![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কথা বলছি বাংলাদেশ সরকারের কমিউনিটি ক্লিনিক প্রকল্পটি নিয়ে।
আওয়ামীলীগের ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে 'সবার জন্য স্বাস্থ্য' নীতিমালা বাস্তবায়ন করতে এই প্রকল্পটি গ্রহন করেন। তবে প্রকল্পটির নিয়োগ নীতিমালায় এই প্রকল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট নীতিনির্ধারণই পর্যায়ের একটা বড় ভুলই কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোকে আজ প্রশ্নের মুখে দাড় করাচ্ছে। তারা এখানে কোন মেডিকেল পার্সন না রেখে শুধুমাত্র এইচএসসি সমমান যেকোন বিভাগ থেকে লোক নিয়োগ দেওয়া শুরু করে। তাদের পরবর্তীতে নাম দেওয়া হয় সিএইসসিপি।আর্টস, কমার্স, মানবিক, কারিগরি সকল শাখার ছেলেমেয়েদের মাত্র ৩ মাসের একটি ট্রেনিং দিয়ে হাতে তুলে দেওয়া হলো স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার বোঝা। ব্যাপারটা যতটানা হাস্যকর তার চেয়েও বেশী ভয়ংকর।
বর্তমানে সারাদেশে কমিউনিটি ক্লিনিকের সংখ্যা ১৩ হাজার ৮৬১ টি। যা ২০২২ সালের মধ্যে ১৭ হাজার করার সরকারের ভিষণ বাস্তবায়নে কাজ করছে স্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তর।
এসব কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো নিয়ে যতই রমরমা বিজ্ঞাপন জনসাধারণের মাঝে প্রচার করা হোকনা কেন। কিন্তু বাস্তবতার চিত্র আমি দেখেছি এবং দায়িত্ব নিয়েই বলছি চিত্র সম্পূর্ণ বিপরীত।সত্যিকার অর্থে ধীরে ধীরে সাধারণ মানুষের কাছে দূরে সরে যাচ্ছে প্রকল্পটি। এর কারন হিসাবে সামনে আসছে, কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে সেবার মান কিংবা কাদের দাড়া সেবা দেওয়া হচ্ছে ইত্যাদি বিষয়গুলো।
স্বাস্থ্য সেবা নামক জিনিসটি একটি হাস্যরসে রূপান্তরিত হচ্ছে এই কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোর মাধ্যমে। এখনি যদি এতে ব্যবস্থা না নেওয়া হয় তবে খুব তাড়াতাড়িই এই প্রকল্পটি মুখ ধুবরে পড়ার আসঙ্কা করছি।
এছাড়া প্রকল্পটি স্থায়ী করনের কাজও চলছে। যদি সংস্কার না করেই এই অবস্থায় স্থায়ীকরণ করা হয় তবে তা জনগণের ট্যাক্সের টাকা জলে ডুবানোর মতো ভূমিকায় অবতীর্ণ হবে।
এখন এখানে প্রশ্ন আসতে পারে তবে এই বিপুল পরিমান বর্তমানে নিয়োগপ্রাপ্ত সিএইচসিপিদের আবার কোথায় পাঠানো হবে? কারন তাদের এখান থেকে বাদ দিলে তারা দিশেহারা হয়ে যে আন্দোলনে নামবেনা, এর নিশ্চয়তা কোথায়?
কারন বাংলাদেশ এমন একটি দেশ, যেখানে অনিয়মের বাস্তবায়ন যদি একবার হয়ে যায়। তবে তা কখনোই আর নিয়মে ফিরে আনা যায়না। অমিয়মকেই তখন অধিকার ভাবতে শুরু করা হয়।
এ অবস্থায় সরকারের উচিত হবে, সিএইচসিপি পদ রেখেই পাশাপাশি এখানে সত্যিকারের ডাক্তাদের নিয়োগ দেওয়া।
এক্ষেত্রে সেটি ডিপ্লোমা চিকিৎসক হতে পারে কিংবা এমবিবিএস হলে তা আরো স্বাস্থ্য সেবায় বড় ভূমিকা রাখতে পারবে। তবে এমবিবিএসরা যেহেতু বর্তমানে গ্রাম বাংলায় চিকিৎসা দিতে এতোটা সাচ্ছন্দবোধ করেনা সেহেতু গ্রাম বাংলার ৮০% মানুষের সুনামের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকারী সাব এসিসট্যান্ট মেডিকেল অফিসারদেরই(ডিপ্লোমা চিকিৎসক) এখানে নিয়োগ দেওয়া হতে পারে একটি উৎকৃষ্ট সমাধান।
তখন এই সিএইচসিপিদের কাজের পরিধিও আরো একটু বাড়িয়ে তোলা যাবে। একজন দক্ষ সহযোগী হিসাবে তারা স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতকরণে ভূমিকা রাখতে পারবে।
এবং জনমনেও আস্তা ফিরে পাবে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো!
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৫১
মোঃরাশেদুজ্জামান রাশেদ বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। সহমত পোষণ করছি। তবে এভাবে আর কতদিন?
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:৩২
রাজীব নুর বলেছেন: সরকারের কোন প্রতিষ্ঠানের মান ভালো?
বরং ভোগান্তির শেষ নেই।