![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার সম্পর্কে যাকে ভালো লাগবে তাকেই শ্রেফ জানাবো, অযাচিত আবার কেউ না বলে বসে এ আবার কোন নুতন নাস্তিক !!!
সেদিন সন্ধ্যা ছিল .....
শ্রাবণ আহমেদ হিমু।
I'll kill you. রাগত্ব স্বরের বহিঃপ্রকাশ। আমার অন্যায় হলো বিণীত ক্ষোভের সব প্রকাশ করে দেওয়া। সে যাই হোক, নুতন আলোচনা সেই পুরানো কথার লেজ ধরেই শুরু হয়। কারণ যাওয়ার আগে বলেছিলেম যাও লেজ তুলে দৌড় দাও। আমায় হত্যা করার জিজ্ঞাংসামুলক অভিরুচির পরও নুতন কথার পুণঃ সংযোজন ঠিক এমন করেই হলো –,
- কি? আমি কি বিলাই যে লেজ তুলে দৌড় দিব ? আর কাহিনি কি?
- হুম।
- আমি কি এমন লিখেছি যে আপনি তার সবই তুলে ধরলেন?
- আচ্ছা একটু বসো, হুম।
- হুম কি?
- হুম মানে বসো একটু , আমি কিছু খাব, খুব ক্ষুধা লেগেছে। মানে খাওয়া – দাওয়া করব।
- করেন, করেন, করেন ………. ভাল করে করেন।
- হুম।
- যা যা বলছি সব কিছু দিতে হবে? বকা টা পর্যন্ত ? আপনি না.... যাই ।রাত হয়েছে .... ঘুমাব … ঝগড়া পরে হবে । ভাল থাকবেন
- আচ্ছা।
- অনেক অনেক অনেক অনেক .... take care.
- না পারব ঝগড়া করতে, না ঐ care করতে।
- কি পঁচা ! ঝগড়া তো ভালই পারেন …. আর ঐ care নিজেরটাই নিবেন। অন্যেরটা নয়। আর হ্যাঁ ঝগড়া আমি করি না।
- কে করলো ঝগড়া? ঝগড়া তো তুমি’ই করো ……….. কারণ তুমি পার তাই।
- একটা লিখা দিলাম, পড়েছো?
- হুম, পড়লাম। অতিব পঁচা। এইটা কি কিছু হলো? কেউ একটু না হয় রাগ করলো তাই বলে কি সেই সব বিস্তারিত আলোচনা করতে হবে?
- নাহ্। আলোচনা যে করতে হবে তা বাধ্যতামুলক কিছু নয়। কিন্তু এখন কি এটা প্রমাণ হলো না, যে তুমি আসলেই লিখতে পারো? কিন্তু ফাঁকিবাজি আর আলসেমির জন্যে লেখা হয়ে উঠেনা তা স্বীকার করবা কেন, তাই নাহ?
- আমি কি পারি আর পারি না তা বলেছি এবং আপনি জানেন, তাহলে আবার বলার কি হলো? u r thinking positive… i am not.
- দয়া করে ইংরেজীতে পটর পটর করবা না।
- হি হি হি ……. আচ্ছা করলাম নাহ্।
- ভাল মন্দ যাই’ই হয় তার একটা চিত্র তো দাড় করানো যায়। পরে না হয় বিবেচনা করে দেখা যেতে পারে কি হলো আর কি হলো না।
- দুঃখিত এ প্রস্তাব মানতে পারলাম নাহ্।
- চেষ্টায় দোষের কিছু নাই। তুলে একটা আছাড় দিলেই সুঁড় সুঁড় করে কথা শুনবা …
- আছাড় দেওয়া আপনার কাজ। আগে নিজের কাজটা ঠিক মতো করেন। তুলে আছাড় মারেন, তারপর দেখা যাক কি হয়।
- হুম।
- আছাড় দিলেই যে আমি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাছের কেউ হয়ে যাব তা কিন্তু নয়।
- তা হতে বলিনি। তুমি যা আছো তাই’ই থাকবা। তোমার দেখার দৃষ্টিভঙ্গি হবে ভিন্ন, তোমার চিন্তার ধরণ হবে ভিন্ন, তোমার চিত্রে থাকবে তোমারই একা্ন্ত ভিন্ন এক নৈপুন্যতা।
- শুনুন, আমার জগৎটা খুবই ছোট।
- তোমার চিত্র হবে তোমারই মতন, বৈচিত্রময় ছোট্ট জগতের সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনায় ভরপুর। ছোট্ট জগত আলাদাভাবে নিয়ন্ত্রণ করার প্রয়োজন পড়ে না। কারণ তা আপন হাতের মুঠোয় থাকে। তাই ছোট্ট জগত খুব সুন্দর হয় এবং তা নিজের ইচ্ছার মতন তৈরি করা যায়। বড় জগত হয় ঘোলাটে, ধুসর যে কারণে সবই তার অস্পষ্ট, থাকে অনাকাঙ্খিত।
- যখন কিছু তৈরি করব বলে মন স্থির করি তখন দৃষ্টি চলে যায় বাইরে ….
- যাবেই …. এটা আরো ভাল। বাইরের সব নিজের করেই ধরে রাখবে তোমার চিত্রের তুলির আঁছড়ে।
- যেতে পারে …
- তাহলে আর বসে থাকা কেন ….
- আরে নাহ্ কই আর বসে আছি, আপনা প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্যে হলেও অন্তত্ব অনেক তৈরী থাকতে হয়, কিন্তু কি করবো ঘুমে সব উল্টা-পল্টা করে দেয় আর করে দিয়ে যা্চ্ছে। এই যেমন ধরুণ ভাবলাম কাজ করবো তৈল চিত্রের করে ফেললাম জল রঙের। তবে আপনার জন্যে আজকে ভিন্ন একটা বিষয় নিয়ে এসছি যদিও তা আমার নয় চুরি করা -
- বিষয়; খাওয়া দাওয়াঃ হুমায়ূন আহমেদ বিভিন্ন লেখায় মাঝে মাঝে কিছু খাবারের বর্ননা দেন। কেবল বর্ননাগুনেই সেই খাবার গুলা তৎক্ষণাৎ খাইতে মঞ্চায়। যেমন, কই মাছের পাতুরি (কী জিনিস কে জানে!), ডুবো তেলে মচমচ করে ভাজা কুমড়ো ফুলের বড়া, ধোঁয়া ওঠা সাদা ভাতের সাথে ঘিয়ে চপচপ করে ভাজা মিহি করে কাঁটা আলুভাজি, সবজি দিয়ে রান্না করা খিচুরি, তার উপরে ছড়িয়ে দেয়া ঘি... আরও কি সব হাবিজাবি। আবার ওয়েস্টার্ন বইয়ে নায়ক যখন জার্কি চিবায় (শুকনো মাংস, জিনিসটা নিঃসন্দেহে বিস্বাদ হবে), বেকন ভাজি করে খায়, সাথে আগুন গরম কফি। কিংবা মাসুদ রানা যখন ব্রেকফাস্টে চারটে ডিমের অমলেট একসাথে পেটে চালান করে দেয়। অথবা মুসা আমান যখন ঠান্ডা মাংসের পুর দিয়ে তৈরি বার্গার খেয়ে মেরিচাচীর তৈরি করা এক জগ কমলার রস ঢকঢক করে গলায় ঢেলে দেয়। বা, ফেলুদা, তোপসে এবং জটায়ু মিলে গরম গরম কচুরি (জিনিসটা কী?) বা সিঙ্গারা সাবার করে। বা টেনিদা যখন তালপাতায় করে দু আনার ঘুঘনি বা ডালমুট কপকপ করে গিলে ফেলে... এমন কি, প্যালারাম যখন পটল দিয়ে শিঙ্গি মাছের ঝোল (শিং মাছ আমি জীবনেও খাইনা) খায় তখনও গপগপ করে খেয়ে ফেলতে ইচ্ছা করে। শানে নুযুলঃ ব্যাপক ক্ষুধা লাগছে, কিন্তু হাতের কাছে পানি আর হাওয়া ছাড়া খাওয়ার কিছু নাই আপাতত। ক্ষুধা পেটে খালি খাওয়ার চিন্তাই মাথায় ঘুরে ।
- হুজুর আপনি আমায় মাফ করে দিন …..
- হুজুর মাফ করে না লাথ্থ্বি মারে। আমি হুজুর নই তাই লাথ্থ্বি মারতে পারছি না ………. অবশ্য আছাড় মারা যায়।
- কি খারাপ…….
- হুম অতিব খারাপ।
- অতিব, অতিব, অতিববববববববব
- হুম
- ঘুমাবো এখন
- কেন?
- আম্মা… আ আ আ আ আ
- তুমি কি পিচ্ছি?
- হুম আমি পিচ্ছি, নাহ্ আমার ঘুম পাচ্ছে খুব …
- এত জলদি কিসের ঘুম ………… চুপ। কোন ঘুমো-ঘুমি নাই, চুপ করে সিধা হয়ে বসে থাকো।
- আমি কিন্তু এই টেবিলের উপর ঘুমিয়ে পড়বো…
- তোমার টেবিলটা কি খাটের নুতন সংস্করণ নাকি?
- নাহহহহহ
- আজব কথা-বার্তা সব
- আপনার চেয়ে বেশী আজব নয়।
- আমার কিসে আজব দেখলে?
- কথা-বার্তা এবং আপনি নিজে বিশাল একটা আজব। যেন আলাদিনের দৈত্যের মতো।
- আজকের নুতন চিন্তায় এখনকার সব যোগ হলো। কেমন হবে?
- হায় খোদা, না না না না না …….. এমনকিছু যেন অবশ্যই না হয়।
- এমন স্মৃতিময় আলাপচারিতা অবশ্যই হেলায় যেতে পারে না।
- এমন কিছু হলে তা হবে আমার জন্যে অপমানজনক।
- সন্তোষজনক, সম্মানজনক এমন মনে করতে কি কেউ নিষেধ দিয়েছে?
- আপনিইইইইইইই
- আমি কি? আমায় কি আবার পুনরায় হত্যা করার ইচ্ছা মাথায় ছাপলো নাকি?
- নো, যখন হাতের নাগালে পাবো ঠিক তখন বুঝাবো আমি কি কি করতে পারি ……….
- কি কি করতে পারো একটা নুন্যতম ধারণা তো অন্তত দেওয়া যায়, তাই নাহ্
- হুম, এই যেমন পিচ্ছিদের মতন ভেঁউ ভেঁউ করে বসে বসে কাঁদতে পারি ….
- আর ……….
- চুপ একদম কাঁচা খেয়ে ফেলবো।
০৩ রা আগস্ট, ২০১৪ ভোর ৪:০৯
শ্রাবণ আহমেদ হিমু বলেছেন: জি, আমার ডাক নাম হিমু।
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:০৭
এম. এ. হায়দার বলেছেন: আপনার নামই কি হিমু নাকি?