নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঐক্য এবং সংগ্রাম= মুক্তি

পাঠক লাল গোলদার

শোষণ-বৈষম্য হীন একটা মানবিক সমাজ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশনে কাজ করি আমি। বুর্জোয়া আধিপত্যের বিপরীতে রাজেনৈতিক, সামাজিক, আর্থিক, সাংস্কৃতিক ও মনজাগতিক ক্ষেত্রে শ্রমিক কৃষক মেহনতী মানুষের পাল্টা আধিপত্য গড়ে তোলাই প্রথম কাজ।

পাঠক লাল গোলদার › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্কুল ফেইট!

১০ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:০১

স্কুল ফেইট-এ গিয়েছিলাম আজ। আগে বহুবার স্কুল ফেইটের (School Fete)কথা শুনেছি বউয়ের কাছে। কিন্তু যাওয়া হয়ে ওঠেনি। স্কুল ফেইট মূলত স্কুলের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত বার্ষিক অনুষ্ঠান যার মূল উদ্দেশ্য স্কুলের জন্য অর্থ সংগ্রহ।

বিশাল উতসব। স্কুলের নাম ফিথসরয় প্রাইমারি স্কুল। স্কুলের সকল ছাত্র-ছাত্রী, ছাত্রছাত্রীদের বাবা-মা ও পরিবারের অন্য লোকজন এবং স্থানীয় লোকজন সবারই স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ থাকে এই ফেইট উতসবকে ঘিরে। স্কুলের শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীদের বিশাল প্রস্তুতিও থাকে।

অর্থ সংগ্রহের নানান পদ্ধতিঃ

প্রত্যেক ছাত্রছাত্রীর পরিবার কেক, বিস্কিট সহ অসংখ্যরকম খাবার তৈরী করে ফেইট-এ বিক্রির জন্য। শতশত কেক সহ অন্যান্য খাবার আবার নিজেরাই পছন্দ মতো কিনে খায়। খাবার বিক্রির সকল অর্থ স্কুলফান্ডে যায়।

ছাত্রছাত্রীর পরিবার নিজেদের অব্যবহৃত অনেক কিছুই স্কুলকে দিয়ে দেয় বিক্রির জন্য। যেমন বাচ্চাদের অব্যবহৃত জামাকাপড় যেগুলো সাইজে এখন ছোট, বা বাচ্চা ব্যবহার করতে ইচ্ছুক না কিন্তু এখনও ব্যবহার উপযোগী আছে। বাচ্চাদের নানান রকম খেলনা, অব্যবহৃত ইলেকট্রনিক্স সামগ্রি ইত্যাদি।

স্কুল শিক্ষক, স্কুল কমিটি এবং ফেইট উদযাপন কমিটির লোকজন স্থানীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে গিয়ে গিয়ে সহায়তা সংগ্রহ করে। এই সকল প্রতিষ্ঠান মূলত নগদ অর্থ না দিয়ে নিজেদের পণ্য দিয়ে সহায়তা করে থাকে। যেমন একটা কাপড়ের দোকানদার হয়তো একটা চাদর দিলো, টয়লেট্রিজের দোকানদার কিছু প্রসাধণসামগ্রী দিলো ইত্যাদি। আবার যাদের পণ্য দেওয়া সম্ভব নয় তারা নির্দিষ্ট অর্থের ভাউচার দিয়ে দেয়। যেমন, রেস্টুরেন্ট ভাউচার দেয়, দু’জন বা চারজনের একবেলা খাওয়ানোর। ওই ভাউচার নিয়ে ওই রেস্টুরেন্টে গেলেই তারা বিনা পয়সায় নির্ধারিত খাবার খাওয়াবে। সিনেমা হল কয়েকটি আগাম টিকিট দিয়ে দেয়, ইত্যাদি! মাসাধিককাল ধরে সংগ্রহকৃত এই অসংখ্য পণ্য ও ভাউচার নিয়ে হয় সাইলেন্ট অকশন। সাজিয়ে রাখা পণ্য ও ভাউচারের গায়ে একটা নাম্বার থাকে আর প্রতিটা নাম্বারের জন্য পাশের টেবিলে থাকে একটা করে কাগজ। নির্দিষ্ট নাম্বারের কাগজে আপনি আপনার পছন্দ মতো টাকার অংক, নাম ও মোবাইল নাম্বার লিখে আসবেন, যদি আপনি পণটি কিনতে আগ্রহী হন। তবে প্রথম জন যা দাম দিবে পরের জনকে অবশ্যই তার চেয়ে ৫ ডলার বেশি লিখতে হবে। এভাবে অসংখ্য লোক তার পছন্দের পণ্যের জন্য সাইলেন্ট অকশনে অংশগ্রহণ করে। আজকের সাইলেন্ট অকশনে তিনটা সাইকেলও ছিলো, ছিলো অসংখ্যরকম ছোট বড় ইলেকট্রনিক্স আইটেম, বালিশ-তোষক থেকে শুরু করে নানান ধরণের ভাউচার। অকশনকৃত সকল অর্থই স্কুল ভান্ডে জমা হবে।

এছাড়াও আছে অসংখ্য স্টল। এমনকি বাইরে থেকে আসা নানান দোকান, যাদেরকে স্কুল ফান্ডে নির্দিষ্ট অংকের অর্থ প্রদান করতে হবে।

প্রতি বছরই ফেইট-এর অর্থ দিয়ে স্কুলের উন্নয়ন সাধিত হয়। শুধুমাত্র সরকারের সহায়তার দিকে হাঁ করে তাকিয়ে থাকতে হয় না।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.