শুধুমাত্র পাপীদের জন্য

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:২৩

“ঘুম ভাঙতেই অপ্রকৃতস্থের মত হেসে হেসে উঠার একটাই মানে হতে পারে—চর্চিত জ্ঞান আর সঞ্চিত পাপ ভেতর থেকে মিলেমিশে বের হয়ে আসতে চাইছে। এমন হাসি আলসেমি কাটিয়ে দিয়ে দিনের শুরুতে একটা সুখ সুখ ভাব এনে দেয়ার জন্য যথার্থ—সুখ হল আত্মগ্লানি মুক্তির আত্মতৃপ্তি লাভের একটা পথের দেখা পাওয়ার; যেখানে দাঁড়িয়ে লজ্জাকে মধ্যাঙ্গুলি দেখিয়ে সবাইকে বলে দেয়া যায় যে আমি কতটা নির্লজ্জভাবে এতদিন স্বজ্ঞানে পাপ করে গেছি।

বয়স, কাল, জাতি, বর্ণ, তত্ত্ব, সময়—কোনকিছুই পাপগুলো থেকে আমাকে বিরত রাখতে পারেনি। পাতার পর পাতা বই গিলে গলা ভিজিয়েছি নারীর কন্ঠে; ঠোঁটের কাছাকাছি এসেও আমি ডুব দিয়েছি সুরের শোকার্ততায়; নগ্ন দেহের পাশাপাশি সারারাত শুয়ে থেকেও আলসেমির কাছে নিজেকে তুলে দিয়েছি; মানবসভ্যতার কথা বলতে বলতে পরনারীর চিন্তায় কামার্ত হয়েছি; প্রেয়সী নারীর কোলে মাথা রেখে আমি ভেবেছি খুনোখুনির দৃশ্য; সঙ্গীহীনতার বৈরিতার সুযোগে নারীর কান থেকে কানে ঢেলেছি মিথ্যা স্বপ্ন; প্রেমের ব্যাপারে কুমন্ত্রণা দিয়ে নিয়েছি জান্তব সুখ; কবিতা দিয়ে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে চুপচাপ ঘুমিয়ে পড়েছি—তারপর সবকিছু বিস্বাদ ঠেকলে লেজ গুটিয়ে কবিতা লিখতে বসেছি”—এই হল আজকের সত্যতা।

শোনো, লজ্জা পেয়োনা, তোমার দেহে অতীত মানুষের অতীত স্মৃতিগুলো আমি এই মুহূর্তে বসে উপভোগ করছি—উমম্‌ ।।

০ টি +০/-০