![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সময় খুব কম, স্রষ্টাকে যেন ভুলে না যাই
এক ভাই প্রশ্ন করেছেন, আমার মা এক বড় হুজুরের নিকট থেকে (বড় হুজেরের নিকট থেকে!) খুব দামী দুটি তাবিজ এনে দিয়েছে। কিন্তু এখানে সৌদি আরবে কিছু লোক বলে তাবিজ নাকি শিরক। তাদের কথায় আমি তাবিজ খুলেছি, কিন্তু এখন মন খুব দুর্বল হয়ে পড়েছে, ভয় করছে। আপনি কিছু বলুন।
উত্তরঃ দেখুন নবী করীম (সাঃ) বলেছেন, “আত-তামায়িমু শিরকুন” - তাবিজ হচ্ছে শিরক। এটা আল্লাহর নবীর কথা (হাদীস), কোনো আলেমের ফতোয়া না! ফতোয়া হলে ভাবতেন মানুষের মত, ভুল-ত্রুটি হতে পারে। কিন্তু এটি কার কথা? নবী (সাঃ) এর কথা।
আচ্ছা কেউ যদি বলে, তাবিজ যার মধ্যে শিরক থাকবে সেটা শিরক, আর যেটা কুরানের দুয়া দিয়ে করবো, কুরানের সুরা বা নবীর হাদীসের দুয়া দিয়ে করবো সেগুলোতে কোনো সমস্যা নেই।
নবী (সাঃ) এগুলোর মাঝে কোনো পার্থক্য করেননি, যদি পার্থক্য করতেন তাহলে তিনি অবশ্যই বলে দিতেন, দেখো তোমরা কুরআন হাদীসের দুয়া দিয়ে তাবিজ করিও কোনো অসুবিধা নেই। আর শিরকি কথা দিয়ে বা বুঝা যায়না এমন কথা বার্তা দিয়ে তাবিজ করিওনা। এভাবে তিনি ভেঙ্গে দুইটাকে আলাদা করে বলতেন, কারণ তিনি আল্লাহর পক্ষ থেকে শরীয়ত স্পষ্ট করে মানুষের কাছে পোঁছে দেওয়ার জন্যই এসেছিলেন। কিন্তু তিনি এইরকম কোনো পার্থক্য করেন নি, সব তাবিজকেই শিরক বলেছেন। সুতরাং, তাবিজ তা যেকোনো রকমেরই হোকনা কেনো, আল্লাহর নবী বলেছেন - তাবিজ হচ্ছে শিরক সুতরাং শিরক।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, তাবিজ শিরক হয় কিভাবে? তাবিজ পূজার শিরক নয়, সেজদা করার শিরক না কারণ তাবিজকে কেউ পূজা বা সেজদা করেনা। কিন্তু এটা হচ্ছে ভরসা করার শিরক। আল্লাহর উপর ভরসা করতে হবে, আস্থা রাখতে হবে আর আস্থা ও ভরসা পুরোপুরি হয়ে গেছে তাবিজের উপরে। এইজন্য যারা তাবিজ ঝুলায় তারা গর্বের সাথে বলে, তাবিজ আছে, কোনো যাদু আমার ক্ষতি করতে পারবেনা, তাবিজ আছে কোনো পরোয়া নেই – কোনো জিন আমাকে স্পর্শ করতে পারবেনা। তাদের মনে বল কিজন্য? তাদের মনের বল পুরোপুরি এই তাবিজের উপরে। এইযে প্রশ্নকারীর মন খুব দুর্বল হয়ে পড়েছে ভয় লাগছে, কেনো? তার আস্থা ছিলো এই তাবিজের উপরে। আল্লাহর উপর ভরসা না করে তাবিজের উপর ভরসা করা সেটা কি? সেটা হচ্ছে শিরক – সেটা কুরআনের দোয়া দিয়েই তাবিজ করুক না কেনো আর শিরকি কথা বা গাছ-গাছড়া দিয়ে তাবিজ করা হোকনা কেনো।
এ সম্পর্কে কুরআনে অনেক আয়াত আছে, “যদি তুমি মুমিন হয়ে থাকে তাহলে শুধুমাত্র আল্লাহর উপরেই ভরসা করো” তাহলে তাবিজের উপর যে ভরসা করবে সে মুমিন না মুশরেক? সে মুশরকে হয়ে যাবে।
আবার অনেকে বলে, কুরআন হাদীস দিয়ে তাবিজ করবো এটা এমন কি খারাপ কথা? হ্যা আরেকটি খারাপ কথা আছে। বাথরুমে প্রস্রাব-পায়খানা করতে গিয়ে আলাহর আয়াতের কত অবমাননা করা হচ্ছে। এটা কি হারাম নয় আপনার জন্য? আপনি দিনে কতবার গুনাহগার হচ্ছেন, আল্লাহর আয়াত বা নবীর দোয়া দিয়ে তাবিজ ঝুলিয়ে টয়লেটে বা গোসল খানায় গিয়ে, স্বামী বা স্ত্রীর কাছে গিয়ে। সুবহা’ন আল্লাহ! আপনি কি একবারের জন্যও চিন্তা করেন না? তাহলে এই তাবিজে শিরকও আছে আবার কুরআন হাদীস বা আল্লাহর আয়াত ও নবীর দোয়া অবমাননা বা মানহানির অপরাধও আছে যা আপনার জন্য কুফুরী হওয়ার আশংকা আছে।
সুতরাং, খবরদার তাবিজের উপর ভরসা না করে আল্লাহর উপর ভরসা করেন। আমরা যারা তাবিজ করিনা বা লিখিনা তাদের কি এমন ক্ষতি হয়ে গেছে বলুন দেখি? আল্লাহ না চাইলে কারো কোনো ক্ষতি হবেনা, আর আল্লাহ যদি চান কারো বালা-মুসিবত তাহলে ভালো মানুষের উপরেও বালা মুসিবত আসতে পারে। খারাপ লোকের উপর বালা মুসিবত খারাপ কাজের আজাব হিসেবে আসতে পারে আর ভালো লোক বা সৎ লোকের উপরে পরীক্ষা হিসেবে বিপদ-আপদ বা বালা মুসিবত আসতে পারে। আল্লাহ ইব্রাহিম (আঃ) কে আগুনে ফেলে, ইউসুফ (আঃ) কে দীর্ঘদিন জেলে রেখে, আইয়ুব (আঃ) কে কঠিন অসুস্থতা দিয়ে, ইউনুস (আঃ) কে মাছের পেটে রেখে পরীক্ষা করেছিলেন। সুতরাং তাবিজ না করে আল্লাহর উপরে ভরসা করুন।
প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন শায়খ মতিউর রহমান মাদানী, দাম্মাম ইসলামী কালচারাল সেন্টার, সৌদি আরাবিয়া।
২| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:০৩
অপরিপক্ক বলেছেন: কিতাবুত তাওহীদে হাদিসটি উল্লেখ করে যেহেতু দুর্বল বলা হয়েছে, তাই আমি কথাটা এভাবে বলতে চাই, তাবিজ শির্ক এর একটা উৎস। যেমন মুর্তি মানেই শির্ক নয়, শির্ক এর একটা উৎস। এগুলাকে কেন্দ্র করে শির্ক হওয়া সম্ভব
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৯
সেলিম মোঃ রুম্মান বলেছেন: সহমত। ধন্যবাদ