নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পানি শুধুই পানি

পানিখোর

পানি পানি পানি পানি পানি

পানিখোর › বিস্তারিত পোস্টঃ

পার্বত্যবাংলা কে অশুভ শক্তির হাত থেকে রক্ষা কর!!

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০০

পাহাড়ের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের বিকল্প নেই : এমপি চিনু



পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে জানার বিকল্প নাই। পূর্বতীমুর স্টাইলে পশ্চিমারা বাংলাদেশ থেকে আরেকটা বাফার স্টেট বানাতে চাচ্ছে। এক্ষেত্রে পশ্চিমা ডলার লোভী মিডিয়ার কথায় কান না দিয়ে জনগণকে অবশ্যই সজাগ হতে হবে। বাংলাদেশে মাত্র ৩০০ বছর আগে আরাকানিজদের তাড়া খেয়ে আজকের রোহিঙ্গার মত উদবাস্তু হয়ে আসা উপজাতিরা কোন ক্রমেই আদিবাসী নয়। এরা বার্মার উপজাতি জনগন। বার্মায় এদেরকে থেট ও থেক নামে ডাকা হয়। সে সময় আরাকান রাজ থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামের দখলদার ইংরেজ গভর্নরকে লেখা চিঠিতে এদেরকে রাজদ্রোহী ও ডাকাত সম্প্রদায় উল্লেখ করে ফেরত চাওয়া হয়। কিন্তু কোম্পানী মনোভাবে ইংরেজরা এদেরকে জঙ্গল ঘন পাহাড়ী এলাকা চাষাবাদ করে কর দেয়ার বিনিময়ে, ফেরত না পাঠিয়ে পার্বত্য এলাকায় লুকিয়ে থাকতে সাহায্য করে।

আজ এইসব ডাকাত বংশোদ্ভূতরা বাংলা অঞ্চলের ভূমিপুত্র বাঙ্গালীদেরকেই বহিরাগত বলে নিজেদেরকে বাংলাদেশের আদিবাসি বলে প্রচার করে। এদের সহযোগী হিসেবেই ডলার লোভি দালাল মিডিয়া সেসব প্রচার করে আওয়ামীলীগকেও বিভ্রান্ত করেছিলো। ২০০৮ নির্বাচনী প্রচারনায় আওয়ামীলীগ সে কারনে এদের আদিবাসী সম্বোধন করে। এখন তারা জাতীসংঘের মাধ্যমে এসব বার্মিজ স্যাটেলারদের নিয়ে পশ্চিমা আদিবাসী ষড়যন্ত্র বুঝতে পেরে এদের নিয়ে রাজনীতি বন্ধ করেছে। এদেরকে উপজাতি বা ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠী হিসেবে বর্ননা করছে সরকার।



ছবির কথা- "এগুলো নতুন আনা হয়েছে ,,, এখন সময় হল ১ জানুয়ারী থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামে অসহযোগ আন্দোলনের কর্ম সূচি হিসাবে লাগাতার সড়ক ও নৌ জানে অবরোধ করা হবে এবং প্রয়োজন বোধে এ আঙ্গুল গুলো ব্যবহার করা হবে পার্বত্য চট্টগ্রামের সগ্রামী (সংগ্রামী) বন্ধুদের প্রস্তুত থাকার জন্য অনুরোধ করছি। হালার সেড হাবা (শালার বাঙ্গালী) দেখি কেমনে ওদের শাসন করতে হয় প্রয়োজনবোধে যুদ্ধ ঘোষণা করা হবে"- রাঙ্গামাটিতে বসে বার্মিজ স্যাটেলারদের হুমকি!!"

পাহাড়ে দুই সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর পাল্টাপাল্টি সন্ত্রাসে পাহাড় এভাবেই ক্ষতবিক্ষত হচ্ছে

এরা পার্শ্ববর্তী বার্মার বিভিন্ন বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সাথে পাহাড়ে যাবতীয় অপরাধের স্বর্গ রাজ্য গড়ে তুলেছে। আফিম চাষ, অপহরন বানিজ্য, খুন, ধর্ষন, চাঁদাবাজির মগেরমুল্লুক বানিয়ে ফেলেছে পার্বত্য চট্টগ্রামকে। পার্বত্য শান্তি চুক্তির সুযোগে এখন প্রকাশ্যে এরা নানান ভগে ভাগ হয়ে বাঙ্গালীদের ওপর এবং নিরস্ত্র সাধারন উপজাতিদের ওপর চাদা বসাচ্ছে। অকেন স্থানেই আইনশৃংখলা েদের হাতে বন্দী হয়ে আছে। এদের বহু ক্যান্টনমেন্ট রয়েছে পাহাড়ি এলাকাগুলোতে। চুক্তির শর্ত মেনে বর্তমান সরকার পার্বত্য অঞ্চল থেকে অর্ধেক সামরিক স্থাপনা সরিয়ে এনেছে। এখন দূর্গম এলাকা গুলোতে সেসব স্থাপনা গুলো দখল করে সশস্ত্র তৎপরতা চালাচ্ছে UPDF, JSS ও সংস্কার পন্থী JSS নামে পরিচিত সাবেক শান্তিবাহিনীর সসস্ত্র সন্ত্রাসীরা!



কিছুদিন আগেই এ অঞ্চল থেকে বার্মার আরাকানের আরাকান আর্মির প্রধানকে আটক করা হয়। রানিন সোয়ে নামক সেই ব্যাক্তির সাথে সন্তু লারমা সহ উপজাতিদের প্রধান প্রধান বযাক্তিদের সম্পর্ক ছিলো। রানিন সোয়ের ফেসবুক একাউন্টে সন্তু লারমার সাথে তার স্বাক্ষাতকে সে মগ জাতির জন্য কল্যাণকর বলে বর্ননা করেছিলো। মূলত আরাকান আর্মি অন্যতম আরেকটি উপজাতি মগ ও রাখাইনদের স্বমন্বয়ে গঠিত। যারা বার্মায় একটি মগ রাষ্ট্র প্রতীষ্ঠা করতে চায়। এদের আশ্রয় দেয়ার বিনিময়ে স্থানীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীরা সীমান্ত ব্যবহার করে সূদূর চিন পর্যন্ত পৌছে যায়। ধর্মীয় ভান্তের পোষাক পড়ে এরা অস্ত্রের ডিলিংস করে থাকে। তাছাড়া সীমান্তের দুই পাশে সক্রিয় এইসব গোষ্ঠী সরকার বিরোধী একশনে পরস্পরের প্রক্সি হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। কিছুদিন আগে বিজিবি ক্যাম্পে হামলা করার মাধ্যমে প্রথম আরাকান আর্মির উপস্থিতই প্রকাশ পায়।

গহীন পাহাড়ে গড়ে তোলা বার্মিজ বংশীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের অর্থ লাভের আরেক প্রধান উৎস পপি ক্ষেত! (সেনা তৎপরতার ভিডিও)



এদেরকে আদিবাসী স্বীকৃতি দেয়ার সাথে সাথে এরা নিজস্ব ভূমি লাভের অধিকার পাবে। যা জাতীসংঘ স্বীকৃত আদিবাসী বিষয়ক ধারা উল্লেখ করা হয়েছে। ের আওতায় ইন্দোনেশিয়া পশ্চিমা ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে নিজ উপজাতিদের আদিবাসী স্বীকৃতি দেয়ার সাথে সাথে অস্টড়েলিয়ার সাহায্যে পূর্বতীমুর নামে বের হয়ে গেছে ইন্দোনেশিয়ার অবিচ্ছেদ্দ্য ঐ অংশটি। যা ন্যাটো ও জাতীসংঘ ভূক্ত দেশগুলোর স্বীকৃতি পেয়ে স্বাধীনতা লাভ করে। অথচ বাংলাদেশে থাকা বার্মার উপজাতি জনগোষ্ঠী কোন ভাবেই আদিবাসী নয়। বরং নেটিভ আমেরিকান বা তথাকথিত রেড ইন্দিয়ান ও অ্যাবওরিজিনালরাই যথাক্রমে (বৈশ্বিক আদিবাসি খেলোয়াড় তথা) আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়ার আদিবাসী। অথচ এইসব ক্রীড়নকরা নিজ দেশের আদিবাসীদের দমন করে বিভিন্ন তৃতীয় বিশ্বের 'উপজাতি' ও একসময়ের বহিরাগত ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীদের কৌশলে আদিবাসি বানিয়ে দেশ দখল করে যাচ্ছে! পার্বত্য উপজাতিদের বিশাল অংশ এখন খৃষ্টান হয়ে সে পথের সহযোগী হয়ে গেছে।

গত বিশ্ব মানবাধিকার দিবসকে সামনে রেখে পার্বত্য অঞ্চল জুড়ে উপজাতিদের তথাকথিত স্বাধীন জুম্মল্যান্ডের পতাকা উড়ানোর গোপন প্ল্যান সরকার ও সেনাবাহিনী ভেস্তে দেয়ার পর নতুন করে চুক্তি লঙ্ঘন কারী সসস্ত্র গ্রুপগুলো যুদ্ধের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। ৩য় ছবিটি সেই হুমকির একটি স্ক্রীন শট।

বাঙ্গালীদের অবশ্যই সজাগ সচেতন হতে হবে।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৫

গেম চেঞ্জার বলেছেন: এদের বাংলাদেশের প্রতি দেশপ্রেমের অভাব রয়েছে। এদের শিক্ষা ও দেশ নিয়ে ভাবতে শেখাতে হবে।

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৮

পানিখোর বলেছেন: অনেক যুগ পার হল। রাজাকার ত্রিদিব রায় থেকে আরেক রাজাকার দেবাশীষ পর্যন্ত গড়াল। শিক্ষার চেয়ে বংশগত টান যখন বেশি থাকে তখন শান্তিবাহিনীর মৃত্যুর মুখ থেকে ফেরাদের পুলিশে চাকরি দিলেও সেখান থেকে অস্ত্র পাচার করে এইসব নিমক হারামরা। সেই অস্ত্র চলে যায় আবারও শান্তিবাহিনীর হাতে!

২| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৬

আলফা ব্রাইট বলেছেন: ধন্যবাদ লেখাটা দেওয়ার জন্য। আজ উপজাতি সন্ত্রাসীদের পরিকল্পনা ছিল জুম্মাল্যান্ডের পতাকা উত্তোলন করা। পার্বত্য বাঙ্গালী ও সরকারের নজরদারিতে না পারলেও তারা বাঙ্গালী বিরোধী স্লোগান দিতে থাকে। এই নিয়ে পাহাড়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে। পুরো খবরটি এখানে পাবেন।

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৫

পানিখোর বলেছেন: ধন্যবাদ খবরটি শেয়ারের জন্য। :)

৩| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৮

পানিখোর বলেছেন: এদের শিক্ষার চেয়ে উচিত-শিক্ষার প্রয়োজন বেশি।

৪| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০১

কল্লোল পথিক বলেছেন: এদের কে দেশের মুলধারায় ফেরাতে হবে।

৫| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৫৬

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: সহমত

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.