![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সময় খুব কম, স্রষ্টাকে যেন ভুলে না যাই
আমাদের দেশটা আইয়্যামে জাহেলিয়াতের যুগের চাইতেও ভয়াবহ আকার ধারন করেছে। মানুষ তার চিরাচায়িত মনুষ্যত্য হারিয়ে ফেলেছে। ধৈর্য্য, সহনশীলতা, শ্রদ্ধাবোধ একেবারেই তলানীতে। যার ফলশ্রুতিতে একথা নির্দিধায় বলা যায় যে আমরা কি সভ্যহীন হয়ে পরছি। রাজনীতিবিদরা দেশের উন্নতির ফিরিস্তি বলে মুখে ফেনা তুলে ফেলেন, কিন্তু আমরা কতটা উন্নত হলাম মনে প্রাণে, অন্তরে তাকি কেউ বলেছে কখনো। শুধু বিত্ত ঐশর্য্যটাকেই এই উন্নতির মাপকাঠি হিসেবে ধবে নিয়েছে। এক শ্রেণির তথাকথিত এলিট পয়সাওয়ালারা মনে করেন পয়সা দিয়ে সব করা যা্য। ধৈর্য্য, সহনশীলতা, শ্রদ্ধাটাও তারা পয়সায় মাপে। আর এখানেই আমাদের উত্তরসুরীরা মনে করছে আগে অন্যকিছু দরকার নাই, শুধু চাই পয়সা। মানুষের আচার-ব্যবহার রীতিনীতি কোনটাই পয়সার ঊর্ধে নয়।
আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি এর জন্য বেশ কিছু কারণ রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম কারণ, আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা ও উপরতলায় ঘুণেধরা রাজনীতিবিদরা যারা নূন্যতম নিয়ম কানুনের ধার ধারেন না। শিক্ষকরা তার মহান পেশাকে কলংকিত করছে লেজুরবৃত্তি আর ধান্ধাবাজিতে। আর রাজনীতিবিদদের কথা আর কি বলব! কি বলব তাদের তথাকথিত দেশপ্রেমকে। যে ছাত্রটি তার শিক্ষাজীবনে ধৈর্য্য, সহনশীলতা, শ্রদ্ধাবোধ নিয়ে বিশদ কিছু জানবে, শিখবে তখন এই রাজনীতিবিদরা তাদেরকে নেতা হওয়ার স্বপ্ন দেখায়, ফলশ্রুতিতে সে আর ওপথ মাড়ায় না। সে হয়ে উঠে বিরাট দুর্ধষ্য ক্যাডার। যার ডিকশিনারিতে ধৈর্য্য, সহনশীলতা, শ্রদ্ধাবোধ নেই। যাকে দেখে রাজ্যের লোক ভয় পায় এর আবার শ্রদ্ধাবোধ থাকার দরকার কি!
আমাদের তরুণ প্রজন্ম যাদেরকে রাস্তাঘাটে হরহামেশা দেখি, সবসময় অস্থিরতায় ভোগে এতটা আত্মকেন্দিক যে অন্যের কথা তার ভাবার সময় কই। তারা মনে হ্য় না অতটা জানে যতটুকু তার জানা দরকার যে রাষ্ট্র ও সমাজের প্রতি তার কি আচরণ হবে, কি আচরণ হবে প্রতিবেশীর প্রতি, কি আচরণ হবে বয়োজৈষ্ঠর প্রতি, কি আচরণ হবে তার আত্মীয়দের প্রতি? কি আচরণ হবে তার মা-বাবার প্রতি, ইত্যাদি ইত্যাদি। একজন মানুষ যদি আচরণবিধিই না জানে সে আবার মানুষ হয় কি করে? আমার কেন যেন মনে হয়, তরুণদের মধ্যে ভয়াবহ একটি শ্রদ্ধাহীন অংশের বিকাশ হচ্ছে এ দেশে। তাদের সামনে কোনো আইডল নেই, শ্রদ্ধা করার মতো কোনো মানুষ নেই। তাদের দোষ দিই না। তাদের সামনে দেশের বরেণ্য মানুষকে নিরন্তর গালিগালাজ করে এ পরিস্থিতি তৈরি করেছি আমরা বয়োজ্যেষ্ঠরাই। কি শিক্ষক, কি রাজনীতিবিদ, কারও মুখই বন্ধ নেই, নিরন্তর আমরা একে অপরের কুৎসা গেয়েই চলেছি, তাহলে এই প্রজন্ম শিখবে কোথা থেকে? তাদের মনে শ্রদ্ধাবোধের ব্যাপারটি আসবে কোথা থেকে? প্রতিনিয়ত সে দেখছে একে অন্যের মাথায় কাঁঠাল ভেংগে খাচ্ছে, এখানে ধৈর্য্য, সহনশীলতা, শ্রদ্ধাবোধ বাতুলতা ছাড়া কিছুই নয়। সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর ব্যক্তি থেকে শুরু করে মন্ত্রী, রাজনীতিক, উপাচার্য, সাংসদ, সচিব, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ব্যবসায়ি, চাকরীজীবি, মজুর, কুলি এমনকি ভিক্ষুক—কারও ভাষাই সুশ্রাব্য নয়। একের চোখে অন্য খারাপ বা খুবই জঘন্য। আমরা এমন এক সমাজে বাস করি যে সমাজে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য, হাসি-ঠাট্টা হয়তো স্বাভাবিক বিষয়। সেখানে শ্রদ্ধার ব্যাপারটি কি ভাবে যায় এটা ভাবতেই মনটা খুব পীড়িত হয়ে পরে।
০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:১০
বিলাসী বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইজান
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:৫২
রাজীব নুর বলেছেন: সহজ সরল সত্য কথা ।