![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার সম্পর্কে যাকে ভালো লাগবে তাকেই শ্রেফ জানাবো, অযাচিত আবার কেউ না বলে বসে এ আবার কোন নুতন নাস্তিক !!!
কেন এই হানাহানি?
কার জন্যে ঝরছে এই রক্ত?
কিসের জন্যে কোন সংগ্রাম?
ভাবতেই অবাক লাগছে জাতি হিসাবে আসলেই আমরা কত নির্লজ্জ। হানাহানি করছি নিজেরাই নিজেদের সাথে। সবই যুক্তিহীন সবই অর্থহীন। সত্যই কি জাতিতত্বে কোন সাম্প্রদায়িকতা আছে? তাদের থেকেই আমার জানার খুব ইচ্ছে এই ব্যাপারে যারা কথায় কথায় ধর্ম’কে বর্ম হিসাবে ব্যবহার করছে। আমি যদ্দুর জানি ইসলাম তো কোন সাম্প্রদায়িকতার ধার ধারেনা। ইসলাম সব ধর্মের সেরা ধর্ম। ইসলাম শান্তির ধর্ম। ইসলাম এমন এক পাথেয় যা বিবর্তনময় প্রগতিও হার মানবে অবনত মাথায়। কেন ইসলাম’কে নিয়ে সবখানে এতো ধুয়াশে পর্যালোচনা? প্রসঙ্গত বলতে হয়, ব্রিটিশ যখন পুরো বাংলা কবজা করে তখন তারা এক দুরভিসন্ধিমুলক কাজ করে। সব ধর্মের বড় বড় জ্ঞ্যানি বুদ্ধাদের বুঝালেন ইংরেজী শয়তানের ভাষা আর ধর্ম এর থেকে যেন আপন স্বজাতি’কে বিরত করে। ব্রিটিশদের সাথে একমাত্র মৌলানা সম্প্রদায়ই একমত হয়েছিলেন কারণ তার জন্যে বিশেষ উপৌঢকণ দেয়া হয়েছিল। ইতিহাস যা বলে। পরবর্তীতে ব্রিটিশ’রা দেখল হিন্দু আর বৌদ্ধরা তাদের ওয়াদা রাখেনি। এতে একটু বিচলিত হলেও বিস্মিত হওয়ার কোন লক্ষণ ছিল না। ঠিক তখন থেকেই বীছ বপণ করা হয় সম্প্রদায়িকতার - উগ্র মৌলবাদের।
ইসলাম কোন হিংস্রতারে সাক্ষ্য দেয় না। যেমন ধরা যাক উদাহরণ স্বরূপ ‘হুদাবিয়ার সন্ধি’ - যা মক্কা বিজয়ের সন্ধি হিসাবে খ্যাত। ঐ সন্ধি’তে যতগুলো চুক্তি ছিল তার সবই ছিল মুসলিমদের বিরুদ্ধে। কিন্তু তিনিই জানতেন ( হযরত মোহম্মদ সাঃ) এই চুক্তির ভবিষ্যৎ কি। যার জন্যে কোন আপত্তি ছাড়াই সব মেনে নিয়েছিলেন। পরবর্তীতে বিনা রক্তপাতে ঐ চুক্তির আওয়তায় মক্কা বিজয় হয়। (দ্রষ্টব্য : হুদাবিয়ার সন্ধি বা মক্কা বিজয়ের কাহিনী পড়লেই সব পরিস্কার হবে ) তাহলে ইসলাম কি অনৈতিকতা’কে সাক্ষ্য দিয়েছিল? সাক্ষ্য দিয়েছিল সাম্প্রদায়িকতাকে? সাক্ষ্য দিয়েছিল হিংস্রতা’কে?
বর্তমান প্রেক্ষাপটে ইসলামের নামে তাহলে কি হচ্ছে? আমাদের ‘রব’ মহান রাব্বুল-আলামিন মানুষ’কে পাঠিয়েছেন সৃষ্টি সেরা করে, কেন? কারণ একমাত্র মানুষেরই আছে ভাল-মন্দ যাচাইয়ের ক্ষমতা, সত্য-মিত্যা উদঘাটনের চিন্তা শক্তি।
জাতি হিসাবে কি তাহলে আজ আমরা চিন্তা-শক্তি শুন্য? ভাল-মন্দ যাচাইয়ের ক্ষমতা কি নাই নাকি শেষ? ধিক্কার সেই সব ব্যক্তি - পরিবার - সমাজ’কে, যার বা যাদের রুগ্ন চিন্তায় আজ দেশের এমন অবস্থা। ক্ষমতার জন্যে এতো মোহ যার সে কি করে জ্বালাবে মঙ্গল প্রদীপ।
তারপরও স্বপ্ন দেখি দিকে দিকে জ্বলুক মঙ্গল প্রদীপ, যে প্রদীপের আলোয় আমি দেখবো আমার মায়ের হাসি মাখা মুখ। নাহ্ আর দেখবো না কোন মা অশ্রু ফেলছে তার প্রিয়জন হারানোর বেদনায়।
অবশ্যই জয় হবে এবং অবশ্যই হবে জয় সত্যের। বাঙালীর জয় হউক।
©somewhere in net ltd.