আমরা ইতিহাসের ভুলের মাশুল দিচ্ছি শাহবাগের “প্রজন্ম চত্বরে”! দায়িত্ব অবশ্যই নিতে হবে অতীত অভিবাবকদের ।

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৫৮

ইতিহাসের দিকে যাওয়ার আগে একটু একটি গল্প বলি শুনুন। প্রথমেই গল্পের চরিত্রগুলি একটু দেখে নেই-

সিংহ – স্বাধীন বনের প্রথম রাজা।

বাঘ – সিংহ পরবর্তী সময়ের বনের রাজা।

মানুষ- হানাদার বাহিনী।

শিয়াল- হানাদার বাহিনীর সাথে আতাতকারী বেইমান।

বাঘ বধু- বাঘ পরবর্তী বনের রাজা

সিংহ কন্যা - সিংহ পরবর্তী বনের রাজা।



“একদা এক পরাধীন বনে সকল পশু পাখি বসবাস করিত। সেথা বনের রাজা ছিলেন সিংহ। তার ডাকে মানুষের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামলো গোটা বনের সকল পশু পাখি। “মুক্তিযুদ্ধ” নামে তাদের অস্তিত্তের যুদ্ধটি “গৃহযুদ্ধ” বলে বনের ধূর্ত শিয়াল হাত মিলালো হানাদার মানুষের সাথে”



যাই হোক অবশেষে যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগেই রাতের বেলায় সিংহকে আটক করে মানুষ কিন্তু তাতে কি হবে তার সেনার মাঝে বাঘ ছিল এক অসম সাহসী সেনা। তিনি রাজার অবর্তমানে যুদ্ধের ডাক দিলেন এবং গোটা বোন গেরিলা যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ল। আর এই দিকে শিয়ালের দালালি চলছেই । গাছ এবং পুকুর আর এদের ঘর বাড়ি ধ্বংস করল। লাখো জীব হত্যা করল এবং জ্ঞ্যানি পশুকুল যারা মুলত বনের চালনি শক্তি ছিলেন তাদের হত্যা করল।



যাই হোক নয় মাস যুদ্ধের পর যখন বন স্বাধীন করল দেশ সব পশু পাখিরা তখন ফিরে আসলেন প্রানের নেতা এই যুদ্ধের মহান নেতা সিংহ। তিনি আসার পূর্বেই বন ছেড়ে শিয়ালকুলের বিভিন্নজনেরা বঞ্ছেরে পালিয়ে যায়। তখন সিংহ হাতে নিলেন এই ঘাতকদের নিরমুল করার। কিন্তু আবার ছেড়ে দিলেন বন্দি মনুষ্যদের যারা যুদ্ধ বন্দী ছিলেন।

প্রস্নঃ অধিকার কে দিল ? কেনইবা ছাড়লেন ?



যাই হোক গোটা বনের বহু বেইমান শিয়াল গ্রেফতার হল কিন্তু রাজা তাদেরকে দিয়ে দিলেন “সাধারন ক্ষমা” ।

প্রস্নঃ তাদেরকে কে করিল ক্ষমা ? কেন করিল ক্ষমা?



এর পর মুল হোতা যেই শিয়াল তার সহ বাকিদের বনের পাসপোর্ট হরন করলেন। যাহা ভালই ছিল তবে সেটি বেশী দিন বজায় থাকল না সিংহকে হত্যা করা হল সপরিবারে শুধু বেচে গেল দুই মেয়ে কেননা তারা ছিলেন অন্য বনে।

এর পর দায়িত্তে আসলেন বাঘ সেনাবাহিনীর প্রধান হিসেবে এবং হলেন রাজা। তিনি রাজা হওয়ার পর বনে ফিরিয়ে আনলেন সেই শিয়ালকে যে ছিল গাদ্দার তাকে তার পরিচয় পত্র দেয়া হল এবং ফিরিয়ে আনলেন সিংহ কন্যাদ্বয়কে যাদেরকে মধ্যকালীন ক্ষমতাধররা ধুকতে দেয়নি বনে।

প্রস্নঃ এই দালালকে বনে আবার কেন আনা হইল?



যাই হোক হটাত করে এর কিছু দিন পর আবার বাঘ এর হত্যা করা হয় এবং মাঝে কিছু সময় পর আবার ক্ষমতায় আসেন বাঘবধু এবং বছর ঘুরে এরপর ক্ষমতায় আসলেন সিংহকন্যা সয়ং এবং তার পর আবার বধু আবার তারপর আবার কন্যা। সো এই ভাবেই চলতে লাগলো।



তবে এর মাঝে শিয়াল ও তার অনুসারীরা বসে নেই তারা এগিয়ে গেল জ্ঞ্যান ও বুদ্ধিতে এবং হয়ে উথল শক্তিশালী। কেননা এই দলের সাহজ্জেই বধু এবং কন্যা ক্ষমতায় এসেছে বনের।



সুতরাং অবশেষে কন্যা সিদ্ধান্ত নিলেন তাদেরকে বিচারের মধ্যে আনতে হবে কেননা বনের জন্মলগ্নে তারা যেই অন্যায় করেছে নিরিহ বনের পশু কুলের উপর সেটা এখনও তাদের উপর দায়। তবে সেটি হয়ে উঠল একটি রাজনৈতিক ইস্যু বনের কেননা এইটা হল এক প্রকার আতাত আতাত খেলা আর ওই সময় আতাতের সময় ছিল বাঘের , তাহলে বাঘের কথা ছিল “তোমাগ সময় খেললে প্লেয়ার আমাগ সময় খেললে গ্যাম্বলার” এটাতো হতে পারে না। এই নিয়ে ব্যাপক অস্থিরতা বনে মারাত্মক খারাপ অবস্থায় আছে মানুষ দুই পক্ষের কাজে।



কিন্তু সাধারন বনের সদস্য জানালো যে “ইট ইয বেটার লেট দেন নেভার” তারা নামলো মাঠে কোন আতাত আর আতাত নাই এবং বিচার হবেই হবে । শেষ পর্যন্ত খবর আসলো যে আন্দোলন চলছে।



তবে এখন প্রশ্ন হল এই জাতির এই অবস্থানে কেন ? বলেনতো এই খানে আসার পিছনে কি ওই যে রাজাদের ভুল সিদ্ধান্ত বা ইচ্ছাকৃত ভুল সিদ্ধান্তই কি দায়ী নয় ? শিয়ালতো ওই বনে আসারই কথা নয়।

সিংহ সাধারন ক্ষমা কেন করবেন আর আর বাঘ কেন এদেরকে আবার পুনর্বাসন করবেন ? হুম মিলিয়ন ডলার প্রস্ন !!!



এই বার বলেনতো শাহবাগ এর আজকের বিদ্রোহের শুরুটা কোথায় আর দায় কাদের ঘাড়ে?

১২ টি +১/-০