![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শরীয়া আইন এর অনুপযোগিতাঃ পর্ব-১ - হাদীস সংকলনের ইতিহাস।
পর্ব-২- বুখারী হাদীস গ্রন্থ ত্রুটিমুক্ত নয়ঃ শরীয়া আইন এর অনুপযোগিতা
পর্ব-৩- ইমাম বুখারীর হাদীস সত্যায়ণ করার পদ্ধতির ভুল ভ্রান্তিসমূহঃ শরীয়া আইন এর অনুপযোগিতা
বিস্তারিত আলোচনা করার আগে একটি কথা বলে নেয়া দরকার যে এই পোস্টে কোন শিয়া আলেম বা গ্রন্থের রেফারেন্স দেয়া হচ্ছেনা। আমার পোস্ট পড়ার পর অনেকে ইমাম ইবনে হাজার আসকালানীর মত টপ ক্লাস সুন্নি ইমাম যার বদৌলতে আপনাদের ঘরের লাইব্রেরীতে দশ খন্ডের বুখারী শরীফটি শোভা পায় সেই ইমামকেই শিয়া ইমাম বলে মনে করছেন। তাই কিছু ভেবে নেয়ার আগে সাবধানে ভাবার অনুরোধ রইল।
মোহাবিষ্ট মুসলিমের ধারণা ইমাম বুখারী ও ইমাম মুসলিম ছিলেন ফেরেশতা তুল্য মহান আলেম। এই ইমামদ্বয় মিলেমিশে বহু কষ্ট করে হাদীস সংকলণ করেছেন, তারা ছিলেন একে অপরের সম্পূরক, পরিপূরক। কিন্তু বাস্তব সত্য এইসব ধারণার পুরোপুরি বিপরীত। এই ইমামদ্বয় ও তাদের হাদীস শিক্ষক ইমাম যুহলীর মাঝে ছিল ব্যাপক বিরোধ। ইমাম বুখারীর সার্টিফিকেট প্রাপ্ত কিছু হাদীস বর্ণনাকারীকে ইমাম মুসলিম অগ্রহণযোগ্য বলে পরিত্যাগ করেছিলেন আবার ইমাম মুসলিমের সার্টিফিকেট প্রাপ্ত কিছু হাদীস বর্ণনাকারীকে ইমাম বুখারী অগ্রহণযোগ্য বলে পরিত্যাগ করেছিলেন। সামান্য ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইমাম ত্রয়ের মাঝে চূড়ান্ত পর্যায়ের বিবাদ লেগে যায় যাতে ইমাম বুখারীর ক্যারিয়ার পর্যন্ত ধ্বংস হয়ে যায়। ইমাম ইবনে হাজার আসকালানীর ''ফাথ আল বারী'' গ্রন্থের ''ইমাম বুখারীর জীবনচড়িত'' অধ্যায় থেকে জানা যায়ঃ
২৫০ হিজরীতে ইমাম বুখারী নিশাপুর বসবাস করতে গিয়েছিলেন। সেখানে তাকে অভ্যররথনা জানাতে ইমাম বুখারীর উস্তাদ ইমাম যুহলী উপস্থিত ছিলেন। নিশাপুরে ইমাম বুখারীর তিনিদিন ব্যাপী একটি ভাষণ দেয়ার কথা ছিল। ইমাম যুহলী বিশ্বাস করতেন যে পবিত্র কোরআন কোন সৃষ্টি নয়, কিন্তু তিনি জানতেন যে ইমাম বুখারীর বিশ্বাস ভিন্ন ছিল। তাই নিশাপুরের জনসাধারণকে ইমাম যুহলী পূর্বেই বলে রেখেছিলেন যে ''কোরআন একটি সৃষ্টি কিনা'' এই বিষয়ে কেউ যেন ইমাম বুখারীকে কোন প্রশ্ন না করে। ইমাম যুহলী এই চিন্তায় ভীত ছিলেন যে ইমাম বুখারীর উত্তর শুনে লোকে ইমামদেরকে হাস্যাস্পদ মনে করবে আর বলবে যে ইমামদের মাঝেই সমঝতা নেই। ইমাম বুখারীর প্রথম দুই দিনের ভাষণ ভালয় ভালয় শেষ হয়েছিল, কিন্তু তৃতীয়দিনে এক ব্যাক্তি ঠিকই প্রশ্ন করে বসেন যে পবিত্র কোরআন একটি সৃষ্টি কিনা। যথারীতি ইমাম বুখারীর উত্তর হয় ইতিবাচক। এতে সেখানে গোলযোগ লেগে যায়। ভাষণের স্থানের মালিক সবাইকে তার বাড়ি ত্যাগ করতে বলেন। পরে ইমাম যুহলী ঘোষনা দেন - ''কোরআন কোন সৃষ্টি নয়। যে কোরআনকে সৃষ্টি বলে সে আসলে ধর্মে নতুনত্ব আনতে চায়, তাই সকলেই যেন সেই লোককে এড়িয়ে চলে। এরপর যে কেউ ইমাম বুখারীর সভায় যোগদান করবে তাকেও ধর্মে নতুনত্ব সৃষ্টিকারী হিসেবে বিবেচনা করা হবে।'' এরপর থেকে সকলেই ইমাম বুখারীকে পরিত্যাগ করেছিলেন। ইমাম মুসলিম আর ইমাম বুখারীর হাদীস তার গ্রন্থে স্থান দিতেন না। ইমাম বুখারীও ইমাম যুহলীর বর্ণনা করা হাদীস অন্য ব্যক্তির নাম দিয়ে লিপিবদ্ধ করতেন। এর কিছুদিন বাদে ইমাম যুহলী আবার বলেন যে ইমাম বুখারীর সাথে একই শহরে বসবাস করা তার পক্ষে সম্ভব নয়। অগত্যা ইমাম বুখারীকে নিজ শহর বুখারায় যাত্রার উদ্দেশ্যে নিশাপুর ত্যাগ করতে হয়। কিন্তু নিজ শহর বুখারায় এসে ইমাম বুখারী আবিষ্কার করেন যে এখানকার জনসাধারণ তার প্রতি আরও বেশী শত্রুভাবাপন্ন। নিজ শহরে বাস করাই তার জন্য কঠিন হয়ে দাঁড়ালো। এজন্য তিনি সমরখন্দের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন। পথিমধ্যে জানতে পারেন যে সেখানেও একই অবস্থা। এর কিছুদিন পরেই ইমাম বুখারী মৃত্যুবরণ করেন।
ইমাম মুসলিম তো ইমাম বুখারীর হাদীস সংকলণের পদ্ধতিকেই মিথ্যা ও নতুনত্ব বলে অভিহিত করেছিলেন। তিনি বুখারীকে ইঙ্গিত করে নিম্নোক্ত কথাগুলো তার সহিহ মুসলিম গ্রন্থের মুয়ান'আন অধ্যায়ে লিপিবদ্ধ করেনঃ
আমাদের সময়ে কিছু লোক মনে করেন যে তারা হাদীসের স্কলার। তারা হাদীস সত্যাসত্য করার জন্য মিথ্যা শর্ত বানিয়েছেন। তাদের মাঝে একজন (ইমাম বুখারী) বলেন, '' যখন আপনি কোন হাদীস বর্ণনাকারীর কাছ থেকে হাদীস শুনবেন তখন আপনাকে অবশ্যই নিশ্চিত হতে হবে যে বর্ণনাকারী এবং তার আগের বর্ণকারীর মাঝে সম্মুখ সাক্ষাত ঘটেছিল। এটা যথেষ্ট নয় যে তাদের জীবণকাল একই সময়ে ছিল।'' এই শর্তটি একটি মিথ্যা শর্ত কেননা আগের কোন মহান স্কলার এমন কোন শর্তের কথা উল্লেখ করেন নাই। এই শর্তটি মহা ভুল, আমি এই শর্তের বিরোধীতা করি যাতে স্বল্প জ্ঞানীরা এটা বিশ্বাস না করে।
এছাড়া ইমাম মুসলিম কিছু কিছু হাদীস বর্ণনাকারীকে অনির্ভরযোগ্য মনে করতেন, তাদের সমালোচনা করতেন এবং তাদের বলা হাদীস গ্রহণ করতেন না অথচ তাদের বলা হাদীস বুখারীর বইতে ঠিকই স্থান পেয়েছে। ইমাম আসকালানীর ''তাহজিব আল তাহিজিব'' গ্রন্থের ভলিউম ১০ পৃষ্ঠা ৪৬১ এ এমন কিছু উদাহরণ দেয়া আছে। যেমন, বুখারী শরীফে একজন বর্ণনাকারী আছেন যার নাম نعیم بن حماد مروزی নাঈম বিন হাম্মাদ যাকে ইমাম মুসলিম গ্রহণযোগ্য মনে করতেন না। পরবর্তী বহু স্কলারও উনাকে নির্ভরযোগ্য মনে করতেন না।
অন্যদিকে ইমাম মুসলিম নিজেও যে খুব পন্ডিত ছিলেন তা কিন্তু নয়। ইমাম ইবনে হাজার আসকালানী তো ইমাম মুসলিমকে একজন নকলবাজ অসৌজন্যময় হাদীস সংকলক বলে অভিহিত করেছিলেন। ইমাম আসকালানী ''ফাথ আল বারী'' গ্রন্থের ''ইমাম বুখারীর জীবনচড়িত'' অধ্যায়ে লিখেছেনঃ
ইমাম বুখারী মূল হাদীসগুলো সংগ্রহ করেছিলেন এবং মানুষকে শিক্ষা দিয়েছিলেন। ইমাম বুখারীর পর যে হাদীসই লিখিত হয়েছে তা বুখারী শরীফের রেফারেন্সেই হয়েছে। ইমাম মুসলিমের গ্রন্থটি বুখারী শরীফের হাদীস দ্বারা পরিপূর্ণ। ইমাম মুসলিম বুখারী শরীফ থেকে নকল করে একটি হাদীস গ্রন্থ লিখেছেন অথচ ইমাম বুখারীর নাম উল্লেখ করার মত সৌজন্যতাটিও দেখাননি। ইমাম দার কুতনি বলেছিলেন যে যদি ইমাম বুখারী বলে কেউ না থাকত তাহলে ইমাম মুসলিম এর নামই কেউ শুনত না। ইমাম মুসলিম বিষেষ কিছুই করেন নাই, তিনি যা করেছেন তা হচ্ছে বুখাড়ি শরীফ থেকে বেশিরভাগ হাদীস নকল করে নিজে কিছু হাদীস সংগ্রহ করে তার হাদীস গ্রন্থটি সম্পন্ন করা।
এসব ঘটনা থেকে এই প্রশ্নই মনে আসে যে হাদীস সংকলনের মত মহান একটি উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে এই সব ইমামদের মাঝে সামান্য কারণে এত ভেদাভেদ সৃষ্টি হয় কিভাবে? আসলে ধর্মীয় দৃষ্টিকোন থেকে কারণটি সামান্য মনে হলেও রাজনৈতিক ও ক্ষমতার দিক থেকে এটি সামান্য কারণ ছিলনা। এই ইমামরা ছিলেন সমাজের সবচেয়ে বরেণ্য ব্যক্তি। এই ক্ষমতা ও সম্মান তারা উপভোগ করতেন। ইমাম যুহলী সেই ভয়েই চাইতেন না যে তাদের মাঝে মতপার্থক্যের কারনে সমাজে তাদের ক্ষমতা ও সম্মান ক্ষুণ্ণ হোক। কিন্তু ইমাম বুখারীর সেই ভাষণে এক বেয়াড়া প্রশ্নকারীই মূল ঝামেলাটা বাধিয়ে ফেলে। তখন নিজ ক্ষমতা ও সম্মান বজায় রাখার জন্য এক মুহুর্তে ইমাম যুহলী ইমাম বুখারীর সমস্ত হাদীস অগ্রহণযোগ্য বলে ঘোষণা দিতে একবিন্দু দ্বিধা করলেন না অথচ এই হাদীস গুলোই এতদিন সত্য বলে স্বীকার করে আসছিলেন। এই ইমামরাই বলেন যে যারা সত্য হাদীস গোপন করেন তারা জাহান্নামী, তবে ইমাম যুহলী নিজেই কি জাহান্নামী হয়ে গেলেননা? নবীর রওজা মোবারকের পাশে বসে যখন বর্তমান যুগেও লোকে মিথ্যা বলে, নামাজ পড়ার আগে পরে যখন একালেও লোকে মিথ্যা বলে আর ইমাম বুখারী রওজা মোবারকের পাশে বসে হাদীস সাজানো, প্রতিটি হাদীস লিখার আগে আলাদা করে গোসল করে ২ রাকাত নামাজ পড়ার উদাহরণ দিয়ে হাদীসকে সত্য মহাসত্য বলে ঘোষণা দেন তখন সেখানে সম্মান ও ক্ষমতার উদ্দেশ্য কি খুব একটা চাপা থাকে? এই পোস্টের ২য় পর্বে আলোচিত সকল সুন্নি আলেম কর্তৃক স্বীকৃত বুখারী শরীফের ভুলগুলোই তো প্রমাণ করে যে ইমাম বুখারীর এই পদ্ধতি ব্যর্থ হয়েছিল। যা সত্য তা এমনিতেই সত্য, এর জন্য রওজা মোবারকের দোহাই দেয়া লাগেনা। কারণ রওজা মোবারকের পাশে বসলেই যে সকল মিথ্যা সত্য ইথেকে চট করে আলাদা হয়ে যাবে এমন আজগুবি প্রমাণ কেউ পায়নি। এছাড়া ইমাম বুখারী দাবী করতেন যে তার গ্রন্থে মিথ্যা হাদীস যেন না ঢুকে সে জন্য তিনি সবসময় নবীর একটি চুল মোবারক সঙ্গে রাখতেন। স্বভাবতই এখানেও প্রশ্ন আসে, নবীর মৃত্যুর ২৫০ বছর পর নবীর চুল মোবারক ইমাম বুখারী কিভাবে পেলেন? এতদিন কি চুল তাজা থাকতে পারে? চুলের সাথে সত্য মিথ্যার সম্পর্ক কি? নবীর চুল দিয়ে তো বরং নবীর উপর যাদু টোনা করা হয়েছিল। অথচ দুঃখের বিষয় হচ্ছে হাদীসের সত্যতা পরীক্ষার এইসব হাস্যকর নমুনা শুনে মোহাবিষ্ট মুসলিম এগুলোর ফাঁকিগুলো ধরা দূরে থাক এগুলোকেই অলৌকিক মনে করে ভেবে নেয় যে বুখারী, মুসলিম শরীফে ভুল হাদীস থাকতেই পারেননা !
এতকিছুর পরও আরও কথা আছে। বর্তমান যে বুখারী শরীফ আমাদের হাতে আছে, অনেকেই সেটিকে একটি অবিকৃত নির্ভেজাল গ্রন্থ বলে মনে করেন যা সরাসরী ইমাম বুখারীর তরফ থেকে আমাদের হাতে এসে পৌঁছেছে। কিন্তু আসল সত্য হচ্ছে বর্তমান বুখারী হাদীস গ্রন্থটি অনেক বিকৃতি, এডিটিং এর পর বহু ভেরিয়েশনে ভাগ হয়ে, এখানে সেখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থেকে, কিছু অংশ চীরতরে হারিয়ে গিয়ে, কিছু অংশ কিছুটা পরিবর্তীত হয়ে অবশেষে একটি গ্রন্থ হয়ে আমাদের হাতে এসে পৌঁছেছে। অর্থাত বর্তমান বুখারী শরীফ আর ইমাম বুখারীর লিখা বুখারী শরীফ ঠিক একই রকম নয়। পরবর্তী পর্বে এ ব্যাপারে আলোচনা করা হবে।
চলবে।
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৫৩
মেহেদী পরাগ বলেছেন: ধরুন আপনার কথা মেনে নিলাম। সেক্ষেত্রে এত এত বিষয়ের উপর দখল না থাকা সত্বেও যখন সবাই হাদীস পড়েই সে অনুযায়ী আমল করে তখন আপনার আপত্তি থাকেনা কেন? তখন কেন বলেন না যে হাদীস বুঝা এত সহজ নয়? হাদীসের রেফারেন্সে যদি আমি আপনার মতের পক্ষে কিছু লিখতাম তাহলে তো জাজাকাল্লাহ বলে উতসাহ দিয়ে যেতেন!
ধর্ম মোটেই এত কঠিন না। কোরান পড়ে দেখুন, ধর্ম এসেছে মানুষের জীবনকে সহজ করার জন্য। ৬ বিলিয়ন মানুষের মাঝে ১ % মানুষের সাধ্য নাই যে আপনার বলা এত কঠিন বিষয় আয়ত্ব করে ধর্ম পালন করবে। ধর্ম ব্যাবসায়ীরা তাদের ব্যবসা টিকিয়ে রাখার স্বার্থেই এগুলো বলে থাকে।
আমি যা বলেছি তা নিজ থেকে কিছু বলিনাই। সর্বোচ্চ অথেন্টিক রেফারেন্স দিয়েছি। পোস্ট ফলো করতে থাকেন এর পর আপনার বলা ঐসব কঠিন বিষয় আয়ত্ব করা স্কলারদের নিজের কথার রেফারেন্স দেয়া হবে।
লেজেগোবরে হয়েছে আপনার চিন্তাধারা। কারণ আমি কোথায় লেজেগোবরে করেছি তা বের করে দেখানোর সামর্থ আপনার নাই। সত্য সত্যই। সত্যকে যখন কেউ অস্বীকার করতে চায় তখনই মূল পয়েন্টে না গিয়ে অন্য কিছু বলে সত্যকে আঘাত করতে চায়। আপনি যেমন লেজেগোবরে বলে গেলেন কিন্তু মূল পয়েন্টে আমি কি ভুল বলেছি সেটা বলতে ব্যর্থ হলেন।
২| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:৫১
আশরাফ মাহমুদ মুন্না বলেছেন: .
আর হ্যাঁ, বর্তমান প্রেক্ষাপটে ইসলামের আলোকে বিশ্বকে বুঝতে হলে ইসলামিক Eschatology'র ( The branch of theology that is concerned with the end of the world or of humankind.) জ্ঞান দরকার।
এ পর্যন্ত পৃথিবীতে একজনই জন্মেছে। তিনি হলেন - ইমরান নযর হোসেন। ওনার ওয়েভসাইট, ইউটিউবে শ'খানেক ভিডিউ ডাউনলোড করে দেখুন। সম্ভব হলে বই সংগ্রহ করে পড়ুন।
হতাশা ও ধোয়াশা কেটে যাবে। আমি নিশ্চিত। এতে ৬ মাস থেকে ১ বছর লাগতে পারে।
ধন্যবাদ।
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:০৩
মেহেদী পরাগ বলেছেন: আপনি বলতে চাইছেন এ পর্যন্ত পৃথিবীতে একমাত্র ইমরান নযর হোসেন ছাড়া আর কেউ প্রকৃত ইসলাম বুঝতে পারেন নাই? আপনি ওই শ খানেক ভিডিও থেকে এমন একটি ভিডিও দিন না আমাকে যেখানে আমার পোস্টের বিষয়বস্তু ভুল তা প্রমাণ করে দেয়া আছে!
আমি তো নিজে একজন মুসলিম। আমিতো ধর্ম অস্বীকার করিনা, আমি নাস্তিক না। হাদীসের বইতে সত্য হাদীসও থাকবে এটাও তো আমি অস্বীকার করিনা। সেসব বিষয় নিয়ে মনাকর্ষি কোন লেখা পড়েই আপনি তার ভক্ত হয়েছেন সেটা ভাল। কিন্তু তার মানে এই নয় যে সেই ভালর পাশাপাশি হাদীসে খারাপ কিছু নেই। আমি শুধু সেই খারাপ গুলোর কথাই বলতে চাই। এক ভাল হাদীস দেখে দুনিয়ের সকল হাদীসকেই ভাল বলার বর্তমান শরীয়া ভিত্তিক অন্ধ চিন্তাধারার বিপক্ষে আমি।
আর আমি মোটেই হতাশা গ্রস্থ বা ধোয়াশা ঘেরা কেউ নই। আমি আমার চিন্তা ধারায় বেশ পরিষ্কার। বুগিচুগি কিছু বলে আমাকে বুঝিয়ে দেয়া যাবেনা। বলতে চাইলে স্পষ্ট যুক্তিসহকারে কিছু বলবেন। ধন্যবাদ।
৩| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:০৮
তারান্নুম বলেছেন: হাদিস যাচাই বাছাই না করে স্কলাররা শরীয়াহ্-য় ব্যবহার করেননা।বুখারী-মুসলিম কেন নির্ভুল ধরে নিবেন স্কলাররা?উনারা তা করেন না,এগুলোয় জাল হাদিস আছে উনারা জানেন অনেক আগে থেকেই।আপনি বাংলাদেশী,বড়জোর উপমহাদেশীয় বেশীরভাগ মোল্লাদের কথা বলতে পারেন যারা সঠিকভাবে কিছুই জানেনা।
আর যাদের উদ্দেশ্যে বলছেন,তারা ধর্মই ঠিকমতো মানেনা,এদেশের মানুয় ধর্ম নিয়ে মাথা ঘামায় কম,ঠিকমতো কিছুই পালন করেনা মা-বাবা,হুজুর যা শিখিয়েছে তার বাইরে,চিন্তাও করেনা।সুতরাং এদের এই জানাটা ভুল পথে যাবার সম্ভাবনা আছে।দেখা যাবে,না বুঝে ধর্ম নিয়ে মোকারী করা ছাড়া আর কিছু করছেনা,ধর্ম থেকে আছে দূরে,আরো দূরে চলে গেলে হিতে বিপরীত হয়ে গেল।একটু ভেবে দেখবেন আগে তাদের সঠিকভাবে বেসিকটা জানানো দরকার কিনা?
আর আপনার এখানে কমেন্ট পড়ে দেখুন,যারা কথা বলছেন,বেশীরভাগ ধর্ম নিয়ে ঠাট্টা করতেই কথা বলছেন কিছুই না জেনে,না বুঝে..আপনি বোধহয় ধরতে পারছেননা।আপনি সঠিক পথে চলতে চাওয়া মুসলিম,তারাও কি আপনার মতো সত্য জানতে আগ্রহী?মনে হয়না।এরা আপনার পোস্ট ইসলাম ধর্মকে বেকার দাবী করতে ব্যবহার করবে,সেটা আপনি নিশ্চয়ই চাননা।
ভালো থাকবেন।
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৩৬
মেহেদী পরাগ বলেছেন: ১) বুখারীর হাদীস শতভাগ নির্ভুল মোল্লারা এটা প্রচার করেন তবে আলেমরা সজ্ঞানে সেই ভুল প্রচারণায় বাধা দেয়া থেকে বিরত থাকেন। আপনিই স্বীকার করে নিলেন যে সারা দুনিয়ার আলেমরা খুব ভাল করে জানেন যে বুখারী/মুসলিম গ্রন্থেও প্রচুর জাল/ভুল হাদীস আছে, কিন্তু খেয়াল করে দেখবেন যে তারা সবাই সেটা গোপন করেন, আলেমদের পক্ষ থেকে এই ভুলের বিরুদ্ধে প্রচারণার ব্যাপারে কোন রেফারেন্স কি দিতে পারবেন? সারা পৃথিবী ব্যাপী সাধারণ মুসলিমের ধারণা যে বুখারী শতভাগ নির্ভুল, আলেমরাও চায় মানুষ এই ভুল নিয়েই ধর্ম পালন করুক।
২) যারা ধর্ম নিয়ে মাথা কম ঘামায় তারা এইসব পোস্টে আসেই না, দেখুন না মাত্র ১২০ বার পঠিত। আর যারা ধর্ম নিয়ে সামান্য মাথা ঘামায় আমি চাই তারা মাথাটা আরেকটু বেশী করে ঘামাক। সেজন্যই আমি এই সিরিজ পোস্ট দেয়ার আগে খুব যুক্তি দিয়ে আর কোরআনের রেফারেন্স দিয়ে নিচের পোস্টটি দিয়েছিলাম।
আমরা কি হাদীস নির্ভর ভুল ইসলাম পালন করছি না?
আমি বললাম লোকে যেন অন্যায় করা বাদ দিয়ে নামাজ কালাম পড়ে, ভুল হাদীসগুলোর কারণে যেন ভুল পথে না যায়, কোরআনের রেফারেন্স দিলাম কিন্তু সবাই গালাগাল শুরু করে বলল যে বুখারী হাদীসে ভুল হতেই পারেনা। অতএব আমি সিদ্ধান্ত নিলাম সত্যটা আগে জানিয়ে পরে নিজের কথাগুলো লিখব। আমি তো বলিনা যে সম্পূর্ণ বুখারী ভুল। আমি শুধু বলি যে চেইন অব নেরেটর বা ইসনাদ দিয়ে যাচাই না করে নিজ জ্ঞান ও কোরান দিয়ে হাদীস যাচাই করতে।
৩) যাদের ঈমান এতই দূর্বল যে সামান্য সমালোচনায় তার ঈমান চলে যাবে, তাদের সেই ঈমান থাকার চেয়ে না থাকাই ভাল। আল্লাহ প্রতিটি মানুষকে বুঝবার ক্ষমতা দিয়েছেন, ভাল মন্দ তারাই বিচার করবে। আপনি এত ভয় পাচ্ছেন কেন? মনে রাখবেন ধর্মে লুকোচুরির কিছু নেই। ধর্ম নিয়ে মোকারী করলে তাতে ধর্মের কিছু যায় আসেনা, অথচ আমরা মুসলিমরা এখন এতই অসহিষনু যে নিজে নামাজ পড়িনা ১ বেলা কিন্তু নামাজের বিরুদ্ধে কেউ বল্লেই কল্লা ফেলে দিতে চাই। এটার শেষ হওয়া দরকার। ধর্ম নিয়ে লুকোচুরি করলে এগুলোর প্রতিকার হবেনা।
৪| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:১৬
বইয়ের পোকা বলেছেন: ইমাম ইবনে হাজার আসকালানীর ''মুকাদ্দামা ফাথ আল বারী'' গ্রন্থের ''ইমাম বুখারীর জীবণচড়িত'' এই একটা বইয়ের রেফারেন্স দিয়ে এত বড় উপসংহারে পৌছে গেলেন??!! আপনার সাথে একমত হতে পারলাম না। আপনি যে বইয়ের রেফারেন্স দিয়েছেন সেটা যে বিকৃত হয় নি অথবা লেখক যে সত্য বলেছেন তা যাচাই করবেন কিভাবে? আরো কোনো নির্ভরযোগ্য রেফারেন্স থাকলে দেন নাহলে এইসব বিভ্রান্তিমূলক পোস্ট দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করবেন না!!!!!
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৫৩
মেহেদী পরাগ বলেছেন: এখন বুখারী শরীফের সাথে সম্পর্কিত যেকোন প্রশ্নে ইমাম আসকালানীর ''ফাথ আল বারী'' গ্রন্থের চাইতে বেস্ট রেফারেন্স কি আর দুনিয়ার কোথাও আছে? আপনি আসলে এই গ্রন্থের মহিমা না জেনেই মন্তব্যটি করে ফেলেছেন।
ফাথ আল বারী থেকেই আমরা বুখারী শরীফ পেয়েছি (আশ্চর্য্য হচ্ছেন?), তাই ফাথ আল বারী যদি বিকৃত হয় তবে বুখারী শরীফই বিকৃত। আগের দিনে প্রিন্টিং প্রেস ছিলনা যে সবার হাতে হাতে ঘরে ঘরে বুখারীর বই থাকবে। বুখারীর এত বড় গ্রন্থ তাই হরিয়েই গিয়েছিল প্রায়। ইমাম আসকালানী তার সারা জীবনের চেষ্টায় বুখারীর হাদীসগুলো নিয়ে হাদীসের ব্যাখ্যাগ্রন্থ (তাফসীর) এই ফাথ আল বারী রচনা করেছেন। সেই ফাথ আল বারী বইটি থেকে ইমাম আসকালানীর ব্যাখ্যাগুলো বাদ দিয়ে শুধু বুখারীর হাদীসগুলো নিয়ে বর্তমানের ১০ খন্ডের বুখারী শরীফ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এর চাইতে নির্ভরযোগ্য রেফারেন্স চেয়ে নিজেকে আর লজ্জায় ফেলবেননা। আশা করি আপনার বিভ্রান্তি দূর হবে।
৫| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:১৬
জামিল হাসান বলেছেন: একমাত্র কাদিয়ানিরা বুখারি মুসলিম শরীফকে মানতে চায় না ।
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৫৪
মেহেদী পরাগ বলেছেন: শিয়াদের কথা ভুলে গেলেন? অন্তত বাচ্চাদের জ্ঞানটা তো রাখুন?
৬| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:১৭
তারান্নুম বলেছেন: বুখারী,মুসলিম শরীফে জাল হাদিস আছে,সত্যি।কোরআন ছাড়া কিছুই Infallible না,সত্যি।যাচাই-বাছাই করা হয় এবং তাই-ই করা উচিত,ঠিক।
কিন্তু তার মানে এই না যে এদের effort nullify করে দেয়া যায়,ভদ্রলোকেরা sincere ছিলেননা বলা যায় কিংবা উনারা সামাজিক সম্মানের লোভে কাজগুলো করেছিলেন বলা যায়।কোন স্কলারের ভুলের ব্যাপারে তাঁর প্রতি সম্মান না রেখে তাঁকে অবজ্ঞা করে মতামত দেয়াটা ভুলের যাচাইয়ে আরেক ভুল,যা কিছুতেই কাম্য নয়।
আবারও বলছি,হিতে বিপরীত হবার সম্ভাবনা বেশী।
মা-আসসালাম।
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৩৬
মেহেদী পরাগ বলেছেন: বুখারী, মুসলিম শরীফের সেই ভুল হাদীসগুলোর ইসনাদ খুব নিখুত- সত্যি।
ইসনাদ নিখুত হলেও বুখারী, মুসলিম শরীফের হাদীস ভুল হতে পারে- ঠিক।
ব্যাভিচারের শাস্তি কোরআনে বেত্রাঘাত লিখা থাকার পরেও বুখারীতে পাথর নিক্ষেপে হত্যা লিখা আছে। বুখারীর এই হাদীসটির ইসনাদ নিখুত হলেও তাই ভুল হতেই পারে, তাই না? আলেমরা কি এটা মেনে নিয়েছিল? এমন আরও বহু উদাহরণ আছে। আপনি কি তাহলে এগুলো মেনে নিতে প্রস্তুত? সবাই মেনে নিলে আমারও কোন আপত্তি নেই যে ইমামদের উদ্দেশ্য ভাল ছিল, তারা সিনসিয়ার ছিলেন ইত্যাদি।
৭| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:২২
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: চুপ মিথ্যাবাদি তাব্লিগ পন্থি ।
মানুষকে মিথ্যা বুঝিয়ে হাদিস বেত্তাদের অপমান
এইসব হাদিস গ্রস্থ নির্ভুল নির্ভেজাল এবং সিহা ছিত্তাহ সম্পূর্ণ অবিক্রিত নির্ভেজাল দলিল । কোরআন যেমন নির্ভুল ভাবে সংরক্ষিত
হাদিসও তদ্রুপ ।
তোমরা তোমরা বাংলাদেশে মিথ্যা ইহুদি মমদ পুষ্ট দেওবন্দি দালাল
এখন কোরআন হাদিসের উপর আঘাত হানছ আর এসব দেখে দেখে
ইহুদিরা বিভ্রান্ত বলে চালিয়ে ইসলামের বারটা বাজিয়ে অধপতনে
নিচ্ছে গোটা মুসলিম দুনিয়াকে ।
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৩৮
মেহেদী পরাগ বলেছেন: আল্লাহ আপনার মাথায় কিছুটা মগজ দান করুন।
৮| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:২৩
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: : ঈদে মিলাদুন্নবি সা ও বেলাদত শরীক এবং দিনটির তাৎপর্য নিয়ে
ভ্রান্তদের জবাব
লেখক বলেছেন: নবীজীর জন্ম তারিখ নিয়ে মতভেদ নয় । প্রমান ।
এর জাওয়াব হলোঃ উলামায়ে সূ’দের উক্ত কথা কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ-এর খিলাফ হওয়ার কারণে কুফরী হয়েছে। কারণ কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ-এর নির্দেশ হলো যে, মতভেদ সম্পর্কিত বিষয় পালন বা আমল করা অবশ্যই ঠিক।
এ প্রসঙ্গে আল্লাহ্ পাক ইরশাদ করেন-
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُواْ أَطِيعُواْ اللّهَ وَأَطِيعُواْ الرَّسُولَ وَأُوْلِي الأَمْرِ مِنكُمْ فَإِن تَنَازَعْتُمْ فِي شَيْءٍ فَرُدُّوهُ إِلَى اللّهِ وَالرَّسُولِ.
অর্থ: “হে মু’মিনগণ! তোমরা আল্লাহ পাক- উনার ইতায়াত করো এবং হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম- উনার ইতায়াত করো এবং তোমাদের মধ্যে যারা উলিল আমর উনাদের ইতায়াত করো। অতঃপর যখন কোন বিষয়ে উলিল আমরগণের মাঝে ইখতিলাফ দেখতে পাবে তখন (সে বিষয়টি ফায়সালার জন্য) তোমরা আল্লাহ পাক এবং উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম- উনার দিকে প্রত্যাবর্তন করো অর্থাৎ যে উলিল-আমরের কুরআন-সুন্নাহ্র দলীল বেশি হবে উনারটিই গ্রহণ করো।” (সূরা নিসা, আয়াত শরীফ ৫৯)
প্রকাশ থাকে যে, ইখতিলাফ বা মতভেদ দুই রকমের হয়ে থাকে।
(১) শুধু হক্বের জন্য হক্ব তালাশীগণের ইখতিলাফ। যেমন- ঈমানের শর্ত হিসেবে কেউ উল্লেখ করেছেন,
التصديق باالجنان والاقرار باللسان.
অর্থ: “অন্তরে বিশ্বাস ও মৌখিক স্বীকৃতি।”
আবার কেউ উল্লেখিত দু’টি শর্তের সাথে তৃতীয় শর্ত হিসেবে
والعمل بالاركان.
অর্থ: “ফরযসমূহ আমল করা” উল্লেখ করেছেন।
অনুরূপ নামায, রোযা, হজ্জ, যাকাত ইত্যাদি প্রায় প্রতিটি বিষয় বা আমলের ক্ষেত্রে তার মাসয়ালা-মাসায়িল, হুকুম-আহকাম বর্ণনার ব্যাপারে ইখতিলাফ পরিলক্ষিত হয়।
এ প্রসঙ্গে কিতাবে বর্ণিত রয়েছে,
اختلاف العلماء رحمة.
অর্থ: “হক্কানী-রব্বানী আলিমগণের ইখতিলাফ রহমতের কারণ।”
যেমন- হক্কানী-রব্বানী আলিমগণ ইখতিলাফ করে হানাফী, মালিকী, শাফিয়ী, হাম্বলী- ৪টি মাযহাবকেই হক্ব বলে স্বীকার করে নিয়েছেন এবং এর উপরই উম্মতের ইজমা বা ঐক্যমত প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
(২) হক্ব তালাশীগণের সাথে নাহক্বপন্থীদের ইখতিলাফ বা মতবিরোধ। যেমন- হক্বপন্থীদের আক্বীদা হলো আল্লাহ পাক এক এবং অদ্বিতীয়। নূরে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি শেষ নবী ও রসূল। তিনি নূরের সৃষ্টি। তিনি ইলমের গইবের অধিকারী ইত্যাদি। কিন্তু এসবের বিপরীত হলো বাতিলপন্থীদের আক্বীদা। যেমন- তাদের কারো আক্বীদা হলো, আল্লাহ পাক তিনজন অর্থাৎ তারা ত্রিত্ববাদ বা তিন খোদায় বিশ্বাসী। নাঊযুবিল্লাহ! কারো আক্বীদা হলো- আল্লাহ পাক, উনার হাবীব শেষ নবী ও রসূল নন। নাঊযুবিল্লাহ। কারো আক্বীদা হলো, তিনি নূরের সৃষ্টি নন। নাঊযুবিল্লাহ! তিনি ইলমে গইবের অধিকারী নন। নাঊযুবিল্লাহ! ইত্যাদি।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, মতভেদ সম্পর্কিত বিষয় যদি পালন করা ঠিক না হয় তাহলে কি আল্লাহ পাক, আল্লাহ পাক উনার হাবীব, ঈমান-ইসলাম সব বাদ দিতে হবে? কস্মিনকালেও নয়। বরং আল্লাহ পাক যে নির্দেশ দিয়েছেন, যেখানে মতভেদ হবে সেখানে যে উলিল আমরের স্বপক্ষে কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ-এর দলীল বেশি হবে, উনারটিই গ্রহণ করতে হবে। সুতরাং, যে ব্যক্তি বলবে মতভেদপূর্ণ বিষয় পালন করা ঠিক নয়, সে ব্যক্তি নিঃসন্দেহে মুরতাদ ও কাফিরের অন্তর্ভুক্ত।
আর কোন বিষয়ে যখন একাধিক মত থাকবে তখন যেই মতটি অত্যধিক ছহীহ ও নির্ভরযোগ্য হবে তা আমল করতে হবে। মতভেদ আছে বলে, মূল বিষয়টির আমলই ছেড়ে দিতে হবে এ বক্তব্য চরম শ্রেণীর জাহিলদের উক্তি বৈ কিছুই নয়। এ বক্তব্যও কুরআন-সুন্নাহ’র সম্পূর্ণ বিপরীত ও কুফরীর শামিল।
স্মরণীয় যে, ১২ই রবীউল আউয়াল শরীফ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ-এর দিন। এটাই সবচেয়ে ছহীহ ও মশহূর মত।
যেমন, এ প্রসঙ্গে হাফিয আবূ বকর ইবনে আবী শায়বাহ ছহীহ সনদ সহকারে বর্ণনা করেছেন-
عن عفان عن سعيد بن مينا عن جابر وابن عباس رضى الله تعالى عنهما قالا ولد رسول الله صلى الله عليه وسلم عام الفيل يوم الاثنين الثانى عشر من شهر ربيع الاول.
অর্থ: “হযরত আফফান রহমতুল্লাহি আলাইহি হতে বর্ণিত। তিনি হযরত সাঈদ ইবনে মীনা রহমতুল্লাহি আলাইহি থেকে বর্ণনা করেছেন যে, হযরত জাবির ও হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমা বলেন, রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম- উনার বিলাদত শরীফ ‘হস্তি বাহিনী বর্ষের ১২ই রবীউল আউয়াল সোমবার শরীফ হয়েছিল।” (বুলুগুল আমানী শরহিল ফাতহির রব্বানী, আল বিদায়া ওয়ান্ নিহায়া)
উক্ত হাদীছ শরীফ বর্ণনার সনদের মধ্যে প্রথম বর্ণনাকারী হযরত আফফান রহমতুল্লাহি আলাইহি সম্পর্কে মুহাদ্দিছগণ বলেছেন,
“তিনি একজন উচ্চ পর্যায়ের নির্ভরযোগ্য ইমাম, প্রবল স্মরণশক্তি ও দৃঢ়প্রত্যয় সম্পন্ন ব্যক্তি।” (খুলাছাতুত্ তাহযীব)
“দ্বিতীয় বর্ণনাকারী সাঈদ ইবনে মীনা। তিনিও অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য।” (খুলাছাহ্,তাক্বরীব)
আর তৃতীয় হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এবং হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু। এ দু’জন উচ্চ পর্যায়ের ফক্বীহ ছাহাবীর বিশুদ্ধ সনদ সহকারে বর্ণনা থেকে প্রমাণিত হলো যে, “১২ই রবীউল আউয়াল শরীফ হচ্ছে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম- উনার পবিত্র বিলাদত দিবস।” এ ছহীহ ও নির্ভরযোগ্য বর্ণনার উপরই ইমামগণের ইজ্মা (ঐক্যমত) প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। (সীরাত-ই-হালবিয়াহ, যুরক্বানী আলাল মাওয়াহিব, মাসাবাতা বিস্ সুন্নাহ )
উপরোক্ত বিশুদ্ধ বর্ণনা মুতাবিক ১২ই রবীউল আউয়াল শরীফই হচ্ছে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম- উনার পবিত্র বিলাদত দিবস। এটাই ছহীহ ও মশহূর মত। এর বিপরীতে যেসব মত ঐতিহাসিকগণ থেকে বর্ণিত রয়েছে তা অনুমান ভিত্তিক ও দুর্বল। অতএব, তা আদৌ গ্রহণযোগ্য নয়।
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: তাই উজ্জ্বল প্রমানে বুঝানো উচিৎ এদের ধারনা কত টুকু ভ্রান্ত
মিলাদ আম্বিয়া আ এর সুন্নত
সুরা বাকারা ১২৯ আয়াত
হে প্রতিপালক আমাদের এবং প্রেরন কর তাদের মধ্য একজন রাছুল তাদেরই মধ্য থেকে ,যিনি তোমার আয়াত সমুহ তাদের নিকট তেলায়াত করবেন এবং তাদেরকে তোমার কিতাব ও পরিপক্ষ জ্ঞান দেবেন এবং তাদেরকে অতি পবিত্র করবেন নিশ্চয় তুমি পরাক্রম শালি , প্রজ্ঞাময় ।
অন্যান্য নবীদের দোয়া এটি
ইব্রাহিম আ এর দোয়া যে দরুদ আমরা নামাযে পাঠ করি
মুসা আ বললেন হে আল্লাহ আহমদ কে , আল্লাহর উত্তর আখেরি যামানার নবী
আমাকে সেই যামানার নবী বানানো হোক
আল্লাহ অসম্ভব সেই আহম্মদ সমস্ত নবীদের সর্দার
তাহলে তার উম্মত হওয়ায় সুযোগ দেওয়া হোক
আনাস রাদিয়াল্লাহু আ হইতে বর্ণীত
ইছা আ বললেন আমিই মনে হয় যামানার বড় প্যগম্বর আল্লাহ বললেন অহংকার ত্যাগ কর মহাম্মাদের উম্মতের একরাতের এবাদত তোমার কউমের সমান হবেনা
ইয়া রাছুলুল্লাহ আমাকে নবী না বানায়ে যদি তার উম্মত বানাতেন বড়ই ভাগ্যবান হইতাম , আল্লাহ তার ফরিয়াদ কবুল
করেছেন এবং আসমানে উটিয়ে রাখলেন আবার আসবেন উম্মত হিসাবে । তবছিরে কবির
আর আমরা উম্মত হয়ে তাকে চিনতে তার শান মান মর্যাদা নিয়ে প্রশ্ন তুলি , নাউযুবিল্লাহ
ফেরেস্তাদের ছুন্নত
দৈনিক ৭০ হাজার ফেরেস্তা নবীজীর রওজা মোবারকে রহমতের ফাকা বিস্তার করে পালা ক্রমে দরুদ ও ছালাম ভেজে আনন্দের সহিত মিছিল সহকারে , যে ফেরেস্তা গন একবার সুযোগ পায় ২য় বার সে কিয়ামত পর্যন্ত সুযোগ পাবেনা ।
অতপর কিয়ামতের পর আনন্দ মিছিলের মাধ্যমে তাকে আল্লাহর ডান পাঁশে সম্মানিত আসনে বসানো হবে ।
মেশকাত শরিফ একাদশ জিলদে ৭৬/৭৭ পৃষ্টা ৫৭০৩ এর ১২ ন্নগ হাদিস
মিলাদ শরিফ সাহাবা কেরামের ছুন্নত
আন্নেয়ামুল কুব্রা হাদিস সংকলন থেকে । উপরে সাহাবাদের ছুন্নত ও তাদের মহান বানি সন্নেবেশিত করা হল ।
আল্লাহ হেদায়েত দিন আমিন ।
লেখক বলেছেন: ইরুল কুরুন হচ্ছে পর্যায়ক্রমে ছাহাবী, তাবিয়ী ও তাবি’ তাবিয়ীনগণের যুগ। আর উক্ত তিন যুগের প্রথম যুগই হচ্ছে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ উনাদের যুগ এবং সে যুগেই ‘ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ উদযাপিত হয়েছে। সুবহানাল্লাহ!
যেমন এ প্রসঙ্গে হাদীছ শরীফ-এ বর্ণিত রয়েছে-
عن ابى الدرداء رضى الله تعالى عنه انه مر مع النبى صلى الله عليه وسلم الى بيت عامر الانصارى وكان يعلم وقائع ولادته صلى الله عليه وسلم لا بنائه وعشيرته ويقول هذا اليوم هذا اليوم فقال عليه الصلوة والسلام ان الله فتح لك ابواب الرحمة والملائكة كلهم يستغفرون لك من فعل فعلك نجى نجتك.
অর্থ: হযরত আবূ দারদা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত আছে যে, একদা তিনি হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে হযরত আমির আনছারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার গৃহে উপস্থিত হয়ে দেখতে পেলেন যে, তিনি উনার সন্তান-সন্তানাদি এবং আত্মীয়-স্বজন, জ্ঞাতি-গোষ্ঠী, পাড়া-প্রতিবেশীদেরকে নিয়ে হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করে বিলাদত শরীফ-এর ঘটনাসমূহ শুনাচ্ছেন এবং বলছেন, এই দিবস অর্থাৎ এই দিবসে রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যমীনে তাশরীফ এনেছেন। এমন সময় হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তথায় উপস্থিত হলেন। (তিনি যখন উপস্থিত হলেন সমবেত লোকজন দাঁড়িয়ে উনাকে সালাম পেশ করতঃ অভ্যর্থনা বা স্বাগত জানিয়ে আসনে বসালেন।) তিনি লোকজনের মীলাদ শরীফ-এর অনুষ্ঠান এবং বিলাদত শরীফ-এর কারণে খুশি প্রকাশ করতে দেখে উনাদেরকে উদ্দেশ্য করে বললেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা তোমাদের জন্য রহমতের দরজা উমুক্ত করেছেন এবং সমস্ত ফেরেশতা তোমাদের জন্য মাগফিরাত তথা ক্ষমা প্রার্থনা করছেন এবং যে কেউ তোমাদের মত এরূপ কাজ করবে, তোমাদের মত উনারাও রহমত ও মাগফিরাত লাভ করবে এবং নাজাত লাভ করবে। সুবহানাল্লাহ! (কিতাবুত তানবীর ফী মাওলিদিল বাশীর ওয়ান নাযীর, সুবুলুল হুদা ফী মাওলিদে মুস্তফা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, হাক্বীক্বতে মুহম্মদী ও মীলাদে আহমদী পৃষ্ঠা- ৩৫৫)
হাদীছ শরীফ-এ আরো বর্ণিত রয়েছে-
عن ابن عباس رضى الله تعالى عنهما انه كان يحدث ذات يوم فى بيته وقائع ولادته صلى الله عليه وسلم لقوم فيستبشرون ويحمدون الله ويصلون عليه صلى الله عليه وسلم فاذا جاء النبى صلى الله عليه وسلم قال حلت لكم شفاعتى.
অর্থ: হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত আছে যে, তিনি একদা উনার নিজ গৃহে সমবেত ছাহাবীগণকে আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ-এর ঘটনাসমূহ শুনাচ্ছিলেন। এতে শ্রবণকারীগণ আনন্দ ও খুশি প্রকাশ করছিলেন এবং আল্লাহ পাক উনার প্রশংসা তথা তাসবীহ-তাহলীল পাঠ করছিলেন এবং আল্লাহ পাক-উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শানে ছলাত-সালাম (দুরূদ শরীফ) পাঠ করছিলেন। এমন সময় হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সেখানে উপস্থিত হলেন। (তিনি যখন উপস্থিত হলেন সমবেত লোকজন দাঁড়িয়ে উনাকে সালাম পেশ করতঃ অভ্যর্থনা বা স্বাগত জানিয়ে আসনে বসালেন।) তিনি লোকজনের মীলাদ শরীফ-এর অনুষ্ঠান এবং বিলাদত শরীফ-এর কারণে খুশি প্রকাশ করতে দেখে উনাদেরকে উদ্দেশ্য করে বললেন, তোমাদের জন্য আমার শাফায়াত ওয়াজিব। (কিতাবুত তানবীর ফী মাওলিদিল বাশীর ওয়ান নাযীর, সুবুলুল হুদা ফী মাওলিদে মুস্তফা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, হাক্বীক্বতে মুহম্মদী ও মীলাদে আহমদী পৃষ্ঠা-৩৫৫)
অতএব প্রমাণিত হলো যে, আল্লাহ পাক- উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার যামানাতেই অর্থাৎ খইরুল কুরুনের প্রথম যুগেই হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ ‘ঈদে মীলানদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ উপলক্ষে মাহফিল করেছেন এবং সে মাহফিলে স্বয়ং আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপস্থিত হয়ে ‘ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ উদযাপনকারীগণকে রহমত, মাগফিরাত, নাজাত ও শাফায়াত লাভের সুসংবাদ দান করেছেন। সুবহানাল্লাহ! শুধু তাই নয়, ক্বিয়ামত পর্যন্ত যারা ‘ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ উপলক্ষে মাহফিল করবে উনাদের জন্যেও একই সুসংবাদ দান করেছেন। সুবহানাল্লাহ!
অতএব, ‘খইরুল কুরুনের মধ্যে কেউ এমন কোন ঈদ, উৎসব পালন করেননি’ উলামায়ে সূ’দের এ কথা সম্পূর্ণরূপে মিথ্যা প্রতিপন্ন হলো এবং সাথে সাথে তাদের জিহালতীও পরিস্ফুটিত হলো।
উল্লেখ্য, কোন আমল খইরুল কুরুনের মধ্যে না থাকলে যে তা পরিত্যাজ্য হবে এ কথা সম্পূর্ণরূপে অশুদ্ধ ও কুরআন-সুন্নাহ’র খিলাফ। বরং কোন আমল গ্রহণীয় কিংবা বর্জনীয় হওয়ার জন্য খইরুল কুরুন শর্ত নয়। শর্ত হচ্ছে সে আমল কুরআন-সুন্নাহ সম্মত কি না? যদি কুরআন-সুন্নাহ সম্মত হয় তাহলে তা গ্রহণীয়। আর যদি কুরআন-সুন্নাহ সম্মত না হয় তবে তা বর্জনীয় বা পরিত্যাজ্য।
যেমন এ প্রসঙ্গে হাদীছ শরীফ-এ বর্ণিত রয়েছে-
عن جرير رضى الله تعالى عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم من سن فى الاسلام سنة حسنة فله اجرها واجر من عمل بها من بعده من غيره ان ينقص من اجرهم شىء .
অথ: হযরত জারীর ইবনে আব্দুল্লাহ বাজালী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বর্ণনা করেন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি দ্বীন ইসলামে কোন উত্তম বিষয় বা আমলের প্রচলন করলো, তার জন্য প্রতিদান বা ছওয়াব রয়েছে এবং তার পরে যারা এই আমল করবে তাদের জন্য ছওয়াব বা প্রতিদান রয়েছে, অথচ এতে তাদের ছওয়াবের কোন কমতি করা হবে না।’ (মুসলিম, মিশকাত)
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৫০
লেখক বলেছেন:
সহীহ হাদীসে রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আপন সুন্নাতের পাশাপাশি খুলাফায়ে রাশেদীনের সুন্নতকে অনুসরণ করার এবং তাকে মজবুতভাবে অবলম্বন করার আদেশ করেছেন। ইরশাদ করেছেন-
انه من يعش منكم بعدي فسيرى اختلافا كثيرا، فعليكم بسنتي وسنة الخلفاء الراشدين المهديين، تمسكوا بها وعضوا عليها بالنواجذ ... وإياكم ومحدثات الأمور، فإن كل محدثة بدعة وكل بدعة ضلالة.
‘‘মনে রেখো! আমার পরে তোমাদের যারা জীবিত থাকবে তারা বহু মতানৈক্য দেখতে পাবে। তখন আমার সুন্নত ও আমার হেদায়াতপ্রাপ্ত খলীফাগণের সুন্নতকে আকড়ে রাখবে। একে অবলম্বন করবে এবং মাড়ির দাঁত দিয়ে কামড়ে রাখবে ... এবং তোমরা (ধর্মীয় বিষয়ের) নবআবিস্কৃত বিষয়াদি থেকে খুব সতর্কতার সাথে বেuঁচ থাকবে। কেননা প্রতিটি নবআবিস্কৃত বিষয় বেদআত। আর প্রতিটি বিদআত গোমরাহী।’’-সুনানে আবু দাউদ, হাদীস : ৪৬০৭; জামে তিরমিযী ৫/৪৩, হাদীস : ২৬৭৬; মুসনাদে আহমদ ৪/১২৬, হাদীস : ১৬৬৯২; সুনানে ইবনে মাজা, হাদীস : ৪২; সহীহ ইবনে হিববান, হাদীস : ৫ ।
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৪০
মেহেদী পরাগ বলেছেন: লেখক বলেছেন বলেয়ামার নামে মিথ্যাচার করলেন, কোথাও দেখাতে পারবেন আমি এগুলো বলেছি? আল্লাহ আপনার মাথায় অন্তত পিপরার সমান একটা মগজ দান করুন।
৯| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:২৩
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: : ঈদে মিলাদুন্নবি সা ও বেলাদত শরীক এবং দিনটির তাৎপর্য নিয়ে
ভ্রান্তদের জবাব
লেখক বলেছেন: নবীজীর জন্ম তারিখ নিয়ে মতভেদ নয় । প্রমান ।
এর জাওয়াব হলোঃ উলামায়ে সূ’দের উক্ত কথা কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ-এর খিলাফ হওয়ার কারণে কুফরী হয়েছে। কারণ কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ-এর নির্দেশ হলো যে, মতভেদ সম্পর্কিত বিষয় পালন বা আমল করা অবশ্যই ঠিক।
এ প্রসঙ্গে আল্লাহ্ পাক ইরশাদ করেন-
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُواْ أَطِيعُواْ اللّهَ وَأَطِيعُواْ الرَّسُولَ وَأُوْلِي الأَمْرِ مِنكُمْ فَإِن تَنَازَعْتُمْ فِي شَيْءٍ فَرُدُّوهُ إِلَى اللّهِ وَالرَّسُولِ.
অর্থ: “হে মু’মিনগণ! তোমরা আল্লাহ পাক- উনার ইতায়াত করো এবং হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম- উনার ইতায়াত করো এবং তোমাদের মধ্যে যারা উলিল আমর উনাদের ইতায়াত করো। অতঃপর যখন কোন বিষয়ে উলিল আমরগণের মাঝে ইখতিলাফ দেখতে পাবে তখন (সে বিষয়টি ফায়সালার জন্য) তোমরা আল্লাহ পাক এবং উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম- উনার দিকে প্রত্যাবর্তন করো অর্থাৎ যে উলিল-আমরের কুরআন-সুন্নাহ্র দলীল বেশি হবে উনারটিই গ্রহণ করো।” (সূরা নিসা, আয়াত শরীফ ৫৯)
প্রকাশ থাকে যে, ইখতিলাফ বা মতভেদ দুই রকমের হয়ে থাকে।
(১) শুধু হক্বের জন্য হক্ব তালাশীগণের ইখতিলাফ। যেমন- ঈমানের শর্ত হিসেবে কেউ উল্লেখ করেছেন,
التصديق باالجنان والاقرار باللسان.
অর্থ: “অন্তরে বিশ্বাস ও মৌখিক স্বীকৃতি।”
আবার কেউ উল্লেখিত দু’টি শর্তের সাথে তৃতীয় শর্ত হিসেবে
والعمل بالاركان.
অর্থ: “ফরযসমূহ আমল করা” উল্লেখ করেছেন।
অনুরূপ নামায, রোযা, হজ্জ, যাকাত ইত্যাদি প্রায় প্রতিটি বিষয় বা আমলের ক্ষেত্রে তার মাসয়ালা-মাসায়িল, হুকুম-আহকাম বর্ণনার ব্যাপারে ইখতিলাফ পরিলক্ষিত হয়।
এ প্রসঙ্গে কিতাবে বর্ণিত রয়েছে,
اختلاف العلماء رحمة.
অর্থ: “হক্কানী-রব্বানী আলিমগণের ইখতিলাফ রহমতের কারণ।”
যেমন- হক্কানী-রব্বানী আলিমগণ ইখতিলাফ করে হানাফী, মালিকী, শাফিয়ী, হাম্বলী- ৪টি মাযহাবকেই হক্ব বলে স্বীকার করে নিয়েছেন এবং এর উপরই উম্মতের ইজমা বা ঐক্যমত প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
(২) হক্ব তালাশীগণের সাথে নাহক্বপন্থীদের ইখতিলাফ বা মতবিরোধ। যেমন- হক্বপন্থীদের আক্বীদা হলো আল্লাহ পাক এক এবং অদ্বিতীয়। নূরে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি শেষ নবী ও রসূল। তিনি নূরের সৃষ্টি। তিনি ইলমের গইবের অধিকারী ইত্যাদি। কিন্তু এসবের বিপরীত হলো বাতিলপন্থীদের আক্বীদা। যেমন- তাদের কারো আক্বীদা হলো, আল্লাহ পাক তিনজন অর্থাৎ তারা ত্রিত্ববাদ বা তিন খোদায় বিশ্বাসী। নাঊযুবিল্লাহ! কারো আক্বীদা হলো- আল্লাহ পাক, উনার হাবীব শেষ নবী ও রসূল নন। নাঊযুবিল্লাহ। কারো আক্বীদা হলো, তিনি নূরের সৃষ্টি নন। নাঊযুবিল্লাহ! তিনি ইলমে গইবের অধিকারী নন। নাঊযুবিল্লাহ! ইত্যাদি।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, মতভেদ সম্পর্কিত বিষয় যদি পালন করা ঠিক না হয় তাহলে কি আল্লাহ পাক, আল্লাহ পাক উনার হাবীব, ঈমান-ইসলাম সব বাদ দিতে হবে? কস্মিনকালেও নয়। বরং আল্লাহ পাক যে নির্দেশ দিয়েছেন, যেখানে মতভেদ হবে সেখানে যে উলিল আমরের স্বপক্ষে কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ-এর দলীল বেশি হবে, উনারটিই গ্রহণ করতে হবে। সুতরাং, যে ব্যক্তি বলবে মতভেদপূর্ণ বিষয় পালন করা ঠিক নয়, সে ব্যক্তি নিঃসন্দেহে মুরতাদ ও কাফিরের অন্তর্ভুক্ত।
আর কোন বিষয়ে যখন একাধিক মত থাকবে তখন যেই মতটি অত্যধিক ছহীহ ও নির্ভরযোগ্য হবে তা আমল করতে হবে। মতভেদ আছে বলে, মূল বিষয়টির আমলই ছেড়ে দিতে হবে এ বক্তব্য চরম শ্রেণীর জাহিলদের উক্তি বৈ কিছুই নয়। এ বক্তব্যও কুরআন-সুন্নাহ’র সম্পূর্ণ বিপরীত ও কুফরীর শামিল।
স্মরণীয় যে, ১২ই রবীউল আউয়াল শরীফ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ-এর দিন। এটাই সবচেয়ে ছহীহ ও মশহূর মত।
যেমন, এ প্রসঙ্গে হাফিয আবূ বকর ইবনে আবী শায়বাহ ছহীহ সনদ সহকারে বর্ণনা করেছেন-
عن عفان عن سعيد بن مينا عن جابر وابن عباس رضى الله تعالى عنهما قالا ولد رسول الله صلى الله عليه وسلم عام الفيل يوم الاثنين الثانى عشر من شهر ربيع الاول.
অর্থ: “হযরত আফফান রহমতুল্লাহি আলাইহি হতে বর্ণিত। তিনি হযরত সাঈদ ইবনে মীনা রহমতুল্লাহি আলাইহি থেকে বর্ণনা করেছেন যে, হযরত জাবির ও হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমা বলেন, রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম- উনার বিলাদত শরীফ ‘হস্তি বাহিনী বর্ষের ১২ই রবীউল আউয়াল সোমবার শরীফ হয়েছিল।” (বুলুগুল আমানী শরহিল ফাতহির রব্বানী, আল বিদায়া ওয়ান্ নিহায়া)
উক্ত হাদীছ শরীফ বর্ণনার সনদের মধ্যে প্রথম বর্ণনাকারী হযরত আফফান রহমতুল্লাহি আলাইহি সম্পর্কে মুহাদ্দিছগণ বলেছেন,
“তিনি একজন উচ্চ পর্যায়ের নির্ভরযোগ্য ইমাম, প্রবল স্মরণশক্তি ও দৃঢ়প্রত্যয় সম্পন্ন ব্যক্তি।” (খুলাছাতুত্ তাহযীব)
“দ্বিতীয় বর্ণনাকারী সাঈদ ইবনে মীনা। তিনিও অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য।” (খুলাছাহ্,তাক্বরীব)
আর তৃতীয় হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এবং হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু। এ দু’জন উচ্চ পর্যায়ের ফক্বীহ ছাহাবীর বিশুদ্ধ সনদ সহকারে বর্ণনা থেকে প্রমাণিত হলো যে, “১২ই রবীউল আউয়াল শরীফ হচ্ছে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম- উনার পবিত্র বিলাদত দিবস।” এ ছহীহ ও নির্ভরযোগ্য বর্ণনার উপরই ইমামগণের ইজ্মা (ঐক্যমত) প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। (সীরাত-ই-হালবিয়াহ, যুরক্বানী আলাল মাওয়াহিব, মাসাবাতা বিস্ সুন্নাহ )
উপরোক্ত বিশুদ্ধ বর্ণনা মুতাবিক ১২ই রবীউল আউয়াল শরীফই হচ্ছে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম- উনার পবিত্র বিলাদত দিবস। এটাই ছহীহ ও মশহূর মত। এর বিপরীতে যেসব মত ঐতিহাসিকগণ থেকে বর্ণিত রয়েছে তা অনুমান ভিত্তিক ও দুর্বল। অতএব, তা আদৌ গ্রহণযোগ্য নয়।
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: তাই উজ্জ্বল প্রমানে বুঝানো উচিৎ এদের ধারনা কত টুকু ভ্রান্ত
মিলাদ আম্বিয়া আ এর সুন্নত
সুরা বাকারা ১২৯ আয়াত
হে প্রতিপালক আমাদের এবং প্রেরন কর তাদের মধ্য একজন রাছুল তাদেরই মধ্য থেকে ,যিনি তোমার আয়াত সমুহ তাদের নিকট তেলায়াত করবেন এবং তাদেরকে তোমার কিতাব ও পরিপক্ষ জ্ঞান দেবেন এবং তাদেরকে অতি পবিত্র করবেন নিশ্চয় তুমি পরাক্রম শালি , প্রজ্ঞাময় ।
অন্যান্য নবীদের দোয়া এটি
ইব্রাহিম আ এর দোয়া যে দরুদ আমরা নামাযে পাঠ করি
মুসা আ বললেন হে আল্লাহ আহমদ কে , আল্লাহর উত্তর আখেরি যামানার নবী
আমাকে সেই যামানার নবী বানানো হোক
আল্লাহ অসম্ভব সেই আহম্মদ সমস্ত নবীদের সর্দার
তাহলে তার উম্মত হওয়ায় সুযোগ দেওয়া হোক
আনাস রাদিয়াল্লাহু আ হইতে বর্ণীত
ইছা আ বললেন আমিই মনে হয় যামানার বড় প্যগম্বর আল্লাহ বললেন অহংকার ত্যাগ কর মহাম্মাদের উম্মতের একরাতের এবাদত তোমার কউমের সমান হবেনা
ইয়া রাছুলুল্লাহ আমাকে নবী না বানায়ে যদি তার উম্মত বানাতেন বড়ই ভাগ্যবান হইতাম , আল্লাহ তার ফরিয়াদ কবুল
করেছেন এবং আসমানে উটিয়ে রাখলেন আবার আসবেন উম্মত হিসাবে । তবছিরে কবির
আর আমরা উম্মত হয়ে তাকে চিনতে তার শান মান মর্যাদা নিয়ে প্রশ্ন তুলি , নাউযুবিল্লাহ
ফেরেস্তাদের ছুন্নত
দৈনিক ৭০ হাজার ফেরেস্তা নবীজীর রওজা মোবারকে রহমতের ফাকা বিস্তার করে পালা ক্রমে দরুদ ও ছালাম ভেজে আনন্দের সহিত মিছিল সহকারে , যে ফেরেস্তা গন একবার সুযোগ পায় ২য় বার সে কিয়ামত পর্যন্ত সুযোগ পাবেনা ।
অতপর কিয়ামতের পর আনন্দ মিছিলের মাধ্যমে তাকে আল্লাহর ডান পাঁশে সম্মানিত আসনে বসানো হবে ।
মেশকাত শরিফ একাদশ জিলদে ৭৬/৭৭ পৃষ্টা ৫৭০৩ এর ১২ ন্নগ হাদিস
মিলাদ শরিফ সাহাবা কেরামের ছুন্নত
আন্নেয়ামুল কুব্রা হাদিস সংকলন থেকে । উপরে সাহাবাদের ছুন্নত ও তাদের মহান বানি সন্নেবেশিত করা হল ।
আল্লাহ হেদায়েত দিন আমিন ।
লেখক বলেছেন: ইরুল কুরুন হচ্ছে পর্যায়ক্রমে ছাহাবী, তাবিয়ী ও তাবি’ তাবিয়ীনগণের যুগ। আর উক্ত তিন যুগের প্রথম যুগই হচ্ছে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ উনাদের যুগ এবং সে যুগেই ‘ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ উদযাপিত হয়েছে। সুবহানাল্লাহ!
যেমন এ প্রসঙ্গে হাদীছ শরীফ-এ বর্ণিত রয়েছে-
عن ابى الدرداء رضى الله تعالى عنه انه مر مع النبى صلى الله عليه وسلم الى بيت عامر الانصارى وكان يعلم وقائع ولادته صلى الله عليه وسلم لا بنائه وعشيرته ويقول هذا اليوم هذا اليوم فقال عليه الصلوة والسلام ان الله فتح لك ابواب الرحمة والملائكة كلهم يستغفرون لك من فعل فعلك نجى نجتك.
অর্থ: হযরত আবূ দারদা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত আছে যে, একদা তিনি হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে হযরত আমির আনছারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার গৃহে উপস্থিত হয়ে দেখতে পেলেন যে, তিনি উনার সন্তান-সন্তানাদি এবং আত্মীয়-স্বজন, জ্ঞাতি-গোষ্ঠী, পাড়া-প্রতিবেশীদেরকে নিয়ে হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করে বিলাদত শরীফ-এর ঘটনাসমূহ শুনাচ্ছেন এবং বলছেন, এই দিবস অর্থাৎ এই দিবসে রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যমীনে তাশরীফ এনেছেন। এমন সময় হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তথায় উপস্থিত হলেন। (তিনি যখন উপস্থিত হলেন সমবেত লোকজন দাঁড়িয়ে উনাকে সালাম পেশ করতঃ অভ্যর্থনা বা স্বাগত জানিয়ে আসনে বসালেন।) তিনি লোকজনের মীলাদ শরীফ-এর অনুষ্ঠান এবং বিলাদত শরীফ-এর কারণে খুশি প্রকাশ করতে দেখে উনাদেরকে উদ্দেশ্য করে বললেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা তোমাদের জন্য রহমতের দরজা উমুক্ত করেছেন এবং সমস্ত ফেরেশতা তোমাদের জন্য মাগফিরাত তথা ক্ষমা প্রার্থনা করছেন এবং যে কেউ তোমাদের মত এরূপ কাজ করবে, তোমাদের মত উনারাও রহমত ও মাগফিরাত লাভ করবে এবং নাজাত লাভ করবে। সুবহানাল্লাহ! (কিতাবুত তানবীর ফী মাওলিদিল বাশীর ওয়ান নাযীর, সুবুলুল হুদা ফী মাওলিদে মুস্তফা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, হাক্বীক্বতে মুহম্মদী ও মীলাদে আহমদী পৃষ্ঠা- ৩৫৫)
হাদীছ শরীফ-এ আরো বর্ণিত রয়েছে-
عن ابن عباس رضى الله تعالى عنهما انه كان يحدث ذات يوم فى بيته وقائع ولادته صلى الله عليه وسلم لقوم فيستبشرون ويحمدون الله ويصلون عليه صلى الله عليه وسلم فاذا جاء النبى صلى الله عليه وسلم قال حلت لكم شفاعتى.
অর্থ: হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত আছে যে, তিনি একদা উনার নিজ গৃহে সমবেত ছাহাবীগণকে আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ-এর ঘটনাসমূহ শুনাচ্ছিলেন। এতে শ্রবণকারীগণ আনন্দ ও খুশি প্রকাশ করছিলেন এবং আল্লাহ পাক উনার প্রশংসা তথা তাসবীহ-তাহলীল পাঠ করছিলেন এবং আল্লাহ পাক-উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শানে ছলাত-সালাম (দুরূদ শরীফ) পাঠ করছিলেন। এমন সময় হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সেখানে উপস্থিত হলেন। (তিনি যখন উপস্থিত হলেন সমবেত লোকজন দাঁড়িয়ে উনাকে সালাম পেশ করতঃ অভ্যর্থনা বা স্বাগত জানিয়ে আসনে বসালেন।) তিনি লোকজনের মীলাদ শরীফ-এর অনুষ্ঠান এবং বিলাদত শরীফ-এর কারণে খুশি প্রকাশ করতে দেখে উনাদেরকে উদ্দেশ্য করে বললেন, তোমাদের জন্য আমার শাফায়াত ওয়াজিব। (কিতাবুত তানবীর ফী মাওলিদিল বাশীর ওয়ান নাযীর, সুবুলুল হুদা ফী মাওলিদে মুস্তফা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, হাক্বীক্বতে মুহম্মদী ও মীলাদে আহমদী পৃষ্ঠা-৩৫৫)
অতএব প্রমাণিত হলো যে, আল্লাহ পাক- উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার যামানাতেই অর্থাৎ খইরুল কুরুনের প্রথম যুগেই হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ ‘ঈদে মীলানদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ উপলক্ষে মাহফিল করেছেন এবং সে মাহফিলে স্বয়ং আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপস্থিত হয়ে ‘ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ উদযাপনকারীগণকে রহমত, মাগফিরাত, নাজাত ও শাফায়াত লাভের সুসংবাদ দান করেছেন। সুবহানাল্লাহ! শুধু তাই নয়, ক্বিয়ামত পর্যন্ত যারা ‘ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ উপলক্ষে মাহফিল করবে উনাদের জন্যেও একই সুসংবাদ দান করেছেন। সুবহানাল্লাহ!
অতএব, ‘খইরুল কুরুনের মধ্যে কেউ এমন কোন ঈদ, উৎসব পালন করেননি’ উলামায়ে সূ’দের এ কথা সম্পূর্ণরূপে মিথ্যা প্রতিপন্ন হলো এবং সাথে সাথে তাদের জিহালতীও পরিস্ফুটিত হলো।
উল্লেখ্য, কোন আমল খইরুল কুরুনের মধ্যে না থাকলে যে তা পরিত্যাজ্য হবে এ কথা সম্পূর্ণরূপে অশুদ্ধ ও কুরআন-সুন্নাহ’র খিলাফ। বরং কোন আমল গ্রহণীয় কিংবা বর্জনীয় হওয়ার জন্য খইরুল কুরুন শর্ত নয়। শর্ত হচ্ছে সে আমল কুরআন-সুন্নাহ সম্মত কি না? যদি কুরআন-সুন্নাহ সম্মত হয় তাহলে তা গ্রহণীয়। আর যদি কুরআন-সুন্নাহ সম্মত না হয় তবে তা বর্জনীয় বা পরিত্যাজ্য।
যেমন এ প্রসঙ্গে হাদীছ শরীফ-এ বর্ণিত রয়েছে-
عن جرير رضى الله تعالى عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم من سن فى الاسلام سنة حسنة فله اجرها واجر من عمل بها من بعده من غيره ان ينقص من اجرهم شىء .
অথ: হযরত জারীর ইবনে আব্দুল্লাহ বাজালী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বর্ণনা করেন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি দ্বীন ইসলামে কোন উত্তম বিষয় বা আমলের প্রচলন করলো, তার জন্য প্রতিদান বা ছওয়াব রয়েছে এবং তার পরে যারা এই আমল করবে তাদের জন্য ছওয়াব বা প্রতিদান রয়েছে, অথচ এতে তাদের ছওয়াবের কোন কমতি করা হবে না।’ (মুসলিম, মিশকাত)
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৫০
লেখক বলেছেন:
সহীহ হাদীসে রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আপন সুন্নাতের পাশাপাশি খুলাফায়ে রাশেদীনের সুন্নতকে অনুসরণ করার এবং তাকে মজবুতভাবে অবলম্বন করার আদেশ করেছেন। ইরশাদ করেছেন-
انه من يعش منكم بعدي فسيرى اختلافا كثيرا، فعليكم بسنتي وسنة الخلفاء الراشدين المهديين، تمسكوا بها وعضوا عليها بالنواجذ ... وإياكم ومحدثات الأمور، فإن كل محدثة بدعة وكل بدعة ضلالة.
‘‘মনে রেখো! আমার পরে তোমাদের যারা জীবিত থাকবে তারা বহু মতানৈক্য দেখতে পাবে। তখন আমার সুন্নত ও আমার হেদায়াতপ্রাপ্ত খলীফাগণের সুন্নতকে আকড়ে রাখবে। একে অবলম্বন করবে এবং মাড়ির দাঁত দিয়ে কামড়ে রাখবে ... এবং তোমরা (ধর্মীয় বিষয়ের) নবআবিস্কৃত বিষয়াদি থেকে খুব সতর্কতার সাথে বেuঁচ থাকবে। কেননা প্রতিটি নবআবিস্কৃত বিষয় বেদআত। আর প্রতিটি বিদআত গোমরাহী।’’-সুনানে আবু দাউদ, হাদীস : ৪৬০৭; জামে তিরমিযী ৫/৪৩, হাদীস : ২৬৭৬; মুসনাদে আহমদ ৪/১২৬, হাদীস : ১৬৬৯২; সুনানে ইবনে মাজা, হাদীস : ৪২; সহীহ ইবনে হিববান, হাদীস : ৫ ।
১০| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:২৭
মহাজাগতিক মুসাফির বলেছেন:
জামিল হাসান বলেছেন: একমাত্র কাদিয়ানিরা বুখারি মুসলিম শরীফকে মানতে চায় না ।
ষড়যন্ত্র বহুমাত্রিক।
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৪২
মেহেদী পরাগ বলেছেন: চোখ বন্ধ করে নিজের ঈমান ঠিক রেখে মুখ গুজে পড়ে থাকুন, তাহলে অসীমমাত্রিক ষড়যন্ত্রেও আপনের কিছু হবেনা, শুধু বর্তমানের অন্ধ বোবা কালাই থেকে যাবেন।
১১| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪০
রাতুলবিডি২ বলেছেন: You are the only wise person in the billion Muslim?
Anybody understand like you ???
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৪৬
মেহেদী পরাগ বলেছেন: আমি না, মহান মহান সুন্নি স্কলাররা এসব বলেছেন। আর আল্লাহ বলেছেন দুনিয়ার বেশীরভাগ মানুষই ভুল, অল্প মানুষই ঠিক। বিলিওন মুসলিমের ক্ষত্রেও সেটাই সত্য।
নাস্তিকদের পোস্টেতো যুক্তি তর্ক নিয়ে ইসলামের পক্ষে দাড়ান। এখন যুক্তি না পেয়ে আর কিছু বলার নাই? মুরোদ থাকলে পয়েন্ট বাই পয়েন্ট আমাকে ভুল প্রমাণ করে দেখান? চ্যালেঞ্জ রইল।
১২| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:১২
মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: ফলো করছি..........
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৪৬
মেহেদী পরাগ বলেছেন: লক্ষ করেছি। ধন্যবাদ। সাথেই থাকুন।
১৩| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৫১
আশরাফ মাহমুদ মুন্না বলেছেন: .
বাংলাদেশে সর্বপ্রথম বোখারী শরীফের হাদীছ নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করেছিলেন মরহুম মাওলানা আকরাম খাঁ। তিনি ছিলেন বিখ্যাত সাংবাদিক। মানিক মিয়ার মতোই প্রথম সারির সাংবাদিক। তবে তিনি কোরআনের তাফসিরও করেছিলেন। ইসলাম নিয়ে অনেক প্রবন্ধ, বই লিখেছিলেন। কিন্তু মূল ধারার আলেম সমাজে তিনি ঠাই পান নাই। কারণ ঐ একটি। অতি উৎসাহ। সিহাহ সিত্তাহ নিয়ে বৈপ্লবিক সমালোচনা। দৃষ্টি আকর্ষণের প্রচেষ্টা। এ যেন তাসলিম নাছরিন, হু. আজাদের ইসলামী সংস্করণ।
হু. আজাদের একটি পোষ্ট সামুতে ষ্টিকি হয়েছিলো। চরম অপদস্থ হয়ে পোষ্ট স্টিকি থেকে সরিয়ে নিতে হয়েছে। আর আকরাম খাঁ সাংবাদিক হিসেবে ঠাই পেয়েছে। ইসলামিক আলেস হিসেবে তার কোন স্থান নেই। আশা করি কী বোঝাতে চাচ্ছি বুঝে ফেলেছেন।
সামুতে এসব নিয়ে সমাধান কেউ দিতে পারবে না, যদি সেরকম কিছু অসংগতি থেকে থাকে। তাই এসব এখানে লেখা মানে বাতাসে তলোয়ার চালানো।
আপনার ব্যক্তিগত জিজ্ঞাসু মন থাকলে কোন স্কলার এর সাথে আলাপ করতে পারতেন। সামু হচ্ছে নাস্তিক্য পরিচালিত আওয়ামী লীগের প্রমোটর। এখানে ঐ সব আলোচনা করে আপনি নিজে কুখ্যাতি পাবেন। আর সাথে সাথে নাস্তিকদের পুলকিত করলেন।
সাধারণ ভাবে ধর্ম পালন করতে বিতর্কিত বিষয়/জটিল বিষয় গুলোর প্রয়োজন হয় না। কিছু জিনিষ থাকে স্কলারদের জন্য।
যেমন, কোরআনে দু'ধরণের আয়াত আছে। মুহকামাত ও মুতাশাবেহাত। মুহকামাত হচ্ছে সাধারণ ধর্ম পালনের জন্য। আর মুতাশাবেহাত হচ্ছে স্কলারদের জন্য। যাদের মনে বক্রতা (আপনার কাছে কিউরিসিটি হতে পারে) আছে, তারাই ঐসব নিয়ে ঘাটাঘাটি করবে। তা-ও সামু'র মতো বিশ্রী একটা জায়গায়।
যেখানে সিন্ডিকেটবাজী সহ নানান অপকর্ম হয়।
সবশেষ বলবো - আপনার এই আলোচনা আপনার কোন উপকার হবেই না, তদুপরি, সামু'র ইসলামিক কমিউনিটি (ক্ষুদ্র হলেও) আপনি কালার্ড্ হয়ে যাবেন। হুমায়ুন আজাদ, তাসলিমার মতো।
যে জিনিষ স্কলারদের জন্য তা' স্কলারদের জন্য ছেড়ে দিন। খুব বেশী কৌতুহল থাকলে ব্যক্তিগতভাবে অনুসন্ধান চালান।
তবে সাধারণ ধর্ম পালনের জন্য ঐ সব মোটেই প্রয়োজন নেই।
এ তর্ক এখানেই সমাপ্ত হওয়া উচিৎ।
ধন্যবাদ।
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:২০
মেহেদী পরাগ বলেছেন: আপনি ভালভাবে আলোচনা করেছেন বলে আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ। প্রতিটি মানুষের মাঝেই মতপার্থক্য আছে। সবারই উচিত সেটাকে সম্মান জানিয়েই আলোচনা করা। ধর্মে লুকোচুরির কিছু নেই। আপনি বারেবার আলোচনা সমাপ্ত করার কথা কেন বলছেন? আমি ভুল বলতেই পারি, যদি বলেই থাকি তবে আমার ভুলটা ধরিয়ে দিলেই আমি খুশি হয়ে নিজেই মেনে নিব। কিন্তু ভুল না ধরিয়ে আপনি আপনার মত তো আমার উপর জোড় করে চাপিয়ে দিতে পারেন না।
হুমায়ুন আজাদ, তাসলিমারা ছিলেন নাস্তিক। আমি সেটা নই। কালারড হব বলে কি আমি আমার নিজের মনের কথা বলতে পারবনা?
সাধারণ ভাবে ধর্ম পালন করলে কত অসুবিধা হয় সেটা এই পোস্টের ৩নং কমেন্টের উত্তরে একটা লিঙ্ক দিয়েছি সেখানে পাবেন। সেখানে বিস্তারিত লিখেছি। এগুলো বুঝতে পারবেন সমাজের দিকে তাকালেই। মুসলিম হবার পরেও আমাদের সমাজ এত জঘন্য কেন এর পিছনে এই হাদীসের ব্যাপক ভূমিকা রয়েছে। আমি এই সমাজ নিয়েই বাস করি, তাই সামুতেই এসব নিয়ে লিখার উপযুক্ত জায়গা। হাজার বছর ধরে স্কলাররা এর সমাধান দিতে ব্যার্থ। নাহলে দিন দিন সমাজের অধপতনের কারণ কি?
আমি মনে করি কোরান পড়লে মানুষ প্রকৃত ধার্মিক হতে পারবে। লক্ষ করে দেখবেন বাংলাদেশের অনেক মুসলিম অনেক ধর্ম কর্ম করে, কিন্তু মানুষ হিসেবে এরা খুবই মিথ্যাবাদী ও দুর্নীতিপরায়ন। এর পিছনে হাদীসের ভূমিকা ব্যাপক। কোরানের আদর্শে এইসবের ঠাই নাই।
১৪| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:২৪
জামিল হাসান বলেছেন: নিজের পরিচয় প্রকাশ করে দিলেন যাক সন্দেহ মুক্ত হলাম ।
২১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:৫৯
মেহেদী পরাগ বলেছেন: আমার লেখা পড়লে শিয়াদের খুশি হবার কোন কারণ নেই।
১৫| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:২৮
আশরাফ মাহমুদ মুন্না বলেছেন: .
মুসলিম হবার পরেও আমাদের সমাজ এত জঘন্য কেন ?
এজন্যই আপনাকে ইসলামিক এসকেটলজি সম্পর্কে জানতে বলেছি। এ ইতিহাস অনেক দীর্ঘ। তা' কীভাবে?, তা' নিয়ে ১ বছর পর আপনি আমার সাথে আলাপ করবেন। এই এক বছর পুরো ইমরান নযর হোসেন স্টাডি করেন। কেন আমাদের সমাজসহ অন্যান্য দেশের মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ট অঞ্চল এত কলুষিত, নোংরা। দেখবেন আপনার কাছে পরিষ্কার হয়ে উঠবে। দরদ ভরা মন উথলে উঠবে।
আরও জানবেন আমাদের সমাজ, রাজনীতি, অর্থব্যবস্থা, সংষ্কৃতি কাদের দ্বারা, কেন এবং কীভাবে কলুষিত হয়েছে, নষ্টভ্রষ্ট হয়েছে?
এক বছর পর দেখা হবে।
ধন্যবাদ।
২১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:১৩
মেহেদী পরাগ বলেছেন: আমি অস্বীকার করিনা যে পশ্চিমাদের কারণে আমাদের অনেক দূরবস্থা। সারা বিশ্বের অর্থনীতি নিয়ন্ত্রন করছে জায়নিস্টরা। মুসলিমদের সবচেয়ে বড় শত্রু জায়নিস্টরা। ইলুমিনাটি গ্রুপেরও ব্যাপক প্রভাব আছে আর এরাই আন্তর্জাতিক মিডিয়া নিয়ন্ত্রন করে। এগুলো সম্পর্কে আমি ভাল করেই জানি, আর খুব একটা অস্বীকারও করিনা।
কিন্তু এগুলোর কারণেই সমগ্র হাদীস শাস্ত্র নির্ভুল হয়ে যায়না। জ্ঞান বিজ্ঞান প্রযুক্তি কোথায় এগিয়ে গিয়েছে আর আপনারা পড়ে আছেন হাদীসের আজগুবী গল্প নিয়ে! এক কালে জ্ঞান বিজ্ঞানের ধারক ছিল মুসলিমরা, তারাই জ্ঞানের চর্চা করত বেশী। ইমাম গাজ্জালীর মত কিছু লোকের কারণে সেই চর্চা বাধাগ্রস্থ হয়ে আজ এই দুরবস্থা।
আশ পাশে না দৌড়ে মূল পয়েন্টে আলোচনা করেন। জ্ঞান বিজ্ঞানে নিজেরা যোগ্য হয়ে উঠলে ইলুমিনাটি বা জায়নিস্টদের বাপের সাধ্য নাই কারও ক্ষতি করে। তুরস্ক, মালয়েশিয়াকে কে উদাহরন হিসেবে দেখানো যায়। এখানে মোল্লাতন্ত্র নাই।
বৈশ্বিক প্রভাব বাদেই বাংলাদেশের ভিতরের সামাজিক অবস্থা খুবই খারাপ আকার ধারণ করেছে। জায়নিস্টদের প্রভাবে আমাদের দেশ গরীব এটাকে সত্য ধরে নিলেও আপনি কি বলতে পারবেন যে শরীয়া আইন খুব ভাল জিনিস? এখানে তো কোরান হাদীস ব্যপক চর্চা করা হয়, তবে সামাজিক উন্নতি হয়না কেন? কোন জায়নিস্ট এসে কি কাউকে কোরান হাদীস চর্চায় বাধা দিচ্ছে?
হাদীসে নির্ভর ভুল ইসলাম পালন করা বন্ধ না করতে পারলে এই লোকের নৈতিকতায় বিষেষ পরিবর্তন আসবেনা।
১৬| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৪৬
আশরাফ মাহমুদ মুন্না বলেছেন: .
আর মুসলিমদের নৈতিক অবস্থা, এবং, সাধারণভাবে বিশ্বব্যাপী সাধারণ মানুষের নৈতিক স্খলন কেন এত উত্তরোত্তর নিম্নগামী, তা' বুঝতে হলে "সিক্রেট সোসাইটি" সম্পর্কে জ্ঞানও অপরিহার্য। এ জন্য ৬ মাস বরাদ্ধ রাখেন। সিক্রেট সোসাইটি সম্পর্কে জ্ঞান ছাড়া বর্তমান বিশ্ব সমাজ বোঝা যাবে না।
ধন্যবাদ।
২১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:১৮
মেহেদী পরাগ বলেছেন: সিক্রেট সোসাইটি সম্পর্কে বেশ ভালই জানি। প্রশ্ন করে দেখতে পারেন। আপনার মন্তব্য পরে মজা পাচ্ছি। কোথাকার পানি কোথায় নিয়ে যান! সিক্রেট সোসাইটি যাই করুক মানুষের দৈনন্দিন জীবনের নৈতিকতা কেড়ে নিতে পারে? ভুল হাদীস সেটা পারে।
১৭| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:১৮
আশরাফ মাহমুদ মুন্না বলেছেন: .
আরেকটি তথ্য,
সিক্রেট সোসাইটি দুই অংশে বিভক্ত। একটা প্রাচীন সিক্রেট সোসাইটি। আরেকটি আধুনিক। আমার মতে আধুনিক সিক্রেট সোসাইটির জন্ম রথচাইল্ড কর্তৃক প্রতারণার "ব্যাংক অব ইংল্যান্ড" দখল করার মাধ্যমে। তারপর "কয়েকজন মার্কিন প্রেসিডেন্টকে হত্যা করে ফেডারেল রিজার্ভ সিষ্টেম/ব্যাংক প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে।
সাদা কথায়, সিক্রেট সোসাইটি মানে "বিশ্ব এলিট" গোষ্টি। বিশ্ব ব্যাংকিং ডাইনেষ্টির মালিক। বিশ্ব ব্যাংক, আই.এম.এফ এর মালিক। সি.এফ.আর এর মালিক। ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক এর মালিক।
দুনিয়া তোলপাড় হয়ে যাচ্ছে, মার্কিন ডলারের পতনের দ্বারপ্রান্তে এসে ঠেকেছে। আর আপনি বোখারী শরীফের হাদীছ নিয়ে নিরর্থক ঝড় তুলছেন।
আপনি যা' করছেন, তা' নিয়ে হাদীছে ভবিষ্যতবানী রয়েছে। কেয়ামতে আগে এক শ্রেণীর মানুষ হাদীছ নিয়ে টানাটানি করবে। হাদীছের উপর মানুষের বিশ্বাস শিথিল করার সুপরিকল্পিত প্রচেষ্টা চলবে। হাদীছ ঘাটাঘাটি করলেই পাবেন।
প্রচুর জাল হাদীছ সৃষ্টি করেছে কারা জানেন? ইহুদীরা। কারণ তার জানে কোরান জাল। করা যাবে না। কারণ, তার জিম্মা খোদ আল্লাহতায়ালা নিয়েছেন।
ধন্যবাদ।
২১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:২৪
মেহেদী পরাগ বলেছেন: ভবিষ্যতবানীটার রেফারেন্স দিয়েন। আর যা ভুল তা ভুলই। কমন সেন্স খাটালেই বুঝা যায়। পৃথিবী মাছের পিঠে দাড়িয়ে আছে, বা সূর্য রাতের বেলায় আল্লাহর আরশের নিচে যায়, বা শয়তানের শিং এর মাঝে সূর্য অস্ত যায়, বা সন্তানের সেক্স নির্ধারণ হয় গর্ভধারনের ৪০ দিন পর, বাবার বীর্জ বেশি হলে সন্তান ছেলে অন্যথায় মেয়ে এইসব হাস্যকর হাদীস জায়নিস্টদের উদাহরণ দিয়ে ছাগল ছাড়া কাউকে বিশ্বাস করাতে পারবেন না। এই হাস্যকর হাদীসের উপর বিশ্বাস শিথিল করানোর জন্য সুপরিকল্পনার কোন প্রয়োজন নেই, কাউকে হাদীসটি পড়তে দিলেই সে আর হাদীসটি বিশ্বাস করবেনা।
১৮| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:২৮
আশরাফ মাহমুদ মুন্না বলেছেন: ..
আপনার প্রতিমন্তব্যগুলো আবার পড়ে দেখলাম। মারাত্মক দু'টি জিনিষ চোখে পড়লো। প্রথমে হালকা চোখ বুলানোর কারণে চোখে পড়েনি। আপনার প্রতি মন্তব্যগুলো নিম্নরূপঃ
QUOTE:
মুসলিম হবার পরেও আমাদের সমাজ এত জঘন্য কেন এর পিছনে এই হাদীসের ব্যাপক ভূমিকা রয়েছে।
UNQUOTE:
QUOTE:
আমি মনে করি কোরান পড়লে মানুষ প্রকৃত ধার্মিক হতে পারবে। লক্ষ করে দেখবেন বাংলাদেশের অনেক মুসলিম অনেক ধর্ম কর্ম করে, কিন্তু মানুষ হিসেবে এরা খুবই মিথ্যাবাদী ও দুর্নীতিপরায়ন। এর পিছনে হাদীসের ভূমিকা ব্যাপক। কোরানের আদর্শে এইসবের ঠাই নাই।
UNQUOTE:
আমি হতভম্ভ। আপনি শয়তান ম.জ. বাশার নয় তো?
সে হাদীছের বিরুদ্ধে লেখালেখি করেছিলো।
সরি, আমি আপনাকে মার্ক করে রাখলাম। এবং এই পোষ্ট সেভ করে রাখলাম।
আমি নিশ্চিত, আপনি একটি ছদ্মবেশী। পবিত্র ইসলাম, মুহাম্মদ সা. এর শত্রু পক্ষ। "কোরান অনলি" নামক জায়নিষ্ট গেমের গুঁটি হিসেবে কাজ করছেন!!!
২১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:৩১
মেহেদী পরাগ বলেছেন: ভুলভাবে নিশ্চিত হয়েছেন। আমি কোরান অনলী না। হাদীসের দরকার আছে বলেই মনে করি। তবে হাদীসের থরো যাচাই হওয়া প্রয়োজন। ইসনাদ (চেইন অব নেরেটর) দিয়ে নয় মাতন (বর্ণনা) দিয়ে হাদীস যাচাই করা উচিত কোরানের আলোকে।
মার্ক করে রাখেন, কোন সমস্যা নেই। ম জ বাসার আমি নই। আমার নিজ পরিচয়েই ব্লগিং করি। অনেকে ব্যক্তিগত ভাবেই চেনে আমাকে।
পারলে আমার পোস্টে কি ভুল বা মিথ্যা তথ্য দিয়েছি সেটা ধরিয়ে দিয়ে যাবেন। অযথা ভিন্নদিকে আলোচনা টানাটানি করার কোন মানে নেই। এসব করে হাদীসের ভুল্ভ্রান্তি ঢেকে দেয়া যায় না। ধন্যবাদ।
১৯| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩২
আশরাফ মাহমুদ মুন্না বলেছেন: .
এখানে বোল্ডকৃত লাইনগুলো আপনার প্রতি-মন্তব্য থেকে কোট করাঃ বোল্ডবিহীন লাইনগুলো আমার প্রতিক্রিয়া/জবাব।
সিক্রেট সোসাইটি যাই করুক মানুষের দৈনন্দিন জীবনের নৈতিকতা কেড়ে নিতে পারে?
হা হা হা - আপনি সিক্রেট সোসাইটি পড়েন নি। পড়লে বোঝেন নি। সিক্রেট সোসাইটি সম্পর্কে আপনার জ্ঞান একটা বিরাট "শূন্য"।
ভবিষ্যতবানীটার রেফারেন্স দিয়েন।
আমার এত বড় সাহস, স্পর্ধা/ধৃষ্টতা নেই যে তর্কে জেতার জন্য নিজে বানিয়ে কিংবা যে-হাদীছ-নেই তা' কোট করবো। একটু কষ্ট করে নিজে খুঁজে নিন।
ইমাম গাজ্জালীর মত কিছু লোকের কারণে সেই চর্চা বাধাগ্রস্থ হয়ে আজ এই দুরবস্থা।
এ কথা যে বা যারা বলে তারা তারা হচ্ছে ঐ সব লোক যারা "এক্সপেরিমেন্টাল নলেজ"-কেই জ্ঞান অর্জনের একমাত্র মাধ্যম মনে করে, যার অনুসিদ্ধান্ত হচ্ছে "নাস্তিকতা"। আপনি কি কোন সময় নাস্তিক ছিলেন? যদি তা-ই হয়, সে জন্যই আপনার চিন্তা পদ্ধতির আগের অভ্যেস/রেশ রয়ে গেছে। রি-প্রোগ্রাম ইয়্যুর প্যাটার্ণ অব থট।
আপনি কি বলতে পারবেন যে শরীয়া আইন খুব ভাল জিনিস? এখানে তো কোরান হাদীস ব্যপক চর্চা করা হয়, তবে সামাজিক উন্নতি হয়না কেন? কোন জায়নিস্ট এসে কি কাউকে কোরান হাদীস চর্চায় বাধা দিচ্ছে?
আপনি ইসলাম বোঝেন নি। ইসলামে পুরোপুরি দাখিল হন নি। আপনাদের জন্যই আল্লাহ কোরানে একটা লাইন দিয়ে দিয়েছেন - "তোমরা পরিপূর্ণভাবে ইসলামে প্রবেশ করো" (আয়াত মনে নেই)।
তুরস্ক, মালয়েশিয়াকে কে উদাহরন হিসেবে দেখানো যায়। এখানে মোল্লাতন্ত্র নাই।
মোল্লাতন্ত্র কী জিনিষ ভাই? তা' কি ইসলামী খিলাফত? যদি তাই হয়ে থাকে, তা' কি আপনি মানেন না? প্রশ্ন রইলো।
তরস্ক?
..... তুরস্কের সামরিক বাহিনীর কমান্ড ষ্ট্রাকচার কা'র হাতে, জানেন কিছু? তুরস্ত, সউদি আরব এসব জায়নিষ্ট ব্লকভূক্ত। আর কামাল আতাতুর্ক ব্রিটিশ এজেন্ট। এ ব্যাপারে জানার জন্য ইমারান নযর হোসেন পড়ুন।
সবশেষে, বলতে চাই - হাদীছ সম্পর্কিত যে বিতর্ক আপনি তুলেছেন, তা' আপনার ক্ষমতার বাইরে। যে কাজ শেষ করতে পারবেন না, তাতে হাত দেয়া বোকামী ছাড়া কিছুই নয়। অনর্থক ব্লগে মন্তব্যের পর মন্তব্য দিয়ে লাভ নেই। ইসলামের লেভেল গায়ে লাগিয়ে ম.জ. বাশার খুব চেষ্টা করেছেন। দ্বিতীয় ম.জ. বাশার হতে যাবেন না। ব্লগে লাফালাফি না-করে ব্যক্তিগত অনুসন্ধান চালান। এখানে এ-সবের সমাধান কেউ দিতে পারবে না। কিছু নির্বোধ মুসলিমের হাদীছ সম্পর্কে বিরুপ ধারণাই সৃষ্টি হবে মাত্র। কাজের কাজ কিছুই হবে না। আপনারও ডিসক্রেডিট ছাড়া ক্রেডিট কিছুই হবে না।
সংক্ষিপ্ত জবাব দিতে হলো এ জন্য যে এসবের বিস্তারিত জবার দিতে গেলে পুরো একটা বই-ই হয়ে যাবে। ঐ সময় আমার হাতে নেই। যদি এগ্রি না-করেন, আপনার চিন্তায় আপনি থাকুন, আমার চিন্তায় আমি।
আমি নিশ্চিত আপনার-আমার ম্যাচুরিটির বিস্তর ফারাক আছে। ফারাক, তথ্য অবগতির। ফারাক, চিন্তার গভীরতার। ফারাক, বোঝার।
ধন্যবাদ।
২১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৩৯
মেহেদী পরাগ বলেছেন: শেষ লাইনে একটা ভাল কথা বলেছেন। আমাদের ম্যাচুরিটি ও চিন্তা চেতনায় বিস্তর ফারাক আছে। সেটা আসলে সকল মানুষের মাঝেই আছে। সেজন্যই দাবী করার চেয়ে যুক্তির প্রদর্শন প্রয়োজন। পবিত্র কোরানে যতটানা দাবী আছে তার চেয়ে যুক্তিই বেশী আছে। নবী (সা) কেও আল্লাহ যুক্তি দিয়েই ধর্ম প্রচার করতে বলেছেন। আপনি কোন যুক্তি যুক্তি না দিয়ে শুধু দাবীই করে গেলেন, আমার যুক্তিগুলো ছুয়েও দেখলেননা। ম্যাচুরুটির ফারাক তো আছেই! ধন্যবাদ।
২০| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫২
উযায়র বলেছেন: ratulbd / ratulbd2 my friend can not comment or post on the first page . He likes to talk with you on this issue. You can talk if you like :
Click This Link
২১| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:০০
অন্যরকম একজন বলেছেন: দেখলেন তো?শিয়ার পর এখন কাদিয়ানি,দেওবন্দি,জায়োনিস্ট আরও কত কী টাইটেল জুটছে কপালে।বাদ থাকলো কী?জামাতি?ছাগু?নাস্তিক?আপনি তো কোরানিস্টদের মত হাদিস পুরোপুরি উড়িয়ে দিতেও বলেননি।তাতেই এই অবস্থা?ভাই,আমারও ত একই প্রশ্ন।যদি ধরেও নিই যে ইমাম বুখারি পুরোপুরি নির্ভুল হাদিস সংকলন করেছিলেন,এটা কিভাবে নিশ্চিত হব যে সেই ভার্শন অবিকৃত অবস্থায় আমাদের হাতে এখন এসে পৌছচ্ছে?আল্লাহ তো কোরানের রক্ষনাবেক্ষন করবেন বলে কোরানেই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন কিন্ত হাদিসের ব্যপারে ত বলেননি কোনটা শুদ্ধ আর কোনটা নয়।যদি আমি ভুল না জেনে থাকি তাহলে ইমাম মালিকের 'মুয়াত্যা' হল পৃথিবীর সর্বপ্রথম হাদিস সংকলন।অথচ 'সিহাহ সিত্তাহে' এই মুয়াত্যার স্থান নেই কেন?আমি তো আপনার মত এত পড়শোনা করিনি।কিন্ত আমিও অনেক হাদিস পড়ামাত্রই বুঝতে পারি হয় হাদিসগুলোর বক্তব্য আমাদের কাছে আংশিক এসেছে নয়ত পুরোই ভুল এসেছে।হাদিস মানতে তো আমার কোন সমস্যা নেই।কোরানে স্পষ্টভাবে নিষেধ না থাকলেও হাদিস মাস্টারবেশন নিষেধ করেছে।আমি নিঃসঙ্কোচে মেনে নিয়েছি এটা সত্য।কারন,ওই কাজের মধ্যে ভাল কিছু আসলেই খুব কম আছে,প্লাস সুরা নুরে 'অভাবমুক্ত না হওয়া পর্যন্ত সংযম পালন' করার যে আদেশ তার সাথেও এই নিষেধাজ্ঞা অনেকটাই মিলে যায়।কাজের লোকদের সম অধিকার,বাবা-মায়ের প্রতি ভাল ব্যবহার ইত্যাদির যে আদেশ হাদিসে দেখা যায় তা তো সত্যিই সুন্দর।কিন্ত,এই হাদিস খুলেই যখন দেখি বিয়ে ছাড়াই যুদ্ধবন্দী নারীদের শারীরিকভাবে যথেচ্ছ ব্যবহারের বৈধতা দেওয়া হচ্ছে,মেয়েদের পিরিয়ডের সময় নামাজ রোজা করতে বারন করে আবার বলা হচ্ছে পিরিয়ডের সময় নামাজ রোজা ছেড়ে দেওয়া ' তোমাদের দ্বীনের ত্রুটি',এমনকি কোন কোন হাদিসে নারীকে বিবেচনাই করা হচ্ছে সেক্স অবজেক্ট হিসেবে,তখন ত এগুলো অন্ধের মত বিশ্বাস করা নির্লজ্জতা ছাড়া আর কিছুই মনে হয় না।কোরান যেখানে বলছে মানবতার কথা,সমতার কথা,সেখানে এগুলো ত কোরানের বানীর সাথে পুরোপুরি বেমানান।খেয়াল করেছেন,ডঃ আজাদ,তসলিমা থেকে শুরু করে হালের আসিফ মহিউদ্দিন পর্যন্ত সবাই যে আশকারা পাচ্ছে এইসব হাদিসগুলোর কারনে?দোষটা তাহলে কাদের?তাদের মত ছিদ্রান্বেষী নাস্তিকদের নাকি অসচেতন মুসলিমদের যারা জেনেশুনেও বিচার বিশ্লেষন না করে হাজার হাজার জাল হাদিস প্রোপাগেট করছি প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে?
২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৫৫
মেহেদী পরাগ বলেছেন: খুব সুন্দর একটা মন্তব্য করেছেন আপনি। এই ব্যাপারগুলো কিন্তু আমাদের প্রায় সকলেরই ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতায় আছে। সকলেই এসব জানে। তবু বেশীরভাগই মানেনা। অন্ধ বিশ্বাসের কোন অতল গহবরে থাকলে যে এগুলো চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়ার পরেও মানুষ বুঝতে পারেনা সেটা ভেবে মাঝে মাঝে অবাক হই। আসলে জ্ঞানীদের জন্য ইশারাই কাফি। আর সবকিছু বুঝতে বোকাদের একটু সময় লাগবেই। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
২২| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪১
জেনো বলেছেন: মানুষের প্রধান শত্রু শয়তান। অন্য কোন মানুষ যে ধর্মেরই হোক, শত্রু নয়। যাদের দেখি শত্রুতা করতে আল্লাহ্র কাছে প্রার্থনা তারা যেন শয়তানের প্ররোচনা থেকে বের হয়ে আসে।
লিখতে থাকুন।
ধন্যবাদ।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:৩৩
মেহেদী পরাগ বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ।
২৩| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:২০
অন্যরকম একজন বলেছেন: পরাগ ভাই দেখেন,এই লিঙ্কটা কিন্ত বলছে অন্য কথা।এই লিঙ্কের মতে ইমাম যুহলির সাথে ইমাম বুখারির মতবিরোধ হওয়ায় ইমাম মুসলিম ,ইমাম বুখারীর পক্ষ নেন। দেখুন।এদের সোরস কী তা কিছু লেখেনি।কি কনফিউজিং! Click This Link
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:৫৯
মেহেদী পরাগ বলেছেন: আসলে কনফিউশনের কিছু নেই। আমার এই পোস্টে ফাথ আল বারীর রেফারেন্স দেয়া হয়েছে। নিচের লাইনটা পোস্ট থেকে কপি পেস্ট করে দিলাম, একটু খেয়াল করুনঃ
এরপর থেকে সকলেই ইমাম বুখারীকে পরিত্যাগ করেছিলেন। ইমাম মুসলিম আর ইমাম বুখারীর হাদীস তার গ্রন্থে স্থান দিতেন না।
এর মানে, ইমাম যুহলি ইমাম বুখারীকে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একেবারেই পরিত্যাগ করেছিলান (পরবর্তী ঘটনা থেকেও এটা বুঝা যায়)
তবে ইমাম মুসলিম এর জন্য ইমাম বুখারীর শেষটা পরিত্যাগ করলেও শুরুটা পরিত্যাগ করা সম্ভব ছিলনা। কারণ ইমাম মুসলিমের বই মূলত বুখারীর কপি পেস্ট। বুখারীকে শুরু থেকেই পরিত্যাগ করলে ইমাম মুসলিমের নিজের বইটাও জলে যেত। নিজের গ্রন্থটি টিকিয়ে রাখতেই ইমাম মুসলিম বেশ বুদ্ধিদীপ্ত পদক্ষেপ নেন। তিনি বলেন যে তিনি নিরপেক্ষ ভূমিকা নিয়েছেন। অর্থাত, ওই ঘটনার পর তিনি ইমাম যুহলিকেও পরিত্যাগ করেছিলেন (তার হাদীস নেননি), আবার পাশাপাশি ইমাম বুখারীকেও পরিত্যাগ করেছিলেন (তার হাদীস নেননি), কিন্তু এই ঘটনার পূর্বে ইমাম বুখারী/যুহলির বলা হাদীসগুলো ঠিকই নিজের গ্রন্থে স্থান দিয়েছিলেন। এটাকেই ইমাম মুসলিম নিরপেক্ষ অবস্থান বলে দাবী করেছিলেন।
ফাথ আল বারী গ্রন্থে ইমাম আসকালানী ইমাম মুসলিমের এই নিরপেক্ষতার প্রশংসা করেছেন। আপনার দেয়া লিংকে এই তথাকথিত নিরপেক্ষতাকেই রং চং মাখিয়ে মিথ্যা তথ্য দিয়ে অন্যভাবে প্রকাশ করা হয়েছে।
২৪| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:১৩
রিফাত হোসেন বলেছেন: +++
এক্টা জিনিস দেখলাম যারা তর্কে যেতে চাইল আপ্নার সাথে তারা তো পোস্টের বিষয় নিয়ে কিছু বল্লনা!
সব কথা সাইড দিয়ে গেল!
আমি কি ভুল বুঝলাম.?
ট
তবে ব্লগার পরিবেশ সাহেব এর মন্তব্য মর্মাহত কর্ল
তার বিচার তো খারাপ হওয়ার কথা না . কিন্তু এই বার বিচার হীন মন্তব্য কর্ল। কারন সে মানুষ . যেমন ইমামগণ।
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:৫৪
মেহেদী পরাগ বলেছেন: আপনি আসল জিনিসটা বুঝতে পেরেছে। তর্কে না পারলেই সবাই আসে পাশে দৌঁড়ায় আর নাহয় গালাগালি করে। তাদের কাছে এর বিপরীতে যুক্তি থাকলে এখানে তা পেশ করতে তারা কার্পণ্য করতেন না।
আর পরিবেশ বন্ধু সাহেব হচ্ছেন সম্ভবত রাজারবাগী পীরের মুরীদ। তাদের বুদ্ধি সুদ্ধি একটু কমই আছে, ব্লগের সাধারণ মুসলিমদের কাছেই তারা দৌড়ানির উপর থাকে। তাদের যুক্তি প্রয়োগ ক্ষমতা শূণ্যের কোঠায়, অন্ধ বিশ্বাস নিয়েই আছে।
২৫| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:৫১
আধাঁরি অপ্সরা বলেছেন:
সবগুলো মন্তব্য পড়লাম। অদ্ভুত লাগে যখন মানুষ এত আধুনিক যুগেও যুক্তি তর্কের বাইরে অন্ধ-বিশ্বাসের মাধ্যমেই ধর্মের দিকে যেতে বলে। চোখ বন্ধ করে সব বিশ্বাস করাটাকেই ধর্ম মনে করে। আর চিন্তা ও মুক্ত বুদ্ধির চর্চাকে অধর্ম বলে! এভাবে কি আসলে প্রকৃত ধার্মিক হওয়া সম্ভব? সেটা কি আসলেই সম্ভব?? আমরা কি হতে পারছি? আল্লাহ আমাদের বিবেক বুদ্ধি দিয়েছেন। আল্লাহ বলেছেন যে কুরানে চিন্তাশীলদের জন্য নিদর্শণ রয়েছে, তাহলে তিনি কেন চিন্তাশীলদের কথাই উল্লেখ করেছেন? কেন বলেন নি চিন্তার উদ্রেকের প্রয়োজন নাই?
মন্তব্যে অনেকেই বলতে চান যে আপনার এই আলোচনার মাধ্যমে হিতে বিপরীত হবে। আমি একদমই সহমত নই। বরং আপনার আলোচনা নাস্তিকদের অনেক প্রশ্নের, অনেক সংশয়ের উত্তর দেয়।
নাস্তিকরা অধিকাংশ জাল হাদিস দেখিয়ে সেগুলোর বিষয়বস্তু নিয়ে ইসলাম কে প্রশ্নবিদ্ধ/রসিকতা/তামাশা করে। তারা বলে ইসলাম নাকি মানবতার কথা বলে? তাহলে দেখা মাত্র নাস্তিক হত্যা করা কিরকম মানবতা? আল্লাহ নাকি ক্ষমাশীল? তাহলে কেন চোরের শাস্তি হাত কেটে ফেলা হবে? এটা তো স্পস্ট বর্বরতা। জেনা করার শাস্তি কেন পাথর নিক্ষেপে মৃত্যুদন্ড? ইসলামে নাকি নারীকে সবচেয়ে বেশি সম্মান দেয়? তাহলে কেন নারীকে প্রহারের কথা বলে? আবার যুদ্ধবন্দীদের গণিমতের মাল বলে সহবতের কথা বলে? ইসলামে নারীদের পর্দা করতে বলে আবার পর্দা না করার উছিলায় এ্যাডাল্ট সাক্লিঙ্গের অনুমতি দেয়? ইসলাম নাকি শাশ্বত? কুরান নাকি বৈজ্ঞানিক? অথচ কত রকম হাস্যকর অবৈজ্ঞানিক কথা বার্তায় হাদিস ভরপুর! কেন? তারা প্রশ্নের পর প্রশ্ন করে। খেয়াল করলে দেখা যাবে তাদের কনফিউশান বেশিরভাগ (সিংহভাগ) ক্ষেত্রেই হাদিস নির্ভর, কুরান নির্ভর নয়।
এর একটই উত্তর, এবং যথেষ্ট যুক্তিযুক্ত, তর্কপোযোগী। আর তা হল হাদিসগুলো হয় জাল/বানোয়াট । অথবা নাস্তিকদের প্রশ্নই প্রকারান্তরে সত্যি। আমি অবশ্যই মনে করি প্রথমটি। কারন আসলেই এই হাদিসগুলোই অধিকাংশ স্বল্পসজ্ঞান অধিকারি নাস্তিক্যবাদ কিংবা আজ্ঞেয়বাদের জন্য দায়ী। অথচ এই হাদিস গুলো যথাযথ বিশ্লেষণ-বিয়োজনের মাধ্যমে অনেক অনেক সমস্যার সমাধান হওয়া সম্ভব।
যারা দেখেও দেখেনা, বুঝেও বোঝেনা তারা আসলে নিজেরা তো অজ্ঞানতার মধ্যে থাকতে চায়-চায়, আবার অন্যদেরও আলোর সন্ধানী হতে নিষেধ করে, যেখানে কুরানে তার উল্টো বলে!
ধন্যবাদ। লিখে যান।
১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪১
মেহেদী পরাগ বলেছেন: ইতিহাস বিজ্ঞানের জনক ইবনে খালদুন হাদিস বিষয়ে নিজের আপত্ত্বি জানিয়ে দাবি করেছিলেন, ইসনাদের (চেইন অব নেরেটর) বদলে মাতন বা বিষয়বস্তু বিচার করা হলে বহু হাদিসই টিকবেনা, নাই হয়ে যাবে। শরিয়ার হেফাজতকারী মোল্লারা সেই কথার দাম দেয়নাই কোনদিন।
২৬| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৭
আল-মুনতাজার বলেছেন: View this link
১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৮
মেহেদী পরাগ বলেছেন: শিয়া মতবাদও সমর্থন করার কিছু নাই। আল্লাহ প্রদত্ত বিবেক বুদ্দি খাটাতে চেষ্টা করেন। বিরোধীতার জন্যই বিরোধীতা নয়।
২৭| ৩০ শে জুন, ২০১৬ রাত ১২:৪৮
মিথ্যা ধংস কারি বলেছেন: আদ্দেক জ্ঞান রেখে কথা বলেন কেন ,ইমাম বুখারি রহ নিজে বলেছেন যে বলে আমি কুরান কে মাখলুক বলেছি সে কাজ্জাব ।
২৮| ৩০ শে জুন, ২০১৬ রাত ১২:৪৯
মিথ্যা ধংস কারি বলেছেন: কোরান সৃষ্টি নয় এটা ইমাম বুখারি রহ এবং আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত এর আকিদা ,মিথ্যা আর কত রটাবেন!!!!!
২৯| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ রাত ৩:৩৬
আমি কি বলেছেন:
"হাদীস সংকলনের ইতিহাসঃ শরীয়া আইন এর অনুপযোগিতা" এর সব পর্ব পড়ে আমার মাথায় শুধু একটা প্রশ্ন আসছে।
তাহলো; ইমাম আস্কালিন যদি ইমাম বুখারির হাদিসে জাল হাদিস খুঁজে তার যুক্তি দেখান। আবার তার বই "ফাথ আল বারী" থেকে তার ব্যাখ্যা বাদ দিয়ে বুখারির হাদিস সমূহ নিয়ে ১০ খণ্ডের বর্তমান হাদিস যা এখন আমাদের কাছে।
কে বা কারা এই হাদিস গুলার ব্যাখ্যা বাদ দিয়ে মিথ্যে জাল হাদিস সহ আমাদের কে উপহার দিয়েছে? কোন কারনে জাল হাদিস গুলি বাদ গেল না?
৩০| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ সকাল ৭:৩৫
টারজান০০০০৭ বলেছেন: আবাল আইছে পিএইসডি থিসিস করতে !
মুশিকের পর্বত প্রসব !
৩১| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ সকাল ৮:৪০
আবু ছােলহ বলেছেন:
হাতি ঘোড়া গেল তল,
ছাগলে কয় কত জল!
শুধু অনলাইনেই কিছু মাথা বিগড়ানো ঘাড় ত্যাড়া না চীজ মূর্খদের দ্যাখা মেলে!! 'উলা-য়িকা ফী দলালিম্মুবী-ন'।
আল্লাহ পাক আমাকেসহ সকলকে মাফ করুন। হেফাজত করুন। হেদায়েত দান করুন। ঈমান আমল নিয়ে মৃত্যু নসীব করুন।
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:২৭
আশরাফ মাহমুদ মুন্না বলেছেন: .
আমার দৃঢভাবে মনে করি - আপনি যে কাজে নেমে পড়েছেন, এ কাজ আপনার নয়। সত্যি আপনার নয়। অনূদিত কিছু বই পড়ে সাধারণ গাইড লাইন নেয়া যায়। হাদীছ, শরীয়া আইন এসব আপনার নয়। আমার যদি ভুল না-হয়ে থাকে, তবে মনে করি, আপনি সাধারণ স্কুল/কলেজ/ভার্সিটি পাশ দিয়েছেন। আর আপনি নেমে পড়েছেন এমন এক কাজে তা' মাল্টি ডিসিপ্রিলিনারী সাবজেক্ট। যেটি খুবই দুরুহ। এবং আমি নিশ্চিত এটি আপনার জন্য আসেনি। দয়া করে বিরত হোন। এ পোষ্ট ডিলিট করুন।
কোন নাস্তিকে করলে না-হয় মানা যেত। কিন্তু আপনি?
এটি একটি বিশাল জটিল গবেষণার কাজ। হাদীছ, কোরআন, ইসলামের ইতিহাস, ফেকাহ, মানতেক (তর্ক শাস্ত্র), ফলসফা (দর্শন), হাদীছ শাস্ত্র, আরবী ভাষা ও শব্দ তত্ত্ব ইত্যাদি সহ আরো নানান বিষয় বা মাল্টিডিসিপ্লিনারী বিষয়ের উপর দখল না-থাকলে এ কাজে হাত দেয়া যায় না। লেজে গোবরে হয়ে যাবে। এবং তা' করছেনও আপনি।
আমি আর কোন মন্তব্য দেব না। এটিই শেষ।
দয়া করে এ পোষ্ট ডিলিট করুন। ক্ষান্ত হউন। বিরত হউন।
লেজে গোবরে করবেন না, প্লীজ।
আল্লাহ আপনাকে হেদায়েত করুক।