![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পর্ব-১ - হাদীস সংকলনের ইতিহাসঃ শরীয়া আইন এর অনুপযোগিতা
পর্ব-২- বুখারী হাদীস গ্রন্থ ত্রুটিমুক্ত নয়ঃ শরীয়া আইন এর অনুপযোগিতা
পর্ব-৩- ইমাম বুখারীর হাদীস সত্যায়ণ করার পদ্ধতির ভুল ভ্রান্তিসমূহঃ শরীয়া আইন এর অনুপযোগিতা
পর্ব-৪- ইমাম বুখারী ও ইমাম মুসলিমের মাঝে ঝগড়া ও বিরোধের ইতিহাসঃ শরীয়া আইন এর অনুপযোগিতা
বর্তমানে যে বুখারী শরীফ এর কথা আমরা জানি, অনেকেই সেটিকে একটি অবিকৃত নির্ভেজাল গ্রন্থ বলে মনে করি যা সরাসরী ইমাম বুখারীর তরফ থেকে আমাদের হাতে এসে পৌছেছে। অথচ বর্তমান বুখারী হাদীস গ্রন্থটি যে অনেক বিকৃতি, এডিটিং এর পর বহু সংকরণে বিভক্ত হয়ে, এখানে সেখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থেকে, কিছু অংশ চীরতরে হারিয়ে গিয়ে, কিছু অংশ কিছুটা পরিবর্তীত হয়ে অবশেষে একটি গ্রন্থ হয়ে আমাদের হাতে এসে পৌছেছে, সেকথা অনেকেরই অজানা। অর্থাত বর্তমান বুখারী শরীফ আর ইমাম বুখারীর লিখা আসল বুখারী শরীফ ঠিক একই রকম নয়।
সেযুগে কোন প্রিন্টিং প্রেস, ফটোকপি মেশিন ছিলনা। তাই চাইলেই বাজার থেকে কোন বই কিনতে পাওয়া যেতনা। শিক্ষকরাও চাইলেও শিষ্যদের মাঝে বই বিলি করতে পারতেননা। একমাত্র উপায় ছিল শিক্ষক ক্লাসে বসে কোনবই থেকে ডিকটেশন দিতেন আর হাজার হাজার ছাত্র তা নিজের খাতায় লিখে নিতেন। লিখার পর কোন ভুল ত্রুটি হল কিনা সেটা এক এক করে হাজার হাজার ছাত্রের জন্য চেক করে দেখা কোন শিক্ষকের পক্ষে সম্ভব ছিলনা। ইমাম বুখারীর গ্রন্থটি ছিল অতিকায় বৃহত। আধুনিক ছাপাখানার ক্ষুদ্র অক্ষরে লিখার পরেও এটি দশটি মোটা ভলিউম এর বিশাল গ্রন্থে পরিণত হয়েছে। মান্ধাতা আমলের প্যাপাইরাসের উপর হাতে লিখা বুখারী শরীফ ছিল কাগজের বিশাল স্তুপ। দীর্ঘ আট বছর ধরে ইমাম বুখারী এই গ্রন্থটি তার শত শত শিষ্যদের নিকট শিক্ষা দিয়েছিলেন। মাত্র একবার শুনার পর শিষ্যরা সেটা নিজেদের খাতায় লিখে নিয়েছিলেন, শুধু আল ফিরাব্রী নামক একজন শিষ্য সেটা দুবার শুনার সূযোগ পেয়েছিলেন। ইমাম বুখারীর নিজ হাতে লিখা কাগজের বিশাল স্তুপের সেই গ্রন্থটি চীরতরে হারিয়ে গিয়েছে যা কোথাও সংরক্ষিত নেই। তার শত শত ছাত্রের মাঝে অধিকাংশই ইমাম বুখারীর শিক্ষা পরবর্তী প্রজন্মে পৌছাতে ব্যর্থ হয়েছেন। শুধুমাত্র পাঁচ জন ছাত্র এই কাজে সফল হয়েছিলেন। খ্যাতির ক্রমানুসারে তাদের নাম নিচে উল্লেখ করা হল।
১, আল ফিরাব্রী
২, ইব্রাহীম বিন মাকাল
৩, হাম্মাদ বিন শাকির
৪, আবু তালহা মনসুর
৫, হুসেইন বিন ইসমাইল
উপরোক্ত পাঁচ জন শিষ্যের নিজেদের হাতে লিখা বুখারী গ্রন্থের মাঝে ছিল বিস্তর ফারাক। এত বিশালাকার একটি গ্রন্থ মাত্র একবার শুনে লিখলে মানুষ্য ত্রুটির কারণে ফারাক থাকাটা মোটেই অস্বাভাবিক কিছুনা। বিষয়বস্তুর ফারাক ছাড়াও একেক জনের কপির মাঝে শত শত হাদীস কম বেশী ছিল। তবে আসল কথা হচ্ছে, এই পাঁচ জনের নিজ হাতে লিখা পাঁচটি গ্রন্থও চীরতরে হারিয়ে গিয়েছে যা কোথাও সংরক্ষিত নেই। এই পাঁচ জনের মধ্যে প্রথমজন, আল ফিরাব্রীর ছিল আবার শত শত ছাত্র যারা আল ফিরাব্রীর মুখে শুনে নিজ নিজ খাতায় বুখারী গ্রন্থ লিখেছিলেন। ফিরাব্রীর সবচেয়ে বিখ্যাত ছাত্রটির নাম ছিল আল খুশায়মানি। এই আল খুশায়মানি সহ ফিরাব্রীর অন্যান্ন কিছু ছাত্রের নিজ হাতে লিখা বুখারী গ্রন্থের ম্যানুস্ক্রীপ্ট বর্তমানে সংরক্ষিত আছে। ফিরাব্রী ছাড়া ইমাম বুখারীর বাকি চার ছাত্রের পরবর্তী শিষ্যদের কিছু ম্যানুস্ক্রীপ্টও বর্তমানে সংরক্ষিত আছে তবে ফিরাব্রীর ছাত্রদের গ্রন্থগুলোর তুলনায় এগুলোর কদর কম।
তবে ফিরাব্রীর ছাত্রদের গ্রথগুলোও নির্দিষ্ট কোন সুস্পষ্ট গ্রন্থ ছিলনা, বিশাল ছিল বিধায় পার্ট বাই পার্ট এদিক সেদিক ছড়ানো ছিটানো ছিল। একসাথে সংকলন ও হাদীসগুলো বুঝার জন্য তাই আরও ৫০০ বছর পর খুশায়মানী, ইউনানী সহ ফিরাব্রীর প্রায় এক ডজন ছাত্রের লিখা বুখারী কপির উপর ভিত্তি করে ৭০ টির বেশী বুখারী হাদীসের ব্যাখ্যাগ্রন্থ (শারহ বা তাফসীর বা Commentary) লিখিত হয়েছিল। এই ব্যাখ্যাগ্রন্থগুলোই আধুনিক বুখারী শরীফের ভিত্তিমূল। এগুলোর মধ্যে ইমাম ইবনে হাজার আসকালানীর লিখা ''ফাথ আল বারী'' ব্যাখ্যাগ্রন্থটি আলেমদের মাঝে সর্বাধিক স্বীকৃত ও শুদ্ধ বলে পরিচিতি পেয়েছে। ইমাম আসকালানী বলেছেন যে আল ফিরাব্রী ২ বার বুখারী গ্রন্থটি শুনেছিলেন বিধায় তিনি তার ''ফাথ আল বারী'' গ্রন্থে ফিরাব্রীর ছাত্র আল খুশায়মানির বইটি মূল স্ট্যান্ডার্ড ট্যাক্ট হিসেবে নিয়েছিলেন এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে অন্যান্য ছাত্রের বই স্ট্যান্ডার্ড ট্যাক্সট হিসেবে নিয়েছিলেন, এবং ইমাম আসকালানী দাবী করেছেন যে নিজ মর্জি অনুযায়ী বুখারীর স্ট্যান্ডার্ড ট্যাক্সট বাছাই করার ইসলামী অধীকার নাকি তার ছিল। ইমাম আসকালানী তার ''ফাথ আল বারী'' গ্রন্থে ফিরাব্রীর ছাত্রদের লিখা বুখারী গ্রন্থগুলোর মাঝে বিদ্যমান পার্থক্যগুলোও লিপিবদ্ধ করেছেন। এখানে উল্লেখযোগ্য ব্যাপার হচ্ছে ইমাম আসকালানী আল খুশায়মানির গ্রন্থটি স্ট্যান্ডার্ড ট্যাক্সট হিসেবে নিয়েছিলেন, অথচ তাদের জীবনকালের মাঝে ফারাক ছিল প্রায় ৫ শত বছর। এই পাঁচশ বছরে খুশায়মানির গ্রন্থটি নানা হাতে অদল বদল হয়েছে, এবং কেউ যে এতে কিছু ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃত সংযোজন-বিয়োজন করেনি তা নিশ্চিত করে বলার উপায় নেই। ফিরাব্রীর ছাত্র মুসতামলীর নিজস্ব স্বীকারোক্তিতেই কিছু এডিটিং এর প্রমাণ পাওয়া যায়। সে যাই হোক, আধুনিক বুখারী শরীফের ৯০% ই ইমাম আসকালানীর লিখা এই ''ফাথ আল বারী'' গ্রন্থটির স্ট্যান্ডার্ড ট্যাক্সট থেকে নেয়া হয়েছে।
এতক্ষণে পাঠক বুঝে ফেলেছেন যে আধুনিক বুখারী শরীফের কতগুলি হাদীস ইমাম বুখারীর নিজ হাতে সংকলণ করা হয়েছিল সে ব্যাপারে নিশ্চিত হবার উপায় বর্তমানে নেই। ইমাম বুখারীর নিজ হাতে লিখা মূল গ্রন্থটিই চীরতরে হারিয়ে গিয়েছে। বুখারীর মুখ থেকে শুনে লিখা তার ছাত্রদের মূল গ্রন্থগুলোও চীরতরে হারিয়ে গিয়েছে। বুখারী থেকে ফিরাব্রী এবং ফিরাব্রী থেকে খুশায়মানি পর্যন্ত ট্রান্সফার হবার সময় বুখারীর গ্রন্থে কি পরিমাণ পরিবর্তন হয়েছে মূল গ্রন্থগুলো চীরতরে হারিয়ে যাবার ফলে সেটা যাচাই করার আর কোন উপায় নেই। বুখারীর ছাত্রদের পরের প্রজন্মের ছাত্রদের লিখা গ্রন্থগুলোর মূল কপি থাকলেও তাদের মাঝে রয়েছে বিস্তর পার্থক্য, আর সেগুলোর বেসিসে আধুনিক বুখারী সংকলণ হয়েছে সেগুলো লিখিত হবারও ৫০০ বছর পর। এর মাঝে কি মূল বুখারী গ্রন্থে কোন বিকৃতি ঘটেনি? অবশ্যই ঘটেছে। তার জ্বলজ্যান্ত প্রমাণও আমাদের হাতে আছে। ১৮০০ হাদীস বর্ণনাকারীর চরিত্রের বর্ণনা নিয়ে ইমাম বুখারী আলাদা একটি গ্রন্থ আছে। সেখানে প্রায় এক ডজন বর্ণনাকারীকে ইমাম বুখারী অনির্ভরযোগ্য, আনঅথেন্টিক বলে রায় দিয়েছেন। অথচ আধুনিক বুখারী শরীফে সেই প্রতিটি অনির্ভরযোগ্য বর্ণনাকারীর বলা হাদীস সংকলিত হয়েছে! এটি কি মূল বুখারী গ্রন্থের বিকৃতির একটি বড় প্রমাণ নয়?
অতএব, আলোচনার খাতিরে যদি ধরেও নেই যে ইমাম বুখারী ১০০% শুদ্ধতার সাথেই তার সহিহ গ্রন্থটি সংকলণ করেছিলেন, তবুও বর্তমানে সেই শুদ্ধতা আর বজায় নেই। তবু কিভাবে এই বিকৃত গ্রন্থটি শরীয়া আইনের মূল ভিত্তি হিসেবে টিকে থাকার যোগ্যতা রাখে? সাধারণ মানুষ যখন কোনভাবে একটি হাদীসের ত্রুটি বা কোরানের সাথে হাদীসটির বিরোধ আবিষ্কার করে তখন মোল্লাশ্রেণীর লোকেরা নানা ছল চাতূরীর আশ্রয় নিয়ে ত্রুটিপূর্ণ সেই হাদীসটিকেই তাকে সত্য বলে গিলিয়ে ছাড়ে। সাধারণ মানুষ ভেবে বসে আমার তো এত জ্ঞান নেই তাই মোল্লা সাহেবই হয়তো ঠিক বলছেন। এভাবেই প্রশ্নকারীকে দমিয়ে রেখে যুগ যুগান্তর ধরে এই হাদীস শাস্ত্র টিকে আছে। পরবর্তী পর্বে হাদীস বিশ্বাস করানোর জন্য মোল্লা সাহেবদের এই ছল চাতূরীর প্রকৃত স্বরুপ ও তার উপযুক্ত জবাব নিয়ে আলোচনা করা হবে।
চলবে।
তথ্যসূত্রঃ
১) ফাথ আল বারী- ইবনে হাজার আসকালানী
২) Introduction to the translation of Ibn Hajar al-Asqalani's commentary on selected hadith - Abdal Hakim Murad
৩) Canonization of Bukhari and Muslim- Dr. Jonathan Brown
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:১৪
মেহেদী পরাগ বলেছেন: ভাই আপনি মনে হয় মাদ্রাসার ছাত্র, তাই না?
আমি যে সোর্স দিয়েছি সেটা বুঝার ক্ষমতা নাই? সুন্নি সকল স্কলার আলেমরা ইমাম আসকালানী কে কি সম্মানের সাথে তাদের নিজেদের ঊর্ধে স্থান দেয় জানেন? এই রেফারেন্স এর লেখকের ব্যাখ্যাই পৃথিবীতে বুখারী শরীফের সবচেয়ে ভাল ব্যাখ্যা বলে স্বীকৃত। আর দ্বিতীয় রেফারেন্সের লেখন আবদাল হাকিম মুরাদ কত বড় ইসলামিক স্কলার ও আলেম সেটা জানেন?
আর একটা কথাও ভুল বলেছি?
২| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:১১
নতুন বলেছেন: ভুল থাকে পারে... কিন্তু সব তো আর ভুল না... আর যারাই করে থাকুক না কেন... তারা চেস্টা করেছে যেন সুদ্ধই থাকে...
তাই পুরাটাই ভুল বলা যাবেনা...
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:১৮
মেহেদী পরাগ বলেছেন: আপনি একদম ঠিক বলেছেন। আমি তো বলিনা সমস্ত বুখারী শরীফ ভুল। তারা চেষ্টা করেছেন।
আমাদের এখন আরেকটু চেষ্টা করতে হবে বাকি ভুল বের করার। বুখারী হলেই সেটা সত্য এমন ধারণা ত্যাগ করতে হবে।
৩| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:০৫
অন্যরকম একজন বলেছেন: পরাগ ভাই,ইমাম মুসলিমও কি ইমাম বুখারির ছাত্র ছিলেন না?আমি ত তা-ই জানতাম।যদি ভুল জেনে থাকি তাহলে রেফারেন্স সহ শুধরে দিন,প্লিজ।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:২৪
মেহেদী পরাগ বলেছেন: আপনি ঠিকই জানেন। তবে ইমাম মুসলিম অন্যান্য সাধারণ ছাত্রের মত ইমাম বুখারীর ছাত্র ছিলেন না।
ইমাম বুখারী ছিলেন বুখারার বাসিন্দা, আর ইমাম মুসলিম ছিলেন নিশাপুরের বাসিন্দা। নিশাপুরে ভাষণ দেয়ার জন্য যখন ইমাম বুখারী গিয়েছিলেন তখন ইমাম বুখারী সেখানে হাদীস শিখানোর ক্লাস নিয়েছিলেন। সাধারণ ছাত্রদের সাথে ইমাম মুসলিমও সেই ক্লাসে কয়েকদিন মাত্র অংশগ্রহণ করেছিলেন। এই হিসেবে তাকে বুখারীর ছাত্র বলা যেতে পারে, তবে এটাকে শিষ্য বলা যায়না।
ইমাম বুখারী বা মুসলিমের যেকোন জীবনীগ্রন্থেই এই তথ্য আছে।
৪| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:২৪
হুমায়ুন তোরাব বলেছেন: quran o tw bikrito hye gece tai na mamu..30 para quran ki mne rakha somvob.
ja shala
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:২৬
মেহেদী পরাগ বলেছেন: কোরান সংরক্ষণের দায়িত্ব আল্লাহর। ৩০ পাড়া কোরান মনে রাখা সম্ভব বলেই আর মনে রাখছে বলেই সেখানে বিকৃতি নাই। বুখারী শরীফ কি লাইন বাই লাইন কেউ মুখস্ত করে?
৫| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৫
নীলপথিক বলেছেন: মানুষ ভুল করতে পারে, পরাগ ভাই, আপনিও পারেন। আমরাও আপনার সমালোচনা করতে পারি। পাঠকদের প্রতি অনুরোধ, সমালোচনা গঠনমূলক হলে করুন। এটা গালিগালাজের জায়গা নয়। গালিগালাজ করে নিজের বংশ-পরিচয় জাহির করবার উদ্দেশ্য থাকলে সেটা অন্যত্র করাই ভালো।
পরাগ ভাই যুক্তিপূর্ণ কথা না বলে থাকলে কেউ ওনার যুক্তি খন্ডন করুন। আমার বিশ্বাস আপনার কথা যুক্তিপূর্ণ হলে পরাগভাই সেটা মেনে নেবেন।
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৫১
মেহেদী পরাগ বলেছেন: যুক্তি খুঁজে না পেলেই বর্তমানের শরীয়া আইনে বিশ্বাসী মুসলমান গালাগালিতে ঝাঁপিয়ে পড়ে। আল্লাহ তাদের শুভ বুদ্ধি দিন। ধন্যবাদ।
৬| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৯
অন্যরকম একজন বলেছেন: পরাগ ভাই,আপনাকে বেশ কয়েকদিন আগে ফেসবুকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট দিয়েছিলাম।আপত্তি না থাকলে প্লিজ এক্সেপ্ট করে নিন।কোন ভিউ শেয়ার করতে চাইলে ইন্সট্যান্ট করতে পারব।
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৬:১৩
মেহেদী পরাগ বলেছেন: খেয়াল করিনি, ঠিক আছে এড করে নিয়েছি। ধন্যবাদ।
৭| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:৫৯
রিফাত হোসেন বলেছেন: ++++
আচ্ছা ইমাম আস্কালানী সাহেব এর বইটি ki পরিবর্ত্ন হয়েছিল নাকি সেটি আমরা পিউর পাই।
বাকি ১০% কোথা হতে সংরক্ষন করা হয়েছে? —
১৮০০ বর্ন্না কারীদের বইটির পরিবর্তন ধারা কি রকম?
আলেমগন যদি ইমাম আসকালানী সাহেব কে এত ই সম্মান দেয় তাহলে তার ব্যাখ্যাকে দেয় না কেন? কেন বলে ১০০% বা ৯৯% বা ৯০% পিওর হাদীস বুখা রী ,
১০০%.৯৯%.৯০%যদি ধরে নেয় তাহলেও তো আস্কালআনী সাহেব এর ব্যাখ্যার বিরুদ্ধে যাবএ. কারন ."" তিনি নিজেই উতসগুলি থেকে মতবিরোধ পেয়েছেন, pore মতি মরজি অনুজায়ী যাচাই করেছেন যা স ঠিক মনে হএছে""!
ঠিক বলেছি কি?
১০ ভাগ বাকি বুখারীকে পোস্টে আনতে পার্লে আরো জোড়াল হত।:-)
-------
কষ্ট লাগল বাকি সহ ব্লগার্দের মন্তব্য দেখে। আমি না হয় সল্প মানব তারা যারা দিমত কর্ছেন;এক্টু খন্ডন কর্লে কি হয়?
সরাসরি কারন দর্শানো ছাড়া কথা তো কিছউই. ঈংগিত দেয় না।
আমি কোথাও দেখছি না এই লেখক বলছেন . "তাল গাছটা আমার যে যাই বল ভাই!"
লেখক তো বার্বার বলছেন আলোচনআয় আস তে . , . .
Mnt
ম্নতব্যটি টেব থেকে করা অনেক্কক্কন লেগেছে। ভুল হতে পারে।
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:২১
মেহেদী পরাগ বলেছেন: উদ্ধৃতিঃ আচ্ছা ইমাম আস্কালানী সাহেব এর বইটি ki পরিবর্ত্ন হয়েছিল নাকি সেটি আমরা পিউর পাই।
বাকি ১০% কোথা হতে সংরক্ষন করা হয়েছে? —
মন্তব্যঃ ফাথ আল বারীর অরিজিনাল ম্যানুস্ক্রিপ্ট সম্পর্কে আমার জানা নেই তবে সময়ের বিচারে ইমাম আসকালানীর বইটি অনেক পড়ে আর কিছুটা আধুনিক যুগে লিখিত হয়েছে বলে এটার পরিবর্তন হয়নি বলেই ধরে নিচ্ছি, এটা পরিবর্তীত হয়েছে ধরে নিলে বুখারী শরীফ আরও বেশী দূর্বল হয়ে পড়বে।
ইমাম আসকালানীর হাদীসের তাফসীর বইটির ভিত্তি হচ্ছে পোস্টে উল্লেখ করা ইমাম বুখারীর প্রথম ছাত্র আল ফিরাব্রি। এভাবে পোস্টে উল্লেখ করা ইমাম বুখারীর বাকি চারজন ছাত্রের ভিত্তিতেও বিভিন্ন ইমামের লিখা নিম্নোক্ত হাদীসের তাফসীর বই আছে। আধুনিক বুখারী শরীফের বাকি ১০% এই সব তাফসীর বই থেকেই নেয়া হয়েছে। বইগুলো হচ্ছেঃ উমদাতুল কারী আল আইনি, আল তাওসিহ আল সুয়ুতি, শারহ আল ইবনে বাত্তাল, তাফসীর আল সিন্দি, জামিউদ দারারী, ইমদাদুল বারী, তাফসীর আল সানকিতি, ফাইদুল বারী, ফাদলুল বারী, আনওয়ারুল বারী, লামিউদ দারী, তাফসীর আল ইবনে রাজাব হাম্বালী। এগুলো ছাড়াও বুখারী শরীফের উপর লিখা ৭০ টিরও বেশী তাফসীর গ্রন্থ আছে।
উদ্ধৃতিঃ ১৮০০ বর্ন্না কারীদের বইটির পরিবর্তন ধারা কি রকম?
মন্তব্যঃ বুখারীর মূল বইটিরই এই অবস্থা, অন্য বইগুলোর কি অবস্থা হতে পারে তা অনুমান করে নেয়ার অনুরোধ রইল। মূলত ইমাম বুখারীর লিখা ''কিতাব আল দুয়াফা আল সাগীর'' বইটিতে আন-অথেন্টিক এবং হাদীসের জন্য বাতিল এমন হাদীস বর্ণনাকারীদের নাম সংকলণ করা হয়েছে। সেখানেই প্রায় ১ ডজন বর্ণনাকারীর নাম আছে যাদের হাদীস বুখারীর মূল বইতে আছে। আপনার জানার জন্য আরেকটি তথ্য দিচ্ছিঃ ''কিতাব আল তারিখ আল কাবীর'' হচ্ছে ইমাম বুখারীর লিখা আরেকটি বিরাট গ্রন্থ যাতে অন্যান্য অনেক বর্ণনাকারী সম্পর্কে লিখা হয়েছে।
উদ্ধৃতিঃ আলেমগন যদি ইমাম আসকালানী সাহেব কে এত ই সম্মান দেয় তাহলে তার ব্যাখ্যাকে দেয় না কেন? কেন বলে ১০০% বা ৯৯% বা ৯০% পিওর হাদীস বুখা রী ,
১০০%.৯৯%.৯০%যদি ধরে নেয় তাহলেও তো আস্কালআনী সাহেব এর ব্যাখ্যার বিরুদ্ধে যাবএ. কারন ."" তিনি নিজেই উতসগুলি থেকে মতবিরোধ পেয়েছেন, pore মতি মরজি অনুজায়ী যাচাই করেছেন যা স ঠিক মনে হএছে""!
ঠিক বলেছি কি?
আমারও একই প্রশ্ন। ইমাম আসকালানীকে এত সম্মান দিলে তার সমস্ত ব্যাখ্যা গ্রহণ করা হয়না কেন? কেন শায়খ আবদাল হাকিম মুরাদ বলেন যে
''there are few hadith which can be understood adequately without reference to the often complex debates which have taken place concerning them between the scholars"
অর্থাৎ হাদীসের স্কলারদের মাঝেও জটিল জটিল ভিন্নমত আছে, এইসব ভিন্নমত পড়ে নিজের মত একটা মত গ্রহণ করতে হবে?
প্রথম দিকের মহান হাদীস স্কলার সুফিয়ান ইবনে উয়াইনা কেন বলেন যেঃ
'' স্কলার ছাড়া বাকীদের জন্য হাদীস হচ্ছে ফাঁদের মত'' ?
আসলেই! হাদীস মেনে ইসলাম পালন করতে গেলে ফাঁদে পড়া ছাড়া উপায় নাই!
৮| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:০৫
রিফাত হোসেন বলেছেন: Doc.মরিস বুকাইলির এক্টি বই থেকে হাদীস বিক্রীতি ব্যাপার্টা ভাল্ভাবে পাই। আমার সংগ্রহে আছে।
৯| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৫১
অন্যরকম একজন বলেছেন: বইটার নাম কী?@রিফাত
১০| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৬:০৭
রিফাত হোসেন বলেছেন: The Bible, The Qur'an and Science
@ অন্যরকম সাহেব যদিও বইটির শিরোনামে এই হাদীসের কথা লেখা নাই তদুপরী ভিতরে আছে , আলোচনা করা হয়েছে ।
কোরআনের সাথেই হাদীস ওতোপ্রতোভাবে জড়িত বিধায় ! সেখানেও বুখারী শরীফকে নিয়েই আলোচনা করা হয়েছে কারন . যা বলার পরাগ সাহেব পোষ্টে বলেছেনই ...! মানে একে অনেকটা শুদ্ধ বলা হয় তাই এর অসংগতি বাহিরের চেষ্টা ! এতে তিনি সফলও হয়েছেন ।
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৮
মেহেদী পরাগ বলেছেন: বইটি আমি অনেক আগে পড়েছিলাম। ডক্টর মরিস বুকাই(লী) এর এই বইটি বেশ বিখ্যাত বলা চলে। কোরআন যে বাইবেল থেকে নকল করে লিখা হয়নি সেটাই মূলত তিনি প্রমাণ করেছেন। অনেকে মিথ্যা প্রচার করেন যে ড. বুকাই মুসলিম হয়েছেন, যদিও এই তথ্যের কোন রেফারেন্স নেই। অমুসলিমেরা দাবী করে কোরআনের বৈজ্ঞানিক ব্যাপারে তিনি অভিভূত হলেও এটাকে মুহাম্মদ (সা) এর বিচিক্ষণতা হিসেবে দেখেছিলেন। তার নিজিস্ব মতামত জানা জায়নি।
১১| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৬:১০
ধমাধম বলেছেন: //সেযুগে কোন প্রিন্টিং প্রেস, ফটোকপি মেশিন ছিলনা। তাই চাইলেই বাজার থেকে কোন বই কিনতে পাওয়া যেতনা। শিক্ষকরাও চাইলেও শিষ্যদের মাঝে বই বিলি করতে পারতেননা। একমাত্র উপায় ছিল শিক্ষক ক্লাসে বসে কোনবই থেকে ডিকটেশন দিতেন আর হাজার হাজার ছাত্র তা নিজের খাতায় লিখে নিতেন। লিখার পর কোন ভুল ত্রুটি হল কিনা সেটা এক এক করে হাজার হাজার ছাত্রের জন্য চেক করে দেখা কোন শিক্ষকের পক্ষে সম্ভব ছিলনা। //
খালি হাদিস কেন, আরো অনেক পুরানা বই নিয়াও তো এইরাম কথা বলা চলে!
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৫
মেহেদী পরাগ বলেছেন: তা তো বটেই। তবে অন্যান্য বই হাদীস বইগুলোর মত এত ব্যাপক মাত্রায় প্রচার হতনা। সেগুলোর কপি হয়েছে কম। আর সেগুলোকে কেউ নির্ভুল বলেও দাবী করেনা। গল্প উপন্যাসের বইতে টুকটাক ভুল হলেও কিছু যায় আসেনা। আর জ্ঞান বিজ্ঞানের বই সবসময়ই নতুন আবিষ্কারের ফলে নতুনভাবে ভুল সুদ্ধির মাধ্যমে সংস্কার হয়েছে।
১২| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:১০
ধমাধম বলেছেন: নির্ভুল বলে দাবী করে না বলেই কী সেগুলা ভুল হয়ে যাবে?
বইয়ের এই ভুল-নির্ভুলতা নির্ণয়ের মাপকাঠি কী? এখন যে হিসাবে হাদিস বিকৃত বলে দাবী করছেন, এইটা কেনো?
কেনো আরো আগে এই দাবী করা হয় নাই?
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:০৫
মেহেদী পরাগ বলেছেন: নির্ভুল দাবী করেনা বলেই সেগুলো ভুল হয়ে যাবে না। কোন বইতে ভুল আছে এমন অভিযোগ করতে হলে অবশ্যই উপযুক্ত যুক্তি প্রমাণ হাজির করতে হবে। ''নির্ভুল দাবী করেনা'' কথাটা এজন্যই বলেছি যে কিছু বই জনজীবনে এত গুরুত্বপূর্ণ নয়, আর যেগুলো গুরুত্বপূর্ণ সেগুলোর বক্তব্যও এমন কিছু যা ঠিক না ভুল তা মানুষ পরীক্ষা করে নিজেই বুঝে নিতে পারে। সেসব বই মানা বা না মানার ব্যাপারে কারও উপর জোড় করা হয়না বা বইগুলো কারো জীবণ পদ্ধতির উপর আবশ্যিক প্রভাব ফেলেনা, তাই ঠিক বা ভুল নির্ণয় করাটাও এত গুরুত্বপূর্ণ নয়। ইতিহাস নিয়েও আমরা এমন ভিন্ন মতের অনেক কিছু দেখি। পলাশীর ইতিহাস কিছুটা অদল বদল হলেও আমাদের প্রাত্যহিক জীবণে তা গুরুত্বহীণ, শুধু সঠিক ইতিহাস কোনটি সে চিন্তা করে আমাদের কারো একটু সময় ব্যায় হতে পারে। কিন্তু হাদীসের বইগুলো ভিন্ন জিনিস। এগুলো প্রাত্যহিক জীবণে বেশ প্রভাব সৃষ্টি করে আছে। অনেকেই অন্তর থেকে সঙ্গীত পছন্দ করলেও হাদীসের কারণে হয়তো গান শুনেনা। অথবা হাদীসের কারণে জিনার কারণে কাউকে অন্যায়ভাবে খুন করা হয়। অথবা আইনত দন্ডনীয় অপরাধ বউ পিটানোর পরেও হাদীসের কারণে অনেককেই সমাজের কাছে জবাবদিহি করতে হয়না। তাই হাদীস বইগুলো ভুল না সঠিক তা নির্ণয় করা অত্যন্ত জরুরী।
হদীসের বইগুলোর বিকৃতির ব্যাপারে সুস্পষ্ট প্রমাণ আছে। আমি আন্দাজের উপর কিছুই বলছিনা। ম্যানুস্ক্রিপ্ট গুলোর মাঝেই অনেক পার্থক্য আছে, একই বই এর অনেক ভার্সন আছে। ভুল নির্ণয়ের মাপকাঠি তো প্রথমত দালিলিক এই প্রমাণগুলো। দালিলিক প্রমাণ না থাকলে একটি কথার বক্তব্যও ২য় প্রমাণ হতে পারে।
আরও অনেক আগে এই দাবী অবশ্যই করা হয়েছে। আপনি খোঁজ খবর নেননি তাই জানেননা। আর আলেম সমাজ তাদের ধর্ম ব্যাবসা টিকিয়ে রাখতেই এগুলো প্রচার করা নিষিদ্ধ করে রেখেছে। তবে কারো সত্য জানার আগ্রহ থাকলে কেউ তাকে দাবিয়ে রাখতে পারেনা। আপনাকে আমার কথা বিশ্বাস করতে বলছিনা। সত্য জানার আগ্রহ থাকলে নিজেই খোঁজ নিন, আল্লাহ চাইলে অবশ্যই সত্য জানবেন। তাতে নিজের বিবেকের কাছে অন্তত পরিষ্কার থাকতে পারবেন।
১৩| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:৪৭
ধমাধম বলেছেন: //সেসব বই মানা বা না মানার ব্যাপারে কারও উপর জোড় করা হয়না বা বইগুলো কারো জীবণ পদ্ধতির উপর আবশ্যিক প্রভাব ফেলেনা, তাই ঠিক বা ভুল নির্ণয় করাটাও এত গুরুত্বপূর্ণ নয়। //
বই জোর করে কী কারো উপর চাপিয়ে দেয়া ঠিক?
//হদীসের বইগুলোর বিকৃতি// সঠিক করার মাপকাঠি কী হবে? কারা ঠিক করবে? কারা সংশোধন করবে? যারা সংশোধন করবে তাদেরকে কারা নির্বাচিত করবে? তারপর আবার সেগুলার অনুবাদ আছে। বলছি যে সার্বজনীন একটা ব্যবস্থা করা কি আদৌ সম্ভব?
১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৫:৩৫
মেহেদী পরাগ বলেছেন: বই জোর করে কী কারো উপর চাপিয়ে দেয়া ঠিক?
> অবশ্যই কোন কিছুই কারো উপর জোড় করে চাপিয়ে দেয়া ঠিকনা। এমনকি কোরআনকে আল্লাহ নিজেই শুধুমাত্র একটি উপদেশ গ্রন্থ হিসেবে বারবার উল্লেখ করে বলেছেন ধর্মে জোড় জবরদস্তি নেই। কিন্তু বাস্তব কথা হচ্ছে বর্তমানের কিছু মৌলবাদী মুসলিম হাদীসের বইগুলো জোড় করে মানুষের ঘাড়ে চাপিয়ে দিচ্ছে। কোন একটি একক হাদীস অস্বীকার করলেও তাদের কাফের বলে হুমকি দেয়া হচ্ছে। হাজার বছরের বাঙ্গালী ইতিহাসে আমরা অসাম্প্রদায়িক জাতি হিসেবেই গড়ে উঠেছিলাম সেখানে এই মৌলবাদী গোষ্ঠি কিছু হাদীসের বরাতে সাম্প্রদায়িকতার বিষ ঢুকিয়েছে। শিল্প, সাহিত্য, কলা, কৃষ্টিতে ঐতিহ্যগতভাবেই আমরা বাঙ্গালীরা বেশ সৃষ্টিশীল জাতি অথচ মৌলবাদীরা এগুলো বিনষ্ট করার পাঁয়তারা করেছে। কোরআন অনুযায়ী এইসব শিল্পকলা, ছবি, গান, কৃষ্টি কিছুই অবৈধ নয়। কিন্তু মৌলবাদীরা কিছু হাদীসের বরাতে মানুষের এসব সৃষ্টিশীলতাকে বিনষ্ট করার কারণেই আজ সবদিকে মুসলিম সমাজ সারা বিশ্বে এক পিছিয়ে পড়া গোষ্ঠি। ইসলামের প্রাথমিক স্বর্ণযুগে শিল্প, বিজ্ঞান, কলা, সাহিত্য সকল বিষয়েই মুসলিমরা ছিল সারা দুনিয়ার সেরা। সেই দিন মৌলবাদীদের চক্রান্তে শেষ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু আমরা বাঙ্গালীরা এখনো পুরোপুরি শেষ হইনি।
আপনি মুসলিম হবেন কোরানের আদর্শ অনুযায়ী, তবে সেজন্য আপনাকে আপনার সম্পূর্ণ সংস্কৃতি ত্যাগ করতে হবেনা। নবী নিজেই বলেছেন শুধু ইবাদত/ধর্মীয় ব্যাপারে তাঁকে অনুসরণ করতে, বাকি সব ব্যাপারেনা। কিন্তু যখন আপনি পান থেকে চুন পর্যন্তও নবীকে অনুসরণ করতে যাবেন তখন আপনাকে নিজের সংস্কৃতি ত্যাগ করতেই হবে। আমরা অধিকাংশ বাংলাদেশীরা নিজস্ব সংস্কৃতিও পালন করি আবার ইসলামও গ্রহণ করেছি। মুসলিম কোন জাতি নয় বরং বিভিন্ন জাতির একটি বৈশিষ্ট (ধর্মীয় বিশ্বাসের ভিত্তিতে)। তাই বাঙ্গালী জাতির সাথে আরব বা পাকিস্তানি জাতির পার্থক্য থাকবেই যদিও সকলেই মুসলিম। নিজস্ব জাতিসত্ত্বা বজায় রেখেই আমরা বেশীরভাগ বাঙ্গালীরাই মুসলিম।
----------------------------
হদীসের বইগুলোর বিকৃতি সঠিক করার মাপকাঠি কী হবে? কারা ঠিক করবে? কারা সংশোধন করবে? যারা সংশোধন করবে তাদেরকে কারা নির্বাচিত করবে? তারপর আবার সেগুলার অনুবাদ আছে। বলছি যে সার্বজনীন একটা ব্যবস্থা করা কি আদৌ সম্ভব?
হাদীসের বিকৃতি সঠিক করার মাপকাঠি প্রথমে কোরআন। কোরআনেই বলা আছে নবী কোরআনের বাইরে কোন কথা বলেননি বা কাজ করেননি। তাই জঘণ্য বা অদ্ভুদ বা লজ্জাজনক বা হাস্যকর হাদীস পেলে তা কোরআনের আলোকেই যাচাই করতে হবে। বেশীরভাগ হাদীসের ক্ষেত্রে আপনি নিজস্ব কমনসেন্স খাটিয়েই হাদীসটি সঠিক কিনা বের করে ফেলতে পারবেন।
এ কাজগুলো আপাতত নিজেকেই করতে হবে। দীর্ঘদীন ধরে একটা সত্য চাপা পড়ে থাকলে তা বের করা অনেক কঠিন হয়ে পড়ে। যুগে যুগে অনেক আলেমরাই হাদীসের এসব ভুল বের করার উদ্যোগ নিয়েছেন। তাদের কারণেই আমি নিজেই এসেব জেনেছি। অতীতের যেকোন সময়ের তুলনায় এখন বেশী সংখ্যক লোক এগুলো সম্পর্কে জানে। শিক্ষিত লোকদের মাঝে একটি বিরাট অংশ হাদীসের এইসব ভ্রান্তির ব্যাপারে জানে ও মানে। আধুনিক বিজ্ঞানের এই যুগে এগুলো না জেনে বা নে মেনে উপায়ও নেই। অন্ধ বিশ্বাসের কারণে এখনো হয়তো অনেক লোক এগুলো বুঝে উঠতে পারছেনা তবে পরবর্তী কয়েক প্রজন্মের মধ্যে অবস্থা এমন থাকবেনা তা আমি প্রায় নিশ্চিত।
সাধারণ মানুষের মাঝে এসব ব্যাপারে বেশী পরিমান শিক্ষা আর সচেতনতা আসলে একসময় হাদীস সংস্কার এমনিতেই হয়ে যাবে, কারো কষ্ট করে লোক নির্বাচন করা লাগবেনা। এটা অবশ্যই সম্ভব। এতদিন কেন হয়নি সেটা নিজে চিন্তা করলেই বুঝে নিতে পারবেন। ইহুদী থেকে খ্রীস্টান আর খ্রীস্টান থেকে ইসলাম ধর্মে আসার সময় কম সময় আর বপ্লব করতে হয়নি। পূর্ববর্তী মত থেকে লোকে সহজে বের হয়ে আসতে চায়না। এখন তো তেমন কষ্টের প্রয়োজন নেই, কারণ কেউ নতুন ধর্ম প্রচার করছেনা। চাইছে শুধু হাদীসের সংস্কার, যা বিজ্ঞানভিত্তিক আধুনিক সমাজের যুগের দাবী হয়ে উঠতে বাধ্য!
১৪| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:০৭
ধমাধম বলেছেন: //কোরআনকে আল্লাহ নিজেই শুধুমাত্র একটি উপদেশ গ্রন্থ হিসেবে //
তাইলে উপদেশ আইন হয় কিভাবে?
১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৬
মেহেদী পরাগ বলেছেন: আমিতো আইন বলিনা। যারা বলে তাদের কথার ভুল ধরি।
১৫| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:১৫
বাঘ মামা বলেছেন: আপনার ব্লগে এসে দুদিন ধরে খুব খেটে মরছি,আপনার ব্লগ আমার চোখে কেন পড়লোনা সেটাই ভাবছি।
আমি হাদিস নিয়ে খুব ভালো জ্ঞান রাখিনা,তবে দুদিন ধরে আপনার পোস্ট গুলো পড়ে খুব ভালো লাগছে,আপনার তথ্যগত পোস্টের সত্যতা নিয়ে এখন কোন কথা বলবোনা,আমি সময় নিলাম আপনার বলা বিষয় গুলো আমার নিজেরি পরখ করে দেখতে হবে তার পর বলবো।তবে একটা বিষয় ভালো লাগছে যে আপনার সাহসিকতা,আমরা মুসলিমরা ইসলাম নিয়ে মোল্লা কর্তৃক নাজেহাল হয়ে বেঁচে আছি।কিছু তথা কথিত মাওলানাদের ধর্মীয় ব্যখ্যা নিয়ে আজ মুসলিমরা নানা ভাগে বিভক্ত ।হাদিস নিয়ে কোন মন্তব্য বা আলোচনা করাই যায়না এই মোল্লাদের রক্ত চক্ষুর সামনে। তারা তাদের সুবিধা মত হাদিস গুলো পকেটে নিয়ে চলা ফেরা করে।
মোল্লাদের পকেটে খুঁজলে শুধু খাওয়া নিয়ে নবীজি কি বলেছেন সেগুলোই পাওয়া যাবে।কোথায় দাওয়াতে খেতে বসে খাওয়ার পরে মিষ্টি খওয়া সুন্নত এই হাদিস বলতে তারা ভুলেনা,যেই ব্যক্তিটি এত কিছু খাওয়ালো শেষে দেখা যাবে শুধু মিষ্টান্ন জাতীয় কোন কিছু না থাকলে পুরো খাওয়া গুলোকে হাদিস দিয়ে মাটি করে দেয় এরা।
সে যাইহোক আমার ধর্ম ইসলাম,ইসলাম নিয়ে সকল আলোচনা জিজ্ঞাসা সন্দেহ আমি কেন প্রকাশ করবোনা?কেন আমাকে শুনতে হয় এসব নিয়ে কোন কথা বলা যাবেনা যা আছে তা চুপ করে মেনে চলুন,আমার কি বিবেক বুদ্ধি মেধা আল্লাহ পাক দেননি? আমি কেন পারবোনা আমার ধর্ম নিয়ে খোলা মেলা আলোচনা করতে?
মৌলভিদের রক্ত চক্ষুর খবরদারিতে মুসলিমের সংখ্যা বাড়ছেনা।বরং বিভাজন হচ্ছে।
আপনার সব গুলো পোস্ট পড়ে তার পর মন্তব্য করবো।
শুভ কামনা সব সময়
১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৭
মেহেদী পরাগ বলেছেন: আমার ব্লগে স্বাগতম! অবশ্যই মন্তব্য করবেন। আপনার জন্যও শুভকামনা।
১৬| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:১৯
বাঘ মামা বলেছেন: মেহেদী ভাই আমি নিচে বোখারী শরীফের ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অনুমোদিত ৪৭৩৭ নাম্বার হাদিসটি তুলে ধরলাম,আপনি এই হাদিস সম্পর্কে একটু মন্তব্য করুন,আমি পরে আমার মতামত বা জিজ্ঞাসা তুলে ধরবো-
হাদীস- "হযরত উকবা ইবনে হারিস (রাঃ) থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,আমি শাদি করলাম।এরপর একজন কালো মহিলা এসে বললো,আমি তোমাদের দু'জনকে দুধ পান করিয়েছি।এরপর আমি নবী সঃ এর কাছে এসে বললাম, আমি অমুকের কন্যা অমুককে শাদি করেছি।এরপর জনৈকা কৃষ্ণাঙ্গ মহিলা এসে আমাডেরকে বললো যে, আমি তোমাদের দু'জনকে দুধ পান করিয়েছি,অথচ সে মিথ্যাবাদীনি,রাসুলুল্লাহ সঃ) আমার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলেন।আমি আবার রাসুলুল্লাহ (সঃ) এর সামনে এসে বললাম ,সে মিথ্যাবাদীনি। রাসুলুল্লাহ (সঃ) বললেন,কেমন করে তোমার শাদি হলো,অথচ তোমাদের দু'জনকে ঐ মহিলা দুধ পান করিয়েছে-এ কথা বলেছে।অতএব তোমার স্ত্রীকে ছেড়ে দাও। "
১৭| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:২৪
আধাঁরি অপ্সরা বলেছেন:
@বাঘ মামা আমাকে ধন্যবাদ দেন। আমি শিউর আমার মন্তব্য দেখে (অথবা অন্য কেউ আমার মন্তব্য দেখে> আর আপনি তার মন্তব্য দেখে) আপনি পরাগ ভাইয়ার ব্লগে ঢুকেছেন!
আমি এতদিন ব্লগে ছিলাম, এত ব্লগ ঘুরেছি অথচ আমিও এই ব্লগটা দেখিনাই। সেদিন গুগলে কি যেন একটা আয়াত সার্চ করতে গিয়ে এই ব্লগে ঢুকেছিলাম,তখন রাতের মনে হয় ৪ টা। সকাল ৮ টা দশ মিনিট পর্যন্ত আমি এইখান থেকে মাত্র একটা ব্লগ এবং রিলেটেড মন্তব্যগুলো এন্ড রেফারেন্সগুলো পড়ে শেষ করতে পারি। এত ইন্টারেস্টিং লাগছিল যে উঠতে ইচ্ছা করছিল না। কিন্তু পিঠ ব্যথার কারনে উঠে যেতে হয়েছিল। তবে ব্লগার পরাগ সম্পর্কে আমার একটা মাত্র কমপ্লেইন তৈরি হয়েছে যা আমি সবগুলো ব্লগ ও মন্তব্য পড়ে তবেই করব।
১৮| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:৫০
বাঘ মামা বলেছেন: @ আধাঁরী- হুম এটা ঠিক বলেছেন যে আমি আপনার কমেন্ট দেখে এখানে এসেছি,তবে তিনি খুব ভালো বিষয় নিয়ে আলোচনা করছেন,আমাদের সমাজে এক শ্রেনী মানুষ এই হাদিস কে পুঁজি করে নানা মতের দলের জন্ম দিচ্ছেন,খুব মর্মাহত হই যখন দেখি ইসলাম ধর্মের মানুষ গুলো দিন দিন ভাগ হচ্ছে।আগে ছিলো কেয়ামি বেকেয়ামি নিয়ে,চিন্তা করেন, শুধু মাত্র মিলাদে কে দাড়ায় আর কে দাড়ায়না এটা নিয়েই দুই দল হয়ে গেল।
এরপর আসলো- লালা টুপি,চুক্কা টুপি,সবুজ পাগড়ি,কালো পাগড়ি,জামাত,শাসন তন্ত্র আন্দোলন,আল ইহসান আল বাই্যেনাত ইত্যাদি ইত্যাদি।
এইভাবে কত গুলো মতের দল যে আছে শুধু মাত্র দুই একটা হাদিসের ভিন্নতা নিয়েই এদের জন্ম।খুব হতাশ হয়ে যাই নিজের ধর্মের এত বিরোধ দেখে।
যাইহোক একটা জায়গা পেলাম জানার বুঝার আলোচনা করার,
আপনাকে ধন্যবাদ সেই সাথে মেহদি ভাইকেও।
এবং ওনার প্রতি অনুরোধ যে কোন মন্তব্য যেন উনি বুঝে শুনে করেন হাদিস কোরাআন নিয়ে।
অট- আধাঁরী আপনার ব্লগে একটা কবিতা দেখেছিলাম।সেটা আজকে গিয়ে দেখি নেই,কবিতায় আমি কিছু বলতে পারিনা,মানে ঠিক বুঝিনা,কিন্তু আপনার কবিতাটা ভালো লেগেছিলো,খুব সহজ সুন্দর কিছু আবদার ছিলো সেখানে।সরালেন কেন?
১৯| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:৪৪
সায়েদা সোহেলী বলেছেন: @আধাঁরি। @মামা । আমিও আপনাদের মতো এই ব্লগ অ মন্তব্য গুলো শেষ করতে চেষ্টা করছি পেরে উঠছি না । তবে নিজের একটা কথা বলি একজন মানুষ হিসেবে মুসলিম হিসেবে নিজের জীবনে কিনবা সমাজে ইসলাম প্রতিস্ঠা করতে এতো হাদীস এর প্রয়োজন নেই সরাসরি কুরআন আর নবিজীর জীবনী ফলো করলেই ত হয় । এগুলো ঘাটতে গিয়েই যত মতবিরোধ ।
বিদায় হজ্জ এ দেয়া নবিজী র নির্দেশ কেউ জদি পরিপুর্নভাবে পালন করে তাহলেই ত সমাজে কোন অসান্তি বিস্রিংখলা হউয়ার কথা না
পরাগ কে ধন্যবাদ অনেক লেখার মাঝে আমাদের ভালো কিছু দেয়ার জন্ন
প্রতিদিন একবার করে আসতে হচ্ছে
২০| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:২৬
পিয়াল আহমেদ বলেছেন: আপনি বার বার বলেছেন, আপনার ভুল ধরিয়ে দিতে। ব্লগে নিয়মিত না হওয়ায় আপনার এই লেখাগুলো চোখে পড়িনি। অনেক দেরীতে হলেও কাজটা করছি।একটু দেখবেন।http://www.somewhereinblog.net/blog/pialahmed007/29861949
২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৪৬
মেহেদী পরাগ বলেছেন: আপনার পোস্ট তো পড়লাম। দুনিয়ার কথা লিখে ভরে ফেলছেন। কই, আমার পোস্টের কোন পয়েন্ট নিয়ে তো কিছুই নাই। ভুল ধরলেন কই?
২১| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:২৭
পিয়াল আহমেদ বলেছেন: View this link
২২| ৩০ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৫
একজন আহমদী মুসলিম বলেছেন: নাউযুবিল্লাহ, আপনি কীভাবে ইসলামের সবচেয়ে শুদ্ধ হাদীসের বইয়ের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আনলেন? সিহাহ সিত্তাহর সবচেয়ে ওপরে স্থান বুখারী শরীফের।
পারলে ইমাম বুখারী(র) -এর প্রকৃত জীবনী পড়ুন, নোংরা অপপ্রচার বন্ধ করুন। আপনার মতো লোকেদের জন্যই ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা নিয়ে লোকে প্রশ্ন তোলে।
২৩| ২৭ শে জুন, ২০১৭ রাত ১২:৪৪
শিশির৫৪ বলেছেন: যারা ধোকায় পড়েছেন, তাদের জন্য নিচের লিঙ্কগুলি। সব ধোকা কেটে যাবে আশা করি। যারা বুখারী কে বিকৃত গ্রন্থ বলেন, তাদের ঈমান নিয়ে আমার সংশয় আছে।
ইলমে হাদীছ- ১ম পর্ব
https://www.youtube.com/watch?v=Do-ujrXcO_U
ইলমে হাদীছ ২য় পর্ব (হাদীছ সংকলন সংক্রান্ত অভিযোগের জবাব)
https://www.youtube.com/watch?v=5hGFGFSZ_Wk
ইলমে হাদীছ- ৩য় পর্ব (ছাহাবীগণের যুগে হাদীছ শাস্ত্র)
https://www.youtube.com/watch?v=J2hDznBzS7s
ইলমে হাদীছ- ৪র্থ পর্ব (মুয়াত্তা মালেকের পরিচয়)
https://www.youtube.com/watch?v=02cnfxZ1krI
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৪৭
শার্ক বলেছেন: Yeah all the hadiths are wrong and all the books written by your PIR are shahi. Absolutely correct as you people think we eat grass thats why we give vote to Awamileague, BNP, Jamaat.
ha ha
Very funny article.
Did you ever think on the sources you mentioned. I think you are not as Satan do no release anyone like.