নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শোষণ-বৈষম্য হীন একটা মানবিক সমাজ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশনে কাজ করি আমি। বুর্জোয়া আধিপত্যের বিপরীতে রাজেনৈতিক, সামাজিক, আর্থিক, সাংস্কৃতিক ও মনজাগতিক ক্ষেত্রে শ্রমিক কৃষক মেহনতী মানুষের পাল্টা আধিপত্য গড়ে তোলাই প্রথম কাজ।
সাতক্ষীরায় যৌথ বাহিনীর সাথে সংঘর্ষে (১৪ জানুয়ারী ২০১৪)জামাতের একজন রুকন নিহত হয়েছেন। বাংলাদেশে সম্ভবত এটাই প্রথম ক্রসফায়ারে জামাতের কোন রোকন সদস্য নিহত হলেন। গত বছরখানেকের মধ্যে আরো কয়েকজন জামাত-শিবিরের কর্মী ক্রসফায়ারে নিহত হলেও সম্ভবত কেউ রোকন পর্যায়ের ছিলেন না।
কিন্তু কথা হচ্ছে, দেশে এখনও এত আন্ডারগ্রাউন্ড কমিউনিস্ট থাকতে, এত বাম প্রগতিশীল বুদ্ধিজীবী থাকতে, এত ইসলাম বিরোধী কট্টোর নাস্তিক থাকতে, জামায়াত-শিবিরের নেতারা কেন ক্রসফায়ারে যাচ্ছে?? ক্রসফায়ারের ভুত কেন কমিউনিস্টদের ঘাড় থেকে হঠাৎ করে জামাতের ঘাড়ে গিয়ে উঠেছে???
কাহিনী বরাবরের মতো একই! ওত পেতে থাকা সন্ত্রসীদের সঙ্গে যৌথ বাহিনীর গুলি বিনিময় হয়।সংঘর্ষের পরে পুলিশ আনারুল ইসলামকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। হাসপাতালের ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে। এযাবতকাল বাংলাদেশে যতগুলো ক্রসফায়ার বা এনকাউন্টার হয়েছে, সামান্য কিছু শব্দ বাদ দিলে বা কয়েকটা শব্দ আগে-পিছে করে দিলে সব কাহিনীরই একই ফরমেট।যৌথবাহিনীর কম্পিউটারে সংরক্ষিত বিবৃতিটি শুধু নাম ঠিকানা পরিবর্তন করে সংবাদ মাধ্যমে পাঠানোর কাজ করে থাকে বলে বিস্তর অভিযোগ আছে। ক্রসফায়ার নিয়ে আলোচনা-সমালোচনারও অন্ত নেই। কিন্তু তারপরও ক্রসফায়ার হচ্ছে অনেকটা নিয়মিতই। একই ঘটনার বিবরণ দিয়ে একই বিবৃতি মিডিয়ায়ও আসছে নিয়মিত।
র্যা বের সৃষ্টিকে যদি ক্রসফায়ারের শুরু ধরা হয়, তাহলে ২০০৪ সাল থেকে আজকের ২০১৪ সাল পর্যন্ত ক্রসফায়ারে মৃত্যুর সংখ্যা কত? ইন্টারনেটে অভিযান চালিয়েও সঠিক সংখ্যাটা বের করা এই অধমের পক্ষে সম্ভব হয়নি। তবে নানান নথিপত্র ঘেটে এটা অনুমান হচ্ছে যে, সংখ্যাটা এখন দেড় হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে! গুরুতর আহত হয়েছেন, আজীবন পঙ্গু হয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। তবে ঘটনা যাই ঘটুক না কেন, কোন হত্যা-নির্যাতনের ব্যাপারে এখনও পুরোপুরি অভিযুক্ত করা যায় নি র্যা ব বা যৌথবাহিনীকে।তাদের দাঁড় করানো যায় নি বিচারের কাঠগড়ায়!শুধু লিমনের ঘটনাটা একটা বিষফোঁড়ার মতো র্যা ব-পুলিশ বাহিনীর উপর একটু স্থায়ী কলঙ্ক চিহ্ন রেখে দিয়েছে।
পরিবার এবং আত্মীয়-স্বজনের পক্ষ থেকে প্রায় প্রতিটা ক্রসফায়ারের ক্ষেত্রেই ঠান্ডা মাথায় খুন করার অভিযোগ আছে! আছে কম-বেশি কিছু প্রমাণও। কিন্তু তারপরও ক্রসফায়ারকারী আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী বিচারের আওতার বাইরে। এর একমাত্র কারণ, খালেদা জিয়া এবং শেখ হাসিনার সরকার কখনই যৌথবাহিনীর এ ক্রসফায়ারকে হত্যা হিসাবে বিবেচনা করেন নি! আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের নামে যৌথবাহিনীর গণনির্যাতন কখনই সরকারীভাবে নির্যাতন হিসাবে পরগণিত হয় নি। খালেদা জিয়া যেমন অপারেশন ক্লিনহার্টের পর যৌথবাহিনীকে দায়মুক্তি দিয়েছেন, শেখ হাসিনাও তাদের হত্যা-নির্যাতনকে ক্ষমা-সুন্দর দৃষ্টিতেই দেখে থাকেন। তাইতো কোন হত্যা নিয়ে যখন চরম বিতর্ক আর নিন্দার ঝড় ওঠে, তখন সরকারই যৌথবাহিনীর পক্ষে নানানভাবে সাফাই গাইতে থাকে। সরকারই দায়িত্ব নেয় মানবাধিকার সংগঠনসহ অপরাপর দেশী-বিদেশী সমালোচকদের কনভিন্স করার। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় এই খুন-নির্যাতনকে যথাযথ কাজ হিসাবে যায়েজ করতেই সর্বদা সচেষ্ট থাকে।
সন্ত্রাস দমনের নামে যৌথবাহিনীর অভিযান পরিচালনা করলেও এর ব্যবহার হয় মূলত সরকারবিরোধী শক্তিকে দমিয়ে দিতে। ২০০৪ সাল থেকে আজ পর্যন্ত যৌথবাহিনীর ব্যবহার হয়েছে বিরোধী শক্তির উপরই। কিন্তু যেহেতু সরকার পরিবর্তনের সাথে সাথে সন্ত্রাসীরাও দল পরিবর্তন করে, তাই বেশিরভাগ কুখ্যাত সন্ত্রাসীরা থেকে যায় বরাবরই ধরাছোঁয়ার বাইরে।
বলে রাখা ভালো যে, আমি বিনা বিচারে মানুষ হত্যার যেমন বিরোধী,তেমনি স্বসস্ত্র গোপন রাজনীতিকেও ভুল রাজনৈতিক পথ বলে মনে করি।আমি জামাত-শিবিরের ধর্মান্ধ-বর্বর সন্ত্রাসী-খুনিদের যেমন বিচার চাই,তেমনি অন্যান্য দলের সন্ত্রাসীদেরও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।তবে অবশ্যই বিনা বিচারে, কোনরকম আইন, মানবাধিকারের তোয়াক্কা না করে ক্রসফায়ার নাম দিয়ে রাষ্ট্রের উদ্যোগে মানুষ খুনের সম্পূর্ণ বিরুদ্ধে আমি। ক্রসফায়ার বা বিনা বিচারে হত্যার মধ্য দিয়ে কোন দেশ সন্ত্রাসমুক্ত হয়েছে, এরকম নজির বিশ্বে একটিও নেই। দুনিয়ার যে সমস্ত দেশে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সমর্থ হয়েছে, যেসমস্ত দেশে অপরাধ নেই বললেই চলে, তারা কিন্তু এধরণের ক্রসফায়ারের পদক্ষেপ নিয়ে দেশকে অপরাধমুক্ত করেন নি।দলীয়করণ মুক্ত ও দুর্নীতিমুক্ত শক্তিশালী আইন ও বিচার বিভাগই অপরাধমুক্ত রাষ্ট্র গঠনের প্রধান নিয়ামক।আর বাংলাদেশের আইন ও বিচার বিভাগ যেহেতু দলীয়করণ ও দুর্নীতিতে আকন্ঠ নিমজ্জিত তাই সন্ত্রাস দমনের উপায় হিসাবে সরকার বা জনগণ কেউই আইন ও বিচারের উপর আস্তা রাখতে পারেন না।ফলে সন্ত্রাস দমনকল্পে আপাত কার্যকরী অত্যন্ত পুরনো সেই হত্যার সহজ রাস্তায়ই হাটে সরকার।আর ওদিকে যারা নিত্য সন্ত্রাসী পয়দা করছে, সন্ত্রাসের কারখানা যাদের মালিকানায়, তারা থাকছে ধরাছোঁয়ার বাইরে।ফলে ক্রসফায়ার যতই বাড়ছে, সন্ত্রাসী-দুর্নীতিবাজের সংখ্যা বাড়ছে তার চেয়ে অনেক দ্রুতহারে।
আবারও সেই গোড়ার কথাতে ফিরে আসি!জামাত-শিবির কেন এখন ক্রসফায়ারের শিকার? এই জামাত এমনই একটা দল যারা সব সময়ই রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেছে।কি মুক্তিযুদ্ধের আগে আর কি পরে।গত ৪২ বছরে এমন কোন সরকার ক্ষমতায় আসেনি যারা জামায়াত-শিবিরকে রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত করেছে। এমনকি ধমীয় রাজনীতি যখন নিষিদ্ধ ছিলো তখনও জামায়াত শিবিরের ধর্মব্যবসায় কোন বাঁধা ছিলো না। রমরমা ধর্মব্যবসার আড়ালে তারা কৌশলে রাজনীতির কাজও করেছে তখন। ফলে তাদের ব্যবসা যেমন বেড়েছে, তেমনি রাজনীতিতেও তাদের আসন পাকা হয়েছে।এই যেমন শেখ হাসিনার মহাজোট সরকার গত পাঁচ বছরে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে কত কিছুই না করলো।জামাত-শিবিরের বিরুদ্ধে কত এ্যাকশনই না দেখালো। কিন্তু তাতে ধর্মকে পুঁজি করে জামাত-শিবিরের দেশব্যাপী যে রমরমা ব্যবসা সেটা কি বন্ধ হয়েছে? এমনকি ক্ষতিগ্রস্তও কি হয়েছে?? উত্তর, না! বরং পাঁচবছর আগে যেখানে জামাত-শিবিরের প্রতিষ্ঠানসমূহের বাৎসরিক নীট মুনাফা ছিলো ১২শত কোটি টাকা, এখন মহাজোটের পাঁচবছর পরে এসে সেটা ফুলে ফেঁপে বাৎসরিক নীট মুনাফা দাঁড়িয়েছে দুই হাজার কোটি টাকা!
এখন শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ বা মহাজোট সরকার বেশ জোরেসোরেই জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধের কথা বলছে। কিন্তু একবারও বলছে না, ধর্মকে পুঁজি করে তাদের যে দুই হাজার কোটি টাকার নীট মুনাফার ব্যবসা, সেটার কি হবে? রমরমা ব্যবসা বা পর্যাপ্ত আর্থিক যোগান বন্ধ না করে জামাত-শিবির নিষিদ্ধ করার অর্থ হচ্ছে গাছের গোড়া না কেটে উপরদিয়ে কিছু পাতা ছিড়ে নিয়ে আসার মতো।এতে জামাত-শিবির ধ্বংস তো দুরের কথা, খুব বড় কোন ক্ষতির শিকার হওয়ারও সম্ভাবনা নেই।
কমিউনিস্ট-বামপন্থিদের নাস্তিক ও ইসলাম বিরোধী হিসাবে দেশব্যাপী প্রচারে নিয়ে আসার ক্ষেত্রে জামাতই অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। মসজিদ-মাদ্রাসা ব্যবহার করে ধর্মপ্রাণ মানুষের ভিতর বদ্ধমূল ধারণা দিয়ে দেয়া হয়েছে যে, কমিউনিস্ট আর বামপন্থিরা সবই নাস্তিক,কাফের আর ইসলাম বিরোধী।বামপন্থি নাস্তিকরা মুসলমানের ভাল চায়না,সমাজের ভাল চায়না, দেশের ভাল চায়না। জামাতের এ বাম বিরোধী প্রচারণা বেশ সফলতার মূখও দেখেছে।আওয়ামী লীগ ও বিএনপি এই বাম বিরোধী জামাতী প্রচারণায় কখনও সহায়তা করেছে, কখনও জানিয়েছে মৌন সমর্থন।ধর্মকে পুঁজি করে জামাতের ব্যবসার যেমন কেউ বিরোধিতা করে নি, তেমনি বিরোধীতা করেনি বামপন্থিদেরকে ধর্মপ্রাণ মানুষের বিরুদ্ধে দাঁড় করানোর জামাতী প্রচেষ্টারও।ধর্মব্যবসার বিরুদ্ধে, ধর্মান্ধ উগ্রবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বামপন্থিদের প্রচারও সেক্ষেত্রে ধর্মপ্রাণ মানুষের আস্তা অর্জন করতে পারেনি।
জামাত-শিবির এটা ভালই বোঝে যে তাদের ধর্মব্যবসা, ধমীয় সন্ত্রাসবাদ ও ধর্মীয় রাজনীতির বিরুদ্ধে জনপ্রতিরোধ গড়ে তোলার সামর্থ ও প্রচেষ্টা একমাত্র বামপন্থিদেরই আছে।বামপন্থিরাই পারে যুক্তি দিয়ে, তথ্য দিয়ে, আন্দোলন দিয়ে জামাত-শিবিরের বিরুদ্ধে জনপ্রতিরোধ গড়ে তুলতে। তাইতো সাঈদীর অসংখ্য ওয়াজ থেকে বামপন্থিদের বিরুদ্ধে নানান ফতোয়া দিতে দেখা যায়। তাইতো মিথ্যা তথ্য দিয়ে, বানোয়াট গল্প দিয়ে ধর্মপ্রাণ সাধারণ মানুষের মনে বাম বিরোধীতা জাগানো হয়। মসজিদের খুদবা পাঠে বামপন্থিদের কুৎসা গাওয়া হয় হরহামেশা।মাদ্রাসার শিক্ষকরা ছাত্রদের মগজধোলাইয়ের সময়ও বাম বিরোধীতার বিষ ঢুকিয়ে দেয় কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মাঝে। এরাই বড় হয়ে যখন শিবির-হেফাজতের ক্যাডার হয় তখন বামপন্থিদের হত্যার পরিকল্পনা করে।
র্যা ব গঠনে নাকি জামাত-শিবিরের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিলো। বিশেষ করে র্যা ব কিভাবে ফাংশান করবে সেই পরিকল্পনা নাকি জামাত শিবিরের হাতেই তৈরী। তাছাড়া ছাত্রজীবনে যারা শিবির আর ছাত্রদলের ক্যাডার ছিলো সেই সব পুলিশ-আর্মি-বিডিআরের সদস্যদেরই বেঁছে বেঁছে নাকি র্যা বে ঢোকানো হয় তখন। আর সেই একসময়কার শিবির-দলের ক্যাডাররা র্যা বের দায়িত্ব নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে ক্লিনহার্ট অপারেশনে। তখন শুরুতে দুই একজন দলছুট ও বেয়াড়া বিএনপি নেতা ক্রসফায়ারে গেলেও, মূল ক্রসফায়ারটা তাই জামাতের পরিকল্পনা মতোই চালিয়ে দেয়া হয় গোপন বামপন্থী সংগঠনের নেতাদের উপর। তাই হাতেগোনা কয়েকটা সন্ত্রাসী বাদ দিলে বাকী হত্যার শিকার শত শত বাম-প্রগতিশীল রাজনীতিক।
জামাত-শিবিরের পরিকল্পিত বামপন্থি নিধনের এই ক্রসফায়ার ফকরুদ্দিন-মঈনুদ্দিনের সরকারের আমলেও বহাল ছিলো। কারণ ফকরুদ্দিন-মঈনুদ্দিনের তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্রসফায়ারের পরিকল্পনা যেমন পরিবর্তন করেননি তেমনি পরিবর্তন করেননি যৌথবাহিনীর শিবির ক্যাডারদের নেতৃত্বও।তাই সেনাসমর্থীত ওই সরকারের সময়েও জামাত-শিবিরের প্রশিক্ষিত অস্ত্রধারী ক্যাডারদের গাঁয়ে লাগেনি ফুলের টোকাটাও।
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এসেও পরিবর্তীত হয়নি জামাত-শিবির পরিকল্পিত সেই ক্রসফায়ার। মহাজোট সরকার ক্রসফায়ারের পরিকল্পনায় কোন পরিবর্তন না এনে শুধুমাত্র কতিপয় শিবির-ছাত্রদল সমর্থীত রযান ব বা যৌথবাহিনীর অফিসার বদল করেন। ফলে তাতে বন্ধ হয়নি চরমপন্থী তকমা দিয়ে বামপন্থি নিধন।মহাজোট আমলেও তাই বরাবরের মতো জামাত-শিবির থাকে ধরা-ছোঁয়ারই বাইরে।
গত মহাজোটের সরকারের শেষ সময়ে এসে পরিবর্তন আনা হলো ক্রসফায়ারের সেই জামাতী পরিকল্পনায়।গোপন বামপন্থীদের সাথে যুক্ত হয়ে গেলো ক্রসফায়াররের পরিকল্পনাকারী সেই জামাত-শিবিরেরই নাম।আর তারপর থেকেই ক্রসফায়ারের ভুত বামপন্থিদের ঘাড় থেকে সোজা গিয়ে উঠলো জামাত-শিবিরের ঘাড়ে।যতদুর জানা যায়,গণজাগরণ মঞ্চকে কেন্দ্র করেই মূলত ঘটনার সূত্রপাত।জামাত-শিবির যখন আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের গায়ে নাস্তিকের সীল লাগানোর চেষ্টায় সারাদেশে ব্যাপক কার্যক্রম চালায়, আওয়ামী লীগও তখন জামাত-শিবিরকে সন্ত্রাসী সংগঠন প্রমাণে ব্যাপক পদক্ষেপ গ্রহণ করে।আর তখনই ক্রসফায়ার পরিকল্পনার সাথে জুড়ে যায় জামাত-শিবিরের নাম।
শুনে অনেকের মতো আমারও বেশ খুশিই লাগছিলো। তোরাই র্যা বের ক্রসফায়ারের নামে বামপন্থি জনক, অথচ এখন সেই ক্রসফায়ার তোদের উপরই চালানো হচ্ছে।কিন্তু তারপরও আমি ক্রসফায়ার নামক রাষ্ট্রীয় এই হত্যার পুরোপুরি বিরুদ্ধে।হোক না সে জামাত-শিবিরের সন্ত্রাসী, দেশদ্রোহী,ধর্মান্ধ! তারপরও তাকে বিচারের মাধ্যমেই শাস্তি দেয়া উচিত।তাছাড়া ক্রসফায়ারই এটা প্রমাণ করে যে, দেশে আইনের শাসন নেই, বিচারব্যবস্থা অত্যন্ত দুর্বল! ক্রসফায়ারই প্রমাণ করে বাংলাদেশের সরকার আইন ও বিচার বিভাগের প্রতি কত বেশি আস্তাহীন।
আজ জামাত-শিবিরের নাম জুড়ে দিয়েছে মহাজোট সরকার! কাল হয়তো অন্য কোন সরকার এসে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগের নাম জুড়ে দেবে! এভাবেই কি চলতে থাকবে বিচার বহির্ভূত রাষ্ট্রীয় হত্যা? আইন, বিচার, মানবাধিকার সব ঠুটো জগন্নাথ হয়ে বসে থাকবে?
এ অবস্থার অবসান জরুরী। জরুরী, আইন ও বিচার বিভাগকে দুর্নীতি ও দলীয়করণ মুক্ত করে দেশে আইনের সাশন ফিরিয়ে আনা। তা না হলে চলতেই থাকবে গণতন্ত্রের নামে স্বৈরশাসন! চলতেই থাকবে বিচারবহির্ভূত রাষ্ট্রীয় হত্যাযজ্ঞ!
পাঠক লাল গোলদার
২০ জানুয়ারী ২০১৪
২| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৪৭
এই আমি সেই আমি বলেছেন: বিচার বহির্ভূত যে কোন হত্যাই নিন্দনীয় । কিন্তু জামাত শিবির যেভাবে মুসলমানকে চিতার আগুনে পুড়িয়ে মারছে আর তাকে জিহাদের মোড়কে উপস্থাপন করছে । তা কতটা যুক্তি এবং ধর্ম সঙ্গত ?
©somewhere in net ltd.
১| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:৪৯
মো ঃ আবু সাঈদ বলেছেন: ভাল তো ভালা না,রক্ষী বাহিনী এখন যৈাথ বাহিনী..