![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নারী, যে একসময় পৃথিবীতে জন্ম নেয় কারও কন্যা হয়ে। তার পর হয় কারও ঘরণী, তারপর হয় মা। মানুষ হিসেবে সবারই স্বাধীনতা কাম্য। কিন্তু একজন নারী তার স্বাধীনতাকে বিভিন্ন সময় কারও না কারও গচ্ছিত রেখেই জীবন অতিবাহিত করছে। সে স্বাধীন কিন্তু পরে আছে এক অদৃশ্য পরাধীনতার শিকল। যা শৈশব - কৈশরের সময় তাকে নোংরা কিছু চোখের জন্য, অথবা সংসার নামের সামাজিকতার জন্য, অথবা সন্তানের উপর নির্ভরশীল হয়ে পরার জন্য এই অদৃশ্য অলংকার পায়ে পড়তে হয়। । নারী তার স্বাধীনতাকে কোন কালেই ঠিক মত পায় নাই। শৈশব বা কৈশোরের স্বাধীনতাটার সীমানাটা শুধু তার ঘরের ভিতরে। কারন মা বা ভয় পায় তার মেয়ে কে নিয়ে। রাইরে যাবে? চারিদিকে সব অজানা চোখ। তাই ঘরই তার জন্য ঠিক। চার দেওয়ালে সীমিত স্বাধীনতা। তার পর হলো কারও ঘরণী। সেখানে সে আসলেও পরাধীন। শুধু পরাধীনই নয় সে অন্যের উপর নির্ভরশীল। তুমি নিজে চাইলেই তোমার অদৃশ্য শিকলটা আর ফেলতে পারবে না। তাহলে এখানেও তোমার স্বাধীনতা চার দেয়াল থেকে কমে নিজের মনের ভেতর চলে আসলো। তারপর বৃদ্ধ বয়সে তোমার স্বাধীনতা চলে গেলো তোমার সন্তানদের হাতে। মানে তুমি তাদের উপর নির্ভরশীল। এখানে তুমি বা তোমার মন সব কিছুই পরাধীন। তাহলে বলো নারী স্বাধীনতা আসলেও আছে কি?
মেয়েরা শিক্ষিত হচ্ছে ঠিকই তার পরও তারা এই সমাজের নিয়মের ভিতর পরাধীন রয়ে যাচ্ছে। কোথায় বুক ভরে স্বাধীন একটা নিঃশ্বাস তারা কখনও নিতে পারছে না। আসলে পরাধীনতা এই অদৃশ্য জালটা হয়তো কখনই শেষ হবেনা নারীর জন্য।
২৫/০৭/১৭
©somewhere in net ltd.