নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অনেক হয়েছে, আর না

পাকাচুল

অনেক হয়েছে, আর না

পাকাচুল › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার ইংরেজী শিক্ষা- স্কুল জীবনের অভিজ্ঞতা

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:০২



আমরা প্রাইমারী স্কুল থেকে শুরু করে কলেজ লাইফ পর্যন্ত টানা ১২ বছর ইংরেজী পড়ি। এর মাঝে আবার নবম থেকে একাদশ শ্রেণীতে ইংরেজী প্রথম পত্র আর ২য় পত্র ভাগ করা ছিল। প্রচুর ইংরেজী পড়তে হত, কিন্তু ১২ বছর ইংরেজী পড়ার পরও ১২ লাইন ইংরেজী লিখতে আমাদের ২৪টা ভুল হয়, গ্রামার ভুল হয়। এর কারণ গোড়াতেই রয়েছে। আমি আমার স্কুল লাইফ দিয়েই ব্যাপারটা বুঝার চেষ্টা করেছি।

আমি পড়েছিলাম একদম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। যেখানে সরকারী যে বই গুলো দেওয়া হয়, তার বাইরে কিছু পড়ানো হয় না। একদম ছোট বেলায় কি পড়েছিলাম মনে নাই, তবে পঞ্চম শ্রেণীতে পরীক্ষায় আসতো, গরু নিয়ে ১০টি বাক্য ইংরেজীতে লিখো, এই টাইপের রচনা। কিংবা আমি ভাত খাই, করিম স্কুলে যায়, রহিম ছোট ভাই, এই রকম কিছু ট্রান্সলেশন। তাও এইগুলো কখনো নিজের মাথা খাটিয়ে লিখতে পারতাম না। কারণ স্কুলে কখনো ঐভাবে পড়ানো হত না। স্কুলে শুধু মুখস্থ করানো হত। এইটা বলছি নব্বই এর দশকের শুরুর দিকের ঘটনা। তখন এস এস সি পাস করেই প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ পেত মানুষজন।

এরপর স্হান হল গৎবাঁধা একটা বেসরকারী হাইস্কুলে। ষষ্ঠ শ্রেণীতে ইংরেজীতে পেলাম এক বদমেজাজী শিক্ষককে, উনার ছিল বাংলায় ডিগ্রী আর ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়াতেন ইংরেজী। সপ্তাহে ৩ দিন কি ৪ দিন ইংরেজী ক্লাস ছিল, তার মাঝে একদিন ছিল ডিকশোনারী ক্লাস। ছোট ছোট কিছু ডিকশোনারী পাওয়া যেত তখন। পকেট ডিকশোনারী। মাস্টার মশাই পড়া দিতেন "G" কিংবা "H" এই রকম ওয়ার্ড ধরে। আগামী ক্লাসে "G" এর প্রথম ৪ পাতা পড়ে আসবে। আর উনি ক্লাসে এসে লম্বা বেত নিয়ে একজন একজন করে শব্দের বাংলা অর্থ জিজ্ঞাসা করতেন। না পারলে দুই হাতে বেত্রঘাত। খুব বিভীষণ ছিল সেই ক্লাস। প্রায় প্রত্যেকদিনই বেত্রাঘাত পেতাম, শুধু একদিন পেরেছিলাম, nephew - ভাগ্নে, এটা বলতে পেরেছিলাম। তাই দুই যুগ পরেও এই শব্দটা মনে আছে এখনো।

সপ্তম শ্রেণীতে ইংরেজীতে ফেল করে বসলাম। প্রথম সাময়িকে ২৭ পেয়েছি, যেখানে ৩৩ পেলে পাস। বোর্ড থেকে টেস্ট কেস হিসাবে একটা নতুন বই দিয়েছে, আর আমরা ছিলাম ঐ বই এর গিনিপিগ এর সাথে আবার একজন নতুন স্যার ক্লাস নিচ্ছেন, যার ডিগ্রী হলো ইকোনোমিক্সের। স্যার আকারে ইঙ্গিতে জানিয়ে দিলেন, উনার কাছে না পড়লে পাস করা যাবে না। পড়তে গেলাম, ২য় সাময়িকে পেলাম ৮৪। ব্যাপারটা আর কিছু না। মাষ্টারমশাই পরীক্ষার আগে সাজেশন দিতেন, আর ঐগুলোই পরীক্ষাতে আসতো। সপ্তম শ্রেণী শেষ, ঐ মাষ্টারের কাছে পড়াও শেষ।

অষ্টম শ্রেণীতে একজন বাংলার স্যার ইংরেজী ২য় পত্র পড়াতেন। ইংরেজী রচনা পড়া দিতেন। ক্লাসে এসে বলতেন, ঐ রচনাটার প্রথম দুই প্যারা দেখে দেখে লিখ। আমরা বসে বসে লিখতাম। মাষ্টারমশাই চেয়ারে বসে থাকতেন ঘন্টা পড়ার অপেক্ষায়। আমরা লিখা শেষ হলে মাষ্টার মশাইকে দেখাতাম, উনি লম্বা করে একটা রাইট সাইন দিতেন। বস্তুতপক্ষে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত গ্রামার পড়া হয় নাই। তখন ইংরেজী মানে হলো, রচনা, দরখাস্ত, ট্রান্সলেশন এইসব।

নবম দশম শ্রেণীতে গিয়ে ২-১ জন ভালো শিক্ষককে পেয়েছিলাম, যারা ইংরেজীতে পড়ালেখা করেছিলেন, তারা গ্রামার পড়াতেন, ব্যাখ্যা করতেন ইংরেজীকে। কিন্তু গোড়াতে গলদ থাকায় বুঝে উঠতে কষ্ট হচ্ছিলো আমার।

বাংলা থেকে ইংরেজী ট্রান্সলেশন একটা বুঝার ব্যাপার, এটা স্কুল লাইফ কখনো বুঝতে পারি নাই, সবসময় মুখস্থই করে এসেছি।

তারপরও কিছু গ্রামার শিখা হয়েছে, পরীক্ষায় MCQ তে গ্রামার আসতো, তাই ২-১টা করে হলেও পড়েছি। কিন্তু আমাদের আগে যারা পরীক্ষা দিয়েছিল (এস এস সি ৯৪ কি ৯৬ পর্যন্ত মনে হয়) তাদের ছিল পোয়াবারো, বোর্ড থেকে ৫০০টা প্রশ্নের একটা প্রশ্ন ব্যাংক দিয়েছিলো, এই ৫০০টা থেকে ৫০টা প্রশ্ন আসতো।


আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকেই বলছি; যদি আমরা মান সম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে চাই, তবে ভালো বিষয় ভিত্তি শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে। বাংলায় কিংবা সমাজবিজ্ঞাসে পড়ালেখা করে কোন শিক্ষক স্কুলে ইংরেজী গ্রামার ভালো পড়াতে পারবেন না। ইংরেজীর জন্য ইংরেজীতে অন্তত ব্যাচেলর ডিগ্রীধারী শিক্ষক দরকার। স্কুলের কারিকুলাম তত উন্নত না। কমিউনিকেটিভ ইংরেজী নিয়ে আরো বেশি সচেতন হওয়া দরকার।

এটা হয়ত শহরের কিছু স্কুলে ফলো করছে, কিন্তু এখনো পর্যন্ত ৬০% ও অধিক স্কুলে এই রকম যোগ্য শিক্ষক নাই।

মেধাবীদের শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ দিতে হবে, আর শিক্ষক পেশাটাকে আকর্ষণীয় করে তুলতে হবে। যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনামূলকভাবে মেধাবী ছাত্রছাত্রী, তারা কেউ স্কুলের শিক্ষক হিসাবে যোগ দিতে চায় না, অন্তত তাদের প্রথম পছন্দের চাকুরী হিসাবে স্কুলের শিক্ষকতা লিস্টে রাখেন না। শিক্ষকতা পেশাটাকে আকর্ষণীয় করে না তুললে এর প্রতি ভালো ছাত্রছাত্রীরা আগ্রহী হয়ে উঠবে না। স্কুলের শিক্ষক শুনলে অনেক পিতা মেয়ে বিয়ে দিতে চায় না, কত টাকা আর বেতন পায়, এই চিন্তা করে।

[২-১ জন ব্যাচ পড়িয়ে অনেক টাকা ইনকাম করে, কিন্তু এটা উদাহরণ না। এই পেশা আকর্ষণীয় হলে বিসিএস বা ব্যাংকের চাকুরী বাদ দিয়ে সবাই স্কুলের চাকুরীর জন্য হুমড়ী খেয়ে পড়ত। স্কুলের শিক্ষক শুনলে এখনো মানুষজন করুণার চোখে তাকায়। তারা পেট চালানোর জন্য প্রাইভেট পড়ায়। ]

এর ফলাফল, আমরা স্কুল কলেজে ১২ বছর টানা ইংরেজী পড়েও ইংরেজীতে ১২ মিনিট কথা বলতে পারি না।


" আমি এখনো ইংরেজীকে ভয় পাই"


আমি প্রায় ২০-২৫ বছর আগের আমার স্কুলের অভিজ্ঞতা লিখলাম, এখন যারা গত ৫-১০ বছরে পাস করেছেন, ইংরেজী শিক্ষা নিয়ে আপনাদের স্কুল লাইফের এক্সপেরিয়েন্স জানাবেন কি?

মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:১৮

প্রামানিক বলেছেন: কথা ঠিক

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:১৯

পাকাচুল বলেছেন: ধন্যবাদ।

২| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:২২

আমি ভাল মানুষ বলেছেন: পড়ে ভাল লাগ্ল। তবে এখন মনে হয় ইংরেজির প্রতি জোর দেয়া হচ্ছে

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:২৪

পাকাচুল বলেছেন: ক্লাসে কোন জোর দেওয়া হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে না।

জোর যা দেওয়া হয় প্রাইভেট কোচিং এ।

৩| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:০৭

সুমন কর বলেছেন: যদি আমরা মান সম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে চাই, তবে ভালো বিষয় ভিত্তি শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে। বাংলায় কিংবা সমাজবিজ্ঞাসে পড়ালেখা করে কোন শিক্ষক স্কুলে ইংরেজী গ্রামার ভালো পড়াতে পারবেন না। ইংরেজীর জন্য ইংরেজীতে অন্তত ব্যাচেলর ডিগ্রীধারী শিক্ষক দরকার। স্কুলের কারিকুলাম তত উন্নত না। কমিউনিকেটিভ ইংরেজী নিয়ে আরো বেশি সচেতন হওয়া দরকার। -- ভালো বলেছেন। সহমত।

+।

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:১০

পাকাচুল বলেছেন: ধন্যবাদ।

৪| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৩:৫০

কালনী নদী বলেছেন: নবম দশম শ্রেণীতে গিয়ে ২-১ জন ভালো শিক্ষককে পেয়েছিলাম, যারা ইংরেজীতে পড়ালেখা করেছিলেন, তারা গ্রামার পড়াতেন, ব্যাখ্যা করতেন ইংরেজীকে। কিন্তু গোড়াতে গলদ থাকায় বুঝে উঠতে কষ্ট হচ্ছিলো আমার। অত্যন্ত জরুরি বিষয়!

আপনি আমার অনেক সিনিয়র ভাই, আমি আপনার শেষের দিকের উল্লেখ করা ৫ থেকে ১০ বছরের শিক্ষার্থীদের মধ্যে একজন। আপনার সাথে একমত হয়ে দুঃখের সাথে আমাকেও সহমত জানাতে হচ্ছে । ইংরেজিকে অনেক ভয় পেতাম তাই বাংলা মিডিয়ামে পড়লেও সবসময় এর টাচে থাকতে চেয়েছি আর একাডেমিক শিক্ষা থেকে বলতে গেলে গ্রামার বা এ সম্পর্কে কিছু্ শিখতে পারি নি। জগদীশ স্যারের কাছে বিনে পয়সায় প্রাইভেট পড়তাম তিনিই মোটামোটি ইংরেজিতে আমাকে গ্রামার শিখিয়েছেন বাকিটা নিজ চেষ্ঠায় অণুপ্রানিত হয়ে এখনও এগিয়ে যাবার প্রচেষ্ঠায় আছি। এখানে শিক্ষকদের কোন দোষ দিতে চাচ্ছি না কিন্তু তাদেরকে যথাযত মূল্যায়ন ও যেসব বিষয়ে তারা পারদর্শি সেদিক বিবেচনা করে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে নিয়োগ দেওয়া উচিত।
মানুষ গড়ার কারিগড়দের প্রতি সরকার বা সমাযব্যাবস্থার এই অবহেলা সত্যিই চরম দুঃখজনক ও হতাশারও। এতকষ্ঠের মধ্যে থেকেও তারা আমাদেরকে মানুষ বানিয়েছেন আর নিজের আদর্শে ঠিকে থাকতে নাজানি কতটা কষ্ঠ করেছেন কিন্তু কখনও মুখ ফুটে প্রকাশ করেন নি। ঘড়ের বাইরে আমাদের স্নেহের ডোরে মায়ের মতন এই শিক্ষকরাই আচলে ডেকে রাখতেন। এখনও মনে পড়ে স্কুল চলতে সময় কার শরীল খারাপ হলে তারা কতরা বিচলিত হতেন প্রয়োজনে কাউকে সাথে দিয়ে বাসায় পাঠাতেন।

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই স্যারদের ব্যাপারটা তুলে দড়ার জন্য। শুভ কামনা রইল।

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৬ ভোর ৫:৩০

পাকাচুল বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ। আমি ও শিক্ষকদের দোষ দিচ্ছি না। ব্যাপারটা হচ্ছে, যেটা যার বিষয়, তাকে সেটা পড়াতে না দিয়ে অন্যটা পড়াতে দিলে কখনো কেউ ভালো পড়াতে পারবে না। হয়ত আমাদের স্কুলে ইংরেজী শিক্ষকের স্বল্পতার জন্য বাংলার স্যার ইংরেজী পড়াতেন, তাদের সীমাবদ্ধতা থাকতেই পারে।

বিষয় ভিত্তিক পর্যাপ্ত শিক্ষক এখনো পর্যন্ত শুধু শহরের স্কুল গুলোতেই সীমাবদ্ধ। গ্রামে, মফস্বলে এমনটা নাই।

আমি এমনও দেখেছি, গ্রামের স্কুলে বাংলার শিক্ষক উচ্চতর গণিত পড়াচ্ছেন, গাইড বই দেখে দেখে। শিক্ষক স্বল্পতার জন্য এমনটা হচ্ছে।

৫| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৬ ভোর ৫:৪১

কালনী নদী বলেছেন: এটা শিক্ষাব্যবস্থার প্রতি প্রশাসনিক চরম অবমাননা। আমাদের দেশে শিক্ষিত বেকারের অভাব নেই কিন্তু কাজের অপ্রতুলতার শেষ নেই। এই সমাযে ভাল মানুষের অনেক অভাব আছে যে নিজের সাথে সাথে সার্বিক কথাটাও ভাববেন।
আমি আপনাকে বলছি না ভাইয়া আপনি তাদের দোষ দিচ্ছে এ সংক্রান্ত লেখাতে এই কথাটি না বলরে ব্যাপারটা পরিষ্কার হচ্ছে না বিধায় বলা। আপনাকে আবারও অসংখ্য ধন্যবাদ গুরুত্বপূর্ন বিষয়টা সবার কাছে অবগত করার জন্য। আমি আশা করব আপনার লেখাতে ক্ষমতাসিন যারা শিক্ষাক্ষেত্রে পদক্ষেপ নিয়ে থাকেন তাদের দৃষ্টিগোচর হবে।

এ ব্যাপারে আপনার সচেতনতা প্রশংসাদায়ক!

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:৪০

পাকাচুল বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। শুভ কামনা।

৬| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:৫৩

আরজু পনি বলেছেন:
আমি এতো বছর বুঝিনি, কিন্তু ইদানিং যখন পেছন ফিরে তাকাই, তখন বুঝি সমস্যাটা স্কুলতো বটেই বাসায়ও।
আমাকে বাসায় কেউ কখনো আমাকে পড়া নিয়ে নির্দিষ্ট করে কিছু বলতোনা, বকতো না, বড় একজনের উপরই পরিবারের সবার শ্যেন দৃষ্টি ছিল যাকে ভালো করতেই হবে। যার কারণে পড়া নিয়ে স্কুল জীবনে আমার মধ্যে কোন দায়বদ্ধতা ছিল না।
যখন দায়বদ্ধতার অনুভুতিটা নিজে থেকেই এলো ততদিনে অনেক বেশি দেরী হয়ে গেছে। এইচএসসির মাত্র কয়েকমাস আগে বুঝলাম আমি পিছিয়ে গেছি, এখনই আদা জল খেয়ে না লাগলে আমার পতন আর কেউ ঠেকাতে পারবেনা।

সেখান থেকে নিজেকে যতদূর পেরেছি টেনে তুলেছি।

একটা বিষয় বুঝি সেটা হলো নিজের ভেতর বোধ তৈরি হওয়াটা অনেক বড় একটা ব্যাপার। এই বোধ তৈরি একেকজনের একেকভাবে আসে ।

স্কুল যেহেতু একজন মানুষের মূল ভিত্তি গড়ে দেয়, কাজেই শিক্ষকদের দায়সারা পড়ালে হবে না...তাদের দায়িত্ব অনেক বেশি।

কিন্তু শিক্ষকতা যতই সম্মানের পেশা হোক না কেন এটা এমন কোন স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজ না যে, আমি শুধু মানুষ গড়েই যাবো, আর অর্থের অভাবে আমার চুলায় ভাত চড়বে না।

আপনার লেখাটা পড়ে খুব বাজে বাস্তবতা উঠে এলো।

কিন্তু আমি ভাবছি আপনি পরের টুকুতো ঠিকই সাফল্যের সাথেই উৎরে গেছেন...

অনেক শুভেচ্ছা রইল, পাকাচুল।


২৬ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৭

পাকাচুল বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

শিক্ষকতা যতই সম্মানের পেশা হোক না কেন এটা এমন কোন স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজ না যে, আমি শুধু মানুষ গড়েই যাবো, আর অর্থের অভাবে আমার চুলায় ভাত চড়বে না।


এই জিনিসটা নীতি নির্ধারকদের বুঝতে হবে।

৭| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১১:১৭

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: যত গুর তত মিষ্টি বলে একটা কথা প্রচলিত আছে আমাদের মাঝে।
যেখানে লাট সাহেবের ৩ পা ওয়ালা কুকুরের জন্য খরচ হতো দিনে ৭৫ টাকা
তখন একজন একজন শিক্ষককে মাসে বেতন দেওয়া হতো ২৫ টাকা!!
লাট সাহেবের কুকুরের একদিনের ১ পায়ের খরচে একজন শিক্ষককে
তার পরিবারের সারা মাসের খরচ বহন করতে হলে তারা কিইবা শিক্ষা দিবেন!!
এখন সময় পাল্টেছে, একজন শিক্ষার্থীর জন্য হাজার হাজার টাকার গৃহ শিক্ষক আছে
সুতরাং এখন দিন পাল্টেছে শিক্ষার মান ও বাড়ছে! বাড়বে !!

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩০

পাকাচুল বলেছেন: ব্যাপারটা সমর্থন করছি না। যারা টাকা আছে, সে শিক্ষা পাবে গৃহশিক্ষক রেখে, এটা সমর্থন যোগ্য না।

৮| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:০৭

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: আমরা গুম, হত্যা, ধর্ষণ, লুণ্ঠন সমর্থন করিনা ।
কিন্তু তা কি বন্ধ হচ্ছে ? সুতরাং গতস্য শোচনা নাস্তি!!

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৬ ভোর ৪:৫৪

পাকাচুল বলেছেন: ধন্যবাদ

৯| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:৩৪

অগ্নি সারথি বলেছেন: গোড়াতেই গলদ। সহমত।

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৭:১০

পাকাচুল বলেছেন: গোড়াটা ঠিক করতে হবে। ধন্যবাদ।

১০| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৬

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: বিড়ালের গলায় ঘন্টাটি বাধবে কে?
শিক্ষামন্ত্রী স্কুলের আদায়কৃত বাড়তি
টাকা ফেরত আনতে ব্যার্থ !!
বন্ধ হয়নি কোচিং, নোট, গাইড !!

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:৩৫

পাকাচুল বলেছেন: সৃজনশীল বই এর জন্য এখন বের হয়েছে সৃজনশীল গাইড, সৃজনশীল কোচিং।

১১| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:৪৩

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

সে এক বিরাট কাহিনি

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:৪৬

পাকাচুল বলেছেন: আওয়াজ দিয়ে যাই…
প্রচ্ছদ
আওয়াজ দিয়ে যাই…
লেখালেখি
জীবন দর্শন
প্রিয় সমাজ
প্রিয় স্বদেশ
বাংলায় ব্লগিং
EDU & OUR SOCIETY
4-uh-oh-4
Page not found...

The page you requested could not be found... sorry. Perhaps searching will help?

১২| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:৪৭

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

এবিষয়ে একটি দীর্ঘ প্রবন্ধ লেখেছিলাম, বহুদিন আগে। ব্যক্তিগত ব্লগে সেদিন তুলে রেখেছিলাম। লিংকটি আবার দিলাম

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:০৭

পাকাচুল বলেছেন: ধন্যবাদ, বিশাল গবেষণা করেছেন দেখছি। পড়লাম আগাগোড়া। ।
ইন্ডিয়ান র‌্যাপিড একশন আমিও কয়েকদিন পড়েছিলাম।

১৩| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:০৭

কোলড বলেছেন: You gave yourself (students) a clean chit and put all the responsibility on teachers/system. I too went to a non-descript Bengali medium school in Dhaka and couldn't afford private tutor but loved the English language. I've come across some students from English department in DU and less said is better.

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:২৯

পাকাচুল বলেছেন: সবার সবকিছু ভালো লাগে, এমনটা তো হতে পারে না। আমার ম্যাথ ভালো লাগত, ফিজিক্স ভালো লাগতো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.