নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এসো সরল সোজা পথে যে পথ গিয়েছে জান্নাতের দিকে

এ জগতে মানুষ কারা

বিলাসী

সময় খুব কম, স্রষ্টাকে যেন ভুলে না যাই

বিলাসী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ক্যাপচার বাধা ডিঙাল কম্পিউটার

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:০৫

যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রযুক্তি উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠানের গবেষকেরা দাবি করেছেন যে তাঁরা এমন একটি সফটওয়্যার উদ্ভাবন করেছেন, যা মানুষের মস্তিষ্কের মতো কাজ করে এবং ক্যাপচা কোড ভেঙে ফেলতে পারে। মানুষ ও কম্পিউটারের মধ্যে বুদ্ধিমত্তার পার্থক্য নির্ণয় করতে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে বাঁকা অক্ষর ও সংখ্যা মিলিয়ে ক্যাপচা কোড ব্যবহার করা হয়। গুগল, ইয়াহু, পেপালের মতো সাইটগুলো ক্যাপচা কোড ব্যবহার করে থাকে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক খবরে এ তথ্য জানিয়েছে।



‘কমপ্লিটলি অটোমেটেড পাবলিক টিউরিং টেস্ট টু টেল কম্পিউটারস অ্যান্ড হিউম্যানস অ্যাপার্ট’-এর সংক্ষিপ্ত রূপ হচ্ছে এই ক্যাপচা। পঞ্চাশের দশকে ব্রিটিশ বিজ্ঞানী অ্যালান টিউরিং প্রবর্তিত টিউরিং টেস্ট বা কম্পিউটারের বুদ্ধিমত্তা পরীক্ষণের কাজে ক্যাপচা কোড ব্যবহার করা হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকোভিত্তিক ভিকারিয়াস নামের একটি প্রতিষ্ঠান ক্যাপচা কোড ভাঙতে সক্ষম এমন একটি সফটওয়্যার উদ্ভাবনের দাবি করেছে। প্রতিষ্ঠানটির সহ-প্রতিষ্ঠাতা স্কট ফিনিক্স জানিয়েছেন, আমাদের এলগরিদম কোনো অসত্ উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়নি এবং এই সফটওয়্যার বিক্রির জন্য নয়।

স্কট আরও জানিয়েছেন, মানুষের মস্তিষ্কের মতো কাজ করতে সক্ষম এমন কৃত্রিম মস্তিষ্ক তৈরিতে একধাপ এগিয়ে গেছি আমরা। এ ছাড়া কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে গবেষণার ক্ষেত্রে আমরা সর্বোচ্চ সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছি এটাও প্রমাণ করতে চাই।

ভিকারিয়াসের গবেষকেরা এখন পর্যন্ত কোনো সাময়িকীতে তাঁদের গবেষণাপদ্ধতি সম্পর্কে তথ্য প্রকাশ করেননি। তাই বিশেষজ্ঞরা এখনো এ ভিকারিয়াসের দাবিকে মূল্যায়ন করে দেখার সুযোগ পাননি। তবে প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা তাঁদের সাইটে গুগল, ইবে, পেপালের মতো সাইটের ক্যাপচা কোড কম্পিউটার সফটওয়্যার দিয়ে ভেঙে ফেলার দাবি করেছেন।

ভিকারিয়াসের দাবিকে উড়িয়ে দিয়েছেন কার্নেগি মেলন বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞানী ও ক্যাপচার কোডের সহ-প্রতিষ্ঠাতা লুইস ভন আন। তিনি বলেন, ২০০০ সাল থেকে ক্যাপচা রয়েছে। ২০০৩ সাল থেকেই প্রতি ছয় মাস অন্তর কম্পিউটার ক্যাপচা কোড ভেঙে ফেলেছে এমন দাবি করা হয়। কম্পিউটারের সফটওয়্যার যদি অক্ষর ও সংখ্যার ক্যাপচা কোড ভেঙে ফেলে, তখন ক্যাপচা কোড হিসেবে ছবির ব্যবহার শুরু হবে। এলোমেলো ব্যাকগ্রাউন্ডের ছবি ক্যাপচা কোড হিসেবে ব্যবহার করলে কেবল মানুষের পক্ষেই তা শনাক্ত করা সম্ভব হবে।

এদিকে ভিকারিয়াসের গবেষকেরা জানিয়েছেন, ক্যাপচা কোড ভেঙে ফেলার ক্ষেত্রে ভিকারিয়াসের সাফল্য ৯০ থেকে ৯৭ শতাংশ। ক্যাপচার জটিলতার ওপর নির্ভর করে যদি কোনো কম্পিউটার একবারে সেটি ভেঙে ফেলতে পারে, তবে তা সাফল্য হিসেবে ধরা হয়। গবেষকদের দাবি, সফটওয়্যার ব্যবহার করে নিখুঁতভাবে ক্যাপচা কোড ভেঙে ফেলা সম্ভব বলে এখন অক্ষর ও সংখ্যাভিত্তিক ক্যাপচার গুরুত্ব কমে গেছে। এখন আর এ ধরনের ক্যাপচা মানুষ ও রোবটের মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় করতে সক্ষম নয়। তাই ভিকারিয়াসের দাবি যথেষ্ট গুরুত্বের দাবি রাখে।

গবেষকেরা জানিয়েছেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উন্নয়ন করে তাঁরা মানুষের মস্তিষ্কের মতো ‘রিকারসিভ করশিয়াল নেটওয়ার্ক’ তৈরি করবেন, যা রোবটিকস, মেডিকেল ইমেজ বিশ্লেষণ, ভিডিও সার্চসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে কাজে লাগানো সম্ভব হবে।

Click This Link

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.