নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দেশের জন্য কিছু করতে চাই

মোঃরাশেদুজ্জামান রাশেদ

ভালবাসি মাকে আর দেশটাকে। \nবিশ্বাস করি, \"সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপর নাই।\"ধর্মভীরু তবে ধর্মান্ধ নই। দেশ আর মানুষের কল্যাণে ভালো কিছু করার স্বপ্ন দেখি আর চাই স্বপ্নের সফল বাস্তবায়ন।

মোঃরাশেদুজ্জামান রাশেদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাস্তবতা থেকে বলছি

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৩

শার্টের পেছনটায় হালকা একটু টান পরতেই
আমার আর বুঝতে বাকি রইল
না এটা ছয় নম্বর। লাস্ট তিন
ঘন্টা ধরে ট্রেনের
জন্যে অপেক্ষা করতে করতে মেজাজটা খিটখিটে
হয়ে আছে,এর মধ্যে আবার
এইগুলা একটার পরে একটা পিছুই
ছাড়তে চায় না।
ভাবলাম পিছন ফিরে বড়
করে একটা ঝাড়ি দিব, কিন্তু তা আমার
ভাবনা ভাবনাতেই রয়ে গেল।
দেখলাম, পাচঁ-ছয় বছরের
একটা ছেলে করুণ মুখ করে আমার
শার্টের পেছনের
কোণাটা ধরে দাড়িয়ে আছে,
চোখগুলো এত মায়াময়
যে দেখে চোখ সরাতে পারছিনা আমি।
ছেলেটার পরনে একটা ছেড়া টি-
শার্ট,ময়লা জমতে জমতে সেই টি-
শার্টেরও রঙ চেনার উপায় নেই, টি-
শার্টের কল্যানেই তার হাটু পর্যন্ত
ঢেকে রয়েছে,তাই আর নিচে কিছু
পরেছে কিনা বুঝা যাচ্ছে না।
"ভাই দুইডা টেহা দেন না, সারাদিন
কিছু খাই নাই"
আমি জিঙ্গাসা করলাম তোর নাম কি?
ও বললো সুমন।
আমি আবার জিঙ্গাসা করলাম, থাকিস
কোথায় ?
ও বললো, এইহানেই থাকি,ইস্টিশনেই।
'এই বলে রেল-লাইনের উপর
দাড়িয়ে থাকা ট্রেনের
একটা অকেজো বগির
দিকে ইশারা করল'
আমি আবার বললাম, তোর বাবা-মা তোর
সাথে থাকে না?
'অনেকটা উৎসাহ নিয়েই
প্রশ্নটা করলাম আমি।
কিন্তু ও বললো, বাপে ফালাই
থুইয়া গেছেগা আর মা'য় পাগলী।
"নির্বিকার ভঙ্গিতেই সুমন বলে যায়
কথাগুলো যেন এমটাই হওয়ার ছিল"
আমি আবার বললাম, তুই তাহলে একাই থাকিস?
'অবাক হয়েই জিজ্ঞেস করলাম আমি,,,
- না, আমার লগে বল্টু,করিম
এরাও থাকে।
আমি ভাবলাম, আমার কাছে তো কিছু টাকা
আছেই,,,,
এটা ভাবতেই সুমন বলে উঠলো "ভাই, দেন না দুইডা টেহা"
আমি বললাম, দুই টাকা দিয়ে কি খাবি? চল
আমার সাথে।
তাই ওকে নিয়ে একটা হোটেলে গেলাম,,,
আর দুজনই ডিম দিয়ে পেট ভরে খেলাম।
খাওয়া-দাওয়া শেষ করে বার হওয়ার পথে ও আমায় বললো, আফনের
কাছে দুইডা টেহা চাইছি আর
আফনে আইনা ডিম-পোলাও
খাওয়াইলেন, আর
কোনো কোনো সাব
আছে টেহা চাইলেই গালি-গালাজ
করে, কয়
আমরা নাহি নেশাখোর,কেউ কেউ ত
আবার চড়-থাপ্পরও মারে।
'কথা গুলো শুনতে শুনতে আনমনেই
চোখের
কোণে পানি চলে আসে আমার'
ভাবুন একবার,
যে সমাজ যে দেশ এই পথশিশু
গুলোর দুইবেলা খাবারের
নিশ্চয়তা দিতে পারে না,একটা ভাল
কাপড়ের নিশ্চয়তা দিতে পারে না।
এরাই আবার মৌলিক অধিকার-
মানবাধিকার
নিয়ে সভা সমাবেশে গলা ফাটায়
চিৎকার করে। এদের কি কোথায়
আটকায় না।
নাকি ওরা পথশিশু বলে ওদের
কোনো মৌলিক অধিকার
নেই,মানবাধিকার নেই। ওরা পথশিশু
বলেই কি ওদের মনে এই ঘৃণার বীজ
বপে দেওয়া হয় যে, তোমরা এই
সমাজের আবর্জনা, তোমাদের
কোন মূল্য নেই আমাদের কাছে,,,????
জানিনা আমার এই প্রশ্নের উত্তর কে দিবে,,,
তবে এটা জানি এই শিশুরাই আমাদের
দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম,,
তাই,
আসুন সকলে মিলে এদের পাশে দাড়াই,,,,

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৩

আলী আকবার লিটন বলেছেন: এটাই আমাদের দেশের বাস্তবটা ভাই মেনে নিতে হবে মেনে নিচ্ছি। ভাল লিখেছেন।

০১ লা মার্চ, ২০১৫ সকাল ৯:৫৮

মোঃরাশেদুজ্জামান রাশেদ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই মন্তব্য করার জন্য। ভাল থাকবেন। অনেক অনেক শুভ কামনা রইল আপনার জন্য.

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.