নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ধুর!

বিকট

হাসান মাহবুব

আমার অপদার্থতাকে মাহাত্ম্য ভেবোনা...

হাসান মাহবুব › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভোরের ট্রেন

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ ভোর ৬:২৩



ভোর ছটায় ট্রেন আমার। যেতে হবে বহুদুর। অনেক অনেক দূর। যেতে হবে নিজের আরামদায়ক বিছানা, রাত জেগে বই পড়ার জন্যে শখ করে কেনা টেবিল ল্যাম্প, ঘুলঘুলিতে ঘর বাঁধা চড়ুই দম্পতি আর আমার প্রিয় একাকীত্বকে ছেড়ে। কোথায় যাবো এখনও ঠিক করিনি। কিন্তু কোথাও আমাকে যেতে হবেই। সুদূর থেকে সংকেত আসছে, রাতপ্রহরী হুইসেল বাজাচ্ছে কর্কশ, চড়ুই দম্পতিও কেমন যেন তাচ্ছিল্যের দৃষ্টিতে তাকাচ্ছে। আমাকে তারা এখন আর পছন্দ করছেনা হয়তো, বেশ বুঝতে পারছি। ওদের মনের ভেতর ঢুকতে অজস্র গলি ঘুঁপচি আর অন্ধকার সুড়ঙ্গ পেরুতে হয় না, যেমনটা হয় মানুষের ক্ষেত্রে। ওদেরকে আমার খুব বলতে ইচ্ছা করছে, আমার এ্যালার্ম ক্লকটা আজ বন্ধ রাখি, ভোর হলে কিচিরমিচির করে আমাকে ডেকে দিও, আমার খুব ঘুম পাচ্ছে, এ্যালার্ম ক্লকের কর্কশ শব্দে ঘুম ভাঙলেও মনে প্রশান্তি আসবেনা তোমাদের টুইটকারে আমার মন ভালো হয়ে যাবে, কফিপট থেকে এক কাপ কফি খেয়ে চলে যাবো সুন্দর শব্দের স্মৃতি নিয়ে। আমাকে ডেকে দিবে প্লিজ? আমি ঘুমোই একটু?



ঘুম আসছে না। এরকম কত প্রস্থানের স্মৃতি মনে পড়ে যাচ্ছে! শয্যাশূল হয়েছে আমার। শুয়ে থাকতে কষ্ট হচ্ছে। চড়ুই পাখিরা যদিও নিশাচর না, যদিও তারা নিদ্রামগ্ন ছিলো, কিন্তু আমার নির্ঘুম রাতের ক্লেশ অনুভব করে তারা নেমে এল ঘুলঘুলি থেকে। ওরা দুইজন আমার দু কাঁধে বসল।

-এই বয়সেও তুমি এত হোমসিক! বিরক্তিকর!

তাদের কথায় স্পষ্ট বিরক্তি। আহা হোম! সুইট হোম! কোথায় আমার ঘর? আমি তো ঘরের খোঁজেই ঘুরে ফিরছি। ঘরের খোঁজেই ভোরের ট্রেনের অপেক্ষা করছি। কিন্তু এসব নৈরাশ্যবাদী কথা ছটফটে চড়ুই দম্পতির অভিভাবকসুলভ নৈকট্যকে দূরে সরিয়ে দেবে এই ভয়ে আমি আর কিছু বললাম না। এর চেয়ে ওদের ঘরের প্রশংসা করে খুশি করে দিই, এই নিঃসঙ্গ রাতে, চলে যাবার ঘন্টাকয়েক আগে কেউ এসেছে পাশে থাকতে, কৃতজ্ঞচিত্তে আমি ঋণ শোধ করার কথা ভাবি।

-তোমাদের ঘরটা বেশ সুন্দর বানিয়েছো। তোমাদের মত আমারও যদি একটা ঘর থাকতো!

এইরে! শেষপর্যন্ত প্রকাশ করেই ফেললাম আমার বাসস্থানহীনতার নীরব নৈরাশ্য! ওরা এখন ব্যাপারটা কীভাবে নেয় ভেবে আমি উদ্বিগ্ন বোধ করি।

-ঘর নেই তোমার? আচ্ছা আমরা শিখিয়ে দেব কীভাবে ঘর বাঁধতে হয়।

-কখন শেখাবে? আমার ট্রেনের সময় হয়ে এলো বলে!

-বাকি রাত কি ঘুমোবার পরিকল্পনা করছো? তা নাহলে চল আমাদের সাথে রাস্তায় বেরুই। শিখিয়ে দেবো কীভাবে খরকূটো দিয়ে ছোট্ট সুন্দর ঘর বাঁধতে হয়।



এক রাত না ঘুমোলে কিছুই হয় না। একলা বিছানায় ঘুমের জন্যে প্রাণান্তকর চেষ্টা করে ঘন্টা দুয়েকের স্বপ্নহীন অথবা দুঃস্বপ্নময় ঘুমের চেয়ে চড়ুইদের সাথে রাত্রিযাপন অথবা শহর পরিভ্রমণ শ্রেয়তর।



ব্যাপারটা ঠিক অনভিপ্রেত কাকতাল নাকি আমার অবচেতন মনের কুচক্রী সিদ্ধান্ত আমি জানি না, আমি জানতাম চড়ুই দম্পতিকে নিয়ে রাস্তায় বের হবার আরো হাজারটা বিকল্প পথ ছিলো, আমি শহরের মানচিত্র সম্বন্ধে সম্যক জ্ঞান রাখি, আমি ইচ্ছা করলেই পাখি বিক্রেতাদের পণ্যশালা এড়িয়ে সুদৃশ্য বিলবোর্ড সম্বলিত বানিজ্যিক সৌহার্দপূর্ণ পথ দিয়ে যেতে পারতাম। অবশ্য এত রাতেও যে নগরের পাখি বেচাকেনার হাট খোলা থাকবে তা আমার জ্ঞাত ছিলো না। এসবই অবশ্য অচল ওজর। আমার দুই কাঁধে দুই পাখি আর রাস্তার দুই পাশে পাখি কেনাবেচার হাট। দোকানদাররা আমার বন্ধু চড়ুইদের চড়াদামে কিনে নেবার জন্যে প্রলুদ্ধ করছে আমাকে।

-ভাই, একজোড়া পাখি দুই হাজার টাকায় লমু। দিবেন?

আমার উপলদ্ধি হয় যে অনেক দূরে যাবার জন্যে দুই হাজার টাকা দিয়ে ট্রেনের টিকিট কিনেছি। তার খানিকটা উশুল হলে মন্দ হয়না! হায়! কোথায় আমার বাড়ি খুঁজে পাবার পথ চিনিয়ে দেবে তারা, আর তাদেরকেই আমি বিক্রী করে হারিয়ে যাবার টিকিটের দাম পরিশোধ করার কথা ভাবছি! তবে দুই হাজার=দুই হাজার টাকা সমীকরণটা এরকম যে, তাতে একটা সুবিধাবাদী সাম্যাবস্থা সৃষ্টি হবে মাত্র। আমার কোন মুনাফা থাকবে না।

-এক দাম তিন হাজার টাকা , নিবেন?

এই প্রশ্নটি করার পরের কয়েক মুহূর্ত আমার খুব অস্থিরতায় কাটে। তারা যদি রাজী হয় হয়, তাহলে আমি আরো বেশি দূরে যেতে পারবো। জানি না, নিঃসঙ্গতার সূচকের উল্লম্ফন নাকি দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে ঘর খুঁজে নেবার স্বস্তি, কোনটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

-না ভাই, তিন হাজার টাকা বেশি হয়া যায়। আপনে রাস্তা মাপেন।

রাস্তা মাপা বিষয়ক যথেষ্ঠ প্রকৌশল জ্ঞান এবং যন্ত্রাদি না থাকলেও আমার কাছে জবাবটি একটা দ্বিধ্বাগ্রস্থ জটিল সময়ের সমাধান হিসেবেই নির্ণিত হয়।

কিন্তু এত সহজেই কি সমাধান হয়?

এত সহজেই কী পাওয়া যায় ঘর?

অথবা,

এত সহজেই কী হারানোর পথ খুঁজে পাওয়া যায়?

পাখিশিকারীরা ওৎ পেতে রয়েছে। দরাদরিতে হেরে যাবার পর যখন আমি বিজয়ীর আনন্দ নিয়ে পার হয়ে যাচ্ছি সে এলাকা, তখনই একজন আমাকে মনোনীত করে মননশীল ক্রেতা হিসেবে।

-দোকান কেবলি খুললাম। বউনির সময় কচলাকচলি করুম না। চার হাজার টেকা দিমু নি। পাখিগুলা দেন।

পাখিরা প্রবল বেগে ডানা ঝাপটায়। ভোর হতে আর বেশি বাকি নেই। ট্রেনের হুইসেল শোনা যাচ্ছে। হয়তোবা এখনও অনেক দূরে। তবে আমি তো জানি, এই মোড়টা পার হলেই রেলস্টেশন। ট্রেনের জন্যে অপেক্ষা করার সময় পাখিরা থাকবে কী না, ঘর বাঁধার কৌশল শিখাবে কী না, তাদেরকে আমি বিকিয়ে দেবো কী না, তারা আমার আদৌ আপনজন কী না, অজস্র প্রশ্ন মাথায় ঘুরতে থাকে।

-আরে ভাইগ্না, তুমি!

চার হাজার টাকা দর হেঁকে বসা দোকানদার পূর্ব পরিচয়ের সুত্রে হৃদ্যতা দেখায়। আমার অবশ্য মনে পড়ে না তার কথা, আমার মনে পড়ে না আমি কবে শেষ এরকম আন্তরিক সম্ভাষণ শুনেছি। আমার মনে নেই এরকম নিকটাত্মীয় কে কবে ছিলো। আমার মনে নেই কাছের মানুষের মধ্যে কতজন পাখি হন্তারক ছিলো। কিন্তু যুক্তিবিদ্যায় পারঙ্গম আমি স্মৃতিভ্রংশের কবলে পড়া সাবেক আত্মীয়তা এবং বর্তমান সাদর সম্বোধনকে পাখিবিষয়ক লেনদেনের চেয়ে গুরুত্ব দিয়ে প্রশ্ন করি,

-কেমন আছেন!

যদিও আর ঘন্টাখানেক পরেই আমাকে ট্রেন ধরতে হবে, যদিও দর কষাকষি এবং আপ্যায়ন যুগপৎ বহাল রেখে পরস্পরের হাল হকিকত জানতে গেলে ট্রেন ধরা কষ্টকর হয়ে যাবে, তবুও ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা করতেই হয়!

-আরে চুপ কেলা? বেচন কেননের চিন্তা বাদ দাও। এতদিন পর আইলা এক কাপ চা তো খাইয়া যাও, মাল বেচো বা না বেচো!

চড়ুই পাখিদের মাল বলে অভিহিত করায় তারা ডানা ঝাপটিয়ে প্রবল প্রতিবাদ জানায়। তারা আমার কাঁধে মৃদু ঠোকর দিয়ে আকুতি করে, কিন্তু আত্মীয়তার মোড়কে ঢাকা নৃশংস দর কষাকষির দমকায় ছিটকে পড়ে যায় দোকানের খালি খাঁচাগুলোর কাছে।



অন্য খাঁচাগুলোতে চড়ুই পাখির মত নিরীহ কোন পাখি ছিলো না। ছিলো ধারালো নখের চিল, ছিলো উদ্ধত গ্রীবার ঈগল। আমার চড়ুইগুলো ভয় পায়। কিন্তু তারা উড়ে যাবার কোন চেষ্টা করে না!



ভালোই হল এক দিক দিয়ে! কষ্টেসৃষ্টে উদ্ধারকৃত সময়ের মধ্যবিন্দুতে বসে আমরা অতীতচাড়ণার সুযোগ পাই।

-আপনি এই ব্যবসা ধরলেন কবে থিকা? আর আমার পাখিগুলা নিতে চাইতেসেন কোন আক্বেলে? আপনার এইখানে তো দেখি সব ঠোক্কর মারা হিংস্র পাখি। এরা কী ট্রেনের ঠিকানা জানে? আর এদেরকে ভোরের ট্রেনে লৈতে পারবেন? এ্যালাউ করব? কোনরকমে ট্রেনে নিতে পারলেও তো সমস্যা। টিকেট চেকাররে ঠোকরাইয়া ফালাফালা কৈরা ফালাইবো।

-ধীরে বৎস! তুমি কি ভাবসো যে আমি এরকম শান্ত নীরিহ পক্ষী নেয়ার টেরাই করিনাই? যারা ঘুলঘুলিতে ঘর বানবো, যারা ঠোক্ক্বর মারবো না। যারা সুমিষ্ট স্বরে গান গাইয়া ভোরের তন্দ্রা ভাঙাইবো? যারা পোকামাকড় খাইয়াই সন্তুষ্ট থাকবো, যাগোরে পোকামাকড় খাইবো না, যাগো একটা ঘর থাকবো; যতই ছোড হোক, আমারে মাঝে মধ্যে নিমন্ত্রণ করতে পারবো, আমি নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে পারুম কী না সেইডা পরের ব্যাপার। কিন্তু কেউ কি ডাকবো আমারে! যেমুন তোমার চড়ুইরা তোমারে ডাকসে?

-আপনি খালি পক্ষীগোরের কথা কইতাসেন কেন? আর কেউ নাই আপনারে নিমন্ত্রণ করার?

-তোমার কী কেউ আছে?

-না নাই।

কথোপকথনের মধ্যে দূর থেকে ট্রেনের হুইসেল শোনা যায়। আমি ব্যস্ততা দেখাই,

-আজাইরা প্যাচাল করার টাইম নাই। আমারে এক্ষণ যাইতে হৈবো। ট্রেন আইসা পড়ছে।

-ভোরের ট্রেন?

-হ

-হাহাহা! এরম কত দেখলাম! ভোরের ট্রেইন কুয়াশার পর্দা ভেদ কইরা কখনও যাইতে পারে না। সেই আধো আলো ছায়ায় পইড়া থাকে। যায়োনা, থাকো।

- নাহ! আমি যামুই!

-মুরুব্বীর কথা শুনলা না তো! ঠিকাছে আমিও যাইতাছি তোমার লগে। টাইম আর কত বাকি?

-আধা ঘন্টা।

-তয় একটা নিয়ম তো জানোই, তোমার লগে পূর্ব সুখী জীবনের স্মারক হিসাবে দুইটা সুখী পাখি লইয়া যাইতে হইবো। তাইলে টিকেট না হইলেও চলবো। চড়ুইগুলারে কান্ধে লও আবার।

আমরা এখন হেঁটে চলেছি রেইলস্টেশনের দিকে। আমার দু কাঁধে দুইটা

চড়ুই। আমার সহযাত্রী হার্দিক অনাত্মীয় বা তুখোড় ব্যবসায়ী আত্মীয়ও সাথে দুটো পাখি নিয়েছে। সেও ভোরের ট্রেনে উঠতে চায়। পাখিগুলোর নাম আমি জানি না, যারা ঘর বাঁধতে পারে কী না আমি জানি না, ঘর বাঁধার প্রশিক্ষণ দেয় কী না জানি না, তবে ঠোকনকার্যে তারা অতীব পারদর্শী। কিছুক্ষণ পরপর আমার সহযাত্রীর প্রাণপনে চেপে রাখা ব্যথাতুর ধ্বণিতে যা সুস্পষ্ট! আর আমার চড়ুই পাখিরাও উশখুশ করছে,

-কোথায় তোমাকে ঘর বাঁধার নিয়মকানুন শিখিয়ে ঘুমোতে যাবো, তা না, আজকে সারারাত জেগে তোমার পথপ্রদর্শক হতে হল!

-আরেকটু অপেক্ষা কর প্লিজ! আমিও তো সারারাত জেগে ছিলাম শুধু তোমাদের জন্যেই। তোমরা আমাকে পথ চিনিয়ে দিবে, দীর্ঘ যাত্রার ক্লান্তি উপশম করবে, এই তো আর কিছুক্ষণ! ট্রেন এসে যাবে!



-তোমার কি ক্ষিধা লাগসে?

আমার আত্মীয় অথবা অনাত্মীয় অথবা সহচর অথবা সহযাত্রী আমাকে সুধোয়।

-হ্যাঁ তা কিছুটা লেগেছে। তবে ট্রেন চলে আসলে ফার্স্ট ক্লাশ কেবিনে বসে ইচ্ছেমত মুরগীর রান সাঁটিয়ে নিতে পারবো।

-তুমি কি নিশ্চিত যে ট্রেন ঠিক সময়মতন আইবো?

নাহ আমি নিশ্চিত না। দ্বিধাণ্বিত। তাই আমার জবাব দিতে সময় প্রয়োজন হয়।

-তোমার মনে আছে, যেদিন তোমার মায়েরে ট্রেনে কৈরা দুর পশ্চিমের পথে নিয়া যাবার কথা আছিলো উন্নত চিকিৎসার্থে?

-প্লিজ আর বইলেননা এইসব!

-কেন! কেন কমু না? দু কাঁধে দুই চড়ুই নিয়া নিজেরে খুব আশাবাদী ভাবতাছো? তাদের মেলোডিতে নিজেরে সমর্পণ কইরা উন্নত জীবনের পণ করতাছো?

-স্টপ ইট!

-হোয়াই শুড আই! তোমার বাবার যখন ওপেন হার্ট সার্জারি হইল, তোমার বোন যখন এ্যবোরশোন এর যন্ত্রণা সইতে না পাইরা এক পাতা ই-পাম খাইলো, সেগুলো অস্বীকার করতে পারো? তখন কোথায় ছিলো তোমার সুশ্রাব্য পাখিদ্বয়? এই দেখো না তারা এখন তোমার আস্তিনের তলায় মুখ লুকাইতাছে।



ট্রেন আসার সময় হয়ে এসেছে। ঠিক এসময় আমার চড়ুই দম্পতির আমাকে জাগিয়ে দেবার কথা ছিলো কিচিরমিচির রবে। কিন্তু আমি সংবিত ফিরে পাই এ্যালার্ম ক্লকের কর্কশ আর চড়ুই দম্পতির সান্দ্র ব্যথাতুর চিৎকারের যুগপৎ শব্দে।



এখন আমি কোনটাকে বেশি গুরুত্ব দিবো?



ট্রেনের ড্রাইভারের কাছে গেলে সে বলল যে ট্রেন আরো আধাঘন্টা দেরীতে ছাড়বে। মুফতে পাওয়া এই সময়টাকে সোল্লাসে বরণ করে নিয়ে আমার সহযাত্রী আত্মীয় প্রস্তাব দেয় ভালো কিছু খেয়ে নিয়ে সারাদিনের জন্য শক্তি সঞ্চয় করে নিতে।

-চলো, কোন একটা ভালো রেস্টুরেন্টে যায়া ব্রেক্ফার্স্ট সাইরা নেই।

-কিন্তু টাকা নাই যে আমার!

-আরে চলো না! ব্যবস্থা একটা কইরা দিমু নে।



একটা মোটামুটি চলনসই রেস্টুরেন্ট পাওয়া গেলো যেটাতে কেবল আলো জ্বালাচ্ছে, উনুন এখনও প্রস্তুত হয়নি, পাচক কেবলামত্র হাই তুলে প্রাতঃরাশ সারছে। আমাদের দেখে সে খুশি তো হলই না, উল্টো বিরক্তমাখা কন্ঠে জানালো যে আপাতত গতরাতের বাসি হয়ে যাওয়া তেহারী ছাড়া আর কিছুই পাওয়া যাবে না। ইচ্ছে হলে আমরা খেতে পারি, কিন্তু দুর্গন্ধজনিত কোন অভিযোগ করতে পারবো না। ব্যাপারটা আমাকে দোনোমনায় ফেলে দিলেও আমার সঙ্গী উৎসাহ যোগায়,

'আরে মাম্মা, থোউ ঐসব তেহারি ফেহারি, তোমগো লিগা জটিল জিনিস লৈয়া আনছি। চটপট রান্না কইরা দিবা।'

আমার ভয় হয়, সে কীসের ইঙ্গিত করছে? আমার কাঁধের দুটো চড়ুই পাখি? তাদের মাংসের ফ্রাই? তাদের ডানা দিয়ে তৈরী সুস্বাদু এ্যাপাটাইজার?

-আরে ভয় পাও ক্যান ভাইগ্না! আমার কান্ধের দুইডারেও দিয়া দিমু। তেহারি, নেহারি, মগজের ভুনা যেইডা চাও পাইবা!

-ডাবল বিল লাগবো।

নিস্পৃহ কন্ঠে জানায় মেসিয়ার। আমাদের রাজি না হয়ে উপায় ছিলো না। ট্রেন আসতে খুব বেশি সময় বাকি নেই। যেতে হবে বহুদূর। খালি পেটে এতটা সময় কাটালে পাকস্থলীর অম্লীয় পদার্থগুলো জেঁকে বসতে পারে। অভুক্ত অবস্থায় আলসারের ব্যথায় কোঁকাতে কোঁকাতে ভ্রমণ করাটা নিশ্চয়ই সাচ্ছ্যন্দময় হবে না!



চড়ুই পাখির মগজ এত সুস্বাদু, আমার জানা ছিলো না। তাদের টুইটকারের চেয়েও মিষ্টি! আমার মন, মগজ এবং পাকস্থলীতে নাস্তার অধিগ্রহণ চলতে থাকে স্বৈরাচারী প্রক্রিয়ায়।



আমি ভুলে যাই কিচিরমিচির।

আমি ভুলে যাই টুইটকার।

আমি ভুলে যাই রাত্রি অভিযানের উদ্দেশ্য।

শুধু মনে থাকে কিছু সুস্বাদু আমিষভোজ। ট্রেন এখনও আসতে কত দেরী আমি জানি না। তাতে কিছু এসেই যায় না। আমার পাকস্থলীর সন্তুষ্টির কাছে পরাজয়বরণ করে রেস্টুরেন্টে ইতস্তত পড়ে থাকা চড়ুই পাখির পালক এবং ডানা।



রক্তাক্ত!



-ট্রেন আয়া পড়ছে যাইবা না?

-কোথায়?

-যেইখানে যাওয়ার কথা সেইখানে। আমারে জিগাও ক্যান? তোমার মালসামালা কই?



অনিদ্রাজনিত ক্লান্তিতে আমি এসব ধারাবাহিক প্রশ্নোত্তরের মুখোমুখি হয়ে অপ্রতিভ বোধ করায় ব্যাগ গুছাতে সচেষ্ট হই। কিন্তু কী নেব! চড়ুই পাখির রক্তাক্ত ডানা, বিস্রস্ত পালক আর গলিত চক্ষু ছাড়া আর কিছুই খুঁজে পাই না।



তারপরেও আমাকে যেতে হবে। খুঁজে নিতে হবে দ্রষ্টব্য প্লাটফর্ম। আমার পুরোনো এ্যালবাম এবং ডায়েরি কোথায় কোন ফাঁকে ছিনতাইকারী অথবা তথাকথিত শুভাকাঙ্খী আত্মীয় ছিনিয়ে নিয়েছে কে জানে! তবে চড়ুই দম্পতির মৃত পালকগুলো থাকলেও চলবে। রক্তের দাগ মুছে নিলেই হল।



একটা সস্তা রুমাল কেনার টাকা আমার কাছে আছে।



আর খুব অল্প সময় বাকি। আমি ব্যাগের ভেতর যথাসম্ভব চড়ুই দম্পতির ডানা এবং পালক সংগ্রহ করতে থাকি। তারপর দৌড় দেই শেষ ট্রেনটি ধরার জন্যে।



আমার অনেক তাড়া। কিন্তু আমার কোনো তারা নেই! কোন ইচ্ছাপূরণকারী তারা আমার আশেপাশে খসে পড়ে না। চড়ুইয়ের গলিত চোখগুলো ব্যাগে নেই নি। এখন এই অলিম্পিকের স্প্রিন্টসুলভ দৌড়ে ব্যাগে সঞ্চিত ডানা এবং পালকগুলো উড়ে না গেলেই হয়!



ট্রেন এসে গেছে। আমি প্রাণপনে দোড়ুচ্ছি। জয় পরাজয়ের হিসেব করে লাভ নেই আমি জানি। ব্যাগটা হস্তগত থাকলেই হয়! তাহলে এই অবসন্ন সকালে সবাইকে অন্তত গুডমর্নিং বলতে পারি!



গুড মর্নিং মাই ফ্রেন্ডস!



ট্রেনে আসন গ্রহণ করার পরে আড়মোড়া ভাঙা আকাশের বুকে আমি অদ্ভুত একটা নতুন তারা দেখতে পাই। চড়ুইয়ের গলিত চোখ ওখানে পৌঁছে পৃথিবী এবং সৌরজগতের যাবতীয় নিয়ম অগ্রাহ্য করে ঔজ্জল্যবিহীন নিস্প্রভ রঙহীন তারা হয়ে তাকিয়ে আছে আমার দিকে। তবে খানিক বাদেই আমার ব্যাগের রক্তাক্ত পালকগুলো থেকে প্রবল বাতাসের ফলে সুন্দর সমান্তরাল গতিতে ঐ তারাটির দিকে রক্ত প্রবাহিত হতে থাকে তাকে রঙময় করার জন্যে।



যাক,রক্ত মোছার জন্যে এখন আমাকে আর কোন রুমাল কিনতে হবে না। টিকেটচেকার আমার কাছে টিকেট চাইতে এলে আমি বখশিশ হিসেবে তাকে নিকষিত পালকগুলো দিয়ে দিই। এখন আর দরকার নেই ওগুলো আমার। আমাকে পর্যবেক্ষণকারী রক্তাভ মায়াতারাটা সাথে থাকলেই হল। হোক না অনেক দূরে, সেই কোন অন্তরীক্ষে! টিকেটচেকার খুশি হয়ে আমাকে বলে,

"গুড মর্নিং স্যার! হ্যাভ আ নাইস জার্নি!"

আর আমার হঠাৎ করে একটা গানের কলি মনে পড়ে সেই সময়ে,

"ঘর, ফেরা হয়নি আমার ঘর

চেনা হয়নি আমার ঘর

জানা হয়নি মনের মানুষটাকে..."











মন্তব্য ১৭২ টি রেটিং +৪৪/-০

মন্তব্য (১৭২) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ৭:৩৪

শামীম শরীফ সুষম বলেছেন: গুড মর্নিং প্রিয় হাসান মাহবুব ভাই

পালকগুলো উড়ে না গেলেই হয়..........

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ৭:৪৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: গুড মর্নিং সুষম! আমারও সে প্রত্যাশা! ভালো থাকুন।

২| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ৮:৩৬

ত্রাতুল বলেছেন: গুড মর্নিং!
চড়ুইগুলোর জন্য কষ্ট লাগছে। ঘরবাঁধা আর শেখা হল না। ট্রেন বদলে যাচ্ছে একের পর এক। একটু দাঁড়াবার ফুরসত্‍ নেই। নির্বিকার স্বপ্নহন্তারক আমার চোখে ডানা ঝাপটানোর কোন বিশেষ অর্থ নেই। পালকগুলো খুলে খুলে উড়ে গেলেও খুব বেশি কিছু এসে যায় না। উড়ে যাওয়াটা কতটা শৈল্পিক হল শুধু এই চিন্তাটুকু হয়তো মাথায় খেলে যাবে একবার। নৈরাশ্যের রাজত্বে চড়ুইয়ের চোখের জ্বলে সান্দ্রতা দেখার ইচ্ছেটুকু মরে গেছে দূরাগত ট্রেনের হুইসেলের শব্দে।

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ৮:৪২

হাসান মাহবুব বলেছেন: চড়ুইরাতো আমাদের অপটিমিস্ট অংশের ব্রাত্য অংশ বই কিছু না! চড়ুইদের কথা ভুলে যাও। ট্রেন ধর। যেতে হবে অনেক দূর। হুইসলের শব্দ শোনা যায়!

৩| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ৮:৫০

ছাইরাছ হেলাল বলেছেন:

যাক পড়লাম মন দিয়ে।
এবারে একটু বুঝতে পারছি বলে মনে হচ্ছে।
বুঝিয়ে বলছি না।

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ৯:১১

হাসান মাহবুব বলেছেন: পড়েছেন, এটাই অনেক! ধন্যবাদ। গুড মর্নিং!

৪| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ৯:২১

ফয়সাল তূর্য বলেছেন: ৬ষ্ঠ ভাল লাগা!!

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ৯:২২

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ!

৫| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ৯:৫২

রেজওয়ান তানিম বলেছেন: শুভ সকাল হাসান ভাই ।

আরেকটি মুগ্ধ পাঠ । গল্পের বিষয়কে আপনার মতন করে প্রেজেন্টেশনে আপনার অবিশ্বাস্য ক্ষমতা আমাকে সত্যি হতবাক করে দেয় ।

গত দশ মাসেও এই মুগ্ধতার সাগর থেকে বের হতে পারি নি ।

আশা রাখি আরো অনেক দিন এমনটা হবে ।

আপনি কি আজ আসছেন ??

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ১০:৪৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভ সকাল তানিম।

আমি গত ৪০ ঘন্টা ধরে জেগে আছি। হঠাৎ স্লিপ এ্যাটাক না হলে আসবো নিশ্চয়ই!

জীবন বড্ড ক্লান্তিকর!

৬| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ১০:৫৩

রেজওয়ান তানিম বলেছেন: আয় হায় কয় কি ?? সারারাত ভরে লিখেছেন সে বেশ বুঝেছি ।

আমি কিন্তু আপনার অটোগ্রাফ নেবার প্লান করে বসে আছি ।

ফাকি দিলে চলবে না । আসতেই হবে ;) ;)

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ১০:৫৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: হাহা! আমার অটোগ্রাফ! সেটা দেবার যোগ্য হয়ে নিই আগে, তবেই কেবল!

৭| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ১০:৫৭

অণুজীব বলেছেন: ৭ম ভালো লাগা। :)

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:০১

হাসান মাহবুব বলেছেন: লাকি মি!

৮| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:১১

জিসান শা ইকরাম বলেছেন:
ছবিটা খুব সুন্দর। লেখা নিয়ে মন্তব্য পড়ে দেব।
++

শুভ সকাল প্রিয় ব্লগার :)


মন ভালো না আমার।

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:১৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: মন ভালো না থাকাই স্বাভাবিক। যা চল্তাছে ইদানীং!

শুভ সকাল!

৯| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:৪৮

অধরা নীল বলেছেন: শুভ সকাল হাসান ভাই।

আবারো মুগ্ধ হয়ে পড়া শেষ করলাম। বরাবরের মতই অসাধারন। যদিও আমার মত সাধারনের বুঝতে একটু কষ্টই হয়।

গল্পে ভাল লাগা রইল। ভাল থাকবেন..........

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:০৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভ সকাল অধরা নীল। আপনিও ভালো থাকবেন!

১০| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:০১

অর্ক হাসনাত কুয়েটিয়ান বলেছেন: এইডা ইক্টু বেশি কঠিন হইসে

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:০৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: মোটেও না! খুবই সিম্পল এক্টা গল্প /:)

১১| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:১৫

Alien4mTheEarth বলেছেন: একলা বিছানায় ঘুমের জন্যে প্রাণান্তকর চেষ্টা করে ঘন্টা দুয়েকের স্বপ্নহীন অথবা দুঃস্বপ্নময় ঘুমের চেয়ে চড়ুইদের সাথে রাত্রিযাপন অথবা শহর পরিভ্রমণ শ্রেয়তর।


শেষ পর্যন্ত কিছুই হয়ে উঠে না। শুধুই জীবন নামক ট্রেন ধরতে অনেক কিছুকেই পায়ে ঠেলে স্বপ্ন মাড়িয়ে যেতে হয়!

অসম্ভবরকম মুগদ্ধত।

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:২৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: স্বাগতম আমার ব্লগে। হ্যাপি ব্লগিং!

১২| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:১৫

Alien4mTheEarth বলেছেন: মুগদ্ধত = মুগ্দ্ধতা !

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:২৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: বুঝতে পেরেছি। ব্যাপার্না! (মুগ্ধতা হবে শব্দটা)

১৩| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:২৬

নাআমি বলেছেন: "চড়ুই পাখিরা নিদ্রামগ্ন ছিলো, কিন্তু তারা নেমে এল" ওরা কত ভাল,নিজের ঘুম বাদ দিয়ে উপকার করতে চাইল একজন নির্ঘুম মানুষের আর সে মানুষটা কিনা তাদের এরকম পরিনতি করল !! এখানেই পার্থক্য মানুষের সাথে তাদের .....আর চড়ুই ছাড়া কি এই মানুষটা তার গন্তব্য খুঁজে পাবে, যে কিনা পথ খোঁজা থেকে ঘর বাঁধা পর্যন্ত তাদের সাহায্য চায় ? এমনকি সেগুলোর মৃত পালকগুলো তার দ্রষ্টব্য প্লাটফর্ম খুঁজে দিতে সাহায্য করছে.......... :!>



"কিন্তু আমি সংবিত ফিরে পাই এ্যলার্ম ক্লকের কর্কশ আর চড়ুই দম্পতির সান্দ্র মরণ চিৎকারের যুগপৎ শব্দে".....এ্যালার্ম অন করা, তার মানে কি পুরা ঘটনা স্বপ্ন কিন্তু আমার তা মনে হয়না, কারন ঘুমহীন রাত জাগা ঘটনা এটা !!

আমার তো মনে হয় না সকালটা " গুড মর্নিং " বলার মত, সারারাত যা হোল, যেভাবে কাটল, তাতে মর্নিং তো ব্যাড......... :( .

নিজের স্বার্থের জন্য মানুষ কিই না করে !!

জানিনা, কি বুঝে কি লিখলাম.....ভুল লিখে থাকলে কিছু মনে করবেননা.....চড়ুই ২ টার জন্য খুব মায়া হচ্ছে আর তার হন্তাকারকের প্রতি রাগ........ X(

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:৩৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: মানুষ তো কম বেশি এমনই, তাই না! বন্ধুর উপচিকীর্ষাকে উদরস্থ করে,স্মৃতির ঢেকুড় তুলে মিশে যায় ভীড়ে আবার। ভোরের ট্রেন, ভোরের স্নিগ্ধতা সবসময় অধরাই থেকে যায়। বেঁচে থাকার ইদুর দৌড়ে পদদলিত হয় চড়ুই পাখিরা। আর এসব কিছুর পর আমাদের তেলতেলে হাসি হেসে বলতে হয়, গুড মর্নিং!

"ঘর, ফেরা হয়নি আমার ঘর
চেনা হয়নি আমার ঘর
জানা হয়নি মনের মানুষটাকে"
-অঞ্জন দত্ত।

১৪| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:২৭

Alien4mTheEarth বলেছেন: মুগ্ধতা ..

বানান ভুলের অভ্যাস আর গেলো না B-))

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:৩৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: এইবার আর বানান ভুল হয়নাই!

১৫| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:৩৪

মিথী_মারজান বলেছেন: গল্পটা খুব সুন্দর।অনেক ভাল লাগলো।

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:৩৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মিথী। ভালো থাকবেন।

১৬| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:৩৭

নির্লিপ্ত দৃষ্টি বলেছেন: ১৩তম ভাল লাগা, অসাধারণ... মুগ্ধ হলাম।

আপনার কি কোন বই প্রকাশিত হয়েছে?

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:৪৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ পড়ার জন্যে।

না, হয়নাই। অচিরেই হবে সেই সম্ভাবনাও নাই।

১৭| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:৪১

নাবিক হ্যাডক বলেছেন: মানুষ কী শেকড়ে ফিরতে চায় কখনো কখনো...হোম সুইট হোম...অতৃপ্ত চড়ুই...

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:৪৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: ইউ গট ইট ব্রো!

১৮| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:৪২

নাবিক হ্যাডক বলেছেন: তারপরেও আমাকে যেতে হবে। খুঁজে নিতে হবে দ্রষ্টব্য প্লাটফর্ম। আমার পুরোনো এ্যালবাম এবং ডায়েরি কোথায় কোন ফাঁকে ছিনতাইকারী অথবা তথাকথিত শুভাকাঙ্খী আত্মীয় ছিনিয়ে নিয়েছে কে জানে! তবে চড়ুই দম্পতির মৃত পালকগুলো থাকলেও চলবে।

আর খুব অল্প সময় বাকি। আমি ব্যাগের ভেতর যথাসম্ভব চড়ুই দম্পতির ডানা এবং পালক সংগ্রহ করতে থাকি। তারপর দৌড় দেই শেষ ট্রেনটি ধরার জন্যে।

আমার অনেক তাড়া। কিন্তু আমার কোনো তারা নেই! কোন ইচ্ছাপূরণকারী তারা আমার ওপর খসে পড়ে না। এখন এই অলিম্পিয়াড স্প্রিন্টসুলভ দৌড়ে ব্যাগে সঞ্চিত ডানা এবং পালকগুলো উড়ে না গেলেই হয়!

ট্রেন এসে গেছে। আমি প্রাণপনে দোড়ুচ্ছি। জয় পরাজয়ের হিসেব করে লাভ নেই আমি জানি। ব্যাগটা হস্তগত থাকলেই হয়! তাহলে এই অবসন্ন সকালে সবাইকে অন্তত গুডমর্নিং বলতে পারি!


গুড মর্নিং মাই ফ্রেন্ডস!


অসামান্য!!!!

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:৪৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: থেংকু!

১৯| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:৫৪

নাআমি বলেছেন: আর এসব কিছুর পর আমাদের তেলতেলে হাসি হেসে বলতে হয়, গুড মর্নিং......, হুমম, এটা ঠিক, আমিও তাই ভাবছিলাম, অনেক সময় আমাদের করতে হয় এমনটি........

"কিন্তু আমি সংবিত ফিরে পাই এ্যলার্ম ক্লকের কর্কশ"---এ্যালার্ম কেন দিয়েছিলেন যদি নাই ঘুমালেন, এটা ক্লিয়ার না......

তবে সব মিলে গল্পটা আমার অসাধারন লাগল ! কি কঠিন বাস্তব !!!

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:১৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: আমরা প্রত্যেকেই পকেটে একটা অদৃশ্য এ্যালার্ম ক্লক বহন করে চলি, আর চাবি দেয়া পুতুলের মত আচরণ করি। এটাই আর কী!

আবারও অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

২০| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:০৩

নির্লিপ্ত দৃষ্টি বলেছেন: না, হয়নাই। অচিরেই হবে সেই সম্ভাবনাও নাই।

আপনার বেশ কিছু লেখা পড়েছি, আপনার লেখাগুলো পড়ে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছি... কি অসাধারণ লেখার স্টাইল... এই চমৎকার লেখাগুলো বই আকারে প্রকাশিত না হয়ে ব্লগে পরে আছে দেখে হতাশ হলাম...

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:২০

হাসান মাহবুব বলেছেন: একদিন হয়তোবা হবে। সময় তো শেষ হয়ে যায়নাই! আমার লেখা বিষয়ক আপনার আন্তরিক সদিচ্ছা উৎসাহ জোগালো। ভালো থাকবেন!

২১| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:১০

সুপান্থ সুরাহী বলেছেন:
বেশ আগে আসলাম!
বাট কমেন্ট করতে পারলামনা...

আমাকে এখনই যেতে হচ্ছে শহরের বাইরে...
আজ আর ফিরতে পারনা...

কাল এসে বলব কেমন লাগল...
ততক্ষণ শুভকামনা চাই...

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:২২

হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভকামনা! ভ্রমণ নিরাপদ এবং সুন্দর হোক!

২২| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:২৮

সানজিদা হোসেন বলেছেন: মনটা এমনিতেই খারাপ।আরো খারাপ করে দিলেন।

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:৪০

হাসান মাহবুব বলেছেন: ওহ স্যরি! মন ভালো হয়ে যাক। একটা মন ভালো করা ছন্দকবিতা লিখে ফেলেন!

২৩| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:৪৪

প্লিওসিন অথবা গ্লসিয়ার বলেছেন: "ঘর, ফেরা হয়নি আমার ঘর
চেনা হয়নি আমার ঘর
জানা হয়নি মনের মানুষটাকে

আবারও মুগ্ধ!

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:৫৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: হ, অঞ্জন দত্ত খুব ভালা গান গায়।

২৪| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:০৪

জুন বলেছেন: আমাদের দেশে একটা কথা প্রচলিত আছে, ' উপকারী কে বাঘে খায়'।
চড়ুই দুটোর সেই অবস্থা। গল্পটি একবার পড়েই বুঝলাম। নিজের বুদ্ধি বাড়লো না গল্পটা সোজা সেটাই ভাবছি :||

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:১০

হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনাকে অভিনন্দন!

২৫| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:১৫

অর্ক হাসনাত কুয়েটিয়ান বলেছেন: হ সিম্পল :-P , কইসে আপ্নারে, পড়সেন আপনি X( X( X( ? হুদা তো লেইখাই খালাস =p~
কইসি কঠিন ব্যাস কঠিন। ফিরাইতাম্না X((

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:১৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: ২৪ নং কমেন্ট দ্রষ্টব্য B-) B-))

২৬| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:১৯

অর্ক হাসনাত কুয়েটিয়ান বলেছেন: জুনাপারে মাইনাস।

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৩১

হাসান মাহবুব বলেছেন: হ, বেশি বুঝা আসলেই ভালু না /:)

২৭| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৩৭

আলিম আল রাজি বলেছেন: ঠিক না। এভাবে মন খারাপ করে দিলেন!


অনেকের সাথে কন্ঠ মিলাই আমিও "আপনার বই চাই"

লেখা সম্পর্কে আর কি বলবো! এক কথায় "হাসান মাহবুবীয়"

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৪৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: মন ভালো করার গল্প এখন আর ঝুলিতে নাই যে, কী করব!

আমার বই! 8-|

২৮| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:১৯

আরিশ ময়ুখ বলেছেন: লেখাটা সকালেই পড়েছিলাম মোবাইল দিয়ে। এখন আবার পড়লাম। সকালে ভোরের ট্রেন ধরার তাড়া ছিল, এখন আছে রাতের ট্রেন। যেই ট্রেন-ই হোক আমরা আসলে নিয়তিবন্দী। গল্প তো ভালো লেগেছেই

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:২২

হাসান মাহবুব বলেছেন: ট্রেনে উঠি সবাই, কিন্তু চড়ুইসঙ্গীদের ধরে রাখতে পারে কয়জনা? কয়জন পারে গন্তব্যে পৌঁছুতে!

শুভসন্ধ্যা রিশাদ!

২৯| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৮:৩৮

দূর্যোধন বলেছেন: শুভ সন্ধ্যা হামা ভাই!! বারবার মুগ্ধতার কথা কইতে পারুম না :#) :#)

০১ লা অক্টোবর, ২০১১ রাত ১২:৪১

হাসান মাহবুব বলেছেন: তাইলে আর লেখুমি না! /:)

৩০| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৯:০৩

ইশতিয়াক আহমেদ চয়ন বলেছেন: গত দুই রাত ঘুম হয়নি, এমনকি দিনেও না !! আজ সারাদিন মরার মত ঘুমালাম :)

ছোটবেলায় আমাদের বাসার ভেন্টিলেটরে চড়ুই পাখির বাসা ছিল। আম্মু সব সময় বলত পাখির বাসা নষ্ট না করতে, এতে পাপ হবে। কতবার যে পাখির বাসা থেকে না উড়তে পারা বাচ্চা পাখি পড়ে যেত কিন্তু আম্মু সেগুলো আবার বাসায় তুলে দিত আর বলত জেনেশুনে কারও ক্ষতি করতে নেই। একবার আমাদের বাসার কাজের মেয়ে চড়ুই পাখি রান্না করে খেতে চেয়েছিল বলে আম্মু তাকে তাড়িয়ে দিয়েছিল। মনে পড়ে গেল সেই দিন গুলো। আজ আমার বাসায় কোন ভেন্টিলেটর নেই, নেই কোন চড়ুই পাখির বাসা।

জীবনে ট্রেনে উঠেছই খুব কম। তবে বাসে উঠেছি অনেক। ভোরের বাস কখনও মিস করিনি। জানি ভবিষ্যতে কি হবে তবে মিস করতে চাই না সত্য !!

কি বলব !! শুভ রাত ?? গল্পে প্লাস !!

০১ লা অক্টোবর, ২০১১ রাত ১২:৪৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনার স্মৃতিকথা পড়তে চমৎকার লাগলো। আরেকটু বাড়িয়ে পোস্ট করে ফেলুন না!

গল্প পড়ার জন্যে অনেক ধন্যবাদ। শুভরাত!

৩১| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১১:৩২

মাহমুদা সোনিয়া বলেছেন: আমার মতো ক্ষুদ্র আপনার কি প্রশংসা করবে?? একথায় অসাধারণচি।আপনার লেখার মতো, এই সব ছোট ছোট অনুভূতির জোরেই হয়তো বেঁচে আছি। অনেক ভালোলাগা , মুগ্ধতা রইল হামা ভাই।

০১ লা অক্টোবর, ২০১১ রাত ১২:৪৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: এভাবে বলে আমাকে বিব্রত করবেন না সোনিয়া। আপনারা পড়েন বলেই টুকটাক লিখে ব্লগে পোস্ট করার সাহস দেখাই!

ভালো থাকবেন।

৩২| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১১:৩৬

জলমেঘ বলেছেন: অনেক ভালো লাগলো, ছবিটা বেশ!

০১ লা অক্টোবর, ২০১১ রাত ১২:৪৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ জলমেঘ। শুভরাত্রি।

৩৩| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১১:৪১

রিয়েল ডেমোন বলেছেন: পালকগুলো চাই ই চাই ।

শুভ রাত্রি হামা ভাই :)

০১ লা অক্টোবর, ২০১১ রাত ১২:৪৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: হ্যাঁ রিয়েল,পালকগুলো হারিয়ে যেতে দেয়া যাবে না।
শুভরাত্রি!

৩৪| ০১ লা অক্টোবর, ২০১১ রাত ১২:৫৩

রেজওয়ান তানিম বলেছেন: বই প্রসঙ্গে বলি,

এক জন হাসান মাহবুবের বই না পাওয়া আমাদের বাঙালী জাতির জাতীয় ব্যর্থতা ।

আমি আর কিছুই বলব না ।

আপনার বই ছাপা হয় না, ভাবলেই আমার থাবড়াইতে ইচ্ছা করে শালার প্রকাশকদের

০১ লা অক্টোবর, ২০১১ রাত ১:১১

হাসান মাহবুব বলেছেন: বই প্রসঙ্গে আর কিছু নাই বা বললেন! তবে প্রকাশকদের থাব্রানোর সদিচ্ছা পূরণ হোক :#)

৩৫| ০১ লা অক্টোবর, ২০১১ রাত ২:০০

মেমনন বলেছেন: জুন বলেছেন: আমাদের দেশে একটা কথা প্রচলিত আছে, ' উপকারী কে বাঘে খায়'।
চড়ুই দুটোর সেই অবস্থা।


আসলে কি এত সিম্পল? :||

আমার কাছে তো মনে হল চড়ুই দুটো আমাদের স্বপ্নগুলোর প্রতিক, আমাদের ঘর বাঁধার(কিংবা অন্য কোন কোমল স্বপ্ন) নিয়ম শেখাতে চায়, কিন্তু নিরুপায় আমরা হয় স্বপ্নগুলো বেচে দি নয়ত খেয়ে ফেলি প্রতিদিন সকালে অজানা ভবিষ্যতের(বা শুধু নাগরিক প্রতিযোগিতার? ) ট্রেন ধরতে। :(

ঘর বাঁধা আর হয় না, খাঁটি ব্যাচেলরিয় গল্প। B-)) B-)) :P

০১ লা অক্টোবর, ২০১১ রাত ২:০৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: জুন ওটা গল্পের সারমর্ম হিসাবে বলেনাই মে বি, প্রসঙ্গক্রমে একটা প্রবাদ মনে পড়ায় সেটা শেয়ার করেছে।

ব্যাপারটা অবশ্যই অত সিম্পল না!

গল্প বিষয়ক ভাবনা ভালো লাগলো। নিবিড় পাঠের জন্যে থ্যাংকস!

৩৬| ০১ লা অক্টোবর, ২০১১ রাত ২:৪৯

নীরব 009 বলেছেন: এমন কোন লাইন পেলাম না যেটা কোট করে বলব, এই লাইনটা খুব ভাল লেগেছে। সত্যি বলতে এমন আলাদা কোন লাইনই নেই গল্পে। পুরো গল্পকেই বলতে হচ্ছে, খুব ভাল লেগেছে। তাই ভাল লাগা রেখে গেলাম। আর শুভেচ্ছা রইলো আগামী সকালের। :)

০১ লা অক্টোবর, ২০১১ রাত ২:৫৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ অনুপ্রেরণামূলক মন্তব্যের জন্যে। আপনাকেও অনেক শুভেচ্ছা! ভালো থাকবেন।

৩৭| ০১ লা অক্টোবর, ২০১১ রাত ৩:০০

শশী হিমু বলেছেন: দুবার করে পড়লাম।


ভালো লালো অনেক। ছেলেবেলার আমাদের বাসায় ঘুলঘুলিতে চড়ুই গুলর কথা মনে পরে গেল গেলো!


অনেক ভালো লেগেছে! দোয়া করবেন আমার লিখার মান যেন আরও বাড়াতে পারি।


শুভ রাত্রি ভাইয়া! :)

০১ লা অক্টোবর, ২০১১ রাত ৩:১৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: এই লেখাতে চড়ুই একটা গুরুত্বপূর্ণ এলিমেন্ট হবার পেছনে আমার শৈশবের স্মৃতির অবদান আছে। আমাদের বাসায়ও ছিলো। মিস করি তাদেরকে।

লেখাটি পড়ার জন্যে অনেক ধন্যবাদ!

আপনার লেখা ভালো, কিন্তু অতিমাত্রায় রোমান্টিকতা অনেকটাই ফিকে করে দেয় লেখার আবেদন। থিম নিয়ে একটু ভাবুন, একটু পরিবর্তন আনুন।

শুভরাত্রি!

৩৮| ০১ লা অক্টোবর, ২০১১ রাত ৩:২১

মিরাজ is বলেছেন: ভাবছিলাম চড়ুই দুটি আপ্নারে ঘর বেধে দিয়ে উড়ে যাবে বা আপনার ঘরের অংশ হবে। মানে একটা আশাবাদের গল্প শুনতে চেয়েছিলাম,
-হোয়াই শুড আই! তোমার বাবার যখন ওপেন হার্ট সার্জারি হইল, তোমার বোন যখন এ্যবোরশোন এর যন্ত্রণা সইতে না পাইরা এক পাতা ই-পাম খাইলো, সেগুলো অস্বীকার করতে পারো? তখন কোথায় ছিলো তোমার সুশ্রাব্য পাখিদ্বয়? এই দেখো না তারা এখন তোমার আস্তিনের তলায় মুখ লুকাইতাছে।

তখন বুঝতে পারলাম নৈরাশবাদ থেকে আশাবাদের গল্প লেখা কত কঠিন। স্বপ্ন দেখাতে গেলে বাস্তব এসে করাঘাত করে বলে তুমি ক্ষুধার্ত। আগে পেট পুজো তারপর স্বপ্ন দেখা, হোকনা সেটা চড়ুইটির মত ক্ষতবিক্ষত হয়ে যাওয়া স্বপ্ন।


গল্প নিয়ে আর কিছু এখন বললাম না কারন পুরোপুরি মনোযোগ দিতে পারি নাই। কয়েকটা অংশ খুব ভালো লেগেছে কিন্তু বুঝি নাই বলে এই কথা বললাম। পরে পড়ে নিজে বুঝে নিয়ে তারপর জিগামু কি কইতে চায়ছেন।

০১ লা অক্টোবর, ২০১১ রাত ৩:৩৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: ওকে। আমি নিজেও একটু এডিট করব ভাবতেছি। দুর্বোধ্যতা কিছুটা কাটানোর চেষ্টা করব।

আর ইয়ে, চড়ুইভোজনের কোন প্ল্যান আসলে ছিলো না, কিন্তু গল্প লিখতে লিখতে ক্ষিদা পায়া গেসিলো! :p

৩৯| ০১ লা অক্টোবর, ২০১১ রাত ৩:৪৮

মিরাজ is বলেছেন: আপনার ক্ষিদা লাগছে বলে চড়ুই খাইছেন ব্যাপার্না তবে ঐটা জটিল একটা টার্ন নিছে। আমার ভালো লেগেছে ঐ টার্নটা। আশাবাদ ক্যাম্নে আস্তে আস্তে হতাশার দিকে যায়, তারপরো সেই বিক্ষত আশা নিয়ে বাঁচতে হয়।

এডিট করার দরকার কি? মুলভাব মনে হয় সবাই বুঝবে। সহজ হয়ে গেলে আপনার স্টাইল্টা লোপ পাইতে পারে :D

০১ লা অক্টোবর, ২০১১ রাত ৩:৫২

হাসান মাহবুব বলেছেন: না আমার নিজের কাছেই কিছু জিনিস গোলমেলে লাগতেসে। বিশেষ করে মূল চরিত্রের সাথে আত্মীয় দোকানদারের সংলাপগুলোয় কোনটা কে এটা নিয়ে সম্ভবত অনেকেই ধন্দে পড়ে যেতে পারে। আর দোকানদারের পাখির কথা আরেকটু বিশদ লেখার ইচ্ছা আছে।

দেখা যাক!

৪০| ০১ লা অক্টোবর, ২০১১ দুপুর ১:৫৩

বৃষ্টিবেস্ট বলেছেন: বুঝিনাই অনেক কিছুই :(

০১ লা অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৩:২৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: অল্প কিছু বুঝতে পেরেছেন এই অনেক!

৪১| ০১ লা অক্টোবর, ২০১১ দুপুর ২:১৫

শশী হিমু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার সমালোচনা ও উপদেশের জন্য! :)

০১ লা অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৩:২৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ। হ্যাপি ব্লগিং!

৪২| ০১ লা অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৩:৩৮

ইশতিয়াক আহমেদ চয়ন বলেছেন: আগের পিকটাই তো ভাল ছিল :(

অবশ্য এটাও খারাপ না :)

০১ লা অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৩:৫৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: আগের ছবিটা বেশি ডার্ক ছিলো। ঠিক বোঝা যাচ্ছিলো না জিনিসটা কী! আরেকটা লাস্ট দান দিতে পারি। দান দান তিন দান!

৪৩| ০১ লা অক্টোবর, ২০১১ রাত ৮:২৭

শূণ্য উপত্যকা বলেছেন: আচ্ছা ট্রেন ধরে কি হয় বা হবে? বসে পড়লে হয় না একটি স্টেশনে। তারপর অনন্তহীন অপেক্ষা!

হুম তবে পালকগুলো চাইই..

০১ লা অক্টোবর, ২০১১ রাত ১০:০৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: সব ট্রেন না, ভোরের ট্রেনে চড়তে হবে চড়ুইসঙ্গী সহ, আর পালকগুলো রক্তাক্ত হলে চলবে না। অনেক কন্ডিশন :|

আপনাকে ব্লগে দেখে ভালো লাগলো।

৪৪| ০১ লা অক্টোবর, ২০১১ রাত ৮:৩০

নস্টালজিক বলেছেন: হ্যাভ আ নাইস জার্নি!

খুব ভালো লাগসে পড়তে।

ভোরের ট্রেন - এ যাত্রা শুরু হোক সব দু:স্বপ্ন পিছে ফেলে!



০১ লা অক্টোবর, ২০১১ রাত ১০:০৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: আমাদের যেতে হবে
দূরে, বহু দূরে...

বাকি লিরিক ভুইলা গেসি :(

থেংকু বাডি!

৪৫| ০২ রা অক্টোবর, ২০১১ রাত ১২:০৫

সালমাহ্যাপী বলেছেন: এক নিঃশ্বাসেই পড়ে ফেললাম।খুব ভাল লেগেছে


ভালো থাকবেন :) :) :)

০২ রা অক্টোবর, ২০১১ রাত ১২:৩৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ সালমা। হ্যাপি থাকুন সবসময়!

৪৬| ০২ রা অক্টোবর, ২০১১ রাত ১২:২০

সুপান্থ সুরাহী বলেছেন:
আমরা এভাবে স্বপ্নভুক হয়ে যাচ্ছি কেন?

তাহলে কি আমরা আমাদরে আগামীকে আর সুন্দরের প্রতিশ্রুতি দিতে পারবনা?

আচ্ছা চড়ুইটিকে খেয়ে ফেলার পর তার পালকগুলো চাইই...এটা কেন? তার মানে স্বপ্নকে স্বপ্নের সারথীকে ধ্বংস করে তার পুরনো সৌখিন সম্পদটার লোভ?

আমাদের নাগরিক সভ্যতায় আমরা আমাদের যে বাড়ি বানানো শেখাবে তারেই শেষ করে দিচ্ছি?
এটাকে আমার মনে হল আমাদের যে আগামী আমাদের পথ দেখাবে সামান্য লোভ বা প্রতিযোগিতার নামে তাদের রোবটিক মানুষ বানাচ্ছি... নিজের ইচ্ছাটাকে প্রধান্য দিতে তাদের উপর চাপিয়ে দিচ্ছি আমার আশা এভাবেই সম্ভাবনাকে ধ্বংস করে দিচ্ছ ঠিক চড়ুইটির মতই...

আমি আমার বোধটা বল্লাম...যেহেতু আপ্নি সেই স্বাধীনতা আগেই দিয়ে রেখেছেন...

আসুক আগামী স্বপ্নময়...মলাটবদ্ধ হোক হাসান মাহবুব...

০২ রা অক্টোবর, ২০১১ রাত ১২:৪৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: স্বপ্ন একটা খুব বিমূর্ত বাস্তব। ভোরের ট্রেন এবং কুয়াশার সাথে স্বপ্নসখ্য খুব যায়। এই ট্রেন কখনও রাতে ছাড়বে না, কখনও দুপুরে না, ভোরেই ছাড়বে, ভোর শেষ হবে না। ঘর খুঁজে নিতে, সত্যিকারের সঙ্গী খুঁজে নিতে এরকম মায়াময় রোমান্টিসিজমই মানানসই, কী বলেন!

চড়ুইটিকে খেয়ে ফেলার পর তার রক্তাক্ত পালক আমাদের সম্পর্কের অবক্ষয়কে দেখায়। কিন্তু তারপরেও এখনও স্বপ্ন অবশিষ্ট আছে সম্পর্কের থলেতে।

আমরা ধরে রাখতে পারি না, বা জানি না, বা চাই না।

ভোরের ট্রেনে করে পাড়ি দেবার মত পর্যাপ্ত রসদ আর থাকে না!

আপনার বিশদ পাঠ প্রতিক্রিয়া ভালো লাগলো খুব। ভালো থাকবেন সবসময়।

৪৭| ০২ রা অক্টোবর, ২০১১ রাত ১:০৪

একজন বাউন্ডুলে বলেছেন: রক্তভেজা পালক......

বরাবরের মত অসাধারন

০২ রা অক্টোবর, ২০১১ রাত ১:৩০

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ বাউন্ডুলে! স্বাগতম আমার ব্লগে।

৪৮| ০২ রা অক্টোবর, ২০১১ রাত ২:২০

চন্দ্রগ্রহণ বলেছেন: আপনার বেশির ভাগ লেখাই একটা কিনারায় এসে শেষ হয়, পড়ার পর স্মৃতিকে রিওয়াইন্ড দিতে হয়.........এরপর একটা দীর্ঘশ্বাস....

গল্প জুড়ে বিসন্নতা, ঘুমানো দরকার। যেমনই হোক, ভোর টা তো নতুনই হবে। হয়ত নতুন কোন চড়ুই আসবে!

ভাল থাকবেন।

০২ রা অক্টোবর, ২০১১ রাত ২:৪৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: যেমনই হোক, ভোর টা তো নতুনই হবে। হয়ত নতুন কোন চড়ুই আসবে!

শুভকামনা আপনার জন্যে।

৪৯| ০২ রা অক্টোবর, ২০১১ রাত ২:২৪

চন্দ্রগ্রহণ বলেছেন: অন্য রকম ভাল লাগা বরাবরের মতনই :)

০২ রা অক্টোবর, ২০১১ রাত ২:৪৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ!

৫০| ০২ রা অক্টোবর, ২০১১ রাত ৩:১৮

সুপান্থ সুরাহী বলেছেন:
অ.ট.

একজন প্রকাশকের সাথে কথা বল্লাম...
দুএকটা গল্পের লিঙক পাঠালাম...


তিনি বল্লেন ৫০-৫০ লিখতে হবে...মানে বইয়ের গল্পের অর্ধেক হবে একান্ত আপ্নার নিজস্ব থিমে...
আর বাকীগুলো হবে তুলনা মুলক সহজ যাতে সাধারণ পাঠকরাও সহজে বুঝতে পারে...

তিনি আপ্নার কন্ডিশন জানতে চেয়েছেন...
আচ্ছা করলে আপ্নি এখানেও বলতে পারেন...
আবার মেইলেও বলতে পারেন...

আপ্নার শর্ত জেনে পরে তিনি আপ্নার সাথে যোগাযোগ করবেন..
ওহ! তার প্রকাশনীটা নতুন তবে বেশ ভাল কিছু বই ইতোমধ্য প্রকাশও করেছে...

[email protected]
এটা আমার মেইল...

০২ রা অক্টোবর, ২০১১ রাত ৩:২২

হাসান মাহবুব বলেছেন: আচ্ছা আমি যোগাযোগ করব। আমার জন্যে এতটুকু করেছেন এতে আমি অভিভূত, সত্যিই!

আপাতত, শুভঘুম!

৫১| ০২ রা অক্টোবর, ২০১১ দুপুর ১২:১৯

বুলবুল আহমেদ পান্না বলেছেন: টুকা দিয়া গেলাম....... :)

০২ রা অক্টোবর, ২০১১ দুপুর ১২:২২

হাসান মাহবুব বলেছেন: ভচ টুকা দিলে হৈবোনা 'ফোসকা' অহনও খাওয়ান্নাই! X(

৫২| ০২ রা অক্টোবর, ২০১১ দুপুর ১২:২২

মুখোশে ঢাকা আমি মুকিত বলেছেন: শুভ দুপুর। আপনার লেখার প্রচন্ড ভক্ত আমি। তবে লেখার মান অনুযায়ি কমেন্ট করতে পারিনা। আপনার লেখাগুলো নিজেই নিজের তূল্য।

০২ রা অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৪:৩৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনি আপনার মত করে কমেন্ট করবেন বিন্দুমাত্র কুন্ঠা ছাড়া। শুভবিকেল।

৫৩| ০২ রা অক্টোবর, ২০১১ রাত ৮:০০

কাউসার রুশো বলেছেন: প্রকাশিত হতে যাচ্ছে চলচ্চিত্র বিষয়ক ই-বুক 'এক মুঠো চলচ্ছবির' দ্বিতীয় সংখ্যা । লেখা আহবান

০২ রা অক্টোবর, ২০১১ রাত ১১:৩৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: লেখা দিতে চেষ্টা করব। কিন্তু আপনি গল্পটি পড়ে মতামত জানাবেন এটাই আমার কাম্য ছিলো।

ধন্যবাদ।

৫৪| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১১ সকাল ৮:৪৩

রাজসোহান বলেছেন: ভচ, কালকা একটা কমেন্ট কর্সিলাম, গেলো কই :(

যাহোক, আমি মুগ্ধিত :-B (যদিও মুগ্ধিতের সাথে এই ইমু যায় না /:) )

আপ্নার মতন গল্প লিখতে পারলে আমি সত্যিই দুনিয়া উদ্ধার কৈরা ফেলাইতাম (এইডা সবাইই কয়, আমিও কৈলাম :-0 )

শুভ সকাল! :D

০৩ রা অক্টোবর, ২০১১ সকাল ১১:০৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভ সকাল! গল্প টল্প লিখা আসলে লাব নাই, যাউ পর্তে বহ!

৫৫| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৩:৫৬

সায়েম মুন বলেছেন: চড়ুইদ্বয়ের জন্য কোন মায়া মহব্বত না থাকারই কথা। জীবনের স্বপ্নগুলো হারিয়ে দীঘির জলের মত থিতু হয়ে পড়লে চড়ুইয়ের মাংস খাওয়া ছাড়া উপায়ই বা কি!

অট: চড়ুই ফ্রাইয়ের মচমচে টেষ্ট।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৪:১১

হাসান মাহবুব বলেছেন: চড়ুই ছাড়া আর অন্য কোন পক্ষী খুঁইজা পাইলেন্না মাংস খাওনের লিগা? X( সুতীব্র ধিক্খার!

৫৬| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১১ রাত ১০:৪২

সায়েম মুন বলেছেন: ছোটবেলায় খেয়েছিলাম। টেষ্ট ভুলে গেছি প্রায়। এখন আর একবার খাওয়া দর্কার :P

০৩ রা অক্টোবর, ২০১১ রাত ১১:২৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: একটা চড়ুইয়ের ফার্ম দিমু ভাবতাছি! মুটাতাজা না কর্লে খাইয়া মজা নাই।

৫৭| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১১ রাত ১১:৪৮

হানিফ রাশেদীন বলেছেন: ভালো লাগলো।

আপনার সব গল্প একেবারে একইরক হয়ে যাচ্ছে।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১১ রাত ১১:৫১

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ।

হু, মাথায় রাখতে হবে ব্যাপারটা। আসলে নিঃসঙ্গতা,স্মৃতিকাতরতা এসব আমার গল্পের খুব কমন উপাদান। চেষ্টা করি একই জিনিস বিভিন্নভাবে, বিভিন্ন রূপক, মেটাফর, আঙ্গিক ইউজ করে লিখতে।

শুভরাত্রি।

৫৮| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১১ রাত ১:০৩

বহুব্রীহি বলেছেন: আমি ৪৪৫ তম পাঠক। বরাবরের মতন পিলাচিত :)

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১১ রাত ১:২৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: পিলাচ না দিয়া উপায় কী, মাইনাচ তো নাই! গুডনাইট!

৫৯| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১১ ভোর ৫:১৯

আরিয়ানা বলেছেন: উইশ থাকলো

কোন দিন ফেরা হোক ঘরে
কোন দিন চেনা হোক ঘর
কোন দিন জানা হোক মনের মানুষটিকে।

ভাল থাকবেন। আর হ্যা জীবনের নেগেটিভ দিকের চাইতে পজিটিভ দিক গুলো কম নেই কিন্তু শুধু নেগেটিভ দিক গুলো কে দেখে সেখান থেকে পজিটিভ দিক গুলো মাথায় রাখতে হয় :) বাকিটা ডিলিট করতে হয় মাথা থেকে শিক্ষা নেবার পর। না জ্ঞান দিলাম না :) বরং Gave you a shoulder to cry and ear to listen.

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১১ দুপুর ২:২৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: সো নাইস অফ ইউ আরিয়ানা! অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

৬০| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১১ দুপুর ১:৩২

অদৃশ্য বলেছেন: হাসান ভাই........ লিখাটা পাঠ শেষে একবার মনে হলো একটা স্বপ্নের প্রান্তধরে এগুচ্ছি...... সেখানে যা কিছু নিজের মতো করে হয়ে যাবার মতো ...

অতঃপর....... লিখাটায় অনেকগুলো বার্তার উপস্থিতি টের পেলাম যা কিনা আমাকে ভাবতে বাধ্যকরলো যে আমার ভাবনা ও কাজের মধ্যকার পার্থক্য বিশেষ.....

সুখ....স্বপ্ন.....লোভ.....ও দ্বিধার সংমিশ্রনে এই লিখাটি গভীরভাবে পাঠ করলে অনুভবে ছুয়ে যাবেই.....


তাই আপনার এই সুন্দর ভাবনার সুন্দর প্রকাশ নিয়মিত হতে থাকুক...

শুভকামনা অনেক......

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১১ দুপুর ২:২৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনার নিবিড় পাঠে মুগ্ধ এবং আনন্দিত হলাম প্রিয় কবি।

শুভদুপুর।

৬১| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৫:৩৮

রেজোওয়ানা বলেছেন: সামুতে কমেন্ট করা এখন অনেক কষ্ট, গতকাল অনেক্ষন ট্রাই করলাম, তা কি এক ৫০২ নম্বর পচা সাবান দেখাইয়া লগ আউট কইরা দেয়! আর এখন একটা ফাও কমেন্ট করলাম দেখি এইটা কয়বারে দিতে পারি!

*1 bar

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:১৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: সফল!

৬২| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৫:৩৯

সাকীব বলেছেন: হাসান ভাই, নাখোশ না হইলে একটা কথা বলি। আপনার লেখা মাঝে মধ্যে মেটাফোরে প্রস্ফুটিত না হয়ে একটু ভারাক্রান্ত মনে হয়। হয়তো আমার কল্পনা শক্তি পর্যাপ্ত পরিমানে উর্বর না, কিন্তু এই ব্যাপারটা বিবেচনা করেনঃ উপমার মধ্যে রিলেট করার এলিমেন্ট যদি যথাযথ পরিমানে না থাকে তাহলে আপনার মূল বক্তব্যে যতই রিয়েলিজম থাকুক তা খানিকটা হারিয়ে যায়। আর রিলেটেবল উপমার ইন্সেভটিভটাও বেশি (পাঠকের জন্য)।

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:২৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: নাখোশ হমু ক্যান? সব ধরণের মতামত স্বাগতম এখানে। আমার নিজের কমফোর্ট জোন থেকে লেখি, তবে পাঠকের কথাও ভাবা দরকার। আমার লাস্ট দুইটা গল্প একটু বেশি কঠিন হৈসে। তার আগেরগুলা কম কঠিন ছিলো তার আগেরগুলার তুলনায়!

৬৩| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৫:৪৫

রেজোওয়ানা বলেছেন: চারিদিকেই পাখি শিকারী আজ, নরম কোমল পাখিদের বাঁচার কোন উপায় নেই, তাদের উদরস্ত হতেই হবে!


সায়েম মুনের নামে চড়ুয়ের ফ্রাই খাবার অভিযোগে বন্য প্রাণী সংরক্ষন এক্টের আওতায় জামিনের অযোগ্য মামলা করতে হবে X(

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:২৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: বন্য প্রাণী আইনে মামলা কৈরা কি লাভ হবে আপু? চড়ুই তো গেরস্থ পাখি। মুনাপায় খায়াই যাইবো কিছয় কর্তে পারুম্না :((

৬৪| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:০৬

নাআমি বলেছেন: এপ্রোপ্রিয়েট প্রচ্ছদ এখন, শুধু এক চড়ুই দম্পতি হলে পারফেক্ট হোত, আকাশে, ট্রেনের ছাদে অথবা অন্য কোথাও !!!

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:২৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকস! আচ্ছা দেখি খুঁজে পাই কী না!

৬৫| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৪৯

ইশতিয়াক আহমেদ চয়ন বলেছেন: তিনদান হলো না তাহলে !:|

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৫৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: :(

দেখাই যাক না! হতেও তো পারে। :#)

৬৬| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১১ ভোর ৪:২৮

অদৃশ্য সত্তার বাক্যালাপ বলেছেন: আবার পড়া লাগবে।

০৫ ই অক্টোবর, ২০১১ ভোর ৪:৩৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: এতদিন পরে আসছো, ধীরে বৎস! লেখা পালায় যাচ্ছে না। ফিরে আসছো দেখে অনেক ভালো লাগলো। তোমার ব্লগে প্রায়ই যেতাম খোঁজ নিতে।

আবার প্রাণচাঞ্চল্য দিয়ে মাতিয়ে তোলো ব্লগ।

শুভভোর!

৬৭| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১১ ভোর ৪:৫৪

অদৃশ্য সত্তার বাক্যালাপ বলেছেন: থ্যাংকিউ!!!! :D :) :#> :-B

০৫ ই অক্টোবর, ২০১১ ভোর ৫:০৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: ওয়েল্কু!

৬৮| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১১ ভোর ৬:২২

তিথির অনুভূতি বলেছেন: সুন্দর গল্প। এক নিঃশেষে পড়ে ফেললাম :)

০৫ ই অক্টোবর, ২০১১ ভোর ৬:৩২

হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভসকাল!

৬৯| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১১ সকাল ৯:৫৬

শিরীষ বলেছেন: আজকে আর মাংশ ছুঁতে পারবো না হামা ......

০৫ ই অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৪:৩৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: ভেজিটেরিয়ান হওয়া তো ভালো!

৭০| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১১ রাত ১২:১৩

দিপ বলেছেন: আমার ব্লগে যে আসেন না এখন

আমি কি কোনো দোষ করলাম

০৬ ই অক্টোবর, ২০১১ রাত ২:৩০

হাসান মাহবুব বলেছেন: তোমার ব্লগে যাই, কিন্তু কমেন্ট করা হয় না। কারণ এই বছরের মুভি নিয়া পোস্ট দিতাসো এখন, যার একটাও আমি দেখিনাই।

৭১| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৩:১১

সাগর রহমান বলেছেন: আমি ভুলে যাই কিচিরমিচির।
আমি ভুলে যাই টুইটকার।
আমি ভুলে যাই রাত্রি অভিযানের উদ্দেশ্য।
শুধু মনে থাকে কিছু সুস্বাদু আমিষভোজ।
............... বিস্মিত পাঠ। ভাল থাকুন হাসান ভাই।।

০৬ ই অক্টোবর, ২০১১ রাত ১০:৪৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভরাত কবি। আপনিও ভালো থাকুন।

৭২| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৪:১৪

আরিফ রুবেল বলেছেন: দুই বার পড়লাম, বুঝি নাই। রাইতে আরেকবার ট্রাই নিমু, মনোযোগ আসতেছে না, খেই খালি হারাইয়া যাইতেছে।

০৬ ই অক্টোবর, ২০১১ রাত ১০:৪৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: আর তো আইলেন্না /:)

৭৩| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১১ সকাল ৮:০৪

ময়নামতি বলেছেন: ভাল লাগল ।+

০৭ ই অক্টোবর, ২০১১ সকাল ১০:২২

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ।

৭৪| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১১ রাত ২:৩৩

মিরাজ is বলেছেন: ভিতরে পরিবর্তন করতে চেয়ে দেখি আপনি শেষে জুড়ে দিয়েছেন। এর আগে যেখানে শেষ হয়ছিলো সেটাই আমার কাছে বেশি ভালো লেগেছিলো কারন তাতে একটু চিন্তার অবকাশ থাকে।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১১ রাত ৩:৪০

হাসান মাহবুব বলেছেন: হু, এটা ঠিক আগের ফিনিশিংটার মধ্যে একটা চটক ছিলো। তবে ভেতরের অনেককিছু পরিবর্তন করার দরকার ছিলো। ওগুলো করতে গিয়ে শেষটাও বদলে গেলো কীভাবে যেন!

৭৫| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১১ ভোর ৪:০৯

শোশমিতা বলেছেন: "ঘর, ফেরা হয়নি আমার ঘর
চেনা হয়নি আমার ঘর
জানা হয়নি মনের মানুষটাকে..."

অনেক ভালো লাগলো!

০৮ ই অক্টোবর, ২০১১ ভোর ৪:১২

হাসান মাহবুব বলেছেন: ঐটা কিন্তু অঞ্জন দত্তের গান। :| গল্প কী তাইলে ভালো লাগেনাই? :(

কিডিং!

পড়ার জন্যে ধন্যবাদ!

৭৬| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১১ ভোর ৫:৩৬

শোশমিতা বলেছেন: ঐটা যে অঞ্জন দত্তের গান তা যানি :) আচ্ছা আমি কি লিখেছি নাকি যে গান ভালো লাগলো?
আমি লিখেছি অনেক ভালো লাগলো! তার মানে শুদু গান ভালো লাগলো বুঝলেন কেনো?
ওকে! এবার আপনার বুঝতে যাতে সমস্যা না হয় তাই আবার বলি গল্প অনেক সুন্দর হয়েছে, অনেক ভালো লাগলো!
সত্যি আপনার লেখা আমার অনেক ভালো লাগে :)

০৮ ই অক্টোবর, ২০১১ ভোর ৫:৪৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: আমি কিন্তু বুঝেছি আপনার মন্তব্য। আমার রিপ্লাইয়ের মাঝখানে দেখেন নাই লেখসি 'কিডিং!'। অর্থাৎ একটু দুষ্টামি করলাম আর কী! যাক, আপনার আরো একটি কমেন্ট পেয়ে ভালো লাগলো।

শুভসকাল।

৭৭| ১১ ই অক্টোবর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৩৬

সোমহেপি বলেছেন: খুব ভালো লাগে নাই।পড়ছিও ঝাপসা চশমাটা রোমে রাইখা আইছি।মাথাডা ধইরা গেছে।গল্প এত বড় কেন?আমার মত কানাদের কথা ভাববেন না?

১২ ই অক্টোবর, ২০১১ রাত ১২:৩৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: এইডা লাগায় পড়েন :-B

৭৮| ১২ ই অক্টোবর, ২০১১ রাত ৮:১৩

স্মৃতির নদীগুলো এলোমেলো... বলেছেন: অসাধারন লেগেছে। আগের অনেকগুলোর মতই তেমন কঠিন মনে হয়নি।

৭৯| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১১ সকাল ৭:১৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে!

৮০| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৫৩

মিরাশদার১০ বলেছেন: এক বারে পড়ার মত ১টা গল্প, কোথাও ভালো লাগার ছেদ পড়ে নি।কয়েকবার পড়া হলো।
শেষের গানটা ভালো, কার গান?

১৫ ই অক্টোবর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:২৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকস।

অঞ্জন দত্তের- ঘর।

৮১| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১১ রাত ১২:৫৯

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: "ঘর, ফেরা হয়নি আমার ঘর
চেনা হয়নি আমার ঘর
জানা হয়নি মনের মানুষটাকে..."

খুব কোমল, সুন্দর, আনন্দময় একটা সমাপ্তি পেতে পারতো গল্পটা। কিন্তু কেন যেন হ্যাপি এন্ডিং হয় না কখনোই.............

মন খারাপ হল.......প্রথমবার পড়েও.........এখন আবারও...........

১৯ শে অক্টোবর, ২০১১ সকাল ৮:০৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভসকাল!

৮২| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১১ ভোর ৫:৩৮

ইসরা০০৭ বলেছেন: এমন কোন লাইন পেলাম না যেটা কোট করে বলব, এই লাইনটা খুব ভাল লেগেছে । পুরো গল্পকেই বলতে হচ্ছে, খুব ভাল লেগেছে। তাই ৩৯ ভাল লাগা রেখে গেলাম হাসান:)

কেমন আছো?

২৩ শে অক্টোবর, ২০১১ সকাল ১০:০৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকস! ভালো আছি। ভালো থাইকো।

৮৩| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১১ সকাল ৮:৫৯

অভ্রমালা বলেছেন: গল্পটা পড়ে অনেক্ষণ ভাবলাম। পাখির রক্তাক্ত পালক দেখে মন খরাপ। ঔজ্জল্যবিহীন নিস্প্রভ রঙহীন তারা হয়ে যাওয়া পাখির গলিত চোখ দেখে মন খারাপ। আমি পাখিটাকে ফিরে পেতে চাই। আবার ভোরের ট্রেনও চাই।


অসাধারণ লেখাটা। অনেক ভালো লাগলো।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৩:০৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

৮৪| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৩:২৬

চশমখোর বলেছেন: সুন্দর লেখা। ভালো লাগলো। :)

২৫ শে অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৩:৩৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকস! শুভদুপুর।

৮৫| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১১ রাত ৯:২৭

নিমা বলেছেন: ভাইয়া কেমন আছেন?

অনেক ভাললাগা নিয়ে পড়লাম
পড়তে পড়তে কখন শেষ হয়ে গেল.....

২৮ শে অক্টোবর, ২০১১ রাত ৯:২৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো আছি নিমা। ধন্যবাদ পড়ার জন্যে। ভালো থাকবেন।

৮৬| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১১ সকাল ৮:৫৮

শেখ আমিনুল ইসলাম বলেছেন: Sheser dike ese ektu kothin laglo. Sob miliye onek valo legeche. Shuveccha :)

০৩ রা নভেম্বর, ২০১১ সকাল ৯:২৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনাকেও অনেক শুভেচ্ছা এবং ধন্যবাদ। গল্পটা অবশ্য কী লেখসিলাম আমি নিজেও ভুইলা গেসি গা! :|

৮৭| ০৭ ই মার্চ, ২০১২ সকাল ৯:৩৬

বিদ্রোহী সত্ত্বা বলেছেন: মাহবুব ভাই, আপনার লেখনিগুলোকে সত্যিই আমার খুব ঈর্ষে হয়...++++++++++++

০৭ ই মার্চ, ২০১২ সকাল ১০:০৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনার ঈর্ষা যেন বজায় রাখতে পারি! ভালো থাকবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.