![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার সত্ত্বা আজন্মা ভালবাসা তৃষ্ণা নিয়ে সুখে মরে যায়, অবিশ্বাসের কটাক্ষে। নিজেকে এখনও আমি জানতে পারিনি না পেরেছি চিনতে। আমি মুক্ত বিহঙ্গ এক অপরিচিত মানব।
হ্যাঁ , মাশরাফিকে ফোর্সিবল
রিটায়ারমেন্ট নিতে হয়
কারণ সে চলতি সিরিজেই
মাহমুদুল্লাহকে বাদ দেয়ার
জন্য নেয়া বিসিবির সিদ্ধান্তের
বিরুদ্ধে প্রতিবাদ
করে বলেছিল, মাহমুদুল্লাহকে শ্রীলংকা
থেকে দেশে
ফেরত পাঠালে আমি শ্রীলংকা যাব
না।
মাশরাফিকে অবসর নিতে বাধ্য করা হয়
কারণ তাসকিন
থেকে শুরু করে দলে নতুন আসা সব
প্লেয়ার মাশরাফিকে
বড় ভাই মানে, তার মত হতে চায়।
মাশরাফিকে বাদ দিতে হবে কারণ ২০১৫
বিশ্বকাপ
খেলতে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার পথে ঢাকা
এয়ারপোর্ট
থেকে প্লেনে উঠার সাথে সাথে
মাহমুদুল্লাহর হাতে
তিনি তার নিজের হাতে লেখা দুই
পৃষ্ঠার একটা লম্বা
চিঠি ধরিয়ে দিয়েছিলেন। যে চিঠি
পড়ে আর
মাশরাফির মোটিভেশনে ইন্সপিয়ার্ড
হয়ে ফর্ম নিয়ে
ধুঁকতে থাকা ছয় সাত নাম্বারে ব্যাট
করা মাহমুদুল্লাহ
চার নাম্বারে নেমে বিশ্বকাপের মঞ্চে
ব্যাট হাতে
লিখে দিলেন বাংলাদেশের বিশ্বকাপ
ইতিহাসের
সর্বকালেরসেরা দুই মহাকাব্য।
ক্রিকইনফোকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে
তামিম ইকবাল
বলেছিলেন, যখনই তিনি টানা দুই তিন
ম্যাচ খারাপ
খেলেন, অফ ফর্মে চলে যান তখন
মাশরাফি ভাই টিম
মিটিং এ সবার সামনে বারবার করে
বলেন, "ইট উইল বি
অ্যা ভেরি টাফ ম্যাচ ফর আস। তামিম
উইল বি আওয়ার কিই
প্লেয়ার।"
একজন ফর্ম হারিয়ে খোঁজা, পরের ম্যাচে
জ্বলে উঠতে
চাওয়া ব্যাটসম্যানের কাছে এর চেয়ে
সলিড কোন
মোটিভেশন নাই।
ইঞ্জুরি থেকে ফিরে আগের ছন্দ হারিয়ে
ফেলেছেন
মুস্তাফিজ। ছিলেন শ্রীলংকার সাথে
টেস্ট সিরিজেও
অনুজ্জ্বল। তারপর ওয়ানডে সিরিজের
আগে মাশরাফি
শ্রীলংকা গেলেন, দলের সাথে যোগ
দিলেন। সংবাদ
সম্মেলনে এসেই বললেন, এই সিরিজ হবে
মুস্তাফিজের
সিরিজ। একজন ছন্দ হারিয়ে ফেলা
বোলারকে কিভাবে
নতুন করে টিউন করাতে হয় সেটা
একমাত্র আমাদের
মাশরাফিই জানেন।
ঘরের মাঠে গত ইংল্যান্ড সিরিজে প্রথম
স্পেলে
রেগুলার খরুচে বোলিং করা তাসকিনকে
নিয়ে সংবাদ
সম্মেলনে তিনি বলেছিলেন, আমরা
তাসকিনকে নেই ৬
ওভার বোলিং করানোর জন্য। তার
জায়গায় সে
পারফেক্ট।
দলে প্রতিনিয়ত নতুন এসে ভালো
পারফর্ম করতে না
পেরে স্যার উপাধি পাওয়া শুভাগত
হোম, তানবীর
হায়দার, জুবায়ের হোসেন, নুরুল
হাসানদের হয়ে
অভিভাবকের মত করে বারবার বলে
গেছেন, ওদের কোন
দোষ নাই, আমরাই সঠিক সময়ে ওদেরকে
সঠিক জায়গায়
খেলাতে পারি নি।
বিসিবির ছুড়ে ফেলে দেয়া ইমরুল
কায়েস, নাসির
হোসেনকে তিনি নিজ চেষ্টায় বারবার
দলে সুযোগ
করে দিয়েছেন। ইমরুল কায়েস অকপটে
সেটা স্বীকার
করেছেন বারবার। তবে বিসিবির চাপে
নাসিরের হয়ে
শেষ যুদ্ধটা তিনি চালিয়ে যেতে পারেন
নি।
এটাই আমাদের ক্যাপ্টেন মাশরাফি বিন
মর্তুজা। একটা
দলকে মোটিভেট করতে, ইন্ড্যুভিজুয়ালি
প্রতিটা
প্লেয়ারকে ইন্সপিয়ার করতে যার কোন
মোটিভেশনাল
স্পিচ দিতে হয় না। শুধু ক্রিকেট টিমের
বাকি ১০ জন নয়
পুরো দেশের কাছে মাশরাফি নামটাই
একটা
মোটিভেশনাল স্পিচ।
মাশরাফি মানে হার না মানা গল্প।
মাশরাফি মানে
আপোষহীন শক্ত স্তম্ভ, যেটার উপর
সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য
ভাবে উড়ে বাংলাদেশের পতাকা।
মাশরাফি মানেই ক্রিকেটিয় হ্যাডম।
এবারের
বিপিএলে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের
টিম
ম্যানেজমেন্টের অনিয়ম আর বাঁধার মুখে
বেস্ট স্কোয়াড
মাঠে নামাতে পারবেন না জেনে
তিনি টিম হোটেল
ছেড়ে বাসায় চলে যাওয়ার হ্যাডম
দেখাতে পারেন।
বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন
আর কোচ
চান্ডিকা হাতুরেসিংহে জানে যতদিন
মাশরাফি
ড্রেসিং রুমে থাকবে ততদিন কোন
অনিয়ম সে মেনে
নিবে না। মাথা নত করবে না।
তাদেরকে হুজুর হুজুর করবে
না। তাই এভাবেই টেকনিকালি তাকে
ছুড়ে ফেলে
দেয়ার প্রথম ধাপটা বাস্তবায়ন করা হল।
বাংলাদেশ ক্রিকেট টিম একসময়
ট্রেডিশন হিশেবে
খেলা শেষে সবাই একসাথে গাইতো,
"আমরা করব জয়"।
একজন, শুধুমাত্র একজন মাশরাফি বিন
মর্তুজা সেই আমরা করব
জয় গানকে বদলে দিয়ে "আমরা করি জয়",
"আমরা করছি জয়"
বানিয়ে আমাদের হৃদয়ে গেঁথে
দিয়েছেন।
২২ গজের সাথে তিনি ৪৭ হাজার বর্গ
মাইলকে মিশিয়ে
দিয়েছেন। শুধুমাত্র একজন কোচ আর একজন
বোর্ড সভাপতির
খামখেয়ালিপনা আর স্বার্থরক্ষার জন্য
আমরা সেই
মানুষটাকে তার প্রাপ্য সম্মানটুকু দিতে
পারলাম না।
নাজমুল হাসান পাপন এবং
হাতুরেসিংহে,
দলে আপনাদের আধিপত্য বিস্তারের জন্য
মাশরাফির
সাথে যে কাজ আপনারা করলেন,
ক্রিকেট বিশ্বে
শুধুমাত্র মাশরাফির কারণে (দশবার
পড়ুন) পাওয়া
বাংলাদেশ টিমের বর্তমান আধিপত্য
সামনের ম্যাচের
পর থেকে বজায় থাকবে তো?..............
#we miss mashrafee
২| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:৩১
ধ্রুবক আলো বলেছেন: মাশরাফি এক গর্বের নাম +
৩| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১:৩৬
সনেট কবি বলেছেন:
অপরিচিত মানব শূন্য
জানি হে অপরিচিত মানব শূণ্য এ
সনেট লিখায় আছে অনেক সাধনা।
আল্লাহ সহায় হলে সামান্য এ কাজ
আমিতো কিছুই নই নিতান্ত অক্ষম।
আল্লাহ লেখান বলে লিখতে যে পারি
নতুবা আমার নেই কোনই ক্ষমতা
কবিতা লাগাম ধরে আনতে যে বসে
তাইতো পারিনা দিতে নিজেরে কৃতিত্ব।
একদা পারিনি আমি লিখতে কিছুই
নিতান্ত ব্যর্থতা নিয়ে ভুগেছি নিয়ত
দয়ায় প্রভুর শেষে পেয়েছি সাফল্য।
এখনো যদিনা তিনি সহায় না হন
তবেতো বেকার বসে চুষব কলম
তাইতো প্রভুর তরে সেজদা নিরন্ত।
০৫ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ২:০২
অপরিচিত মানব শুণ্য বলেছেন: সেই সাধনা করেই আপনি আজ এইখানে এসেছেন...
আপনার উপস্থিত লিখার ক্ষমতা সত্যিই মুগ্ধ করে....
শুভেচ্ছা জানবেন প্রিয় কবি...
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৫
বিলুনী বলেছেন: শুধু শুধু অলীক কল্পনায় দেশ বরেন্য মাশরাফিকে বিতর্কিত না করাই ভাল ।
মাশরাফি খুবই সাহসী অকুতভয় এক ব্যক্তিত্ব । তিনি প্রতিবাদী হতে
জানেন । তার নীজের মুখে তিনি এসব কিছু বলেছেন বলে কিছু
এখনো দেখিনি । তাঁর প্রসংসায় দেশের সকলে পঞ্চমুখ । তাই
তাঁকে যে কোন মুল্যে সকল প্রকারের সমালোচনার উর্ধে রাখাই
তার প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর সর্বোতম পন্থা বলে মনে করি ।