![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শরীয়া আইন এর অনুপযোগিতাঃ পর্ব-১ - হাদীস সংকলনের ইতিহাস।
পর্ব-২- বুখারী হাদীস গ্রন্থ ত্রুটিমুক্ত নয়ঃ শরীয়া আইন এর অনুপযোগিতা
ইমাম বুখারীর হাদীস সত্যাসত্য করার পদ্ধতি নিয়ে আলেমসমাজের কোন সন্দেহই নাই। বাংলাদেশের প্রখ্যাত শায়খুল হাদীস মরহুম আজিজুল হক বলেছেন- বিশ্ববাসীকে এরূপ চ্যালেঞ্জ প্রদান করা যাইতে পারে যে, হাদিছের প্রামাণিকতার মধ্যে বিন্দুমাত্র সন্দেহের অবকাশ নাই। কোরান যেমন নির্ভূল হাদিছও তদ্রুপ নির্ভূল; ইহাতে কোনই সন্দেহ নাই। [দ্র: বোখারী, ১ম খন্ড, ১২ সংস্করণ, শায়খ আজিজুল হক; মুখবন্ধ অধ্যায়, পৃ. ১২]। এমন অবস্থায় ইমাম বুখারীর নিজস্ব কথা দিয়েই তার হাদীস সংকলণ পদ্ধতির সমালোচনা শুরু করা যাক। তবে একটি কথা আবারো পরিষ্কার করে বলে নেই যে আমার পোস্টের উদ্দেশ্য হাদীস শাস্ত্রকে সম্পূর্ণ পরিত্যাগ করা নয়, বরং হাদীস যেন কোরানের কষ্টি পাথরে যাচাই করা হয় সেই আবেদন জানানো। আর মূল বক্তব্য এক হবার কারণে এই পোস্টটি অন্য একটি পোস্ট থেকে কপি ও কিছু এডিট এখানে পোস্ট করা হয়েছে।
ইমাম বুখারী বলেন, আমি এই কিতাবের মধ্যে প্রতিটি হাদীস এতদূর সতর্কতার সাথে গ্রহণ করেছি যে, আল্লাহ প্রদত্ত্ব স্বীয় ক্ষমতা, জ্ঞান, ইলম ও অভিজ্ঞতা দ্বারা প্রতিটি হাদীসকে সূক্ষ্মভাবে বেছে ও পরখ করে নেয়ার পরেও প্রতিটি হাদীস লিখবার আগে গোসল করে ২ রাকাত নামাজ পড়ে আল্লাহর নিকট এস্তেখারা করার পর যখন আমার মনে দৃঢ় বিশ্বাস জন্মেছে যে, এই হাদীসটি সন্দেহ লেশহীন ও সহিহ; তখনই আমি সেটাকে আমার এই কিতাবের অন্তর্ভূক্ত করেছি, এর পূর্বে নয়। এই কিতাবের পরিচ্ছেদসমূহ পবিত্র মদিনায় রাসূলের (সা) রওজাপাকের নিকটবর্তী বসে সাজিয়েছি এবং প্রতিটি পরিচ্ছেদ লিখতেও ২ রাকাত নামাজ পড়েছি। এইভাবে আমি স্বীয় কন্ঠস্থ ৬ লক্ষ হাদীস (তাজ্যব ব্যাপার বটে!) থেকে বেছে ১৬ বৎসরে অক্লান্ত পরিশ্রমে এই কিতাবখানা সংকলন করেছি এই আশায় অনুপ্রাণীত হয়ে যে, আমি যেন এই কিতাবখানাকে নিয়ে আল্লাহর দরবারে হাজির হতে পারি। [দ্র: বোখারী, আ. হক, ১ম খ. ১২ সংস্করণ, ‘মুখবন্ধ অধ্যায়]
সমালোচনাঃ
মহানবির জীবিতাবস্থায় কাবাঘরের সামনেই যখন চুরি, ডাকাতি, মিথ্যা, চোগলখোরী, মোনাফেকী ঝগড়া-ফ্যাসাদ সংঘটিত হয়েছে; কাবাঘর, রওজা মোবারক জিয়ারতে এখনও মুয়াল্লেমদের যখন ঘুষ প্রদান করতে হয়; টাউট, বাটপার খুনী ঘুষখোর তথা রাজনীতিবিদ, ধর্ম ব্যবসায়ীগণও যখন হাজী হওয়ার সুযোগ পায়, ১৪শ বৎসর যাবৎ রাষ্ট্রিয় ক্ষমতা ও কোষাগার রাজা-বাদশাগণ এখনও অবৈধভাবে দখল করে আছেন, তখন পবিত্র রওজা মোবারকের দোহাই দিয়ে কিছু প্রচার-প্রতিষ্ঠা করলেই কি তা শতভাগ সত্য বলে প্রমাণিত হয়ে যাবে? তাহলে এই পোস্টের আগের পর্বে (২য় পর্ব) যে সর্বজনবিদিত বুখারীর ভুল হাদীসগুলো উল্লেখ করেছি সেখানে এই নামাজ, নবীর রওজা মুবারকের কেরামতি ব্যর্থ হল কিভাবে? প্রতিটি হাদীস লিখার আগে গোসল করে ২ রাকাত নামাজ পড়ে ইমাম বুখারী হাদীসটির সত্যতার ব্যাপারে নিশ্চিত হয়ে নিয়েছিলেন বলে যে দাবী করেছিলেন সেই দাবীটির অযৌক্তিকতা সাধারণ মুসলিম কেন একবারও চিন্তা করে দেখেনা?
হযরত আবুবকর মাত্র ৫ শত হাদীস লিখে হাজার চিন্তা ভাবনা করেও সন্দেহ মুক্ত হতে না পেরে জাহান্নামের ভয়ে সবগুলো হাদীস জ্বালিয়ে দেন। হযরত উমর এ ব্যাপারে সভা সমিতি করে অতঃপর এক মাস যাবৎ চিন্তা করে একই কারণে এবং মুসলিম বিশ্বের বৃহত্তর স্বার্থে সংকলনের পরিকল্পনা কসম খেয়ে পরিত্যাগ করেন এবং সংগৃহিত সকল হাদীস জ্বালিয়ে দেন। পক্ষান্তরে, প্রায় তিনশত বৎসর পরে ইমামগণ হাজার হাজার হাদীস সংগ্রহ করে সত্য, মহাসত্য বলে দাবী করেছেন বলেই কি তা মহা সত্য হয়ে গেল? মহাসত্য যে হয়নি তার প্রমাণ আগের পর্বে দেয়া আছে।
আরও সমালোচনা করার আগে ইমাম বুখারীর হাদীস সত্যায়ণ পদ্ধতির নিয়মগুলো একটু দেখে নেয়া দরকার। নিম্নে ইমাম বুখারীর হাদীস পরীক্ষার ধারাগুলি লক্ষনীয়: (সূত্র-বোখারী, ১ম খন্ড, ১২ সংস্করণ, শায়খ আজিজুল হক; মুখবন্ধ অধ্যায়, পৃ. ১২)
১. শত শত বা হাজার বছর পরেই হোক না কেন, নবী (সা) থেকে শুরু করে শেষ পর্যন্ত সুত্র পরম্পরায় পর্যায়ক্রমে যতজন সাক্ষির মাধ্যমে হাদীসটি পৌছেছে, এক এক করে সমস্ত সাক্ষির পরিচিতি, নামের তালিকা সুস্পষ্টরূপে উল্লেখ করতে হবে। কোন একজনের নামও যেন বাদ না পড়ে, নতুবা হাদীস গ্রহণীয় হবে না। এই ধারাটির সাথে আবার দুটি উপধারাও আছে:
ক. উক্ত সাক্ষ্য দাতাদের মধ্যে প্রতিটি সাক্ষি বা রাবী তার পূর্বের সাক্ষ্য দাতার নাম উল্লেখ করার সাথে সাথে স্পষ্ট উল্লেখ করবেন যে, ‘আমি অমুকের মুখে শুনেছি’ ‘তিনি বর্ণনা করেছেন’ বা ‘অমুক আমার নিকট বর্ণনা করেছেন।’ কোন একজন সাক্ষিও যদি এরকম স্পষ্ট শব্দ না বলে কোন অস্পষ্ট বা দ্ব্যর্থবোধক শব্দ ব্যবহার করেন, যেমন এরূপ বলেন যে, ‘ছলিম কলিম হইতে বর্ণনা করেছেন’ তাহলে উক্ত সনদ গ্রহণীয় হওয়ার জন্য আরও অনেক রকম পরীক্ষার সম্মুখীন হতে হবে। ইমাম বুখারী এমন সনদ গ্রহণ করার ব্যাপারে সর্বাধিক কড়াকড়ি আরোপ করেছিলেন।
খ. প্রত্যেক সাক্ষি ও পূর্ববর্তী সাক্ষি উভয়ের জীবনকাল ও বাসস্থান এমন হতে হবে যেন উভয়ের মধ্যে দেখা সাক্ষাত ও কথাবার্তা অসম্ভব না হয়।
২. সাক্ষ্যদাতার প্রত্যেক ব্যক্তি নাম ঠিকানা, গুণাবলী, স্বভাব চরিত্র এবং কোন কোন ওস্তাদের কাছে হাদীস শিক্ষা নিয়েছেন ইত্যাদি বিষয়ে হাদীস বিশারদগণের নিকট পরিচিত হতে হবে। সাক্ষ্য দাতাদের একজনও অপরিচিত হলে ঐ হাদীস গ্রহণীয় নয়।
৩. আগা গোড়া প্রতিটি সাক্ষিই জ্ঞানী, খাঁটি সত্যবাদী, সৎ চরিত্র, মোত্তাকীম পরহেজগার শালিনতা ও ভদ্রতা সম্পন্ন স্বভাবের হতে হবে। কোন ব্যক্তি জীবনে মাত্র একবার হাদীস সংক্রান্ত ব্যাপারে মিথ্যা উক্তির জন্য ধরা পড়লে এ ব্যক্তির শুধু মিথ্যা হাদীসই নয়, বরং তার সারা জীবনের সমস্ত হাদীসই অগ্রাহ্য হবে। তওবা করলেও তার বর্ণিত হাদীস আর গ্রহণযোগ্য হবে না। এছাড়া অন্য কোন বিষয়েও মিথ্যাবাদী বলে পরিচিত হলে বা শরিয়ত বিরোধী আকিদা বা কার্যকলাপে লিপ্ত প্রমাণিত হলে বা অসৎ প্রকৃতির লম্পট ও নীচ স্বভাবের লোক হলে তার বর্ণিত হাদীস গ্রহণীয় হবে না।
৪. প্রত্যেক সাক্ষি তার স্মরণ শক্তি সম্বন্ধে অতিশয় পাকাপোক্ত সুদক্ষ ও সুদৃঢ় সংরক্ষক বলে পরিচিত হতে হবে। এবং এটাও প্রমাণিত হওয়া আবশ্যক যে, প্রতিটি সাক্ষি তার পূর্ববর্তী সাক্ষ্যদাতার কাছে হাদীসটি পূর্ণ মনোযোগের সাথে শুনে তা আবার সবিশেষ মনোযোগের সাথে মূখস্ত করে বা লিখে রেখেছেন। এই বিশেষ প্রমাণ এমন হবে যে, উক্ত সাক্ষি হাদীসটি আজীবন শত শতবার গড়মিল ছাড়াই বর্ণনা করে আসছেন। যে সময় তার বর্ণনার মধ্যে এমন গরমিল দেখা যাবে, তখন থেকে আর ঐ সাক্ষির বর্ণনার কোন হাদীস সঠিক প্রমাণিত বলে গণ্য হবে না।
সমালোচনা:
উল্লিখিত ধারাগুলির উপর নজর যেকোন সাধারণ শিক্ষিত লোক মুখ ফিরিয়ে নেয়ার কথা। এইসব পদ্ধতি যে কোনদিনই ফুলপ্রুফ হতে পারেনা তা বুখারী শরীফে অন্তর্ভুক্ত ভুল হাদীসগুলোই প্রমাণ করে দেয়। হাদিছবেত্তাগণ অজানা অচেনা লক্ষ লক্ষ মৌখিক সাক্ষির উপর হাদীসের সত্যাসত্য প্রমাণে সচেষ্ট হয়েছেন। কিন্তু কষ্মিনকালেও কোরানের আলোকে একটি হাদীসেরও সত্য মিথ্যা প্রমাণ করার চেষ্টা করেননি বরং অজ্ঞাত কারণে তা প্রত্যাখ্যান করনে। হালের শায়খুল হাদিছগণও কোরানের আলোকে হাদিছের সত্যাসত্য প্রমাণে এখনও রাজী হচ্ছেন না। অথচ কোরান সাক্ষি দেয় যে, রাছুল কোরানের বাহিরে তিল পরিমাণ কথা ও কাজ করেন নি; করলে তার জীবন ধমনী কেটে দেয়া হতো। কোরান মিজান অর্থাৎ সত্য/মিথ্যা, ন্যায়/অন্যায় মাপার সুত্র; কোরান ফোরকান অর্থাৎ সত্য/মিথ্যা পার্থক্য করার মন্ত্র।
হাদীস প্রতি ৭ থেকে ১০০ জন পর্যন্ত বর্ণনাকারী বা রাবী আছেন। এদের গড়পরতা হিসাবে হাদীস প্রতি ৫০ জন রাবী হয়। সংগৃহীত ৩০ লক্ষ হাদিছের রাবী বা বর্ণনাকারীর সংখ্যা দাঁড়ায় ১৫ কোটি। ইমাম বুখারীর ৬ লক্ষ হাদিছের রাবীর সংখ্যা দাঁড়ায় ৩ কোটি। এদের নাম, ঠিকানা, বংশ পরিচয়, দৈনন্দিন জীবনের কথা ও কাজের সত্য-মিথ্যা, জ্ঞান বুদ্ধি, স্মরণশক্তি, জীবনে একটি মাত্র মিথ্যা বলেন নি বা বলেছেন ইত্যাদি খুটিনাটি বিবরণসহ ৩ বা ১৫ কোটি রাবীর জীবনেতিহাসসহ ৬ বা ৩০ লক্ষ হাদীস শোনামাত্র মৌখিকভাবে সংগ্রহ করে ইমাম বুখারী একটার পর একটা মন্থন করে নিজ জ্ঞান বুদ্ধি ও বিচার মোতাবেক প্রায় ৬ হাজার হাদীস সত্য বলে গ্রহণ করেছেন। এই সত্য বলে গৃহীত হাদীসগুলোর গড়পরতা রাবীর সংখ্যা দাঁড়ায় ৩ লক্ষ ৬৩ হাজার ৭ শত ৫০ জন। পক্ষান্তরে, ইমাম বুখারী অন্য একটি কিতাবে মাত্র ১৮শ জন রাবীর চরিত্রের সত্যতার দলিল রচনা করেছেন। বাকি লক্ষ লক্ষ রাবীর চরিত্রের সত্যাসত্যের কোন দলিল নেই।
একজন মাত্র মানুষের সারা জীবনে একটি মাত্র মিথ্যা বা ভূল বলেননি বা বলেছেন; এমন ঘোষণা স্বামী-স্ত্রী, সন্তান-সন্ততি, মাতা-পিতা কারো পক্ষেই কেউ দিতে পারেন না। এমনকি নিজের ব্যাপারেও তা সম্ভব নয়; এমন একটি নিষ্পাপ মাসুম মানুষের পরিচয় আদম থেকে আজ পর্যন্ত কারো জানা নেই; এমনকি হাদীসের আলোকে নবিগণও ভূলের উর্দ্ধে ছিলেন না বলে শরিয়ত স্বয়ং নিজেই সাক্ষি দিচ্ছে।
রাবীদের মধ্যে ২/৪ জন রাবীর নাম ঠিকানা বিস্মৃত হলে বা অধিক যুক্ত করলে তা সনাক্ত করার সুত্র কারও জানার কথা নয়। যিনি মাত্র শ্রুতি সুত্রে হাদিছ ও রাবীর নাম ঠিকানা ও জীবন ইতিহাস সংগ্রহ করেছেন, তিনি দু'চারটি বাদ দিলে বা সংযুক্ত করলে কার কি করার আছে!
স্বয়ং ইমাম বুখারীগণ নিজেরা মিথ্যা বলেননি, ভুল করেন নি, এমন কোন দলিল প্রমাণ নেই! ‘মিথ্যা বলিনি’ বাক্যটি হাজার বার লিখে কসম করে বললেও বর্বর মূর্খ ছাড়া অন্য কেউ বিশ্বাস করতে পারে না! মহানবির রওজা মোবারকের পাশে বসে লিখলেই যে তা সত্য হবে এমন বিশ্বাস ‘ক’ অক্ষর জ্ঞানশুণ্য লোকেরাই করতে পারে। হাদীস সত্য কি মিথ্যা তা প্রমাণের জন্য স্বয়ং হাদীসগুলিই যথেষ্ট। ইমাম বুখারীগণ সাহাবাদের তুলনায় অধিক ধার্মিক বা জ্ঞানী অবশ্যই ছিলেন না। তদুপরি শরিয়তের বিশ্বাসে মহানবি নিজেই যখন ভুল করেছেন তখন ইমাম বুখারীগণ যে ভুল করেছেন সে বিষয়ে কোন সন্দেহই থাকতে পারে না।
এতকিছু বুঝেনা বলেই সাধারণ মুসলমান বুখারী শরীফের নাম শুনেই অন্য চিন্তা করতে ভুলে যায়, বরং পরম ভক্তি সহকারে অত্যন্য হাস্যকর কথাও বিশ্বাস করে নেয়। এই মোহাবিষ্ট মুসলিম মনে করে যে ইমাম বুখারী ইমাম মুসলিম হচ্ছেন ফেরেশতার কাছাকাছি, তাদের সমালোচনা করা গুনাহের কাজ, তাদের জীবণ সম্পূর্ণ ত্রুটিমুক্ত, তাদের বই তাদের আমলের মানুষ সাদরে গ্রহণ করেছিল। কিন্তু বাস্তব সত্য হচ্ছে ইমাম বুখারি ইমাম মুসলিমের সমালোচনা অনেক আলেমই করেছেন, ইমাম বুখারীকে তার এলাকাবাসী পরিত্যাগ করেছিলেন, ইমাম বুখারীর হাদীস ইমাম মুসলিম গ্রহণ করতেন না, ইমাম বুখারীর হাদীস সংকলণ পদ্ধতিকে ইমাম মুসলিম ত্রুটিপূর্ণ বলে মত প্রকাশ করতেন, তাদের মাঝে খুব একটা সুসম্পর্ক ছিলনা। পরবর্তী পর্বে এসব বিষয় নিয়ে সংক্ষেপে কিছু আলোচনা করা হবে।
চলবে
১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৪:৩২
মেহেদী পরাগ বলেছেন: মেলবোর্ন ভাই ধন্যবাদ। ভাল আছেন নিশ্চয়ই?
২| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:০৩
প্রকৃতির প্রতিফলন বলেছেন: বস্তুত কোন মানুষই ভুলের ঊর্ধ্বে নয়। সকলের জীবনেই ভুল, ত্রুটি, মিথ্যা রয়েছে। তাহলে কি আমরা কোন ইমামের নিকট থেকেই রাসুলের কোন বানী গ্রহন করব না?
১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৪:৩৪
মেহেদী পরাগ বলেছেন: করবেন, তবে বুখারী বা মুসলিম ইমামের নাম শুনেই হাদীসটি গ্রহণ করবেন না। নিজের যুক্তিবুদ্ধি খাটাবেন আর কোরানের আদর্শের আলোকে যাচাই করার চেষ্টা করবেন।
৩| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:০৬
প্রকৃতির প্রতিফলন বলেছেন: "হযরত আবুবকর মাত্র ৫ শত হাদীস লিখে হাজার চিন্তা ভাবনা করেও সন্দেহ মুক্ত হতে না পেরে জাহান্নামের ভয়ে সবগুলো হাদীস জ্বালিয়ে দেন। হযরত উমর এ ব্যাপারে সভা সমিতি করে অতঃপর এক মাস যাবৎ চিন্তা করে একই কারণে এবং মুসলিম বিশ্বের বৃহত্তর স্বার্থে সংকলনের পরিকল্পনা কসম খেয়ে পরিত্যাগ করেন এবং সংগৃহিত সকল হাদীস জ্বালিয়ে দেন।"
দয়াকরে এই কথা গুলোর নির্ভেজাল দলিল দিবেন।
১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৫:২৩
মেহেদী পরাগ বলেছেন: খলিফাদের হাদীস পোড়ানোর কথা সকল সুন্নি স্কলারগণ কর্তৃক স্বীকৃত। ইবনে সা'দ, ইবনে কাসীর, ইমাম আহমদ এর মত সুন্নি ইতিহাসবিদ ও আলেমগণ এর পক্ষে দলিল দিয়েছেন। হযরত উমরের হাদীস বিরোধীতার কথা স্বয়ং বুখারী শরীফেই আছে। সব সোর্স দিয়ে আলাদা পোস্ট দেয়া যায়, তাই আমি শুধু ২/৩ টি সুন্নি অথেন্টিক রেফারেন্স দিলাম।
১) হযরত আবু বকরঃ
جمع أبي الحديث عن رسول الله وكانت خمسمائة حديث، فبات ليلته يتقلب كثيراً.
قالت: فغمني، فقلت: أتتقلب لشكوى أو لشيء بلغك?
فلما أصبح قال: أي بنية، هلمّي الأحاديث التي عندك.
فجئته بها، فدعا بنار فأحرقها.
فقلت: لم أحرقتها ؟
قال: خشيت أن أموت وهي عندي فيكون فيها أحاديث عن رجل قد إتمنتهُ ووثقت به، ولم يكن كما حدثني فأكون نقلت ذلك.
অনুবাদঃ আয়েশা (রা) বর্ণনা করেনঃ আমার পিতা আল্লাহর রাসূলের আহাদীস সংগ্রহ করেন, এবং সেখানে মোট পাচ শত হাদীস ছিল, এরপর তিনি সারা রাত নিদ্রাহীনভাবে বিছানায় এপাশ ওপাশ করেন। আমি ভেবেছিলাম যে তিনি কারো অভিযোগের কারণে বিমর্ষ হয়ে ছিলেন, অথবা কোন সংবাদের কারণে যা তিনি শুনেছিলেন। পরদিন সকালে তিনি আমাকে বললেন, ''কণ্যা! তোমার অধিকারে থাকা হাদীসগুলো আমার কাছে নিয়ে এস।'' , তাই আমি তার কাছে এনে দিলাম, এবং তিনি তাতে আগুন ধরিয়ে দিলেন। এরপর তিনি বললেন, '' এটা সম্ভব যে এখানে এমন নিশ্চিত কিছু থাকতে পারে যা লিখিত রুপে সেরুপ অর্থ প্রকাশ করতে পারেনা যেরুপ নবী উচ্চারণ করেছিলেন, তাই আমি চিন্তা করছিলাম যে আমি মারা যাই এবং এই হাদীসগুলো আমার সাথেই যাক''।
সূত্রঃ
মুসনাদ-আহমাদ ইবনে হাম্বল
আল বিদায়া অয়াল নিহায়া- ইবনে কাসীর,
তাযকিরাত আল হুফফাজ, ভলিউম ১, পৃষ্ঠা ৫- আল দাহাবী
কানজ আল উম্মাল, ভলিউম ৫, পৃষ্ঠা ২৩৭- আল মুত্তাকী আল হিন্দী
২) হযরত উমরঃ
ناشد الناس أن يأتوه بسنة الرسول المكتوبة عندهم لأنه يريد أن يجمعها في كتاب، كما ناشدهم أن يأتوه بالكتب المحفوظة لديهم حتى ينظر فيها ويقوّمها، فلما أتوه بها أمر بحرقها، وحرقها فعلاً
অনুবাদঃ যখন তিনি খলিফা হলেন, তিনি জনগণকে তাদের সংগ্রহে থাকা সকল লিখিত হাদীস তার কাছে নিয়ে আসতে বললেন যাতে তিনি সেগুলো যাচাই ক্রতে পারেন এবং একটি কিতাবে সংকলণ করে রাখতে পারেন। অতপর যখন তারা তাদের কাছে থাকা সকল লিখিত হাদীস নিয়ে আসলেন, তিনি সেগুলো পুড়িয়ে ফেলতে আদেশ দিলেন, এবং তিনি সত্যিই সেগুলো পুড়িয়ে ফেলেছিলেন।
সূত্রঃ তাবাকাত- ইবনে সা'দ
قال عروة بن الزبير: إن عمر بن الخطاب أراد أن يكتب السنن، فاستشار في ذلك أصحاب رسول الله (ص)، فأشاروا عليه أن يكتبها، فطفق عمر يستخير الله شهرا، ثم أصبح يوما، وقد عزم الله له، فقال: إني كنت أردت أن أكتب السنن، وإني ذكرت قوما كانوا قبلكم كتبوا كتبا، فأكبوا عليها فتركوا كتاب الله - وإني والله - لا ألبس كتاب الله بشئ أبدا
أمنية كأمنية أهل الكتاب رأي حتى لا ينشغل الناس بالسنة عن القرآن.
অনুবাদঃ উরওয়া ইবনে যুবায়ের বর্ণনা করেনঃ উমর (রা) একদিন রাসূলের (সা) সাহাবাদের সাথে হাদীস লিপিবদ্ধ করার বিষয়ে আলোচনা করছিলেন। সবাই তাতে একমত হয়েছিলেন। তবু উমর দ্বিধাগ্রস্থ ছিলেন এবং পুরো এক মাস আল্লাহর নিকট দিকনির্দেশনার জন্য প্রার্থনা করেছিলেন। একদিন, আল্লাহর ইচ্ছায় তিনি মনস্থির করলেন এবং ঘোষণা দিলেন, '' আমি হাদীস লিপিবদ্ধ করতে যাচ্ছিলাম কিন্তু হঠাত আমার আগের জমানার লোকজন যারা ঐশী গ্রন্থের চেয়ে তখনকার নবীগণের হাদীসের প্রতি বেশী মনোযোগী হয়েছিলেন তাদের কথা মনে পড়ল। আমি পবিত্র কোরআন ও নবীর হাদীসের মাঝে কনফিউশন তৈরী হবার কোন সুযোগই রাখতে চাইনা।''
সূত্রঃ
কানজ আল উম্মাল- আল মুত্তাকী আল হিন্দী
তাদউইন আল কুরআন- আল শাইখ আলী আল কুরানি আল আমিলি
৪| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:০৯
ভারসাম্য বলেছেন: প্রতিটি হাদীসের জন্য গোসল+নামাজ+চিন্তাভাবনার জন্য ১ ঘন্টা সময় ধরলে ৬ লক্ষ হাদীসের জন্য ৬ লক্ষ ঘন্টা = ২৫০০০ দিন = ৬৮ বছর লাগার কথা !
এর আগে হাদীসগুলো সংগ্রহ ও মুখস্ত(!!!!) করতেওতো আরো ৭০/৮০ বছর লেগে যাবার কথা।
মাত্র ষোল বছরে এই কাজ কিভাবে করেছিলেন তিনি! আর সেই ষোল বছর সময়ের মধ্যেও তো ফরজ সালাত, ঘুম+খাওয়া+পয়ঃক্রিয়া এসবের জন্য দিনের অর্ধেক চলে গেলে ষোল বছরের বাকী থাকে আট বছর।
এত অল্প সময়ে এই প্রকৃয়ায় ( ছয়লক্ষ হাদীস সংগ্রহ, মুখস্ত , প্রতিটি হাদীসের জন্য গোসল+নামাজ+চিন্তাভাবনা) তিনি কিভাবে করলেন!!!
১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৫:২৮
মেহেদী পরাগ বলেছেন: একদম পাক্কা হিসাব দিয়েছেন ভাই। এই সাধারণ হিসাব থেকেই বুঝা যায় হাদীস যাচাই করার এইসব নিয়ম/গল্প আজগুবী, অসত্য ও অমূলক। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
৫| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৪৯
অন্যরকম একজন বলেছেন: অনেক সাহস সঞ্চয় করে আমি লেখাটা ফেবুতে শেয়ার দিতে গেলাম।কিন্ত হল না কেন জানি।পরের পর্ব পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।আশা করছি পরের পরবগুলোতে কোরানের সাথে হাদিসগুলোর বক্তব্যের কনফ্লিক্টগুলোও ভালোভাবে তুলে ধরা হবে।
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৪:২৮
মেহেদী পরাগ বলেছেন: হ্যা, কোরআন বিরোধী হাদীসগুলোর নমুনাতো অবশ্যই দেয়া হবে। এছাড়া হাদীসে হাদীসে কন্ট্রাডিকশন আর বিজ্ঞান ও কমন সেন্সের বিরুদ্ধে যায় আর নবীর প্রতি অসম্মানজনক এমন হাদীসও দেয়ার চেষ্ট করব। ধন্যবাদ।
৬| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৯
মিষ্টিগল্প বলেছেন: বিশ্লেষণমূলক পোস্টের জন্য ধন্যবাদ। তবে একটা অনুরোধ বুখারীতে যে রাবীদের মারফতে অনেক বেশী হাদীস বর্ণিত হয়েছে তাদের পরিচিতি নিয়ে একটা পোস্ট দিলে খুশী হব। ধন্যবাদ +
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৩
মেহেদী পরাগ বলেছেন: চেষ্টা করে দেখব অবশ্যই।
৭| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৭:৪৬
রিফাত হোসেন বলেছেন: +++ ভাল
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:৪৮
মেহেদী পরাগ বলেছেন: ধন্যবাদ ।
৮| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:৩৬
আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেছেন: আল্লাহ্ ভালো জানেন ঠিক পথে চিন্তা করছি কি না
....তবে আপনার লেখাগুলো পড়ে আশ্বস্ত হলাম এইজন্য যে, আমি নিজেও এতগুলো বসন্ত পার হয়ে যাবার পর যখন বাপ দাদার সূত্রে পাওয়া বিধান নিয়ে স্টাডি করতে বসলাম.........বিশেষ করে কোরান,হাদিস সংকলনের ব্যাপারটাতে.....এ!
তখন প্রথমেই মনে হলো এ কোথায় আসলাম-.... নামাজ রোজা করতাম কোরান হাদিস অন্ধভাবে বিশ্বাস করতাম সেইটাইতো ভালো ছিলো...এইখানে না আসলেই মনে হয় ভালো করতাম ।
. ...বাট এখন মনে হয়, না, আমি একা না
- লেখা চালিয়ে যান....অন্ধভাবে বিশ্বাস করবোনা আপনার লেখা তবে চিন্তার খোরাকের জন্য...আল্লাহ্ই ভালো জানেন সেই খোরাকগুলো আবার শয়তানের ওয়াসওয়াসায় পরিণত হয় কিনা আমার মত সীমিত জ্ঞানের মানুষের জন্য।
মনের ভাব পুরো প্রকাশ করতে পারলাম না বাট আপনাকে অনুসরনে রাখলাম!
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:৩৩
মেহেদী পরাগ বলেছেন: জ্ঞান সবারই সীমিত ভাই। তবে পর্যাপ্ত জ্ঞান আহরণ করা কিন্তু কারও জন্যই অসম্ভব বা কঠিন না, খুব সহজ। শয়তানের কারিকুরি থেকে বাঁচার জন্যই বরং পড়ুন, না পড়লেই শয়তানের শিকার হবেন। ধন্যবাদ।
৯| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:৫৬
আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেছেন: আমার মত মূর্খের কিছু উপলব্ধি.......একজন মুসলমান হিসেবে আরবীকে ভাষা হিসেবে প্রতিনিয়ত শেখা অবশ্যই কর্তব্য...না পারলে শুধু ভোকাবুলারি আয়ত্ত করা।
কমপক্ষে দুইটা ভাষা ভালোভাবে জানা........ইসলামকে ভালোভাবে বুঝার জন্য।
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:৩৬
মেহেদী পরাগ বলেছেন: শিখতে পারলে তো খুবই ভাল, তবে তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে আরবী না শিখেও অনেক সন্দেহ দূর করা সম্ভব।
১০| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ২:১৬
আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেছেন: কোরআন সংকলনের ব্যাপারে ড: জাকির নায়েকের ভাষ্যকে খন্ডন
করবেন আশা করি!
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:২৮
মেহেদী পরাগ বলেছেন: ব্যক্তিগত ভাবে এখনো আমি কোরান অবিকৃত মনে করি, তবে সেটা শুধু কোরানের সূত্রেই ঐতিহাসিক সূত্রে নয়। কিন্তু এ সম্পর্কে জাকির নায়েক এর ভাষ্য ভুল আর মিথ্যা তথ্যে ভরা।
ড: জাকির নায়েকের ভাষ্য এই লিঙ্ক http://www.islam101.com/quran/preservedQ.htm থেকে পড়লাম। প্রথমত তিনি কোন রেফারেন্স দেননি। দ্বিতীয়ত তিনি ভুল ও মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন।
তার দুটি লাইন কোট করিঃ
জাকির নায়েকের কথাঃ
Usman (r.a.) ordered four Companions who were among the scribes who wrote the Qur’an when the Prophet dictated it, led by Zaid bin Thabit (r.a.) to rewrite the script in several perfect copies. These were sent by Usman (r.a.) to the main centres of Muslims.
সমালোচনাঃ যায়েদ বিন থাবিত নবীর (সাঃ) বেঁচে থাকার সময় ছোট মানুষ বা যুবক ছিলেন। কোরান সংকলনের ব্যাপারে সাহাবী ইবনে মাসুদ (রাঃ) সবচেয়ে যোগ্য ব্যক্তি ছিলেন। এর সপক্ষে আমরা কিছু হাদীস দেখতে পারি।
নবী(সাঃ) ইবনে মাসুদকে সম্মান করেছেন কোরানের শ্রেষ্ঠ পাঠক হিসাবেঃ
আব্দুল্লাহ্ ইবনে আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসুল (সাঃ) কে বলতে শুনেছি, চার ব্যক্তির নিকট থেকে তোমরা কোরানের পাঠ গ্রহণ করঃ (১) ইবনে মাসুদ (২) আবু হুযাইফার মুক্ত গোলাম সালিম (৩) উবাই ইবনে কা’ব ও (৪) মুয়ায ইবনে জাবাল।
{সহীহ্ আল-বোখারী, ৩৫২৮( জামে সাহীহ্ আল-বোখারী অনুবাদ মাওলানা মোবারক করীম জওহর, খান ব্রাদার্স আন্ড কোম্পানী, ৯ বাংলাবাজার ১১০০;ঢাকা ২০০৮, পৃষ্ঠা ৬৪৩}
কোরান সম্পর্কে ইবনে মাসুদ (রাঃ)-এর প্রতিক্রিয়াঃ
হজরত ওসমানের এই ঘোষনা যখন কুফাতে শোনা গেলো যে, এদের সব কোরান পুড়িয়ে দিয়ে শুধুমাত্র যায়েদ ইবনে সাবিতের কোরান এখন থেকে ব্যবহার করতে হয়। আব্দুল্লাহ্ ইবনে মাসুদ এর বিরোধিতা করলেন। এই হুকুম শুনে তিনি কুফা শহরে এই ভাবে খুৎবা দিলঃ কোরানের পাঠে লোকেরা ছলনার দোষে পড়েছে। আমি এর পাঠ বেশী পছন্দ করি {মুহাম্মাদের}, যার পাঠ আমি যায়েদ বিন সাবিতের পাঠ থেকে বেশী ভালোবাসি। আল্লাহর কসম! যিনি ব্যতীত আর কোন উপাস্য নেই। আমি আল্লাহর রাসুল (সাঃ)-এর মুখ থেকে সত্তরেরও বেশী সূরা শিখেছি। যখন যায়েদ ইবনে সাবিত যুবক ছিলেন। এর মাত্র দুইটি কেশপাল চুল ছিলো। এবং যুবকদের সাথে তখন খেলা করতেন। (ইবন সা’দ, কিতাবুল তাবাকাত আল-কবির, ২য় খন্ড, পৃষ্ঠা ৪৪৪)
তিরমীযী লেখেনঃ
যুহরী (রাঃ) বলেনঃ ইবায়দুল্লাহ্ ইবনে আব্দুল্লাহ্ ইবনে উতবা বলেছেন যে, হজরত আবদুল্লাহ্ ইবনে মাসুদ (রাঃ) যায়েদ ইবনে সাবিতের এ তৈরী কপি পছন্দ করেন নি। তিনি বলেছেনঃ “হে মুসলিম সম্প্রদায়!” কোরআনের মুসহাফ লিপিবদ্ধ করার কাজে আমাকে দূরে রাখা হয়েছে আর এর দায়ীত্ব বহন করেছে এমন এক ব্যক্তি যে আল্লাহর শপথ আমি যখন ইসলাম গ্রহণ করি তখন সে ছিলো এক কাফিরের ঔরসে। (এই কথা বলে তিনি যায়েদ ইবনে সাবিতের দিকে ইঙ্গিত করেছেন।
আব্দুল্লাহ ইবনে মাসুদ (রাঃ) বলেছেন “হে ইরাকবাসী! তোমাদের কাছে যে মুসহাফগুলো রয়েছে সেগুলো লুকিয়ে রাখো। (জামিউত তিরমিযী, সোলেমানিয়া বুক হাউস, ঢাকা, পৃষ্ঠা ৮৫১)
ইবনে আবু দাউদের কিতাবুল মাসাহিফ গ্রন্থে আছে যে ইবনে মাসুদ বলতেনঃ আমি সরাসরি আল্লাহর রাসুল(সাঃ) থেকে সত্তর সূরা পেয়েছি, যায়েদ বিন সাবিত তখনও একজন বাচ্চা মানুষ ছিলো। এখন আমি কি ত্যাগ করব যেটা আমি আল্লাহর রাসুল (সাঃ) থেকে সরাসরি পেয়েছি? (ইবন আবি দাউদ, কিতাবুল মাসাহিফ, পৃষ্ঠা ১৫)
ইবনে মাসুদের কোরান হজরত ওসমান (রাঃ) জোর করে কেড়ে নিলো এবং ইবনে মাসুদকে মসজিদের জানালা দিয়ে ফেলে দেওয়ার হুকুম দিলেন। তাতে ইবনে মাসুদের পাঁজর ভেঙ্গে গেল।
জাকির নায়েকের কথাঃ
There were other personal collections of the portions of the Qur’an that people had with them. These might have been incomplete and with mistakes. Usman (r.a.) only appealed to the people to destroy all these copies which did not match the original manuscript of the Qur’an in order to preserve the original text of the Qur’an. Two such copies of the copied text of the original Qur’an authenticated by the Prophet are present to this day, one at the museum in Tashkent in erstwhile Soviet Union and the other at the Topkapi Museum in Istanbul, Turkey.
সমালোচনাঃ
জাকির নায়েক ভুল তথ্য দিয়েছেন। তাশখন্দের কোরানটি আসলে হযরত উসমান কর্তৃক সংকলিত নয় (নবী কর্তৃক অথেন্টিকেটেড কথাটা তো পুরো ডাহা মিথ্যা), বরং আরও অনেক পরের। কার্বন ডেটিং পদ্ধতিতে সেটার বয়স নির্ণয় করা হয়েছিল। এছাড়া ক্যালিগ্রাফিও হযরত উসমান এর আমলের ছিলনা, এমন বেশ কিছু উপাত্তের মাধমে প্রমাণ হয়েছিল যে সেটি হযরত উসমানের কোরান নয়। তাসখন্দের কোরানটি প্রথমে সাধারণ মানুষের যাচাই করার সুযোগ ছিল। ইস্তাম্বুলেরটি পাওয়া সম্ভব ছিলনা। তাসখন্দেরটি সম্পূর্ণ কোরান নয়। মিউজিয়াম কর্তৃপক্ষ এর সাদাকালো ফটোকপি করে বই হিসেবে সরবরাহ করেছিলেন। বেশ কিছু ইসলামিক স্কলার প্রথমে বিশ্ববাসীকে বোকা বানিয়েছিলেন মাত্র দুই একটি পৃষ্ঠার সাথে বর্তমান কোরানের হুবুহু মিল দেখিয়ে। কিন্তু পরে এক খৃষ্টান গবেষক, ব্রাদার মার্ক একটি বই প্রকাশ করেন যাতে তিনি বর্তমান কোরানের সাথে তাসখন্দের কোরানের বহু অমিল দেখিয়েছেন। বইটির নামঃ A perfect qurʹan
১১| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫২
হারান সত্য বলেছেন: মেহদী ভাই,
ইসলাম বিষয়ে ব্যাতিক্রমী চিন্তাশীল গবেষক হিসেবে আপনাকে একটা ওয়েব সাইটে আমন্ত্রন জানাচ্ছি। আশা করি এই সাইটের সবগুলি লেখা ধৈর্যের সাথে পড়বেন ( যদিও অধিকাংশই প্রথম অধ্যায়ের পর আর অগ্রসর হতে পারে না!) এবং আপনার মুল্যবান মতামত দিবেন।
সাইটের ঠিকানা: মহাসত্যের পরিচয়
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৩
মেহেদী পরাগ বলেছেন: প্রথম অধ্যায় পড়লাম। কিন্তু এত ভণিতার উদ্দেশ্য বুঝতে পারলাম না। ২য় অধ্যায়ে যাবার আগে কুইজ পাশ করে যেতে হবে। দিলাম কুইজ, পাশ করলাম, এখন বলে ২০ ঘন্টা অপেক্ষা করতে!! মানে কি?
যাই হোক ১ম অধ্যায়ের বক্তব্য সম্পর্কে আমি একমত। কারণ এই ধরণের কথা আমি এক বছর আগে আমার পোস্টের ৪৭ নং মন্তব্যের জবাব হিসেবে বলেছিলাম। পোস্টটির মন্তব্যটি দেখতে পারেন। আমি কপি পেস্ট করে দিলাম।
Click This Link
আপনার উল্লেখিত চারটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এর সংক্ষিপ্ত প্রাথমিক উত্তর শুরুতে পয়েন্ট করে দেয়া হল। এরপর আপনার অনুরোধ অনুযায়ী প্রতিটি বিষয় কোরানের রেফারেন্স দিয়ে সুনির্দিষ্ট ভাবে ব্যাখ্যা করেছি।
১. কোন কোন সম্পদ।
উত্তরঃ প্রয়োজনের অতিরিক্ত যেকোন সম্পদ।
২. কত পরিমাণে থাকলে।
উত্তরঃ প্রয়োজনের অতিরিক্ত থাকলে।
৩. কি হারে।
উত্তরঃ ২০% হারে। অথবা প্রয়োজনের অতিরিক্ত সবটুকু।
৪. কোন ব্যক্তিদের দান করলে।
উত্তরঃ ফকির, মিসকীন, এতীম-অসহায়, নিকটাত্মীয়, যাকাত আদায় কারী, দাস-মুক্তির জন্যে, ঋণ গ্রস্তদের জন্য, আল্লাহর পথে জেহাদকারীদের জন্যে এবং মুসাফিরদের জন্যে। পুরা কোরান খুঁজলে আরও পাওয়া যেতে পারে।
কোরান অনুযায়ী যাকাত ২০% হওয়া উচিৎ। শুনেছি শিয়ারা নাকি তাদের হাদীস অনুযায়ী ২০% যাকাত দেয়। দেখা যাচ্ছে শিয়ারা এই ক্ষেত্রে সঠিক পথে আছে।
যাকাত আরবী শব্দ, এর অর্থ পবিত্রতা। কিন্তু শরীয়ত অযথাই এর অর্থ পরিবর্তন করে ২.৫% বাধ্যতামূলক দান হিসেবে সাব্যস্ত করেছে। শব্দের প্রকৃত অর্থ ব্যবহার না করার এমন শরীয়তী উদাহরণ আরও অনেক আছে। তার মাঝে একটি এখানে প্রাসঙ্গিক ভাবেই উল্লেখ করতে হচ্ছেঃ
''গণি'' আল্লাহর একটি গুণবাচক নাম। এর অর্থ ''ধনী'' বা ''সম্পদশালী''। এই শব্দের ভিন্ন রুপ হচ্ছে ''গণিমত'' যার অর্থ ''ধন'' বা ''সম্পদ'' (সূরা নিসা- ৪:৯৪)। কিন্তু শরীয়ত ''গণিমত'' মানে শুধুমাত্র ''যুদ্ধলব্ধ সম্পদ'' আখ্যায়িত করে। কোরানে যুদ্ধলদ্ধ সম্পদকে আনফাল বলা হয়েছে (সূরা আনফাল-৮:১)। আর যুদ্ধ ছাড়াই প্রাপ্ত শত্রুপক্ষের কোন সম্পদকে ফাই বলা হয়েছে (সূরা হাশর- ৫৯:৬)। যে সম্পদ ''আনফাল'' বা ''ফাই'' অথবা ''অন্য যেকোন উপায়ে প্রাপ্ত ধন সে সম্পদকে ''গণিমত'' বলা যায়।
আল্লাহ তায়ালা তার বান্দাকে সবসময় রিজিক দেওয়ার কথা বলেছেন, কখনও বলেছেন, “ আমি যাকে খুশি বেহিসাব রিজিক দিয়ে থাকি (সুরা-ইমরান-৩:২৭)। অনেক জায়গায় বলেছেন, আমি রিজিক বৃদ্ধি করে দিই আবার কারো রিজিক সংকীর্ণ করি। আমি তাহাদিগকে যে রিজিক দেই তাহা থেকে ব্যয় করে (সুরা আল বাকারা-২:৩)। পৃথিবীতে খাওয়া-পরা এবং যাবতীয় প্রয়োজনীয় দ্রব্য-সামগ্রীকে রিজিক বলা হয়, আর এই রিজিক যখন প্রয়োজনের অতিরিক্ত হয় তখন রিজিকের প্রয়োজনের অতিরিক্ত অংশকে ধন বা গণিমা বলে। এই প্রয়োজনাতিরিক্ত রিজিকের মালিককে আমরা গণী বা ধনী বলি।
সুরা আনফালের ৪১নং আয়াতে বলা হয়েছে, আর এ কথাও জেনে রাখ যে, কোন বস্তু সামগ্রীর মধ্য থেকে যা কিছু তোমরা গণিমত (প্রয়োজানাতিরিক্ত রিজিক) হিসাবে পাবে, তার এক পঞ্চামাংশ আল্লাহর জন্য এবং রসুলের জন্য ও নিকটাত্মীয়দের জন্য আর এতীম-অসহায় সহ অন্যান্যদের জন্য। আয়াতে আল্লাহ তায়ালার নির্দেশ মত আমাদের যাবতীয় প্রয়োজনীয় খরচ মিটানোর পর আয়ের অতিরিক্ত অংশ থেকে একপঞ্চমাংশ (২০%) বায়তুল মালে অর্থাৎ ইসলামী কোষাগারে জমা হবে। যাকে বর্তমানে প্রচলিত যাকাত প্রদান করার সাথে তুলনা করা যায়।
আল্লাহ তায়ালা বলেন, “সদকাগুলির (শরীয়ত এইখানে জাকাত অনুবাদ করে) তো হক হইতেছে কেবল গরিবদের এবং অভাবগ্রস্থদের আর ছদকার উপর নিযুক্ত কর্মচারীদের এবং যাহাদের মন রক্ষা করিতে (অভিপ্রায়) হয়, (তাহাদের) আর গোলাম আযাদ করার কার্যে এবং করজ দাতার কর্জে (অথাৎ কর্জ পরিশোধে) আর জিহাদে (অর্থাৎ যুদ্ধের সরঞ্জাম সংগ্রহের জন্য) আর মুসাফিরদের সাহায্যে, এই হুকুম আল্লাহর পক্ষ হইতে আর আল্লাহ তায়ালা মহাজ্ঞানী প্রজ্ঞাময় (সুরা তওবা-৯:৬০)। আল্লাহ তায়ালার হুকুম অনুযায়ী ছদকার খরচের খাতসমূহ জাতীয় পর্যায়ে বিবেচনা করলে বিশাল এক অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের ইঙ্গিত পাওয়া যায় । জাতীয় পর্যায়ের পরিমাণ এবং সংগ্রহের ব্যাবস্থা ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার ব্যাপকতা প্রকাশ পায়।
কি পরিমাণ ব্যায় করব তার উত্তরে বলা হয়েছে, যে পরিমাণ সহজ হয় (সুরা বাকারাহ-২:২১৯)। এছাড়াও কোরানে বলা আছে প্রয়োজনের অতিরিক্ত সব কিছুই দান/ব্যয় করতে।
১২| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৩ ভোর ৫:৫৫
হারান সত্য বলেছেন: মেহেদী ভাই,
সাইটে রেজিস্ট্রেশন করে প্রথম অধ্যায়টি পড়া এবং গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।
কুইজ এবং ২০ ঘন্টা অপেক্ষার বিষয়টি আপনারমত যারা বিষয়গুলি আগে থেকেই জানে/বোঝে তাদের জন্য একটু বিরক্তিকর মনে হলেও যেসকল পাঠক প্রচলিত চিন্তাধারায় নিমজ্জিত তাদের নতুন চিন্তা গ্রহনের প্রস্তুতির জন্য বেশ উপকারী। বর্তমান তথ্য প্রযুক্তির যুগ আমাদের যেভাবে অতিব্যাস্ত/অস্থির করে তুলেছে তাতে ওয়েবে প্রকাশিত কোন লেখা গভীর মনোযোগের সাথে পড়ার সুযোগ/আগ্রহ কম মানুষের মধ্যেই দেখা যায়। এই লেখাগুলি যাতে আর পাঁচটা ব্লগ পোস্টেরমত একবার চোখ বুলিয়েই ভুলে যাওয়া না হয় সে জন্যই কুইজের ব্যাবস্থা। এখানে দৃস্টিভঙ্গী হচ্ছে - অনাগ্রহী শত শত পাঠক এক বার পড়ে ভূলে যাওয়ার চেয়ে এক জন আগ্রহী পাঠকের সক্রিয় অংশগ্রহন শ্রেয়।
যাই হোক, আশা করি আপনি ধৈর্যের সাথে সবগুলি অধ্যায় গুরুত্বসহকারে পড়বেন। এবং সবগুলি অধ্যায় মিলিয়ে যে সম্পুর্ণ ব্যাতিক্রমী দৃস্টিভঙ্গী/বক্তব্য/দর্শন তুলে ধরা হয়েছে সে ব্যাপারে আপনার সুচিন্তিত মতামত দেবেন।
আল্লাহ আমাদের প্রতিটি ভাল কাজ কবুল করুন - আমীন।
১৩| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪১
হারান সত্য বলেছেন: মেহদী ভাই,
মহাসত্যের পরিচয় সাইটে আপনার এ্যাকাউন্ট অনেক দিন ধরে তৃতীয় অধ্যায়ে আটকে আছে। ৫টি অধ্যায় শেষ করার পর আপনি ফোরামের আলোচনায় অংশ নিয়ে এই সাইটের বক্তব্যের ব্যাপারে আপনার মতামত দিতে পারবেন।
তবে আপনি যদি কুইজে অংশনিতে না চান তাহলে আপনাকে সরাসরি ফোরামে এ্যাক্সেস দেয়া যেতে পারে। আশা করি আপনার মুল্যবান মতামত দিয়ে এই আলোচনাকে আরো সম্মৃদ্ধ করবেন।
ধন্যবাদ
১৪| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:২২
নূরুল্লাহ তারীফ বলেছেন: ভাই সাহেব, আপনি যেভাবে মুসলিম উম্মাহর ইমামদেরকে মিথ্যার দোষে দুষ্ট করলেন, আপনি নিজে সত্য কথা বলেন তো!! নাকি নিজের উপর আস্থা নেই বিধায় অন্য কাউকে সত্যবাদী মনে করতে এত কৃপণতা। এমন কিছু হলে মিথ্যার বেসাতি বাদ দেন। ওরিয়েন্টালিস্টদের মিথ্যার বেসাতিতে বিভ্রান্ত হয়ে নিজের ঈমান-আকিদা খোঁয়াবেন না। আপনি রাবীদের জীবন চরিত বিষয়ে কয়টি গ্রন্থের কথা জানেন? এর মধ্যে কয়টি আপনি পড়েছেন?? নিজের মনগড়া গড়পড়তা কতগুলো সংখ্যা নির্ধারণ করে ইমাম বুখারীকে দোষারোপ করছেন। এটি কি আপনার পক্ষপাতি আচরণ ও গবেষণার অসাধুতা প্রমাণ করে না!!!
রাবীদের জীবনী বিষয়ক কিছু গ্রন্থের নাম পাঠকের জানার জন্য উল্লেখ করা হলো- মান রাওয়া আহহুমুল বুখারি ফিস সহিহ- লিবনে কাত্তান, বুখারির রাবীগণ নিয়ে রচিত আলহিদায়া ওয়াস সিকাত ফি মারিফাতি আহলিস সিকাতি ওয়াস সাদাদ, মুজামুস শুয়ুখ- লিবনি জুমাই, তাসমিয়াতু মান আখরাজা লাহুম বুখারি ওয়া মুসলিম- লিবনি বাইই, আলজারহু ওয়াত তাদীল- লিবনে আবী হাতিম, আসসিকাত- লিবনি হিব্বান, আলমাজরুহীন- লিবনি হিব্বান, আল-কামেল- লিবনে আদী, তারিখু আসমায়িস সিকাত- লিল মারযাবানি, আদ-দুআফা ওয়াল মাতরুকুন- লিদদারাকুতনি, আল-মুতালাফ ওয়াল মুখতালাফ-লিদ দারাকুতনি, তাহযিবুল কামাল-লিল মিজ্জি, তাহযিবুত তাহযীব- ইবনে হাজার, তাকরিবুত তাহযিব- ইবনে হাজার। ভাইজান আপনি কয়টা দেখেছেন, কয়টা পড়েছেন। অন্ধকারে ঢিল মেরে ঈমানদারকে বিভান্ত করতে এসেছেন। আল্লাহ আপনাকে হেদায়েত করুন।
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৩:৫০
মেহেদী পরাগ বলেছেন: এই লিখা আপনার জন্য নয়। আপনার জ্ঞান এখনো এগুলো বুঝার পর্যায়ে উন্নিত হয়নি। আমি যা বলেছি রেফারেন্স সহ সত্য বলেছি। এই সিরিজটি পুরো পরে তারপর পারলে ভুল ধরুন। ঢালাওভাবে আমাকে প্রমাণ ছাড়া মিথ্যাবাদী বললেই আমি মিথ্যাবাদী হব না, বরং আপনিই হবেন।
১৫| ০২ রা অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:১৩
Ri4z বলেছেন: আপনার কাছে আমার একটা প্রশ্ন
আপনি কি কোরান বিশ্বাস করেন সম্পূর্ণ ভাবে ? নাকি আংশিক বিশ্বাস করেন আংশিক করেন না ?
১৬| ০২ রা অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:১৩
Ri4z বলেছেন: আপনার কাছে আমার একটা প্রশ্ন
আপনি কি কোরান বিশ্বাস করেন সম্পূর্ণ ভাবে ? নাকি আংশিক বিশ্বাস করেন আংশিক করেন না ?
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৭:১২
মেলবোর্ন বলেছেন: হাদীসের ঈমান গনের নিজস্ব কনফেশন
STARTLING CONFESSIONS
Let us examine the personal confessions of some of the most ancient and foremost "Imams" ('Canonical' authorities) who narrated History , Hadith , laid down Fiqh (Islamic Jurisprudence) and did Tafseer (explanation) of the Quran.
IMAM RAZI'S HORRIBLE CONFESSION :
Most Muslims have heard of one of the most ancient and famous Tafseer-e-Kabeer (The Great Exposition of the Quran) by Imam Fakhruddin Razi. This tafseer is one of the tops being followed by our Mullahs till this day. After writing his 300 volumes, ‘the great and authoritative’ Imam onfesses: "All my intellectual and supposedly logical statements in the explanation of the Quran turned out to be lame. All the explanations of the Quran done by the so-called Imams
(Tabari, Zamakhshari, Ibne Kathir, Bukhari, Muslim etc) are
misguided and misleading. All of us were the tools of Satan. Our souls were polluted by our physical desires. Our efforts of this world promise to bring us nothing but eternal torture and doom." - Hadith-Ul-Quran by Allama Inayatullah Khan Al-Mashriqi, 1954 edition p190.
IMAM TABARI'S STRANGE CONFESSION:
“I am writing this book as I hear from the narrators. If anything sounds absurd, I should not be blamed or held accountable. The responsibility of all blunders rests squarely on the shoulders of those who have narrated these stories to me.” Tabari's Tareekhil Umam Wal Mulook (The History of Nations and Kings) popularly called "Mother of All Histories" is the first ever "History of Islam" written by 'Imam' Tabari (839-923 CE) at the junction of the third and fourth century AH. He died in 310 AH, 3 centuries after the Prophet (S). What were his sources? Not a scrap of paper!
“He told me this who heard it from him who heard it from so and so," and so on. By compiling his 13 volume History and his 30 volume Exposition of the Quran under royal patronage, he becamethe Super Imam. The later historians until this day have persisted in following the trails of the Super Imam.
IMAM IBN KATHIR'S CONFESSION :
“Had Ibn Jareer Tabari not rec orded the strange reports, I would never have done so.” -Tafseer Ibn Katheer, Khilaafat-e-Mu'awiya-o-Yazeed, Mahmood Ahmed Abbasi
IMAM AHMAD BIN HANBAL'S CHASTISEMENT:
Allama Shibli Nomani, on page 27 of his Seeratun Nabi has given a startling quote of the ancient Imam Ahmad bin Hanbal (d. 241 AH
“Three kinds of books are absolutely unfounded, Maghazi, Malahem and Tafseer. ” (The exalted Prophet’s Battles, Dreams and Prophecies, and Expositions of the Quran).
IBN KHALDOON’S THRASHING :
“The Muslim historians have made a mo ckery of history by filling it with fabrications and senseless lies.” - Muqaddama
SHAH ABDUL AZIZ’S CRITIQUE:
“Six pages of Ibn Khaldoon's History have been deliberately removed since the earliest times. These pages had questioned the most critical juncture of Islamic history i.e. the Emirate of Yazeed and the fiction of Karbala.” [Even the modern editions admit in the side-notes that those pages have been mysteriously missing from the ancient original book. Khilaafat-e-Mu'awiya-o-Yazeed, Mahmood Ahmed Abbasi ]
SHAH WALIULLAH'S CHASTISEMENT:
“Imam Jalaluddin Sayyuti's Tarikh-ul-Khulafa is the prime example of how our Historians, Muhaddithin and Mufassirin, each has played like Haatib-il-Lail (The man who collects firew ood at night not knowing which piece is good and which one is bad).” - Hujjatullah-il-Baalighah
IMAM RAGHIB'S PROTEST :
Tabari, Waqidi, Mas'oodi, Sayyuti pasted any reports they got hands on. Moreover, Abu Mukhnif, Lut bin Yahya and Muhammad binSaaeb Kalbi (in whose names the civil wars within Islam during the times of Hazraat Ali, Mu'awiya and Yazeed are reported) never existed. Their names have been concocted and narratives in their names have all been invented by one man, the Zoroastrian "Imam" Tabari bin Rustam. - Ajaibit Tareekh by Yaqoot Hamdi
সুত্র: THE CRIMINALS OF ISLAM পৃস্টা ৫-৬
http://www.ourbeacon.com/wordpress/?page_id=21