![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সময় খুব কম, স্রষ্টাকে যেন ভুলে না যাই
একটা শিশুর জন্মের পর থেকে তার পরিবার শিক্ষা দিতে শুরু করেন তাকে আধুনিক করে গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে। এই গড়ে তোলার প্রক্রিয়ায় বাদ যায় না প্রায় কিছুই। হারমোনিয়াম দিয়ে গান শেখানো আর নাচের স্কুলে পাঠানোটা দেশের শিক্ষিত মধ্যবিত্ত পরিবারের সুরুচির নিদর্শন। সিম্পসন-সিনডারেলা আর মহাভারত-রামায়ণের কাহিনীর আদলে তৈরী ‘ছোটা ভিম' টাইপ কার্টুন যেগুলো শিশুকে পিতামাতার অবাধ্য হওয়া, অশ্লীলতাকে সহজে গ্রহণ করা আর মনের মধ্যে শিরকের ধারণা জন্মানোর কাজ করে সেগুলো শিশুদের বিনোদনের মাধ্যম হিসেবে গ্রহণ করা আমাদের দেশে এখন নূন্যতম দাবী। সাথে রয়েছে ভয়ঙ্কর সব অ্যাকশন গেমস, একটা শিশুর কোমল সত্তাকে হিংস্র করে তোলার জন্যে যা যথেষ্ট। আমাদের আটপৌরে মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোতে এগুলোই এখনকার লাইফস্টাইলের অনুষঙ্গ। এই পরিবারগুলোতে ইসলাম শিক্ষার ব্যবস্থাটা থাকে গৌণ যার দৌড় কেবল বাসায় হুজুর রেখে সন্তানকে কিছু সূরা মুখস্থ করা আর আরবী বানান করে পড়তে শেখানো পর্যন্ত। অভিভাবকরা স্বপ্রণোদিত হয়ে আর খুব বেশী শেখাতে যান না (আসলে শেখাতে পারেন না) এবং কেউ কেউ আগ্রহী হয়ে দাদী-নানীর কাছ থেকে শিখতে পাঠান। বাড়ীর দাদী-নানীদের ইসলাম জানার উৎস 'নেয়ামুল কোরআন', 'বিষাদ সিন্ধু' বা 'ফাযায়েলে আমল' বা হকারের কাছ থেকে কিনে আনা 'কি করিলে কি হয়' (এই পুস্তকগুলি ঈমান আক্বিদা বিধ্বংসী এবং জাল জয়িফ কিচ্ছা কাহিনীতে পরিপূর্ণ) টাইপ কিছু ভয়ংকর পুস্তক।
একটা সন্তান বড় হতে থাকে তাই এক অদ্ভূত প্রক্রিয়ায়। অতি অল্প রসদ নিয়ে বড় হয়ে সেই সন্তানটি যখন ইউনিভার্সিটি পর্যায়ে চলে আসে তখন শুরু হয় আরেক নতুন খেলা। অযত্নে বেড়ে উঠা সেই ছেলেমেয়েদেরকে বোঝানো হয় তারা যথেষ্ট বড় হয়ে গেছে এবং তারা নিজের ভালোটা বেশ ভালোই বুঝে নিতে পারে। তাদের চোখ তখন আড়াল হয়ে যায় রঙীন চশমার আড়ালে। তারা ফ্রি-মিক্সিং, সমাজতন্ত্র, ‘ধর্ম যার যার- রাষ্ট্র সবার’ থিওরী, বন্ধু-আড্ডা-গান, গিটার, প্রেম, নেশা, দেশপ্রেমের ফাঁকা বুলি, গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা, স্বাধীনতার চেতনা, জাতীয়তাবাদ, মেটালিকা, বেসবাবা ইত্যাদির প্রবল চাপে পারিবারিকভাবে পাওয়া নূন্যতম ধর্মীয় বোধটা আর টিকিয়ে রাখতে পারে না। ফলাফল, কোনো রক্ত গরম করা কথায় কিংবা কোনো মধুর বানীর ধোঁকায় এই প্রজন্ম চোখ বুজে ঝাপিয়ে পড়তে দ্বিধা করে না। এমন একটা তরুণ প্রজন্মের কাছে ভালো কিছু আশা করার সুযোগটা কই!
আমার সময়ের কথিত ‘তরুণ প্রজন্ম’ কি মনে করে যারা স্রোতের বিপরীতে দাঁড়িয়ে নিজের ইচ্ছেগুলোকে আল্লাহর ইচ্ছার কাছে সমর্পণ করে দিয়েছে তারা বেকুব, বোকা আর গর্ধব? তারা কি কিছু না বুঝেই এমনটা করেছে নাকি এমন কিছু তারা বুঝতে পেরেছে যা এখনও বাকীদের জানা হয়নি। জীবনটা কি কেবল উপভোগের, নাকি উপলব্ধির কিছু আছে এখানে?
০৯ ই অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৫
বিলাসী বলেছেন: ধন্যবাদ। জাযাক আল্লাহু খাইর।
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৭
আহমেদ আলিফ বলেছেন:
"আমার সময়ের কথিত ‘তরুণ প্রজন্ম’ কি মনে করে যারা স্রোতের বিপরীতে দাঁড়িয়ে নিজের ইচ্ছেগুলোকে আল্লাহর ইচ্ছার কাছে সমর্পণ করে দিয়েছে তারা বেকুব, বোকা আর গর্ধব? তারা কি কিছু না বুঝেই এমনটা করেছে নাকি এমন কিছু তারা বুঝতে পেরেছে যা এখনও বাকীদের জানা হয়নি। জীবনটা কি কেবল উপভোগের, নাকি উপলব্ধির কিছু আছে এখানে?"
এই কথাটুকু খুবই ভালো লেগেছে ।
পোস্ট এ প্লাস+++