নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কবে হবে বোধোদয় .....

শ্রাবণ আহমেদ হিমু

শ্রাবণ আহমেদ হিমু

আমার সম্পর্কে যাকে ভালো লাগবে তাকেই শ্রেফ জানাবো, অযাচিত আবার কেউ না বলে বসে এ আবার কোন নুতন নাস্তিক !!!

শ্রাবণ আহমেদ হিমু › বিস্তারিত পোস্টঃ

রক্ত স্নাত লাইলাতুল কদর আর আমাদের প্রশ্নবিদ্ধ ইসলামিক ঈমান ....

০৩ রা জুলাই, ২০১৬ সকাল ১০:৫৯

গতকালের ঢাকার গুলশানে ঘটে যা্ওয়া ঘটনা’র পুনব্যক্ত করার আশা করি প্রয়োজন নেই। কারণ যা কেউ কখন্ও চাইলেই ভূলতে পারবে না। তারপরর্ও কিছু অপ্রাসঙ্গিক আলোচনা। ফেইসবুকে একজেনর স্ট্যাটাস ছিল এমন “যে ট্যাররিস্ট হয় সে তো আর মুসলিম থাকে না। তাহলে কেন ট্যাররিস্টে’র সাথে মুসলিম যুক্ত হবে?” অপরপাতে সেই কট্টরবাদীদের যুক্তি ইসলামের জন্যে সব’ই যায়েজ। অর্থাৎ এখানে ইসলাম মুখ্য নয়, ক্ষমতা’ই মুখ্য। সুতরাং ইসলামকে ঢাল হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে শুধুই ক্ষমতা’র জন্যে। তাহলে কি তাদের সেই ইসলাম প্রশ্নবিদ্ধ নয়?
তারপর কি হলো আর? পুলিশ নাকি তাদের গ্রেফতার করতে অভিযান চালিয়েছিল যা ব্যর্থ হয়। ব্যর্থ কি করে হলো পুলিশের অভিযান? তাহলে কি পুলিশের মাঝে’ই আছে তাদের চর? যে পুলিশের প্রত্যেকটি পদক্ষেপ সম্পর্কে তাদের বার্তা পৌঁছে দিচ্ছে?
একজন ব্লগার হত্যা কান্ডে পাঁচ জন ছাত্র গ্রেফতার হয় নামীদামি এক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে নাঠের গুরু হিসাবে পা্ওয়া গিয়েছিল তাদের একজন শিক্ষককে। আমাদের দেউলিয়া প্রশাসন আর মুমর্ষ বিচার ব্যবস্থার ময়নাতদন্ত করে এরা বেরিয়ে যেতে পেরেছে কারণ এরা সবাই ছিল ধনী’র ঘরের দুলাল। তখন পুলিশ বা সরকার কারোর’ই হিম্মত হয়নি সেই সব পরিবারের পরিচয় প্রকাশ করতে। তারউপর আছে আমাদের মানবাধিকার সংস্থা নামক দালালদের হাউকাউ। তার সাথে আছে একনিষ্ট সত্যের জন্যে অনড় বলে খ্যাত মিডিয়া’র মিথ্যাবাদী দালাল’রা। এবং উপরি বোনাস হিসাবে আছে পয়সায় বিকানো মস্তিষ্কের বুদ্ধিজীবি’রা।
এখন নুতুন নাটক শনিবার রাত ১০টা ৫১ মিনিটে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো ই-মেইল বার্তায় অভিযানে নিহত পাঁচ জঙ্গির নাম প্রকাশ করা হয়। তাঁরা হলেন আকাশ, বিকাশ, ডন, বাঁধন ও রিপন। তাঁদের বিস্তারিত পরিচয় জানানো হয়নি। প্রশ্ন হলো তাদের ধরার জন্যে অভিযান চালানো হয়েছিল তাতে কি তাদের বিস্তারিত পরিচয় নাই? কার স্বার্থ রক্ষার জন্যে পরিচয় গোপন রাখা হচ্ছে? তাদের পুণাঙ্গ পরিচয় বেরিয়ে এলে এটা কি নিশ্চিত হ্ওয়া যেত না এসব কর্মকান্ডের পিছনে অর্থায়নের বিষয়টি? নাকি এখন থেকে ধীরে ধীরে বিশ্বাস করে নিতে হবে সেই দশ ট্রাক অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনা যেমন সমস্ত উর্ধতন কর্মকর্তা থেকে প্রধান মন্ত্রী পযর্ন্ত অবগত ছিলেন, এখন ঠিক অনুরূপ ঘটছে? নাকি প্রধান মন্ত্রীকে অন্ধকারে রেখে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের অন্যরকম দুরভিসন্ধিমুলক কিছু?
(সুত্র সিনেমা : বড় বড় অপরাধমুলক অপারেশন সম্পাদন করার আগে প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে একাধিকবার বৈঠক হয়, তাদের সবুজ সংকেতের পর তাদের জ্ঞ্যাতস্বারেই সংঘঠিত হয়।)
আমার কেন জানি মনে হচ্ছে ছবিতে দেখা কাহিনী’র এক অন্য রকম বাস্তবতা। তারা কারা মুখোশ পড়া আমাদের সমাজপতি, সমাজের কর্ণধার?
সরকার বা প্রশাসন বা দুয়ের কি এই হিম্মত হবে না তাদের মুখোশ উম্মোচন করতে দেশের কাছে মানুষের কাছে?

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.