![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শরীয়া আইন এর অনুপযোগিতাঃ পর্ব-১ - হাদীস সংকলনের ইতিহাস।
লক্ষ লক্ষ জাল হাদীসের জঞ্জাল থেকে ইমাম বুখারী যে সত্য হাদীস যাচাই করে সংকলণ করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন তা অবশ্যই প্রসংসার দাবীদার। ইমাম বুখারীর হাদীস যাচাই বাছাই এর পদ্ধতি নাকি এতটাই কঠোর ছিল যে একটি মাত্র জাল হাদীসও সেখানে ঢুকে পরার কোন সুযোগ ছিলনা। মোহাবিষ্ট মুসলিম এই হাদীস যাচাই এর পদ্ধতি জানলে আসলেই আর বুখারী শরীফের হাদীস নিয়ে সন্দেহ পোষণ করবেনা। তাই এই হাদীস যাচাই এর পদ্ধতি নিয়ে আলোচনার পূর্বে আমরা সেই পদ্ধতির ফলাফল নিয়ে আলোচনা করলে মোহাবিষ্ট মুসলিমের মোহ কাটতে কিছুটা সুবিধা হতে পারে। একজন সাধারণ মুসলিমকে যখন একটি হাদীস শুনানো হয় সে স্বাভাবিক ভাবেই সেটি ভক্তি সহকারে বিশ্বাস করে নেয়। তবে অনেকে আছেন যারা হাদীসটি শুনার পর জানতে চাইবে যে এটা বুখারী/মুসলিম শরীফের হাদীস কিনা। বুখারী/মুসলিম এর হাদীস হলে তারা সেটা বিশ্বাস করে নেয়, আর অন্য গ্রন্থের হাদীস হলে তারা কিছুটা হলেও সন্দেহ পোষণ করে বলে যে এটা শতভাগ সহিহ নাও হতে পারে। তারা মূলত আলেমদের প্রোপাগান্ডার কারণেই এমন কথা বলেন। কারণ আল্লাহ বা নবী কোথাও বলে দেননি যে শুধু বুখারী/মুসলিম হাদীস হলেই শতভাগ বিশ্বাস করা যাবে। বুখারী/মুসলিম হাদীসগ্রন্থগুলো নিয়ে এই আলেমদের প্রচারণাগুলো নিম্নরুপঃ
১) ইমাম বুখারী ও ইমাম মুসলিম কখনো কোন দূর্বল বর্ণনাকারীর কাছ থেকে হাদীস সংগ্রহ করেন নাই।
২) কোন হাদীসের স্কলার কোনদিন বুখারী/মুসলিম শরীফের একটি হাদীসের প্রতিও কোন অভিযোগ করেন নাই।
৩) কোন হাদীসের স্কলার কোনদিন ইমাম বুখারী বা ইমাম মুসলিম এর ভুল হয়েছে এমন সমালোচনা করেন নাই।
মূলত উপরের একটি দাবীও সত্য নয়। ইমাম শাখাবি তার ফাথ-উল-মুঘিস গ্রন্থের ''ইমাম বুখারী ও ইমাম মুসলিম'' অধ্যায়ে লিখেছেন যে বুখারী গ্রন্থের ৪৩৫ হাদীস বর্ণনাকারীর মাঝে ৮০ জনই দূর্বল বর্ণনাকারী ছিলেন। আর মুসলিম শরীফের ৬২০ বর্ণনাকারীর মাঝে ১৬০ জনই দূর্বল বর্ণনাকারী ছিলেন। এই বিষয়ে আরও বিস্তারিত আলোচনা করার পূর্বে সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য বিরাট বড় এক হাদীস স্কলার ও আলেমের সাথে পরিচিত হওয়া যাক। ইমাম ইবনে হাজার আসকালানী। বুখারী শরীফের সবচেয়ে বড় ও গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যাগ্রন্থ ফাথ-উল-বারী এর রচয়িতা। আমরা বর্তমানে যে আধুনিক ১০ খন্ডের বুখারী শরীফ দেখি সেটি মূলত এই ফাথ-উল-বারী গ্রন্থ থেকেই ইমাম আসকালানীর ব্যাখ্যাগুলো বাদ দিয়ে সংকলণ করা হয়েছে। অর্থাত আধুনিক বুখারী শরীফের উতস হচ্ছে ইমাম আসকালানী। ফাথ-উল-বারী গ্রন্থটি এতই বিশালাকার যে এখনো এর ইংরেজী অনুবাদ করা হয়ে উঠেনি। তবে মুল আরবী গ্রন্থটি অনলাইনে পাওয়া যায়। মজার ব্যাপার হচ্ছে ইমাম আসকালানী নিজেই সেই ফাথ-উল-বারী গ্রন্থে ইমাম বুখারীর অনেক হাদীসের সমালোচনা করেছেন। ইমাম আসকালানী ছাড়াও অন্য অনেক প্রক্ষাত আলেম যেমন ইমাম গাজ্জালীও বুখারী শরীফের হাদীসের সমালোচনা করেছেন। তাই বুখারী/মুসলিম গ্রন্থ নিয়ে আলেমদের বর্তমান অসত্য দাবীগুলো যে আমাদের সাধারণ মুসলিমদের বিভ্রান্ত করে যাচ্ছে সে ব্যাপারে সচেতন হবার সময় এসেছে।
অনেকগুলো হাদীসের মধ্য থেকে উদাহরণ হিসেবে কিছু হাদীস তুলে ধরা প্রয়োজন যেখানে স্কলারগণ ইমাম বুখারী ও তার সংকলিত হাদীসের সমালোচনা করেছেন। উল্লেখ্য ইমাম আসকালানীর মূল গ্রন্থ পড়লে এমন আরও অনেক জাল হাদীস পাওয়া যাবে বুখারী গ্রন্থে। এর বাইরে তো বৈজ্ঞানিক ও কমন সেন্সের ভিত্তিতে ভুল হাদীসের অভাব নেই বুখারী শরীফে। তবে এই পোস্টের উদ্দেশ্য ইমাম বুখারীকে হেয় প্রতিপন্ন করা নয়, বরং এটাই বুঝানো যে ভুল সবারই হতে পারে, বুখারীর হাদীস বলেই চোখ বুজে তা বিশ্বাস করার কারণ নেই।
১) বুখারী শরীফের তৌহিদ অধ্যায়ে ইমাম বুখারী সংকলণ করেছেনঃ শারিক হযরত আনাস হতে রাসূলের মিরাজ সংক্রান্ত একটি ঘটনা বর্ণনা করেছেন। কোরআনের সর্বপ্রথম আয়াত নাযিল হবার পূর্বে রাসূল (সা) কাবা গৃহে নিদ্রারত ছিলেন, তিনি স্বপ্নে দেখলেন তিনিজন ফেরেশতা তার নিকট এসে তার সম্মানের ব্যাপারে কথা বলে চলে গেলেন। দ্বিতীয় রাত্রিতেও একই ঘটনা ঘটল কিন্তু তৃতীয় রাত্রিতে স্বয়ং রাসূলকেই (সা) মিরাজে নিয়ে যাওয়া হল।
ইমাম আসকালানী এই হাদীসের ব্যাখ্যায় বলেছেনঃ এই হাদীসের বক্তব্য মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়। সকলেই জানে যে রাসূল (সা) মিরাজে গিয়েছিলেন নবুয়ত প্রাপ্তির পর এবং মদিনায় হিযরত এর পূর্বে।
২) বুখারী শরীফের মুগাযী অধ্যায়ে ইমাম বুখারী সংকলণ করেছেনঃ হযরত উসমানের মৃত্যুর পর বদর যুদ্ধে অংশ নেয়া আর কোন সাহাবা জীবিত ছিলেন না। এবং হাররার যুদ্ধের পর হুদায়বিয়া যুদ্ধে অংশ নেয়া আর কোন সাহাবা জীবিত ছিলেন না।
ইমামা আসকালানী এই হাদীসের ব্যাখ্যায় বলেছেন হাদীসটি মিথ্যা। হযরত আলী সহ অনেক বদর যোদ্ধাই উসমানের মৃত্যুর পর জীবিত ছিলেন। হাদীসটির ২য় অংশটাও ভুল।
৩) বুখারী শরীফের তাফসির অধ্যায়ে ইমাম বুখারী সংকলণ করেছেনঃ শেষ বিচারের দিন যখন হযরত ইবরাহিম তার পিতাকে দেখবেন তিনি আল্লাহর কাছে আরজ করবেন, '' তুমি আমার কাছে ওয়াদা করেছিলে যে শেষ বিচারের দিন তুমি আমাকে দুঃখিত করবেনা।'' আল্লাহ উত্তরে বলবেন, '' অবিশ্বাসীদের জন্য আমি জান্নাত নিষিদ্ধ করেছি।''
ইমাম আসকালানী এই হাদীসের ব্যাখ্যায় বলেছেনঃ এই হাদীসটি ভুল। কেননা এটি কোরআনের সাথে সাংঘর্ষিক। কোরআনে আল্লাহ বলেছেন যে যখন হযরত ইবরাহিম জেনেছিলেন যে তার পিতা আল্লাহর শত্রু তখন থেকেই তিনি পিতার জন্য দোয়া করা ছেড়ে দিয়েছিলেন। এছাড়া এই হাদীস পড়লে মনে হয় যে আল্লাহ ওয়াদা করে সেই ওয়াদা রক্ষা করেন নাই।
৪) বুখারী শরীফের তৌহিদ অধ্যায়ে ইমাম বুখারী সংকলণ করেছেনঃ আবু হুরায়রা বর্ণনা করেন যে নবী (সা) বলেছেন, বিচার দিবসে যখন আল্লাহ দোজখীদের জাহান্নামে নিক্ষেপ করবেন তখন জাহান্নাম বলবে আরও দাও। তখন আল্লাহ এক নতুন জাতি সৃষ্টি করে তাদেরকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবেন। জাহান্নাম আবারো বলবে আমি আরও চাই। তখন আল্লাহ আরও একটি জাতি সৃষ্টি করে জাহান্নামে নিক্ষেপ করলে তাতেও জাহান্নাম পূর্ণ হবেনা। তখন আল্লাহ নিজের পা জাহান্নামের উপর রাখলে জাহান্নাম পূর্ণ হবে।
ইমাম আসকালানী ফাথ-উল-বারী গ্রন্থে এবং হাফিজ ইবনে কাইয়াম, আবুল হাসান কুছবি এবং অন্যান্য হাদীস পন্ডিতগণ বলেছেনঃ এই হাদীসটি জাল, কারণ উক্ত হাদীসে বলা হয়েছে যে আল্লাহ নতুন এক জাতি সৃষ্টি করে তাদেরকে দোজখে নিক্ষেপ করবেন। এই হাদীসের বর্ণনা অনুযায়ী নতুন সৃষ্ট জাতি পাপ করার সুযোগই পাবেননা, তো আল্লাহ কিভাবে তাদেরকে দোজখে নিক্ষেপ করবেন যেখানে আল্লাহ নিজেই কোরানে আরও ঘোষনা দেন যে তিনি কারও উপর অবিচার/জুলুম করবেননা? (সূরা কাহফ-৪৯)। এছাড়া আল্লাহ তায়ালা কোরানে নিজেই বলেছেন তিনি দোজখ পূর্ণ করবেন শয়তানের অনুসারী দ্বারা (সূরা ছোয়াদ-৮৫)।
৫) বুখারী শরীফের আম্বিয়া অধ্যায়ে ইমাম বুখারী সংকলণ করেছেনঃ হযরত আদম ষাট ফুট লম্বা ছিলেন।
ইমাম আসকালানী এই হাদীসের ব্যাখ্যায় বলেছেনঃ এই হাদীসটি বিশ্বাসযোগ্য না, হাদীসটি সত্য হলে পূর্বের জাতিগুলোর বাড়িঘর আমাদের চাইতে বড় হত কিন্তু বাস্তবে তেমনটি দেখা যায়না।
৬) বুখারী শরীফের খয়বার অধ্যায়ে ইমাম বুখারী সংকলণ করেছেনঃ আবু মুসা বলেছেন যে আমাদের রাসূল খয়বরের দিকে যাচ্ছিলেন। তার পিছনের লোকেরা জোড়ে আল্লাহু আকবর বলে চিতকার করছিলেন। রাসূল তখন তাদেরকে চিতকার করতে নিষেধ করে স্বাভাবিক আওয়াজে আল্লাহু আকবর বলতে বলেছিলেন।
ইমাম আসকালানী এই হাদীসের ব্যাখ্যায় বলেছেনঃ এটি সত্য হতে পারেনা। বুখারীরই অন্য হাদীসে আছে যে আবু মুসা নবীর সাক্ষাত পেয়েছিলেন খয়বর যুদ্ধ শেষ হয়ে যাবার পর।
৭) বুখারী শরীফের খয়বার অধ্যায়ে ইমাম বুখারী সংকলণ করেছেনঃ আবু হুরায়রা কর্তৃক বর্ণিত, খয়বরের যুদ্ধে মুসলিমরা জয়ী হয়েছিল এবং সেই যুদ্ধে এক ব্যক্তি খুব সাহসিকতার সাথে যুদ্ধ করেছিল, আমাদের রাসূল (সা) বলেছিলেন সে জাহান্নামে যাবে।
ইমাম আসকালানী এই হাদীসের ব্যাখ্যায় বলেছেনঃ এই হাদীসটি পড়লে মনে হয় আবু হুরায়রা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু আবু হুরায়রা নবীর সাক্ষাত পেয়েছিলেন খয়বরের যুদ্ধের পর। ইমাম বুখারী এই হাদীসটি লিখার সময় নিশ্চই পূর্ণ মনোযোগী ছিলেননা।
৮) বুখারী শরীফের মাযুকিরা ফিল আসওয়াক অধ্যায়ে ইমাম বুখারী সংকলণ করেছেনঃ আবু হুরায়রা বলেছেন-''আমি আল্লাহর নবীর সাথে বনু কাইনুকার বাজারে গিয়েছিলাম এবং তিনি সেথায় ফাতিমার বাগানে বসেছিলেন।
ইমাম আসকালানী এই হাদীসের ব্যাখ্যায় বলেছেনঃ এই হাদীসে বেশ কিছু শব্দ মিসিং হয়েছে। কারণ বনু কাইনুকায় ফাতিমার কোন বাড়ি/বাগান ছিলনা। মুসলিমের হাদীস থেকে সেই শব্দগুলো অবশ্য পাওয়া যায়। মুসলিমের হাদীসে আছে প্রথমে বনু কাইনুকায় গিয়ে পরবর্তীতে নবী ফাতিমার বাগানে গিয়েছিলেন। ফাতিমার বাড়িটি ছিল নবীর স্ত্রীদের বাড়িগুলোর মাঝামাঝি।
৯) বুখারী শরীফের যাকাত অধ্যায়ে ইমাম বুখারী সংকলণ করেছেন যেঃ নবীর মৃত্যুর পর তার স্ত্রীদের মাঝে উম্মুল মুমীনিন সাওদা-ই সর্বপ্রথম ইন্তেকাল করেছিলেন।
ইমাম আসকালানী এই হাদীসের ব্যাখ্যায় বলেছেন যে ইমাম বুখারী ভুল বলেছেন, কেননা সাওদা নয় উম্মুল মুমীনিন জয়নাব সর্বপ্রথম ইন্তেকাল করেছিলেন। ইমাম ইবনে জাযি বলেছেন এটা খুব অবাক করা ব্যাপার যে ইমাম বুখারী এটা লিখেছেন, কারণ এই তথ্যটি ভুল। এছাড়া ইমাম নববী এই হাদীসটি ভুল বলেছেন।
১০) বুখারী শরীফের জানাইজ অধ্যায়ে ইমাম বুখারী সংকলণ করেছেনঃ নবীর স্ত্রী উম্মে হাবিবা শুনেছিলেন যে তার বাবা সিরিয়াতে মৃত্যুবরণ করেছেন।
ইমাম আসকালানী এই হাদীসের ব্যাখ্যায় বলেছেন, সকল স্কলারগণই একমত যে উম্মে হাবিবার পিতা মদিনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। ইমাম বুখারী ভুল করেছেন।
১১) বুখারী শরীফের মুগাযী অধ্যায়ে ইমাম বুখারী সংকলণ করেছেনঃ খাবাইব বিন আদ্দি বদর যুদ্ধে হারিসকে হত্যা করেছিলেন।
ইমাম আসকালানী এই হাদীসের ব্যাখ্যায় বলেন যে বেশীরভাগ স্কলার একমত যে খাবাইব বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণই করেন নাই।
১২) বুখারী শরীফের ফাযায়েল উল উসমান অধ্যায়ে ইমাম বুখারী সংকলণ করেছেনঃ হযরত উসমান এক ব্যক্তিকে আশি বার চাবুক মেরেছিলেন।
ইমাম আসকালানী এই হাদীসের ব্যাখ্যায় বলেছেনঃ এই তথ্যটি সঠিক নয়
এভাবে উদাহরণ দেয়া চালিয়ে গেলে পোস্টে জায়গা সংকুলান হবেনা। এতো গেলো ঐতিহাসিক সত্যতার ভিত্তিতে ইমাম বুখারীর ভুল ধরা, কিন্তু আফসোসের বিষয় যে ইমাম আসকালানী অন্যান্য বিষয়ে তার ভুলগুলোর পক্ষেই সাফাই গেয়েছেন। অথচ বৈজ্ঞানি, কমনসেন্স, নবীর প্রতি সম্মান ইত্যাদি অনেক ক্ষেত্রেই ইমাম বুখারীর ভুলের কোন শেষ ছিলনা। বুখারীর এমন অনেক হাদীস আছে যা পড়লে বিষ্ময়ে হতবাক হয়ে যেতে হয়। যাই হোক, এতক্ষনের আলোচনা থেকে আমরা অন্তত এইটুকু জানলাম যে বুখারী শরীফ শতভাগ সত্য ও গ্রহণযোগ্য বলে আলেমরা যে কথা প্রচার করেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা একটি প্রচারণা। সাধারণ মুসলমানের মনের সরলতার সুযোগ নিয়েই আলেমগণ এমন প্রচারণা করে থাকেন। ইমাম বুখারীর হাদীস সংকলন ও যাচাই বাছাই পদ্ধতি নিয়ে প্রচারণার কারণে মোহাবিষ্ট মুসলিম বুঝতেই পারেনা যে এই পদ্ধতি কতটা ত্রুটিপূর্ণ ও ফাকি দেয়া, বরং মোহের কারণে এই পদ্ধতি দেখেই তারা ভেবে নেয় যে কত নিখুত এই বুখারী শরীফ। পরের পর্বে ইমাম বুখারীর হাদীস সংকলনের পদ্ধতির মোহ ও ত্রুটি নিয়ে আলোচনা করা হবে।
চলবে।
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৩
মেহেদী পরাগ বলেছেন: ফাথ আল বারীতেই ইমাম আসকালানী ইমাম গাজ্জালীর রেফারেন্সে কিছু হাদীসের সমালচনা করেছেন। ইমাম গাজ্জালীর আলাদা বই এর নাম বের করতে হলে আমাকে খুঁজে দেখতে হবে।
২| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:১১
ভেজাল* বলেছেন: তো এখন বুখারী শরীফের ত্রুটি বের করে অন্য দুর্বল হাদিস প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা হবে নাকি?
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৪
মেহেদী পরাগ বলেছেন: না, যেগুলো সত্য সেই হাদীস মানতে হবে। বুখারী মুসলিম বলে কোন কথা নাই। হাদীসের বক্তব্যই বলে দেবে হাদীসটি কতটা সত্য!
৩| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৩৪
নাসের মিয়াজী বলেছেন: ভাই, আপনি কোন মতবাদের অনুসারী আমি বুঝতে পারছি, যে সকল ইমানের রেফারেন্স দিলেন তাদের বেশির ভাগই শীয়া আলেম, কেউ তো বলেনা যে বুখারী শরীফ 100% কারেক্ট, তবে গ্রহন যোগ্যতার দিক থেকে কুরআনের পর বুখারী শরীফের স্থান, এটা ইজমা দ্বারা প্রতিষ্ঠীত, ইমাম গাজ্জালী র: , উনি সব কিচ্ছুকে স্রষ্টা মানতেন, পীর প্রথা তাদের হাত দিয়ে রচিত, ইসলামের সমালোচনা করতে পারলেই সবাই আপনাকে আপডেট বলবে , যদি সত্যিকারের মুসলিম হউন এই ধরনের চিন্তা পরিহার করুন,
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৬
মেহেদী পরাগ বলেছেন: আপনি বুঝতে ভুল করেছেন, আমি শিয়া নই। আর আপনি না জেনে কথা বলেছেন কারণ এই পোস্টে কোন শিয়া ইমামের রেফারেন্স দেয়া হয়নি। ইমাম আসকালানী হচ্ছেন সুন্নি স্কলার এবং স্করারদের শিরোমনি।
৪| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৩৫
নাসের মিয়াজী বলেছেন: ভাই, আপনি কোন মতবাদের অনুসারী আমি বুঝতে পারছি, যে সকল ইমানের রেফারেন্স দিলেন তাদের বেশির ভাগই শীয়া আলেম, কেউ তো বলেনা যে বুখারী শরীফ 100% কারেক্ট, তবে গ্রহন যোগ্যতার দিক থেকে কুরআনের পর বুখারী শরীফের স্থান, এটা ইজমা দ্বারা প্রতিষ্ঠীত, ইমাম গাজ্জালী র: , উনি সব কিচ্ছুকে স্রষ্টা মানতেন, পীর প্রথা তাদের হাত দিয়ে রচিত, ইসলামের সমালোচনা করতে পারলেই সবাই আপনাকে আপডেট বলবে , যদি সত্যিকারের মুসলিম হউন এই ধরনের চিন্তা পরিহার করুন,
৫| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৪৩
পারভেজ আলম বলেছেন: একমত
৬| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৪৬
মাহমুদডবি বলেছেন: আপনি কি পড়তে বলেন উসুলে কাফি
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৮
মেহেদী পরাগ বলেছেন: আমি সবই পড়তে বলি, তারপর কোরআনের আদেশ অনুযায়ী সব পড়ে শুধু সত্যটা গ্রহণ করতে বলি।
৭| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৪৮
নাসের মিয়াজী বলেছেন: ভাইয়েরা, আপনারা জানেন কিনা জানিনা এই সব শীয়া আলেমর 10 জন সাহাবী ব্যতিত সকল সাহাবীকে গালী দিতেও কুন্ঠা বোধ করেনা, এই 10 জন হচ্ছে যারা তাদের পক্ষে ছিল, ওমর র:, উসমান র: সবাইকে গালি দেয়, মিথ্যুক প্রতিপন্য করে, তাই ইমাম বুখারীকেও তারা চারেনা,... বিস্তারিত..... Click This Link http://quraneralo.com/shia/
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩১
মেহেদী পরাগ বলেছেন: আমি ভুল কি বলেছি সেটাই দেখান। অন্য দিকে দৌড়ান কেন?
৮| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৪৯
শিক কাবাব বলেছেন: নতুন তসলিমা নাসরিনের আবির্ভাব। বাইবেল নিয়া রিসার্চ করতে মন চায় না?
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৮
মেহেদী পরাগ বলেছেন: বাইবেল এতটাই ভুলে ভরা আর বিকৃত যে রিসার্চের দরকার হয়না। আর এই ব্লগে বাইবেলের অনুসারী দু একজনের বেশী আছে?
৯| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:০৮
শিক কাবাব বলেছেন: মাহমুদডবি বলেছেন: আপনি কি পড়তে বলেন উসুলে কাফি
বেছারা পিচডি করে ভায়োলজিতে। মাগার, রিসার্চ করে পায়খানা নিয়া।
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৯
মেহেদী পরাগ বলেছেন: ঠিকই বলেছেন, বেশীরভাগ হাদীস পায়খানার মতই।
১০| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৫৪
হ্যারিয়ার টু বলেছেন: জটিলতায়! islame এত বিভাজন কেন?
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩০
মেহেদী পরাগ বলেছেন: ধর্ম ব্যাবসায়ীরা মানুষের অজ্ঞতার সুযোগ নিয়ে এই বিভাজন সৃষ্টি করেছে।
১১| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:১১
বিভ্রান্ত নাগরিক বলেছেন: একজন মানুষ বিস্তর পড়ালেখা করে, যুক্তি তর্কের মাধ্যমে ভুলকে ভুল হিসেবে ধরিয়ে দিচ্ছেন, আর কিছু মানুষ কোনও যুক্তি ছাড়াই তাকে বিভিন্ন রকমের ট্যাগ দিয়ে যাচ্ছেন। মানুষ কি তার স্বাভাবিক যুক্তিবোধ, সৌজন্যতা এই সব বিষয়গুলো ভুলে যাচ্ছে?
লেখককে ধন্যবাদ, চমৎকার তথ্য সম্পন্ন একটি লেখা দেওয়ার জন্য।
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩০
মেহেদী পরাগ বলেছেন: ধন্যবাদ। আঁতে ঘাঁ লাগলে এমনটা করবেই।
১২| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:৪২
নীলপথিক বলেছেন: ইমাম আসক্কালানীও তো দেখি ইমাম বুখারীর কিছু ভুলের পক্ষে সাফাই গেয়েছেন, সেক্ষেত্রে ওনার ব্যাখা গ্রহন করা যাবে কি?
আমার জানামতে হযরত আলী (র) বদরী সাহাবা ছিলেন না, বদর যুদ্ধের সময় টিনি নাবালক ছিলেন বিধায় রসূল উনাকে যুদ্ধে অংশগ্রহনের অনুমতি দেননি। বিষয়টা পরিষ্কার করে বলবেন।
অনেকদিন পরে লিখলেম। ভালো লাগলো আপনার যুক্তিগুলো।
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৫৩
মেহেদী পরাগ বলেছেন: নাম দেখে কারও ব্যাখ্যা গ্রহণ বা বর্জনের কিছু নাই। মানুষ মাত্রই ভুল। আপনার কাছে তো নিজের বিবেক আর কোরান রয়েছেই। হাদীস পড়লে সেটা নিজের বিবেক বুদ্ধি আর কোরান দিয়ে যাচাই করা মোটেই কঠিন কিছুনা বর্তমানের ইন্টারনেটের যুগে। গুগলে সার্চ দিলেই কোরানের সংশ্লিষ্ট আয়াত চলে আসে।
আর হযরত আলীর ব্যাপারে আপনি ভুল জানেন। নবীর চাচা আবু তালিবের পুত্র হযরত আলী সর্বপ্রথম পুরুষ ইসলাম গ্রহণকারী। বদরের যুদ্ধের সময় তার বয়স ছিল ২২ বছর। তাবুক যুদ্ধ ছাড়া ইসলামের সকল যুদ্ধেই হযরত আলী অংশগ্রহণ করেছিলেন। তিনি ছিলেন ইসলামের বীর সেনানী।
১৩| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৫৭
হুমায়ুন তোরাব বলেছেন: ki porum vai..
usule kafi na vede marefat
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩২
মেহেদী পরাগ বলেছেন: আপনার যা ইচ্ছা!
১৪| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:০৯
মিষ্টিগল্প বলেছেন: নীল পথিককে বলতে চাই... এমন কমন একটা তথ্য না জেনে ইসলামের এমন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মতামত দেয়াটা মানায় না। হযরত আলী (রাঃ) বদরের যুদ্ধে প্রথম ৩ জন আক্রমণ কারীদের একজন ছিলেন। এবং বদরের যুদ্ধে নিহত কাফেরদের অর্ধেক বেশী হযরত আলীর হাতে নিহত হয়েছিল।
মেহেদী পরাগ, আপনি বাছ-বিচার করে কথাগুলো বলছেন তারপরও এমন ট্যাগ দেয়া হচ্ছে যদি সব সত্য বলে দিতেন তাহলে কি যে হত মহান প্রভু বলতে পারবেন। আপনার কথা আপনি বলতে থাকুন হয়তবা অন্তত একজন ব্যক্তি হেদায়েতের পথ পেতে পারে।
মহানবী (স.) যখন মক্কায় পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত করতেন (হিজরতের পূর্বে) তখন আবু জেহেল, আবু লাহাব মক্কার লোকদেরকে কানে তুলো দিতে বলতো। কারণ তারা চাইতো না মহানবী (স.)এর সত্যবানী তাদের কানে পৌঁছাক। এ ব্লগও এমন বহু লোক রয়েছে যারা সত্য জিনিস শুনতে চায় না আবার কেউ শুনতে চাইলে তাদেরকে বাধা দেয়। (খাতামাল্লাহু আলা কুলবিহিম, ওয়া আলা সাময়িহিম ওয়া আলা আবসারিহিম.... (আল কুরআন)। ইসলাম ধর্মের এমন অনেক সত্য বিষয় রয়েছে যেগুলো সাধারণ মুসলমানরা জানেনা, তাদের আকিদা বিশ্বাস একশ্রেণী'র মূর্খ স্বার্থান্বেষী আলেমদের কাছে জিম্মি। আপনার এ প্রচেষ্টা মহান আল্লাহ সফল করুন।
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪২
মেহেদী পরাগ বলেছেন: একসময় সবাই ঠিকই অন্ধ বিশ্বাস থেকে বেরিয়ে আসবেই, সে ব্যাপারে আমার খুব বেশী সন্দেহ নেই।
১৫| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৭:৩৫
রিফাত হোসেন বলেছেন: + তবে
ঊপরের কয়েকজনের উত্তর দেয়া উচিত ছিল . ভ্রমন কারীরা মানে আমরা সাধারনরা উল্টা বুঝতে পারি।
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:৪৭
মেহেদী পরাগ বলেছেন: বিরক্ত হয়ে জবাব দেইনি। ঠিক আছে, জবাব দিয়ে দিচ্ছি। ধন্যবাদ।
১৬| ২১ শে মে, ২০১৪ ভোর ৫:১৩
ফায়ারম্যান বলেছেন: ভাই, খানকির পোলারা তো এখন আফনারে বিদাতী বইলা ট্যাগ দিবো ।
অফটপিকঃ যে মিথ্যা হাদিসের সাথে আমার নবীর নাম যুক্ত কইরা প্রচার করা হয়, ঐ সমস্ত জাল হাদিসরে সাপোর্ট না দিলে, যদি আমার তথাকথিত সামাজিক মুসলমানিত্ব খারিজ হইয়া যায়, যাক , এতে আমার নূন্যতম কোন ভয় নাই । কারন, সত্যের ধারককে আল্লায়ই রক্ষা করবেন, এ বিশ্বাস আমার আছে ।
১৭| ৩০ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৫:২৫
মীর মোহাম্মদ উল্লাহ বলেছেন: ২নং মন্তব্যের উত্তরে বলেছেন
" হাদীসের বক্তব্যই বলে দেবে হাদীসটি কতটা সত্য।"
তা বিচারটা কে করবে? আমি/আপনি? এই ঈমানী শক্তি নিয়ে?
১৮| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:০১
aminbg30 বলেছেন: ) বুখারী শরীফের তৌহিদ অধ্যায়ে ইমাম বুখারী সংকলণ করেছেনঃ শারিক হযরত আনাস হতে রাসূলের মিরাজ সংক্রান্ত একটি ঘটনা বর্ণনা করেছেন। কোরআনের সর্বপ্রথম আয়াত নাযিল হবার পূর্বে রাসূল (সা) কাবা গৃহে নিদ্রারত ছিলেন, তিনি স্বপ্নে দেখলেন তিনিজন ফেরেশতা তার নিকট এসে তার সম্মানের ব্যাপারে কথা বলে চলে গেলেন। দ্বিতীয় রাত্রিতেও একই ঘটনা ঘটল কিন্তু তৃতীয় রাত্রিতে স্বয়ং রাসূলকেই (সা) মিরাজে নিয়ে যাওয়া হল
বুখারী শরীফের কত নম্বর হাদিস এটি। হাদিস নম্বর দিন প্লিজ
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:৪৮
শল্যবিদ বলেছেন: যুক্তিপূর্ণ কথা।ইমাম গাজ্জালী তার কোন গ্রন্থে সমালোচনা করেছেন রেফারেন্সটা কি দেয়া যাবে