![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার সম্পর্কে যাকে ভালো লাগবে তাকেই শ্রেফ জানাবো, অযাচিত আবার কেউ না বলে বসে এ আবার কোন নুতন নাস্তিক !!!
কালো ছায়া –
শ্রাবণ আহমেদ হিমু।
বারান্দার সামনের আম গাছটায় দু’টা চড়ুই পাখি এমন কানাকানি করছে যেন ফিরে পাওয়া একজন অন্যজনকে। খবরের কাগজটা নিয়ে রশিদ সাহেব বসলেন। চশমাটা কেমন ঝাপসা লাগছে।
কই গেলে রীমা’র মা? একটু শুনে যাও তো। (গলা উঁচিয়ে মাজেদা’কে ডাকে )
বয়স ষাটের ঘরে ছুই ছুই করছে কিন্তু দেখলে কারোর বুঝার উপায় নাই। মাঝে মাঝে বসে ভাবেন জীবনের ব্যস্ত সময়ের কথা, যৌবনের কথা। ইনঞ্জিনিয়ার হিসাবে শুরু করেন পেশা জীবন। তারুণ্য তখন টগবগ করছে কথায়, কাজে, স্বপ্নে। যে দেশটার জন্যে উজ্জ্বল সব স্বপ্ন দেখতেন সে দেশের আজকের এমন পতন দেখে মনে মনে কাঁদেন। পত্নী আর দু’সন্তান নিয়ে সংসার। স্বপ্নে দেখেন সন্তান গুলো যেন মানুষের মতো মানুষ হয়। প্রয়োজনের অতিরিক্ত কথা বলেন না। এক কথা দুবার বলার অভ্যেসও তাঁর নেই। এ নিয়ে মাজেদা’র সাথে অনেক সময় রাগও করেন। যদিও চুপচাপই থাকেন যতক্ষণ ঘরে থাকেন। মাজেদা ঘর সামলান নিজের মতো করে। কারোর নাক গলানো তার একদম পছন্দ না। এর জন্যে স্বামীকেও ছাড় দেন নাহ। দু’সন্তানকে যত ভালবাসেন তত শাসনেও রাখেন।
কি হলো সকাল সকাল এতো চেঁচাচ্ছ কেন?
চশমা’টা কেমন ঝপসা লাগছে একটু পরিস্কার করে দাও। এক কাপ চা কি হবে?
নিরুত্তর মাজেদা শাড়ীতেই চশমা মুছে দিয়ে চলে গেল, চা হবে কি না কিছুই বুঝা গেলনা। বড় সন্তান অর্ক’কে নিয়ে রশিদ সাহেব আর মাজেদা চিন্তার অন্ত নাই। কেমন যেন ঘরকুনো স্বভাব। লেখাপড়ার হাল ছেড়ে দিয়েছে অনেক আগেই। দেশের বাইরে পাঠানো হলো যদি একটু জীবন সম্পর্কে কোন ধারণা হয় এই ভেবে। কিন্তু বিধিবাম, কিছুই হলো না। রশিদ সাহেব তাকে নিয়ে আর তেমনটি ভাবেন না এখন। সে মা’য়ের ছোট খাটো পরমায়েশ খেটে চলছে। অবশ্য মেয়ে রিমা’কে নিয়ে তেমন একটা চিন্তীত নন। কারণ মেয়েটা মেধাবী না হলেও মোটামুটি ভাল পড়ালেখায়। ব্যবসা প্রশাসন নিয়ে পড়ছে।
কিছুক্ষণ পর চা হাতে হাজির হলেন মাজেদা। আজকের আবহাওয়া একদম অন্যরকম। রশিদ সাহেবের সামনে চা রেখে পাশেই বসলেন। রশিদ সাহেব একটু হকচকিত হলেন বটে প্রকাশ করলেন না। ভাব এমন যেন হরহামেশা এমন হয়। খবরের কাগজ থেকে চোখ সরিয়ে বললেন,
কি ব্যাপার, কিছু বলবে মনে হচ্ছে।
হুম। সংসারের দিকে নজর দেওয়ার সময় তো তোমার নেই। তাই জানাতে হয়। মেয়ে যে দিন দিন বড় হচ্ছে তা কি জানো?
সকালেই তো দেখলাম, জিজ্ঞেস করলাম কই যাস্ রে মা? বললো তো ইউনির্ভাসিটি যাচ্ছে। এরই মধ্যে কি সে আরো বড় হয়ে গেল নাকি – একটু অবাক হওয়ার মতোই হলেন রশিদ সাহেব।
তোমার মাথা দিন দিন যাচ্ছে। এরমানে বিয়ে শাদি’র কথা কি ভাবছো কিছু?
মেয়ে যখন বিয়ে তো দিতেই হবে আজ নয় তো কাল। এতে ভাবনার কি আছে, লেখাপড়া তো শেষ করুক আগে।
লেখা পড়া করে কি র্জজ ব্যরিষ্টার হবে নাকি শুনি?
হতেও তো পারে। যদিওবা সে তা নিয়ে পড়ছে না।
তাহলে?
শুনো যা বুঝবা না তা নিয়ে এত কথা পাকাই লাভ নাই। সময়ের কাজ সময়ে হবে। তারছে বড় কথা মেয়েরও একটা ইচ্ছ অনিচ্ছার ব্যাপার আছে।
তার আবার কিসের ইচ্ছা অনিচ্ছা? আমরা যে সিদ্ধান্ত নিব তাই মানতে হবে। আর আমরা কি তার খারাপ কিছু ভাবছি?
মাজেদা, শুনো সে দিন আর এখন নাই।
কেন আমাকে কি আমার মা-বাবা পছন্দ করে বিয়ে দেয় নাই?
রশিদ সাহেব কথা বাড়ালেন না। হাসতে হাসতে খবরের কাগজে আবার ডুব দিলেন।
- : -
রীমা তখন ইস্কুলে। ভাল নাম নুসরাত জাহান রীমা। স্বভাবটা বড়ই চঞ্চলে ধরনের। কিছুতেই সে স্থির থাকতে চাই না বা পারেনা। খুবই বন্ধুভাবাপন্ন মনের। নেহায়েত সহজ সরল মনেরই। অনেক বন্ধু তার কিন্তু সবার সাথে বন্ধুত্ব নাই। কারণ একটাই – বন্ধুর মাঝে যে সমস্ত গুণাবলী সে খুঁজে তার ছিটেফুটা নাই বলে। তার বিশ্বাস বন্ধুর থাকতে হবে আত্মমর্যাদাবোধ, সহনশীল, নম্র, বিনয়ী, সদালাপী, সুন্দর মননশীল, মানবিক সৌকর্য। কমবেশী ঘাটতি মিলিয়ে রীমা’র দুই বন্ধুই আছে তন্নী আর ওঁমী। এ তিনজনের যাই’ই হোক তা ত্রিভূজ চক্করে থাকে বাইরে যায় না। ইস্কুলে ক্লাসে বসে সে অবাক মনে দেখত তার অংকের শিক্ষক ইমন’কে। মনে মনে বুনতো অনেক স্বপ্ন। এমন হলো একদিন শিক্ষক তার পাঠদানে ব্যস্ত হঠাৎ তার নজরে পড়ল রীমা হা করে তার দিকে তাকিয়ে আছে। কাছে আসল রীমার খাতা দেখল, সে কিছুই তুলেনি খাতায়।
রীমা, তোমার কি শরীর খারাপ?
না, না, স্যার।
তাহলে কিছুই যে খাতায় নাই? কোন কারণে কি বিচলিত?
রীমা নিজের সাথে নিজেই বলে –
“তোমার কি এটা বুঝারও চোখ নাই আমি কেন অন্যমনস্ক হচ্ছি আর কেনইবা বিচলিত হচ্ছি। সব তো তোমায় ঘিরে। এই যে তুমি ঠিক আমার সামনে দাড়িয়ে আছো বুঝাতে পারবো না কেমন ভাল লাগছে। এটা কি নিরন্তর করা যায় না যা আমার ভাল লাগবে?” নিজেকে সামলে নিয়ে বলে –
না স্যার কিছু নাহ।
দ্যাখ, আমি চাইনা তোমাদের সবার সাথে আমার সম্পর্কে কোন ভীতি থাকুক। সবাইকে উদ্দেশ্য করেই বললেন, তোমরা ঠিক আমার ছোট ভাই বোনের মতোই। কারোর যদি কোন বিষয় বুঝতে সমস্যা হয় সরাসরি বলবে। কোন সংকোচবোধ করার দরকার নাই।
রীমা নিজের মনেই গজগজ করে বলে – “শালা আমি কি ভাবি আর তুই বলিস বোন। নরকে যা তুই। তুই মর।”
দ্যাখ রীমা যদি কোন ব্যাপার খটকা থাকে বলে ফেলবে, ঠিক আছে।
রীমা হ্যাঁ সুচক মাথা নাড়ল। আপন মনে বলল – “শালা হাদারাম তুই কি চোখ দেখেও বুঝিস না তোর জন্য আমার মন কেমন করছে। মনে বিশাল জায়গা খালি করলাম তোর জন্য, আর তুই আসলি আমার সাথে মাস্টারি ফলাইতে। তুই মর। তুই গু খা। আমি মরলে বুঝবি। না পারি কাউরে কইতে না বুঝাইতে। তুইও বুঝলি না।”
কালের পরিক্রমায় একসময় এসব জীবনের মজার কোন ঘটনার মতো মনের ডায়েরীতে অম্লান হয়ে আছে। যখনই মনে হয় শুধুই একা একা হাসি পায়। কতই না বোকা ছিল এই ভেবে। আবার এও ভাবনায় আসে আসলে কি ইমন স্যার কিছুই বুঝতো না। নাকি এড়িয়ে চলত সব বুঝেও। ইস্ এ সব অমিমাংসিত প্রশ্নের উত্তর কখনও ইচ্ছা করলেও জানা হবে না। মাঝে মাঝে তো এমন হয় ইচ্ছা করে ফিরে যেতে সেই অপুর্ণ শৈশবে।
একটা সময় থাকে কিছুই বুঝতে হয়না। তখন বড়রা বলেন ‘সর তো তুই, তোর এ সবে মাথা দেওয়ার কাজ নয়, তোর না বুঝলেও চলবে’ – তখন অনেক রাগ হতো কি এমন ব্যাপার যা ছোটরা বুঝতে সমস্যা হয়। আর এখন না বুঝলেই হচ্ছে উলটো ঝামেলা। ইচ্ছা না থাকলেও বুঝতে হবে। সবকিছুকে এমন করে দেওয়া যেন দ্বায়ভার কাঁধে তুলে নিতে হবে সবকিছুর। মানুষ কত নিষ্ঠুর, কত স্বার্থপর, কত অমানবিক, কত পাষান্ড। যদি তাই না হয় তাহলে কি করে অন্য মানুষকে নিষ্পেষিত করার জন্যে কতই না নয়া কানুন তৈরি করছে। যে দুর্বল তার কোন রেহাই নাই।
জানালা দিয়ে দৃষ্টি অনেক দূর পর্যন্ত গেল। বাঁধা পড়ল একটা উঁচু দালানের কারণে। কিছু যে দেখছে তা কিন্তু নয়। অন্যমনস্ক হয়ে ক্লাস রুমেই বসে আছে রীমা। মনে পড়ছে ‘রিদু’র কথা। রিদু’র ভাল নাম আসিফ-উদ-দৌলা। ‘রিদু’ নামটা রীমা’রই দেওয়া। এক নিজের নামের সাথে মিল রেখে নাম। দুই (নিজের মতো একটা ব্যাখ্যা সে করেছে) ‘রিদু’ র – রহস্য, ই – ইন্দ্র, দ – দমকা (আচানক / অকস্মাৎ কিছুর উপস্থিতি), উ – উদ্ধার (ইন্দ্রে দমকার রহস্য উদ্ধার) ।
সোজাসাপটা বললে এমন যে “মুখ দেখে মনের অবস্থা বুঝে ফেলা”।
যাই চলছে একাই রীমার মনে মনে। রিদু এর কানাকড়ি কিচ্ছু জানে না। রিদু জানে তার ভাল বন্ধু। সে চট্টগ্রামের ছেলে তাই কথাবার্তার ভাষায় শুদ্ধতার কিছু অভাব রয়েই যায়। এটা কেন জানি রীমার ভালই লাগে। শুদ্ধ নীতি চর্চার মানুষে বিশুদ্ধতার ঘাটতি থাকে এমনি ধারণা রীমার। ফ্যাকাল্টি’তে অজস্র মানুষের মুখের মাঝেও একটা অবয়ব রীমা মনের প্রশান্তি ছিল। আনমনে একা একাই ভাবতো কতক স্বপ্ন। মুখের হাসি’তে লুকিয়ে রাখত মনের সব আবেগ।
কি রে কার ছবি আঁকছিস মনে মনে – বলতে বলতে রিদু এস রীমার পাশেই বসল।
রীমা সেই আগের ভঙ্গিতেই সহজভাবে বলল –
তোর ছবি আঁকছি। দেখবি কেমন আঁকলাম?
রিদু এক গাল হাসি দিয়ে বলল,
‘এঁকে যা, যেদিন প্রদর্শনী হবে একসাথে সব দেখব, তখন বিচার করতে পারব ভাল করে তোর মনের কাজ কেমন’। আবার হাসল।
আচ্ছা রিদু, সব সময় তুই ফাজলামি ছাড়া কিছুই ভাবতে পারিস না?
পারি তো। কে বলল পারি না? এই যে তোর তোবড়া দেখে যা যা বুঝলাম তা কি বলবো?
বল –
জানি তুই কিছুই স্বীকার করবি না, তারপরও বলি। উলু বনে মুক্তু না হয় একটু ছড়ায়। আচ্ছা শুন – ‘তুই তোর ছোটবেলার মানে ইস্কুল জীবনের অনেক ঘটনা নিয়ে ভাবছিস এমন কিছু হবে। তারপর এলোমেলো অনেক চিন্তা করছিস যার কোন দিক নাই, তারপর মনে হচ্ছে তুই চুপি চুপি কাউকে ভালবাসিস।’ কি ঠিক বললাম তো?
হুম। ঠিক বলেছিস। আর যাকে চুপি চুপি ভালবাসি সে কে জানতে চাস না?
ইচ্ছা হলে বল, না হয় থাক।
কেন আমার তোবড়া দেখে কি এটা বুঝার ক্ষমতা নাই তোর?
নাহ্ এটা কিছু জটিল প্রকৃতির ব্যাপার স্যাপার তো তাই অতি সাধারণের ক্ষমতার বাইরে।
হুম। যাকে চুপি চুপি ভালবাসি আমি একা একা সে আর কেউ নয়, সে তুই, সে রিদু। রীমা চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে আছে রিদুর মুখের দিকে। কোন ভাবান্তর দেখা যায় কি না। রিদু খুব স্বাভাবিক উত্তরই করল,
সত্যি বলছিস তো? দ্যাখ আমি কিন্তু খুশিতে কেঁদে ফেলব। যাক কেউ একজন আছে যে আমায় চুপি চুপি ভালবাসে।
আজও রীমা ফ্যাকাল্টিতে আসে। কিন্তু রিদু নাই তার পাশে। মনটা শুন্যতায় ভরে থাকে। নিয়ম করে পুরানো – নুতন বন্ধুদের সাথে কত আড্ডা হয়। কিন্তু রিদু’র শুন্যতা দিন যত যায় বিশাল হতে থাকে। চাপা হাসিতেই সব চেপে যাওয়ার বৃথা চেষ্টা করতে থাকে রীমা। রিদু’র জন্যেই লিখেছিল সে –
হাত ধরে হেটে যাব বহুদুর,
পাশাপাশি দিন থেকে কোন এক রজনী
কুয়াশার মুক্ত দিয়ে সাজবো আপন মনে
ঝরণা’র ঐশ্বর্য্য প্রলুব্দ পলক
আকাশের বুকে সঁপে দেব সব ভালবাসা
তাতে কি শোধ হবে তোমায় পাওয়ার পূর্ণতা?
কোন সকাল টেনে নিয়ে যাবে তার পড়ন্ত বিকালে
বয়সের সব যৌবন নিয়ে হবে প্রজাপতি
নির্লিপ্ত হাসিতে জাগবে সবুজ আর সবুজ
আলিঙ্গনের সন্ধিতে ব্যস্ত আলো আর আঁধার,
তোমায় পাশে নিয়ে নুতন শপথে যাব –
হাত রেখে হাত গড়ব আপন পৃথিবী।
ছোট ছোট অনেকগুলো ভূল সাজিয়ে রাখবো
নুতন দিনের পথচলা হবে তোমার নিঃশ্বাসে,
নুতন জীবনের মাত্রা দিবে তোমার বিশ্বাসে।
নিত্যদিন লিখব ভিন্ন ভিন্ন প্রচ্ছদ
ভূমিকার সবটা জুড়ে আমাদের স্বপ্ন-আশা।
নির্ঘুম রাত কাটাবো তোমায় দেখবো বলে
দরজার কপাটে দাড়িয়ে করবো অপেক্ষা
নির্জন একায় ডুবে থাকবো তোমার স্বপ্নতলে,
স্বাক্ষী থাকবে আজ এটাই দীক্ষা।
সময় তার মতোই গড়িয়ে যায়। রীমার মনে হয় তার জীবনটা স্থির হয়ে আছে। তার মনের সঙ্গোপনে লালিত কষ্টগুলো’কে সে নিয়মিত দেখে, আবার রেখে দেয়। বলা হয়না কাউকেই। কারণ বলার মতো কেউ নাই তার। মন সায় দেয় না যে কাউকে আর করুক বিশ্বাস। জীবনটাকে প্রসারিত করা চাই। হয়তো একাই করতে হবে জীবনের নুতন অধ্যায়ের সুচনা এমনও ভাবে অনেক সময়। নিজের মনেই বলে চলে, “আমার আর কোন স্বপ্ন হয়তো নাই বা হবেও না। জীবনের সমাপ্তি করে দিলে দুঃখের কথা ভূলে থাকা যেত। নাহ্ এমন কার জন্যে করব আমি? তার জন্যে যে আমায় বুঝেনি? কখনই নাহ। তবে হ্যাঁ, যাকে দিয়েছি একবার ভালবাসার মার্যাদা সে তার জন্যেই রাখব। সব সম্মান থাকবে তারই জন্যে। ঘৃণা আমি কখনও করব না। এতটা কপঠ হব না।”
সূর্য তখনও উঠেনি। সৈকতের বালির উপর খালি পায়ের চাপ দিয়ে কি যেন করতে চাইছে। বার বার ঢেউ এসে তার কিছুই হচ্ছে না। নিজেই হেসে উঠে একা একা। সোনালী আঁভা ছড়িয়েছে পুবাকাশে। গুনগুন করে রীমা গাইছে –
“সেই চক্র বুহ্য আজো বন্দি হয়ে আছি
সেই চোরাবালি আজো গ্রাস করছে আমাকে
ভালোবাসি তাকে তার নিষিদ্ধ অসুখের
এক রোখা ভাইরাস এ মরে যাবার আশায়…..”
সমাপ্ত
©somewhere in net ltd.