![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার পরিচিত একজন পরিক্ষার্থী ঢাকা বোর্ডের একটি স্কুল হতে এবার এসএস সি পরীক্ষা দিয়ে বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ ৪.৯৫ পেয়েছে ।দুটি গণিতে A+ সহ মোট ৯ টি বিষয়ে A+ পেয়েছে ।১০৭৮ মোট নম্বর । বাংলায় A- এবং ধর্ম ও রসায়নে A.তার মোট নম্বর শতকরা ৮২.৯৩ ভাগ । আমার দেখা ছেলেটি খুব মেধাবী হয়েও একটি বিষয়ে খারাপ হয়েছে এ জন্য সে সমাজ ,পরিবার সবার কাছে তুচ্ছ । সে কম মেধাবী হিসেবে সমাজে চিন্হিত হলো । মাত্র ৪ মার্কের জন্য সে জিপিএ ৫ পাইনি ।সমাজ এখন জিপিএ ৫ নির্ভর ।ঢাকার সরকারী কলেজ সহ ভাল কোনো কলেজে সে পড়তে পারবে না। কারন বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হতে জিপিএ ৫ চায় সব ভাল কলেজ। এবার সরকার বা শিক্ষা মন্ত্রণালয় রেজাল্ট এর সাথে মার্কশীট দিয়েছে, খুব ভাল পদক্ষেপ এটি । এখন ভর্তিতে যদি জিপিএ৫ বা শতকরা ৮০ ভাগ নম্বর উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তি দিত তাহলে অনেকে মেধা যাচাইয়ের সুযোগ পেত ।
এবার পরীক্ষার খাতা দেখায় একটু শক্ত নির্দেশনা পাওয়ায় পরীক্ষকরা অনেক ভাল ছাত্রকেও বলি দিয়েছে । এত কম সময়ে খাতা দেখার নির্দেশনায় খাতা না দেখেও নম্বর দেয়া হয়েছে । ফলাফল চ্যালেণ্জ করা হলে ভাল করে খাতা পুনমূল্যায়ন নামকাওয়াস্তে করা হয় ।প্রশ্ন ফাসের এ যুগে তাই শুধু জিপিএ ৫ নির্ভর না হয়ে প্রকৃত মেধাবীদের খুজে বের করতে হবে ।জিপিএ ৫ না পাওয়া মেধাবীরা যেন নম্বরের ভিত্তিতে ভর্তি হতে পারে তার জন্য পদক্ষেপ গ্রহন করা দরকার ।আর কোনো ছাত্র যেন পরিবার ,সমাজসহ সবার কাছে তুচ্ছ হয়ে আত্মহননের পথ বেছে না নেয় ।জিপিএ ৫ না পেয়ে আজ সিরাজগন্জ ও চট্টগ্রামে দুজন ছাত্র আত্মহত্যা করেছে শুনে খুব খারাপ লাগলো । দু/তিনজন ফেল করায়ও আত্মহত্যা করেছে ।এ জন্য কে দায়ী। জিপিএ ৫ নির্ভর শিক্ষাব্যবস্হা থেকে কি বের হওয়া যাবে না ।কেউ কি আছেন একটু ভাল করে লিখবেন ।
০৭ ই মে, ২০১৭ সকাল ১১:৫৭
পান্হপাদপ বলেছেন: "মানুষের সাফল্য পরীক্ষার খাতায় নয় বাস্তব জীবনে" সুন্দরএবং যথার্থ বলেছেন। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ।
২| ০৭ ই মে, ২০১৭ রাত ১:৪৭
ধ্রুবক আলো বলেছেন: এখন অবস্থা এমনই তৈরি করে ফেলেছে এই সমাজ, সমাজ ব্যবস্থা, জিপিএ 5 না পেলে মান সম্মান শেষ।
এটা কোনো ব্যবস্থা হলো।
ভালো কলেজ গুলো জিপিএ 5 ছাড়া স্টুডেন্ট ভর্তি করে না।
এ জাতির ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত অন্ধকার।
০৭ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১২:০২
পান্হপাদপ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ জানাই আপনাকে ।যথার্থ বলেছেন।
৩| ০৭ ই মে, ২০১৭ রাত ২:১৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
১৬/১৭ লাখ ছেলেমেয়ে পরীক্ষা দিলে, কোন ৪/৫ জন আত্মহত্যা করতে পারে, সেটা শুধু স্কুল ও পরিবার বুঝার কথা; সেই অনুসারে ব্যবস্হা নেয়া সম্ভব
০৭ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১২:০৪
পান্হপাদপ বলেছেন: সঠিক বলেছেন।অনেক ধন্যবাদ জানাই আপনাকে।
৪| ০৭ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১২:১০
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: এদেশের শিক্ষা ব্যাবস্থা আসলেই খারাপ ।
০৭ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১২:১৫
পান্হপাদপ বলেছেন: কোমলমতি শিক্ষার্থীদের জিপিএ৫ নামক বোঝা চাপিয়ে দেয়া হয়েছে।সঠিক বলেছেন।অনেক ধন্যবাদ জানাই আপনাকে।
৫| ০৮ ই মে, ২০১৭ দুপুর ২:২৩
ওমেরা বলেছেন: আমাদের আবেগ বড় বেশী ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই মে, ২০১৭ রাত ১:৩৪
মানবী বলেছেন: আমাদের মাঝে শোঅফ আর ঢাকঢোল পিটিয়ে নির্লজ্জ আত্মপ্রচারের নির্লজ্জ প্রতিযোগিতা না থাকলে আজ হয়তো শুধু পরীক্ষার ফলাফলের স্কোর মানুষ বা ব্যক্তির চেয়ে মূখ্য হয়ে উঠতোনা!
অত্যন্ত দুঃখজনক নিত্য নতুন যে টুলই আমরা পাই তা ইন্টারনেট হোক অথবা ফেসবুক/ব্লগ বা অন্যান্য সোশাল মিডিয়া আমাদের মাঝে অনেকেই ছলে বলে কৌশলে তা আত্মপ্রচারে প্রয়োগ করে। দেশের অনেক অ্ভিভাবক নিজ সন্তানের চেয়ে লোকের কাছে বড়াই করাটাকে বড় করে দেখে বলেই সন্তানের মানসিক কষ্ট আর অসহায়ত্ব তাদের চোখে পড়েনা।
মানুষের সত্যিকারের সাফল্য পরীক্ষার খাতায় নয় বরং বাস্তব জীবনে একজনের সততা, নিষ্ঠা আর মানবিকতাই তার নির্ণয়ের চাবিকাঠি।
সেই ছেলে দুজনের জন্য খারাপ লাগছে। আশা করি শুধু পরিবার পরিজন নয়, আসেপাশের সবাই পরীক্ষার্থীদের সাথে এধরনের নিষ্ঠুর আচরণ থেকে বিরত থাকবে।
পোস্টের জন্য ধন্যবাদ পান্থপাদপ।