তোমার কথাগুলো কবিতা হয়ে যাক

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৫৪

কি বোকা আমি...প্রতি রাতেই ঘুমাতে যাওয়ার আগে একটা প্রার্থনা করি...‘ওহ গড...একটা কবিতা দাও...একটা...! ঘুম থেকে উঠেই যেন এমন একটা কবিতা লিখতে পারি যা দিয়ে পালটে দিতে পারি পুরো পৃথিবীটা’

বলি, আমার কথা উনি শুনবে কেন? আমার আদতেই তার উপর বিশ্বাস আছে নাকি...!!

তারপর প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠি দিনের আর পাঁচটা কাজের মতই...দুর্দান্ত ভাবে টিকে থাকার চেষ্টা সারাটা দিন জুড়ে...ফলাফল হাতে পাইনা বেশীরভাগ সময়...তারপর আবার নিরেট অন্ধকার চলে আসে পৃথিবীর আর সব বাড়তে থাকা মানুষের মতই আমার জীবনেও...এটা হল আমার রাত-দিনের জীবন...এড়িয়ে যাবো কিভাবে...!?


তারপর রাত নেমে এলে আমি অন্ধ বিশ্বাসে তোমার পাশে এসে বসি...বলি ‘তুমি যেমনটি চেয়েছিলে আমার কাছ থেকে তোমার জন্য তরতাজা সময়...এই যে...নিয়ে এসেছি...মুঠো ভর্তি করে। এই সময়টুকু জুড়ে আমি শুধু শুনব... শুধু শুনব।’ আমার এ বিশ্বাস প্রথম জনের মত ততটা ঠুনকো নয়। আমি রক্তের মাঝে একে পেয়েছি। ঘুমে পাওয়া কবিতা এ নয়।... তাই তোমার কাছেও দুর্দান্ত ভাবে আমি টিকে থাকার চেষ্টা করি...ভাবি, তুমি তো জীবনেরই অংশ...টিকে থাকতেই হবে আমাক...যে ভাবেই হোক...!!


তুমি বল, ‘তোমার বাঁধা জীবনে কেন আমার জন্য সময় জমিয়ে রাখছ? বুঝিনা তোমাদের...মন যা চায় তাই কর... অদ্ভুত...!!’

কিন্তু...কি বোকা আমি...ভুলেই যাই কথা রাখা আর না রাখাতে তফাৎ তুমি বোঝোনা...কতটা বেঁচে আছি আর কতটা মৃত আমি সেটাই পুজোর প্রাপ্তি বলে দিবে।।... তাই প্রতি মুহূর্তে বলতে হয় আমার বাঁধা সময়গুলোর মতই প্রতি মুহূর্তে আমি মারা যাচ্ছি...তিল তিল করে...আর দশটা মানুষের মতই... যারা জীবনভর জীবনটাকে ভালবাসতে চায়...একটুও না থেমে...


তোমাকে নিয়ে কোন উপসংহার আমি টানব না... কারণ বিশ্বাসের উপসংহার হয় মৃত্যুতে...শুধু হঠাৎ করে আজ উপলব্ধি করলাম- যে কবিতার জন্য আমি হন্যে হয়ে ঘুরে মরি প্রতিদিন...দারুনভাবে শেষ পর্যন্ত বেঁচে থাকি...পেতে চাই যার কাছ থেকে আত্মশুদ্ধতা— সেটা আসলে আমাকে আহত করা তোমার কথাগুলো...

কারণ? !!!

কারণ সেগুলো কবিতার মতই অবসরে আমাকে দেয় অফুরন্ত ভাবনার খোরাক – আর দুঃসময়ে হয়ে ওঠে তোমার বিরুদ্ধে আমার জীবন্ত হাতিয়ার...!!

১ টি +১/-০