনি তার ঠাম্মাই করেছিল। কেন করেছিল, আশা করি তা শেষ পর্বে ইতিমধ্যেই জানতে পেরেছেন। আর বাড়িতে দাদার বন্ধুরা এলে যেকোনো মেয়েরই একটু উরু উরু মন তৈরি হয়। কলেজ পড়ুয়া দাদার পিঠেপিঠি ভাইবোন। কাজেই দাদার বন্ধুর সঙ্গে একটু প্রেমপ্রীতি করা এ আর এমন দোষের কি।
পর্ব করার উদ্দেশ্য- একদম সময় দিতে পারছি না আপু। নতুন বাড়িতে এখনো মিস্ত্রি কাজ করছে। আজকেও প্রায় সন্ধ্যা 5টা পর্যন্ত তাদের সঙ্গে সময় দিয়েছি। কাজেই একটু ফাঁকে পর্ব করে দিয়ে কিছুটা ব্লগিং করতে পারি। তবে পর্ব করে দেওয়ার জন্য ভূতের গল্পের জমজমাট ভাব যে কেটে যায় এই বিষয়ে আপনার সঙ্গে সহমত। ভবিষ্যতে যদি আবারো ভূতের গল্প লিখি আপনার কথা ভেবেই একসঙ্গে দেওয়ার চেষ্টা করব।
আর অযাচিত কেন বলছেন? আপনাদের মূল্যবান পরামর্শটা ই যে আমাদেরকে লিখতে অনুপ্রেরণা যোগায়। আমরা পালিশ হতে পারি। কাজেই আগামীতেও আপনার এমন মন্তব্যের অপেক্ষায় থাকবো।
শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা প্রিয় আপুকে।


১৪| ২৫ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:১৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: পদাতিক চৌধুরি,




পড়লুম। সহব্লগার জুন এর মন্তব্যের দু'টি প্যারার সাথেই সহমত।

২৫ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:০০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপনার আগমনে খুশি হয়েছি। ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয় ভাই আপনাকে।
হ্যাঁ আপুর কথা মাথায় রাখবো। সে কথা আমি উনার প্রতিমন্তব্যেও বলেছি। পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা জানবেন।

১৫| ২৫ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:০০

ইসিয়াক বলেছেন: এখনো ভয় পাই নাই। আমারো ভুতুড়ে অভিজ্ঞতা আছে।
# কি ভীতুরে বাবা আপনি, প্যান্টে পটি করে দিলেন =p~ =p~ =p~ মজা পাইলাম।

২৫ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:০২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: এইরে! ভয় পেলেন না? তবে না পাওয়ায় ব্যর্থতার দায় আপনারই। ভয় পাওয়ার মধ্যেও একটা নির্মল অনুভূতি আছে।পৃথিবীতে যত রকমের অনুভূতি আছে ভয় পাওয়া তাদের মধ্যে অন্যতম। আপনি সেই অনুভূতির রূপ-রস-গন্ধ স্পর্শ থেকে বঞ্চিত হলেন। হেহেহে...

১৬| ২৫ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২০

ভুয়া মফিজ বলেছেন: চার হাত-পা এক করে শোয়ার একটা ছবি দিয়েন। ভঙ্গিটা জেনে রাখা ভালো। কখন দরকার পড়ে বলা যায় না। :-B

ভুত দেখে পটি করে ফেলাটা বাড়াবাড়ি। আপনাদের বড়জোর অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার অধিকার ছিল। যাই হোক, সেবাই চলে আসাতে মনে হচ্ছে, ভুত দেখার পর্ব শেষ। তবে একটা ভালো দিক হলো, কষ্ট করে আর টয়লেটে যেতে হবে না, সরাসরি বাথরুমে গেলেই চলবে। =p~

দেখি......পরের পর্বে কি নিয়ে হাজির হন।

২৬ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপনি চার হাত-পায়ে করা কখনো দেখেননি?ওএমজি! বেশ! তাহলে একটা কথা বলি শুনুন। আজকে ‌আপনি নিজেই চেষ্টা করবেন দুই হাত দুই পা এক জায়গায় করে গুটিসুটি মেরে ‌শোওয়ার। বাসায় কাউকে বলবেন সেটির ছবি তুলে রাখতে। পরে ব্লগে আমাকে দেখাবেন কতটা পারফেক্ট হয়েছে। আমি দেখে জানিয়ে দেবো। ফাঁকি দিবেননা,আগেই জানিয়ে রাখছি।

ভূত দেখে পটি করে ফেলাটা আপনার কাছে বাড়াবাড়ি মনে হওয়াতে প্রীত হলাম। আজ পর্যন্ত কখনই আপনার কাছে ব্লগ লিখে পুরোপুরি পাইনি। সেখানে এই লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করতে পারাটা নিঃসন্দেহে আনন্দের। আগামীতেও চেষ্টা করবো আপনার কাছে বাড়াবাড়ি কিছু আদায় করতে পারি।
কষ্ট করে টয়লেট করতে না যাওয়ার জন্য আপনাকে যে ভাবতে হয়েছে এটাই আমার কাছে পরম আনন্দের বিষয়। আমি অভিভূত আপনার অভিনব চিন্তাচেতনার জন্য। প্রীত হলাম সুন্দর মন্তব্যে। আবারো ধন্যবাদ আপনাকে।
পোষ্টটিতে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম। কৃতজ্ঞতা জানবেন।
জেনুইন শুভকামনা আপনার জন্য।

১৭| ২৫ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৮

আখেনাটেন বলেছেন: ভুয়া মফিজ বলেছেন: ভুত দেখে পটি করে ফেলাটা বাড়াবাড়ি। ---- হা হা হা। আমারও তাই মনে হচ্ছিল। ভূত দেখে ফিট খাবে, চিৎপটাং হবে, তা না পটি করল। :P

আপনার গল্প বলার ঢং টা মজার। আমি কিন্তু সত্যিকারের ভূতের গল্প ফাঁদব এবার......... B-)

২৬ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হেহেহে কি যে বলেন!!! সবার তো চাপ একদিকে নয়।পাস্কালের সূত্র অনুযায়ী চাপ সব দিকে সমানভাবে গেলে কিছুটা নিচে দিয়ে বার হওয়াটা স্বাভাবিক নয় কি? আমার সাদা মনে কাদা নেই তাই অকপটে বলে ফেললুম। দুর্গন্ধ তো পেতে হয়নি আপনাদের যে বিশ্বাস করাতে পারবো। কাজেই না বিশ্বাস করলে সমস্যাটা আপনার নয়... হেহেহে

এত কষ্ট করে তিনটি পর্বে লিখলাম, আর আপনি কিনা বলছেন মজার গল্প। আজ আমি অভিমান করে হিমালয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দেবো। বিশ্বাস না করলেও সমস্যা আমার নয়.....
এক্কেবারে খাঁটি শুভেচ্ছা আপনার জন্যও।


১৮| ২৫ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:৩৪

মা.হাসান বলেছেন: আমি গত পর্বে পিসুর কথা বলিয়াছিলাম, তখনো জানা ছিলো না যে আপনি দ্বিতীয় পর্বে পটির ব্যবস্থা রাখিয়াছেন।

সুন্দরী সুপর্ণা এত হৃদয়হীনা হইলো কেমন করিয়া? দুই জন বীর পুরুষের আগের রাতের সাহসের কথা স্মরণ না করিয়া এই মুহূর্তের অসহায়ত্বের সুযোগ লইয়া এই ভাবে হাসিতে আছে? নায়িকা নয় , তাহাকে খল নায়িকা মনে হইতেছে।

৩য় পর্বের অপেক্ষায় আছি। দেরি হইলে ভুত চালান করিয়া দিবো।

২৬ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:১৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় মা.হাসানভাই,

কোথায় গেলেন ভূত খুঁজতে? নাকি ভূতের ভয়ের ব্লগে আসা ছেড়েই দিলেন। কথা ছিলো শেষ পোস্ট দিতে দেরি হলে ভূত চালান করে দেবেন। কিন্তু কৈ গেলেন?
সুপর্ণার পেয়সি হৃদয়ের কথা জানতে হলে শেষ পর্বে আসুন। সে হেসে ঠিক করেছে না ভুল করেছে তার পরিচয় পাবেন।
পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভকামনা জানবেন।

১৯| ২৫ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:১১

ঢাবিয়ান বলেছেন: ব্লগে হঠাৎ করে জ্বীন ভুতের আসর বসেছে দেখেছি। যাক রাতের বেলায় জ্বীন ভুতের কারবার পড়তে চাই না। দিনের বেলা পড়ব।

২৬ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:২০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হ্যাঁ ঠিকই দেখেছেন। মডারেটরের পক্ষ থেকে ব্লগে জিন ভূতের আসর বসানোর ব্যবস্থাপনা করা হয়েছে। আপনি আর বাদ যাবেন কেন? নেমে পড়ুন। আর ভূতের গল্প রাতেরবেলা না পড়াই ভালো। দিনের বেলা সময় নিয়ে পড়বেন এবং মন্তব্য করবেন এই আশা রাখি।
শুভকামনা জানবেন।

২০| ২৫ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:৫২

রাজীব নুর বলেছেন: আপনি ভূতের ভয়ে জানালা বন্ধ করবেন না। খুলে রাখবেন। ঠান্ডা বাতাস পাবেন।
নানান রকম শব্দ হলে হোক, তাতে আপনার কি? আপনি দক্ষিনা বাতাস উপভোগ করুন।

২৬ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:২৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ভাইয়ের আবার মন্তব্য করাতে আনন্দ পেলাম ধন্যবাদ প্রিয় ছোট ভাইকে। না না জানালা বন্ধ রাখাটা আমার অভ্যাস হয়ে গেছে। দুপুরের পর থেকে জানালা বন্ধ করে দিই। নইলে দিনের বেলায় ঘরে ঢুকে রাত্রে অত্যাচার করবে। শব্দ তো সব সময় লেগেই আছে। বিভিন্ন অপরিচিত শব্দ, কুচকাচ শব্দে সন্ধ্যা নামলেই মন সবসময় দুরু দুরু করে। আর দক্ষিণা বাতাসের কথা সব ভুলে গেছি।
আবারো ধন্যবাদ প্রিয় ছোট ভাইকে।

নিরন্তর শুভেচ্ছা প্রিয় ছোট ভাইকে।

২১| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৭:১২

রাকু হাসান বলেছেন:


শুভ সকাল ভাইয়া... পরের পর্বে দেখা হবে।

১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হেহেহে এখন আর সকাল নেই। শুভ সন্ধ্যা প্রিয় ছোট ভাইকে।
পরের পর্বে তোমার কমেন্টের প্রতিমন্তব্য ইতিমধ্যে আমি দিয়ে এসেছি।
তবে এই সিরিজের পরে 'শূন্যে দেখা' নামে আমার আর একটা ভূতের গল্প আছে সম্ভব হলে একবার দেখে নিও।

নিরন্তর শুভেচ্ছা প্রিয় ছোট ভাইকে।

২২| ০৬ ই মে, ২০২১ রাত ৮:৩৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: এগুলো তা'হলে সুপর্ণারই কারসাজি ছিল!
যাহোক, গল্পে কিছুটা ভয়ের বর্ণনা তো পাওয়া গেল!
গল্পে একাদশতম ভাল লাগা + +।

০৬ ই জুন, ২০২১ রাত ৯:০৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: এগুলো তা'হলে সুপর্ণারই কারসাজি ছিল!
যাহোক, গল্পে কিছুটা ভয়ের বর্ণনা তো পাওয়া গেল!"- হেসেহে তা যা বলেছেন স্যার।পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
গল্পে একাদশ লাইক প্রদান করে অনুপ্রাণিত করার জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন।

নিরন্তর শুভেচ্ছা আপনাকে।


আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.