নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এসো সরল সোজা পথে যে পথ গিয়েছে জান্নাতের দিকে

এ জগতে মানুষ কারা

বিলাসী

সময় খুব কম, স্রষ্টাকে যেন ভুলে না যাই

বিলাসী › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রশ্নঃ রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর জন্মদিন কিভাবে পালন করতে হয়?

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:২৬

উত্তরঃ যেকোনো ইবাদত করতে হয় রাসুলুল্লাহ (সাঃ) যেইভাবে করেছেন ঠিক সেইভাবে।

বিদাতীদের সমস্যা হলোঃ তারা ইবাদত করে ঠিকই, কিন্তু নিজেদের মনগড়া পদ্ধতিতে যার কোনো দলীল কুরান ও সহীহ হাদীসে পাওয়া যায়না। এই যেমন- মিলাদ পড়া, কিয়াম করা, জশনে জুলুছ, কাসীদা বুরদা; দুরুদ ইত্যাদি নাম দিয়ে ভুয়া ম্যান মেইড দুয়া পড়ে যেইগুলোর মাঝে শিরকি ও কুফুরী ভরা!



অথচ সুন্নাহ হচ্ছে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর জন্মদিনে রোযা রাখা!



আবু কাতাদাহ আনসারী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা রাসুল (সাঃ) কে তাঁর সোমবারে রোযা রাখার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলো, [কারণ রাসুল (সাঃ) সোমবার দিন রোযা রাখতেন]।

তখন রাসুল (সাঃ) বলেন যে, এইদিন আমি জন্ম নিয়েছি, আর এইদিনই আমার উপর কুরআন নাযিল করা হয়েছে।

[তাই আমি শুকরিয়া স্বরূপ এইদিনে রোযা রাখি]

সহীহ মুসলিমঃ ২৮০৭।



বিঃদ্রঃ একমাত্র রোযা রাখা ছাড়া অন্য কোনো কিছু করা বেদাত ও সম্পূর্ণ হারাম। আর নিজের ছেলে মেয়ের যে কারো জন্মদিন পালন করা, কেইক কেটে পার্টি করা এইগুলো হচ্ছে ইয়াহুদী খ্রীস্টানদের কালচার, যা থেকে দূরে থাকা মুসলমান হিসেবে একান্ত কর্তব্য।

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: মূর্খতা হল বড় অভিশাপ।

যা এরকম অল্প জেনে বিস্তর কথা বলা এবং সিদ্ধান্ত দেওয়া লোকদের দেখে বোঝা যায়!

আপনি কি কোরআন পড়েছেন?

সেই আয়াত কি পড়েন নি?

"ইন্নাল্লাহা ওয়া মালাইকাতাহু ইয়ুসাল্লুনা আলান্নবীয়ী,
ইয়া আইয়্যুহাল্লাজিনা আমানু সাল্লু আলাইহি ওয়া সাল্লি মুতাসলিমা"

কি বলেছে? জানেন?

আল্লাহ তাঁর ফেরেশতাদের নিয়ে রাসূল সা: এর উপর দরুদ পাঠ করেন? এবং আদেশ দিচ্ছেন হে মুমীন গণ তোমরাও অধিক আদব ও তাসলিমের সহিত নবীর উপর দরুদ পাঠ কর।

সেই মাহফিল আপনাদের দৃষ্টিতে বেদআত?????

সেই নবীর শান ও শওকত নিয়ে কাসিদা, গজল, গান, নাত আপনাদের চোখে বৈধ নয়???????

তাই উনার জন্মদিনে সমাবেশ, নাত হামদ, গজল, সহ প্রচলিত যে কোন অনুষ্ঠান যার মূল লক্ষ রাসল সা: কে স্মরণ এবং তাঁর শানে নিবেদিত সকলই উত্তম এবং উচত কর্ম।

নইলে আপনি যে কোরআনের আদেশ অমান্যকারী হচ্ছেন! কি হচ্ছেন না?????



দৃষ্টিকে একটু উন্মুক্ত করুক। জ্ঞানকে বিকশিত করুক।

অন্ধত্বকে আকড়ে থাকাই বড় মূর্খতা, বড় পাপ।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:১৩

বিলাসী বলেছেন: আপনি অনেক জানেন সেটা না হয় মেনে নিলাম। কিন্তু জানেন শুধু বেদাতী কাজ। আপনি উপরে যা উল্লেখ করেছেন তার সবটাই সহিহ হাদীস ও কুরআনুল কারিমের সাথে সাংঘর্ষিক। আপনি কোনো দলিল পেশ করেন নি। দেখুন ইবাদাত করব দলিল দিয়ে, দলিল ছাড়া কোনো ইবাদাত নেই। প্রথম কথা আপনি যা বলেছেন সেটা কি রাসুল সা: নিজে করেছেন? সাহাবীরা করেছেন? তা'বেয়ীরা করেছেন? তা'বে-তা'বেয়ীরা করেছেন? আপনি এর সপক্ষে মাত্র একটি দলিল দেন, আমি কথাকে সাথে সাথে আপনার কথা মেনে নিব।

"ইন্নাল্লাহা ওয়া মালাইকাতাহু ইয়ুসাল্লুনা আলান্নবীয়ী,
ইয়া আইয়্যুহাল্লাজিনা আমানু সাল্লু আলাইহি ওয়া সাল্লিমু তাসলিমা"

আল্লাহ তাঁর ফেরেশতাদের নিয়ে রাসূল সা: এর উপর দরুদ পাঠ করেন। এবং আদেশ দিচ্ছেন হে মুমীন গণ তোমরাও অধিক আদব ও তাসলিমের সহিত নবীর উপর সালাত ও সালাম পেশ কর।
এটা ঠিক বলেছেন, তাই তো আমরা প্রতি নামাজে দুরুদ পাঠ করছি। যখনি রাসূল সা: এর নাম নিচ্ছি তখনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওসাল্লাম বলছি। কারণ কুরআনুল কারিমে ও সহিহ হাদীসে আমরা এভাবেই পেয়েছি।

আর আপনি রাসূল সা: জন্মদিনে সমাবেশ, কাসিদা ইত্যদি এইগুলি কোথায় পেলেন? হয়তো বলবেন অলী-আউলিয়া, বুজুর্গানে দ্বীন, অমুক বড় হুজুর পীর বাবা বলেছেন অথবা তাদের কিতাবে আছে, ইত্যদি ইত্যদি। ভাই এসব অলী-আউলিয়া, বুজুর্গানে দ্বীন, বড় হুজুর, পীর বাবার দোহাই দিয়ে ইসলাম চলে না। শুধু রাসূল সা: এর আনিত দ্বীন দিয়েই ইসলাম চলে। এজন্যই রাসূল সা: বলেছেন, মরিয়ম তনয়া ঈসা (আঃ) নিয়ে খৃস্টানরা যে বাড়াবাড়ি করেছে, তোমরা সেরকম আমাকে নিয়ে করনা। আল্লাহ সুবহানাহু ওতা'য়ালা সবাইকে বুঝার তৌফিক দান করুন। আমিন।

২| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:১৮

নিজাম বলেছেন: আমার মনে হয় আপনি ঠিক বলেছেন। এ ব্যাপারে হক্কানী আলেমগণের মতামত গ্রহণযোগ্য।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৩৮

বিলাসী বলেছেন: ধন্যবাদ, বিশ্বাস করুন আর নাই করুন, এদেশে হাক্কানী আলেম বলতে যা বুঝায় সেরকম আলেম পাওয়া সত্যিই কঠিন ব্যাপার। মাদ্রাসাগুলুতে বড় ক্লাসে বোখারী, মুসলিম পড়ালেও, বাস্তবে আমলে এর ছিটেফোটাও তারা মানেন না। এরা শুধু মাযহাবী ফিক্‌হের কিতাব কুদুরী, হেদায়া, বেকায়া এইগুলির উপর তাকলীদ করেন। অথচ আল্লাহর রাসূল সা: বলেছেন, তোমরা যদি দুটি জিনিষকে আকঁড়িয়ে ধরে রাখ, তাহলে তোমরা কখনও পথভ্রষ্ট হবে না। এক কুরআনুল কারীম ও দুই রাসূল সা: এর সুন্নাহ।

৩| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: তা যা বলেছেন- বেদআত!!

আচ্ছা এর মানেটা কি বলুন তো?

যা কিছু নতুন সংযোজন তাইতো...। যা ধর্মে ফূর্বে ছিলনা, নতুন সংযোজিত বিষয়ই বেদআত।

ভাই আপনিওতো আগে ছিলেন না। ধর্ম বলেন, দুনিয়া বলেন কোথাও আগে ছিলেন না। নতুন আসছেন দুনিয়ায়- তবেতো আপনি নিজেই আস্ত বিদআত :P

আচ্ছা আপনি যে মৌলিক বিষয়গুলোকে আকড়ে ধরে আছেন সো গুলো যে মৌলিক কিভাবে প্রমাণ করেছেন?

রাসূল সা: এর ওফাতের পর যখন আব্বাসীয় আর উমাইয়া দ্বন্ধে ইসলামের ত্রাহি অবস্থা,
যখন একজন খলিফাও স্বাভাবিক ভাবে ইন্তেকাল ফরমাইতে পারেন নাই...
যখন ক্ষমতার লোভে ইসলামকে কারবালায় শহীদ করা হল....

এরপর তাদের হাতেই সকল ক্ষমতা চলে গেল! আপনি কি করে নিম্চিন্ত হলেন-যে যে সকল বিধানাবলী আজ পাচ্ছেন তা ইয়াজিদী বা ক্ষমতালিপ্সুদের দ্বারা পরিবর্থতি হয়নি বা এদিক সেদিক ঞয় নি? জানাবেন।

অলী-আউলিয়া, বুজুর্গানে দ্বীন, বড় হুজুর, পীর বাবার দোহাই দিয়ে ইসলাম চলে না।...

ভাল কথা।

তো আপনি কে ইসলাম নিয়ে বলার?????আপনার যোগ্যতা, সনদ এবং অনুমোদন কে দিয়েছে ইসলামের বিষয় নিয়ে সিদ্ধান্ত দেবার?????
পরিস্কার জানাবেন আশাকরি।

তাহলে আমরাও জেনে শুনে শিখতে পারব।মানতে পারব।

৪| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৪

যাফর বলেছেন: "যা কিছু নতুন সংযোজন তাইতো...। যা ধর্মে ফূর্বে ছিলনা, নতুন সংযোজিত বিষয়ই বেদআত।"

বিদ্রোহী ভৃগু, ভাই এর অর্থই ত আমরা ভালো করে জানিনা, কিন্তু ক্যাচাল পারতে ওস্তাদ।
এই যে আজ আমরা মুসলিম মুসলিম বলে মুখে ফেনা তুলে ফেলতেসি, কার বদৌলতে আজ আমরা মুসলিম? আল্লাহ এর বানি আমাদের মাযে কে প্রচারিত করেছে? আমাদের মুসলিম জাতিসত্তা এর ইতিহাস কতদিনের? এই বঙ্গদেশের আদি ধর্ম কি ছিল? আমরা মোসলমান হলাম কি ভাবে?
এগুলো কি আমরা চিন্তা করি? নিজের ভুল না ধরে আরেকজন কি করে তার দিকে চেয়ে থাকি, সে কি কি ভুল করে।
যার যার আমল তার তার।

৫| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: @যাফর ভাই, প্লিজ লাগে আপনিওতো সেইরকম কমেন্ট করে গেলেন!!
তো না জানাটা জানায়া যান। আমি অজ্ঞের উছিলায় না ঞয় বহু মানুষ শিখলো!

হ্যা আপনার প্রশ্নগুলো অব্যশই যোক্তিক। তবে তার প্রশ্নগুলো দিয়েও না ঞয় একটা পোষ্ট লিখে ফেলেন। সবার জানা হবে।

আর ক্যাচাল বিষয়না। উনি ডিসিসিভ পোষ্ট দিয়েছেন-যা আংশিক সত্যকে ধারন করে। আমি সেটাই শুধু জানাতে চেয়েছি।

আর যেই ইসলাম সবচে মুক্ত মনা সেখানে অজ্ঞতা, গোড়ামী আর অন্ধত্ব সবচে ক্ষতিকর।

বিধানের জন্য মানুষ না মানুষের জন্য বিধান।

এইটা আমার না আল্লাহরও কথা।

তাই যুগে যুগে কালে কালে ধর্মগ্রন্থও বহুরকম এসেছে। বহু নবীর বিধানও তার পারিপাশ্বিকতাকে বেইজ করে ছিল্।

তাই ইসলামের সার্বজনীনতা, মুক্তচিন্তার মৌলিক জায়গাটাকে যদি আপনি বিধিবদ্ধ করে দেন-জ্ঞানের বিকাশ সেখানেই স্তব্দ হযে যাবে। আপনি সামনে এগিয়ে যেতে পারবেন না।

ইসলামই বিশ্বে সবচে বেশি কালচার কো-অপ্ট করা ধর্ম। বিম্বের যেকানে গেছে সেখানের কালচার ইসলাম মিলেমিশে এক অপূর্ব সংস্কৃতির বিকাশ হয়েছে।

আজ ইরানের অগ্রগতির দিকে তাকান- আর আমাদের সেই একশত বছর আগে নজরুলের বরা বিবি তালাকের ফতোয়া খোজা মুসলমানের দিকে তাকার , পার্থক্যটা দিনের মতো পরিস্কার হয়ে যাবে।

৬| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:০৭

যাফর বলেছেন: "ইসলামই বিশ্বে সবচে বেশি কালচার কো-অপ্ট করা ধর্ম। বিম্বের যেকানে গেছে সেখানের কালচার ইসলাম মিলেমিশে এক অপূর্ব সংস্কৃতির বিকাশ হয়েছে।"
বিদ্রোহী ভৃগু, ভাই আপনি এত ভাল লিখেন আমি মুগ্ধ।
ভাই ক্যাচাল বলতে বুজিয়েছ, জানার আগ্রহে না, নিজের পণ্ডিতি জাহির করতে গিয়ে আমরা সব হযবরল করে ফেলি।আপনি আমাকে লিখতে বলছেন! আমিত ভাই ইসলাম এর অ ও জানিনা যে লিখব। আপনাদের কাছ থেকে ভালো গুলো শিখার আশায় আছি। দোয়া করবেন যেন ভালো থাকি। আল্লাহ আমাদের সকলকে হেদায়েত করুন।

৭| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৭

বিলাসী বলেছেন: আমি সময় নিয়ে দলিলসহ আপনার প্রতেকটি কথার উত্তর দিব ইন-শা-আল্লাহ, অফিসের ব্যস্ততা বেশি তাই একটু সময় চেয়ে নিলাম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.