![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সময় খুব কম, স্রষ্টাকে যেন ভুলে না যাই
ভ্রান্ত ধারণা ১ : ঘাড়ে ব্যথা মানেই উচ্চ রক্তচাপের লক্ষণ।
সঠিক তথ্য : ঘাড়ে ব্যথা থাকলেই উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত এমন ধারণা ঠিক নয়। ঘাড়ে ব্যথা হওয়ার অনেক কারণ রয়েছে। খুব কম ক্ষেত্রেই উচ্চ রক্তচাপে ঘাড়ে ব্যথা হয়ে থাকে।
ভ্রান্ত ধারণা ২ : একবার উচ্চ রক্তচাপ মানেই উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত হওয়া।
সঠিক তথ্য : একবার উচ্চ রক্তচাপ পাওয়া মানেই উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত এটা ঠিক নয়। সুস্থ ও স্বাভাবিক রক্ত চাপের কারও কারও হঠাত্ কখনও উচ্চ রক্তচাপ পাওয়া যেতে পারে। সুস্থ অবস্থায় পরপর তিন দিন উচ্চ রক্তচাপ থাকলেই উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত ধরে নেয়া হয়।
ভ্রান্ত ধারণা ৩ : কাঁচা লবণ খেলে উচ্চ রক্তচাপ হয় তবে লবণ ভেজে খেলে উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে না।
সঠিক তথ্য : এটা একেবারেই ভ্রান্ত ধারণা। কাঁচা লবণ এবং ভাজা লবণের মধ্যে গুণগত কোনো পার্থক্য নেই। দুটোই উচ্চ রক্তচাপে সমান ক্ষতিকর।
ভ্রান্ত ধারণা ৪ : উচ্চ রক্তচাপ শুধু সমাজের উচ্চবিত্তদেরই হয়ে থাকে।
সঠিক তথ্য : এই ধারণাটি মোটেও ঠিক নয়। উচ্চ রক্তচাপে উচ্চবিত্ত, নিম্নবিত্ত কিংবা মধ্যবিত্ত সবার আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা সমান।
ভ্রান্ত ধারণা ৫ : উচ্চ রক্তচাপ বেশি বয়সের অসুখ অর্থাত্ বয়স্করাই উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত হন।
সঠিক তথ্য : যে কোনো বয়সের নরনারীই জীবনের যে কোনো সময়ে উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত হতে পারেন। তবে বিভিন্ন কারণে ৪০ ঊর্ধ্ব বয়সের নর-নারীর উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি।
ভ্রান্ত ধারণা ৬ : যাদের গায়ের রং ফর্সা (সাদা চামড়া) শুধু তারাই উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত হন।
সঠিক তথ্য : একথা মোটেই ঠিক নয়। উচ্চ রক্তচাপের সঙ্গে গায়ের রঙ, বয়স, লিঙ্গভেদ, ধর্ম, গোত্র, জাতীয়তা ইত্যাদির কোনোই সম্পর্ক নেই।
ভ্রান্ত ধারণা ৭ : খুব বেশি স্বাস্থ্যবান কিংবা অতিশয় মোটা মানুষেরাই উচ্চ রক্তচাপে ভুগে থাকেন।
সঠিক তথ্য : শুধু মোটা বা স্বাস্থ্যবান মানুষেরাই উচ্চ রক্তচাপে ভোগেন এমনটি ভাবার কোনোই কারণ নেই। যে কোনো স্বাস্থের মানুষই উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত হতে পারেন। তবে স্বাস্থ্যবান বা মোটা মানুষের উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি।
ভ্রান্ত ধারণা ৮ : বেশি বেশি খাবার খেলেই বিশেষ করে চর্বিজাতীয় খাবার বেশি বেশি খেলে উচ্চ রক্তচাপ হয়।
সঠিক তথ্য : এ ধারণাটি সব সময় ঠিক নয়। বেশি বেশি খাবার খাওয়ার সঙ্গে উচ্চ রক্তচাপের তেমন কোনো সম্পর্ক নেই। তবে চর্বিজাতীয় খাবার বেশি বেশি খাওয়া হলে উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
ভ্রান্ত ধারণা ৯ : যদি কেউ ৫৫ কিংবা ৬০ বছর বয়সেও উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত না হন তবে তার বাকি জীবনে উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত হওয়ার কোনোই আশঙ্কা নেই।
সঠিক তথ্য : এ ধারণাটিও ঠিক নয়। আগেই উল্লেখ করা হয়েছে, যে কোনো বয়সের নর-নারী জীবনের যে কোনো সময়ে উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত হতে পারেন। কাজেই ৫০ কিংবা ৬০ বছর পেরোলেই ভাববেন না আপনি উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকিমুক্ত। বরং উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত হওয়ার হাত থেকে বাঁচতে সতর্ক থাকুন।
ভ্রান্ত ধারণা ১০ : উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত ব্যাক্তির রক্তে চর্বির (কোলেস্টেরল) মাত্রা সব সময় বেশি থাকে।
সঠিক তথ্য : এটা একেবারেই ভিত্তিহীন ধারণা। উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত কারও কারও রক্তে চর্বি বা কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি থাকতে পারে। তবে এটা সবসময় সবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।
ভ্রান্ত ধারণা ১১ : কেবল ডায়াস্টোলিক (নিচের) রক্তচাপ বাড়লেই ত্বরিত ব্যবস্থা নিতে হয়, সিস্টোলিক (উপরের) রক্তচাপ বেশি হলেও কোনো ক্ষতি নেই।
সঠিক তথ্য : এটা একেবারেই ঠিক নয়। চিকিত্সা বিজ্ঞানে সিস্টোলিক ও ডায়াস্টোলিক দুটো রক্তচাপেরই সমান গুরুত্ব রয়েছে। তবে সাম্প্র্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, বয়স্কদের বেলায় উচ্চ সিস্টোলিক রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। অন্যদিকে অপেক্ষাকৃত কম বয়স্কদের উচ্চ ডায়াস্টোলিক রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ভ্রান্ত ধারণা ১২ : দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাসের সঙ্গে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের কোনো সম্পর্ক নেই। সুষম খাদ্য তালিকা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ। চিকিত্সকরা অযথাই খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনের পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
সঠিক তথ্য : মনে রাখবেন, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সুষম খাদ্য তালিকার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। সুষম খাদ্যাভ্যাস শুধু উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেই সাহায্য করে না, বরং ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, স্ট্রোক এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। মোটকথা, একটি স্বাস্থ্যকর খাদ্য তালিকা ওষুধের চেয়েও বেশি কার্যকর।
ভ্রান্ত ধারণা ১৩ : ওষুধের মাধ্যমে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকলে আর চিকিত্সকের কাছে পরামর্শের জন্য যাওয়ার প্রয়োজন নেই।
সঠিক তথ্য : ওষুধের মাধ্যমে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকলেও উচ্চ রক্তচাপের জটিলতাগুলো শুরুতেই শনাক্ত করতে এবং এর যথাযথ ব্যাবস্থা নিতে অবশ্যই নিয়মিত তিন মাস পরপর চিকিত্সকের পরামর্শ নিতে হয়।
সূত্রঃ Click This Link
৩০ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:১১
বিলাসী বলেছেন: শিখার শেষ নাই রে ভাই। ধন্যবাদ।
২| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৬
মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ্ বলেছেন: সুন্দর পোস্ট...!
৩০ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:১০
বিলাসী বলেছেন: ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:২১
মোঃ আনারুল ইসলাম বলেছেন: খুব গুরুত্ব পূর্ন পোস্ট ভাল লাগল ।