নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পান্থ নজরুল

পান্থ নজরুল › বিস্তারিত পোস্টঃ

টাকার পিছে দুনিয়া ঘুরে সুরঞ্জিত ঘুরলে দোষ কি?

১৪ ই এপ্রিল, ২০১২ রাত ১২:৪২





এই লেখায় কিছুটা সাম্প্রদায়িকতার গন্ধ থাকতে পারে। কাউকে আঘাত দেয়ার উদ্দেশ্যে নয় বিষয়টি নিয়ে একটু নিরপেক্ষভাবে ভাবার জন্য উপস্থাপন করছি। এদেশে সংখ্যালঘু বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায় নানানভাবে নিগৃহীত। শুধুমাত্র সংখ্যালঘু হওয়ার কারণে হিন্দুদের উপর যে দু’একটি নির্যাতনের ঘটনা দেশের নানান প্রান্তে ঘটছে তা চরমভাবে নিন্দনীয় এবং কঠিনভাবে বর্জনীয়।



আর লেনদেন সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে যে হানাহানি দু’সম্প্রদায়ের মধ্যে হয় সেটা ভিন্ন বিষয়। এ হানাহানি সাম্প্রদায়িকতার মধ্যে পড়ে না। একই সমাজভূক্ত হওয়ায় একসাথে চলতে ফিরতে দেনা-পাওনা নিয়ে মানুষে মানুষে গোলমাল বাঁধতেই পারে। প্রতিবেশী-প্রতিবেশী সে যে ধর্মেরই হউক না কেন একটু আধটু লাগবেই এবং লাগাটাই স্বাভাবিক।



এদেশে হিন্দুরা সবচেয়ে বেশী নির্যাতিত হয় আওয়ামী ঘরানার বদমাইশগুলোর হাতে। হিন্দুদের জমি দখল, ব্যবসা-বাণিজ্য হরণ, ঘরের স্ত্রী-কণ্যা অপরহণের ঘটনা আওয়ামীদের দ্বারাই বেশী সংঘটিত হয়। আওয়ামী চাঁদাবাজরা হিন্দুদেরকেই বেশী পছন্দ করে! একথা হিন্দুরাও স্বীকার করবে। বিএনপি বা অন্যান্য রাজনৈতিক দল সমর্থিত কিছু শয়তান একাজে জড়িত নয় তা অস্বীকার করছি না। তারপরও হিন্দুরা আওয়ামী লীগের সহব্বত বা সংশ্রব পরিত্যাগ করতে পারে না। কারণ কি?



আমি ঢাকায় যে সেলুনে ক্ষুরকর্ম সম্পাদন করি সেখানে একজন ক্ষৌরকার ছাড়া বাকী পাঁচ-ছয় জন হিন্দু সম্প্রদায়ের লোক। তাদের বুদ্ধি-শুদ্ধি ভারতের পদলেহী সুশীল সমাজের চেয়ে বেশী বলেই মনে হয়! মাঝে মাঝে এদেরকে বর্তমান সরকারের ভাবমূর্তি রক্ষায় সরকার কর্তৃক নিয়োগকৃত লবিস্ট মনে হয়। সরকারের বিরুদ্ধে কেউ কিছু বললে সুসংবদ্ধ মৌমাছির মতো ঝেঁকে ধরে। আপনি হয়তো বললেন, লোড শেডিং এর যন্ত্রনায় আর বাঁচি না। ক্ষেপা ষাঁড়ের মতো গুতো মেরে ওরা বলবে, দেখেন না প্রতিদিন কতো বিল্ডিং উঠতাছে ওদেরকে বিদ্যুত দিতে হয় না? ক্ষোরদার যুক্তি বটে!



গতকাল আমি আরো অবাক হলাম ওদের ভারত প্রেম দেখে! প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, হিন্দুদের এক পা ভারতে আরেক পা এদেশে। প্রধান মন্ত্রী অনেক অবান্তর কথা বললেও একথাটি একেবারে মিথ্যা বলেন নি। ‘ভদ্রলোক’ ক্ষুরের নীচে গর্দান রেখে সাকিব এবং তামিমকে আইপিএলে মাঠে না নামানোর দায়ে ভারতের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন। নাপিতরা ভারতের পক্ষ নিয়ে যে ভাষায় যে ভঙ্গিতে ভদ্রলোককে ‘সাইজ’ করলেন তাতে আমার মনে হলো এরা ভারত থেকে এখানে বিদেশ করতে এসেছে যেমন আমাদের বাংলাদেশীরা মধ্যপ্রাচ্যে বিদেশ করতে যায়!



একজন সেলুনে ঢুকে সোফায় রাখা পত্রিকার সেনগুপ্তকে নিয়ে লেখা হেডিং একটু উচ্চ স্বরে পড়লেন। সাথে সাথে এক ক্ষৌরকার তীর্যক কণ্ঠে বলে উঠে, টাকার পিছে দুনিয়া ঘুরে সুরঞ্জিত ঘুরলে দোষ কি? তার অভিমত হলো, এদেশে সবাই ঘুষ খায় কিন্তু তখন তো এতো হৈচৈ হয় না? তাহলে কি সেনগুপ্ত হিন্দু বলেই এতো হৈচৈ! তবে তার একথা ঠিক হলে হতেও পারে। কারণ এ সরকারের আঁচলের নীচে সেন গুপ্তের চেয়েও বাঘা বাঘা ঘুষখোর আছে। তাদেরকে নিয়ে কিন্তু আমরা হৈচৈ করি নি বা করছি না। তারা কি ঈমানদার জাতিভাই বলেই আমরা এড়িয়ে যাচ্ছি?



সেনকে নিয়ে আরো ....

Click This Link

Click This Link

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.