![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার সম্পর্কে যাকে ভালো লাগবে তাকেই শ্রেফ জানাবো, অযাচিত আবার কেউ না বলে বসে এ আবার কোন নুতন নাস্তিক !!!
পুরানো সেই দিনের কথা ....
(একটি চিঠি)
শ্রাবণ আহমেদ হিমু।
মার্শি,
কেমন আছ? কথার বাদল এখন আর তুমি শুনাও না। আক্ষেপ আর অপেক্ষার প্রহর যেন শেষ হইয়াও হইলনা শেষ। সেইত ক’দিন আগের কথা, অধির আগ্রহ নিয়ে প্রহর গুনতাম। কেন আজ প্রহর গুণায় এত বৈপরীত্য? দূরের মানুষ বলেই কি আরও দূরে সরিয়ে দিলে? আমি বুঝতে চাইছিলেম মুখোশের আড়ালের মানুষটিকে, তোমার এত কিসের ভয়? জানি এর কোন সদুত্তর পাওয়া দুস্কর। যে অদৃশ্য স্পৃস্য স্পর্শ অনুভূতিকে আজও নাড়া দেয়, সে কি তুমি নও?
তবে একটা বিষয় পরিস্কার তুমি মুখে যতই সাধারণ্যের প্রাচুর্যপূর্ণ কথার ফুলজুড়ি চড়াও শ্রেণী বিভাজনের ঐশ্বর্যের শিকরচুড়াই হলো তোমার স্বপ্ন বিথিকা। আর এটাই হলে তুমি আর তোমার তুমিত্ব। শব্দের প্রলেপে ভালই পার অভিনয় করে যেতে নির্ভূলভাবে। মানুষ কেন এত কুৎসিত বাসনার হয়? যে সম্মান ছিল তোমার জন্যে অবধারিত তাকে পায়ে দলতে তোমার এতটুকু কুণ্ঠাবোধ হয়নাই। তাহলে কি বলব তুমি সত্যিই সম্মানের অযোগ্য এক অস্পৃশ্য আত্মা? উত্তরণের ব্যবধানকে কি আত্ম অহমিকার স্বরূপই মনে করছ?
নিয়তির নৈবত্তিক নিয়মানুবর্তিতা হয়তো তোমার জন্যে সময় ক্ষেপন হতে পারে, কিন্তু তাই’ই বাস্তবতা। ঐশ্বর্যের অহমিকা হয়তো বাস্তব কি তা বুঝতে দেয় নাই। হয়তো এও ভুলেগিয়েছ সে সব দিনগুলোর কথা, তুমি তোমার কর্মে আর আমি আমার, তারপরও কিছু মুহুর্তের বিচ্ছেদ তোমার জন্যে হতো বেদনার।
মার্শি বলবে, কি করে মানুষের মাঝে এই পরিবর্তন হয়? আমার যাত্রাপথে যদি দেরী হতো অকারণে বেজে উঠতো মুঠোফোন, যা জানান দিত তোমার অপেক্ষার অস্থিরতা। সব কিছু ছেড়ে ছুটতাম তোমার দু’দন্ড আলাপে নিজের তৃষার্থ অনুভূতিতে নবান্ন আনতে। কোন মানবিক বিচারে খড়ার হাতছানিতে রেখে গেলে সব আবেগ। জানি বলবে এতে তোমার কিছু যায় আসে না। এ কেমন তিথির তিমির?
অযোগ্যতার ডামাঢোল বাজায়ে হেসে যাচ্ছো অবিরত। তাহলে কি এটা ছিল ছলনার এক উৎকৃষ্ঠ অভিসন্ধি? তোমার হাতে আর যাই হোক বিশ্বাস নিলাম হবে এই ভাবতে কেঁপে উঠে অন্তর। আসলে আমারই উপলদ্ধি ছিল ভূল যে, তোমার চৌহদ্দি ছাড়িয়ে গিয়াছে তোমার পরিভ্রাজমান সৌরজগতের আপন কক্ষপথ’কে। তুমি পথহারা, তুমি অবক্ষেপ, তুমি দ্বৈথ, তুমি অপ্রাসঙ্গিক। নাহ্ অভিসম্পাতের কিছু নয় এসব। এমনি ভাবনা হয়তো অমূলক নয় যে, দিনের আলোয় উদভাসিত যা হয়েছিল তা ছিল মরিচীকা, আঁধারের বুক ছিড়ে যা এসেছিল তাই আলেয়া। আর এর সবের রূপের সমেত তুমি। নিজের অলক্ষ্যে আর কত গন্তব্য নির্ণয়ে পথ-হারাবে? বলয় ঘিরে যে স্বাচ্ছন্দ্য তোমায় আমন্ত্রণ করছে তার নিকেশ একদিন করতেই হবে।
প্রত্যহ এক নির্বিকার প্রতিক্ষায় থাকতাম। যা তোমার কাছে অগ্রহনীয় উপসর্গ ছাড়া আর কিছুই মনে হয়নাই। নিজের আরাধ্য কি ছিল হয়তো তা নিজেও বুঝতে পার না। ঋতুর বিয়োজন তোমার উপলিব্ধির বাইরে। বৈষয়িক সৌর্কয তোমার মূখ্য বিষয় যা তোমায় বিশ্লেষণ করে বুঝা যায়। হয়ত তুমি নিজেকে একটু মহিয়ান করে দেখাতে বলবেই ছিঃ ছিঃ নাহ আমি মোটেই তেমন নই। তোমার আত্ম শান্তি বিনষ্ট করছ তুমি নিজেই, যার ফল তুমি সবই পাবে তোমার জীবনজুড়ে তারপরও কেঁদে মরবে এক চিলতে শান্তির জন্যে যা তুমি পাবেই না। কারণ যে তোমায় করেছে বিশ্বাস, তাকেই তুমি বানিয়েছ হাসির অধ্যায়। চরিতার্থ করেছো সময় নেশার মতোই। এর পরিণাম তোমার পিছু ছাড়বে না।
যে ব্যাকুলতা আগে ছিল তোমার অনুভূতিতে সে কি শ্রেফ অভিনয়’ই ছিল? আর কত করেছ এমন? নাকি প্রতিনিয়তই করছ নিত্য-নুতন এক অভিসঙ্গ? চিত্তের চৈতন্য না হয় হলো না, ভালই বিবেকের রূপক বৈচিত্রতা। বৈধ অণুরনে একাই হাসি নিজের সাথে নিজে, ভাবি এই কেমন এক অথর্ব অর্বাচিন আমি। তাচ্ছিল্যের ভাষানুভুতিও আমার হলো না। কবে হবে বোধদয়?
অবনত চৈতন্যে যাই ভাবতেম আজও তার হেরফের হয় নাই। এখনও করি বিশ্বাস ঠিক এমন যে নিশ্চয় কোন দুর্ঘটনা বা মানষিক কোন কারণে তোমার এ পরিবর্তন। যার উত্তরণ হবে সব পার হয়ে তুমি একদিন অবশ্যই আসবে চাই সেদিন আমি থাকি আর নাই থাকি। পরাভূত অন্তরীক্ষে আর কোন দুঃস্বপ্নকে জায়গা দেই না। আপন মহিমা বলতে তো কিছুই নাই। প্রতিটা মুহুর্তকে খুটিয়ে খুটিয়ে দেখি কতটুকু সুখ খুজে পাই। তাই’ই আমার নিঃশ্বাসের অবলম্বণ। তোমারই দেওয়া তাচ্ছিল্যসমগ্রকে নিয়ে আর কোন বৈরী ভাবনা হয়না। কেন জানো মার্শি, কারণ তাই’ই হলে তুমি। কারণ এ ছাড়া অবশ্যই তুমি বেমানান সাথে তোমার অস্থিত্ব অবিশ্বাস্য। যখন তোমায় সময় দেওয়ার মতো কেউ থাকতো না, খুঁজে পেতে না কাউকে ঠিক তখন আমিই হয়ে উঠতাম তোমার কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ। হণ্যে হয়ে খুঁজতে আমায়। কারণ তুমি জানতেই’ই আর যাই হোক এই অথর্ব কীট’কে ডাকলে সে অবশ্যই আসবে। মনে’কি পড়ে তোমার আমায় প্রসঙ্গ বানিয়ে তোমার বন্ধুদের নিয়ে হাসতে যা আজও থামেনি। তখন যা পরোক্ষ ছিল এখন তা প্রত্যক্ষ পরিস্কার। নীতির নৈতিক প্রশ্নে যাব’না কারণ যুক্তির বিচার তোমার কাছে একরকম অর্বাচীন উপসর্গ। ইচ্ছে হয় একটু প্রাণখুলে হাসি। নাহ তোমার মতো অভিনয় নয়। একটা প্রশান্তির হাসি।
অজান্তে হারিয়ে যাওয়া অনেক স্মৃতি। সংবেদনশীল বাক্যালাপ কেবলই বলতে অর্বাচীন অনুসঙ্গ। তোমারই অনুসৃত পথ ধরে তোমারই বন্ধুরা হাসছে। সদ্য সমাপ্ত সপ্তাহান্তে এক অনুচর বলল শুন্যতায় শ্রেফ বর্জিত-বিবেকের অনুশোচন। তারই কিছু ক্রান্তিতে অন্য এক সভ্যজনতো এমন করেই বলল, ”ঋতুর বিয়োজন ছয় পর্বের, আবর্তন আজ চার-এ টেকেছে। এর সবই নাকি আমার জীবনের নামান্তর। জানি সে অনেক বহুত পর্ব আন্ত রচনে আক্ষেপ ঝরানো শব্দে কথা বলে। নিজেরে প্রত্যুশ তুলসি ভাবে।” সে ব্যাখ্যায় যাব না। আমার সর্ব চিন্তার আবর্তন পেয়েছি যে মহিয়ান তার পরশ ঘিরে। অহমিকায় আজ তোমার আপনার আপন কি আছে? অন্ধের মতো যা ভাবছো তুমি তা দীর্ঘসুত্রিকায় জমে উঠা ছত্রাক ছাড়া আর কোন বিশেষণে বিশেষায়িত করা যায় না। যদিও অবিচ্ছেদ পরমতায় কিছু করনি তারপরও কোন অপবাদ তোমার জন্যে আমি দিব না। কারণ আজও আমি সম্মান করি তোমার সে অনুভূতি’কে যা হয় অভিনয় করেছিলে বা ভিন্ন কিছু। আমি কখনও পা রাখিনি আমার চৌহদ্দির বাইরে। যাতে অজান্তে অতিক্রম না হয় আমার সীমা। পরশ পরম সেই পারঙ্গমতায় কোন খাঁদ ছিলনা। ধাবিত সে দিনের অনুরণ ছিল মরিচিকাহীন, নিশি প্রহর ছিল বিনা-আলেয়ায়। ভুলের অভিসন্ধির সংযোজন কোথা থেকে দিলে আজও তার কোনো কিনারা পাইনি। ভূলের মাশুল দিতে পুনরায় ভূল। সেই ভূলের একক অভিযাত্রী হয়ে নিঃসঙ্গ শুন্য আর আমি এ আমার পথ। পূর্ণিমার আলোয় গাত্র দাহন আর হয় না। অমানিশায় পথ চলতে চলতে মুমূর্ষ। সূর্যোদয় কবে হবে?
যোজন ক্রোশ পথের পরিক্রমায় কেন জানি মনে হচ্ছে আজ আমি পিছিয়ে এসেছি শত শতাব্দী। দৈন্যদশার চাদড়ে ঢাকা জীবনাচারে আপন কোন স্বপ্ন প্রকাশ করার দুঃসাহস হয়নি। সময়ের মোড়ে মোড়ে দেখা হয়েছে নুতন নৈবত্তিক ছন্দের যা আদৌ আমার অনুকূলে ছিলনা। চোখ ধাঁধানো কোন প্রাচুর্যের প্রত্যয়ও ছিলনা। অতি সাধারণ জীবনধারণের জন্যেই ছিল বশীভূত জীবিকার তাগিদ। মার্শি, সকালের সূর্যোদয়ের মতো এসে সুচনা করেছিলে অন্য এক জীবনবোধের। তার ব্যপ্তির পরিসীমা বুঝে উঠার আগেই দুপুরের তীব্র তাপদাহে ঝলসে দিলে অনুভবের সব স্পন্দন। ঠিক যখন অবসন্ন অনুপোযুক্ততার অপবাদের গ্লানি দিয়ে অস্থমিত সূর্যের হয়ে চলে গেলে নিকশ অন্ধকার উপৌঢকণ দিয়ে। বুঝাতে গিয়েও থুবড়ে পড়েছে আমার আকাঙ্খা তোমার শৈথল্যের মুখে। “মার্শি” একটা সময় এমনো ছিল তোমার অদৃশ্য অস্থিত্বকে ঘিরে তৈরী হতো কথার মিনার -
মনের আঙিনায় এসো, সম্মুখ অধিকার নিয়ে
প্রতিশ্রুতি নিয়ে, একটু ভালবাসা নিয়ে।
তোমার কিছু সময় দিও যদি পার্ আমায়
বিশেষণের কোন প্রত্যয় নয়
পারো যদি এসো একটিবার।
প্রতিজ্ঞার সুতোয় গাঁতা ছোট্ট চিরকুট -
এ আমার বিশ্বাস, চরিতার্থ কোন কল্পনা নয়।
এ আমার প্রার্থনা, অভিশপ্ত কোন প্রত্যাশা নয়।
এ আমার প্রাপ্তি, আলৌকিকতার কিছু নয়।
এ আমার ধ্যান, নতজানু কোন ক্রান্তি নয়।
এ আমার অনুভব, বুক ফাটা দীর্ঘশ্বাস নয়।
এ আমার চেতনা, বীরত্বের কোন অহমিকা নয়।
এ আমার আবেদন, ভিক্ষার কোন স্বরূপ নয়।
এ আমার অর্জন, পৈশাচিক জবরদস্তী নয়।
এ আমার বৈভব, শৈথিল দারিদ্রের গ্লানি নয়।
এ আমার প্রেম, অযাচিত ভালবাসা নয়।
এ আমার স্বপ্নের পথ আমি তার নীরব পথিক।
মার্শি, চলার পথ যতই সত্য আর শুভ্র হবে তখন অনেকেই আসবে বাহবা দিতে নেহায়েত করুণা কিংবা অমূলক সহানুভূতি দেখাতে, সত্যিকার পাশে কেউ থাকবে না। তুমিও পারোনি সেই বৃত্তের বাইরে বেরিয়ে আসতে। খুব জানতে ইচ্ছে হয় সে কি তোমার ইচ্ছায় নাকি মনোভূলে? যদিও সে’সব প্রশ্ন এখন একেবারেই অবান্তর।
অতিবাহিত হোক কন্ঠকময় পথ
মূল্যহীন সময় তার অর্থহীন জীবন
নিরেট শুন্যতায় প্রাপ্তির অভিসম্পাত
তারপরও ভাবি পূর্ণতায় ভরপুর জীবনের প্রতিটি রন্ধ্র
স্বপ্নের অনিমেষ ধারা গুছিয়ে নিই নিজের মতো
নিদ্রা যখন ভাঙ্গে দৃশ্যত্ব আমি অন্য এক অপুর্ণতায়
তাপের তীব্রতায় ঝলসানো স্বপ্নগুলোর রূপান্তর হয়না
মনের গহীনের শুন্যতায় এক অচিন অনুভূতি
শুন্যের মাঝে পূর্ণ আমি নিজেরই এই ব্রত।
এ যেন অন্য এক নুতন স্বপ্ন
তারপরও চলতে হয় সে কন্ঠকময় পথ
ভাবনার সুতোয় গাঁথি নুতন স্বপ্নের জাল
যেন আমি এক অদৃশ্য মাকড়সা।
হয়তো তুমি পড়ছ আমার এ সব পাগলামি, হয় কভূ দিচ্ছ তাচ্ছ্যিলের হাসি বা বলছো কেমন বোকা হলে এইসবে উৎরে পড়ে। পরিব্রাজন ভাবনা কেন আজো তোমায় আবর্তন করে চলে বলতে পারো? কেন মন বিশ্বাস করতে চায় না এর সবই তোমার জন্যে কোনও উপসংহার রাখেনা। কারণ যাচন যাতনার সবই মূল্যহীন এক অর্বাচীন অধ্যায় তোমারই কথায়। সপ্থার্শিক মোহই তোমার জীবনধারার মৌলিক অনুপাত মনে করো। যদিও অসংখ্য বিয়োজন তোমায় ঠুকরে গিয়েছে যা তুমি অস্বীকার করছো আর করবে নিজের মুখ লুকানোর জন্যে। মুখোশ দিয়ে সৌকর্য লাভ হয় কিন্তু নৈতিক মুল্যবোধ বিবেচনায় যদি নাও তো আমার আমিত্ব যা হয় সেতো রইবে প্রশ্নবিদ্ধ। তবে এসব তোমার জন্যে বুমেরাং হতে পারে। কারণ নিমিত্ব নিষ্ঠা তোমার জন্যেই বৈশ্বিক কুয়াশা। তারপরও সুরের মুর্চনায় কেন বলছে আলো আড়াল হলে কোন ভয় নাই আবার আসবে নয়া আলো। কবে আসবে সেই নুতন আলো? আর কত প্রতিক্ষার প্রহর পার হলে উম্মোচন হবে নুতন আলোর সেই স্বপ্নের দিগন্ত?
মার্শি, মনে পড়লে কত্ত অসহায় মনে হয় যে তুমিই আমারই অক্ষমতাকে নিয়ে উপহাস করতে হাসতে। সে চক্র আমি পেরিয়ে এসছি। গড়ে তুলেছি আমি আমার একার একক বৃত্তের আবর্তিত ঠিকানাহীন জীবনাচারের পৃথিবী। এতে চৌকষ ঐর্ষয নাই, আছে নিশ্চুপ প্রাণের অফুরন্ত প্রশান্তি। জানি এসবে তোমার কোন আক্ষেপ বা ভ্রুক্ষেপ নাই। কারণ তোমার বিসর্পিত আন্তরাত্মা বিষাদের বিসর্জন দিতে পারবে না। খুব কষ্ট হয় মার্শি। খুব কষ্ট খুব কষ্ট যার বিন্দুমাত্র অনুধাবনের ক্ষমতা তোমার নাই। তোমার একটি শব্দের একটু কথার জন্যে উৎকন্ঠার ছিল অশেষ। আর তুমিই বলতে আমি মানষিক-বিকারগ্রস্থ তাই এমন করছি। সঙ্গ বলো চাই বলো অনুসঙ্গ কোন অবস্থাতেই আমি চাইতেম না একটা মুহুর্তের জন্যে তুমি আমার নিঃশ্বাস থেকেও দুরে থাকো। আর এই চাওয়ার বৈতনিক বিশেষণ যে এতই পেয়েছি যার পুনরাবৃত্তি মনে হচ্ছে কুরুচির সুচনাই হবে। কোন আলোর পিছে ছিল তোমার নিবন্ধিত দৃষ্টির অবতরণ তা আজও বোধগম্য নয়। জানিনা কোন নেশায় আর কিসের আশায় তুমি নিজের মধ্যে দিয়েছো এক মধ্যযুগীয় পরিবর্তন। যা তোমার বর্ণিত মতে নবতার নব্য বিলাস।
মার্শি _______________
পড়িয়াছিল পথে পাশে দুর্বাঘাসের কোলে
ভালবাসার পরশ দিয়ে নিলাম মাথায় তুলে।
আলো আসে মিছিল দিয়ে
অন্ধকার যায় আমায় নিয়ে
রোদের সাথে মিলিয়ে তুমি হাসির ঝিলিক
দেখা স্বপ্ন হঠাৎ করেই হলো অলীক।
মোহই ছিল ভাবনায় ভরা তার জীবন ছন্দে
সমেত করে আর যাই হোক দুঃখের রন্ধ্রে।
প্রশ্নে আজ প্রশ্নবিদ্ধ জীবনের সব চয়ন
অশ্রুহীন কষ্টের মুর্তি পলকবিহীন নয়ন।
জানি তুমি পড়ছ আর একটা তাচ্ছিল্যের হাসি এঁকে অবশ্যই বলছ, আর কদ্দুর যেতে পারো দেখবো তোমার লেখায়, যেদিন হবে শেষ সেইদিন দিব উত্তর। জানি তুমি তার কিছুই লিখবানা। কারণ এত্ত সময় তোমার নাই। সময়ের পৃথিবীতে খুবই দরিদ্র। নিজের জন্যে হয় পাওনা ক’টি মুর্হুত যা দিয়ে শ্বাস নিবে শ্রেফ নিজের জন্যে। একবার কি কখনও ভাবার সময় হয়েছে তোমার এই, অন্যের জন্যে যাই’ই করো কাল না হতেই সব অমার্জিত পুরান হয়ে যাবে। যার থেকে একান্ত ভেসে উঠবে তোমার আনমনে একান্ত অনিচ্ছায় হওয়া ছোট্ট ছোট্ট ভূলগুলো। তাহলে অন্যের জন্যে বেঁচে থেকে কি পাচ্ছ হিসেব করে নিতে পার্। আর যদি অন্তত কিছুটা সময় হলেও যদি বাঁচো নিজের জন্যে আপন করে তার হিসেব কেমন হবে তাও করে নিতে পার্। হয়ত আমি মানষিক - মানবিক বিকারগ্রস্থ তোমার জন্যে। তারপরও তোমার জন্যে হামেশা ভাল সবই ছিল কাম্য আর তাই আছে এবং থাকবে।
মার্শি, পৃথিবীতে কিছু মানুষ হয় যাদের হারানোর থাকে অনেক কিছুই। আবার কিছু মানুষ থাকে যাদের হারানোর কিছুই থাকে না। যার কিছুই থাকে না সে একান্ত আপনার আপন করে কিছু স্বপ্ন তৈরি করে যা হয় তার বেঁচে থাকার একমাত্র অবলম্বন। কোন দুর্বিপাক যদি তাকে দুর্বিষহ য্ন্ত্রণা দেয় তাহলে কি আছে তার গত্যন্তর? যে মানুষের কষ্টকে হাসির উপভোগ্য অংশ করে তুলে কষ্টের অসহনীয় আবর্তন তার বোধগম্য নয়। মার্শি, মনে পড়ে সেই বৃষ্টিস্নাত বিকালের কথা -
শ্রাবণ বরিষণ নামিল ধরায় মেঘের আঁচল হতে
ঝরায়ে অশ্রু প্রভাত হতে গভীর আঁধার রাতে।
দুর্বার মনের উৎকন্ঠা নিপতিত দৃষ্টির পরে
ফিরিবে কি আর ফিরিবেনা সেই থাকে কথার ঝড়ে।
মৌন মোহ অবারিত ধারায় ফুরসৎ নাই পলক ফেলিবার
নয়ন জুড়ে দেখিবার স্বাদ মনের উঠানে রাখিবার।
স্পর্শের মৃদু কম্পণ শিহরিয়া উঠা পুলক
অযাচিত হোক সেই আলাপন নিশ্চুপ মনের দোলক।
প্রাণের আকুতি অনুরণিত অবয়ব জুড়ে রয়
বিদায় রণে হাসির অনুরণ বজ্রিয়া মনে সয়।
হয়ত তুমি বলবে আমারই খামখেয়ালীপণাই তৈরি সব। একবার যদি ভেবে দেখ তো খুজেই পাবে তোমারই সব স্পর্শ তোমারই সব শব্দ চয়িত হয়েছে। তোমার কাছে মূল্যহীন এই সব শব্দাবলী কোন অর্থ বহন করে না। শ্রেফ আমার জন্যে তোমার দেওয়া বিশেষণ হবে ‘নির্লজ মুর্খ’। যে দারিদ্রতা’কে অনেক ঘৃণায় তুমি নিজের যে সরোবর সোপানে যাত্রা করেছিলে কেন আজো পৌঁছোতে পারনি সে গন্তব্যে? কারণ আন্তরিক সততার পুজি ছিলনা। আমি সম্মান করি সেই সময়কে যার জন্যে আজকের এই আমি। পথ চলতে জানেনা বলে কি অন্ধের সাথে রাগ করা যায়। তদরূপ তুমিও। মার্শি খুব কষ্ট হয় যখন ভাবি দৈত্ব স্বপ্নগুলোকে। তুমি নিজেও জানো না কেন তুমি এমন করলে। তোমার আসার অপেক্ষায় প্রহর গুনা আজও শেষ হয়নাই। কেমন জানি একরকম দৈনিক কর্ম তালিকায় অদৃশ্য আবেগে যুক্ত হয়। বার বার মুঠোফোনে দৃষ্টি নিবন্ধিত হয় মনে হয় এই বুঝি বাজবে আর ভেঁসে উঠবে তোমার নাম। না সে অপেক্ষা অন্ধকার তিমিরেই রয়ে যায়। চলতি পথেও এমন ভ্রম হয়, মনে হয় এই বুঝি এলো কোন ক্ষুদে বার্তা। তাও অপূরণীয়ই থাকে। এ অপেক্ষার প্রহর আদৌকি শেষ হওয়ার!
হঠাৎ গা শিউরে উঠল মনে হলো কেউ যেন পিছন থেকে আমায় স্পর্শ করতে চাইছে। অন্ধকারে নিজেকেই দেখা যাচ্ছিল না। একটু স্তব্ধ হয়ে দাড়ালাম যদি কোন শব্দ পাই। নাহ পিন-পতন নিরবতায় আচ্ছন্ন। সব নিরবতা ভেঙ্গে হৃদপিন্ড কাঁপানো হাসি শুনলাম মাত্র। তার একটুপর খুব কাছে এসে জিজ্ঞাসা করলো ভয় পেয়েছো? বল্লাম শুন্য নিঃসঙ্গতা যার নিত্যকার সঙ্গী তার কাছে ভয় কি করে মুখ্য হয়? হয়তো এই পিলে-চমকানো কর্ম তোমার কাছে রসাল আমেজের আনন্দ হবে। একটু ঘনীভূত আবেগ জড়িয়ে বল্লে ‘তুমি মোটেই আমায় বুঝতে চাওনা। তুমি না বলতে আমায় তুমি খুব ভাল বুঝতে পারো? আমি কবে হাসি, কবে কাঁদি, কবে আমার চোখের ভ্রুঁ কুঁচকে যায়, কবে আমি মুচকি হাসছি, কবে আমি উৎকন্ঠ আনমনা হয়ে বসে আছি, কবে আমার হাজার ব্যস্তার মাঝেও হাসছি, কবে উৎফুল্ল হাসির মাঝেও জানান দিচ্ছে আমার চেঁপে থাকা কষ্টগুলো, কবে আমি একাকি বসে কি ভাবছি, কবে আমি হাজার কথার স্রোতের মাঝে থেকেও উম্মুখ উদাস - তার সব সবই বলতে পারতে আমার থেকে দূরে থেকেও। আজ কেন সব হারিয়ে গেল? কেন আজ তোমার অনুরণিত অনুভূতিতে এই অকস্মাৎ বিবর্তন? তোমার মধ্যে কি সেই চাওয়াটি ফুরিয়ে গিয়েছে? তোমার কি মনে হয় এখন আর আমি কাছের কেউ নই? ‘ বল্লাম ‘ আর যাই হোক অভিনয় ভাল তোমার। নিখুত শিল্পশৈলীর মোড়কে আচ্ছাদিত তোমার শিল্প বৈভব। মনের অন্তকরণে স্পর্শ করতে না পারলে সে অভিনয়ের সার্থকতা নাই। আর এখন যা তুমি খুঁজে ফিরছ হয়তো তুমি আর কখনও তার দেখা পাবে না। কেন জানো, তোমার এখনকার অভিনয়ে খাঁজ আছে, আছে মিশেল কিছু দুদোল্যমান অহমিক প্রতিমুর্তি। নিতান্ত চাওয়ায় কিছুই আপন করা যায় না। যদি না থাকে তার সাথে সততা, একাগ্রতা, সবচে যা মূল্যবান আর মুখ্য নিষ্কলুষ ভালবাসার পরমতা। তুমি ভালবাসতে জানো না, জানো আবেগ নিয়ে পৈশাচিক ভাবান্তর করতে। এ নুতন কিছু নয় তোমার জন্যে পৌনঃপুনিক ধারাবাহিকতায় তোমার সৌধ স্বভাব। তুমি নিজেই রচন করছো তোমার অবিশ্বাসের বলয়। অন্ধকারে যতই উছলিয়ে হাসো তা অন্ধকারের নিপতিত হয়ে নির্লিপ্ত হবে।’
আচ্ছা ব্যাপার কি বলো তো, ফোন উঠাওনা কেন? ঈষৎ রাগ দিয়ে মাখানো ছিল কথাগুলো। বল্লাম, যদি একই প্রশ্ন আমি করি কি উত্তর তুমি দিবে? হুম এখনতো তাই বলবা। আমি ব্যস্ত থাকলে কি করে ধরব ফোন। তাহলে তোমার কি মনে হয়না আমারও থাকতে পারে ব্যস্ততা?
যাও তুমি থাকো তোমার ব্যস্ততা নিয়ে, কেন এসেছো আমার কারো সঙ্গ লাগবেনা। - এমন কত্ব ছোট ছোট স্মৃতি আছে ডায়েরীর পাতায় লিপিবদ্ধ। মার্শি, মনে হয়না এসব তোমার মনে পড়ে। কই আমি তো ভূলতে পারিনা। স্বপ্নগুলো আমায় যন্ত্রণা দেয় তোমারই দেওয়া তুচ্ছ-তাছ্যিল্লের চাইতেও বহু গুণে বেশী। সেই কথোপকথনে যেতে চাইলে তুমি পথ আগলে ধরে বলেছিলে, - সত্যি করে বলবা তুমি কি আমায় ভালবাস নাকি শ্রেফ তোমার ভাল লাগে? তাকেই ভালবাসা যায় যাকে ভাল লাগে। সহজ কথায় বলো আমি তোমার ঔসব ঘুরপ্যাঁচ কথা বুঝিনা। তুমি আমায় কতটুক আপন মনে করো? আমার কাছে তুমি ততটুকুই আপন, যে আপনের কষ্ট দংশন করে আমায়, যে আপনের মর্মপীড়া উৎকণ্ঠিত করে আমায়, যে আপনের উৎকণ্ঠা দিশেহারা করে আমায়, যে আপনের নীরবতায় মনে হয় আমি কোন মৃত আত্মা, যে আপনের উদাসিন্যতা বিহ্বল শুন্য মনে হয় নিজেকে, যে যোগ্য একজন বিশ্বস্ত বন্ধুর। ওহ্ এত্ত কথার অর্থ হলো আমি তোমার বন্ধু? বাহ্ হুম, জানতামই তোমার কাছে এই ব্যাখ্যা সম্পুর্ণ মূল্যহীন। কারণ, তোমার কাছে বন্ধু হলো সে - চা’য়ের আড্ডায় নয়া পরিচিত কেউ, যাত্রা পথে পাশের আসনে বসা কেউ, চলার পথে হঠাৎ পরিচয় তেমন কেউ, নব্য যুগের সৌকর্যে পাওয়া দৈবাত কেউ - কারণ মানুষের মনস্তাত্বিক বিবেচনা তোমার কাছে ধর্তব্য নয়। আর তা হলো তোমার রুচির বৈরিতা। তোমার আত্ম-উপলদ্ধি সব সময়ই তোমারই কাছে প্রশ্নবিদ্ধ হয়। কারণ তুমি যা বলো তা করার হিম্মত তোমার অন্তরিক্ষে নাই। যাই বলো তা একরকম সৌকর্য বললে অর্বাচীন কিছু হবে না। একটা প্রবচন আমি হামেশাই বলি ‘চলার পথে হাজারো মানুষের সাথে তোমার দেখা হবে, হবে কথা কিন্তু তাদের মধ্য হতে একজন বিশ্বস্ত ভাল বন্ধু খুঁজে পাওয়া হবে দুস্কর।’ এটা মনে রেখ তুমি আমায় ভালবাসো চাই নাই বাসো যে তোমার বিশ্বস্ত বন্ধু হওয়ার উপযুক্ত নয় তাকে না তোমার ভাল লাগবে না ভালবাসতে পারবে। তবে হ্যাঁ তুমি পারবে করতে অনেক কিছুই কারণ কিছুরই তো স্থায়ীত্বের দরকার নাই তোমার। পৌঢ় বিবেচনায় কোন সিদ্ধান্তে সৌহার্দ মিলেনা।
আচ্ছা বলবা কি তোমার সমস্যা ?
নিশ্চুপ থাকি তোমার কথার উত্তর দেইনা কেন তা কি বুঝনা?
আমার অনেক কাজ থাকে বলি তার কিছু সত্য অনেকটাই তার বায়না, এইটাও কি বুঝনা তোমায় বিরক্ত লাগে অনেকটা সময়?
তুমি আসলেই একটা র্নিলজ্ব গর্দভ। কেন তোমার বোধশক্তি নাই?
আমার জীবনপান সবকিছু এক অদৃশ্য ছাঁচে রাখি, কেন এটাও কি বুঝতে তোমার সমস্যা হয়?
( কেমন একটা প্রশমিত উত্তেজনার আমেজ এখনও আছে বুঝাই যায়। বলেই চলে নিজের মনে কথা গুলো নিঃশ্বাস না নিয়ে এমন ভাবখানা।) সব রাগ যেন মুহুর্তেই উবে গেল এমন করেই বলে -
আচ্ছ শুনো মনটা না ভাল নেই কি কি সব বলে ফেলেছি, কাল কি একবার আসবে অনেকদিন একসাথে কপি খাই না। প্লিজ এসো।
এটাই কি সত্যি যে মানুষ যখন প্রচন্ড রাগের সময় যা বলে সব সত্যই বলে। নাকি আমার কোথাও কিছু ভূল হচ্ছে তা এক দ্বিধার মধ্যে আছি। কখনও কোন আলোচনার সম্পূরক সমাপ্তি হয় নাই। বুঝিনা কিসের মোহে আমি ছুটছি। কালের বিবর্তন হয়, মানুষেরও কি বিবর্তন হয়? মনেরও কি বিবর্তন আছে? আমি কোন বিবর্তনের স্বীকার? কই আমি তো অনুভব করছিনা আমার মাঝে কোন পরিবর্তন! যাই দেখি নিজের মাঝে শ্রেফ অন্ধ মোহ। এত কিছুর পরও আমি নিজেকে দাবায় রাখতে পারছি কই। প্রথম যখন পরিচয় হয় তখনকার কথা। ডায়েরীর পাতা থেকে - বেরসিক কথা যেন তার ভালই লাগছিল। বোধহয় অলস সময় অতিবাহিত করার এই এক উৎকৃষ্ঠ পন্থা। সময়ের গতিকে হার মানিয়েছিল তার কথার গতি। আলোচনের এক পর্যায়ে বলেই বসল কি -
আচ্ছ কতটুক বিশ্বাসযোগ্যতা আছে তোমার সব কথার আর তোমাকেই বা কদ্দুর বিশ্বাস করা যায়?
হুম, বিশ্বাস আর অবিশ্বাসের দাঁড়িপাল্লায় যখন দিলে তো বিশ্বাস তোমায় করতেই হবে, তার র্নিদিষ্ঠ কারণ আছে - তোমায় একান্ত পুলকিত বা মোহিত করার মনোবাসনা নিয়ে কোন মনগড়া কাহিনি তৈরির কৌশল নেইনি। তোমার যদি ইচ্ছে হয় তো কথা বলো আর বিপরীত রাস্তাও তোমার স্বমুখে উন্মুক্ত।
তুমি কি এমনই অল্পেই রেগে যাও?
নাহ্ তো ।
আচ্ছা আমার কিছু জানতে চাইবা না? ( চিন্তার বিষয় একটু ঘুরিয়ে দেওয়া দরকার মনে হলো )
একটা ব্যাপার কি জানো, সাগর আর পর্বত এ দুয়ের মাঝে একটা সমান্তরাল মিল আছে। মানুষ এর সৌন্দর্য দেখে অবিভূত হয় বিমুহিত হয় আশ্চর্য হয় প্রকান্তরে এর গঠণপ্রণালী - গভীরতা - বৈশিষ্ট এই সব নিয়ে কেউ মাথা ঘামায় না। যা জানার দরকার পড়ে তা সময়ে জানা হয়ে যায়। তোমার বেলায় তাই’ই ধরে নিচ্ছি ।
একটু বোধহয় বেশী বললে।
তোমার জন্যে কিছু কালের জন্যে অস্বাভাবিক’কে না হয় স্বাভাবিক মনে করলাম তাতে দোষের কিছু দেখছি না। কারণ অস্থিত্বের যতোপযুক্ত গুরুত্ব অনুধাবন করতে না পারাটা শ্রেফ বোকামি আর অন্যত্র তার উপযুক্ততা স্বীকার না করাটা বিবেকের কৃপণতা। এর কোনটাই আমি করবো না।
আচ্ছা তাই নাকি ! তাহলে তোমায় নিয়ে এমন কিছু বলো তো -
হুম, ঘানিময় যাতাকলের কক্ষপথ যেই জীবনের ধ্রুব, তার নিজস্ব কোন সৌরজগৎ নাই, নেই কোন প্রত্যয়ে পূর্ণ গন্তব্য, নেই কোন স্বপ্নের দৈবাত সিঁড়ি, অনিরূদ্ধ নিয়তির অনুগ্রহে কর্মের বিপরীতে হয় সব ফল, আছে শুধু শুন্যতায় সমাপ্তি।
এটা মানতে পারলেম না। কেন শুন্যতায় সমাপ্তি হবে?
কুয়াশা দেখেছো? বাস্প দেখেছো? ধুঁয়া দেখেছো? এর সবই দৃশ্যমান কিন্তু অস্পৃশ্য। আর যার স্বপ্নগুলোই হয় অদৃশ্য অস্পৃশ্য তার সমাপ্তি কেমন হবে একটু হিসেব করলেই মিলে যাবে।
................... বলা যায় লৌকিক বা লৌকিকতায় হয়ে উঠল আমার জীবনের সবই হাস্যকর। অজস্র বর্ণিল শব্দে তরে তরে সাজানো জীবনের প্রতিচ্ছবি গুলো বিস্মৃত সময়ের পাতা জুড়ে র্জীণ দেয়লিকায় উপাগত উপাখ্যানই মনে হয়। কথার বারতায় বিস্তৃত করা যায় ছন্দহীন এই জীবন প্রণালীর ইতোবৃত্ত। যে আমায় পারলো এমন তাচ্ছিল্য করতে তার স্মৃতি কেন আমি ভূলতে পারছিনা? এইটা কি ভালবাসা? এ কেমন ভালবাসা? প্রবিষ্ঠ মনের প্ররোচণা নয়তো? যদি তা না হয় অহেতুক এমন উৎকণ্ঠা কেন? তারপরও বিশ্বাস করি আমি ভূল নই। প্রসারিত সবুজের দেয়াল ভেদ করে পাহাড়ের কোল ঘেষে এঁকেবেঁকে এগিয়েছে সরু পথ। হেমন্তের শেষ বিকেল তাই রোদের তীব্রতাও তেমন নেই। পায়ে চলা পথে অনতিদূরেই একটু নীচে বয়ে চলেছে পাহাড়ি ঝরণা। তার আর তর সয় না। ঝরণার পানিতে পা ভিজাতেই হবে। নেমেই পড়ল প্রায়ই একরকম লাফিয়ে পড়ার মতো। ছোট্ট শিশুর মতোই পানিতে খেলতে শুরু করল। তার ক্ষণিক পরেই আমায় আহবান করলো নামতে। কেমন যেন মন্ত্রমুগ্ধের মতোই নেমে পড়লাম। পানি ছিটিয়ে প্রায় ভিজিয়েই দিল। কিছুতেই কিছু খারাপ লাগছিলনা আদৌ। সামনে একটু ঢালু পথ আর তখনই জেদ করে বসলো পিটে ছড়বে। যেই বলা সেই কাজ।
মনে মনে এ সব স্মৃতিচারণ করতে করতে কবে সাঁজবেলা গড়িয়ে সন্ধ্যা ঢলে পড়েয়ে বুঝাই যায়নি। মার্শি তুমি আসোনি। নাহ্ কোন কৈফিয়ত চাইছিনা, না করছি অভিযোগ। ধরেই নিয়েছি হয় তুমি ব্যস্ত ছিলে না ভূলে গিয়েছো। সময়ের বিবর্তন হয়ে প্রবর্তন হলো নুতন নামকরণে। কিন্তু আমি বদলাতে দেইনি আমার স্বপ্নকে। সেই অপেক্ষা এখনও আছে অমলিন। মার্শি, আজও পারিনি আর আপনার আপন করে কাউকে ভাবতে। নিজের জন্যে করে চিনতে পারিনাই কোন আত্মা। কেন মার্শি, আমার চিন্তাকে ঘিরে আবর্তন করতে থাকো? যেটুকু কষ্ট দিয়েছো তাতেই কি তোমার স্বাদ মিটেনি? আমার কি এটুক অধিকার নাই আমি আমার মতো বাঁচি? নিজের মনে তোমায় ভালবাসতাম এ কি এতই জঘন্য অপরাধ আমার? জানি তুমি কোন উত্তর দিবে না। তোমার নিরবতা জন্ম দেয় অনেক শংকাময় প্রশ্নের। হয়তো তোমার জন্যে এমন কিছূ তুচ্ছ ব্যাপার। কারোর অপেক্ষা তোমার কাছে অসহ্য বিরক্তির হয়তো। তোমার হাজার অবজ্ঞাকে গায়ে মাখায়নি কারণ তোমায় বিশ্বাস করতাম বলে। তাও তা তুমি করেছো বারংবার। তোমার উচ্চাভিলাসী মিথ্যাচারগুলো সত্যই অনেক আবেগপ্রবণ বাস্তবনির্ভর। তারপরও কেন -
অবসন্ন ব্যতিক্রম এই দ্বৈত মনের দ্বার
না আছে ছিন্ন করেছে ভিন্ন নাই কোন দায়ভার।
যাতন যত্ন পুরান বলিয়া ত্যাজ্য করেছে মন
ভাবনায় তার বিরাজ করে বহে সর্বক্ষণ।
সময় তারে ডাকিয়া বলে জীবন যাযাবর
নিয়মের ঘোরে চলছে সবই আপন এবং পর।
..................... এ পর্যন্তই।
©somewhere in net ltd.