নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কেউ কেউ বলছেন 4-0 White Wash আম্বালীগ!
আবার কেউবা আনন্দে লাফাচ্ছেন যে, হৃতরাজ্য পুনরুদ্ধার করতে চলছে বিএনপি এবং ১৮ দল। বলছেন, ২০০৭এর মইন-সিডরে একে একে ক্ষমতা এবং সবগুলো বড় সিটির মেয়র জোর করে কেড়ে নেয়া হয়েছিল। আবার সময় নিয়ে ঘুরে দাড়িয়েছে বিএনপি। চট্টগ্রাম থেকে কুমিল্লা হয়ে যাত্রা শুরু করে সিলেট দিয়ে রাজশাহী হয়ে খুলনা দিয়ে বরিশালে এসে পড়েছে। এরপরে গাজীপুর দিয়ে প্রায় ঢুকে পড়ছে রাজধানীতে। তাদের জন্য বলব, এত সুখ সুখ না!
এ পর্যন্ত যা খবর পাচ্ছি রীতিমত ভয়াবহ। ৪ সিটিই প্রথমে কেটে নেওয়ার চেষ্টা হয়েছে, আম্লীগের ভোটারদের ২টা করে ব্যালট দেয়া হয়েছে। নির্দিষ্ট পোলিং অফিসারের কাছে গিয়ে “শাহবাগ” শব্দটা আওয়াজ করলে তাকে কৌশল করে দু’টি ব্যালট দিয়েছে। বরিশালে এজেন্ট বের করে দিয়ে সীল পিটিয়েছে সরকারী দল। মোট কথা যতরকমের জালিয়াতি, কারচুপি আছে সব করেছে আম্লীগ। শেষ পর্যন্ত ব্যবধানটা কত হবে, তা আন্দাজ করতে পারেনি, তাই গ্যাপ ফিলাপ করতে না পেরে ৪টা সিটিতেই ফলাফল ঘোষনা বন্ধ করে দেয়। বলা হয় কালকে দেয়া হবে ঘোষনা। এরপরে ঘেরাও আর চাপসৃষ্টি করে ফলাফল ঘোষনা করতে হয়। আরো অপেক্ষা করলে বিস্তারিত অনিয়মের খবর পাওয়া যাবে।
আম্লীগ ভোট কেন্দ্র দখল করেছে (বরিশালেই ১২টা কেন্দ্র), এজেন্ট বের করে দিয়েছে শক্তি দিয়ে, জাল ভোট দিয়েছে, সিল পিটিয়ে হাজার হাজার জাল ভোট দিয়েছে। ভোটের ব্যবধান যদি আরো কম হতো, তবে আমাদের প্রার্থী জিততে পারত না। কেন্দ্র দখল করার বিষয়ে বরিশালের প্রিজাইডিং অফিসাররা নিজেদের অসহায়ত্বের কথা প্রকাশ করেছেন। তারা বলছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তা চেয়েও তা পাওয়া যাচ্ছে না। প্রশাসন এবং নির্বাচন কমিশনের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহযোগিতায় দিনভর নগরীর বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে সরকার সমর্থকরা প্রতিপক্ষ প্রার্থীর এজেন্টদের বের করে দেয়া, মারধর, প্রিজাইডিং অফিসারকে প্রহার, ব্যালট পেপার ছিনতাই করে। নির্বাচনের আগের রাতে আঞ্চলিক রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় থেকে ৮৫টি ‘সাংবাদিক’ লেখা স্টিকার সরকারদলীয় প্রার্থী হিরনকে দেয়া হয়। ওই স্টিকারে ব্যবহার করে হিরনের স্ত্রীসহ ক্যাডাররা কেন্দ্রে ঢুকে প্রভাব বিস্তার করে। এসব অপকর্মের পাশাপাশি মেয়র প্রার্থী হিরন এবং তার সমর্থকরা আহসান হাবিব কামাল, সাবেক এমপি আবুল হোসেন খানসহ তাদের অনেক নেতাকর্মীকে মারধর করেছে। এমনকি সরকারী দলের মেয়র প্রার্থী হিরন সাগরদী আলিয়া মাদ্রাসা ভোটকেন্দ্রে গিয়ে এক ভোটরকে তার মার্কায় ভোট দিতে নির্দেশ দেন, এতে আনারস প্রতীকের এজেন্ট জুবায়ের প্রতিবাদ করলে এতে হিরন ক্ষিপ্ত হয়ে সবার সামনেই জুবায়েরকে চড়থাপ্পড় মারেন। বরিশালে রাত ১২টার দিকে সব কেন্দ্রের ফল চলে আসলেও রিটার্নিং অফিসার মুজিবুর রহমান ফল পরে ঘোষণা করা হবে বলে জানান, এতে কামালের সমর্থক নেতাকর্মীরা উত্তেজিত হয়ে পড়েন। ফল ঘোষণার জন্য রিটার্নিং অফিসারের ওপর চাপ দিতে থাকেন। উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে রিটার্নিং অফিসার রাত সোয়া ১২টার দিকে আহসান হাবিব কামালকে বিজয়ী ঘোষণা করেন। এটা ফল পাল্টানোর অপচেষ্টা ছাড়া আর কিছু নয়।
রাজশাহীতে লিটন হেরে যাওয়ার পরিস্থিতি হলে চরম অনাসৃষ্টি করেছে, ফল প্রকাশে বাধা দিয়েছে, এমনকি সরকারী দলের তান্ডব ঠেকাতে র্যাব অ্যাকশনে যায়। বিএনপির সব সিনিয়র নেতাদের শহর থেকে বাইরে যেতে বলে পুলিশ। খুলনায় সোনাডাঙ্গা থানার হাজী ফয়জুদ্দিন স্কুল ভোটকেন্দ্রের ব্যালট বাক্স ছিনতাই করে নিয়ে গেছে আম্লীগের লোকজন যা পরে র্যাব উদ্ধার করে। রাজশাহী ও বরিশালের রেজাল্ট ঘোষণা আটকে দেয়া হয়। পরে রাত ১১টায় বিএনপি নেতা আবদুল মঈন খানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল নির্বাচন কমিশনে গিয়ে চাপ প্রয়োগ করে ঐ দুই সিটির ফলাফল ঘোষনা করতে বাধ্য হয়।
সিলেটের খাসদবির সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের এক সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার সরকার দলীয় প্রার্থী কামরানের সমর্থকদের অতিরিক্ত ব্যালট সরবরাহ করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়েন। ব্যালট জালিয়াতিতে তারা কোড ওয়ার্ড ব্যবহার করেছে “শাহবাগ”, আর তবেই ভোটারের হাতে দেয়া হতো ২টি ব্যালট!! ইভিএম ব্যবহার হয়েছে এমন কেন্দ্রে পোলিং অফিসাররা কামরানের পক্ষে বাটন চাপতে ভোটারদের উৎসাহিত করেন! সিলেটের ৩ কেন্দ্রে ইভিএম জালিয়াতি করে কামরানকে দেয়া হয় ২৫১২ ভোট এবং আরিফকে ১২৮৪ ভোট- যা অসম্ভব, অবাস্তব। আরিফের ফলাফল ঘোষণাও একদিন পিছাতে চেষ্টা করে রিটার্নিং অফিসার। আরিফুল হকের সমর্থকরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। এক পর্যায়ে তারা নির্বাচন কমিশনারকে ‘ঘেরাও’ করেন। পরে বাধ্য হয়ে কমিশনার আরিফুল হককে সিলেট সিটি নির্বাচনে মেয়র হিসেবে বিজয়ী ঘোষণা করতে বাধ্য হয়।
তো, কারচুপি আর সরকারী জোর জুলুম ছাড়া নির্বাচনটা হলো কোথায়? কেবল ভোটের ব্যবধান বেশী ছিল বলে কাভার করতে পারেনি সরকারী দল। আগেই আমরা বলেছিলাম, সরকার আগামী সাধারন নির্বাচনের কারচুপির ড্রেস রিহার্সেল করবে এ সিটি নির্বাচনে। কাজেই সাধারন নির্বাচন করলে হাসিনা এর চেয়ে অেনেক বেশী কারচুপি করবে। অতএব, এটা প্রতিষ্ঠিত হলো- হাসিনা জুলুম করে ভোটের ফল পাল্টে ফেলতে চায়, এবং চেষ্টা করে। এ নির্বাচনে আনুমানিক ১০% ভোট কেটে নিয়েছে আম্লীগ। আর তাই এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে নির্দলীয় সরকারের দাবী সুপ্রতিষ্ঠিত হলো। বিএনপির কাছে হাসিনাকে বিশ্বাস করার মত কোনো নূন্যতম কারন নাই! জিতে গেছি, তাই আত্মতুষ্টিতে ভুলে গেলে চলবে না, যে আম্লীগ অন্য কাউকে ক্ষমতায় বসানোর মত আহাম্মক নয়।
মোটকথা আগামী সাধারন নির্বাচন সুষ্ঠূ করাটা যে কত জটিল আর চ্যালেঞ্জিং হবে - সেটাই জানান দিলো ৪ সিটির নির্বাচন! আর তাই সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের এ কষ্টার্জিত বিজয় বরং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবীতে আন্দোলনকেই জোরদার করবে। নবউদ্যমে ১৮ জোট কর্মীরা শেষ পর্যন্ত এটা আদায় করেই নির্বাচন করতে হবে।
২| ১৬ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:২০
জাতির চাচা বলেছেন: ভোলার ফর্মুলাটা বরিশালে কাজ করলোনা কেনো সেটা ভেবে দেখতে হবে.।।।যদিও গেম মেকার সবগুলা প্রায় একই।সেখানে ছিলো তিন স্তরের প্রতিরোধের ব্যাবস্থা।চিহ্নত কোনো ভোটারের পক্ষে সেই ব্যারিয়ার অতিক্রম করে ভোট কেন্দ্রে ঢোকা ছিলো প্রায় অসম্ভব।তারপর .।খালি নাম্বার লেখা স্লিপ! ব্যাস .।.।.।.।।কোনো টু শব্দ নাই।মিডিয়া দেখলো ঝামেলা বিহীন নির্বাচন।ভবিষ্যতে এ ব্যাপার নিয়ে আরো ভাবতে হবে।মাগুরার মতো হলে সবাই জেনে যাবে।ভোলার মত হলে কেউ টের পাবে না।
১৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ৮:২০
পাগলা ভাই বলেছেন: চাচা বলেন কি ?
©somewhere in net ltd.
১| ১৬ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১১:৩৭
শিক্ষানবিস বলেছেন: সঠিক তথ্য তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ।