![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
চট্টগ্রাম কলেজে পড়াকালীন শিবিরের সেই রকম রূপ দেখেছিলাম। তাই দাড়িওয়ালা দেখলেই শিবির মনে হতো।(তবে এখন মডার্ণ শিবিরও দেখা যায়।)
১
তাই দাড়িওয়ালা কাউকে দেখলে মনে মনে একটা আতংক কাজ করতো।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে হলে উঠলাম। হলের মসজিদে নামাজ পড়তে যেতাম। চুপি চুপি এক কোনায় গিয়ে নামাজ পড়তাম। হঠাৎ দেখি কিছু দাড়িওয়ালা বড়ভাই আমাকে ঘিরে ধরলো। আমার কুশলাদি জিজ্ঞাসা করা শুরু করলো। আমি মনে করেছিলাম, তারা শিবির, ভয়ে ভয়ে জবাব দিয়ে পালালাম। আমার সেই ভুল ভাঙলো আরো ২ মাস পরে।তখন বুঝলাম, সব দাড়িওয়ালাই শিবির নয়।
২
তারপর থেকে পারতপক্ষে হলের মসজিদে যেতাম না। রুমেই নামাজ পড়তাম। কিন্তু ঘটনা এখানেই শেষ নয়। তাবলিগের সবাই লাইন ধরে রাইন্ড দিতো বের হতো আসরের নামাজের পর। হয়ত আমি রুমে আছি, এমন সময় রুমে ঢুকে যেত, নানা কুশলাদি জিজ্ঞাসা করা। দাঁত কিড়মিড় করে হ্যা, না জবাব দিয়ে যেতাম।
৩
ধীরে ধীরে একটু চালাক হওয়া শুরু করলাম। তাবলীগ আসছে, এটা টের পেলে কাথামুড়ি দিয়ে ঘুমিয়ে পড়তাম। অনেক সময় জানালা দিয়ে হাত ঢুকিয়ে বাইরে দরজাতে তালা লাগিয়ে দিতাম।
আমার রুমমেট ছিলো কয়েকজন বড়ভাই। তাদেরও ধরলো তাবলীগে। একদিন আমি হঠাৎ করে বাইরে থেকে এসেই ঘুমিয়ে পড়লাম (দেখানো ঘুম), আর বড়ভাইকে ধরলো এক বড় হুজুর, যিনি ভারতের আলীগড় মাদ্রাসা থেকে এসেছেন। বড়ভাই রাগে গজ গজ করতে করতে বয়ান শুনলাম।
হুজুরগণ যখন চলে গেল, আমি ঘুম থেকে উঠে গেলাম, আর বড়ভাই আমাকে বললো, ''মিয়া, তুমি একটিং করছো, এটা আমাকেও জানাতে, তাহলে আমিও ঘুমাতাম''
৪
তাবলীগ থেকে বাচার জন্য হলের আর এক বড়ভাই ভালো একটা বুদ্ধি দিয়েছিলো। তিনি খালি তাবলীগের হুজুরদের থেকে টাকা ধার চাইতেন। তারা প্রথম প্রথম ২-১শ টাকা ধার দিতো, পরে বড়ভাইটাকে দেখলে তাবলীগের ভাইরা নিজেরাই পালাতো।
৫
তবে আমার বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে কয়েকজন ভালো সহপাঠী পেয়েছিলাম, যারা সবাই তাবলীগ করতো। একবার টার্ম ফাইনাল চলছে, এর মধ্যেও দেখলাম, সহপাঠী ৩ দিনের চিল্লাতে গেল।
৬
আমাদের বাসার ২জন দাড়োয়ান/কেয়ারটেকার আছে যারা ২ জনই হিন্দু। সেদিন বিকালবেলা বাসার ঢুকার সময় দেখলাম, ১০-১২ জন একটা বড় দল তাদের হেদায়েত করছে, কিন্তু তারা যে হিন্দু সেটা জানতো না। দাড়োয়ান ২টাও হা, হু করে যাচ্ছিলো।
৭
সিলেট থেকে একবার ঢাকায় ট্রেনে আসার জন্য টিকেট কাটতে স্টেশনে গেলাম। দেখলাম ১৫-১৬ জনের একটা বড় দল, যারা টঙীতে যাবেন ট্রেনে করে। (তখন ইজতেমা শুরু হয় নাই, ডিসেম্বর মাসে)। কিন্তু টিকেট কাউন্টার থেকে বলা হলো, ট্রেন থামবে এয়ারপোর্ট স্টেশনে, টঙীতে নয়। তখন তাবলীগের সর্দার বললো, আমরা সবাই দোয়া করতে থাকি, যাতে ট্রেনটা টঙীতে থামে।
৮
আমার এক ভাগ্নে তুমুল তাবলীগি। জিপিএ ৫.০০ পেয়ে এসএসসি পাশ করে কলেজে উঠার পর তাবলীগে যোগ দিলো। এই বার এইচ এস সির পালা। কিন্তু টেস্ট পরীক্ষার পরে সে সারা দিন মসজিদে বয়ান করে বেড়ায়, দিনে পাঁচবার নামাজ পড়তে পাঁচবার মসজিতে যায়, কিন্তু শুধু নামাজ পড়ে চলে আসলে সমস্যা হতো না, এক এক বার নামাজ পড়তে গেলে ২ ঘন্টায়ও বাসায় আসে না।
ঈশার নামাজ পড়ে বাসার এসে ভাত খেয়ে ঘুম, কারণ সকালে ফজরের আগে উঠা লাগবে, তারপর ফজরের নামাজ পড়ে এসে আবার ঘুম, ৮টা বাজে ঘুম থেকে উঠে হালকা পড়ালেখা। আবার মসজিদ, বাসা, বয়ান, তাফসির, কিন্তু নিজের পড়ালেখাটা করছে না ঠিক মতো। তাকে জিজ্ঞাসা করা হলে, সে বলে, আল্লাহ তার সাথে আছেন।
তাকে বল্লাম, তোমার পরীক্ষার খাতায় তো তোমাকে লিখতে হবে, তুমি ঠিকমতো না পড়লে লিখবে কি?
তখন সে বলল, '' আপাতত আমাকে কিছু বলবেন না, পরীক্ষায় জিপিএ ৫ পেলেই তো হলো''
তাবলীগের উপর ওভার কনফিডেন্স তাকে শেষ করেছে। সে পরীক্ষায় পেয়েছলো ৩.৪০
সবশেষে বলে রাখি, আমি আস্তিক, নিয়মিত নামাজ কালাম পড়ার চেষ্টা করি। (তবে মাঝে মাঝে শয়তান বড়ই ডিস্টার্ব করে।)
২৩ শে আগস্ট, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৫২
পাকাচুল বলেছেন:
২| ২৩ শে আগস্ট, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:২২
শেষ চিঠি বলেছেন: তখন তাবলীগের সর্দার বললো, আমরা সবাই দোয়া করতে থাকি, যাতে ট্রেনটা টঙীতে থামে।
হা হা পে গে
২৩ শে আগস্ট, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:১৮
পাকাচুল বলেছেন:
৩| ২৩ শে আগস্ট, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:২৪
মো: আবু জাফর বলেছেন: ভাই আপনার কথায় আমি কিছুটা দাড়ি বিদ্বেশি মনভাব পাইলাম । আর ভাইজান সাধারন একজন মানুষের কথার কারনে অপর মানুষ হার্ট এটাক করে, মারা যায় । তাহলে আল্লাহ যিনি আমাদের সৃষ্টি করেছেন তার কাছে চাওয়া হলে তিনি কি ট্রেনটা টঙীতে থামাতে পারেন না ???
২৩ শে আগস্ট, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৫০
পাকাচুল বলেছেন: আমি মোটেও দাড়ি বিদ্বেষী নয়।
আল্লাহ চাইলে সবকিছুই পারে, এতে কোনো সন্দেহ নাই।
তবে তাবলীগ ওয়ালারা নিজে স্বাবলম্বী হওয়ার চেয়েও আল্লাহর উপর বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়ে, এটাই সমস্যা মনে হয়।
আমার এক দুলাভাই আছেন, যিনি সপ্তায় সপ্তায় ৩ দিনের, কয়েকমাস পর পর ৪০ দিনের জন্য চিল্লায় চলে যান, তার সংসার কিভাবে চলবে, স্ত্রী, সন্তানদের ভরণপোষন, চিকিৎসা কেমনে হবে, সেই ব্যাপারে তিনি নির্বিকার। তিনি সবকিছুতেই বলেন, আল্লাহ করবে।
৪| ২৩ শে আগস্ট, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৪৮
প্রযুক্তি বলেছেন: মজা পেলাম টাকা ধার এর বুদ্ধিটা দেখে। রমযান এ আল্লাহ আমাদের সবাইকে হেদায়েত দিন। আমিন।
২৩ শে আগস্ট, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:২৩
পাকাচুল বলেছেন: আমিন।
৫| ২৩ শে আগস্ট, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৫৯
অস্থির পোলাপাইন বলেছেন: তবে তাবলীগ ওয়ালারা নিজে স্বাবলম্বী হওয়ার চেয়েও আল্লাহর উপর বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়ে, এটাই সমস্যা মনে হয়। সহমত।
২৩ শে আগস্ট, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:০০
পাকাচুল বলেছেন: আল্লাহর কাছেও চাইতে হবে, নিজেকেও চেষ্টা করতে হবে। তবেই সফলতা আসবে।
৬| ২৩ শে আগস্ট, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:০৩
মোঃ আরিফ রায়হান মাহি বলেছেন: (তবে মাঝে মাঝে শয়তান বড়ই ডিস্টার্ব করে।)
তাবলীগ আসলেই একটা ইসলাম দূষনকারী বিতর্কিত ইসলামী দল। এদের মূল উতপত্তি ভারতের দেওভন্দের মাওলানা ইলিয়াস এর মাধ্যমে, ঐ ভন্ড নিজের মত করে ইসলাম সাজানো শুরু করেছে এবং পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে বাংলাদেশে কাজ চালাচ্ছে।
কোন একজন বিখ্যাত লোক এদেরকে বলেছিল, "এরা মাটির নিচ দিয়া চলে আর আকাশের উপর দিয়া চলে,দুনিয়াবি কোন কাজে এদের কোন সম্পৃক্ততা নাই"
এদেরকে দেখলে একটা কথাই খালি বলবেন, "আমি আপনার ঘরে থেকে মানবসেবা করব,আপনার ঘরে হাগব-মুতব,রাতের বেলা স্বপ্নে উলটাপালটা দেখে বিছানা নষ্ট করব,রুমে আমার জাঙ্গিয়া আর লুঙ্গি শুকাতে দিব, আপনি কি আপনার বাসায় থেকে মানবসেবা করতে দিবেন?"
আমি এদের "পিকনিক পার্টি" বলে ডাকি আর অপেক্ষায় থাকি কখন আমাকে ধরে তারপর এদের তুলোধুনো করি,এরা এত কম জ্ঞান নিয়ে কোন সাহসে যে ইসলামের তথাকথিত দাওয়াত দেয় বুঝি না।
২৩ শে আগস্ট, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৩২
পাকাচুল বলেছেন: তুলোধুনোর অপেক্ষায় থাকেন।
৭| ২৩ শে আগস্ট, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:০৮
মনে নাই বলেছেন: ওরে ভাইডি পুরান কথা মনে করাই দিলেন। বিকেল বেলা তাবলিগের ভাইয়েরা আসলে আমরাও বিরাট ঘুম দিতাম। দরজায় অনবরত খটর খটরে একজন উঠতে বাধ্য হলেও সেই একজনই দরজায় এমনভাবে দাড়াতাম যেন তাবলিগের কেউ রুমে ঢুকতে না পারে, যা ঝড় যাবার একজনের উপর দিয়েই যেত, তাবলিগের ওরা চলে গেলে বাকী রুমমেটদেরকে গাইল্লাতাম আর ওরাও ভীষন মজা করতো তাকে নিয়ে যার উপর দিয়ে আজকে ঝড়টা গেল। ঢাবির শহীদুল্লাহ, এফএইচ হলে এমন কোন বুকের পাটা ছিলনা যে কিনা তাবলিগের বরকত ভাইকে ভয় পায় না, মাগো মা ছাত্রলীগ/ছাত্রদলের ক্যাডারদেরকেও অতটা ভয় পেতাম না, উনি ছিলেন কার্জনের ত্রাস।
২৩ শে আগস্ট, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:২২
পাকাচুল বলেছেন: তাবলীগ থেকে পালানোর জন্য কত কায়দা কসরত করেছি ঠিক নাই, এখনো মনে পড়লে হাসি পায়। কখনো টয়লেটে গিয়ে বসেছিলাম, কখনো এক্সট্রা আর একবার গোসল করতে যাওয়া, কিংবা কখনো হলের ছাদে গিয়ে লুকিয়ে থাকতাম।
৮| ২৩ শে আগস্ট, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:১০
শ্রাবণ নজরুল বলেছেন: তবে তাবলীগ ওয়ালারা নিজে স্বাবলম্বী হওয়ার চেয়েও আল্লাহর উপর বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়ে, এটাই সমস্যা মনে হয়। সহমত।
২৩ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ৮:১৩
পাকাচুল বলেছেন: ধন্যবাদ।
৯| ২৩ শে আগস্ট, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:২৩
আল-মাসুম বলেছেন: ওদের চিন্তা- ধারায় গলদ এটা মানি, কিন্তু আমরা যারা অনেক জানি তারা নিজের ধর্মের জন্য কি করছি?
২৩ শে আগস্ট, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:২৪
পাকাচুল বলেছেন: কিছুই করছি না, আর আমি নিজেকেও ধর্মের কল কিংবা বিবেক মনে করছি না।
১০| ২৩ শে আগস্ট, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:২৪
অণুজীব বলেছেন: সব দেখি মিলে গেলো
২৩ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ৮:২৩
পাকাচুল বলেছেন: আমি তো ভাই ফটোকপি করি নাই, মিলে গেল কেমনে?
১১| ২৩ শে আগস্ট, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:২৭
আদনান মাননান বলেছেন: Click This Link
২৩ শে আগস্ট, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৫৭
পাকাচুল বলেছেন: দেখলাম, ধন্যবাদ।
১২| ২৩ শে আগস্ট, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৩৯
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আমি আস্তিক, নিয়মিত নামাজ কালাম পড়ার চেষ্টা করি। (তবে মাঝে মাঝে শয়তান বড়ই ডিস্টার্ব করে।)
২৩ শে আগস্ট, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৫০
পাকাচুল বলেছেন: আপনারও কি আমার মতো অবস্হা নাকি?
১৩| ২৩ শে আগস্ট, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৪০
নাহিয়ান বিন হোসেন বলেছেন: চমৎকার লাগল লেখাটা! একদম মন মত কিছু কথা বলেছেন ভাইয়া! বুয়েটেও তো নিশ্চয় তাবলীগ দেখছেন! আপনার মত আমিও মাঝে মাঝে ঘুম, কখনো বারান্দায় চলে যাওয়া, কখনো রুম থেকেই হাওয়া হয়ে যাই! তবে এটা সত্যি যে তাবলীগের কিছু ভাইয়া অনেক ভালো।
২৩ শে আগস্ট, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৪৫
পাকাচুল বলেছেন: তাবলিগের ভাইয়ারা খারাপ, এটা তো কখনো বলি নাই, আমার নিজের ২ ক্লাসমেট, গ্রুপমেট তাবলিগের ছিলো। খুবই ভালো।
১৪| ২৩ শে আগস্ট, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৪২
এস এইচ খান বলেছেন: কলেজতো দেখি তাবলিগের দখলে তা শিবির গেলো কই?
২৩ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ৮:১১
পাকাচুল বলেছেন: এখন হয়ত লুকিয়ে আছে, সময় হলেই বের হবে।
১৫| ২৩ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ৯:২২
মোঃ নিজাম বলেছেন: মোঃ আরিফ রায়হান মাহি@। রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে প্রতিষ্ঠিত ইসলাম ধ্বংস হওয়ার পর পৃথীর যেখানেই ইসলামের নামে, ইসলামকে মুখ্য করে অথবা চলতি ইসলামী পদ্ধতীতে কোন সংগঠন, সংস্থা গড়ে উঠে ইসলামী দাওয়াতের কাজ করে যাচ্ছে তা শতভাগ স্বচ্ছ ইসলামের উপর প্রতিষ্ঠিত ছিল বা আছে এটা বলা অনেক কঠিন ব্যপার।ত্রোয়োদশ শতকের আবদুল ওয়াহাব নজদীর ওয়াহাবী আন্দোলন থেকে মিশরের ইখওয়ার হয়ে আজকের তাবলীগ পর্যন্ত কোথাও বিতর্ক নাই এমনটি পাবেন না। ভারত উপমহাদেশে প্রাথমিক পর্যায়ে ইসলাম আসার পর যখণ গনহারে মানুষ ইসলাম গ্রহণ করে তখন এই ইসলামী দাওয়াকে প্রয়োগিক অর্থে রুপান্তিত করার যতার্থ জ্ঞান, পযাপ্ত শিক্ষক এবং প্রশিক্ষন গ্রহণের অভাবে দীর্ঘ ৩শ বছরের ব্যবধানে আমরা প্রত্যেকেই এখন ইসলামের একেকজন ব্যক্ষাকার। সাধারণ অর্থে আমি ইসলামকে যেভাবে বুঝি, মনে হয়না হাজার চেষ্টা করেও আপনার সাথে মিলাতে পারবো। এটা হল আমাদের প্রথমিক ব্যর্থতা।
তাবলিগ জামাত নিয়ে আপনার এমন বিষদগার মোটেও ভাল লাগেনাই। বিশেষ করে মাওলানা ইলিয়াস (রা.) কে ভন্ড বলাটা।দ্বীন সম্পর্কে অজ্ঞ, পাড়ার মধখোর সাধারণ কিছু মুসলিম যারা ইসলামের মৌলিক বিষয়াদি সম্পর্কে ন্যূনতম ধারনাও রাখেনা এমন লোকদের গভীর আবেগ নিয়ে নিঃস্বার্থভাবে ইসলামের দিকে ডেকে আনে এই তাবগীল যার বিনিময়ে পরকালে কিছু পাওয়ার আশা ছাড়া জাগতিক কোন উদ্দেশ্য থাকেনা। মাওলানা ইলিয়াস দারুল উলুম দেউবন্দের একজন মুহাদ্দিস যিনি দীর্ঘ ৩৬ বছর হাদিসের খেদমত করেছেন। ইসলামের একটা বিশেষ দলীল হাদিসের প্রচারে যার এতটুকু অবদান তাকে আপনি ভন্ড বলতে পারলেন বিষয়টা আরেকবার ভাবার অনুরোধ রইল।
নিঃস্বন্দে আমি বিশ্বাস করি ইসলামী দাওযার কাজে প্রচলিত তাবলিগ জামাতের পদ্দতীগত অনেক ভুল আছে- বিশেষ করে মসজিদে রাত্রি যাপন, নিজের পরিবারের ব্যয় নিয়ে একেবারে বেখবর হয়ে থাকা, ইসলামের রাজনৈতিক দিকটাকে আধাঁর করে তুলে ধরা, এছাড়াও আরো অনেক দিক আছে তথাপি দ্বীন সম্পর্কে অজ্ঞ লোকদের হাতে পায়ে ধরে মসজিদে নিয়ে আসা এহেন দ্বীনি কাজ তাতে মলিন হয়ে যায় না। এ পর্যায়ে আমাদের অবদান একেবারে অপ্রতুল। কারণ আমরা মুখ থুবড়ে সমালোচনা করতে পারলেও কাজের বেলা ঠনঠন। এভাবে আমাদের অবস্থা এখন এমন জায়গায় পৌছে গেছে যে- জায়গামত নিজেদর মুসলিম পরিচয় দিতেও দ্বিধাবেধা করি। যেমনটি আল্লাহ বলতে ভয় পাই তার পরিবর্তে ইশ্বার বলি।
যাক ভাই অনেক কথা বলে ফেললাম ভুল হলে মাফ করবেন।
লেখক@ আশা করি আমার মন্তব্যটা আপনাকে কষ্ট দেবেনা। আপনার পোস্টটা আমার কাছে ভেতরের আর্তি থেকে একটু সে বেলার লুকোচুরির স্মৃতিচারণ করে নষ্টালজিয়া হওয়ারমতই মনে হল আর কিছুইনা।
২৩ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ১০:২২
পাকাচুল বলেছেন: ধন্যবাদ, তাবলীগ এর ভালো মন্দ নিয়ে আমার কোনো মন্তব্য নাই। মূলত তাবলীগ নিয়ে আমার নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছি।
মূলত হল লাইফের স্মৃতিচারণ ছাড়া আর কিছুই না।
১৬| ২৩ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ৯:৪৩
চে২১ বলেছেন: তাবলীগের সর্দার বললো, আমরা সবাই দোয়া করতে থাকি, যাতে ট্রেনটা টঙীতে থামে।
২৩ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ১০:৩৯
পাকাচুল বলেছেন: ধন্যবাদ।
১৭| ২৩ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ৯:৫২
সাকিন উল আলম ইভান বলেছেন: হা হা হা ,তবে তাবলীগ করা কিন্তু ভালো এর মাঝে কোন দুই নম্বরী নেই ,এখন আপনার দৃষ্টিভঙ্গী
২৩ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ১০:৩৪
পাকাচুল বলেছেন: আমিও তও ভালো বলেছি, কখনো তো খারাপ বলি নাই, কিন্তু আমি নিজে তাবলীগ করতে আগ্রহী নই।
১৮| ২৩ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ১১:৩৯
মোঃ আরিফ রায়হান মাহি বলেছেন: @লেখক
আপনার স্মৃতিচারনামূলক লেখার প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে আগেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি একটু অপ্রাসঙ্গিক প্রশ্নের অবতারনা করার জন্য এবং তার প্রেক্ষিতে উত্তর দেয়ার জন্য।
@ মোঃ নিজামঃ
আমি সাধারনত কোন তাবলীগের সাথে শরীয়াহ নিয়ে প্রমানাদি নিয়ে তর্কে জড়াই না, তবে আপনার প্রগতিশীল চিন্তা-চেতনা প্রশংসার দাবি রাখে। কিন্তু আপনাকেও সম্ভবত কোন না কোন উপায়ে তারা ব্রেইন ওয়াশ করে দিয়েছে।
হাদীস কোরানে বহুবার বহু জায়গায় মানুষকে দাওয়াত দেয়ার প্রতি জোর তাগিদ দেয়ার কথা বলা হয়েছে, কিন্তু তার মানে কি একটা বাচ্চাকে খেলার মাঠ থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে তাকে আধা ঘনটা যাবত দোযখের বর্ননা দেখিয়ে "ভাই আসুন, মাগরিবের নামাযটা আদায় করি এবং তার পরে বয়ানে শরিক হই" এই টাইপের ধান্ধাবাজির কথা বলা? মানে দলভারি করার হীন প্রয়াস?
মাওলানা ইলিয়াসকে ভন্ড বলার অনেক কারন আছে, ইচ্ছে করলে হাজারো কারন দেখানো যায়, তবে সারাংশ হচ্ছে সে নবিজীকে অসম্মান করে এবং তাকে বাদ দিয়ে ইসলাম প্রচার করার এক হীন প্রয়াস নেয়। গোটা ইসলামে সে খুব বাজে কিছু পরিবর্তন এনেছে। আপনি নিজেই একটু খোলা চোখে তাকালে খুঁজে পাবেন।
এবার আসেন তাবলীগের কাজ-কারবার নিয়ে, প্রথমেই আপনিও যেটা বললেন "মসজিদে রাত্রি যাপন", স্বয়ং নবিজীর আমলেও কোন মুসাফির মসজিদে থেকে কোন কাজ করার সাহস করে নি, তারা মসজিদের বারান্দায় থাকত এবং তাদের "আসহাবে সুফফা" বা "বারান্দার অধিবাসী" বলা হত। মসজিদে বসে তারা এই কাজগুলা অবলীলায় করে। এটাই এদের চরিত্র উন্মোচন করে।
এদের কেউ খারাপ বলে না,কারন খারাপ বলার মত কারো স্টাডি করার সময় হয় না, ডেস্টিনির কোন কর্মী আপনাকে খুব সহজেই ডেস্টিনিকে ভাল কোম্পানি বলে আপনার কাছে প্রকাশ করতে পারে, এরাও অনেকটা সেইরকম। শিবির আর এদের মাঝে বেশ মিল। তবে শিবির ওয়াহাবী মতবাদ ফলো করে যা নজদ প্রদেশের আব্দুল ওহাব নজদ এর বানানো ইসলাম, সেটা আরো ভয়ঙ্কর,ইসলামকে কিভাএব ঐতিহ্যশূন্য করা যায় তার মতবাদ। নবিজীকে এরা একটা ভাল সাধারন মানুষ হিসেবে ভাবে,এর বাহিরে উনাকে আর কিছুই ভাবে না। {লক্ষ্য করবেন তাবলীগ এবং ওয়াহাবী মতবাদের সুনির্দিষ্ট দোষগুলো আমি উল্লেখ করছি না,কারন আপনি যদি এগুলোতে অলরেডি আইওয়াশড হয়ে থাকেন তাহলে এখানে অহেতুক বিশাল বিতর্ক বেধে যাবে আর এইরকম কারো সাথে তর্ক করার ইচ্ছা নাই এই মুহুর্তে,এদের সাথে আসলে তর্কও চলে না। }
দাওয়াতের কথা বলেছেন, ইসলামে দাওয়াতের বাধ্যবাধকতা আছে, আবশ্যকতা আছে, ইসলামের দাওয়াত মানে একটা অশিক্ষিত রিক্সাওয়ালাকে তার ক্ষতি করে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে নামাযের দাওয়াত দিয়ে সাথে বয়ানে শরিক হবার জন্যে বলা না, ইসলামে দাওয়াত মানে শান্তির দাওয়াত, এই শান্তির দাওয়াত সকল প্রকার অশ্লীলতা,অপকর্ম,দুর্নীতির প্রেক্ষিতে দাওয়াত। সেখানে নামাযের দাওয়াত দেওয়া একটা পার্ট,আর তাবলীগের সদস্যরা এই পার্ট এর বাহিরে আসলে আর কিছু করার ক্ষমতাই রাখে না,তাদের নিজেদেরই জ্ঞান কম এবং তারাও আই ওয়াশড অবস্থায় এই লাইনে এসেছে। চিল্লার মত এত ফাউল একটা কর্মকান্ড এদের দ্বারাই মানায়।
এরা সরাসরি মানুষের উপর অত্যাচার চালায়। মানুষকে বিরক্ত করে,আমি দেখেছি এরা কিছু এসএসসি পরীক্ষার্থীর বাবাদের নানানভাবে কনিভিন্স করে একরকম পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা শেষে জোর করে রাতের বেলা চিল্লায় নিয়ে যায়।
এছাড়া টঙ্গীর তুরাগ তীরে এদের একটা মহা তামাশার জায়গা, আমার বাসার কাজের লোক বলছিল "আমরা তো গরিব মানুষ, হজ্বে যেতে পারব না,তাই এখানে গেলে হজ্বের সমান সওয়াব পাব" কত বড় কথা আপনি চিন্তা করে দেখুন, বাংলার মিডিয়া আর এক চিজ, বলে হজ্বের পরে মুসলিম বিশ্বের দিত্বীয় বৃহত্তম জামাত, কত বড় আহাম্মকী চন্তা করেন, কোথায় হজ্ব আর কোথায় হল তুরাগ পাড়ে অসুস্থ পরিবেশে গোটা ঢাকাবাসীকে কষ্ট দয়ে হজ্বের সওয়াবের প্রলোভন দিয়ে এই এক মাহফিল । তামাশা ছাড়া কি বলবেন এটারে? এরাই আবার বলে তিন চিল্লা দিলে এক হজ্বের সমান সওয়াব। এছাড়া আরো বহু বহু আহাম্মকী কাজ কারবার।
যাই হোক, দাওয়াত দেয়া ভাল,তবে নিজেদের দল ভারি করার জন্য বা অন্য উদ্দেশ্যের জন্য মানুষকে বিরক্ত করে শুধু নামাযের দাওয়াত দেয়া ভাল না। আপনার প্রগতিশীল চিন্তা-ভাবনা দেখেই এতগুলো কথা বললাম, আশা করি ভেবে দেখবেন আর এখানে হয়ত এভাবে এই পোস্টে কমেন্ট করাটা কিছুটা অপ্রাসঙ্গিক হয়েছে,তাই আবারো দুঃখ প্রকাশ করছি।
ধন্যবাদ।
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৯:৩৫
পাকাচুল বলেছেন: ধন্যবাদ, তাবলীগ এর ভালো মন্দ নিয়ে আমার কোনো মন্তব্য নাই। মূলত তাবলীগ নিয়ে আমার নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছি।
১৯| ২৩ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ১১:৪৩
ডেজা-ভু বলেছেন: বুধবার বিকালে হলে থাকতাম না!! ভুলে থাকলে ও ঘুম পদ্ধতি প্রয়োগ করতাম।
এইগুলা নিয়া বহুত মজার কাহিনী আছে!!
২৩ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ১১:৫৩
পাকাচুল বলেছেন: হা হা হা, আমাদের আসতো মঙলবার, এছাড়াও মাঝে মাঝে সারপ্রাইজ ভিজিট থাকতো।
আপনার কাহিনীগুলো শেয়ার করেন।
ধন্যবাদ।
২০| ২৩ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ১১:৫২
বাদ দেন বলেছেন: ডেজা-ভু বলেছেন: বুধবার বিকালে হলে থাকতাম না!! ভুলে থাকলে ও ঘুম পদ্ধতি প্রয়োগ করতাম।
এইগুলা নিয়া বহুত মজার কাহিনী আছে!!
আর আমার কাজ ছিল তাদেররে বলা, ভাইয়া সবাই ত ঘুমাইতাসে। আমার মত সত্যবাদী পোলা তগো কারনে কতবার মিথ্যা কথা কইসে তোর খেয়াল আছে
২৪ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ৩:২৫
পাকাচুল বলেছেন: যা হওয়ার তো হয়ে গেছে, কি আর করবেন, বাদ দেন।
২১| ২৩ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ১১:৫৯
ডেজা-ভু বলেছেন: "সবাই ঘুমাইতাছে" এই কথাটা বলার দায়িত্ব ছিলো বাদ দেন এর উপর।
@ বাদ দেন... অসুবিধা নাই, তুই তো আর দোজখে যাবি না!!
@ পাকাচুল ভাই...লিখতে কষ্ট লাগে! আর ক্যাচাল ও ভালো লাগে না। আমি শান্তিপ্রিয় মানুষ!
২৪ শে আগস্ট, ২০১১ দুপুর ১:৩০
পাকাচুল বলেছেন: আমি ও ভাই শান্তিপ্রিয়, তবে মাঝে মাঝে ক্যাচাল করতে খারাপ লাগে না, ঝিমুনী কেটে যায়।
২২| ২৪ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ১২:০২
সুদীপ্ত কর বলেছেন: টাকা ধার নেয়ার সিস্টেমটা আমি এককালে শিবিরের কিছু লোকজনের উপর এপ্লাই করসিলাম। বড়ই পেইন দিত।
২৬ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ১০:৫৫
পাকাচুল বলেছেন: হা হা হা।
২৩| ২৪ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ২:২২
মাইন রানা বলেছেন: মোঃ আরিফ রায়হান মাহি কে বলছি আপনি নিজেই সবচেয়ে ইসলাম দুষিতকারী ব্যাক্তি। হিংসাত্নক ও মিথ্যা মন্তব্য করছেন।
আপনি তাবলীগকে ভন্ড বলেছেন বিতর্কিত বিষয় বাদ দেন ইসলামের মৌলিক বিষয়ে আসুন নামাজ, রোজা, যাকাত ইত্যাদি বিষয়ে একটু ভাবুনতো আপনি নিজে ব্যাক্তিগত ভাবে নিজের বিবেগকে প্রশ্ন করুন কতটুকু পরিপূর্নভাবে পালন করেন।
তাবলীগের ভাইরা আর যাই করতেন নামাজ, রোজা খুব ভাল ভাবে পালন করতেন।
তারা মানুষের কোন ক্ষতি করতেন না। নিজেরা প্রায়ই অপমানিত হতেন শিবির, জামাত আর কিছু ধর্ম ব্যাবসায়ীদের কাছে কিন্তু নীরবে সয্য করতেন শুধু আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইতেন।
হল জীবনের সবচেয়ে শান্তিপূর্ন আর গোছানো ছাত্র ছিলেন তারা। আমার/ আমাদের মত দুপুর ১২ টায় ঘুম থেকে উঠতেন না। রাত ৩ টায় ঘুমাতেন না। ফজরের নামাজ পরে দিন শুরু করতেন আর ১২ টা বাজার আগেই ঘুমিয়ে পরতেন।
লেখাপড়ায় ফাকিবাজ ছিলেন না। পরীক্ষায় সবাই ১ম না হলেও প্রায় সবাই ১ম শ্রেনী পেত। আমাদের ডিপার্টমেন্টে তাবলীগ ছেলেদের নোট পুরো ক্লাস এমনকি উত্ত্রাধীকার ভাবে পড়া হত।অন্যরা নোট তৈরি করতেই অলসতা করত।
লেখককের উদ্যেশেঃ তাবলীগের এই অস্থিরতা প্রায় সবারই। আর তাবলীগের ভাইয়েরা এইগুলি কি জন্য বা কি সার্থে করতেন একটু ভাবুন। নিজেদের কোন সার্থ কি তাদের থাকত শিবির বা অন্য ধর্ম ব্যাবসায়ীদের মত???
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:২৭
পাকাচুল বলেছেন: ধন্যবাদ,
২৪| ২৪ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ২:৩০
মোঃ আরিফ রায়হান মাহি বলেছেন:
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১২:০৭
পাকাচুল বলেছেন:
২৫| ২৪ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ২:৫৪
মাইন রানা বলেছেন: মোঃ আরিফ রায়হান মাহির কিছু ভন্ডামির প্রমানঃ
১. মাগরিবের নামাযটা আদায় করি এবং তার পরে বয়ানে শরিক হই" এই টাইপের ধান্ধাবাজির কথা বলা? খেলার চেয়ে মাগরিবের নামাজ, বয়ান ভন্ডামি??
দল ভারী বলতে আপনি কি বুজাচ্ছেন?? তাবলীগ দলভারী করে লাভ কি?? তারা কি ভোটে দাঁড়াবে না দাবী দাওয়া আদায়ের জন্য হরতাল, গেড়াও আন্দোলন করবে??
২. স্বয়ং নবিজীর আমলেও কোন মুসাফির মসজিদে থেকে কোন কাজ করার সাহস করে নি !!! চরম মিথ্যা তাও স্বয়ং নবিজীকে নিয়ে?? আজ আপনি আপনার মহল্লার মসজিদে যান দেখবেন রমজানের শেষ ১০ দিনের ইতেক্কাফের জন্য মানুষ মসজিদে থাকছে, ঘুমাচ্ছে, আমল করছে এটা কি নবীর সুন্নত নয়?? আসহাফে সুফফা ছিল যাদের কোন ঘর বারি ছিলনা সেই সব সাহাবীর দল যারা মসজিদে থাকত। তাবলীগদের ইতেকাফের নিয়তে মসজিদে থাকা কি হারাম??????
৩. সে নবিজীকে অসম্মান করে এবং তাকে বাদ দিয়ে ইসলাম প্রচার করার এক হীন প্রয়াস নেয়!!! চরম বানোয়াট আর মিথ্যা কথা এই রমজানে বললেন কি করে!!?? তাবলীগরাইতো নবীজীকে সবচেয়ে সন্মান করে। নবীজীর প্রত্যাকটা খুটি নাটি সুন্নত এমনকি ঘুমাতে যাওয়ার উন্নত, মসজিদে প্রবেশের সুন্নত, ভাত খাওয়ার সুন্নত সব পালনের চেস্টা করে। সুন্নত পালন করলে আসন্মান হয় না বিরোধিতায় ভাবুন। বাদ দিয়ে বলতে কি বুজিয়েছেন??
৪. তাদের নিজেদেরই জ্ঞান কম !! আপনার কাছে জ্ঞানের সংজ্ঞা কি? এম এ পাস, বি এ পাস, না এমবিবিএস, না ইঞ্জিনিয়ার, আলেম, কোরানের হাফেজ, মাওলানা কোনটি?? ক্লিয়ার করলে ভাল হত।বুয়েট, ঢাকা মেডিকেল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, আলিয়া মাদ্রাসা, হাঠাজারী মাদ্রাসা সহ দেশের সব কয়টি শীর্ষ প্রতিষ্ঠানের সবচেয়ে ভাল, ভদ্র, নম্র ব্যাবহারের ছেলেরা তাবলীগ করে। আসলে তাবলীগ করার কারনে তাদের এই পরিবর্তন। অবশ্য তাবলীগ করার কারনে যদি তাদেরকে আপনার মূর্খ আর নিজে তাবলীগের বিরুদ্ধে হিংসা প্রচারের কারনে যদি নিজেকে খুব পন্ডিত মনে হয় সেটা ভিন্ন কথা।
৫. এখানে গেলে হজ্বের সমান সওয়াব পাব!!! এটা আপনার আরেকটা মনগড়া বানোয়াট কথা। এটা কেউ কখনো বলতেই পারে না কারন হজ্জ করা ফরজ। তবে কিছু কিছু লোক যে বলে সেটা সত্যি আর তারা কারা যানেন? তারা হল আপনার মত কিছু দুষিত লোক যারা নিজেরা একটা খারাপ কথা, মিথ্যা কথা অন্যের কথা বলে প্রচার চালায় আবার তারাই এই মিথ্যা প্রচারকে ভিত্তি ধরে অপপ্রচার চালায়।
আমার কথা যদি মিথা আর আপনার কথা যদি সত্য হয় আপনি নিরপেক্ষ অন্তরে যাচাই করুন কোন তাবলীগের ভাইয়ের কাছে বা আলেমের কাছে।
২৬| ২৪ শে আগস্ট, ২০১১ সকাল ১১:৪১
মোঃ নিজাম বলেছেন: মাহি ভাই@ যেখানে ইসলাম বিদ্বেষীদের সাথে আলোচনা করে ইসলামের সঠিক রূপ তুলে ধরার কথা সেখানে আমরা নিজেদের ভেতরের দল উপদলের বিভক্তির কারণ নিয়ে সময় নষ্ট করি। আপনার চিন্তায় প্রগতিশীল ব্যক্তিকে তাবলীগ ব্রেইন ওয়াস করছে কথাটা স্ববিরোধী মনে হল। তবে আমি ঐ মানের প্রগতিশীল না যে, খেলার সময় নামাজের দাওয়াত দিলে সেটাকে সময় নষ্ট বা ক্ষমতা প্রয়োগের পর্যায়ে নিয়ে অভিযোগ করতে পারি।
আপনার আনিত অভিযোগগুলো- হীনমনতা প্রকাশের ঐকান্তিক প্রয়াস, কাউকে খেলার মাঠ থেকে ঢেকে মসজিদে নামাজে শরীক হওয়ার মত আহবান ঠিক তখনই ধান্ধাবাজি বা দল ভারি মনে হতে পারে যখন আপনার মনের ভেতর আগেই এদের সম্পর্কে একটা নষ্ট ধারনা বদ্ধমূল করে দেয়া হয়েছে।
মাওলানা ইলিয়াসকে ভন্ড বলার অনেক কারন আছে, ইচ্ছে করলে হাজারো কারন দেখানো যায়, তবে সারাংশ হচ্ছে সে নবিজীকে অসম্মান করে এবং তাকে বাদ দিয়ে ইসলাম প্রচার করার এক হীন প্রয়াস নেয়। গোটা ইসলামে সে খুব বাজে কিছু পরিবর্তন এনেছে। আপনি নিজেই একটু খোলা চোখে তাকালে খুঁজে পাবেন।
আমার বুঝতে ভুল হচ্ছে কি না জানিনা- মাওলানা ইলিয়াস নবীজীকে বাদ দিসে- মানে? মাওলানা ইলিয়াস- বাংলাদেশর প্রচলিত সুন্নি জামাত, আল বায়্যিনাত, রাজাবাগী, দেওয়ানবাগীদের বার্ষিক ঈদে মিল্লাদ্দুন্নবী, মিলাদ, কিয়াম, মাজারপুজা, গাঞ্জাখাওয়া এসব নবী প্রেমের দাবিদারদের মুখশ উম্মোচন করে দিয়েছেন এটাই যদি আপনার পয়েন্ট হয় তাহলে বলল নবী পরবর্তী সাবাদের ইতিহাস আরেকবার পড়ে দেখুন।
পরবর্তী অভিযোগগুলো বিষয়ে কি বলল? বুঝতেছিনা। আপনার কাছ থেকে অন্তত এত নিম্নমানের অভিযোগ আশা করিনি। তরুনীর রান দেখতে দেখতে রিক্সা ওয়ালাদের সময় বয়ে যায় আর নামাজের কথা বললে সে সময় নষ্ট হয় তাইলেতো আমি সময় সময় নষ্টের কথা বলে অভিযোগ তুলতে পারি।
আপনার বাসার কালেজ লোক- ইসলামকে যেভাবে বুচ্ছে সেতো সেভাই বলবে তাই নয় কি? এটাযে তার নিজের খেয়লা খুশি ধারণা প্রসূত কথা এটা বু ঝার জন্য ২-৪-৫টা ডক্টরেট ডিগ্রি লাগেনা।
যাক কথা হল- দ্বীন প্রতিষ্ঠায় সম্মিলিত প্রচেষ্টায় হয় ভাল কোন পথ দেখান আমরা সেদিকে ধাবিত হই। অথবা যা আছে আপনার দৃষ্টিতে তা সংস্কারের যুক্তিসংগত প্রস্তাব দেন। তাও যদি না পারেন অহেতুক সমালোচনা থেকে বিরত থাকুন।
ধন্যবাদ।
২৭| ২৪ শে আগস্ট, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:১১
মোঃ আরিফ রায়হান মাহি বলেছেন: {লেখকের কাছে বিনীতভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি আপনার এই পোস্টের কন্টেন্টের বাহিরের একটি প্রসঙ্গকে এভাবে টেনে আনার জন্য}
@মাইন রানা তবলীগী
আগেই বলেছি, "এদের সাথে তর্ক চলে না" ।
আপনি সামান্য বাংলাই বুঝেন না,তর্ক করেন কোন সাহসে,যে ৫ টা পয়েন্ট নিয়ে এসেছেন দেখেন তো আমি কি বলেছি আর আপনি কি বলছি।বিশেষ করে দুই নম্বর পয়েন্টটা দেখে আমি পুরাই হতাশ। বাংলা পড়তে না পারলে বাংলা ব্লগে আইসেন না। ইসলাম সম্পর্কে আপনার জ্ঞান কতটুকু তা জানি না,তবে আমি নিশ্চিত আপনার সেই লেভেলের জ্ঞান আছে যেই লেভেলের জ্ঞান থাকলে তাবলীগের ভন্ডরা আপনাকে "গীরদ" বা "ব্রেইন ওয়াশ" করতে পারে।
@মোঃ নিজাম
আপনি প্রথম ও দ্বিতীয় প্যারায় যা লিখেছেন নিজে একটু ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করে দেখেন, গলদ কোথায় তা নিজেই বুঝতে পারবেন বলে আমার বিশ্বাস। ইসলামের বিধানগুলো ভালভাবে জেনে নিন তারপর নিউট্রাল জোন থেকে চিন্তা করুন সমাধান পাবেন।
মাওলানা ইলিয়াস- বাংলাদেশর প্রচলিত সুন্নি জামাত, আল বায়্যিনাত, রাজাবাগী, দেওয়ানবাগীদের বার্ষিক ঈদে মিল্লাদ্দুন্নবী, মিলাদ, কিয়াম, মাজারপুজা, গাঞ্জাখাওয়া এসব নবী প্রেমের দাবিদারদের মুখশ উম্মোচন করে দিয়েছেন এটাই যদি আপনার পয়েন্ট হয় তাহলে বলল নবী পরবর্তী সাবাদের ইতিহাস আরেকবার পড়ে দেখুন।
{আপনি নিজেই অত্যন্ত স্ববিরোধী কথা বলেছেন,২৬ নং কমেন্টের ২ ও ৪ নং প্যারা দ্রষ্টব্য}
আগেই বলেছি সুনির্দিষ্ট দোষগুলো তুলে ধরছি না, কারন অহেতুক তর্ক করতে চাচ্ছি না, এগুলো নিয়ে আমি ব্লগে নানান জায়গায় নানান কথা বলেছি। আপনি সেসব কারনের বেশ কয়েকটা নিজেই তুলে এনেছেন। এই রমজান মাসে চ্যানেল আইতে "রমজানুল মুবারক" অনুষ্ঠানটা কালেক্ট করে দেখে নিবেন,দলিলসহ প্রমান পাবেন,আমি নিজেই বলতে পারতাম ,কিন্তু দেখেছি,কিছু লোক ঘাড়টা ত্যাড়া করেই এসবের ধার না ধরেই নিজের গোড়ামি দেখায় ষাঁড়ের মত। তাবলীগের লোকেদের মূল সমস্যা হল, এদের ইসলাম সম্পর্কে জ্ঞান তো নাই-ই বরং এরা জ্ঞান আহরনের কোন চেষ্টাই নাই। "মুরব্বি"রা যা বলে তাই তারা ধ্যান করে এবং তাবলীগের কিছু প্রকাশনা পড়ে এরা অনেক কিছু জানে বলে একটা প্রি-কনসেপ্ট নিয়ে মাঠে নামে।
ভাই,ইসলাম অনেক বেশি ঐতিহ্যশীল,অনেক বেশি শান্তির এবং অনেক বেশি আধুনিক ধর্ম। দয়া করে নিজেরা একটু জানুন দেখুন এবং বুঝুন এবং একটু সঠিক সিদ্ধান্তটা নিজে নিন,আল্লাহ আপনাকে এত বিচক্ষনতা বেহুদা দেন নাই।
[দয়া করে, আমার কাছ থেকে আর উত্তর আশা করবেন না,এই পোস্টটি আসলে অন্য ধরনের পোস্ট ছিল,আমার কারনেই এই বাহাজের সূত্রপাত হয়েছে এবং তার জন্যে আমি লজ্জিত]
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৯:৪৪
পাকাচুল বলেছেন: ধন্যবাদ, তাবলীগ এর ভালো মন্দ নিয়ে আমার কোনো মন্তব্য নাই। মূলত তাবলীগ নিয়ে আমার নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছি।
২৮| ২৫ শে আগস্ট, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৫৯
মোঃ নিজাম বলেছেন: সরি মাহি ভাই@ আমার বুঝতে অনেক সময় লেগে গেল যে
ঈদে মিল্লাদ্দুন্নবী, মিলাদ, কিয়াম, মাজারপুজা, গাঞ্জাখাওয়া এগুলো্ও আধুনিক ইসলামের আওতায় পড়ে । তাইলে আর আহমদিয়াদেরকে বাইরে রেখে লাভ কি?। গোলাম আহমদ কাদিয়ানিকে নবী মেনে আসেন আমরা সবাই আধুনিক মুসলিম হই।
ওকে আমারো আর কিছু বলার নাই। ভাল থাকুন সুস্থ্য থাকুন।
২৯| ২৬ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ১১:৩১
স্পেলবাইন্ডার বলেছেন:
তাবলীগ থেকে বাচার জন্য হলের আর এক বড়ভাই ভালো একটা বুদ্ধি দিয়েছিলো। তিনি খালি তাবলীগের হুজুরদের থেকে টাকা ধার চাইতেন। তারা প্রথম প্রথম ২-১শ টাকা ধার দিতো, পরে বড়ভাইটাকে দেখলে তাবলীগের ভাইরা নিজেরাই পালাতো।
তাবলীগের কর্মপদ্ধতি পরিপূর্ণভাবে শুদ্ধ কি না তা নিয়ে ইদানিং দ্বিধাদ্বন্দ্বে আছি। :-<
২৭ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ১২:২৩
পাকাচুল বলেছেন: কেন জানি সব কিছুতে একটা প্রশ্ন থেকেই যায়।
৩০| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:৪০
িময়াজী বলেছেন:
অনুরোধঃ খুব কাছে থেকে শিবিরকে ষ্টাডি করুন।
সমালোচনা অবশ্যই করবেন।
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৪:৫৬
পাকাচুল বলেছেন: প্রচুর স্টাডী করেছি,
আচ্ছা, বলুন তো শিবীরীয় দাড়ি আর তাবলীগি দাড়ির তফাৎ কি?
৩১| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১০:১১
বীরবল007 বলেছেন: অনেক ইনজয় করলাম ভাই!
না হেসে পারলাম না।
এবার আসুন যথার্ত ইসলামকে জানা ও বুঝার চেষ্টা করি ।
কারণ একজন মুসলমান হিসেবে এটা আমাদের দায়িত্ব।
০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৪৮
পাকাচুল বলেছেন: ধন্যবাদ
৩২| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:৪৩
িময়াজী বলেছেন: আমি বলেছি যে কাছে গিয়ে স্টাডি করুন। অর্থাৎ তাদের সাথে মিশুন। আপনি দুরে থেকে স্টাডি করেছেন। শুধু বর্য্যিক অবস্থার নাম ইসলাম না।
কুরআন-সুন্নাহর সঠিক জ্ঞান অর্জন করা এবং মানার নাম ইসলাম।
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:১৩
পাকাচুল বলেছেন: আমার জবাব তো পেলাম না। আপনার দাড়িটা শিবিরীয় দাড়ি, এটা জানেন নিশ্চয়। আর তাবলিগী দাড়ি হলো এই রকম।
৩৩| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:৫৮
রেজওয়ান তানিম বলেছেন: তাবলিগ আর শিবির বিষয়ে আপনার গবেষণা সত্যি প্রশংসা যোগ্য ।
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:৩৪
পাকাচুল বলেছেন: ধন্যবাদ
৩৪| ১২ ই অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৪:৪৪
নভোচারী বলেছেন: তাবলীগের যে দিকটা বেশী খারাপ লাগে তা হল তারা অমুসলিমদের দাওয়াত দিতে চায় না। আমি এমন কোনো তাবলীগ করা লোক দেখিনি যে অমুসলিমদের দাওয়াত দেয়। বলে, "আমাদের জ্ঞান কম, আমরা দাওয়াত দিলে মানুষ আরো ভুল পথে চলে যাবে।" কিন্তু তাদের কাছে ইসলাম না পৌছালে তারা এর মহত্ত্ব ধরতে পারবে না এই সহজ কথাটা কাউকে বোঝানো যায় না।
১২ ই অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৪:৪৮
পাকাচুল বলেছেন: এই ব্যাপারটা আমিও কয়েকজনের কাছে জানতে চেয়েছিলাম। তারা বলে, তারা নিজেরা খুব বেশি কিছু জানে না। তারা আজীবন নিজেই জ্ঞান অর্জন করতে চায়।
৩৫| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১১ রাত ১২:১৩
যে শহর চোরাবালি বলেছেন: ভাই আপনি পড়ালেখা না করা এক পোলার উদাহারন দিলেন আমি তাবলীগ কইরা গোল্ডেন পাওয়া ১০০ পোলার নাম ঠিকানা সহ দিতে পারমু।
আমার বন্ধু বুয়েটে ইলেকট্রিকালে ২০ তম আসিলো পরে তাবলীগে গেল দাড়ি রাখল পরে ৩য় হৈলো এইটারে কি কৈবেন? আমি তাবলীগের মুজেজা কমু না এইটারে বলা যায় ব্যক্তির সচেতনতা।আর তাবলীগের কনো মুরুব্বী পড়ালেখা বাদ দিয়া জামাতে যাইতে কৈসে শুনি নাই।
আর আপনি যদি তবে তাবলীগ ওয়ালারা নিজে স্বাবলম্বী হওয়ার চেয়েও আল্লাহর উপর বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়ে, এটাই সমস্যা মনে হয়
এটাকে সামান্য বিশ্বাস করেন তবে ভাই ঈমান থাকবে না।
আসলে আল্লাহই সব করেন আমরা শুধু চেষ্টার জিম্মাদার।তাবলীগের ভাইরা ডাক্তারি করতেসেন,করপোরেট চাকিরী করতেসেন,পড়াইতাসেন আপানার আমার মত,প্রশাসনে আসেন তাইলে সমস্যা কৈ?
হেরা আপনার আমার মত বিড়ি ফুইক্কা আর ডিভিড কিন্না টাকা নস্ট কৈরা ৩ দিনে যায় আর আমরা যখন কক্সবাজার মোজ করতে যাই তখন তার দ্বীনের দাওয়াত নিয়া যায়।
২৩ শে অক্টোবর, ২০১১ রাত ৮:১৫
পাকাচুল বলেছেন: তাবলীগ করে গোল্ডেন পাচ্ছে,কিন্তু তাবলীগের পিছনে সময় দেওয়ারও তো একটা লিমিট আছে, তাই না?
আমি যে ছেলেটার কথা বলছি, সেই ছেলে গত রোজার ঈদেও নিজের বাড়ী যায় নাই। চিল্লাতে গেছে। তার মা কেঁদে চোখ মুছে।এমনকি ঈদের দিন তার মাকে একটা ফোনও করে নাই।
(তার মোবাইল ছিলো না তখন, কিন্তু ফোন করতে এখন মাত্র ২টাকা লাগে।)
কেমন কঠিন তাবলীগি চিন্তা করেন একবার।
৩৬| ১৬ ই মার্চ, ২০১২ সকাল ১১:০৫
কালীদাস বলেছেন: নাইটফলের পোস্টে আপনার লিংক দেখে আসলাম... হা হা, সেরকম এক্সপেরিয়েন্স।
নিজে থেকে হাত বাড়ায়া রাস্তায় দুই কিসিমের অপরিচিত লোক হ্যান্ডশেক করতে আসে- ছিনতাইকারী আর তাবলীগ। দুইটাই ডেন্জারাস, সেকেন্ডটা ধরলে ঘন্টাখানেক সময় শেষ ঐখানেই
তাবলীগ জিনিষটার প্রোপার ইউজ হলে ইয়াং জেনারেশনের জন্য মন্দ হত না। অন্তত খাচরামি শিখত না। বাস্তবে দেখা যায়, দুয়েক চিল্লায় যায়া আরো নতুন নতুন ফিচকামি শিখা আসে
লাস্টেরবার যেইটা ধরছিল, সে যাওয়ার আগে নিজেই বইলা গেছিল- ধর্ম নিয়া এত ডীপে ঘাটাঘাটি ভাল না
অথচ হে নিজেই সাইধা শুরু করছিল, ইসলামি নিয়মকানুন গভীরে যায়া জানা উচিত- স্টাডি করা উচিত
১৬ ই মার্চ, ২০১২ দুপুর ১২:০৭
পাকাচুল বলেছেন: বিপথগামী , ছ্যাঁকা খাওয়াদের জন্য তাবলীগ বড়ই উপকারী।
তাবলীগ জিনিষটার প্রোপার ইউজ হলে ইয়াং জেনারেশনের জন্য মন্দ হত না। অন্তত খাচরামি শিখত না।
সহমত।
৩৭| ১৬ ই মার্চ, ২০১২ দুপুর ১২:৫৩
জানতেএলাম বলেছেন: যাবতীয় ফিতনা থেকে ঈমান রক্ষা করার জন্য আল্লাহ্ তায়ালা প্রতি শতাব্দীতে একজন মুজাদ্দিদ পাঠান। যেমনঃ প্রথম মুজাদ্দিদ ইমাম আবু হানিফা রহমতুল্লাহ আলাইহি, পঞ্চম মুজাদ্দিদ হজরত আব্দুল কাদির জিলানী রহমতুল্লাহ আলাইহি, ষষ্ঠ মুজাদ্দিদ হজরত খাজা মইনুদ্দিন চিশতী রহমতুল্লাহ আলাইহি । তেমনি এই শতাব্দীর মুজাদ্দিদ এর ঠিকানা জানতে পড়ুনঃ http://www.al-ihsan.net
১৫ ই জুলাই, ২০১২ রাত ১২:২১
পাকাচুল বলেছেন: ধন্যবাদ
৩৮| ২৪ শে মার্চ, ২০১২ রাত ৯:০২
আহমাদ জাদীদ বলেছেন: আমিও নিজেও নিয়মিত নামাজ পড়ার চেষ্টা করি, তবে শয়তান আর ব্যস্ততা ভালই পেইন দেয়......
২৪ শে মার্চ, ২০১২ রাত ১০:০৯
পাকাচুল বলেছেন: যাই হোক, শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য।
শয়তান থেকে দুরে থাকবেন।
৩৯| ২৪ শে মার্চ, ২০১২ রাত ১১:১৮
চন্দ্রগ্রহণ বলেছেন: তাবলীগের পোলাপানদের খারাপ দিক: পরিক্ষার হলে কিছু কইতনা
ভাল দিক: তাড়াতাড়ি বিয়া কইরা ফালায়
এমনিতে বড়ই অমায়িক ব্যবহার আর ধৈর্যের জন্য তারা প্রসংশাযোগ্য।
১৫ ই জুলাই, ২০১২ রাত ১২:০৩
পাকাচুল বলেছেন: একদম ঠিক বলেছেন।
৪০| ১৪ ই জুলাই, ২০১২ রাত ১১:৪৭
সক্রিয় বলেছেন: "পিকনিক পার্টি"100% vondo.
Shirk akida. Ja apnaka nea jaba jahannam ar aagun ar kacha.
১৫ ই জুলাই, ২০১২ রাত ১২:০৪
পাকাচুল বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মতামতের জন্য।
৪১| ১৭ ই জুলাই, ২০১২ রাত ৮:১১
যাযাবরমন বলেছেন: তাবলিগে গেলে খাওয়া -দাওয়া ভাল হয়
১৮ ই জুলাই, ২০১২ দুপুর ১:০৭
পাকাচুল বলেছেন: ঘটনা সত্য।
৪২| ২০ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ১০:৪০
মোঃ ফাহিমুজ্জামান বলেছেন: "তবে তাবলীগ ওয়ালারা নিজে স্বাবলম্বী হওয়ার চেয়েও আল্লাহর উপর বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়ে"
ভাই আল্লাহর উপর 'বেশি নির্ভরশীল' নয় পরিপুর্ন ভরসা এবং নির্ভরশীলতা যেমন ইসলামের শিক্ষা তেমনি কাজ হাসিলের জন্য আল্লাহর উপর পরিপূর্ন ভরসা করে নিজের সাধ্যমত চেষ্টা করাও ইসলামের শিক্ষা।
সুতরাং আল্লাহর উপর পরিপূর্ন বিশ্বাস, আস্থা ও সকল কাজে আল্লহর উপর পরিপূর্ন ভরসা বা নির্ভরশীল হওয়া ঈমানের দাবি বলেই বিশ্বাস করি।
২০ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ১১:০০
পাকাচুল বলেছেন: ধন্যবাদ।
আমি ঐ কথাটা কেন লিখেছি, সেটাও বলেছি। ৮ নাম্বার ঘটনাটা দেখেই এই কথা বললাম। নিজের দেখা।
৪৩| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:০৫
ভিটামিন এ বলেছেন: তাবলীগ সম্পর্কে আপনার জানায় ভুল আছে। এধরণের আলোচনায় যারা ইসলাম এবং ধর্ম সম্পর্কে খারাপ কথা বলবে তাদের গোনাহের দায়ভার কিন্তু আপনার উপর বর্তাবে।
অনুরোধ করছি পোস্টটি মুছে ফেলার জন্য।
কখনও কখনও আল্লাহ তায়ালার তরফ থেকে শাস্তি খুব তাড়াতাড়ি চলে আসে।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৩৫
পাকাচুল বলেছেন: আমি আমার চারপাশে যা দেখেছি, তা লিখেছি।
আমার জানাতে যদি কোন ভুল থাকে, তবে সেই তাবলিগওয়ালারা সেই ভুল করেছে, যেটা আমার লিখায় এসেছে।
দয়া করে জানাবেন কি, কোথায় ভুল পেলেন?
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে আগস্ট, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:২০
কি-আইডি-দেব-সব-দখল-হয়ে-গেছে বলেছেন: তখন তাবলীগের সর্দার বললো, আমরা সবাই দোয়া করতে থাকি, যাতে ট্রেনটা টঙীতে থামে।