|
|
| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মোহামমদ মশিউর রহমান
"চিন্তা,মনন,মেধা,শক্তি আর ইচ্ছাই আনে পরিবর্তন" আপনার সুচিন্তিত যেকোনো মতামত পাঠাতেঃ https://www.facebook.com/mosiur2 ( ফেইসবুকের প্রতি আসক্তি থাকা হেতু , ব্লগে কিছুটা অনিয়মিত । :) ধন্যবাদ । )
আজ যদি আমরা বসে থাকি তাহলে এটি হবে আমাদের অনলাইন এক্টিভিজম এর নামে সবচেয়ে বড় দেউলিয়াপনা। অসংখ্য বার অসংখ্য বিষয় নিয়ে লিখেছি ব্লা ব্লা ব্লা তবে আজ যদি আমাদের কলম আর কি-বোর্ডে এই রকম একটি ন্যাক্কারজনক অধ্যায়ের বিরুদ্ধে যদি দল মত নির্বিশেষে প্রতিবাদি লিখার ঝর না উঠে তাহলে মনে হয় আমাদের অনলাইন রেভ্যুলেশন আনয়নের এই প্রচেষ্টা এক রকম ব্যর্থ প্রমানিত হবে।
আমাদের দেশের পুলিশকে মার খেতে হচ্ছে কিছু বিপদ্গামি যুবকের হাতে রাস্তার উপর। ঘটনাটি যদিও এইবারই প্রথম নয় তবে এটি সবচাইতে বড় রুপে এবং পরিকল্পিত বলে মনে হয়েছে , যেখানে আগের গুলিতে তাদের আত্মরক্ষা বা ওউন সেফটির কিছুটা অবস্থান মনে হয়েছে তবে এবার আর সেই অবকাশ নেই বরং মনে হচ্ছিল এটি “ক্লিন পুলিশ মিশন” । আর সেই লক্ষে তারা এইবার গুলি ছুরে। ১৫ -১৭ রাউন্ড আবার কোথাও সেটি ২০- ২৫ ।
এই পুলিশকে লাঠিয়াল বাহিনী বলেছি যখন তারা আক্রমন করেছে শিক্ষক আর সাংবাদিকদের ,এদেরকে বলেছি আওয়ামি কর্মী যখন আক্রমন করেছে বিরোধীদলের চিফ হুইফ কে। কিন্তু তারাত প্রতিঘাতে পুলিশকে আক্রমন করেনি। পুলিশের বিরুদ্ধে মাঠে নামেনি কিংবা পুলিশের উপর গুলি করার মতন স্পর্ধা দেখায় নি। যেখানে আমি বলব সেটা সেই মুহূর্তে করা তাদের জন্য সঙ্গত এবং যৌক্তিক ছিল।
কিন্তু আজ সারা জাতি যখন একটি বিচার এর জন্য গর্বিত তখন সেই জামায়াত ই ইসলাম আবার আগের রুপে ফিরে আসলো । আজকের এই রুপই ছিল তার একাত্তুরের রুপ। তারা আজ নিজেরা না পেরে লেলিয়ে দিয়েছে আমাদেরই কিছু ভাই এবং সন্তানদের যাদেরকে আমরা শিবির বলে জানি। যদিও আমার এক প্রকার সিম্পেথি কাজ করে শিবিরের প্রতি কেননা আমি দেখেছি এদেরকে কিভাবে “ ব্রেইন ওয়াস” করা হয় এবং এর পর যে তারা ভাল মন্দ বোঝার জ্ঞ্যানটুকুও হারিয়ে ফেলে।
শেষ পর্যন্ত যতটুকু জানলাম ১২ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। আমাদের সবার মানবাধিকার আছে তাহলে কি পুলিশের নাই। পুলিশ কি গুলি খাবে শুধু দাড়িয়ে দাড়িয়ে ? আসলে পুলিশও ভীত এরুপ আক্রমনে কেননা এরকমতো আগে কখনো হয়নি । এরকমতো আগে সম্ভবও ছিল না। তবে আজ কেন এরুপ দেখা যাচ্ছে। তবে কি আমরা খারাপ কিছুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। এই ধারনা আসলে অমুলক নয় তবে যদি তাই হয় তাহলে আশা করব আরও শক্ত স্টেপ নিবে সরকার। প্রয়োজনে সেনাবাহিনীর সাহায্য নেয়া যেতে পারে এবং এই মুহূর্তে পরিচালনা করা যেতে পারে চিরুনি অভিযান এদের ধরার জন্য ।
তবে যেটি খেয়াল রাখতে হবে সেটি হল একটি জামাত কর্মীও যেন না বাচে তবে আবার অন্যদিকে একজন নিরপরাধ মানুষও যাতে হজামাত হিসেবে আটক না হয়। কিন্তু এরা আমাদের পুলিশ পেটাবে রাস্তায় সেটি মানতে পারছি না কোন ভাবেই।
১৩ টি 
+১/-০২| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৪:৪৯
খেয়া ঘাট বলেছেন: ১ যে যায় ক্ষমতায় সেই পুলিশের ওপর কর্তৃত্ব করে।
২ রাজনৈতিক দুবৃত্তিয়ানের অক্টোপাশে পুলিশ বন্দি।
৩ অতি ভক্তি দেখাতে গিয়ে কিছু পুলিশ নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করে।
৪ কিন্তু সারা দিনরাত ২৪ ঘন্টা তাদের শৃঙখলা রক্ষায় নিয়োজিত থাকতে হয়।
৫ হিমশীতল ঠান্ডায় যখন আপনি লেপের নীচে অথবা পিচ গলে যাওয়া রৌদ্রে যখন আপনি শীতল হাওয়ায় প্রশান্তি খুঁজছেন-তখনো পুলিশ সদস্যরা তাদের কর্তব্য কাজে নিয়োজিত।
প্রবল আন্দোলনের মুখে, মিছিলে মিছিলে যখন রাজপথ উততপ্ত যখন প্রাণে বাঁচার তাগিদে আপনি নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে পারছেন তখন এই পুলিশ সদস্যরাই জীবনের ভয় তুচ্ছ করে তাদের কর্তব্য কাজ করে যাচ্ছে।
সারাদিনভর প্রখর গরমে যেখানে এক ঘন্টা ঠিকে থাকা যায়না, সেখানে একজন ট্রাফিক পুলিশ হাজারো চেচামেচি, গাড়ীর হর্ণ ,কোলাহল ইত্যাদির মাঝে তার কর্তব্য পালন করে যান।
এই পুলিশের ব্যারাকে একবার গিয়ে দেখুন কী মানবেতর তাদের জীবন যাপন। এরাতো কারো শত্রু নয়, সরকারের গোলাম। করার কিছুই নেই।
জীবিকার তাগিদে এ পেশা গ্রহণ করেছেন। একজন পুলিশেরও পরিবার আছে,মা আছে, বাবা আছে। স্নেহময়ী সন্তান আছে।
সেই পুলিশকে যখন আপনার পিটান, রক্তাক্ত করেন, তখন দেখেন গিয়ে টিভির পর্দায় পিতার যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে মেয়ে বেদনায় নীল হয়ে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছে। কীসের ক্ষমতাবলে , কোন অধিকারে একটি দেশের আইন শৃঙখলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপর আপনারা চড়াও হলেন।
শাসকগোষ্ঠি আর পুলিশতো একনা। কাল যদি আপনারা ক্ষমতায় আসেন,তবে এই আপনারাইতো আবার পুলিশ দিয়ে বিরোধীদেরকে পিটাবেন।
এখন বলুন- কী অপরাধ পুলিশের।
কিছু দূর্নীতিবাজ, অসত পুলিশদের জন্য কেন আপনার ঢালাওভাবে সবাইকে রক্তাক্ত করবেন। ইসলামতো শান্তির কথা বলে- আজকে রাতে ঘুমাবার আগে একবার চোখ বন্ধ করে বুকের ওপর হাত দিয়ে দেখুন - কার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছেন, কেন করছেন???
এই পুলিশরাও মানুষ, এরাও কারো বাপ অথবা ভাই।-
সবার ওপরে মানুষ সত্য আর তাহার উপরে নাই।
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:২২
মোহামমদ মশিউর রহমান বলেছেন: সহমত ভাই । অসাধারন বলেছেন।
৩| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৪:৫৩
htusar বলেছেন: জামাত পেটাও ।
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:২৩
মোহামমদ মশিউর রহমান বলেছেন: পেটানোর চেয়ে নিষিদ্ধ করার পক্ষে আমি ।
৪| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:৪৭
বাদল দিনের গান বলেছেন: জামাত পেটাও
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:২৫
মোহামমদ মশিউর রহমান বলেছেন: উপরেও বলেছি । পিটানোর চেয়ে নিষিদ্ধ করার পক্ষে আমি বেশী।
৫| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:০১
কলাবাগান১ বলেছেন: আজকের এই রুপই ছিল তার একাত্তুরের রুপ।
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:২৫
মোহামমদ মশিউর রহমান বলেছেন: সহমত ভাই ।
৬| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:০২
কলাবাগান১ বলেছেন: শিবির কর্মী রা যখন পুলিশকে স্ট্যান্ডার্ট চার্টাড ব্যাংকের সামনে পিটাচ্ছিল সবাইকে পরিস্কার ভাবে টিভিতে দেখা যাচ্ছিল...
এখন আর সংবাদ পত্রে হামলাকারীদের পাসপোর্ট ছবি দেখা যাচ্ছে না......। এই যায়গায় ছাত্রলীগ হলে এতক্ষনে সবাইর ছবি পত্রিকায় প্রকাশের মাধ্যমে গ্রেফতার হয়ে যেত
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:২৬
মোহামমদ মশিউর রহমান বলেছেন: ভাই কেউরে বিশ্বাস করি না এখন । সরকার, বিরোধী দল বা মিডিয়া ।
৭| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৫৯
ছন্দ্বহীন বলেছেন: দেখেছি এদেরকে কিভাবে“ ব্রেইন ওয়াস” করা হয় এবং এর পর যে তারা ভাল মন্দ বোঝার জ্ঞ্যানটুকুও হারিয়ে ফেলে।
আজকের এই রুপই ছিল তার একাত্তুরের রুপ। sohomot!
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:২৭
মোহামমদ মশিউর রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ ভাল থাকুন।
©somewhere in net ltd.
১|
২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৪:১৪
মোহামমদ মশিউর রহমান বলেছেন: সময় হয়ে এসেছে এই হিংস্রতা বন্ধের ।