নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভাল কাজ করুন।

ভাল কথা বলুন

মেহেদী পরাগ

আলাদা পরিচয়ে নয় আমার লেখার মাধ্যমেই আমাকে জানুন।

মেহেদী পরাগ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুসলিম হয়েও যে কারণে শরিয়া আইন চাইনা।

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:২০

শরিয়া আইন বলতে আল্লাহর আইন বুঝানো হলেও ভালভাবে পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায় এটা মানব রচিত আইন। এই আইনে ন্যায় বিচার পাওয়া সম্ভব নয়। এই আইনে অনেক ফাঁক ফোকর আছে। শরিয়ার সমস্যাগুলো পর্যায়ক্রমে ব্যাখ্যা করা হলঃ



শরিয়া আইনে অপরাধের বিচার তিনটি ভাগে বিভক্ত।



১) হুদুদঃ যেসব অপরাধের শাস্তি কোরান বা হাদিস দ্বারা নির্ধারিত বলে দাবী করা হয়। অপরাধ ও শাস্তি গুলো হচ্ছে-

চুরি- হাত কেটে ফেলা

ডাকাতি- হাত কেটে ফেলা

জিনা- অবিবাহিত হলে ১০০ বেত্রাঘাত

জিনা- বিবাহিত হলে পাথর নিক্ষেপে হত্যা

মিথ্যা জিনার অভিযোগ আনা- ৮০ বেত্রেঘাত

ধর্ষন- পাথর নিক্ষেপে হত্যা

মদ খাওয়া- ৮০ বেত্রাঘাত

মুরতাদ- মৃত্যুদন্ড



আপাত দৃষ্টিতে আইনের বিচারগুলো ঠিক মনে হচ্ছে। তবে এখানে সমস্যা হচ্ছে অপরাধ প্রমাণ করার উপায়। শরিয়া বলে যে জিনা বা ধর্ষনের অপরাধ প্রমাণের জন্য ৪ জন ভাল চরিত্রের চাক্ষুষ পুরুষ সাক্ষী ছাড়া অন্য কোন প্রমাণ গ্রহণযোগ্য নয়, হাজার মহিলা সাক্ষীতেও কাজ হবেনা। এমনকি ধর্ষনের বেলায় মেডিকেল বা ডিএনএ টেস্টও প্রমাণ হিসেবে নেয়া যাবেনা। মেয়ের প্রেগন্যান্সিও প্রমাণ হিসেবে নেয়া যাবেনা। তাহলে একটা কেস স্টাডি চিন্তা করা যাকঃ নির্জন রাস্তায় এক নারী ধর্ষণের শিকার হল। এই নারী শরিয়া কোর্টে বিচার চাইলে তাকে চারজন সৎ চরিত্রের পুরুষ সাক্ষী যারা অবশ্যই লিংগ প্রবেশ পর্যন্ত দেখেছে তেমন লোক জোগার করতে হবে। প্রমাণ জোগাড় করতে না পারলে এই মেয়েটিকেই বরং জিনার শাস্তি প্রয়োগ করা হয় কেননা সে ধর্ষনের মাধ্যমে হলেও যৌনকর্মের কথা স্বীকার করেছে। ধর্ষক কিছু টাকা জরিমানা দিয়ে দিব্যি বেঁচে যায়। প্রশ্ন হচ্ছে চারজন সাক্ষী রেখে কে ধর্ষণ করে? আর যেসব লোক এমন ক্লোজ ডিসটেন্সে ধর্ষন করতে দেখেও মেয়েটিকে বাঁচাতে যায়না তারা কেমন সৎ চরিত্রের অধিকারী? এই আইনের সুযোগ নিয়ে সৌদি আরবে প্রচুর ধর্ষন হয় কিন্তু সেগুলো মিডিয়াতে যায়না কারণ ধর্ষিতার পক্ষে ধর্ষন প্রমাণ করা সম্ভব না। এই আইনের আরও বড় সমস্যা হচ্ছে মিথ্যা সাক্ষী দিয়ে কাউকে সহজেই ফাঁসানো যায়। সত্য ঘটনা নিয়ে বানানো এমন চমৎকার একটা মুভিঃ দ্য স্টোনিং অফ সুরাইয়া এম দেখতে পারেন।



পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায় এটা আল্লাহর আইন না। কারণ আল্লাহ কোথাও বলে দেননি যে অপরাধের প্রমাণ হিসেবে মেডিকেল, ভিডিও বা অন্যান্য কোন আলামত নেয়া যাবেনা। এইসব বাজে ক্রাইটেরিয়া শুধুমাত্র মানুষ্য নির্মিত।



২) কিসাসঃ এটা হচ্ছে চোখের বদলে চোখ, জানের বদলে জান। কিছু নমুনা অপরাধ হচ্ছে-

খুন- মৃত্যুদন্ড

এসিড নিক্ষেপ- ডাক্তারি তত্বাবধানে এসিড দিয়ে ঝলসে দেয়া।



কিসাস আইনের আওতায় দিয়াত নামে একটি অপশন আছে যার অর্থ রক্তমূল্য বা ব্লাডমানি। অর্থাৎ যদি নিহত ব্যক্তির সন্তান বা পরিজন খুনিকে ক্ষমা করে দেয় তাহলে নির্ধারিত অঙ্কের টাকা পরিশোধ করে খুনি ক্ষমা পেতে পারে। এই দিয়াত পদ্ধতির কারণেই শরিয়া আইনে বড় একটা ফাঁক সৃষ্টি হয়েছে যার সুযোগে অনার কিলিং ইসলামে বৈধ হয়ে গিয়েছে। অনেক স্বল্পজ্ঞানী মোল্লা অনার কিলিং ইসলামে বৈধ নয় দাবী করলেও তারা আসলে জানেনা যে শরিয়া আইনের বইতেই সুস্পষ্ট অক্ষরে অনার কিলিং এর অনুমতি দেয়া আছে। অনার কিলিং মানে হচ্ছে পরিবারের সম্মান রক্ষার অজুহাতে বাবা কিংবা ভাই কর্তৃক সেই পরিবারের কণ্যাকে হত্যা করা। সাধারণত মেয়েরা প্রেম করলে বা এরেঞ্জড ম্যারিজে রাজী না হলে বা ধর্ষিতা হলে অনার কিলিং করা হয়। পাকিস্তান, তুরষ্ক ও মিশর সহ অন্যান্ন অনেক মুসলিম দেশে ইসলামের নামে বছরে অন্তত ১ হাজার মেয়ে অনার কিলিং এর শিকার হয়। প্রশ্ন আসতে পারে যে অনার কিলিং কিভাবে বৈধ? যদি বাবা কণ্যাকে হত্যা করে তখন দিয়াত আইনের আওতায় ছেলে বাবাকে ক্ষমা করে দেয়, তাই এই ধরনের হত্যাকান্ডে পুলিশও নাক গলাতে আসেনা। পুলিশ নাক গলালেও শরিয়া আইনের ক্ষমতা নেই সেই পাষন্ড খুনি বাবার শাস্তি নিশ্চিত করা। এটা কি কখনো আল্লাহর আইন হতে পারে?



৩) তাযিরঃ যেসব অপরাধের শাস্তি কোরান হাদিসে নির্ধারিত নয় সেগুলোর জন্য বিচারক নিজের বিবেচনায় কিছু গাইডলাইন মেনে শাস্তি নিরুপণ করেন। এমন কিছু অপরাধ হচ্ছে ঘুষ, দূর্নীতি, সুদ, জুয়া ইত্যাদি। এখানে বুঝাই যাচ্ছে এই আইনগুলো মানব রচিত। তাহলে দেশের বর্তমান আইনের সাথে এর পার্থক্য রইল কি? আর এটাকে আল্লাহর আইন বলার কারণটাই বা কি?



------------------



অপরাধীর বিচার করা ছাড়াও তালাক ও উত্তরাধিকার সূত্রে সম্পত্তির বন্টন নিয়ে সমস্যার মিমাংসা করে শরিয়া আইন। এখানেও আছে মারাত্মক সমস্যা। শরিয়ার তালাকের আইন কোরান ও হাদিসের সাথে সাংঘর্ষিক। বিস্তারিত প্রমানের জন্য সুন্দর এই ইংরেজি নাটকটি দেখুন। http://www.youtube.com/watch?v=Z49zUQDq1OA । নাটকে রেফারেন্স দেয়া আছে।

এছাড়া শরিয়া আইনের ত্রুটি নিয়ে আরেকটি বাংলা নাটক দেখতে পারেন।

Click This Link

Click This Link

Click This Link



--------------------------



চারটি সুন্নি মাযহাব বা শরিয়া আইন বই এর মাঝে আছে অনেক অনেক কন্ট্রাডিকশন। কিন্তু আল্লাহর আইন এর মাঝে কি কন্ট্রাডিকশন থাকতে পারে? মাযহাব গুলোর মাঝে কিছু উদ্ভট আইনের কথা বলিঃ



ক) শাফি আইনে মেয়েদের সুন্নতে খৎনা করা বাধ্যতামূলক, হাম্বলি ও হানাফি আইনে সুন্নত।

খ) হানাফি আইনে মাহরাম পুরুষ (যাদের সাথে বিয়ে নিষিদ্ধ যেমন বাবা,চাচা,ভাই) এর সামনে নারীর পর্দা হচ্ছে নাভী থেকে হাঁটু পর্যন্ত। অর্থাৎ বাবা,চাচা,মামা,ভাই বা সন্তান এর সামনে মেয়েরা চাইলে বুক খুলে স্তন দেখিয়ে চলাফেরা করতে পারবে।

গ) ইসলামী রাস্ট্রপ্রধান এর জন্য চুরি, ডাকাতি, খুন, ধর্ষন ইত্যাদি হুদুদ মামলায় শাস্তি দেয়া জায়েজ না।

ঘ) শাফি আইনে একটি বিষেশ অবস্থায় নিজের ঔরষজাত কন্যাকে বিয়ে করা (ইনসেস্ট বা অজাচার) জায়েজ। যেমন, দুই অবিবাহিত নারী পুরুষ যদি জিনা করে তবে তাদের ১০০ করে চাবুক মারা হবে। কিছুদিন পর যদি মেয়েটি গর্ভবতী হয়ে কণ্যা জন্ম দেয় তবে সেই জিনাকারী পুরুষ কণ্যাটির বাবা বলে বিবেচিত হবেনা। তাই কণ্যাটি বড় হলে সেই পুরুষ নিজ ঔরষজাত কণ্যাকে শরিয়ত সম্মতভাবে বিয়ে করতে পারবে।



এগুলো ছাড়াও হাজার হাজার উদ্ভট ও হাস্যকর অযৌক্তিক আইন দিয়ে ভর্তি এই শরিয়া আইন। মুসলিমরা ভুলভাবে মনে করে যে শরিয়া হচ্ছে আল্লাহর আইন। তাই শরিয়া আইন বাস্তবায়নের স্বপ্ন নিয়ে যেসব দল রাজনীতি করে, যেমন জামাতে ইসলামী সহ অন্য ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল সেগুলোকে না বলার সময় এসেছে। মনে রাখবেন শরিয়া কে না বলা মানে ইসলামকে না বলা নয়।

মন্তব্য ৬১ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৬১) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৩৯

ইউরো-বাংলা বলেছেন: এসব আইন কি বিশ্বের কোথাও বলবৎ আছে ?

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৪৬

মেহেদী পরাগ বলেছেন: এসব আইন অনেক দেশেই খুব ভালভাবেই বলবৎ আছে। ইরানে আজও পাথর নিক্ষেপে হত্যা করা হয়। সৌদিতে চোরের হাত কাটা হয়। পাকিস্তান, তুরষ্ক, মিশরে হাজার হাজার মেয়ে খুন হয় বাবা বা ভাই এর হাতে। এই দেশ গুলোতে কড়া শরিয়া আইন চালু আছে। এছাড়াও নাইজেরিয়া, মিশর সহ আরও প্রায় ৫৪ টি দেশে কমবেশি শরিয়া আইন চালু আছে।

২| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:১৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
১০০% শরিয়া আইন কোন দেশেই চালু নেই।

পাকিস্তান, তুরষ্ক, মিশর, ইয়ামেন, ইরান ও আফগানে আছে বিচ্ছিন্ন ভাবে। যার যার সুবিধা মত একেক দেশে একেক রকম শরিয়া আইনের বর্বর ধারা গুলো চালু রেখেছে।

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:২৬

মেহেদী পরাগ বলেছেন: সমস্যা হচ্ছে ওহাবী/সালাফি, আহলে হাদীস, জামাতে ইসলামী ইত্যাদি মতাদর্শের লোকেরা স্বপ্ন দেখে বাংলাদেশে ১০০% শরিয়া আইন চালু করার। এই বর্বর আইন কোনদিন সাধারণ মুসলমানরা মেনে নেবেনা।

৩| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:২৬

খেয়া ঘাট বলেছেন: প্রশ্ন হচ্ছে চারজন সাক্ষী রেখে কে ধর্ষণ করে? আর যেসব লোক এমন ক্লোজ ডিসটেন্সে ধর্ষন করতে দেখেও মেয়েটিকে বাঁচাতে যায়না তারা কেমন সৎ চরিত্রের অধিকারী?
+++++++++++++++

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:২৯

মেহেদী পরাগ বলেছেন: এ প্রশ্নগুলো খুব স্বাভাবিক ভাবেই মনে আসার কথা, কিন্তু কি এক অদ্ভুত কারণে ইমামগণ এইসব প্রশ্ন বিবেচনায় নিলেন না সেটাই বোধগম্য নয়।

৪| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৩১

কষ্টবিলাসী বলেছেন: আপনি তেমন কিছু জানেন না, মন্তব্যকারীরাও না জেনে মন্তব্য করছেন। আপনারা কিউই ইসলামিক স্কলার নন। কাজেই এরকম সেনসিটিভ ব্যাপারে ক্লিয়ার না জেনে পোষ্ট/মন্তব্য করা উচিৎ নয়।

ধন্যবাদ।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:১৭

মেহেদী পরাগ বলেছেন: আপনি বলে দিলেই প্রমাণ হয়না যে আমি কিছু জানিনা। আমার লিখাই প্রমাণ করে আমি জানি কিনা। আপনি পারলে আমার ভুল দেখান তাহলে বুঝা যাবে আপনি জানেন।

আপনি কি তাহলে নিজের সন্তানকে হত্যা করতে পারবেন? আপনি নিজের মা বোনের নগ্ন স্তনের দিকে তাকাতে পারবেন? নিজের কণ্যার মুসলমানী করাতে পারবেন? এসব কাজ আপনি বৈধ মনে করেন? আপনার অতি সত্বর মানিসিক চিকিৎসা নেয়া প্রয়োজন।

ইসলামিক স্কলাররাই এখন হুদুদ আইন বাস্তবায়নের বিপক্ষে। সৌদি আরবের মত কড়া শরিয়ত পন্থি দেশে পর্যন্ত পাথর নিক্ষেপে হত্যা করা হয়না। মালয়েশিয়াতে শরিয়া আইন আছে কিন্তু হুদুদ আইন নেই। পাকিস্তানে প্রায় সকল বিষয়ে শরিয়া আইনে বিচার হয় কিন্তু চোরের শাস্তি হাত না কেটে চোরকে জেলে ঢুকানো হয়। সুদানে এককালে চোরের হাত কাটা হত তবে এখন সেটা বাতিল করা হয়েছে। এগুলো কাদের নির্দেশে হয়েছে? ইসলামিক স্কলারদের নির্দেশেই হয়েছে।

৫| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৩৪

খেয়া ঘাট বলেছেন: কষ্টবিলাসী ভাই,
আসলেই ডিটেলস জানার ইচ্ছা। যদি একটু ব্যাখ্যা করেন তাহলে ভুল ধারণা দূর হয়।

"প্রশ্ন হচ্ছে চারজন সাক্ষী রেখে কে ধর্ষণ করে? আর যেসব লোক এমন ক্লোজ ডিসটেন্সে ধর্ষন করতে দেখেও মেয়েটিকে বাঁচাতে যায়না তারা কেমন সৎ চরিত্রের অধিকারী?
+++++++++++++++" -এই জিনিসটা একটু বিশদ বুঝিয়ে দিবেন কি?

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:২৮

মেহেদী পরাগ বলেছেন: চারজন সাক্ষীর ব্যাপারটা হচ্ছে একটা প্রহসন। এই আজব আইনের কারণে লক্ষ লক্ষ ধর্ষিতা কোন বিচার পাচ্ছে না। বিচার চাইতে গেলে বরং ধর্ষিতাকেই ১০০ ঘা চাবুক মারা হয় আর বিবাহিত হলে পাথর নিক্ষেপে হত্যা করা হয়। এটা কি কোন ন্যায় বিচার? এই বর্বর আইনের কারণে বাংলাদেশ,পাকিস্তান,সৌদি আরব, ইরান ইত্যাদি দেশে অনেক মেয়ে অবিচার এর স্বীকার হয়েছে, এখনো গুগল করলে এমন কত ঘটনা বের হয়ে আসে!

৬| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৪২

কলাবাগান১ বলেছেন: "কারণ আল্লাহ কোথাও বলে দেননি যে অপরাধের প্রমাণ হিসেবে মেডিকেল, ভিডিও বা অন্যান্য কোন আলামত নেয়া যাবেনা। এইসব বাজে ক্রাইটেরিয়া শুধুমাত্র মানুষ্য নির্মিত।"

"প্রশ্ন হচ্ছে চারজন সাক্ষী রেখে কে ধর্ষণ করে? আর যেসব লোক এমন ক্লোজ ডিসটেন্সে ধর্ষন করতে দেখেও মেয়েটিকে বাঁচাতে যায়না তারা কেমন সৎ চরিত্রের অধিকারী? "

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৩৪

মেহেদী পরাগ বলেছেন: শরীয়া আইনের বইগুলোতে প্রায় ৬ হাজার আইন আছে যার মাঝে হাতে গোনা কয়েকটা শুধু আল্লাহর থেকে নেয়া। বাকি সবই মানুষ্য আইন।

ধর্ষনের সাক্ষী শুধু পুরুষ হতে হবে কেন? মেয়েরা কি এতই সস্তা? হাজার হাজার মেয়ের সামনে ধর্ষন করলেও পুরুষ সাক্ষীর অভাবে ধর্ষক বেঁচে যাবে, এটা কোন সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষ চিন্তা করতে পারে?

৭| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:০১

কুচ্ছিত হাঁসের ছানা বলেছেন: অল্প বিদ্যা ভয়ংকরী।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৩৬

মেহেদী পরাগ বলেছেন: হ্যাঁ সত্য। তার মানে দুনিয়ার সব মুসলিম দেশের আলেমদের অল্পবিদ্যা? তাই তারা হুদুদ আইন বাস্তবায়ন করেনা?

৮| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৩৩

কষ্টবিলাসী বলেছেন: আপনি অনেক বাজে কথা বলেছেন। এতেই বোঝা যায় আপনি কেমন মানুষ আর আপনার উদ্দেশ্যই বা কি। আপনার সাথে কথা না বলাই শ্রেয়। আমার সব মন্তব্য ডিলিট করুন প্লিজ।

ভাল থাকুন এবং সঠিক জ্ঞানার্জন করুন।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৪০

মেহেদী পরাগ বলেছেন: বাজে কথাগুলোতো আমি নিজে বলিনি। এগুলো শরীয়া আইন। আপনি চাইলে বই খুলে দেখাতে পারি।

আইনে থাকলে গায়ে লাগেনা, বরং আমি কিছু জানিনা বলে দিলেন আর সেই একই আইনের কথা আপনাকে বললেই বাজে কথা হয়ে গেল? বড়ই আজব মানুষ আপনারা।

কমেন্ট ডিলিট করে আপনার মানসিক চিন্তাধারা লুকাতে চাইছেন? বরং সুস্থভাবে নিজের ভুল স্বীকার করুন তাহলেই সাধুবাদ পাবেন।

৯| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৩৮

মিতক্ষরা বলেছেন: "এই আইনের সুযোগ নিয়ে সৌদি আরবে প্রচুর ধর্ষন হয় কিন্তু সেগুলো মিডিয়াতে যায়না কারণ ধর্ষিতার পক্ষে ধর্ষন প্রমাণ করা সম্ভব না।"

সৌদি আরবে ধর্ষনের শাস্তি মৃত্যদন্ড। সৌদি আরবে সৌদি নাগরিকরা মোটামুটি ভাবে আইনের সেবা পেয়ে থাকে। বিপত্তি হল আমাদের মত মিসকীনদের বেলায়। সেটা ভিন্ন প্রসংগ।

আপনি যে বললেন ধর্ষন প্রমান করতে চারজন সাক্ষী লাগবে - এটা কোন দেশের আইন? সেরকমটি হলে খুবই নিন্দনীয়। ধর্ষন কোন সাক্ষ্য ছাড়াও ধর্ষিতার জবানবন্দীর মাধ্যমেও প্রতিষ্ঠিত হতে পারে যদি তা বিশ্বাসযোগ্য হয়। শাস্তির মাত্রা নির্ভর করবে পারিপার্শ্বিক সাক্ষ্য প্রমানাদির বিশ্বাসযোগ্যতার উপরে। ইসলামেও তেমনটি রয়েছে। আর চারজন সাক্ষ্যের কথা যা বললেন তা হল হুদুদের জিনা শাস্তির ক্ষেত্রে। যাতে চারজন সাক্ষ্য ব্যতিরেকে ডিএনএ বা সন্তান ধারন সহ অন্য কোন বিষয়কে প্রমানের মাধ্যম করা হয় নি। এটি নির্ধারিত শাস্তি। কিন্তু অশ্লীল অবৈধ সম্পর্ককারীদের চার জন সাক্ষ্য না পাওয়া গেলেও আইনের আওতায় আনা যেতে পারে সাধারন দন্ডবিধি আইনের মাধ্যমে। যা আপনি তাযীর বলে অভিহিত করেছেন। সাধারন দন্ডবিধির নিয়ম হল এর মাধ্যমে শাস্তি দেয়া হলে তা জিনার নির্ধারিত শাস্তির চেয়ে কম হওয়া হতে হবে। তাযীরকে মানব রচিত আইন বলতে পারেন তবে তাযীর আইনের মূল স্পিরিটও ইসলামী নৈতিকতা। যার ফলে সমকামিতা তাজির বা দন্ডবিধি আইনের অন্তর্ভূক্ত। সমকামিতার অনুমোদন দেয়া বরং ইসলামী আইনের বিপরীত।


" অনার কিলিং মানে হচ্ছে পরিবারের সম্মান রক্ষার অজুহাতে বাবা কিংবা ভাই কর্তৃক সেই পরিবারের কণ্যাকে হত্যা করা। সাধারণত মেয়েরা প্রেম করলে বা এরেঞ্জড ম্যারিজে রাজী না হলে বা ধর্ষিতা হলে অনার কিলিং করা হয়। পাকিস্তান, তুরষ্ক ও মিশর সহ অন্যান্ন অনেক মুসলিম দেশে ইসলামের নামে বছরে অন্তত ১ হাজার মেয়ে অনার কিলিং এর শিকার হয়। প্রশ্ন আসতে পারে যে অনার কিলিং কিভাবে বৈধ? "

পিতা, মাতা বা সরাসরি উর্ধ্বতন যদি সন্তান হত্যা করে তবে পিতা মাতার মৃত্যুদন্ড হয় না। পিতা মাতাকে যে অসীম সম্মান দেয়া হয়েছে এটা তারই একটি অংশ। খুব ব্যতিক্রম কিছু ক্ষেত্র, যেমন পিতা মাতার পরকীয়া ইত্যাদি কারনে সন্তানকে মেরে ফেলা হলে তাতে মৃত্যুদন্ড দেয়া যাবে কি যাবে না, তা নিয়ে ফিকাহবিদদের মতামত চাওয়া যেতে পারে। কিন্তু ব্যক্তিগত ভাবে আমি মনে করি এসব ক্ষেত্রেও মৃত্যদন্ডের বদলে কারাদন্ডই সঠিক শাস্তি। এছাড়া নিহত ব্যক্তির পরিজন যদি ক্ষমা করে দেয় তবে হত্যাকারীর মৃত্যুদন্ড হয় না। কারন মহামহিম আল্লাহ তায়ালা স্বয়ং এ অধিকার নিহতের পরিজনকে দিয়েছেন। বাংলাদেশে রাষ্ট্রপতি খুনের আসামীদের ক্ষমা করে দেন। ইসলামী আইনে মৃত্যুদন্ড রদ করার অধিকার একমাত্র নিহতের পরিজনের। কিন্তু এর মানে এই নয় যে হত্যাকারীর কারাদন্ড বা অন্য শাস্তি হবে না। সৌদি আরবে মনে হয় এই শাস্তি পাচ বছরের কারাদন্ড (যখন হত্যাকারীকে ক্ষমা করা হয়)। অনার কিলিং এর শাস্তি কি হবে তা সাধারন দন্ডবিধি আইনের বিষয়। কিন্তু একটি কথা সত্য। কোন অবস্থাতেই অনার কিলিং আইনের বাইরে থাকতে পারে না। কারন অনার কিলিং বিষয়টি ইসলামের মূল স্পিরিটের সাথে সাংঘর্ষিক।

বাংলাদেশের আইনী ব্যবস্থায় বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই ইসলামী আইনের নৈতিকতাকে আমলে নেয়া হয়েছে।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ২:০৮

মেহেদী পরাগ বলেছেন: সৌদি আরবে ধর্ষনের শাস্তি মৃত্যদন্ড। সৌদি আরবে সৌদি নাগরিকরা মোটামুটি ভাবে আইনের সেবা পেয়ে থাকে। বিপত্তি হল আমাদের মত মিসকীনদের বেলায়। সেটা ভিন্ন প্রসংগ।

ভুল বললেন। ধর্ষিতার পক্ষে চারজন পুরুষ সাক্ষী জোগাড় করা প্রায় অসম্ভব। তাই সৌদি মেয়েরা মোটেও ভালভাবে আইনের সেবা পাচ্ছেনা। বরং আমাদের দেশের মিসকীনরাই ভাল সেবা পায়, গ্রাম্য কিছু শালিশের ব্যতিক্রম ছাড়া।

আপনি যে বললেন ধর্ষন প্রমান করতে চারজন সাক্ষী লাগবে - এটা কোন দেশের আইন? সেরকমটি হলে খুবই নিন্দনীয়।

এটা কোন দেশের আইন না ভাই এটা সর্বজন স্বীকৃত শরীয়া আইন। আপনি মালিকি,শাফি,হানাফি,হাম্বলি বা শিয়া এই মাযহাবগুলোর যেকোন আইন বই খুললেই এর সত্যতা পাবেন। আপাতত গুগল করে দেখতে পারেন। আপনি শরীয়া আইনকেই নিন্দনীয় বলেছেন, আশা করি এই ধারণা বজায় রাখবেন। সৌদি এবং ইরানে এই আইন বলবৎ আছে।

আর চারজন সাক্ষ্যের কথা যা বললেন তা হল হুদুদের জিনা শাস্তির ক্ষেত্রে। যাতে চারজন সাক্ষ্য ব্যতিরেকে ডিএনএ বা সন্তান ধারন সহ অন্য কোন বিষয়কে প্রমানের মাধ্যম করা হয় নি।

আপনার জানায় ভুল আছে তবে আপনার চিন্তাধারা ঠিক আছে। ধর্ষন কিভাবে হুদুদের আন্ডারে চলে আসে লক্ষ করুন। ধর্ষিতা যদি শরিয়া কোর্টে বলে যে কে তাকে ধর্ষন করেছে তা সে জানেনা তাহলেতো বিচারের কোন বালাই থাকলনা। কিন্তু ধর্ষিতা যদি কারও বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ করে বলে যে ''অমুক আমাকে ধর্ষন করেছে'' তাহলে বুঝতেই পারছেন সত্য/মিথ্যা অভিযোগ কেসের আওতায় এটা হুদুদে চলে আসল। তাই ধর্ষিতাকে ৪ জন পুরুষ সাক্ষী জোগাড় করতে হবে প্রমাণের জন্য, অন্য কোন প্রমাণ গ্রহণযোগ্য নয়।

ধর্ষন কোন সাক্ষ্য ছাড়াও ধর্ষিতার জবানবন্দীর মাধ্যমেও প্রতিষ্ঠিত হতে পারে যদি তা বিশ্বাসযোগ্য হয়। শাস্তির মাত্রা নির্ভর করবে পারিপার্শ্বিক সাক্ষ্য প্রমানাদির বিশ্বাসযোগ্যতার উপরে। ইসলামেও তেমনটি রয়েছে।

কিছুটা ঠিক বলেছেন তবে আপনার কথায় পুরো ব্যাপারটার ভুলটা ধরা যায়না। ধর্ষিতা যদি চারজন সাক্ষী জোগাড়ে ব্যার্থ হয় কিন্তু ডিএনএ টেস্টে ধর্ষন প্রমাণ করতে সমর্থ হয় তাহলে হুদুদ আইনে বিচার না হলেও তাযীর আইনে এর বিচার হয়। কিন্তু ইজতিহাদের মাধ্যমে এযাবৎকাল বিচারটা একেবারেই হাস্যকর ভাবে করা হয়ে আসছে, তা হল ধর্ষককে দেনমোহর পরিমান অর্থ জরিমানা করা হয় আর টাকাটা সামাজিক কাজ বা মসজিদ নির্মানে ব্যায় করা হয়। কিন্তু ধর্ষিতা যদি ডিএনএ বা অন্য কোন প্রমাণ আনতেও ব্যার্থ হয় তাহলে মেয়েটিকে ১০০ ঘা চাবুক মারা হয় বা পাথর নিক্ষেপে হত্যা করা হয়।

কারন অনার কিলিং বিষয়টি ইসলামের মূল স্পিরিটের সাথে সাংঘর্ষিক।


এই শেষ লাইনে এসে সঠিক কথাটা বলেছেন। যে বিষয়টি ইসলামের মূল স্পিরিটের সাথে সাংঘর্ষিক তা কেন শরিয়া আইনে থাকবে? অন্যান্ন খুনের সাথে এই অনার কিলিং একেবারেই তুলনীয় নয়। অন্য খুনিকে নিহতের পরিবার মাফ করতেও পারে আবার নাও পারে, ৫০-৫০ সম্ভাবনা তাই এটা ঠিক আছে। কিন্তু অনার কিলিং এর ক্ষেত্রে খুনি নিশ্চিত হয়ে জেনে নেয় যে সে ক্ষমা পাচ্ছে। আর নিজ কণ্যা হত্যা করা তো অন্য কোন মানুষ হত্যা করার চাইতেও ঘৃণ্য। অনার কিলিং এর মাধ্যম্যে বাবার সম্মান বৃদ্ধি পায় এটা একেবারেই অযৌক্তিক কথা। অনার কিলিং অবশ্যই যাবজ্জীবন বা মৃত্যুদন্ডযোগ্য অপরাধ হওয়া উচিৎ।

১০| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:১৮

আম জনতা ব্লগ বলেছেন: আপনার কেন আবু জেহেল নমরুদ বা ফেরাউনের ও এসব ভালো লাগতোনা ৷ কথায় আছেনা অল্প বিদ্যা ভয়ংকর ৷ আমাদের ও তাই হয়েছে ৷ আপনি এত কথা না বলে শুধু বলুন আপনি শ্রষ্টাকে না দেখে বিশ্বাস করছেন না ৷ আচ্ছা নিজ বোনকে বিয়ে করা যে নিষেধ সেটা মানুষ কে কে বললো ৷ নিশ্চয়ই ধর্ম ৷ আপনি তো যুক্তি বাদী ৷ মানুষকে যুক্তি দেনতো ৷ কেন নিষেধ ৷ কত এক বালরাই তো এসব বলে কিন্তু মরার পর ঠিকই যানাযা দেয় ৷

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ২:১৭

মেহেদী পরাগ বলেছেন: আবু জেহেল নমরুদ বা ফেরাউনের এসব ভাল লাগতোনা কিভাবে জানলেন?

এত কথা বলবনা কেন? এই আইন এর মাধ্যমে যে ন্যায় বিচার পাওয়া যায়না সেটা তো হাতেনাতে দেখালাম, আর এটা যে আল্লাহর আইন না সেটাও প্রমাণ করলাম। এমনকি স্কলাররাও এই হুদুদ আইন বাস্তবায়নের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন, অনেকে নিচ্ছেন।

বোনকে বিয়ে করা কেন খারাপ সেটা বিজ্ঞান দিয়েই যুক্তি দেয়া যায়। এটা জেনেটিক্যালি খুবই ক্ষতিকর।

কিন্তু অযথা এসব বললেন কেন কিছু বুঝলাম না। দয়া করে প্রাসঙ্গিক আলোচনা করবেন।

১১| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৩:২৬

মিতক্ষরা বলেছেন: সৌদি আরবে ধর্ষনের শাস্তি মৃত্যুদন্ড এবং সেখানে সাধারন সৌদি নারীদের কেউ উত্যক্ত করে না সেটা আমি খুব ভালই জানি। আপনার জন্য লিংক দিলাম:

Click This Link

সৌদি লিগাল সিস্টেমে যে সমস্যা নেই আমি তা বলিনি। কিন্তু আপনি ধর্ষন প্রমানের জন্য যে চার সাক্ষীর কথা টেনেছেন ওটা ফাউল। সৌদি অনেক ক্ষেত্রে ভিকটিমকে সেভাবে সুরক্ষা দেয় নি। কিন্তু সেটা আর যাই হোক চারজন সাক্ষ্যের বাধ্যবাধকতার কারনে নয়। মনে রাখা প্রয়োজন পৃথিবীর কোন দেশেই বিচার ব্যবস্থা সম্পূর্ন নিখুত নয়। কিন্তু বাংলাদেশে মত এরকম অপরাধ করে পার পাওয়ার নজির সৌদিতে খুব বেশী নেই।


১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৮:০৪

মেহেদী পরাগ বলেছেন: সৌদি আরবে ধর্ষনের শাস্তি মৃত্যুদন্ড সেটা কি আমি অস্বীকার করেছি? আমি তো বরং সেটাই বলছি। সমস্যাটাতো শাস্তি নিয়ে না, সমস্যা হচ্ছে ধর্ষন কিভাবে প্রমাণ করা হয় তা নিয়ে। ধর্ষন এর বিচার অতি অবশ্যই হুদুদ এর আন্ডারে করা হয়। আর চারজন পুরুষ সাক্ষী বা নিজস্ব স্বীকারোক্তি ছাড়া অন্য কোন প্রমাণ জিনা/ধর্ষণ হুদুদ কেসে গ্রহণযোগ্য নয়।

আপনি যে লিঙ্ক দিলেন সেখানে কোথাও বলা হয়েছে যে ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে ধর্ষন প্রমানিত হয়েছিল? এইখানে শুধু মৃত্যুদন্ডের কথা বলা হয়েছে, কিভাবে প্রমাণ হয়েছে বলা হয়নাই। সৌদি পেনাল কোড পড়লেই বুঝতে পারতেন এই ধর্ষন প্রমানিত হয়েছিল চারজন সাক্ষী দ্বারা। আমি আপনাকে রিডিফ নিউজ লিঙ্ক দিচ্ছি দেখুন সৌদিতে কিভাবে ধর্ষন হয়। Click This Link

কিন্তু আপনি ধর্ষন প্রমানের জন্য যে চার সাক্ষীর কথা টেনেছেন ওটা ফাউল।


আমি রেফারেন্স দিচ্ছি যে ধর্ষন প্রমাণের জন্য ৪ জন সাক্ষী লাগবে। আন্দাজে ফাউল কথা বলেন কেন? উপরের লিঙ্কেও বলা আছে সৌদিতে ৪ জন সাক্ষী দিয়ে ধর্ষন প্রমাণ করা হয় তার পরও আপনার জন্য খাঁটি ইসলামিক রেফারেন্স দিলাম। আন্দাজে গায়ের জোরে কথা না বলে সত্যটা মেনে নিন, জোর করে মিথ্যা ইস্টাবলিশ করা যায়না।

(A) "Proof of Zina (adultery) or Zina Bil-Jabr (rape) liable to Hadd shall be one of the following:

(a) The accused makes confession or

(b) There are at least four Muslim adult male witnesses"[1]

(B) "Proof of adultery or rape liable to Hadd shall be one of the following:

(a) The accused makes confession, or

(b) There are at least four Muslim adult male witnesses."[2]

(C) "Punishment will take place when Zina or rape have been proved by witness."[3]

(D) Sharia Law rejects the witness of women in Hudood cases.[4]

(E) "The evidence of women is originally inadmissible on account of their weakness of understanding, want of memory and incapacity of governing."[5]

[1] Pakistan Hudood Ordinance VII of 1979 amended by Ordinance XX of 1980

[2] Codified Islami Law Volume 1 Law#133

[3] Ibid Law #135

[4] Hanafi Law-Page 176, 353, Shafi'i Law- page 638 Law#o.24.9, Criminal Law in Islam and the Muslim World -page 251, The Penal Law of Islam - Kazi Publications Lahore- page 44, 45, Tafsir of Translation of the Qura'an by Muhiuddin Khan pages 239 and 928

[5] The Penal Law of Islam - Kazi Publications Lahore- page 44 - 45

১২| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৩:৪২

এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল স্বর্ণা বলেছেন:
আমি অনার কিলিং নিয়ে একটা প্রেজেন্টেশান করেছিলাম! ছি! মানুষ কিভাবে পারে। অনার কিলিং শুধু ইসলামের নামে হয়না, ইন্ডিয়ায় অনেক অনার কিলিং হয়, অমুসলিমদের মধ্যে।

গতকাল একটা লেখা পড়লাম সামুতে। সমকামী ছেলেকে খুন করেছে বাবা। একজন ব্লগারকে দেখলাম বাবাকে বাহ, বাহ দিচ্ছে।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৮:১০

মেহেদী পরাগ বলেছেন: হ্যাঁ অন্য কালচারেও অনার কিলিং হয়, তবে অনার কিলিং এর ৯০% ই মুসলিমরা করে।

নিজেদের ভাল বলে দাবী করা মানুষের চিন্তাধারা যে কত অসুস্থ হতে পারে তা এই শরিয়া আইনগুলো না পড়লে বুঝা যায়না।

১৩| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৩:৪২

আলোকন বলেছেন: আপনি তো স্টকহোম ইউনিভার্সিটি, সুইডেন এ পি.এইচ.ডি করছেন। হয়তবা এতদিনে পি.এইচ.ডি করেও ফেলেছেন।

তো জনাব, একটা উত্তর দেন। একটা পি.এইচ.ডি করতে ক্লাস ১ থেকে কতবছর লাগে?

আজ কিছু পাবলিকের কথা-বার্তা শুনলে মনে হয়, ইসলামের মত অচ্ছুত জিনিস আর কিছু নাই।
টোটাল ২০ বছরের বেশি সময় লাগে একটা বিষয়ে পি.এইচ.ডি করতে। কিন্তু ইসলাম সম্পর্কে অপবাদ দিতে ২০ মিনিটও লাগে না। জাস্ট নীলক্ষেত থেকে ২০-৩০ টাকা একটা বই কিনে আনো আর সেইটার রেফারেন্স দিয়ে ইসলামের বদনাম শুরু কর।

আর আপনি তো এমনই এক মহান গবেষক, যিনি বাংলা নাটকের রেফারেন্স দিয়ে শরিয়া আইনের ত্রুটি বের করতেসেন

ইসলাম সম্পর্কে যদি আপনার জানার/বলার কিছু থাকত, যারা ইসলাম নিয়ে গবেষণা করেন, সৎ সাহস থাকলে তাদের সাথে গিয়ে নিজের জ্ঞান ঝাড়েন। ব্লগে উল্টা-পাল্টা কথা বলেন কেন?

জানি, আপনাকে উপদেশ দেয়া, আর কুত্তারে বলা "তোর লেজ সোজা কর" -এর মাঝে কোন পার্থক্য নাই। তারপরও বলি, যদি সত্যিই কিছু জানার/বলার থাকে, তাহলে যারা ইসলাম নিয়ে গবেষণা করেন তাদের সাথে ডিসকাস করেন।

আর ব্লগ কর্তৃপক্ষকে কী বলব!!
সরকারে কোন কিছু নিয়ে ব্লগে কেউ কিছু বললে, তাকে ব্যান মারতে তারা ১ মিনিট সময় নেন না।
কিন্তু ব্লগে দিনের পর দিন ইসলামের বদনাম করেন, কোন সমস্যা নাই। তখন ব্লগ মালকিনের "মতপ্রকাশের চ্যাতনা" দাড়ায়া যায়।

চালায়া যান। মাটির নিচে গেলে, কারো সুইডেনের পি.এইচ.ডি. -ও কাজে আসবে না। আর কারো নরওয়েজিয়ান জামাইও কাজে আসবে না।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৮:১৭

মেহেদী পরাগ বলেছেন: যে নাটকের কথা বলেছি সেটা এক গবেষকের (হাসান মাহমুদ) ২০ বছরের গবেষনার ফল। নাটক মানে এটা বিনোদনমূলক নাটক না, এইখানে হানাফি,শাফি,ইত্যাদি শরিয়া আইন থেকে প্রিষ্ঠা নাম্বার সহ রেফারেন্স দেয়া হয়েছে।

আর আপনার কি ধারণা ইসলামি শরিয়া কিতাবগুলো নীলখেতের ২০ টাকা দামের বই? মাথায় যদি ঘিলু থাকত তাহলে নিজেই বইগুলো কিনে যাচাই করে দেখতে পারতেন।

যারা ইসলাম নিয়ে গবেষনা বা ডিসকাস করে তাদের সাথেই আলোচনা করি। আপনার মত কারো সাথে না যার নিজের জ্ঞান নাই কিন্তু ভাব দেখায় অনেক কিছু জানি।

নেটে সার্চ করলে হাসান মাহমুদের সাথে ইসলামিক আলেমদের অনেক বিতর্ক ভিডিও পাবেন যেখানে এইসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে এবং আলেমরা শোচনীয় পরাজয়ের স্বীকার হয়েছেন। তো এগুলো দেখে কি বলবেন? মাটির নিচে গেলে আপনার মত অচিন্তাশীল মানেষের এ সবার আগে সমস্যা হবে কারণ আল্লাহ মানুষকে চিন্তা করার নির্দেশ দিয়েছেন।

১৪| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:৩৩

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন: খেয়া ঘাট বলেছেন: প্রশ্ন হচ্ছে চারজন সাক্ষী রেখে কে ধর্ষণ করে? আর যেসব লোক এমন ক্লোজ ডিসটেন্সে ধর্ষন করতে দেখেও মেয়েটিকে বাঁচাতে যায়না তারা কেমন সৎ চরিত্রের অধিকারী?
+++++++++++++++

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৫০

মেহেদী পরাগ বলেছেন: সুখের কথা হচ্ছে এই বর্বর আইনগুলো শরিয়া আইনের বই এর মধ্যে থাকলেও দু একটি ছাড়া কোন দেশেই এগুলোর প্রয়োগ নেই।

১৫| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৬

কামরুল ইসলাম রুবেল বলেছেন: আস্তাগফিরুল্লাহ, এই হচ্ছে শরীয়া আইন (আপনার কথা অনুয়ায়ী)। যদিও কিছু মন্তব্য দেখে কনফিউসড। দয়া করে আপনার কথাগুলোর রেফারেন্স দিন। নাটকের লিংক রেফারেন্স হিসেবে গ্রহণযোগ্য নয়।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ ভোর ৫:০৬

মেহেদী পরাগ বলেছেন: এটাই শরিয়া আইন। রেফারেন্স দিচ্ছি। নিচের ১৮ নং কমেন্টের মুদদাকির এর জবাবে রেফারেন্স দিব।

১৬| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:৩৯

কাফের বলেছেন: উপরে অনেকে ব্যক্তিআক্রমনাত্মক মন্তব্য করছেন কেন বুঝতে পারলাম না!

লেখক এখানে তথ্য ও যুক্তি সহকারে শরিয়া আইনের সমালোচনা করেছেন আপনারাও শরিয়া আইনের পক্ষে তথ্য সহ যুক্তি দিয়ে এই পোষ্টের সমালোচনা করেন।

অযথা ব্যক্তি আক্রমন করে নিজেরাই যে অল্প বিদ্যা ও বুদ্ধির তা প্রমাণ করে যাচ্ছেন!

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ ভোর ৫:০৮

মেহেদী পরাগ বলেছেন: আফসোস আর আফসোস। অনেকেই ভয়ঙ্কর সত্যি কথা সহ্য করতে পারেনা।

১৭| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:০৪

নিকষ বলেছেন: যে চার জন স্বাক্ষীর কথা বলছেন ঐটা ধর্ষণের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য না।


এই জিনিষটা প্রযোজ্য যখন আপনি আপনার স্ত্রীর বিরুদ্ধে ব্যাভিচারের অপরাধ আনবেন। তখন অভিযোগকারীর (যে ব্যভিচারের অভিযোগ তুলেছে) দায়িত্ব চারটা স্বাক্ষী হাজির করা; অভিযুক্তর না। রেফারঃ সুরা নূর।


শরিয়া ব্যক্তিগত ভাবে আমার অপছন্দের খাতায়, এবং এই বিষয়ে আমার নিজস্ব রিজনিং আছে। কিন্তু উলটা পালটা, সত্য মিথ্যা মিলাইয়া এটা কোন জাতের লেখাই হয় নাই।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ ভোর ৫:১১

মেহেদী পরাগ বলেছেন: আপনার কথা কোরান অনুযায়ী ঠিক আছে তবে শরিয়া আইন শুধু কোরান দিয়ে চলেনা। সকল মাযহাবেই ধর্ষনকে ব্যাভিচারের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। নিচের মন্তব্যটির রেফারেন্স সহ উত্তর দিয়েছি সেটা পড়লে আপনি নিজের ভুল ভুঝতে পারবেন।

১৮| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:২০

মুদ্‌দাকির বলেছেন: উপযুক্ত রেফারেন্স থাকা উচিৎ , তাই নয় কি ?? কারন সবার ঘরেতো আর শরিয়া আইনের বই নাই !! ব্যাপারটা সেন্সেটিভ !! আর আপনি সুইডেনে পি এইচ ডি করেন বলেই আপনাকে আইনের ব্যাপারে সবাই জ্ঞানী ভাববে না। আর পাকিস্তানি ল এর রেফারেন্স দিবেন না। দিলে কুরয়ান হাদিস থেকে দিবেন!!

উপযুক্ত রেফারেন্স না থাকলে যারা আপনার বিপরিত চিন্তা করে তারা আপনাকে মুর্খ ভাববে, আর যারা কিছুই জানে না, তারা ভাববে আপনি মহা জ্ঞানী!!!!! ব্যাপারটা সেন্সেটিভ...............।।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ ভোর ৫:১৯

মেহেদী পরাগ বলেছেন: আপনি যেভাবে কোরান বা হাদিসের রেফারেন্স চেয়েছেন সেভাবেই দিব তবে এই রেফারেন্স কেউ মানবেনা, কেন মানবেনা সেটা ব্যাখ্যা করছি।

একটি ইসলামিক দেশে বিচার করেন কাজি। তিনি কিসের ভিত্তিতে বিচার করবেন? অবশ্যই কোরান ও সুন্নাহর ভিত্তিতে। কিন্তু কোরান ও হাদিসে পয়েন্ট আকারে কোন আইন করে দেয়া নেই আবার এমন অনেক সমস্যা আছে যার কোন উল্লেখ কোরান হাদিসে নেই। যেমন ধরুন উত্তর মেরুর কাছাকাছি দেশে নামাজ রোজা কিভাবে করতে হবে, বা ছবি তোলা বা মাইক ব্যবহার করা হালাল না হারাম ইত্যাদি। আবার এমন কিছু সমস্যা আছে যেখানে কোরান ও হাদিসের সমাধানের মধ্যে পার্থক্য আছে। যেমন ব্যাভিচার বা বিবাহ বহির্ভূত যৌনতার শাস্তির ক্ষেত্রে কোরানে সকল মুক্ত ব্যাভিচারিকে ১০০ চাবুক ও দাস-দাসী ব্যাভিচারিকে ৫০ চাবুক মারার কথা বলা থাকলেও হাদিসে বিবাহিত ব্যাভিচারিকে পাথর নিক্ষেপে হত্যার কথা বলা হয়েছে। তাই একজন কাজির পক্ষে বিচার করার কাজটা বেশ কঠিন এবং একই সমস্যার জন্য ভিন্ন ভিন্ন বিচার হয়ে যাওয়ার আশংকা থাকে। এটা সম্পূর্নই নির্ভর করে কোরান হাদিসকে কাজি কিভাবে ব্যাখ্যা করে তার উপর, একই সমস্যা কোরান হাদিসের আলোকে বিভিন্ন ভাবে ব্যাখ্যা করা যায়। তাই ইসলামের প্রথম দিককার সময়ে আলাদা আলাদা ভাবে চারজন ইমাম কোরান হাদিসের ব্যাখ্যা (ফিকাহ নামে পরিচিত) করে সুনির্দিষ্ট আইন প্রণয়ন করেন। এটাকেই ফিকাহ শাস্ত্র বলে আর চার ইমামের (ইমাম মালিক, ইমাম শাফি, ইমাম আবু হানিফা ও ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল) ফিকাহকে চার মাযহাব বলে। ফিকাহ শাস্ত্রে যেসব বিষয়ে কোরান হাদিসে কোন বিধান নেই সেগুলো আলেমদের সম্মিলিত মত (ইজমা) অথবা কোরান হাদিসে পাওয়া কাছাকাছি সমস্যার সাথে এনালজির (কিয়াস) মাধ্যমে সমাধান করা হয়। মূল সূত্র কোরান হাদিস হলেও যেহেতু চারজন ভিন্ন ইমাম আলাদা করে ব্যাখ্যা করেছেন তাই চার মাযহাবের আইনের মাঝে মিল থাকার পাশাপাশি অনেক অমিলও বিদ্যমান। তবুও সকল সুন্নি মুসলিমদের যেকোন একটি মাযহাব অনুসরণ করা বাধ্যতামূলক করেছেন প্রথম দিককার আলেমগণ। সেভাবেই উদাহরণসরুপ বাংলাদেশে হানাফি, সৌদিতে হাম্বলি, মালয়েশিয়াতে শাফি বা লিবিয়াতে মালিকি মাযহাব অনুসরণ করা হয়। উল্লেখ্য যে শিয়াদের জন্য ইমাম জাফরির নামে ভিন্ন একটি মাযহাব আছে যা ইরানে অনুসরণ করা হয়। তবে বর্তমানে সালাফি বা ওহাবী নামে একটি নতুন আন্দোলন বা দল আছে যারা এই চার সুন্নি মাযহাবকে অস্বীকার করে এবং বলে যে শুধুমাত্র কোরান ও সহিহ হাদিসের ভিত্তিতে শরিয়া আইন হবে। তাদের যুক্তি হচ্ছে মাযহাবগুলোর অনেক আইনই সহিহ হাদিসের ভিত্তিতে করা হয়নি বরং জাল হাদিসের ভিত্তিতে করা। সংক্ষেপে এই হচ্ছে শরিয়া আইন।

বাংলাদেশ ইসলামি ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রকাশিত বিধিবদ্ধ ইসলামি আইন হচ্ছে বাংলায় প্রকাশিত শরিয়া আইনের বই যা খুব কম মূল্যে ২১২ টাকায় কিনতে পারেন http://www.rokomari.com/book/20811 এখান থেকে যা আপনার বাসায় পৌছে দিয়ে যাবে। অথবা অনলাইনে Click This Link এই সাইট থেকে হানাফি আইনের হিদায়া বইটি ইংরেজিতে পড়তে পারেন। হিদায়া বইটি এতই গুরুত্বপূর্ণ ও পরিচিত যে ইসলামি আইন নিয়ে যারা একাডেমিক পড়াশুনা করে মুফতি বা মুজতাহিদ হতে চায় তাদের এই বইটি পড়া বাধ্যতামূলক। তাই যেকোন মাদ্রাসার সিলেবাসে এই বইটি পাবেন।

এবার এই পোস্টে শরিয়া আইনগুলো নিয়ে আমার কথার সপক্ষে রেফারেন্স।

১) ধর্ষন হুদুদ আইনের আওতায় কিনা এবং এটা প্রমাণ করতে ৪ জন সাক্ষী লাগে কিনাঃ

সব মাযহাবেই ধর্ষনকে যিনার পর্যায়ভুক্ত করে হুদুদ এর শাস্তি প্রদান করতে হবে এই মর্মে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। উপরোক্ত হিদায়া গ্রন্থে এর প্রমাণ পাবেন। তবে রেফারেন্সের জন্য এখন ফিকাহ শাস্ত্র পড়া আপনার জন্য কঠিন তাই ইবনে আবদ আল বার (রঃ) এর কথা কোট করছি-

The scholars are unanimously agreed that the rapist is to be subjected to the hadd punishment if there is clear evidence against him that he deserves the hadd punishment, or if he admits to that. Otherwise, he is to be punished (i.e., if there is no proof that the hadd punishment for zina may be carried out against him because he does not confess, and there are not four witnesses, then the judge may punish him and stipulate a punishment that will deter him and others like him). There is no punishment for the woman if it is true that he forced her and overpowered her, which may be proven by her screaming and shouting for help.

Al-Istidhkaar, 7/146

২) অনার কিলিং হলে শরিয়ত মৃত্যুদন্ড দেয় কিনাঃ

বাবা-মা, দাদা-দাদি বা নানা-নানি যদি পুত্র-কণ্যা বা নাতি-নাতনিকে খুন করে তবে মৃত্যুদন্ড হবেনা।
সূত্রঃ বিধিবদ্ধ ইসলামি আইন ১ম খন্ড, ধারা ৬৫- ক ও খ, শাফি'ই আইন পৃষ্ঠা ৫৮৪ আইন নং-o.1.2.4, সহিহ তিরমিজি হাদিস ৯৯৪ ও ৯৯৫।

৩) মেয়েদের মুসলমানি করা কি ইসলামে আছে?

হ্যা আছে। সূত্রঃ

শারিয়া আইন ই ৪.৩ (উমদাত আল সালিক, পৃঃ ৮৫৯):
খৎনা একেবারে বাধ্যতামূলক। (পুরুষ এবং মহিলা উভয়ের জন্যে। পুরুষদের জন্যে খৎনা হবে পুং জননেন্দ্রিয়ের আবরক ত্বক কর্তন করা। মহিলাদের খৎনা হবে ভগাঙ্কুরের আবরক ত্বক ছেদন দ্বারা। এর মানে নয় যে সম্পূর্ণ ভগাঙ্কুর কেটে ফেলা যেটা অনেকেই ভুলবশতঃ বলে থাকেন।) (হাম্বলিরা বলেন যে মহিলাদের খৎনা বাধ্যতা নয়—সুন্না। হানাফিরা বলে যে মহিলাদের খৎনা শুধুমাত্র স্বামীকে সম্মান দেখানোর জন্যে।)

সুনান আবু দাউদ, বই ৪১ হাদিস ৫২৫১:
উম আতিয়া আল আনসারিয়া বর্ণনা করেন:
মদিনার এক মহিলা মেয়েদের খৎনা করত। নবী (সাঃ) তাকে বললেন: “খুব বেশী কেটে দিবে না। কেননা এতে স্ত্রীর ভাল হবে এবং স্বামীও বেশী মজা পাবে।”

৪) মাহরাম পুরুষের সামনে মেয়েরা বুক না ঢেকে স্তন দেখিয়ে চলাফেরা করতে পারবে কিনা?

হ্যাঁ হানাফি আইনে এটা পারে। কোরানের সূরা নূর (২৪-৩১) এর ব্যাখ্যায় এই আইন হয়েছে।
সূত্রঃ হিদায়া ৪/৪৬১, আল ফতোয়া আল হিন্দিয়া ৫/৩২৮

৫) ইসলামী রাস্ট্রপ্রধান এর জন্য চুরি, ডাকাতি, খুন, ধর্ষন ইত্যাদি হুদুদ মামলায় শাস্তি দেয়া জায়েজ কিনা?

না জায়েজ না। সূত্রঃ
রাস্ট্রপ্রধানের বিরুদ্ধে হুদুদ মামলা করা যাবেনা।
বিধিবদ্ধ ইসলামি আইন ৩য় খন্ড নং ৯১৪গ, হানাফি আইন পৃষ্ঠা ১৮৮

৬) কোন ব্যক্তি কি নিজ ঔরষজাত অবৈধ কণ্যা সন্তানকে বিয়ে করতে পারে?

হ্যা শাফি'ই আইনে পারে। সূত্রঃ
According to shafi interpretation, marriage with one’s illegitimate daughter is not forbidden as the text (Quran-Al Nisa 4:23) only refers to a daughter through marriage. It would follow from this that the illegitimate daughter has no right to inheritance, and the rules of guardianship and custody would not apply to her. (Hashim Kamali, pp. 21 23. Hashim Kamali, is one of the most eminent scholars of Islamic Jurisprudence and currently the Professor of Islamic Law and Jurisprudence at International Islamic University Malaysia)

১৯| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৯

কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: আপনি শরিয়া আইন চান না বুঝলাম - তাহলে কী চান? পাশ্চাত্যের আইন, যেখানে ধর্ষনের তেমন কোন সাস্তিই নাই? বিবাহ বহির্ভুত যৌনতাতো বটেই এমনকি সমলিঙ্গের যৌনতারমত চরম অনৈতিক কাজও বৈধ? মদ, জুয়া, ভ্রুন হত্যা, পর্ণোগ্রাফী, পতিতাবৃত্তিতো কোন ব্যাপারই না।

আসলে আমরাতো অতি দ্রুত ঐ পথেই অগ্রসর হচ্ছি তাই না? এখন আপনিই বলুন আমাদের বিপদ কোন দিকে বেশী? পশ্চিমা সংস্কৃতি ও আইনে নাকি শরিয়া আইনে?

আর আপনি শরিয়া আইনের যে চিত্র তুলে ধরেছেন সেটা ঐ ভাবে সুনির্দিস্ট নয়। শরিয়তেই 'ইজমা', 'কিয়াস' এবং গবেষণার মাধ্যমে শরিয়া আইন যুগউপযোগী করার ব্যাবস্থা আছে। আমার মনে হয় শরিয়া আইনের বিরোধীতা করতে গিয়ে পশ্চিমা সংস্কৃতির আগ্রাসনকে স্বাগত না জানিয়ে আমাদের বরং শরিয়া আইনকেই কোরআন হাদীসের গবেষনার মাধ্যমে আরো যুগউপযোগী করেতোলার চেস্টা করা উচতি।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:১০

মেহেদী পরাগ বলেছেন: পাশ্চাত্য আইনে ধর্ষনের তেমন কোন শাস্তি নাই এই রকম তথ্য কই পাইলেন?

যে আইনে ধর্ষনের শাস্তি নাই সেই আইন আমি কখনোই সমর্থন করিনা।

১৪০০ বছরেও শরিয়া আইন ইজমা কিয়াস এর মাধ্যমে উন্নতি লাভ করেনাই। যদি করে তবে আমার চাইতে বেশি খুশি আর কে হবে? ভাল যেকোন আইনের প্রতিই আমার সমর্থন আছে, ধর্ম পালনের জন্য দেশে শরিয়া আইন থাকতেই হবে এমন কোন যুক্তি নাই। বাংলাদেশের অনেক ইমানদার লোক দেশে শরিয়া আইন ছাড়াই খুব সুন্দরমত ধর্ম পালন করছে।

হাদিসের ভিত্তিতেই ধর্ষনকে সাক্ষী/স্বীকারোক্তি দিয়ে প্রমাণ করতে ব্যর্থ হলে ইজমা/কিয়াসের মাধ্যমে ধর্ষকের জন্য মাত্র দেনমোহরের টাকা জরিমানা করা হয়। তো এটাকে উন্নত করে কি করা যায় বলে আপনার মনে হয়? আর হাদিসের কথা বাদ দিয়ে আলেমরা আপনার কথা শুনবে বলে কেন মনে করছেন?

২০| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:৫০

আলোকন বলেছেন: আপনি এত্ত বড় গবেষক, অথচ এটা জানেন না যে, ফিকাহ ও হাদিসের কিতাবগুলো একেক প্রকাশনীর ছাপা একেক রকম হওয়ায় খন্ড ও পৃষ্ঠা নাম্বারের সাথে প্রকাশনীর নাম এবং ছাপার সন উল্লেখ করতে হয়??

আর প্রকৃত গবেষকগন তাদের সমপর্যায়ের কারো সাথে আলোচনা করে। ব্লগের সাধারন মুসলমানদের সামনে উল্টাপাল্টা কথা বলে ইসলামের নামে চালিয়ে দেয় না।
যেখানে সাধারন মুসলমানদের অনেকেই গোসল ফরয হওয়ার কারন কী কী সেটা জানেন না। সেখানে, তাদের সামনে শরীয়া আইনের বিপক্ষে এইসব গোঁজামিলে পরিপুর্ন পোস্টের মানে কী?

আর শরীয়া আইনের মত ইসলামের একটা মৌলিক বিষয় নিয়ে আপনি এমন একটা পোস্ট লিখসেন, যাতে না আছে একটা আয়াত। না আছে একটা হাদিস। স্রেফ চাপার জোরে, যাচ্ছে-তাই অপবাদ দিলেন ইসলামের উপরে।

হুম, আল্লাহ তায়ালা বলসেন, চিন্তা করতে। কিন্তু ইসলাম মানা অথবা নামানা চিন্তার উপরে নির্ভরশীল না। ইসলামের কোন বিধান আপনার বুঝে আসুক, অথবা না আসুক, আপনাকে ইসলাম যা বলেছে তাই পালন করতে হবে।
আর যদি আপনার মনে হয়, ইসলামের যা আপনার বুঝে আসবে না, সেটা আপনি পালন করবেন না। তাহলে, কেউ প্রস্রাব করলে, ওযুতে তার প্রস্রাবের স্থান না ধুয়ে, মুখ, হাত-পা ধোয় কেন? মাথা মাসেহ করে কেন? জবাব দেন গবেষক সাহেব...

আপনাদের অবস্থা হচ্ছে ঐ ব্যক্তির মত, যে বাঘের ট্যাটু আঁকাতে গেসে। কিন্তু, হাত, পা, লেজ, মাথা একটা একটা বাদ দিতে দিতে পুরা বাঘই আঁকা বাদ দিয়ে দিসে।

কোন বিধর্মী ইসলাম নিয়ে মিথ্যাচার করলে খারাপ লাগেনা। কিন্তু আপনাদের মত মুসলিম ভেকধারি সো কলড গবেষক যখন সাধারন মুসলমানদের ইসলামের মৌলিক বিষয়গুলো নিয়ে বিভ্রান্ত করেন, তখন খারাপ লাগে।
বাংলাদেশের কত পার্সেন্ট সাধারন মুসলমান নামায পড়েন না?
তাদেরকে তো আপনারা কখনো বলেন না, কেয়ামতের দিন সর্বপ্রথম নামাযের হিসাব নেয়া হবে।
বাংলাদেশের কত পার্সেন্ট সাধারন মুসলমান যাকাত দেন না?
তাদেরকে তো আপনারা কখনো বলেন না, যাকাত আদায় না করার শাস্তি কত ভয়াবহ।
বাংলাদেশের কত পার্সেন্ট সাধারন মুসলমান রোযা রাখেন না?
তাদেরকে তো আপনারা কখনো বলেন না, রোযা না রাখার পরিনতি কী হবে।

ইসলামের মৌলিক স্তম্ভগুলো নিয়ে আপনারা কখন মুসলমানদের মাঝে সচেতনতা সৃস্টির প্রয়োজন মনে করেন না।
কিন্তু দিনরাত ৬-৯ বুঝ দিয়ে সাধারন মুসলমানকে বিভ্রান্ত করতে থাকেন।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:২০

মেহেদী পরাগ বলেছেন: মানুষ জানেনা বলেই জানাতে হয়। আমি লিখলেই যে আমার কথা বিশ্বাস করতে হবে এমন কোন কথা নাই, কিন্তু সবাই অন্তত যাচাই করার প্রয়োজনবোধ করবে। এই পোস্টে কোন গোঁজামিল নাই, আপনার জ্ঞান অতি সীমিত বলেই আপনি বুঝতেছেন না।

আর ইসলাম নিয়ে আমার ভাবনা আপনার সাথে মিলবেনা। নামাজ রোযা যাকাত নিয়ে যেসব বললেন সেগুলো নিয়ে কেউ কম লিখেনা। আমার অন্য পোস্টগুলো পড়ে তারপর বুঝতে পারবেন আমি কেন এবং কি কারণে কি লিখি।

আমার বিশ্বাস ইসলাম নিয়ে মানুষ ভুলের মধ্যে আছে, সে জন্যই ভুল ভাঙ্গাতে চাই। বিভ্রান্ত তো কেউ হচ্ছে না, শুধু আপনিই হচ্ছেন। আপনি বিভ্রান্ত হলে আর আমার ব্লগে আসার দরকার নাই, আপনাকে তো জোড় করে আনিনাই।

২১| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:১৪

আলোকন বলেছেন: আপনার গুরু হাসান মাহমুদের ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিওগুলো দেখলাম।
তিনি অনেক বড়বড় ইসলামিক আলেমদের সাথে ডিবেট করসেন!! যাদের নামও কেউ কখনো শুনে নাই :#)
ব্যাপারটা অনেকটা এইরকম, এই নে ৫০০টাকা। আমি তোরে যখন ক্যামেরার সামনে থাপ্পড় মারমু, তখন তুই শুইয়া পড়বি। যাতে সবাই বুঝে, আমার থাপ্পড়ের অনেক জোর। B-)

হাসান মাহমুদ সাব একজন ইসলামি গবেষক। যিনি কিনা আবার সঙ্গীত চর্চাও করেন। =p~ =p~ =p~
সঙ্গীতের ব্যপারে হাসান মাহমুদ সাবের কী মত?
আশা করি, "কুরআন ও হাদিসে সঙ্গীত চর্চার প্রতি প্রচন্ড উৎসাহ প্রদান করা হয়েছে" শীর্ষক একখানা গোঁজামিল পোস্ট অতিশীঘ্রই প্রসব করবেন আপনি। :>

আচ্ছা, পেমেন্ট কেমন দেয় হাসান মাহমুদ সাব? ;)

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:২৬

মেহেদী পরাগ বলেছেন: আপনি রাস্তার ছেলের মত কথা বলছেন। আরেকবার বলেন এবং আপনি উপযুক্ত ট্রিটমেন্ট পাবেন।

২২| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:৩২

আলোকন বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনার কথা কোরান অনুযায়ী ঠিক আছে তবে শরিয়া আইন শুধু কোরান দিয়ে চলেনা। সকল মাযহাবেই ধর্ষনকে ব্যাভিচারের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

ব্লগে ইসলামি মৌলিক কোন বিষয় নিয়ে তর্ক করা আমি উচিত মনে করি না। কেননা তাতে সত্যপ্রকাশের তুলনায় বিভ্রান্তিই বেশি ছড়ায়।
কিন্তু আপনার মিথ্যাচার সব সীমা পার করে দিসে।

কোথায় পাইসেন সকল মাযহাবেই ধর্ষনকে ব্যাভিচারের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে? রেফারেন্স দেন। কোন ত্যানা প্যাচাইবেন না। স্ক্যান করে/ স্ক্রিনশট নিয়ে প্রতিটা মাযহাবের মৌলিক কিতাবের রেফারেন্স দেন। আপনি যাচ্ছে-তাই টাইপ করে ফিকাহ কিতাবের নামে চালায়া দিবেন, আর মানুষ চেয়ে চেয়ে দেখবে?
দেখি, আপনার কত্ত জ্ঞান হইসে।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:১২

মেহেদী পরাগ বলেছেন: ধর্ষনকে ব্যাভিচারের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এই কথার মানে ধর্ষকের শাস্তি ব্যাভিচারির শাস্তির মত হবে। এত রেফারেন্স দিলাম তাও বুঝার ক্ষমতা নাই। ধর্ষন যে হুদুদ আইনের অপরাধ এটা এতই কমন একটা বিষয় যে এটা নিয়ে কেউ তর্ক করতে পারে সেটাই আপনার মত ... কে না দেখলে কোনদিন বিশ্বাস করতাম না।

আমি সরাসরি হাদিস দিয়ে দেখাচ্ছি যে ধর্ষন কিভাবে হুদুদ। দয়া করে চোখ দুইট খোলা রেখে পইড়েন।

হুদুদ এর সঙ্গা কি সেটা আগে একবার দেখে আসেন http://en.wikipedia.org/wiki/Hudud । যেসব অপরাধের শাস্তি কোরান বা হাদিসে সরাসরি বলা আছে সেগুলোকে হুদুদ বলে।

এবার দেখি ধর্ষনের ব্যাপারে হাদিস থেকে কি পাওয়া যায়।

আবু দাউদ শরীফের হাদিসঃ এই হাদিসে বলা আছে ধর্ষনের শাস্তি পাথর ছুঁড়ে হত্যা। কাজেই ধর্ষন হুদুদ এর মাঝে পড়ে।

সুনান আবু দাউদ, বুক ৩৮ হাদিস ৪৩৬৬

Narrated Wa'il ibn Hujr: When a woman went out in the time of the Prophet (peace_be_upon_him) for prayer, a man attacked her and overpowered (raped) her. She shouted and he went off, and when a man came by, she said: That (man) did such and such to me. And when a company of the Emigrants came by, she said: That man did such and such to me. They went and seized the man whom they thought had had intercourse with her and brought him to her. She said: Yes, this is he. Then they brought him to the Apostle of Allah (peace_be_upon_him). When he (the Prophet) was about to pass sentence, the man who (actually) had assaulted her stood up and said: Apostle of Allah, I am the man who did it to her. He (the Prophet) said to her: Go away, for Allah has forgiven you. But he told the man some good words (AbuDawud said: meaning the man who was seized), and of the man who had had intercourse with her, he said: Stone him to death. He also said: He has repented to such an extent that if the people of Medina had repented similarly, it would have been accepted from them.

২৩| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:৩৬

আলোকন বলেছেন: আজব পাবলিক তো আপনি!!

পুরা পোস্টে ১টা আয়াত বা ১টা হাদিস উল্লেখ না করেই, আপনি ইসলামের মৌলিক একটা বিষয় নিয়ে যাচ্ছে-তাই বললেন। আবার আমাকে বলতেসেন, "এই পোস্টে কোন গোঁজামিল নাই, আপনার জ্ঞান অতি সীমিত বলেই আপনি বুঝতেছেন না।"
নাকি আপনার ইসলামে কুরআন হাদিস লাগে না? জাস্ট মুখে যা আসে তা বললেই ইসলাম হয়ে যায়?

আপনাকে বললাম, স্ক্যান করে/ স্ক্রিনশট নিয়ে প্রতিটা মাযহাবের মৌলিক কিতাবের রেফারেন্স দেন।
আর আপনি আগের মতই WIKI আর একটা ওয়েবসাইটের রেফারেন্স দিয়ে দিলেন।
WIKI এবং কোন ওয়েবসাইট ইসলামিক কোন কিছুর রেফারেন্স হিসেবে কোন আলেমের মতেই গ্রহনযোগ্য না।
আপনি হুদুদ এর সংজ্ঞা দিতেসেন, WIKI থেকে। আমার জীবনে এই প্রথম কোন ইসলামিক গবেষক দেখলাম, যিনি ইসলামিক কোন পরিভাষার সংজ্ঞা WIKI থেকে দেয়।
হুদুদ এর শব্দমূল কী? জিন্স কী?
জীবনে আবু-দাউদ দেখসেন কখন?
নাকি এমন জায়গা-বেজায়গা থেকে ইংরেজি অনুবাদ পড়ে গবেষক হয়ে গেসেন?

আর, আপনি আমার প্রশ্ন এড়িয়ে যান কেন?
এত্ত বড় গবেষক আপনি। অথচ, আপনার গুরুর সঙ্গীত চর্চার ব্যাপারে ইসলামের কী অভিমত সেইটা জানেন না?
নাকি, সত্য স্বীকার করতে লজ্জা লাগে?

আপনাদের মত সুবিধাবাদি ইসলামিস্টদের অভ্যাস হলো, ইসলামের যেই বিধান পালন করা কঠিন মনে হয়, সেটাই ইসলামের বিধান না।

আর আপনার মত মাথামোটা মিথ্যাবাদিদের স্বভাব সম্পর্কে আমার খুব ভাল করে জানা আছে। উল্টাপাল্টা কথা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেস্টা করবেন। যখন কেউ প্রমান চাইবে, তখন তার কমেন্ট রিমুভ করে তাকে ব্লক করে দিবেন।

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৯:৪৫

মেহেদী পরাগ বলেছেন: আপনের মত বেকুব আর জীবনেও দেখি নাই। হাহাহা। আপনে পারলে কোরান থেকে একটা আয়াত আনেন যেখানে সঙ্গীত চর্চা নিষেধ করা হইসে। যদি না পারেন তা হইলে দূরে গিয়া মরেন।

এর পর হাদিস থেকে প্রমাণ আনেন যে ইসলামে সঙ্গীত নিষেধ। আপনি একটি হাদিস আনার সাথে সাথে আমি আরেকটি হাদিস আনব যেখানে বলা আছে সঙ্গীত হারাম না। তখন কি হইবে? কোন হাদিস মানবেন?

মুরোদ থাকলে প্রমাণ নিয়া আসেন। নাইলে ভাগেন।
______________________________________

আর হুদুদ মানে কি সেইটা ক্লাস ওয়ানের মাদ্রাসার ছাত্রও জানে। খালি আপনের মত বলদে জানেনা। বলদদের জন্য উইকি হল প্রাথমিক রেফারেন্স। আপনে যদি আপনের সমগ্র বিদ্যাবুদ্ধি আর বই দিয়া খালি একটা সঙ্গা বা প্রমাণ করতে পারেন যে আমার দেয়া হুদুদের সঙ্গা ভুল তাইলে আমি এই ব্লগ ছাইড়া বাইর হইয়া যামু।

২৪| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ২:০৭

আলোকন বলেছেন: গবেষক সাব,
মানুষ বিভ্রান্ত করতে হইলেও, সরাসরি কুরআন ও হাদিস থেকে রেফারেন্স দিতে শিখেন আগে।
কপি-পেস্ট, নাটক, আর ওয়েবসাইটের লিঙ্ক দিয়ে আর কতদিন চলা যায়?
আপনি যেসব লিঙ্ক দেন, সেসব যে কোন বিকৃতি ছাড়াই ইংরেজিতে অনুবাদ করা হয়েছে তার প্রমান কী?

পৃথিবীর অন্যতম ব্যাপক অর্থবোধক ভাষা হলো, আরবি।
শুধুমাত্র عين শব্দটিই ৭০টির বেশি অর্থবহন করে।
অনেকসময় ইচ্ছা থাকলেও অনেক আরবি শব্দের যথাযথ বাংলা/ইংরেজি শব্দ খুজে পাওয়া যায় না।
আর আপনি তো মানুষকে বিভ্রান্ত করার একটা নির্দিস্ট মিশন নিয়ে নামসেন। সুতরাং আপনার ক্ষেত্রে তো মূল ছাড়া অন্য কোনখানের রেফারেন্স মোটেও গ্রহনযোগ্য না।

সরাসরি আরবি আয়াত ও হাদিসের রেফারেন্স দেন। আপনার থেকে একটু জ্ঞান অর্জন করি। ;)

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৯:৫১

মেহেদী পরাগ বলেছেন: ইসলামিক স্কলারদের দ্বারা সংরক্ষিত ডাটাবেজের লিঙ্ক দিলাম আর বলদে কয় ট্রান্সলেশন নাকি ঠিক না। রেফারেন্স দেয়ার নিয়ম কি সেইটাও দেখি এই বলদায় জানেনা। বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রকাশিত আবু দাউদ শরিফের ৫ম খন্ডে কিতাব উল হুদুদ অধ্যায়ে দেখেন হাদীসে অনুবাদ ঠিক আছে কিনা। আমি বই,অধ্যায় এর নাম দিতেছি এটাই রেফারেন্স। আপনের কথায় বুঝা যায় আপনি জীবনেও বই পড়ে দেখেননাই।

আপনে বরং এই হাদিসের অনুবাদ আনেন। এই ইংরেজী অনুবাদ ভুল এমন একটা প্রমাণ যদি না আনতে পারেন তাইলে আপনেরে উষ্ঠা দেয়া হবে।

২৫| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:২৬

ভার্চুয়াল ফাইটার বলেছেন: এই আইনের সুযোগ নিয়ে সৌদি আরবে প্রচুর ধর্ষন হয় কিন্তু সেগুলো মিডিয়াতে যায়না কারণ ধর্ষিতার পক্ষে ধর্ষন প্রমাণ করা সম্ভব না।




প্রমান কই চৌধুরী সাহেব ???

আমি কইলাম মেহেদী পরাগ তার পিএইচডি করার সময় প্রতিদিন তার ষাঁড়ের কাছে ধর্ষতি হয় । কিন্তু লোক লজ্জা আর পিএইচডি করার জন্যে মুখ বুইঝা সহ্য করে ।

জয় বাংলা,জয় বঙ্গবন্ধু ।

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:৫১

মেহেদী পরাগ বলেছেন: লোল...আপনে সৌদিতে যাইয়া ধর্ষিত হইলে আপনে কি সেখানে প্রমাণ করতে পারবেন যে কেউ আপনের ...মাইরা দিছে? তবুও প্রমাণ যখন চাইছেন তাই দিলাম। এমন আরও বহু প্রমাণ আছে। তবে কমন সেন্স থাকলে কেউ এইখানে প্রমাণ চাইতনা। কারণ আইনের ফাঁক যেখানে আছে তার সুযোগ অপরাধীরা নেবেই।

Saudi Study: Nearly a Quarter of Children Raped; Up to 46% of Students Suffer from Homosexuality



Video translated from clip posted on YouTube in December 2008. Clip originally aired on the Arabic-language satellite station 'al-Hurra', on the program 'Misawa'.

২৬| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:০৮

আলোকন বলেছেন: বলদা,
কুরআন হাদিস থেকে সরাসরি মূল আরবিতে রেফারেন্স দিতে পারো না। আবার ইসলামিস্টগিরি ফলাও।
সামুতেই পারবা এইসব আবলামি দেখাইতে। আর ইউটিউবে নাটক আপলোড দিতে।

শোন বাবু,
তুমি যেই আবু দাউদ আবু দাউদ কইরা চিক্কুর পাড়তাসো। তোমার এই বাপে সেই আবু দাউদ মূল আরবিতেই পড়সে। এবং সে আরবিতেই রেফারেন্স দেয় এবং নেয়।
তোমার মত ২টাকার ওয়েবসাইটের রেফারেন্স দিয়া ইসলামি কোন কিছু প্রমান/রদ করে না।

আমি আজকে ৯০০টাকা দিয়া একটা ডোমেইন কিনে ওখানে লিখে দিলাম, "সুইডেনের স্টকহোম ইউনিভার্সিটির পোলাপান কইসে, মেহেদী পরাগ ওখানে জুতা চুরি কইরা গণধোলাই খাইসে"।
আর তোমার কথামত তখন প্রমান হইয়া যাইব, তুমি একটা জুতা চোর।
আবাল কোথাকার।

তুমি কোন কিসিমের আবাল, সেইটা তোমার সঙ্গীত চর্চা হালাল দাবি করা দেখেই বুঝা গেসে। বাংলাদেশের একটা মাদরাসার/আলেমের মত আমারে দেখাও, যে সঙ্গীত চর্চা হালাল বলসেন।
নাকি বাংলাদেশের কেউ ইসলাম বুঝে নাই। তুমিই বুঝসো?
আজ সঙ্গীত চর্চা হালাল কইতাসো। দুইদিন পরে লিভটুগেদার হালাল কইবা।

নিওরোকেমিস্ট্রি ও মলিক্যুলার বায়োলজিতে পি.এইচ.ডি কইরা ইসলামি মৌলিক বিষয়াদি নিয়া যেমন ইচ্ছা মিথ্যাচার করতেস।
পাবলিক জার্নালিজমে মেজর করা কাউকে দিয়া কেউ অপারেশন করায় না। কিন্তু নিওরোকেমিস্ট্রি ও মলিক্যুলার বায়োলজিতে মেজর করা একজন থেকে ইসলাম শিখে!!
ইসলাম এত অসহায় হয়ে গেসে যে, ইসলাম নিয়ে কথা বলতে কোন মেজর করা লাগে না। মুখে যা আসে তা বললেই ইসলাম হয়ে যায়!!

মুড়ি খাও গিয়া...

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:৪০

মেহেদী পরাগ বলেছেন: যা তোরে উষ্ঠা দিয়া বিষ্ঠায় ফালাইলাম।

জ্ঞান অর্জনের জন্য বই পড়তে হয়রে বোকা, আরবী ভাষা, হাদিস মুখস্ত, কোরান মুখস্ত এই সবের দোহাই দিয়া এখন আর বেইল পাওয়া যায়না। কম্পিউটার এমন এক চিজ যে বুদ্ধিমান কারো জন্য জ্ঞান অর্জন করার জন্য শুধু ইচ্ছা থাকাই যথেষ্ঠ।

২৭| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৯:১৭

ভার্চুয়াল ফাইটার বলেছেন: আফনে যে কইছেন আফনে মুসলিম । কোন তো দেখি আফনে মুসলিম । আর ইউটিউবের ২ তিনটা লিঙ্ক দিয়া মামলা খালাস । ইউ টিউবে একটা ভিডিও আপলোড কইরা এইডাও প্রমান করা যায়বো মেহেদী পরাগ বিছানায় রেগুলার শুইয়া পিছন দিক দিয়া গুতা খাই ।


View this link

View this link

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:৫২

মেহেদী পরাগ বলেছেন: শোনেন, যেকথা কেউ রিপোর্ট করেনা আর যেগুলো মিডিয়াতে আসেনা সেগুলো প্রমাণ করা কি এত সহজ? তবু আমি খুব স্ট্রং প্রমাণ দিলাম। এইটা একটা সৌদি টিভি চ্যানেল। এইখানে কোন প্রফেসর কোন ইউনি থেকে কোন স্টাডি করেছে তার রেফারেন্স দেয়া হয়েছে। এইখানে ইসলাম বিরোধি কোন আলোচনা হয়নাই, হইলে এরা কেউ জীবিত থাকতে পারতনা। সোউদি সরকারও এদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয় নাই। এরা শুধু সৌদি সমাজ কিভাবে আরও ভাল করা যায় বা বর্তমান অবস্থা নিয়ে আলোচনা করছিল। তাই অন্ধভাবে কোন কিছুর অনুকরন না করতে অনুরোধ করলাম।

আর আপনার যে লিঙ্ক তাতে ভাল করে পড়ে দেখেন কি লেখা আছে। আমি তো ধর্ষকের শাস্তি ইসলাম কি নির্দিষ্ট করেছে সেটা নিয়ে আপত্তি করিনি। আমি শুধু বলেছি কিভাবে ধর্ষণ প্রমাণ হয় সেটার ত্রুটি নিয়ে। আপনার লিঙ্কেই লিখা আছে ৪ জন সাক্ষী ছাড়া প্রমাণ হয়না। সেক্ষেত্রে ধর্ষককে শুধু দেনমোহরের টাকা জরিমানা করা হয়। তো এমন এক লিঙ্ক দিলেন যে সেটা আমার কথাকেই সাপোর্ট করে? হাহাহা।

আর একটু গুগল করলেই অনেক নিউজ লিঙ্ক পাবেন যেখানে দেখবেন যে কিভাবে ধর্ষিতারা শাস্তি পাচ্ছে সৌদিতে। আর বাপ নিজের ৫ বছরের কন্যাকে ধর্ষ করে খুনের পরেও মাত্র ৮ বছরের জেল। দুবাইতে নরওয়ের নারী ধর্ষিতা হয়ে পুলিশকে বলার পর সেই নারীকেই আটক করে জেলে ভরে দেয়। অনেক কষ্টে নারীটি দুবাই এর গভর্ণরের হস্তক্ষেপে মুক্তি পায়। তাকে এরপর দুবাই থাকতে অনুরোধ জানানোর পরেও সেই মহিলা উষ্ঠা দিয়ে চীরজীবনের জন্য দুবাই ত্যাগ করে। এই মিহিলা কষ্মিঙ্কালেও ভাবতে পারেনাই যে তাকে কেন জেলে ভরে ২/৩ মাস আটকে রাখবে?

২৮| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:০০

কামরুল ইসলাম রুবেল বলেছেন: মারাত্মক কেচাল লাইগা গ্যাল।সামুর পুরান দিনের কথা মনে পড়ল। যখন আসিফরে (মগাচিপ) গালি দিতে গিয়া ভান্ডার শ্যাষ হইয়া যাইত। চলুক।

২৯| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:২১

আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেছেন: পরাগ ভাই,
জিনা, ব্যাভিচার আর ধর্ষন এই কনসেপ্টগুলোর একটা সাধারন ব্যাখ্যা প্রয়োজন ছিল(প্রচলিত সমাজ অনুযায়ীএবং কোরান,হাদিস অনুযায়ী ) যা দেননি যার ফলে আপনার পোষ্ট অনেকটা গোজামিলের মত মনে হয়েছে, যদি দেন তাহলে পোষ্টটির মর্মার্থ বুঝতে সুবিধে হত।

আর সাধারনভাবে ব্যক্তিগত অভিমত যদি জানতে চান (অনৈতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে) তাহলে আমি কঠোরভাবে এর বিরোধীই শুধু নই কঠোরভাবে এর দমনেরও পক্ষে যদি তা নিজের অতি আপনজনও হয়। আল্লাহ্ই ভালো জানেন।

৩০| ০৯ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৯:৩৯

অন্যরকম একজন বলেছেন: নাটকগুলোতে ত রেফারেন্স দেওয়া আছে। তাহলে রেফারেন্সগুলো ক্রসচেক না করে সবাই আপনার সাথে লাগতে আসছে কেন? আজব ত!

৩১| ০২ রা মে, ২০১৪ রাত ৮:২৮

অগ্নির বলেছেন: আপনি যে পরিশ্রম করেছেন তা বোঝার মত ক্ষমতা এইসব পাবলিকের নাই । শরীয়া আইন সম্পর্কে এক অক্ষর পড়াশোনা না করে এরা অন্যকে পড়াশোনা করতে উপদেশ দিচ্ছে । শরীয়াহ আইনের মূল বইটা আপনি তাদের চোখের সামনে তুলে দিলেও বলবে এটা ছাপার ভূল । আরও মজা পেলাম যে, শরীয়াহ আইনের পোস্টে এরা কোরানের আয়াত চাইছে । শরীয়াহ আইন যে কোরান বিরোধী সেটাই তো পোস্ট লেখক বোঝাতে চাইছেন । কারো কথায় এক লাইন যুক্তি নাই, বলে দিল যে এই পোস্ট গোজামিল ! গায়ের জোরে কয়দিন মিথ্যাকে বাচিয়ে রাখা যায় ?

মেহেদী পরাগকে ধন্যবাদ । পড়াশোনার অনেকগুলো এলিমেন্ট পেলাম । যদিও কাউকে এগুলো বলতে গেলেই তারা ক্ষেপে যায় । ভাবে বোধহয় আমি ইসলামের বিরুদ্ধে বলছি । আমি সৃষ্টিকর্তার কাছে শুধু একটাই জিনিস প্রার্থনা করি । এদেরকে জ্ঞান দাও ।

৩২| ০১ লা আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৮

অন্যরকম একজন বলেছেন: ভাইয়া, একটা কথা। হুদুদ আইনে রেইপের শাস্তি কি সবসময়েই ডেথ সেন্টেন্স? নাকি ওখানেও নরমাল যিনার মতো বিবাহিত হলে রজম,অবিবাহিত হলে দোররা? আমি এই কথা জিজ্ঞেস করছি কারন, আমার মনে আছে, ২০০৮ সনে আল শাবাব যখন সোমালিয়ায় শরিয়া আইন চালু করল তখন পত্রিকায় একটা ছবি এসেছিল। দুজন রেপিস্টকে বেত মারা হচ্ছে। এবং অপরাধী ১০০ বেতেই শাস্তি শেষ হয়ে যাওয়াতে হাসছে! আল শাবাবের মুখপাত্র বলেছিলেন- অভিযুক্তরা বিবাহিত না হওয়ায় বেত মারা হয়েছে পাথর মারা হয়নি। তাহলে কি হুদুদ আইনও বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন নাকি?

৩৩| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:৪৪

ঠেটু বলেছেন: "যদি তুমি দুনিয়ার অধিকাংশ লোকের কথা মত চল তবে তাহারা তোমাকে আল্লাহ্'র পথ হইতে বিচ্যুত করিবে। তাহারা তো শুধু অনুমানের অনুসরন করে ; আর তাহারা অনুমান ভিত্তিক কথা বলে।"
৬. সূরা আন্-আমঃ ১১৬

আমি বুঝলামনা,,,,আপনি একজন স্কলার্স,,,,আপনার কাছে কিছু জানা,,,সেটাকে বিশ্লেষন করা,,,যুক্তি খন্ডন করা,,,কিংবা ভুলকে শুধরে নেওয়ার ক্ষমতা,,,এখানে অধিকাংশ কমেন্টকারীদের নাই,,, তারা হেরে যাচ্ছে বলে শেষ সুযোগ হিসেবে গালাগাল দিচ্ছে,,,যা সত্যিই দুঃখজনক,,,, ড, আশফাক হোসেন স্যারের ইতিহাস ক্লাস করার সময় ,,,উনার বইয়ে বাংলায় মুসলমানদের অবস্থা সম্বন্ধে পড়েছিলাম,,, সে থেকে যা বুঝলাম সেটা হলো আমাদের মুসলমানরা কখোনোই আমাদের মুসলিম স্কলার্সদের নিয়ে কোন রজম আলোচনা করার সুযোগ দেয় নি,,,,যেটা এখোনো বিদ্যমান,,, আসলে একজন পিএইচডি ডিগ্রীধারীকে কি পরিমান গবেষনা আর বই পড়া লাগে,,,সেটা হয়ত জানা নেই,,,একজন সত্যিকারের স্কলার্স কি পরিমান বই পড়ে তা অনেকে জানেও না,,,যাই হোক ধন্যবাদ চালিয়ে যান,,,, আমিও চেষ্টায় আছি এমআইটিতে ব্রেইন ও কগনিটিভ সায়েন্সে মাস্টার্স করার ।

৩৪| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ৩:৪০

মুসাফির বাদশা বলেছেন: ভালো বলেছেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.