![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সময় খুব কম, স্রষ্টাকে যেন ভুলে না যাই
আমাদের বাসার কেয়ারটেকার "সাইফুল", গত মাসের ৪ তারিখ জয়েন করেছে। ওর বাড়ি কক্সবাজার। ওর কথা বুঝা মুসকিল। আঞ্চলিকতা প্রখর। তবুও চেষ্টা করে যাচ্ছি ওকে মানিয়ে নিতে। তা বেশ কয়েকদিন লেগে গেল ওর ভাষা আয়ত্ত করতে। যাক হাফ ছেড়ে বাচলাম। কিণ্তু বাচ্চারা ওর কথার মাথামুন্ডু কিছুই বোঝে না। ওকে বললাম বাচ্চাদের কথা ভালো করে শুনবে ও তার উত্তর দিবে তাদের মতো করে এতে তোমারও কথা বলতে সুবিধা হবে। ও বেশ চেষ্টা করে যাচ্ছে এবং সফলও হচ্ছে। ব্যাপারটি আমি বেশ উপভোগ করছি। তবে ওর গতিবিধিরও লক্ষ্য রাখছি, একে তো নতুন তারপর দিনকালের যা অবস্থা। যাইহোক তবে সে বেশ ধার্মিক বলেই মনে হলো। ভোরে উঠে ফজর নামাজ পড়ে, বেশ জোরে কোরআন তেলওয়াত করে। মজার ব্যাপার সে ছোট খাট সুরা দিয়ে নামাজ পড়ে না। সুরা নাবা, সুরা ইয়াছিন ইত্যাদি সুরা সে নামাজে তেলওয়াত করে। আমার বেশ ভালো লাগে।
কয়েকদিন আগে সে আমাকে কিছু একটা বলার জন্য ঘুরঘুর করছে কিণ্তু মুখ খুলছে না। আমি যেচে তাকে বললাম, "কি কিছু বলবে?" সে বলল যে তার ফ্যানটি এখনও লাগানো হয়নি। কারণ যাকে লাগানোর কথা বলা হয়েছিল সে নাকি আজ কাল করে ঘুরাচ্ছে। শুনে আমারতো মাথা খারাপ। এমনিতেই গরমের যা অবস্থা ঐ ব্যাটা ঐ ছোট রুমে থাকে কি করে? আমি বললাম মিস্ত্রির নাম্বারটা আছে? সে বলল "আছে"। সাথে সাথে ফোন দিলাম কিন্তু ওকে পেলাম না। মেজাজটা বিগড়াইয়া গেল। অগ্যতা আর কি করব সাইফুলকে বললাম কই ফ্যান এদিক নিয়া আস। ইলেকট্রিকের টুকটাক কাজ আমি নিজেই করতে পারি। চৌকির নিচ থেকে সে ফ্যানটি বের করে আনলো। তাকে বাসায় পাঠিয়ে একটি চেয়ার স্ক্রু ড্রাইভার প্লাস আনতে বললাম, সে নিয়ে এলো। সে বলল স্যার আমি কারেন্ট খুব ভয় করি। আমি বললাম ভয় নাই আমিই লাগিয়ে দিচ্ছি। যদিও সে ক্ষীণ আপত্তি করেছিল যে "স্যার আপনি লাগাবেন?" আমি বললাম কেন তোমার কি সন্দেহ আছে? পরে আমি নিজেই তাকে ফ্যানটি লাগিয়ে দিলাম। ফ্যান লাগানোর পর বললাম সাইফুল ফ্যানটা অন করো। সে অন করলো বাতাস খেতে খেতে তার চেহারার দিকে তাকিয়ে দেখি সে খুশিতে আটখানা। বেশ তৃপ্তি পেলাম। মনে হলো যাক একটা কাজ তাহলে করে ফেলেছি।
০২ রা অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:১৭
বিলাসী বলেছেন: ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:০৪
গেন্দু মিয়া বলেছেন: ভালো কাজ করেছেন।