নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভাল কাজ করুন।

ভাল কথা বলুন

মেহেদী পরাগ

আলাদা পরিচয়ে নয় আমার লেখার মাধ্যমেই আমাকে জানুন।

মেহেদী পরাগ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসলামি ব্যাংক যে কায়দায় ইসলামি হয়েছে যৌনপল্লীকেও সে কায়দায় ইসলামি করা যায়।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৮:২৬

ইসলামি ব্যাংকের প্রতি আমার কোন বিদ্বেষ নেই। তারা ব্যবসা করতে চায় করবে। কিন্তু সমস্যাটা তখনি বাঁধে যখন তারা জনগনকে বুঝায় যে সাধারণ ব্যাংকে টাকা রাখা গুনাহর কাজ। এমনকি সাধারণ ব্যাংকে চাকরি করাও কবিরা গুনাহ। এ কারণে অনেক ব্যাংকারই নিদারূন মনোকষ্টে ভোগেন এবং উপায় না পেয়ে চাকরিও ছাড়তে পারেননা।



আমরা জানি যে ইসলামে সুদকে হারাম করা হয়েছে। কিন্তু কোরান হাদিস পড়লে বুঝা যায় সেটা ছিল আসলে গরিবের উপর আপতিত অতি উচ্চ দরের মহাজনি সুদ। আধুনিক ব্যাংকিং ব্যবস্থার সুদের সাথে ইসলামের বিরোধ থাকার কোন যৌক্তিকতা নেই। তবুও সুদ হারাম এই যুক্তিতে কিছু ইসলামি বুদ্ধিজীবি ইসলামি ব্যাংকের আইডিয়া ফেঁদে বসেছে। মূলত ইসলামি ব্যাংক আর সাধারণ ব্যাংক এর মধ্যে কোন পার্থক্যই নেই, শুধু কাগজে কলমে একটু কারসাজি করে সুদকে মুনাফা আর ঋণকে ব্যবসা বলে এটাকে ইসলামি ব্যাংক বলে চালানো হয়। যেমন আপনি সাধারণ ব্যংকে ১০০ টাকা জমা রাখলে ১২.৫% সুদে বছর শেষে পাবেন ১১২.৫ টাকা। আর ইসলামি ব্যংকে ১০০ টাকা জমা রাখলে তারা ১০.৫% লাভের গ্যারান্টি দেবে, আর বলে দেবে ব্যাংকের লাভ হলে আপনি আরও বেশি পাবেন। বছর শেষে দেখা যায় ইসলামি ব্যংকের লাভ সাধারণ ব্যাংকের সুদের মত সেই ১২.৫% এর মতই থাকে। আবার ধরুন সাধারণ ব্যাংক থেকে ঋণ নিলে আপনাকে ১৫% সুদ দেয়া লাগে। ইসলামি ব্যাংক থেকে টাকা পেলেও আপনাকে সেই ১৫% ই লাভ দেয়া লাগবে তবে তারা এর মাঝে শুধু একটু কায়দা করবে। সেটা হল আপনি যদি ১ লক্ষ টাকা দিয়ে ১ টি বাইক কিনতে চান তাহলে আপনাকে ইসলামি ব্যাংকের মালিকানায় ইসলামি ব্যাংকের টাকায় বাইকটি কিনতে হবে। পরে ১৫% লাভ হিসেবে কিস্তিতে ১ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা পরিশোধ করে বাইকটির মালিকানা আপনি নিজের নামে করে নিতে পারবেন। তাই বুঝতেই পারছেন যে প্র্যাক্টিক্যালি সাধারণ ব্যাংক আর ইসলামি ব্যাংকের মাঝে কোন পার্থক্য নেই।



ইসলামি ব্যাংকের কায়দা কাজে লাগিয়ে একটি যৌনপল্লীকেও ইসলামি যৌনপল্লী হিসেবে ঘোষনা দেয়া যায়। ইসলামে দাসীর সাথে সঙ্গম করা বৈধ। বাংলাদেশের যৌনপল্লীগুলোতে যৌনকর্মীরা দাসীর মতই অন্যের মালিকানায় থাকে। তাই কোন মুসলিম চাইলে সেখানে গিয়ে দাসী কিনে আমোদ করার কিছুক্ষণ পর কিছুটা কমদামে দাসীর আগের মালিকের কাছে বিক্রি করে দিতে পারে। কতক্ষণের জন্য দাসী কিনবে, কত দামে কিনবে আর কত দামে বিক্রি করবে সেই চুক্তিটা ইসলামী ব্যাংকের টেকনিক্যাল চুক্তির মত আগে থেকেই ঠিক করে নিতে হবে আরকি।



এক্ষেত্রে আপনার মনে অনেকগুলো প্রশ্ন চলে আসাটা স্বাভাবিক, তাই সম্ভাব্য প্রশ্নগুলো পয়েন্ট করে দিয়ে সেগুলোর জবাবও এখনই দিয়ে দেয়া যায়।



১) ইসলামে তো দাসীকে বেশ্যালয়ে পাঠিয়ে উপার্জন করতে নিষেধ করা আছে।

উত্তরঃ কাগজে কলমেতো দাসীকে বেশ্যালয়ে পাঠানো হচ্ছেনা, বরং দাসী কেনাবেচা করে ব্যবসা করা হচ্ছে যা ইসলামিক ভাবে বৈধ। আর দাসীর মালিক দাসীর সাথে চাইলেই সঙ্গম করতে পারে।



২) এখনতো দাস প্রথা নাই তাই যৌনপল্লীর মেয়েরা কোনভাবেই দাসী নয় বরং কর্মী। দাসী না হলে এটা ইসলামিকও নয়।

উত্তরঃ প্রাচীনকাল থেকেই দাসের পরিচয়, সুযোগ সুবিধা, অধিকার, দাস সম্পর্কিত নিয়ম নীতি ইত্যাদি একেক সমাজে একেক রকম ছিল। সরকারী ভাবে বর্তমানে সারাবিশ্বে দাসপ্রথা নিষিদ্ধ হলেও বেআইনি ভাবে মডার্ণ স্লেভারি নামে দাসপ্রথা আজও চালু আছে। বিশ্বব্যাপি প্রায় ৩ কোটি লোক এখন আধুনিক দাসত্বের স্বীকার। গ্লোবাল স্লেভারি ইনডেক্সে এসম্পর্কে প্র্যাক্টিক্যাল তথ্য উপাত্ত পাওয়া যাবে। ভিজিট করুন Click This Link



৩) সরকারী ভাবে দাসপ্রথা অবৈধ তাই বর্তমানে মডার্ণ স্লেভারির অস্তিত্ব থাকলেও একটি অবৈধ ব্যাপার ইসলামে বৈধ হতে পারেনা।

উত্তরঃ সরকারী ভাবে অনেক দেশে একাধিক বিয়ে করা অবৈধ তাই বলে কি ইসলামে চার বিয়ে করা অবৈধ হয়ে যাবে? আবার অনেক দেশে মদ কেনা বেচা বৈধ বলে কি ইসলামেও তা বৈধ হয়ে যাবে? ইসলামে দাসপ্রথা বৈধ এটাই সবচেয়ে বড় কথা নয় কি?



৪) সমস্ত আলেমগণ ইজমা বা ঐক্যমতের ভিত্তিতে দাসপ্রথা অবৈধ ঘোষণা করতে পারে।

উত্তরঃ তাহলে সমস্ত আলেমগণের জন্য ইজমার মাধ্যমে সুদি ব্যাংকিং সিস্টেমকে বৈধ ঘোষনা করতে অসুবিধা রইল কোথায়?



আমার পোস্টের মূল উদ্দেশ্য যৌনপল্লীকে হালাল প্রমাণ করা নয়, আমাদের কমন সেন্সই বলে এটা কোনভাবেই হালাল হতে পারেনা। এনালজি করে আমি শুধু এটাই বুঝাতে চাইলাম যে আধুনিক ব্যাংকিং ব্যবস্থাকে কেউ যেন হারাম না ভাবে আর আলেমগণ যাতে সত্বর এব্যাপারে একটি ঐক্যমত্যে পৌঁছায়। ইসলামি ব্যংকের আইডিয়াটিই আলেমদের ঐক্যমতে পৌঁছানোর সবচেয়ে বড় বাঁধা।

মন্তব্য ৭৫ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৭৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৮:৫৮

সাঈফ শেরিফ বলেছেন: কিন্তু কোরান হাদিস পড়লে বুঝা যায় সেটা ছিল আসলে গরিবের উপর আপতিত অতি উচ্চ দরের মহাজনি সুদ। আধুনিক ব্যাংকিং ব্যবস্থার সুদের সাথে ইসলামের বিরোধ থাকার কোন যৌক্তিকতা নেই।

মলিকুলার বায়োলজিতে ডক্টরেট করছেন, ওটা নিয়েই থাকুন না। আমার মনে হয় জামাত-শিবির আপনার ধর্ম বিষয়ে মৌলিক বিশ্বাসগুলোকে নড়বড়ে করে দিয়েছে। আপনার রাগান্বিত দর্শন দিয়ে তো ধর্মের ব্যাখ্যা হয়না। কোন বিনিয়োগ ছাড়া টাকার উপরে টাকাই হল 'রেবা', সুদ । এটার জন্য সরাসরি গরিবের শোষণ, নিপীড়নের কোন শর্ত নেই।


পড়াশোনা শেষ করে দেশে ফিরে আসুন, দেশের সেবা করুন। ধর্ম বিষয়ে রাগ থাকলে, ওটা ঘেটে রক্তচাপ বাড়ানোর প্রয়োজন নেই।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৯:৩৭

মেহেদী পরাগ বলেছেন: এই সুদ ছাড়া তাহলে দুনিয়া অচল কেন এখন? এমনকি ইসলামি ব্যাঙ্কও এই সুদি সিস্টেমের সাথে সম্পৃক্ত না হয়ে চলতে পারবেনা। ব্যাপারটা ভেবে দেখেন।

২| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৯:০২

আহমেদ আলিফ বলেছেন:
ইসলামী ব্যাংকও ১০০% হালাল না। তবে কোনো দেশে যদি আপনার মৌলিক প্রয়োজনীয় জিনিস হারামের বিকল্প না থাকে তবে যেটা অপেক্ষাকৃত কম হারাম সেটাই বেছে নেয়া উচিৎ।

কারো যদি জীবিকার অন্য কোনো বিকল্প না থেকে সেও সাধারণ ব্যাংকে চাকরি করতে পারে। তবে তার বিকল্প ছিলো কি না সে জবাব তাকেই দিতে হবে।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৯:৩৯

মেহেদী পরাগ বলেছেন: ঠিক। তবে সবাই যদি বিকল্প পেয়ে ব্যাংক এর চাকরি ছেড়ে দেয় তখন ব্যাংক তারপর দেশ চালাবে কে? ব্যাপারটা তাই এত সহজ নয়।

৩| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৯:০৪

জহিরুলহকবাপি বলেছেন: চমটকার

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৯:৩৯

মেহেদী পরাগ বলেছেন: ধণ্যবাদ।

৪| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৯:১১

এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল স্বর্ণা বলেছেন:
দাসের ব্যাপারটা দিয়ে কি বুঝাতে চেয়েছেন?

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৯:৪৪

মেহেদী পরাগ বলেছেন: বুঝাতে চাইলাম ময়লাকে কাগজে কলমে পবিত্র বললেই সেটা পবিত্র হয়ে যায়না। তেমনি ব্রোথেলকে কাগজে কলমে ইসলামিক বললেই সেটা ইসলামিক হবে না। বর্তমানের ইসলামি ব্যংকও কাগজে কলমে নিজেদের ইসলামি বলে আসলে তারা ইসলামি হয়নাই। তারা তখনই ইসলামি হবে যেদিন তারা ব্যবসায় লাভের পাশাপাশি ক্ষতিরও দায়ভার বহন করবে। এখন তারা তা করেনা।

৫| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৯:৪৮

এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল স্বর্ণা বলেছেন:
ব্যাংক এর ব্যাপারটা বুঝেছি। কিন্তু ব্রোথেল কি কাগজে কলমে ইসলামিক? নাকি এটা এমনি তুলনা?

আপনার পিএইচডির সাবজেক্টগুলো খুবই ফ্যাসিনেটিং।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৯:৫৭

মেহেদী পরাগ বলেছেন: ইসলয়ামি ব্যাঙ্কের সাথে তুলনা করে ব্রোথেলকে কাগজে কলমে কিভাবে ইসলামিক বানানো যায় সেটাই পোস্টে বুঝিয়েছি। পোস্ট আরেকবার পড়ে দেখুন বুঝতে পারবেন।

এমনিতে ব্রোথেল ইসলামিক না। তেমনি সুদও ইসলামিক না। কিন্তু সুদকে যে টেকনিকে ইসলামি ব্যাংক হালাল বানিয়ে ফেলেছে সেই একই টেকনিকে ব্রোথেলকেও হালাল বানানো যায়। তাই তুলনা করে বুঝাতে চাইলাম যে ইসলামি ব্যাঙ্ক আসলে ইসলামের নামে মানুষকে ধোঁকা দিচ্ছে।

**আপনি মনে হয় লাইফ সায়েন্সের সাবজেক্টগুলো নিয়ে আগ্রহী। আপনার পড়াশুনার ফিল্ড কি?

৬| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:০৫

তোমোদাচি বলেছেন: ইসলামী ব্যাংকের সুদ বিষয়ে আপনার বক্তব্যের সাথে আমিও অনেকাংশে একমত।

তবে, ইসলামে দাসীর সাথে সঙ্গম করা বৈধ। এই জিনিষ প্রথম শুনলাম! নির্ভরযোগ্য সুত্র উল্লেখ করবেন আশাকরি।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০০

মেহেদী পরাগ বলেছেন: সূত্র সুরা নিসা আয়াত ২৪, না বুঝলে এই আয়াতের তাফসির পড়ুন। এছাড়া বুখারী ও মুসলিম শরিফের অনেক অনেক হাদীসে এর প্রমাণ আছে যা সামান্য গুগল করলেই খুঁজে পাবেন তাই আর দিলাম না। না পেলে জানাবেন পরে দিয়ে দিব।

ধন্যবাদ।

৭| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:০৭

এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল স্বর্ণা বলেছেন:
হুম, তাহলে ঠিক আছে। কারণ, আপনি যেভাবে লিখেছেন সেটা পড়া তো আমি অবাক হয়ে গিয়েছিলাম।

আমি লাইফ সায়েন্সে অতো আগ্রহী না :P বায়োলজি ক্লাস করেছি কয়েক বছর আগে :|| কিছু মনে নাই |-) কিন্তু আপনার এই সাবজক্টুগুলো পড়ব নেক্সট ইয়ার।

আমার ফিল্ড আমি এখনও শিউর না, আমার মাত্র শুরু :P

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০১

মেহেদী পরাগ বলেছেন: :)

৮| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:১৬

মহাপাগল বলেছেন: ইসলামী অর্থনীতি ও ইসলামী ব্যাংকিং বিষয়ে পড়াশোনা কম থাকলে যা হয় আর কি! ডঃ হাবিবুর রহমানের অনেকগুলো বই আছে ইসলামী অর্থনীতি ও ব্যাংকিং বিষয়ে সময় করে পড়ে নিবেন। হুদাই প্যাচ লাগাবেন না।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০১

মেহেদী পরাগ বলেছেন: লাউ কদু কদু লাউ।

৯| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:২০

স্বপ্নসমুদ্র বলেছেন: ইসলামী ব্যাংকের ব্যাপারে এক বন্ধুর সাথে সেদিন অনেক তর্ক হয়ে গিয়েছিল। ওর যুক্তি যে মুদারাবা বা এরকম কোন পন্থায় ব্যাংকটি চলে যা ইসলামী শরিয়া ভিত্তিক। আমি ডিটেল জানি না তাই বৃথা তর্কে যাইনি। তবে সুদকে লাভ বলে চালানো বা একই হারে লাভ দিয়ে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত ভাবেই আমার কাছে ভন্ডামী মনে হয়। দাসী প্রথার কথা যা বল্লেন তা এখন আর কার্যকর নেই। খিলাফতের সময় থেকেই তা অবৈধ।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৭

মেহেদী পরাগ বলেছেন: কোরান অনুযায়ী দাসপ্রথা নেই, তবে আলেমদের কোরান ব্যাখ্যা অনুযায়ী আছে। সম্মিলিত আলেমদের মতামত অনুযায়ী দাস প্রথা ইসলামে অবৈধ নয়। আমার জানামতে কোরানের আয়াত, কোন হাদীস বা আলেমগণ সম্মিলিতভাবে কোনদিন দাসপ্রথা ইসলামে অবৈধ এই মর্মে ফতোয়া দেননাই। দাসপ্রথা কিভাবে ও কবে বিলুপ্ত হয়েছে সেটার ইতিহাস একটু ভালভাবে পড়ে দেখুন। ধন্যবাদ।

১০| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:৩৫

চুক্কা বাঙ্গী বলেছেন: সাধারন ব্যাংকে অর্থ পরিশোধের নির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারন করে দেয়া হয়ে থাকে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অর্থ পরিশোধ করতে না পারলে সুদের ডাবল হয়। ইসলামী ব্যাংকিং সিস্টেমেও কি সেরকম কিছু আছে?
ব্র্যাক ইপিএল এ চারলাখ টাকা ডিপোজিট করেছিলাম কয়েক বছর আগে শেয়ার কেনার জন্য। তার উপর অটো লোন এসে পড়েছিল ৫০%, চার লাখের জায়গায় ছয় লাখ টাকার শেয়ার কিনে যে পরিমান ধরা খেয়েছি তা সারাজীবন মনে থাকবে। শেয়ার মুল্য তলানিতে যায় আর সুদের পাহাড়ে আমি চাপা পড়তে থাকি। সুদের টাকা পরিশোধ করতে যেয়ে শেষ পর্যন্ত পানির দরে শেয়ার বিক্রি করে দিতে হয়। চারলাখের মধ্যে মাত্র নব্বই হাজার টাকা ফেরৎ পেয়েছি। দুইলাখ টাকার লোনে একলক্ষ টাকার সুদ!! মজা না??
একটা মানুষের ফকির হওয়ার জন্য সুদের কারবারই যথেষ্ট।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৯

মেহেদী পরাগ বলেছেন: ইসলামি ব্যাংকের সিস্টেমে একই ঝামেলায় পড়বেন কারন এই ব্যাংক যেই লাউ সেই কদু। শুধু বাড়তি সুদ না বলে তারা এটাকে জরিমানা বলবে এই আরকি।

১১| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:৪৪

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: ইন্টারেস্টিং বিতর্ক। পোষ্টদাতা এবং ব্লগারদের প্রতি অনুরোধ থাকবে তারা যেন ধর্ম এবং বানিজ্য কে এক না করে ফেলেন এবং গঠনমূলক তর্ক তৈরি করেন।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৯

মেহেদী পরাগ বলেছেন: ধন্যবাদ।

১২| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:৩৩

ক্লিকবাজ বলেছেন: শুধু ইসলামী বেংক নিয়া তাদের এতো চুলকানী কেন? এখনতো অনেক বেংকই ইসলামী বেংকিং চালু করেছে, সেই সাথে অনেক ফাইন্যান্স এবং ইন্স্যুরেন্স কোম্পানীও আছে। যেমন স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক এর সাদিক কিংবা শাহজালাল ইসলামী বেংক। এগুলি নিয়াতো কোন পোস্ট দিতে দেখিনা বা তাদের বিরুদ্ধে কোন কথা বলতে দেখিনা। তারা কি মনে করে শুধু ইসলামী বেংক সুদের ব্যবসা করে আর অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলি ইসলামী শব্দ ব্যবহার করায় পিউর ইসলামী লেনদেন হয়ে গেছে।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১১

মেহেদী পরাগ বলেছেন: ইসলামি ব্যাংক এর বিরুদ্ধে আমি কিছু বলছিনা, তারা ব্যবসা করবে করুক তাতে আমার কি? কিন্তু অন্য ব্যাংকের নামে বদনাম বা অন্য ব্যাংকে চাকরি করা কবিরা গুনাহ এইসব যেন না বলে সেই ব্যাপারেই আমি আপত্তি করেছি। ক্লিয়ার?

১৩| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:৩৬

কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: ইসলামী ব্যাংকের মধ্যে বেশ কিছু সমস্যা থেকে গেছে - এটা সবাই স্বীকার করে। কিন্তু সেই সমস্যাগুলি দুর করে সম্পুর্ণ সুদমুক্ত অর্থনীতি প্রতিষ্ঠার পক্ষে না গিয়ে আপনি যেভাবে ঐ ত্রুটিগুলির ভিত্তিতে প্রচলিত সুদভিত্তিক ব্যাবস্থাকেই বৈধ হিসেবে দাবি করছেন সেটা কি যৌক্তিক হতে পারে?

কিছুতেই নয় - প্রচলিত পুঁজিবাদী ব্যাংকিং ব্যাবস্থা সামাজিক অস্থিরতা এবং অর্থনৈতিক বৈষম্য সৃস্টির প্রধান উপাদান। ইসলামী ব্যাংকিং সকল ত্রুটিবিচ্যুতির পরও এই দিক দিয়ে খারাপের ভাল। আমাদের বরং চেস্টা করা উচিত এই ব্যাবস্থাটিকে কিভাবে আরো নিষ্কলুষ ও জনকল্যানক করা যায় তা নিয়ে। ত্রুটির অযুহাতে পুরো সুদভিত্তিক ব্যাবস্থা মেনে নেয়াটা ব্যাথার কারণে মাথা কেটে ফেলারমতই অযৌক্তিক।

আপনি একটা বিষয় বুঝেছেন যে ব্যাংকিং ব্যাবস্থা ছাড়া বর্তমান আধুনিক অর্থনীতি প্রায় অচল। কিন্তু সেই ব্যাংকিং ব্যাবস্থা যে সুদভিত্তিক হতেই হবে তা কি অবধারিত? আচ্ছা গত ৩-৪ বছর ধরে পশ্চিমা দেশগুলিতে যখন মন্দা চলছে তখন সেখানে ব্যাংক সুদের হার প্রায় শুন্যের কোঠায় নেমে এসেছে - আমেরিকাতে ০.২৫% এবং ব্রিটেনে ০.৫০%।

এভাবে যদি কয়েক বছর চলতে পারে তাহলে স্থায়ীভাবে সুদমুক্ত ব্যাংকিং কেন চলবে না? ইতিমধ্যে ঐসব দেশে 'সার্ভিস ব্যাংক' নামে এক ধরনের সেবা শুরু হয়েগেছে যেখানে সব ধরনের ব্যাংকিং সুবিধাই দেয়া হয় শুধুমাত্র সুদ ছাড়া। এটাই যদি সার্বজনীন হয়ে যায় তাহলেইতো পুর্ণ সুদমুক্ত ব্যাংকিং ব্যাবস্থা গড়ে উঠতে পারে।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২২

মেহেদী পরাগ বলেছেন: যদি সত্যিকার ইসলামের আদর্শে ব্যাংক হয় তাহলে তো কথাই নেই সে ব্যাপারে আপত্তি থাকবে কেন? কিন্তু সেটার পথ তো এই বর্তমানের ইসলামি ব্যাংক বন্ধ করে রেখেছে। এইটাকে ইসলামি ভেবেই সবাই নিশ্চিন্তে ঘুমাচ্ছে আসল ইসলামি ব্যাংক আনার কোন চেষ্টা হচ্ছেনা।

আমি ইসলামি ব্যাংকের কোন ত্রুটির কথা বলিনাই। ত্রুটি থাকবে কেন তার তো বেশ সফল। তারা শুধু চিকেন এর টোকেন লিখে শুকরের মাংস খাওয়াচ্ছে আর সবাইকে বলছে শুকর না খেতে।

সুদভিত্তিক ব্যাংককে আমি সরাসরি বৈধ বলছিনা, তবে বর্তমান সময়ে এগুলো ইসলামি ব্যংকের চেয়ে খারাপ কিছুনা, কারণ দুটাই এক জিনিস। তাই যতদিন না আসল ইসলামি ব্যাংক আসে ততদিন কেন খামাখা সাধারণ ব্যাংকগুলোর পেছনে লাগব?

১৪| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:১১

মো ঃ আবু সাঈদ বলেছেন: কাঙ্গাল মুরশিদ ...ধন্যাবাদ আপনা মতের সাথে সম্পূর্ন একমত...

আমি আরেক টা জিনিষ লক্ষ্য করছি যে আনেকে....ইসলামী ব্যাংকের সমালোচনা করেতে গিয়ে সরাসরি ইসলাম নিয়ে ই কথা বলছেন তাদের আজানতেই..যেমন ইসলামে সুদকে হারম করা হয়েছে এটাই সত্য লাভ এবং সুদ দুইটাই ভিন্ন জিনিষ দুইটা জিনিষই এক না।
আমাদের আলোচনা সমালোচন এইটা নিয়ে হইতে পারে যে ইসলামী নিয়ম অনুযায়ী তার ব্যাকং পরিচালনা করছে কিন?
ইসলাম লাভ এবং সুদ দুইটার ই ব্যাখা দেওয়া আছে..

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৩

মেহেদী পরাগ বলেছেন: আসল জিনিস না এনে নকল নিয়ে কামড়াকামড়ি করাটাই খারাপ।

১৫| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:২৫

আকিব আরিয়ান বলেছেন: হুম.... তবে একটা প্রশ্ন ব্যাংক থেকে সুদ নেওয়া কিংবা দেওয়া কি হারাম? যেহেতু আপনি বলেছেন ইসলামে গরিবের উপর আপতিত ধনীর উচ্চসুদ হারাম করা হয়েছে!

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৫

মেহেদী পরাগ বলেছেন: সুদতো ইসলামে হারামই। কিন্তু উপায় না থাকলে হারামও ইসলামে হালাল হয়ে যায়। বর্তমানের ইসলামি ব্যাংকও সুদ মুক্ত নয় তবু তারা ভড়ং ধরে এখানেই আমার আপত্তি।

১৬| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:২৭

মদন বলেছেন: আমরা জানি যে ইসলামে সুদকে হারাম করা হয়েছে। কিন্তু কোরান হাদিস পড়লে বুঝা যায় সেটা ছিল আসলে গরিবের উপর আপতিত অতি উচ্চ দরের মহাজনি সুদ। আধুনিক ব্যাংকিং ব্যবস্থার সুদের সাথে ইসলামের বিরোধ থাকার কোন যৌক্তিকতা নেই। তবুও সুদ হারাম এই যুক্তিতে কিছু ইসলামি বুদ্ধিজীবি ইসলামি ব্যাংকের আইডিয়া ফেঁদে বসেছে। মূলত ইসলামি ব্যাংক আর সাধারণ ব্যাংক এর মধ্যে কোন পার্থক্যই নেই, শুধু কাগজে কলমে একটু কারসাজি করে সুদকে মুনাফা আর ঋণকে ব্যবসা বলে এটাকে ইসলামি ব্যাংক বলে চালানো হয়। যেমন আপনি সাধারণ ব্যংকে ১০০ টাকা জমা রাখলে ১২.৫% সুদে বছর শেষে পাবেন ১১২.৫ টাকা। আর ইসলামি ব্যংকে ১০০ টাকা জমা রাখলে তারা ১০.৫% লাভের গ্যারান্টি দেবে, আর বলে দেবে ব্যাংকের লাভ হলে আপনি আরও বেশি পাবেন। বছর শেষে দেখা যায় ইসলামি ব্যংকের লাভ সাধারণ ব্যাংকের সুদের মত সেই ১২.৫% এর মতই থাকে। আবার ধরুন সাধারণ ব্যাংক থেকে ঋণ নিলে আপনাকে ১৫% সুদ দেয়া লাগে। ইসলামি ব্যাংক থেকে টাকা পেলেও আপনাকে সেই ১৫% ই লাভ দেয়া লাগবে তবে তারা এর মাঝে শুধু একটু কায়দা করবে। সেটা হল আপনি যদি ১ লক্ষ টাকা দিয়ে ১ টি বাইক কিনতে চান তাহলে আপনাকে ইসলামি ব্যাংকের মালিকানায় ইসলামি ব্যাংকের টাকায় বাইকটি কিনতে হবে। পরে ১৫% লাভ হিসেবে কিস্তিতে ১ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা পরিশোধ করে বাইকটির মালিকানা আপনি নিজের নামে করে নিতে পারবেন। তাই বুঝতেই পারছেন যে প্র্যাক্টিক্যালি সাধারণ ব্যাংক আর ইসলামি ব্যাংকের মাঝে কোন পার্থক্য নেই।


আল্লাহর নাম নিয়ে জবাই করা মুরগী আর এমনি জবাই করা মুরগীর মধ্যে পুষ্টিমান মোটেও পার্থক্য নাই। বিয়ে করে নেয়া সন্তান আর বিয়ে না করে সন্তানের মধ্যে বাহ্যত কো পার্থক্যই নাই। তাহলে বিয়ে করেন কোন যুক্তিতে?


যদি ধর্ম মানেন তাহলে এক কথা, আর না মানলে আরেক কথা।



ইসলামে শিরক এর পাপ হচ্ছে সর্বোচ্চ পাপ। এর পরের পাপই হচ্ছে সুদ। সুদের পাপের মাত্রা বোঝাতে গিয়ে বলা হয়েছে সুদের পাপ হলো আপন মায়ের সাথে জেনা করার থেকেই বেশি পাপ।

ইসলামী ব্যাংকের নামে কে কি করলো অথবা অন্য ব্যাংক কি করলো সেটি তাদের ব্যাপার। জীবন আপনার, সিদ্ধান্ত আপনার। আপনি আপনার জীবনদাতার আইন মেনে চলবেন নাকি অমান্য করবেন।

বাংলাদেশে ইসলামী ব্যাংক যখন প্রথম ইসলামী ব্যাংকিং সিস্টেম চালু করে তখন তাদের অনেক প্রতিকুলতা পাড়ি দিতে হয়েছে। যতদিন গেছে তাদের গ্রহনযোগ্যতা বেড়েছে একই সাথে তাদের ভুলত্রুটি/প্রতিকুলতা কমিয়ে আনার চেষ্টা করেছে। পরবর্তিতে আরো অনেক নতুন ইসলামী ব্যাংক এসেছে। অনেক সাধারন ব্যাংকের ইসলামী শাখা খুলেছে। যতই দিন যাচ্ছে ইসলামী ব্যাংকগুলো নিজেদের একটি শক্ত অবস্থান তৈরী করে নিয়ে সরকারের কাছে থেকে শরীয়তী বিষয়গুলোর সাথে সামন্জস্যপূর্ন ইসলামী ব্যাংকিং অনুমোদন করিয়ে নিচ্ছে। আর একাজে শুধু এককভাবে ইসলামী ব্যাংকের কাজ নয়। একজন মুসলমান হিসেবে প্রতিটি মুসলমানের ইমান-আমলের প্রশ্ন। কাজেই নিজেকে যদি কেউ মুসলিম দাবী করে তাহলে ব্যাংকিং এর এই বিষয়গুলো শুধু ইসলামী ব্যাংকগুলোর দায় হিসেবে ছেড়ে দিয়ে কেউ পার পাবেনা।

এবার আপনার মোটরসাইকেল কেনার উদাহরনটি নিয়ে বলছি-

আপনি মোটরসাইকেল কিনতে চাইলে সাধারন ব্যাংক আপনাকে নির্দিষ্ট সুদে একটি লোন দিবে। লোনের টাকাটি সরাসরি আপনার হাতে দিবে। টাকাটি নিয়ে আপনি মোটরসাইকেল কিনবেন নাকি মোবাইল কিনবেন সেটি আপনার ইচ্ছে।

ইসলামী ব্যাংকিং এর মাধ্যমে মোটরসাইকেলের জন্য আসলে আপনি সরাসরি মোটরসাইকেলের লোন পাবেন না, ব্যাংক আপনার কাছে একটি মোটরসাইকেল বিক্রি করবে। যা আপনি পরবর্তিতে কিস্তিতে পরিশোধ করবেন। সরাসরি আপনার হাতে ক্যাশ পাবেন না।

অন্য বাংকের সাথে টাকার বিনিময়ে অধিক টাকা পরিশোধ করছেন যাকে ইসলামে সুদ বলে। ইসলামী ব্যাংকে একটি পন্য বিক্রি করছে যা আপনি কিনে কিস্তিতে পরিশোধ করছেন। ইসলমা একে লাভ/মুনাফা বলে।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:১৯

মেহেদী পরাগ বলেছেন: এমনি এমনি সন্তান আর বিয়ে করে সন্তানের মাঝে পার্থক্য আছে। ভরণ পোষনের দায়িত্ব, উত্তরাধিকার ইত্যাদি নানা বিষয়ের জন্য বিয়ে একটা চুক্তির মত। চুক্তি না করলে অস্বীকার করার সুযোগ থাকে। বিয়ে করার আগে আর বিয়ের পরে দুজনের জীবনটাই বদলে যায়। কিন্তু সুদি ব্যাংক থেকে ইসলামি ব্যাংকে রুপান্তরে জীবন বদলে যাবে দূরের কথা সামান্য এক বিন্দু কিছুও পরিবর্তিত হয়না।

আপনি যেটাকে মুনাফা বলছেন সেটা কোনভাবেই মুনাফা নয়। যেকোন ব্যবসায় ক্ষতির ঝুঁকি থাকে সেটা ইসলামি ব্যাংকের নাই। আর মোটর সাইকেল যদি ব্যাংক নিজ দায়িত্বে কিনে দেয় তাহলেও একটা কথা ছিল, কিনতে হবে আমাকেই সব কাজ কর্মও আমাকেই করতে হবে শুধু কাগজে কলমে এটাকে ব্যবসা আর মুনাফা বলা হচ্ছে।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:০৭

মেহেদী পরাগ বলেছেন: ইসলামি ব্যাংকের মোটর সাইকেল বিক্রয়ের ইন্সটলমেন্ট পদ্ধতি যে হাদীসে নিষেধ করা সেটাও দেখুন।

(1355) Qasim b. Muhammad was asked about the case of a man who purchased a thing for ten dinars on cash or for fifteen dinars at an appointed date on credit, and he considered it bad business and prohibited it.
Imam Malik : Muwatta'

১৭| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৮

এম এ কাশেম বলেছেন: এসব হলো ফাজিলদের ফাইজলামী পোস্ট,
ধর্মের বিরুদ্ধে লিখলে যেন বেশ সস্তা জনপ্রিয়তা পাওয়া যায়।

বউ আর বেশ্যার পর্থক্য না বুঝলে তাকে সুদ আর লাভের
পার্থক্য বুঝানো আর উলু বনে মুক্তা ছাড়ানো সমান।

ভাসা ভাসা জানা দিয়ে কিছু লিখতে যাওয়া মানে বোকামী বই তো কিছুই নয়, ইসলামে কখন কি কারণে ক্রীত দাসীর সাথে সহবাস জায়েজ ছিল, পেক্ষাপট কি সে সব না জেনে ইসলামী ব্যাংক আর বেশ্যালয়কে গুলিয়ে ফেলা বোকামীরই নামান্তর , কূট - কায়দা করে
বেশ্যালয়ের বেশ্যাকে ক্রীত দাসী বানিয়ে বেশ্যা সহবাসকে হালাল করার ফতোয়া কোথায় পেয়েছেন?

এ ভাবে বিখ্যাত হওয়া যায় না।

জেগে ঘুমালে তাকে ডেকে লাভ নাই জানি , তবু বলি সাবেক ইসলাম বিরোধী আরনাউড ভান ডোর্ন, যে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মোহাম্মদ (সঃ) এর বিরুদ্ধে একটি ছবি (Movie) বানিয়েছিল, সে সম্প্রতি ইসলাম গ্রহণ করেছেন এবং এই সাবেক ইসলাম বিরোধী
এখন মুসলিম হয়ে মানুষকে ইসলামের দিকে আহ্বান করছে।
আর আমরা মুসলমান হয়ে কি করছি - একবার ভেবে দেখুন।
দয়া করে ইসলামকে জানুন, সত্যকে জানুন।

আল্লাহ আমাদের সবাইকে হেফাজত করুক।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:২০

মেহেদী পরাগ বলেছেন: প্রেক্ষাপট কি ছিল আপনিই বলে দিন না হুজুর। আমি ভুলটা কোথায় বললাম?

১৮| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:৫৮

অলওয়েজ এ্যান্টি গর্ভণমেন্ট বলেছেন: আমাদের শ্রদ্ধেয় এমেরিটাস অধ্যাপক এই ব্যাংকের আগমনের পর পরই তাদের ব্যাংকিং পদ্ধতি পর্যালোচনা করে মন্তব্য করেছিলেন, " এটা হোল সরাসরি মুখে আহার না দিয়ে, ঘাড়ের পিছন দিয়ে হাত ঘুরিয়ে আহার করা"

যাই হোক, যতটুকু পড়েছিলাম ছাত্র জীবনে, তা থেকে জানি, যেই সুদ হার অবশ্যই দেয়, বাধ্যতামূলক / ম্যান্ডেটরি তা হারাম।

ব্যাপক দূরদর্শিতা আছে এই ফতোয়ায়। মানুষের সব দিন সমান যায় না। যদি ধারের ফেরতে নমনীয়তা থাকে, সুদের হারে মানবিকতা থাকে, দেয় হারে ফ্লাকচুয়েশন থাকে তবে তা হালাল।

এই কারনেই শেয়ার ব্যবসা হালাল, কারন তার প্রাপ্তি ফ্লাকচুয়েট করে।

স্পেশিফিক্যালি বলা যায়, সৎ ভাবে চাইলে কোনো সমাজ বিজ্ঞানী, মানবতা বাদী (ডঃ ইউনূস মানবতা বাদী নন), উদ্ভাবনী শক্তির ব্যাংকার ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক ব্যাংকিং প্রবর্তন চাইলে, এক্ষেত্রে প্রচূর কাজ করার সুযোগ আছে। আমরা ডেভেলপমেন্ট ইকোনমিক্সে এরকম আভাস পেয়েছিলাম অধ্যয়ন কালীন সময়ে।

পূর্ণাঙ্গ ইসলামী ব্যাংকিং কোথাও প্রবর্তণ করা যায় নাই ব্যাংকারদের উদ্ভাবনী ক্ষমতার অভাবে। ইসলামী ব্যাংক কিছুটা কাজ যাচ্ছে, যেমন, পার্টিসেপিটরী ব্যাংকিং, অর্থাৎ ব্যবসায়ীকে পদত্ত লোনে ব্যাংকের তরফ থেকে একজন থাকবে মনিটরিং বলুন, সুপার ভাইজার বলুন যে নামেই ডাকেন না কেন। তাতে একটা সমাধান আসে। সেটা হোল, সাংবাৎসরিক ঐ ব্যবসায়ী কত লাভ / লোকসান করলো সেই ভিত্তিতে বছর অন্তে মুনাফা / সুদ নির্ধারিত হবে। লক্ষ্য করুন, বছর অন্তে সুদ ফিক্সড নয় ফলে হারামের একটা ক্রাইটেরিয়া - ম্যান্ডেটরি পেমেন্ট, অভারকাম করা যায়।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:২২

মেহেদী পরাগ বলেছেন: সুন্দর একটি মন্তব্য। সহমত।

১৯| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:০৬

বাউন্ডুলে রুবেল বলেছেন: একশতভাগ সহমত।

সুদকে মুনাফা বলে এটাকে হালাল রূপ দেয়ার প্রচেষ্টা।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:২২

মেহেদী পরাগ বলেছেন: ধন্যবাদ।

২০| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:২০

দি সুফি বলেছেন: আপনি বলেছেনঃ
উত্তরঃ তাহলে সমস্ত আলেমগণের জন্য ইজমার মাধ্যমে সুদি ব্যাংকিং সিস্টেমকে বৈধ ঘোষনা করতে অসুবিধা রইল কোথায়?

অসুবিধা হল, সুদকে সরাসরি হারাম হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে কুরআনে।
উপরে মদনের মন্তব্যে কিছু ব্যাপার সুন্দরভাবে তুলে ধরা হয়েছে।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:২৭

মেহেদী পরাগ বলেছেন: আপনার ধারণা ভুল। এক্ষেত্রে আলেমদের ইজমার সুযোগ আছে।

ইউসুফ আলির কোরান তাফসিরে সূরা বাকারার ২৭৫ আয়াতে আমরা জানতে পারি যে সুদ কোরানে নিষিদ্ধ সে ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু কোরানে সুদকে সঙ্গায়িত করে দেয়া হয়নি। কোরানে নিষিদ্ধ সুদের সংগা নিয়ে তাই আলোচনার সুযোগ আছে। হযরত উমর পর্যন্ত এটা নিয়ে সমস্যায় পড়েছিলেন কারণ নবী (সাঃ ) এই ব্যাপারে বিস্তারিত বর্ণনা করার আগেই দুনিয়া ছেড়ে চলে যান। পরে আলেমগণ তৎকালীন ইতিহাসের ভিত্তিতে সুদকে বিভিন্নভাবে সংগায়িত করেছেন। আলেমদের সংগার মাঝেও এখনো সম্পূর্ণ ঐক্যমত প্রতিষ্ঠিত হয়নাই।

কোরান নাজিলের সময় কোন ব্যাংকিং ব্যবস্থাই ছিলনা। তাই বর্তমানের ব্যাংক ইন্টারেস্ট মানে যে কোরানে বর্ণিত সুদ এমন কোন নিশ্চয়তা নেই। কোরানে কোন ধরণের সুদ নিষেধ করা হয়েছে সেটা কোরান থেকেই একটু যাচাই করা যাক। নিচে দেয়া সূরা বাকারার ২৭৩-২৭৪ ও ২৭৬ আয়াতে খেয়াল করুন যে এইখানে আল্লাহ সুদ নিয়ে কথা বলছেন গরীবদের দান খয়রাত এর প্রেক্ষাপটে। কেউ কাউকে বিনা লাভে টাকা দিয়ে দেয়না তাই আল্লাহ নির্দেশ দিয়েছেন দান করতে, তবে কেউ দান না করতে চাইলে টাকা ধার দিয়েও গরীবের উপকার করতে পারে তাই আল্লাহ সুদ নিতে না করেছেন। আল্লাহ এমনকি সময়মত কেউ ঋণ পরিশোধ করতে না পারলেও তাকে সুযোগ দিতে বলেছে। সূরা আল-ইমরান এর ১৩০ নং আয়াতে খেয়াল করুন সুদের মাত্রা কত বেশি ছিল, দ্বিগুন বা বহুগুন যার মানে ১০০% বা কয়েকশত পারসেন্ট যা কোন ব্যাঙ্কই বর্তমানে আরোপ করেনা। বেশ কিছু ইসলামিক স্কলারই মতামত দিয়েছেন যে কোরানে নিষিদ্ধ সুদ মানে উচ্চ হারের মহাজনি টাইপ সুদ। যদিও বেশিরভাগ স্কলার এই মতে সম্মতি দেননি। বৈজ্ঞানিকভাবে চরম ভুল আর হাস্যকর হাদীসগুলোর ব্যাপারেও কিন্তু বেশিরভাগ ইসলামিক স্কলার হাদীসগুলোর সত্যতার পক্ষেই রায় দিয়েছেন। এখন বিবেচনা একান্তই আপনার, আপনিই ঠিক করুন।


সূরা বাক্বারাঃ
২:২৭৩> খয়রাত ঐ সকল গরীব লোকের জন্যে যারা আল্লাহর পথে আবদ্ধ হয়ে গেছে-জীবিকার সন্ধানে অন্যত্র ঘোরাফেরা করতে সক্ষম নয়। অজ্ঞ লোকেরা যাঞ্চা না করার কারণে তাদেরকে অভাবমুক্ত মনে করে। তোমরা তাদেরকে তাদের লক্ষণ দ্বারা চিনবে। তারা মানুষের কাছে কাকুতি-মিনতি করে ভিক্ষা চায় না। তোমরা যে অর্থ ব্যয় করবে, তা আল্লাহ তা’আলা অবশ্যই পরিজ্ঞাত।
২:২৭৪> যারা স্বীয় ধন-সম্পদ ব্যয় করে, রাত্রে ও দিনে, গোপনে ও প্রকাশ্যে। তাদের জন্যে তাদের সওয়াব রয়েছে তাদের পালনকর্তার কাছে। তাদের কোন আশংঙ্কা নেই এবং তারা চিন্তিত ও হবে না।
২:২৭৬> আল্লাহ তা আলা সুদকে নিশ্চিহ্ন করেন এবং দান খয়রাতকে বর্ধিত করেন। আল্লাহ পছন্দ করেন না কোন অবিশ্বাসী পাপীকে।

সূরা আল-ইমরানঃ
৩:১৩০> হে ঈমানদারগণ! তোমরা দ্বিগুন বা বহুগুন হারে সুদ খেয়ো না। আর আল্লাহকে ভয় করতে থাক, যাতে তোমরা কল্যাণ অর্জন করতে পারো।

২১| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:৫১

আশমএরশাদ বলেছেন: বেশী কথার সময় নাই কয়েকটা কথা বুলেট আকারে বলে যাই:
১, আপনার শিরোণামটা যথার্থ হয় নাই এই ধরণের ভারী পোস্টের ক্ষেত্রে।

২, ব্যাংকিং ব্যবস্থা বা ধারণাটা কোথা থেকে এসেছে? বৃটেন ভিত্তিক স্বর্ণবন্ধক মহাজন থেকে । তাহলে বুঝে নিন ইসলামী ব্যাংক নামটাতে ফাঁকি রয়েছে। তেমনি কিছুদিন পরে দেখবেন ইসলামী গার্মেন্টস।

৩, হাদিসে "রিবা" হারাম করা হয়েছে। যেটি আসলে ফসল ভিত্তিক ঋণ ছিল।
যেখানে ফসল হানি হলেও সুদ দেয়া লাগত।

৪, আধুনিক ব্যাংকিং ব্যবস্থা শুধু মাত্র একটি ইনটারেষ্ট তথা সুদ ভিত্তিক ভাবললে হবে না। ইসলামী ব্যাংকও অন্য ব্যাংক থেকে সুদে ঋন নেয়। HSBC ব্যাংকে তাদের একাউন্ট আছে এবং কিছুদিন আগেও একটা কেলেংকারীও ঘটেছে। ব্যাংক না থাকলে বিনিয়োগ থাকবে না, কর্ম সংস্থান হবে না।

৫, ইসলামী ব্যাংকের ৭৫ ভাগ শেয়ার হলো "আল- রাজি" ব্যাংকের। আমরা বোধাই, তাই আমাদের দেশে ইসলাম বিক্রি করা বেশ সহজ তাই তারা আল রাজী ব্যাংকের বাংলাদেশী সংস্করণের নাম দিয়েছে ইসলামী ব্যাংক। ইসলামী ব্যাংক নাম দেয়ায় তাদের লাভ হয়েছে বরং।

৬, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকেরও ইসলামী ব্যাংকিং আছে(সাদেক কার্ড)। এখন সব ব্যাংকেই ইসলামী শাখা এবং সিস্টেম আছে। অন্যরাও বুঝে গেলো ইসলামের নাম নিলে লাভ বই ক্ষতি নাই।

৭,অন্যান্য ব্যাংকও ঝুকিকে আমলে নেয় ইসলামী ব্যাংকও নেয়। সমস্যাটা কোথায় সেটা বুঝা গেলো না। ব্যাংকের ক্ষতি হলে যেমন গ্রাহক সেটা মেনে নেয় তেমনি গ্রাহক দেওলিয়া হলেও ব্যাংক বিবেচনা করতে বাধ্য । এখানে ইসলামের ব্যতয় কোথায়? না হলে দেখুন আপনার সাথে করা ব্যাংকের যে কোন ডিলের কাগজ।(শর্ত থাকে যে ব্যাংক যে কোন সময় এই শর্ত পরিবর্তন পরিবর্ধন করতে বাধ্য থাকবে।

৮, বর্তমান জেনারেল ব্যাংকিং এ গ্রাহক যেমন সন্তুষ্ট এবং লাভবান তেমনি ব্যাংকও। মাজ খান থেকে সেটি অবদান রাখছে দেশ ও লাখ লাখ কর্মজীবির। সো নো প্রভলেম ফর -সুদ, রিবা , এবং মুদরাবা। সবই একই বোতলে ভিন্ন ভিন্ন রঙের পানি। মুদরাবা বইলা কেউ বেশী লাভ করছে এই আর কি।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:২৮

মেহেদী পরাগ বলেছেন: ভাল বলেছেন। ধন্যবাদ।

২২| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:৫৮

আশমএরশাদ বলেছেন: বেশী কথার সময় নাই কয়েকটা কথা বুলেট আকারে বলে যাই:
১, আপনার শিরোণামটা যথার্থ হয় নাই। এই ধরণের ভারী পোস্টের ক্ষেত্রে।

২, ব্যাংকিং ব্যবস্থা বা ধারণাটা কোথা থেকে এসেছে? বৃটেন ভিত্তিক স্বর্ণবন্ধক মহাজন থেকে । তাহলে বুঝে নিন ইসলামী ব্যাংক নামটাতে ফাঁকি রয়েছে। তেমনি কিছুদিন পরে দেখবেন "ইসলামী গার্মেন্টস।"

৩, হাদিসে "রিবা"কে হারাম করা হয়েছে। যেটি আসলে ফসল ভিত্তিক ঋণ ছিল।যেখানে ফসল হানি হলেও সুদ দেয়া লাগত। কৃষক বেশ ক্ষতির মুখে পড়ত।

৪, আধুনিক ব্যাংকিং ব্যবস্থা শুধু মাত্র একটি ইন্টারেষ্ট তথা সুদ ভিত্তিক ভাবলে হবে না। ইসলামী ব্যাংকও অন্য ব্যাংক থেকে সুদে ঋন নেয়। HSBC ব্যাংকে তাদের একাউন্ট আছে এবং কিছুদিন আগেও একটা কেলেংকারীও ঘটেছে। ব্যাংক না থাকলে বিনিয়োগ থাকবে না, কর্মসংস্থান হবে না।

৫, ইসলামী ব্যাংকের ৭৫ ভাগ শেয়ার হলো "আল- রাজি" ব্যাংকের। আমরা বোধাই, তাই আমাদের দেশে ইসলাম বিক্রি করা বেশ সহজ তাই তারা আল রাজী ব্যাংকের বাংলাদেশী সংস্করণের নাম দিয়েছে ইসলামী ব্যাংক। ইসলামী ব্যাংক নাম দেয়ায় তাদের লাভ হয়েছে বরং।

৬, স্ট্যান্ডার্ড চাটার্ড ব্যাংকেরও ইসলামী ব্যাংকিং আছে(সাদেক কার্ড)। এখন সব ব্যাংকেই ইসলামী শাখা এবং সিস্টেম আছে। অন্যরাও বুঝে গেলো ইসলামের নাম নিলে লাভ বই ক্ষতি নাই। একজন ভিক্ষুক জানে তার পাত্রে পয়সা বেশী পড়বে যদি তার পরণে টুপি থাকে।

৭,অন্যান্য ব্যাংকও ঝুকিকে আমলে নেয় ইসলামী ব্যাংকও নেয়। সমস্যাটা কোথায় সেটা বুঝা গেলো না। ব্যাংকের ক্ষতি হলে যেমন গ্রাহক সেটা মেনে নেয় তেমনি গ্রাহক দেউলিয়া হলেও ব্যাংক বিবেচনা করতে বাধ্য । এখানে ইসলামের ব্যত্যয় কোথায়? না হলে দেখুন আপনার সাথে করা ব্যাংকের যে কোন ডিলের কাগজ।(শর্ত থাকে যে ব্যাংক যে কোন সময় এই শর্ত পরিবর্তন পরিবর্ধন করতে বাধ্য থাকবে।

৮, বর্তমান জেনারেল ব্যাংকিং এ গ্রাহক যেমন সন্তুষ্ট এবং লাভবান তেমনি ব্যাংকও। মাঝখান থেকে সেটি অবদান রাখছে দেশ ও দেশের লাখ লাখ কর্মজীবীর। সো নো প্রভলেম ফর -সুদ, রিবা , এবং মুদরাবা। সবই একই বোতলে ভিন্ন ভিন্ন রঙের পানি। মুদরাবা বইলা কেউ বেশী লাভ করছে এই আর কি। (সামান্য এডিট কৃত)

২৩| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:২৪

আশমএরশাদ বলেছেন: @মদন বলেছেন:
আল্লাহর নাম নিয়ে জবাই করা মুরগী আর এমনি জবাই করা মুরগীর মধ্যে পুষ্টিমান মোটেও পার্থক্য নাই।

তো ভাই মদন - শুয়োরকে(নাউজুবিল্লাহ) আল্লার নামে জবাই দিলে কি জায়েজ হয়ে যাবে? লিখক সে কথাই বুঝাতে চেয়েছেন।
বুঝাতে চেয়েছেন "ইসলামী" এটি ও একটি বানিজ্যিক কৌশলের নাম, বুঝাতে চেয়েছেন যারা শরিয়া ব্যাংকের সমর্থক তারা আবার গ্রামীণ ব্যাংকের সমর্থক হয় কেমনে?
বুঝাতে চেয়েছেন ডঃ ইউনুছ যেমন দারিদ্রকে পন্য করে প্রাইজ বাগিয়ে এনেছেন তেমনি মীর কাশেম আলীরা ইসলামকে পুজি করে ব্যবসা ফেঁদেছেন। একটা ব্যবসা শুরুর আগে উদ্যোগতা দেখে নেয় গ্রাহকরা কেমন? কি দিলে বেশী খাবে, কি দিলে কম খাবে? সাদা টিস্যু বেশী পছন্দ করে না গোলাপী টিস্যু। দুই টিস্যুর পানি শোষন ক্ষমতা একই হলেও উদ্যোক্তারা এগুলো মাথায় রাখে। যে দেশে পীর ফকিরের, কুতুববাগী, চন্দ্রপুরীদের মুরিদের অভাব নেই সে দেশে কেমন ব্যাংকের নাম পছন্দ হবে সেটা বুঝে নিন। আমার কথা হলো ইসলামী লাগাইলেন ভালো কথা কিন্তু বিধর্মীদের তৈরী নাম ও ধারণা "ব্যাংক" লাগাইলেন কেন?

২৪| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৪

কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: @আশমএরশাদ

এখানে আলোচনার বিষয় এটা নয় যে ইসলামী ব্যাংকিং পরিপুর্ণ ইসলামী কি না (কারন সবাই স্বীকার করছে যে এখানে কিছু ত্রুটি রয়েগেছে) বরং আলোচনা হচ্ছে এই ত্রুটিপুর্ণ ইসলামী ব্যাংকিং এর চেয়ে পরিপুর্ণ সুদি ব্যাংকিং ভাল কী না।

একটা উদাহরণ বিবেচনা করা যেতে পারে। দুই গ্লাস পানি আছে, একটির ব্যাপারে সবাই নি:সন্দেহে বলছে যে ওটাতে বিষ আছে। আর একটির ব্যাপারে সাধরন ধারনা যে সেটা বিষমুক্ত তবে কিছু কিছু মানুষ সন্দেহ করছেন যে ওতেও বিষ থাকতে পারে। এখন আপনাকে যদি পানি পান করতে হয় তাহলে কোন গ্লাশের পানি পান করবেন?

হ্যা, যদি সম্ভব হয় তাহলে পুরো ব্যাংকিং ব্যাবস্থাই বাদ দেয়া যেতে পারে (সন্দেহযুক্ত বিষয় থেকে বিরত থাকার হুকুম আছে) যেহেতু এটার উদ্ভাবন হয়েছে পুজিবাদী ব্যাবস্থার ধারক হিসেবে - কিন্তু যদি ব্যাংকিং করতেই হয় তাহলে কোনটি উত্তম, যেটি সন্দেহাতীতভাবে সুদি ব্যাংক সেটি না কি যারা চেস্টা করছে সুদমুক্ত ব্যাংকিং এর সেটি?

২৫| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৬

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: মন্দের ভাল বলে একটা কথা আছে না। এটা অনেকটা সে রকম। বাংলাদেশের এই সিস্টেমে পারফেক্ট একটা ইসলামি ব্যাংক করা সম্ভব নয়। কিন্তু তাই বলে তো একেবারে সুদি ব্যাংকে যাওয়াটাও উচিত নয়। আল্লাহ বলেছেন চেস্টা করতে। তাই ইসলামি ব্যাংক একটা চেস্টা মাত্র। আমার মনে অন্যান্য ব্যাংকের চেয়ে ইসলামি ব্যাংক অনেক ভালো সেবা প্রদান করে। এবং এটা তাদের গ্রাহক সংখ্যা এবং টাকার পরিমান দেখলেই বুঝা যায়।

বুঝাই যাচ্ছে আপনার ধর্মের উপ প্রচুর রাগ আছে। প্রথম কমেন্টের সাথে প্রচন্ডভাবে সহমত। আপনার জামাত শিবির বিরোধিতা এখন ধর্মের বিরোধিতায় পৌছেছে। আল্লাহ আপনাকে হেদায়াত দান করুন।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৩১

মেহেদী পরাগ বলেছেন: ইসলামি ব্যাংক সেবা দেয় তো ভাল কথা, আমি তো কাউকে সেবা নিতে না করিনাই। কিন্তু তারা তো অন্য ব্যাংকে সেবা নিতে না করে, এটাতেই আমি আপত্তি জানাই।

আর আমার ধর্ম সম্পর্কে কি ধারণা সেটা আমার অন্যান্য পোস্ট পড়লে ভাল বুঝবেন, এই পোস্টে কিছুই বুঝবেন না।

২৬| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৪

মুদ্‌দাকির বলেছেন:
মেহেদী পরাগ ভাই, একটু বারাবারি হয়ে গেল না??

যাই হোক মদন ভাইয়ের সাথে একমত পোষন করলাম।

সূরা বাকারাঃ আয়াত ২৭৫,২৭৬

যারা সুদ খায়, তারা কিয়ামতে দন্ডায়মান হবে, যেভাবে দন্ডায়মান হয় ঐ ব্যক্তি, যাকে শয়তান আসর করে মোহাবিষ্ট করে দেয়। তাদের এ অবস্থার কারণ এই যে, তারা বলেছেঃ ক্রয়-বিক্রয় ও তো সুদ নেয়ারই মত! অথচ আল্লাহ তা আলা ক্রয়-বিক্রয় বৈধ করেছেন এবং সুদ হারাম করেছেন। অতঃপর যার কাছে তার পালনকর্তার পক্ষ থেকে উপদেশ এসেছে এবং সে বিরত হয়েছে, পূর্বে যা হয়ে গেছে, তা তার। তার ব্যাপার আল্লাহর উপর নির্ভরশীল। আর যারা পুনরায় সুদ নেয়, তারাই দোযখে যাবে। তারা সেখানে চিরকাল অবস্থান করবে।

আল্লাহ তা আলা সুদকে নিশ্চিহ্ন করেন এবং দান খয়রাতকে বর্ধিত করেন। আল্লাহ পছন্দ করেন না কোন অবিশ্বাসী পাপীকে।


সূরা নিসাঃ আয়াত ১৬০,১৬১

বস্তুতঃ ইহুদীদের জন্য আমি হারাম করে দিয়েছি বহু পূত-পবিত্র বস্তু যা তাদের জন্য হালাল ছিল-তাদের পাপের কারণে এবং আল্লাহর পথে অধিক পরিমাণে বাধা দানের দরুন।

আর এ কারণে যে, তারা সুদ গ্রহণ করত, অথচ এ ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল এবং এ কারণে যে, তারা অপরের সম্পদ ভোগ করতো অন্যায় ভাবে। বস্তুত; আমি কাফেরদের জন্য তৈরী করে রেখেছি বেদনাদায়ক আযাব।



মেহেদী ভাই হাদিস পড়তে পড়তে কুরয়ান ভুলেই গেছেন মনে হয়?? তা না হলে সূরা বাকারার ২৭৫ নং আয়াতের ঐ ব্যাক্তিদের মত সুদকে ক্রয় বিক্রয়ের সাথে নতুন করে তুলনা করতেন না!! আপনার মত এই কাজ আগেও ইহুদি আর মুনাফিকরা করেছেন। আর ২৭৬ নং আয়াতে সুদকে নিশ্চিহ্ন করার কথা বলা হয়েছে বলা হয় নাই যে সবাই একসাথে সুদ খেলে সুদ কে বৈধ করা হবে, নাকি ? কি বলেন?? বা এটাও বলা হয় নাই যে অল্প সুদ খেলে তা বৈধ আর মহাজন দের সুদ হারাম ???

ভালো করে অর্থনীতি ঘাটুন দেখবেন মুদ্রাস্ফিতি সহ ধনির আরো ধনি হওয়া আর গরীবের আরো গরীব হওয়ার মত দুঃক্ষজনক ব্যাপার গুলো সুদের জন্যই হচ্ছে। সুদকে ইউনিভার্সাল করার আন্দোলন না করে সুদ কে বাতিলের আন্দলন করুন। দেখেন না সব ব্যাংক যদি সুদি সিস্টেম বাদ দিয়ে ইসলামি নিয়মে ব্যাংকিং শুরু করে তখন আর ইসলামি ব্যাংক গুলো কেউই আর একটা নির্দিষ্ট পরিমান লাভের নিশ্চয়তা দিতে পারে কি না??!! ভাবুন!!

আর সূরা নিসার ১৬০ ১৬১ পড়ে কি বুঝলেন???


সুদ গ্রহন করতে থাকলে অনেক হালাল বস্তুও আল্লাহ হারাম করে দিবেন, দেখেন না ভাই, আজ কালের ডায়াবেটিক আর হার্টের ব্যারামের বা কিডনির ব্যারামের রোগিদের অবস্থা !!! সতর্ক হন !! দেখুন চারিদিকে তাকান, ভালো করে দেখুন, কিভাবে মানুষের হালাল জিনিস গুলোও হারাম হয়ে যায়!!!!

(আমি এ বুঝাতে চাই নাই যে সকল প্রকার রোগীরাই সুদ খোর)


আমি বুঝতেছিনা, আপনার মত জ্ঞানী ধার্মিক ব্যাক্তির মাথায় সবাই মিলা সুদ না খেলে কেমন হয়, এটা মাথায় এলো না কেন ????

আসসালামুয়ালাইকুম !!!

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৩১

মেহেদী পরাগ বলেছেন: ১)

ইউসুফ আলির কোরান তাফসিরে সূরা বাকারার ২৭৫ আয়াতে আমরা জানতে পারি যে সুদ কোরানে নিষিদ্ধ সে ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু কোরানে সুদকে সঙ্গায়িত করে দেয়া হয়নি। কোরানে নিষিদ্ধ সুদের সংগা নিয়ে তাই আলোচনার সুযোগ আছে। হযরত উমর পর্যন্ত এটা নিয়ে সমস্যায় পড়েছিলেন কারণ নবী (সাঃ ) এই ব্যাপারে বিস্তারিত বর্ণনা করার আগেই দুনিয়া ছেড়ে চলে যান। পরে আলেমগণ তৎকালীন ইতিহাসের ভিত্তিতে সুদকে বিভিন্নভাবে সংগায়িত করেছেন। আলেমদের সংগার মাঝেও এখনো সম্পূর্ণ ঐক্যমত প্রতিষ্ঠিত হয়নাই।


কোরান নাজিলের সময় কোন ব্যাংকিং ব্যবস্থাই ছিলনা। তাই বর্তমানের ব্যাংক ইন্টারেস্ট মানে যে কোরানে বর্ণিত সুদ এমন কোন নিশ্চয়তা নেই। কোরানে কোন ধরণের সুদ নিষেধ করা হয়েছে সেটা কোরান থেকেই একটু যাচাই করা যাক। নিচে দেয়া সূরা বাকারার ২৭৩-২৭৪ ও ২৭৬ আয়াতে খেয়াল করুন যে এইখানে আল্লাহ সুদ নিয়ে কথা বলছেন গরীবদের দান খয়রাত এর প্রেক্ষাপটে। কেউ কাউকে বিনা লাভে টাকা দিয়ে দেয়না তাই আল্লাহ নির্দেশ দিয়েছেন দান করতে, তবে কেউ দান না করতে চাইলে টাকা ধার দিয়েও গরীবের উপকার করতে পারে তাই আল্লাহ সুদ নিতে না করেছেন। আল্লাহ এমনকি সময়মত কেউ ঋণ পরিশোধ করতে না পারলেও তাকে সুযোগ দিতে বলেছে। সূরা আল-ইমরান এর ১৩০ নং আয়াতে খেয়াল করুন সুদের মাত্রা কত বেশি ছিল, দ্বিগুন বা বহুগুন যার মানে ১০০% বা কয়েকশত পারসেন্ট যা কোন ব্যাঙ্কই বর্তমানে আরোপ করেনা। বেশ কিছু ইসলামিক স্কলারই মতামত দিয়েছেন যে কোরানে নিষিদ্ধ সুদ মানে উচ্চ হারের মহাজনি টাইপ সুদ। যদিও বেশিরভাগ স্কলার এই মতে সম্মতি দেননি। বৈজ্ঞানিকভাবে চরম ভুল আর হাস্যকর হাদীসগুলোর ব্যাপারেও কিন্তু বেশিরভাগ ইসলামিক স্কলার হাদীসগুলোর সত্যতার পক্ষেই রায় দিয়েছেন। এখন বিবেচনা একান্তই আপনার, আপনিই ঠিক করুন।

২:২৭৩> খয়রাত ঐ সকল গরীব লোকের জন্যে যারা আল্লাহর পথে আবদ্ধ হয়ে গেছে-জীবিকার সন্ধানে অন্যত্র ঘোরাফেরা করতে সক্ষম নয়। অজ্ঞ লোকেরা যাঞ্চা না করার কারণে তাদেরকে অভাবমুক্ত মনে করে। তোমরা তাদেরকে তাদের লক্ষণ দ্বারা চিনবে। তারা মানুষের কাছে কাকুতি-মিনতি করে ভিক্ষা চায় না। তোমরা যে অর্থ ব্যয় করবে, তা আল্লাহ তা’আলা অবশ্যই পরিজ্ঞাত।
২:২৭৪> যারা স্বীয় ধন-সম্পদ ব্যয় করে, রাত্রে ও দিনে, গোপনে ও প্রকাশ্যে। তাদের জন্যে তাদের সওয়াব রয়েছে তাদের পালনকর্তার কাছে। তাদের কোন আশংঙ্কা নেই এবং তারা চিন্তিত ও হবে না।
২:২৭৬> আল্লাহ তা আলা সুদকে নিশ্চিহ্ন করেন এবং দান খয়রাতকে বর্ধিত করেন। আল্লাহ পছন্দ করেন না কোন অবিশ্বাসী পাপীকে।

৩:১৩০> হে ঈমানদারগণ! তোমরা দ্বিগুন বা বহুগুন হারে সুদ খেয়ো না। আর আল্লাহকে ভয় করতে থাক, যাতে তোমরা কল্যাণ অর্জন করতে পারো।

২)

আমি কিন্তু কোথাও সুদকে ক্রয় বিক্রয়ের সাথে তুলনা করিনাই। এটা আপনি কোথায় পেলেন বুঝতে পারলাম না। আমি শুধু বলেছি যে আল্লাহ যে সুদ নিষিদ্ধ করেছেন সেই সুদ আর বর্তমানের ব্যাংক ইন্টারেস্ট এক নয়। এছাড়া আপনি আরেকটি কথা বললেন যে সুদের কারণে গরিব আরও গরিব হচ্ছে। সেটা নাহয় মানলাম, কিন্তু ইসলামি ব্যাংক তো এইসব ব্যাংকের চাইতে ভিন্ন কিছু করছেনা, তাই সারা দুনিয়ার সকল ব্যাংক ইসলামি ব্যাংক হয়ে গেলেও গরিব আরও গরিব হতেই থাকবে। তবে হ্যাঁ, যদি আরও উন্নত কোন ব্যাংক ব্যবস্থা আবিষ্কার করা যায় সে ব্যাপারে আমার আপত্তি থাকবে কেন?

৩)

আর ইহুদীদের ব্যাপারে আল্লাহ কি বলেছিলেন সেটা অতীতের নির্দিষ্ট একটি ঘটনা এবং সেই ঘটনা আমাদের সাথে মিলানোটা একেবারেই ভুল। সমকামীতার জন্য হযরত লূত (আঃ ) এর কওম মাটিতে বিদ্ধস্ত করে দেয়া হয়েছিল। আজ খোদ সৌদি আরবেই তরুন প্রজন্মের ৪৬% সমকামী, এছাড়া সারা দুনিয়ায় সমকামীর সংখ্যা নেহায়েত কম নয়। তারা কি একই শাস্তি পাচ্ছে? আর ডায়াবেটিস হলেও খাবারগুলো কিন্তু রোগীর জন্য হারাম হয়ে যায়না, তারা পরিমিত পর্যায়ে সবকিছুই খেতে পারে। এই ব্যাপারে আপনার যুক্তিটি তাই যুক্তির ধারে কাছেও আসতে পারেনি বলেই মনে করছি।

২৭| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:২৫

সরসী রায় বলেছেন: আমারও মনে হয় ইসলামী ব্যাঙ্কিং পুজিবাদী ব্যাংকিঙের বিকল্প না। দুটো একই জিনিস।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৩২

মেহেদী পরাগ বলেছেন: ঠিক বলেছেন। ধন্যবাদ।

২৮| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৩৭

নিঃশব্দ শিশির! বলেছেন: অনেক গুলো বিষয় নিয়ে এসেছেন,,,!! সামনে নিয়ে এসেছেন অনেক গুলো বিকর্ত!!! তবে লেখাটা ভালো হয়েছে!!!

এই লেখার মন্তব্যকরার আগে বলে নেই,,,আমি দেশের একটি ইসলামি ব্যাংকে চাকরি করছি। আর এক সময় মানে বছর দুই আগেও নামের আগে সাংবাদিক শব্দটা ছিল!!

* মোটা দাগে বলা যায়, দেশের ইসলামি ব্যাংক গুলো নামের সঙ্গে "ইসলাম" শব্দটা যোগ করে ব্যবসা করছে!!
*দেশে এখন "ইসলাম" একটা ভালো ব্র্যান্ড!!!
*অন্য ব্যাংকের সঙ্গে ইসলামি ব্যাংকের মৌলিক কিছু পার্থাক্য না থাকলেও , কিছু পার্থক্য কিন্তু রয়েছে!!
*বর্তমানে ব্যাংক গুলো যাকে সুদ বলছে, ইসলামে সেই বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলা নাই!!!
*ইসলামি ব্যাংক গুলো কিন্তু নিজেদের মনগড়া আইনে চলে না! বাংলাদেশ ব্যাংক তথা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আইন মেনেই তাদের ব্যবসা করতে হয়!! তাহলে যদি কোন ঘাপলা থাকে তার জন্য দায়ি এই কেন্দ্রীয় ব্যাংক!!
*তবে এ কথা বলতেই হয়, ইসলামি ব্যাংকের যে সিস্টেম তা পুরোপুরি মানলে আপনার মনের কিছু প্রশ্ন অনন্ত দূর হতো!!!
*ইসলামে অবশ্যই ব্যাংকিং ব্যবস্থা আছে, হয়তো সেটা কি হবে তা এখনও আমরা বুঝতেই পারি নাই!!!
*খুব সম্ভবত ইরাক কিংবা ইরানে , পতিতাদের সঙ্গে মিলিত হওয়ার আগে বিয়ে পড়ানো হয়, আর মিলনের পর তালাক দেওয়া হয়। আর সেই পতিতা ইসলামের নিয়ম অনুসারে ৪০ দিন পর আরও এক ব্যাক্তিকে একই কায়দায় বিয়ে করে!!! এটা কিন্তু প্রচলিত!!!!
*আমাদের দেশের ৯৯.৯৯ মানুষ ধার্মিক, মানে তারা কোন না কোন ধর্ম মানে। সেই দেশে নৈতিকতা বলতে কিছু নাই। আইন তা শরিয়া হোক আর পার্লামেন্টের হোক কেউ তা মানে না, সবাই চুরির ধান্ধায় ঘোরে। দূর্নীতিতে বছরের পর পর প্রথম দিকে থাকে।
যে দেশে ধর্ম মানেই ব্যবসা! যে দেশে ধর্ম মানেই , আল্লাহ হুআকবর বলে বোম মেরে মানুষ মারা, যে দেশে ধর্ম মানেই শাপলা চত্তর!!
সেই দেশে ভাই এই সব ভালো ভালো কথা বলে লাভ নাই!!
///

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৩৩

মেহেদী পরাগ বলেছেন: চমৎকার মন্তব্য। ধন্যবাদ।

২৯| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:০৯

সাইলেন্স বলেছেন: অতি উচ্চ শিক্ষিত এক ভদ্রলোক গঠন মূলক সমালোচনা করছেন, লোল।

আপনার রাগটা কিসের উপরে সেটা সময়ই বলে দেবে।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৩৪

মেহেদী পরাগ বলেছেন: সময়ের অপেক্ষায় থাকা লাগবেনা, আমার অন্যান্য পোস্ট পড়লে এখনই বুঝতে পারবেন।

৩০| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:১৩

আমি রিয়াদ বলেছেন: উপরে অনেকগুলু কমেন্টের রিপ্লাই দেন নাই, তাই আমি বিস্তারিত কিছু লিখব না। শুধু একটা পরামর্শ দিব যেটা আপনার মত পিএইচডি ধারী কে দেয়া অসম্মানজনক মনে হতে পারে।

সাধারণ ব্যাংকিং ও ইসলামিক ব্যাংকিং এর উপর পিএইচডি নেয়ার দরকার নাই শুধু কয়েকটা ভাল বই আগে পড়ে নেন। আপনি এখনো সুদ আর লাভের পার্থক্য বুঝতে পারছেন বলে মনে হয় না। যে বিষয়ে লিখবেন সে বিষয়ে ন্যূনত্বম কিছুতো জানা উচিত।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৩৭

মেহেদী পরাগ বলেছেন: উপরে ২৮ নং মন্তব্যটি দেখুন, তিনি একজন ইসলামি ব্যাংকের ব্যাংকার। তা উনিও কি কিছুই জানেনা?

আমি বই পত্র পড়ে তার পরেই এটা লিখেছি। সুদ আর লাভের পার্থক্য কেন বুঝবনা? আসলে ইসলামি ব্যাংক যেটাকে লাভ বলছে সেটা প্রকৃত অর্থে লাভ নয়। কিছুটা যুক্তি বুদ্ধি না খাটালে কিছুই বুঝবেন না।

৩১| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:০৩

মুহাম্মাদ মাহফুজুর রহমান শরীফ বলেছেন: @ মেহেদী পরাগ :


আপনি যা বলেছেন্। --

"যৌনপল্লীকেও ইসলামি যৌনপল্লী হিসেবে ঘোষনা দেয়া যায়। ইসলামে দাসীর সাথে সঙ্গম করা বৈধ। বাংলাদেশের যৌনপল্লীগুলোতে যৌনকর্মীরা দাসীর মতই অন্যের মালিকানায় থাকে। তাই কোন মুসলিম চাইলে সেখানে গিয়ে দাসী কিনে আমোদ করার কিছুক্ষণ পর কিছুটা কমদামে দাসীর আগের মালিকের কাছে বিক্রি করে দিতে পারে। কতক্ষণের জন্য দাসী কিনবে, কত দামে কিনবে আর কত দামে বিক্রি করবে সেই চুক্তিটা ইসলামী ব্যাংকের টেকনিক্যাল চুক্তির মত আগে থেকেই ঠিক করে নিতে হবে আরকি।"


এর সাফাই হিসেবে আপনি ২ ও ৩ নং পয়েন্টে যেই সব প্রশ্ন ও উত্তর উপস্থাপন করেছেন। --

" ২) এখনতো দাস প্রথা নাই তাই যৌনপল্লীর মেয়েরা কোনভাবেই দাসী নয় বরং কর্মী। দাসী না হলে এটা ইসলামিকও নয়।
উত্তরঃ প্রাচীনকাল থেকেই দাসের পরিচয়, সুযোগ সুবিধা, অধিকার, দাস সম্পর্কিত নিয়ম নীতি ইত্যাদি একেক সমাজে একেক রকম ছিল। সরকারী ভাবে বর্তমানে সারাবিশ্বে দাসপ্রথা নিষিদ্ধ হলেও বেআইনি ভাবে মডার্ণ স্লেভারি নামে দাসপ্রথা আজও চালু আছে। বিশ্বব্যাপি প্রায় ৩ কোটি লোক এখন আধুনিক দাসত্বের স্বীকার। গ্লোবাল স্লেভারি ইনডেক্সে এসম্পর্কে প্র্যাক্টিক্যাল তথ্য উপাত্ত পাওয়া যাবে। ভিজিট করুন Click This Link"


"৩) সরকারী ভাবে দাসপ্রথা অবৈধ তাই বর্তমানে মডার্ণ স্লেভারির অস্তিত্ব থাকলেও একটি অবৈধ ব্যাপার ইসলামে বৈধ হতে পারেনা।
উত্তরঃ সরকারী ভাবে অনেক দেশে একাধিক বিয়ে করা অবৈধ তাই বলে কি ইসলামে চার বিয়ে করা অবৈধ হয়ে যাবে? আবার অনেক দেশে মদ কেনা বেচা বৈধ বলে কি ইসলামেও তা বৈধ হয়ে যাবে? ইসলামে দাসপ্রথা বৈধ এটাই সবচেয়ে বড় কথা নয় কি?"



আপনার অবশ্যই সতর্ক হওয়া উচিত।

"যখন আপনি তাদেরকে দেখেন, যারা আমার আয়াত সমূহে ছিদ্রান্বেষণ করে, তখন তাদের কাছ থেকে সরে যান যে পর্যন্ত তারা অন্য কথায় প্রবৃত্ত না হয়, যদি শয়তান আপনাকে ভূলিয়ে দেয় তবে স্মরণ হওয়ার পর জালেমদের সাথে উপবেশন করবেন না। (Al-An'aam - ৬ : আয়াত - ৬৮)"


বুঝলাম সরকারী ভাবে দাসপ্রথা বা একাধিক বিয়ে অবৈধ হলেও ইসলামে সেটা অবৈধ নয়।


কিন্তু এখন প্রশ্ন আসে আপনি এই যুগে দাসদেরকে কি ভাবে পাবেন এবং কাকেই বা দাস বানাবেন ?


১// আমি যতদুর জানি জাতিসংঙ্ঘে চুক্তি অনুযায়ী আর কোনো দেশ, শত্রু দেশের যুদ্ধ বন্দিকে দাস বানাতে পারবে না।

কাজেই এখন আপনি যুদ্ধ করে আর কাউকেই দাস বানাতে পারছেন না।
কারণ ইসলামে চুক্তি ভঙ্গ নিষিদ্ধ।


২// ইসলামে কোনো স্বাধীন নাগরিককেও ( যুদ্ধ বন্দি নয় এমন মুসলিম/অমুসলিম নাগরিক) দাস বানানো নিষেধ

অতএব, এখানেও আপনার দাস পাওয়ার কোনো আশা নেই, কারণ আপনি কোনো স্বাধীন নাগরিককে (মুসলিম/অমুসলিম) দাস বানাতে পারবেন না।


৩// বেতনভুক্ত বা চুক্তিভুক্ত বা আশ্রিত বা কৃষি দাস বা ভূমি দাস বা বাধ্যতামূলক শ্রম দানকারী এরা কেউ দাস নয়।

এখানেও আপনি দাস পাচ্ছেন না, আর যদি দাস বলতেও চান, তবুও যেই ধরণের দাসের সাথে যৌন কর্মের অনুমতি আছে তাদের পর্যায় এদেরকে কখনোই ফেলা যায় না।


৪// যদি যুদ্ধ হয়, তবুও ইসলামি আইন অনুসারে কাউকে দাস বানানো বাধ্যতা মূলক নয়।

নিচের আয়াতটি দেখলে বুঝা যায় ইসলামি আইন অনুসারে কাউকে দাস বানানো বাধ্যতা মূলক নয়।

যদি আল্লাহ তাদেরকে হয় অনুগ্রহ করে বিনামুক্তিপণে ছেড়ে দিতে অথবা মুক্তিপণের বিনিময় ছেড়ে দিতে বলেছেন।


"অতঃপর যখন তোমরা কাফেরদের সাথে যুদ্ধে অবতীর্ণ হও, তখন তাদের গর্দার মার, অবশেষে যখন তাদেরকে পূর্ণরূপে পরাভূত কর তখন তাদেরকে শক্ত করে বেধে ফেল। অতঃপর হয় তাদের প্রতি অনুগ্রহ কর, না হয় তাদের নিকট হতে মুক্তিপণ লও। তোমরা যুদ্ধ চালিয়ে যাবে যে পর্যন্ত না শত্রুপক্ষ অস্ত্র সমর্পণ করবে! একথা শুনলে। আল্লাহ ইচ্ছা করলে তাদের কাছ থেকে প্রতিশোধ নিতে পারতেন। কিন্তু তিনি তোমাদের কতককে কতকের দ্বারা পরীক্ষা করতে চান। যারা আল্লাহর পথে শহীদ হয়, আল্লাহ কখনই তাদের কর্ম বিনষ্ট করবেন না। (সূরা মুহাম্মাদ - ৪৭ : আয়াত - ৪ ) "


৫// যুদ্ধ বন্দি আর দাস এক কথা নয়।

যদি কেউ যুদ্ধ বন্ধি হয়, তবে হয়তো তাকে পরে মুক্তিপণের বিনিময় ছেড়ে দেওয়া হবে।
এই অবস্থায় তাকে যুদ্ধ বন্ধিই বলতে হবে, কোনো অবস্থাতেই দাস বলা যাবে না।
কাজেই তার সাথে দাসের মতো আচরণ করা যাবে না।


৬// অন্যায় ভাবে যাদেরকে বন্দি করা হয়, তারা বন্দি হলেও দাস নয়।

তাই এখানেও আপনি দাস পাচ্ছেন না।
আর অন্যায় ভাবে বন্দি করলেতো আপনাকেই গুনাহগার হতে হবে।

আর যৌনপল্লীগুলোতে যৌনকর্মীদেরকে অন্যায় ভাবে বা জোর করে অথবা ব্লাকমেইল করে বা অন্য কোনো উপায়ে অবৈধ ভাবে আটকে রাখা হয়।

অতএব যৌনকর্মী আর দাস কখনো এক হতে পারে না।
কারণ একজন দাসের এবং একজন যৌনকর্মীর কর্ম ও উদ্দেশ্য ইত্যাদি এক নয়।


৭// সেচ্চায় যারা দাসত্ব গ্রহণ করে, তারাও দাসদের চেয়ে স্বাধীন।

ভারতে পুর্বে ইউরোপের ধরনের মতো দাসপ্রথা ছিলো না।
এখানে সাধারণত গরিব লোকেরা সেচ্চায় দাসত্ব গ্রহণ করতো, আবার ইচ্ছা হলে চলেও যেত পারতো।

অর্থাৎ তারা একধরনের স্বাধীন দাস ছিলো, যারা পেটে-ভাতে থাকতো।
এরা যেহেতু আগে থেকেই এক ধরণের স্বাধীনতার মধ্যে রয়েছে, তাই এরাও সেই ধরণের দাস নয়, যাদের সাথে মালিকরা নিজের ইচ্ছেমতো যৌনকর্ম করতে পারে।

কাজেই এই নিয়মে যেই আপনার সেচ্চা দাস হোকনা কেনো চাই সে মুসলিম অথবা অমুসলিম, আপনি তার সাথে যৌনকর্ম করতে পারেন না ।

যৌনপল্লীগুলোতে যৌনকর্মীদের কেউ যদি সেচ্চায়েই যৌনকর্মীর কাজ করতে আসে, তবে তাকে আর যাই বলা হোক, অন্তত্য দাস বলা যাবে না।

কারণ একজন দাসের এবং একজন যৌনকর্মীর কর্ম ও উদ্দেশ্য ইত্যাদি এক নয়।


৮// ইসলামে অযথা কারো সাথে লড়াই করাও যাবে না।

যদি ইসলামের শত্রুরা মুসলিমদের উপর লড়াই চাপিয়ে দেয়, তাহলেই যুদ্ধ করতে হবে।
কিন্তু তারা যদি যুদ্ধ ছেড়ে দেয়, তবে আর বড়াবাড়ি করা যাবে না।
আর যারা শান্তি প্রিয় অমুসলিম, তাদের সাথে কোনো যুদ্ধ নয়।

নিচের আয়াতগুলো দেখলে কিছুটা বুঝতে পারবেন।

"ধর্মের ব্যাপারে যারা তোমাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেনি এবং তোমাদেরকে দেশ থেকে বহিস্কৃত করেনি, তাদের প্রতি সদাচরণ ও ইনসাফ করতে আল্লাহ তোমাদেরকে নিষেধ করেন না। নিশ্চয় আল্লাহ ইনসাফকারীদেরকে ভালবাসেন। (সূরা আল মুমতাহিনা - ৬০ : আয়াত - ৮)"

"আর লড়াই কর আল্লাহর ওয়াস্তে তাদের সাথে, যারা লড়াই করে তোমাদের সাথে। অবশ্য কারো প্রতি বাড়াবাড়ি করো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ সীমালঙ্ঘনকারীদেরকে পছন্দ করেন না।
(সূরা আল বাকারা - ২ : আয়াত - ১৯০)"

"আর তাদের সাথে যুদ্ধ করতে থাক যতক্ষণ না ভ্রান্তি শেষ হয়ে যায়; এবং আল্লাহর সমস্ত হুকুম প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায়। তারপর যদি তারা বিরত হয়ে যায়, তবে আল্লাহ তাদের কার্যকলাপ লক্ষ্য করেন।
(সূরা আল আনফাল - ৮ : আয়াত - ৩৯) "

"আর যদি তারা সন্ধি করতে আগ্রহ প্রকাশ করে, তাহলে তুমিও সে দিকেই আগ্রহী হও এবং আল্লাহর উপর ভরসা কর। নিঃসন্দেহে তিনি শ্রবণকারী; পরিজ্ঞাত। (সূরা আল আনফাল - ৮ : আয়াত - ৬১)"

"আর ইহুদীরা বলেঃ আল্লাহর হাত বন্ধ হয়ে গেছে। তাদেরই হাত বন্ধ হোক। একথা বলার জন্যে তাদের প্রতি অভিসম্পাত। বরং তাঁর উভয় হস্ত উম্মুক্ত। তিনি যেরূপ ইচ্ছা ব্যয় করেন। আপনার প্রতি পলনকর্তার পক্ষ থেকে যে কালাম অবর্তীণ হয়েছে, তার কারণে তাদের অনেকের অবাধ্যতা ও কুফর পরিবর্ধিত হবে। আমি তাদের পরস্পরের মধ্যে কেয়ামত পর্যন্ত শত্রুতা ও বিদ্বেষ সঞ্চারিত করে দিয়েছি। তারা যখনই যুদ্ধের আগুন প্রজ্জলিত করে, আল্লাহ তা নির্বাপিত করে দেন। তারা দেশে অশান্তি উৎপাদন করে বেড়ায়। আল্লাহ অশান্তি ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদেরকে পছন্দ করেন না। (সূরা আল মায়েদা - ৫ : আয়াত - ৬৪)"


৯// যদি আপনি এটা বলতে চান ইসলামে জিহাদ ফরজ, তবুও সহজে কাওকে দাস বানানো সুযোগ নেই।

নিচের আয়াতে বুঝা যাচ্ছে, যদিও কোনো ভিন্ন অমুসলিম দেশের সাথে যদি জিহাদ হয়, তবে তাদেরকে একটা অপশন দেওয়া হয়। সেটা হলো হয় ঈমান আন আর না হলে নিরাপত্তা কর (জিযিয়া) দাও।

"তোমরা যুদ্ধ কর আহলে-কিতাবের ঐ লোকদের সাথে, যারা আল্লাহ ও রোজ হাশরে ঈমান রাখে না, আল্লাহ ও তাঁর রসূল যা হারাম করে দিয়েছেন তা হারাম করে না এবং গ্রহণ করে না সত্য ধর্ম, যতক্ষণ না করজোড়ে তারা জিযিয়া প্রদান করে। (At-Tawba ৯: ২৯)"


১০// যদি অমুসলিম শত্রুরা মুসলিম যুদ্ধ বন্দিদেরকে দাস বানায় বা বন্দিদের সাথে যৌনকর্ম করে, তবেই আপনি উপযুক্ত প্রতিশোধ নিতে পারবেন।

অর্থাৎ খ্রীস্টানদের মতো এক গালে থাপ্পর খেলে অন্য গাল পেতে দেওয়ার নীতি ইসলামে নেই।
আবার বৌদ্ধদের মতো এটাও নেই যত খুশি মারতে পারো।

ইসলাম অন্যায় এবং যুলুম থেকে নিজেদের ধর্মের অনুসারীদেরকে আত্মরক্ষার সুযোগ করে দেয়।

তাই অমুসলিমরা যদি মুসলিম যুদ্ধ বন্দিদেরকে দাস বানায় বা বন্দিদের সাথে যৌনকর্ম করে, তবেই মুসলিমরা অনুরুপ ভাবে প্রতিশোধ নিতে পারবে।

আপনি যদি এই সুযোগ পেতে চান, তবে ভবিষ্যতে অমুসলিমরা যুদ্ধ করার সময়ে কি কা ধরণের অন্যায় করে সেটা লক্ষ রাখতে হবে।

নিচের আয়াতে হুবুহ না হলেও, সেটার কিছুটা আভাস পাওয়া যায়।

"সম্মানিত মাসই সম্মানিত মাসের বদলা। আর সম্মান রক্ষা করারও বদলা রয়েছে। বস্তুতঃ যারা তোমাদের উপর জবর দস্তি করেছে, তোমরা তাদের উপর জবরদস্তি কর, যেমন জবরদস্তি তারা করেছে তোমাদের উপর। আর তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং জেনে রাখ, যারা পরহেযগার, আল্লাহ তাদের সাথে রয়েছেন।
(সূরা আল বাকারা - ২ : আয়াত - ১৯৪)"



সব শেষে এই কথাই বলতে চাই হারাম আর হালালের পার্থক্য সতর্কতার সাথে মেনে চলা উচিত।
আল্লাহ সীমা অতিক্রমকারীদেরকে পছন্দ করেন না এবং হেদায়েত দেন না।


"হে মুমিনগণ, তোমরা ঐসব সুস্বাদু বস্তু হারাম করো না, যেগুলো আল্লাহ তোমাদের জন্য হালাল করেছেন এবং সীমা অতিক্রম করো না। নিশ্চয় আল্লাহ সীমা অতিক্রমকারীদেরকে পছন্দ করেন না। (Al-Maaida ৫: আয়াত ৮৭)"

"এই মাস পিছিয়ে দেয়ার কাজ কেবল কুফরীর মাত্রা বৃদ্ধি করে, যার ফলে কাফেরগণ গোমরাহীতে পতিত হয়। এরা হালাল করে নেয় একে এক বছর এবং হারাম করে নেয় অন্য বছর, যাতে তারা গণনা পূর্ণ করে নেয় আল্লাহর নিষিদ্ধ মাসগুলোর। অতঃপর হালাল করে নেয় আল্লাহর হারামকৃত মাসগুলোকে। তাদের মন্দকাজগুলো তাদের জন্যে শোভনীয় করে দেয়া হল। আর আল্লাহ কাফের সম্প্রদায়কে হেদায়েত করেন না। (At-Tawba ৯: আয়াত ৩৭)"


"তোমাদের মুখ থেকে সাধারনতঃ যেসব মিথ্যা বের হয়ে আসে তেমনি করে তোমরা আল্লাহর বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ আরোপ করে বল না যে, এটা হালাল এবং ওটা হারাম। নিশ্চয় যারা আল্লাহর বিরুদ্ধে মিথ্যা আরোপ করে, তাদের মঙ্গল হবে না। (An-Nahl ১৬: আয়াত ১১৬)"

নিচের আয়াতগুলো দেখুন।

"কাফেররাই কেবল আল্লাহর আয়াত সম্পর্কে বিতর্ক করে। কাজেই নগরীসমূহে তাদের বিচরণ যেন আপনাকে বিভ্রান্তিতে না ফেলে। (Ghaafir 40: 4)"

"এবং যারা আমার ক্ষমতা সম্পর্কে বিতর্ক করে, তারা যেন জানে যে, তাদের কোন পলায়নের জায়গা নেই। (Ash-Shura 42: 35)"

"আমি রাসূলগনকে সুসংবাদ দাতা ও ভয় প্রদর্শন কারীরূপেই প্রেরণ করি এবং কাফেররাই মিথ্যা অবলম্বনে বিতর্ক করে, তা দ্বারা সত্যকে ব্যর্থ করে দেয়ার উদ্দেশে এবং তারা আমার নিদর্শনাবলীও যদ্বারা তাদেরকে ভয় প্রদর্শন করা হয়, সেগুলোকে ঠাট্টারূপে গ্রহণ করেছে। (Al-Kahf 18: 56)"

"সে পার্শ্ব পরিবর্তন করে বিতর্ক করে, যাতে আল্লাহর পথ থেকে বিভ্রান্ত করে দেয়। তার জন্যে দুনিয়াতে লাঞ্ছনা আছে এবং কেয়ামতের দিন আমি তাকে দহন-যন্ত্রণা আস্বাদন করাব। (Al-Hajj 22: 9)"

৩২| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:২২

কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: মেহদী ভাই,

আমি একটা বিষয় বুঝতে পারছি না - প্রচলিত সুদি ব্যাংকে হালাল করার ব্যাপারে আপনার এত আগ্রহ কেন? এটা কি অর্থনৈতিক বৈষম্য, পুজিবাদী শোষন ও সর্বপরি সামাজিক অস্থিরতা ও অবক্ষয়ের অন্যতম প্রধান কারণ নয়?

আপনি যদি মনে করেন প্রচলিত ইসলামী ব্যাংকিংও ঐসব সুদি ব্যাংক থেকে খুব বেশী উন্নত নয় - তাহলে আপনি দুটি কাজ করতে পারেন ১. এমন পদ্ধতি উদ্ভাবন করতে পারেন যা পরিপুর্ণ ইসলামী ব্যাংকিং হবে অথবা ২. মানুষকে ব্যাংকিং ব্যাবস্থা থেকে দুরে থাকতে বলতে পারেন, অন্তত যতদিন পরিপুর্ণ ইসলামী ব্যাংকিং ব্যাবস্থা চালু না হচ্ছে। যেকোন বিবেকবান মানুষের জন্য এ'দুটিই সম্ভাব্য পথ হতে পারে।

কিন্তু বিস্ময়করভাবে আপনি প্রচলিত সুদী ব্যাংকিংকেই হালাল করতে চাইছেন। আপনি কী মনে করেন এই সুদী ব্যাংকিং ব্যাবস্থা ঐসব অর্থনৈতিক সমস্যা তৈরী করছে না? পুজীবাদী শোষন নির্জাতনের প্রধান হাতিয়ার হিসেবে কাজ করছে না?

অথচ বিশ্বের সব বড় বড় অর্থনীতির দেশ আজ এই ব্যাবস্থার করুন পরিনতিতে চরম মন্দায় আক্রান্ত এবং এই সমস্যা থেকে উত্তরনের পথ হিসেবে তারা সুদের হার শুন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে বাধ্য হচ্ছে। এ'থেকেই কি প্রমানিত হয় না যে স্থায়ী ভাবে শুন্য সুদের ( বা সুদমুক্ত ) ব্যাংকিং ব্যাবস্থা প্রবর্তন করলে এইসব অর্থনৈতিক সমস্যা থেকে স্থায়ী মুক্তি মিলবে?

৩৩| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:০৩

আশমএরশাদ বলেছেন: @কাঙ্গাল মুরশিদ

আপনি যদি আমার গ্লাসের পানিকে বিষ মেশানো এমন হাইপো দিয়েই ফেলেন তাহলে আর তর্ক করে লাভ কি? বিষ মেশানো এবং না মেশানো দুইটাই খুব বেশী প্রকাশমান এবং চোখের দৃষ্টি সীমানায় তাই এখানে ইভালুয়েশনের কোন সুযোগ নেই । কিন্তু পাশাপাশি দুইটা সিস্টেম বা মতবাদ অনেক বেশী ইভালুয়েশনের দাবী রাখে। সুতরাং উদাহরণ দিলে কমলার সাথে আরেকটি কমলা দেয়াই ভালো । কমলার সাথে আলুর তুলনা দিলে যে কেউ দামী কমলাই বেঁচে নেবে। সুতরাং এই ধরণের হাস্যকর তুলনা দিয়ে ধর্মভিরু মানুষদের একাউন্ট করিয়ে নিতে পারবেন কিন্তু আমরা যারা ধর্মকে পিউর দেখতে চাই যুক্তির আলোকে ধর্ম বিশ্বাস করি এবং ধর্ম তথা ইসলাম বিক্রিকারীদের বিরুদ্ধে আমাদের কলম ইনশেআল্লাহ থামবে না।

আপনি একই সাথে দুই সিস্টেমে ব্যাংকিং করুন: আশা করছি আপনিও আমাদের সাথে একমত হবেন।

আমরা বলতে চেয়েছি যেটাই মুদরাবা সেটাই সুদ সেটাই ইন্টারেষ্ট। যে নামেই ডাকুন এক মেশিন বা সিস্টেম থেকেই সব কটির উৎপত্তি।
হালাল সাবান নামক কোন ধারণা না থাকলে ও এর‌্যোমেটিক সাবান(সম্ভবত) সেটা দিয়ে ব্যবসা করতে চেয়েছিল কিন্তু পারে নাই। ধর্ম যেই পারে সেই বিক্রি করে।

আমি শুধু ইসলামী ব্যাংক বুঝাতে চাই নি এখন যেহেতু সব ব্যাংকই ইসলামী সিস্টেম আছে তাই আমি পুরা প্রক্রিয়াকে বুঝাতে চেয়েছি। মানে ইসলামী ব্যাংক নয় ইসলামী ব্যাংকিং।
তাইলে আপনি এখনো ইসলামী ব্যাংকেই পড়ে থাকবেন কেন? সব ব্যাংকেই যেহেতু আছে সুতরাং সেখানেই যান। সবাই যখন ধর্ম বিক্রির লাইসেন্স পেয়েছে সেখানে থেমে থেকে লাভ কি । চাঁন্দে যাওয়া যায় সহজে।

৩৪| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৪

মুদ্‌দাকির বলেছেন:

কুরয়ানে নিষিদ্ধ হারামকে হারাম বলার জন্য আমার কোন যুক্তির দরকার আছে বলে মনে করিনা। বাংলাদেশে ইসলামি ব্যাংক কি করে এবং অন্য ব্যাংক গুলো ইসলামি পন্থায় ব্যাংকিং করে না কেন তার জবাব তারা দিবেন, আমি শুধু, ইসলামের হারামকে হালাল বানানর যে কাকুতি আপনার লেখায় পেলাম, তারই জন্য কুরয়ানেরই উল্লেখ সতর্কতার ইংগিত আপনাকে দিয়েছি যুক্তি দেই নাই। আল্লাহ জানতে বলেছেন তাই জানলাম, পড়ার তাগিদ দিয়েছেন তাই পড়লাম, তার পর জ্ঞান অর্জনের পর তাকওয়া শূন্য স্পিরিটে জ্ঞানের প্রচার করলাম , নাইস জোক !!!

৩৫| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:১৫

কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: @আশমএরশাদ

আপনাকে তাহলে গোড়ার প্রশ্নটিই আবার করতে হয় - প্রচলিত সুদভিত্তিক ব্যাংকিং ব্যাবস্থা সমাজের জন্য কল্যানকর নাকি ক্ষতিকর? এই ব্যাবস্থা কি অর্থনৈতিক বৈষম্য, পুঁজিবাদী শোষণ এবং সামাজিক অস্থীতিশীলতার প্রধান উপকরণ - না কি খুবই জনকল্যানকর ব্যাবস্থা।

যদি আপনি মনে করেন এই সুদভিত্তিক ব্যাবস্থার মধ্যে কোন সমস্যাই নাই, এটি খুবই ভাল একটা ব্যাবস্থা, কোরআনে শুধু শুধুই এইরকম একটি কল্যানকর ব্যাবস্থাকে ( সুদকে ) হারাম করেছে - তাহলে আর আলোচনার কিছুই থাকে না। আপনাদের দাবি অনুযায়ী যদি ইসলামী ব্যাংকিংও প্রচলিত ব্যাংক থেকে ভিন্ন কিছু না হয়, তাহলে সেটাও একই ভাবে কল্যানকর(!) হবে। সেক্ষেত্রে তার বিরুদ্ধে বলারও তেমন কিছু থাকেবে না।

আর যদি আপনি এটা স্বীকার করেন যে প্রচলিত সুদভিত্তিক ব্যাবস্থা আসলেই ক্ষতিকর। ইসলাম জনকল্যানের জন্যই সুদকে হারাম করেছে - কিন্তু প্রচলিত ইসলামী ব্যাংকিং সঠিকভাবে সুদকে দুর করতে পারে নাই - তাহলে আপনার জন্য দুটি অপশন থাকবে ১. আরো উন্নত ইসলামী ব্যাংকিং ব্যাবস্থা প্রবর্তনের চেস্টা করা যেখানে সুদ একেবারেই থাকবে না অথবা ২. সবধরনের ব্যাংকিং ব্যাবস্থা পরিহার করে চলা।

কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে আপনারা সেই দুটি পথের কোনটিতে না গিয়ে ইসলামী ব্যাংকিং এর ত্রুটি উদ্ভাবন করে সুদী ব্যাংকিংকে হালাল করার চেস্টা করছেন - এটা কেন??

৩৬| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:০৫

মুহাম্মাদ মাহফুজুর রহমান শরীফ বলেছেন: @ কাঙ্গাল মুরশিদ :

তাহলে আপনার জন্য দুটি অপশন থাকবে ১. আরো উন্নত ইসলামী ব্যাংকিং ব্যাবস্থা প্রবর্তনের চেস্টা করা যেখানে সুদ একেবারেই থাকবে না অথবা ২. সবধরনের ব্যাংকিং ব্যাবস্থা পরিহার করে চলা।

কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে আপনারা সেই দুটি পথের কোনটিতে না গিয়ে ইসলামী ব্যাংকিং এর ত্রুটি উদ্ভাবন করে সুদী ব্যাংকিংকে হালাল করার চেস্টা করছেন - এটা কেন??


আরে ভাই বুঝলেন না!
আরো উন্নত ইসলামী ব্যাংকিং ব্যাবস্থা প্রবর্তন হলেতো ওদের ওস্তাদ ইবলিস শয়তানের পরাজয় হবে।
ওরা কি আর সেটা সহ্য করতে পারবে ?

৩৭| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:৩০

মুহাম্মাদ মাহফুজুর রহমান শরীফ বলেছেন:
@ নিঃশব্দ শিশির! :


আপনি ইসলামি ব্যাংকের ব্যাপারে বলেছেন।--

*অন্য ব্যাংকের সঙ্গে ইসলামি ব্যাংকের মৌলিক কিছু পার্থাক্য না থাকলেও , কিছু পার্থক্য কিন্তু রয়েছে!!


ইসলামি ব্যাংকের ব্যাপারে আপনার হয়তো বেশ ভালো ধারণা রয়েছে, কিন্তু আমার খুব একটা ভালো ধারণা না থাকলেও একটা কথা বলা যেতে পারে।

আপনি যে স্বীকার করেছেন বা বুঝতে পেরেছেন, "কিছু পার্থক্য কিন্তু রয়েছে!!"।
তাই আমার মনে হয় এই কিছু পার্থক্যটাই হলো সুদ এবং লাভের পার্থক্য, কিন্তু হয়তো অনেকেই সেটা ইচ্ছা করে মানতে চায়না।

আপনি পতিতার ব্যাপারে বলেছেন।--

*খুব সম্ভবত ইরাক কিংবা ইরানে , পতিতাদের সঙ্গে মিলিত হওয়ার আগে বিয়ে পড়ানো হয়, আর মিলনের পর তালাক দেওয়া হয়। আর সেই পতিতা ইসলামের নিয়ম অনুসারে ৪০ দিন পর আরও এক ব্যাক্তিকে একই কায়দায় বিয়ে করে!!! এটা কিন্তু প্রচলিত!!!!


আমি যতদুর জানি, ওটা ইরাক নয় বরং শিয়া প্রধানদের দেশ ইরাণ।

আর আপনি যাকে পতিতা বলছেন, সেখানে মনে হয় একটা বড় ভুল করছেন।

শিয়া প্রধান দেশগুলোতে সাময়িক বিয়ে বা মূতা বিয়ে প্রচলিত রয়েছে।

কিন্তু সুন্নী প্রধান দেশগুলোতে স্বাভাবিক অবস্থায় সাময়িক বিয়ে বা মূতা বিয়ে ইসলামি আইন অনুযায়ি নিষিদ্ধ।
অবশ্য দেশে যদি যুদ্ধ চলাকালীন অবস্থা বা কোনো বড় ধরণের বিপর্যস্ত অবস্থার সৃষ্টি হয, তখন হয়তো সাময়িক বিয়ে বা মূতা বিয়েকে জরুরী অবস্থার প্রেক্ষাপটে অনুমতি দেয়া হয়।
আমার মহানবী সা. এটাকে নিষিদ্ধ করে গেছেন।

মূলত বিয়ে আর যৌনপল্লীতে যৌনকর্মীর কাছে গমন এক কথা হতে পারেনা।

আপনি মূতা বিয়েকে কখনোই পতিতাবৃত্তির সাথে তুলনা করতে পারেন না।




৩৮| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:১৯

মুহাম্মাদ মাহফুজুর রহমান শরীফ বলেছেন:
@ মেহেদী পরাগ & নিঃশব্দ শিশির! :


ইসলামে সাময়িক বা মূতা বিয়ে নিষিদ্ধ।

কাজেই আপনি যেটা বলেছেন, অর্থাৎ "মুসলিম চাইলে সেখানে গিয়ে দাসী কিনে আমোদ করার কিছুক্ষণ পর কিছুটা কমদামে দাসীর আগের মালিকের কাছে বিক্রি করে দিতে পারে।" সেটা ইসলামি আইনে অবৈধধ।


নিচের হাদিসগুলো দেখুন।

১/// যবাহ করা, শিকার করা ও শিকারের সময় বিসমিল্লাহ বলা অধ্যায় ::
সহিহ বুখারী :: খন্ড ৭ :: অধ্যায় ৬৭ :: হাদিস ৪৩২

আবদুল্লাহ ইবন ইউসুফ (র) .... আলী (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, খায়বারের বছর নবী (সা:) মুত’আ (স্বল্পকালেন জন্য বিয়ে করা) থেকে এবং গৃহপালিত গাধার গোশত খেতে নিষেধ করেছেন।


২/// বিয়ে-শাদী অধ্যায় ::
সহিহ বুখারী :: খন্ড ৭ :: অধ্যায় ৬২ :: হাদিস ৫০

মালিক ইব্ন ইসমাঈল (র) ..... হাসান ইব্ন মুহাম্মাদ ইব্ন আলী ও তাঁর ভাই আবদুলস্নাহ্ তাঁদের পিতা থেকে বর্ণনা করেন যে, আলী (রা) ইব্ন আববাস বলেছেন, নবী (সা) খায়বর যুদ্ধে মুতা’আ বিবাহ এবং গৃহপালিত গাধার গোশ্ত খাওয়া নিষেধ করেছেন।


৩/// কূটকৌশল অধ্যায় ::
সহিহ বুখারী :: খন্ড ৯ :: অধ্যায় ৮৬ :: হাদিস ৯১

মুসাদ্দাদ (র) ...... মুহাম্মদ ইব্ন আলী (র) থেকে বর্ণিত যে, আলী (রা) কে বলা হলো- ইব্ন আব্বাস (রা) নারীদের মুত্আ বিয়েতে কোন আপত্তি মনে করেন না। তখন তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্(সা) খায়বারের দিন মুত্আ ও গৃহপালিত গাধার গোশ্ত (আহার) থেকে নিষেধ করেছেন। কোন কোন লোক বলেন, যদি কৌশলের আশ্রয় নিয়ে মুতআ বিয়ের চুক্তি করে নেয় তাহলে বিয়ে ফাসিদ বলে গণ্য হবে। আর কেউ কেউ বলেন, বিয়ে বৈধ হবে আর শর্ত বাতিল হবে।


৪/// বিয়ে-শাদী অধ্যায় ::
সহিহ বুখারী :: খন্ড ৭ :: অধ্যায় ৬২ :: হাদিস ৫১

মুহাম্মাদ ইব্ন বাশ্শার (র) ..... আবু জামরা (রা) থেকে বর্ণিত যে, আমি মহিলাদের মুতা’আ বিবাহ সম্পর্কে ইব্ন আববাস (রা)-কে প্রশ্ন করতে শুনেছি, তখন তিনি তার অনুমতি দেন। তাঁর আযাদকৃত গোলাম তাঁকে বললেন, যে এরূপ হুকুম অপিরহার্য প্রয়োজনীয়তা, মহিলাদের স্বল্পতা ইত্যাদির কারণেই ছিল? তখন ইব্ন আববাস (রা) বললেন, হাঁ।


৫/// বিয়ে-শাদী অধ্যায় ::
সহিহ বুখারী :: খন্ড ৭ :: অধ্যায় ৬২ :: হাদিস ৫২

ইব্ন আবু যিব বলেন, আয়াস ইব্ন সালামা ইব্ন আকওয়া তার পিতা সূত্রে নবী (সা) থেকে বর্ণনা করেন, যে কোন পুরম্নষ এবং মহিলা উভয়ে (মুতা’আ করতে) একমত হলে তাদের পরস্পরের এই সম্পর্ক তিন রাতের জন্য গণ্য হবে। এরপর তারা ইচ্ছা করলে এর চেয়ে বেশি সময় স্থায়ী করতে পারে অথবা বিচ্ছিন্ন হতে চাইলে বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে। (বর্ণনাকারী বলেন) আমরা জানি না এ ব্যবস্থা শুধু আমাদের জন্য নির্দিষ্ট ছিল, না সকলের জন্য উন্মুক্ত ছিল। আবু আবদুলস্নাহ্ (ইমাম বুখারী) বলেন, আলী (রা) নবী (সা) থেকে এটা পরিস্কার করে বলে দিয়েছেন, মুতা’’আ বিবাহ প্রথা রহিত হয়ে গেছে।

৩৯| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৩৯

নিঃশব্দ শিশির! বলেছেন: @মুহাম্মাদ মাহফুজুর রহমান শরীফ আপনাকে ধন্যবাদ....!!!

আমি আগেও বলেছি , এখনও বলছি.প্রচলিত ব্যাংক এবং ইসলামি ব্যাংকের মধ্যে মৌলিক বিষয় এক হলেও কিছু পার্থক্য রয়েছে!!!
যেমন, ইসলামী ব্যাংক কোন মদের দোকান বা বারে ঋণ বা বিনিয়োগ করতে পারেনা!!!'
তবে এ কথা মানতেই হবে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের যে শরিয়া গাইড লাইন, তা পুরোপুরি কোন ইসলামি ব্যাংক ই মানছে না!!!
আর দেশে অন্য ব্যাংকের লাভ যাকে সুদ বলছি, সেই বিষয়ে হাদিস বা কুরআনে স্পষ্ট ভাবে কিছু বলা হয নাই!!!!! মানে প্রচলিত ব্যাংক গুলোর সুদ বা মুনাফাকে হাদিস বা কুরআনের আলোকে সারাসরি সুদ বলা যাচ্ছে না!!!

,,,,
বিয়ে এবং পতিতা বিষয়ে বলতে হয়,
ইরানে যে বিয়ের কথা বলেছি, তাকে পতিতা বললে খুব বেশি ভুল হবে না। কারণ আমাদের দেশ বা অন্যান্য দেশে যে উদ্দেশ্যে কোন পতিতার কাছে একজন পুরুষ যায় , একই উদ্দেশ্যে এই ধরনের বিয়ে হয়!!! এবং সেই নারীর উপার্যন ই হচ্ছে এই বিয়ে বা অন্য ভাবে বললে, দেহ!!!!!

কেবল পার্থক্য হচ্ছে,,,শরিয়া মোতাবেক তা করা হচ্ছে...!!!!

৪০| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৫৮

একজন ঘূণপোকা বলেছেন:
কি কমু??


ভুলে চলে আসছি

৪১| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৫৯

নিঃশব্দ শিশির! বলেছেন: অনেক মন্তব্য!!! বর্তমানে অনেকেই মনে করছে, ইসলামী ব্যাংক মানেই ধর্ম প্রচার করছে। আসলে কিন্তু তা না!!! অন্য ব্যাংক যেমন ব্যবসা করার জন্য তেমনি ইসলামি ব্যাংকও তাই। ব্যবসাই তাদের মুল উদ্দেশ্য!!!!
...........
বছর শেষে লাভ লোকসান টাই মূখ্য বিষয়!!!!
আমাদের দেশে এখন "ইসলাম" একটা ভালো ব্র্যান্ড!! যার কল্যানে খুব সহজেই মানুষকে বোকা বানানো যায়।।। দেশে এখন ইসলামি ইনস্যুরেন্স, ইসলামী জীবন বীমা। ইসলামী হাসপাতাল, ইসলামী দোকান। ইসলামী বাজার/.....এমন অনেক কিছুর সঙ্গেই ইসলাম শব্দ যোগ করা হয়েছে!!!!

তবে এ কথা মানতেই হবে...দেশের সব গুলো ব্যাংক ব্যবসার উদ্দেশ্য কাজ করলেও একটি ব্যাংক যার অন্য উদ্দেশ্যও রয়েছে।
আর যেটি হচ্ছে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড!!! এই ব্যাংকে চাকরী করার অন্যতম যোগ্যতা হচ্ছে তাকে শিবির করতে হবে। যদিও গত ৩/৪ বছর ব্যাংকটি কিছু অ-শিবিরকেও নিয়োগ দিয়েছে!!কারণ উপরের সবতো জামায়াত শিবির!!!
মাস শেষে নিজের বেতন থেকে কিছু টাকা সংগঠন(জামায়াত -শিবির) এর জন্য চাদা দিতে হবে!!!!
ইসলামের নাম ভাঙ্গিয়ে ইসলামি ব্যাংক বাংলাদেশ দেশে ব্যবসা করছে!!! সহজ সরল মানুষকে সুদের ভয় দেখিয়ে ঠকাচ্ছে!!!!!
দেশের অন্য ৭ টি ইসলামি ব্যাংকের সঙ্গে এই ইসলামি ব্যাংক বাংলাদেশকে মেলালে ভুল হবে!!!!


শেষে বলতে চাই। ইসলামে অবশ্যই ব্যাংকিং ব্যবস্থা আছে। তা হয়তো আমরা এখনও বুঝতে পারি নাই।
দেশের ৮টি ইসলামি ব্যাংক পুরোপুরি শরিয়া মেনে চলছে একথা বলাও কোন অবকাশ নেই!!!!
আর অন্য ব্যাংক গুলো সুদ দিয়ে যে দেশ এবং ইসলামের খুব ক্ষতি করছে তাও বলা যাবে না। কারণ ইসলামি শরিয়া মেনে যে মুনাফা পাওয়া যাচ্ছে. অন্য ব্যাংক গুলো বরং তার চেয়ে অনেক কম সুদ বা মুনাফাই দিচ্ছে!!!!
এই কারণেই আপনার কাছে হয়তো কোন পার্থক্য চোখে পড়ে না্ই!! তবে প্রচলিত ব্যাংক এবং ইসলামি ব্যাংকের মধ্যে বেশ কিছু পার্থক্য রয়েছে!!!

৪২| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:৩০

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন:










দয়াকরে আমার কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর দেন :

১) আপনি কী আরবী ভাষায় পারদর্শী?

২) আপনি কী কোর'আন সম্পর্কে সম্যক ধারনা রাখেন?

৩) আপনি কী হাদীস সম্পর্কে সম্যক ধারনা রাখেন?

৪) আপনি কী ইজমা কিয়াসের জন্য প্রকৃত জ্ঞানের অধিকারী?

৫) আপনি কী প্রচলিত ব্যাংকিং বুঝেন?

৬) আপনি কী ইসলামী ব্যাংকিং বিষয়ে সম্যক ধারনা রাখেন?

যদি প্রশ্নের উত্তর না হয় তাহলে এগুলো নিয়ে হুদায় প্যাচগি লাগানোর কোন দরকার নেই। আমার বিশ্বাস আপনি প্রচলিত ব্যাংকিং-ই বোঝেন না হুদায় সস্তা বাহবা কামানোর জন্য ইসলামী একটি বিষয় নিয়ে চুকানী শুরু করেছেন।




আপনি নিঃশন্দেহে ভালো ছাত্র এবং নিওরোকেমিস্ট্রি ও মলিক্যুলার বায়োলজিতে পি.এইচ.ডি করছেন তাই বলে এই নয় যে আপনি সবকিছুই বোঝেন।


ইসলামী ব্যাংকিং ও প্রচলিত ব্যাংকিং আগে ভালো ভাবে জানুন তার পরে না হয় ইসলামী চুলকানীটা বেশী চুলকায়েন।


ইসলাম সম্পর্কে আপনার অনেক কথা খুবই আপত্তিজনক।

শুধুই বিদ্বেসের বশবতী হয়ে ফেতনা সৃষ্টি না করে সত্যকে জানুন। নিঃশ্চয় মৃত্যু একদিন আলিঙ্গন করবেই।




ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

৪৩| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৬:৪১

এ আর ১৫ বলেছেন: সুরা আল ইমরান আয়াত ১৩০ -- হে ঈমানদারগণ! তোমরা চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ খেয়ো না। আর আল্লাহকে ভয় করতে থাক, যাতে তোমরা কল্যাণ অর্জন করতে পারো।---- এখানে চক্রবৃ্‌দ্ধি সুদের কথা বলা হয়েছে তার মানে সরল সুদের মাত্রা কম হলে গ্রহন যোগ্য। ১৪০০ বৎসর আগে অবস্থা ছিল এমন যদি কেহ ১০০ টাকা ধার নিত তাহোলে তাকে বৎসর শেষে ২০০০ টাকা দিতে হোত আর এখন দিতে হয় ১১০ টাকা তাহোলে ঐ দুই সুদ কি এক ?? প্রফিট মাত্রই হালাল হবে সেটা বলা যাবে না । কেউ যদি ১০০ টাকার জিনিস ২০০০ টাকায় বেচে ১৯০০ টাকা আয় করে তাহোলে কি ঐ আয় হালাল হবে ?? যে ভাবে ইসলামী ব্যাংকে হালাল সিল মারা হয়েছে সে ভাবে জিহাদে নিকাকে হালাল করেছে আই এস এস। ইসলামী ব্যাংক যদি লোকশানের ভাগ শেয়ার করে তাহোলে ইসলামিক হয় কিন্তু তারা তো তা করে না।

৪৪| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৭:০৫

কলাবাগান১ বলেছেন: "তারা শুধু চিকেন এর টোকেন লিখে শুকরের মাংস খাওয়াচ্ছে আর সবাইকে বলছে শুকর না খেতে।" স হ মত

৪৫| ৩০ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৫:২১

মীর মোহাম্মদ উল্লাহ বলেছেন: ২০ নং মন্তব্যের উত্তরে আপনি বলেছেন,
"আপনার ধারণা ভুল। এক্ষেত্রে আলেমদের ইজমার সুযোগ আছে।"

প্রচলিত ব্যংক কী গ্রাহকদেরকে ফিক্সড রেট এ মুনাফা দেয় না?

- এ থেকেই বুঝা যায় আপনি (ইসলামের ব্যপারে) কী পরিমান ডি-রেইলড হয়ে আছেন। তর্ক করার অভিপ্রায় নাই।
আপনার ডোমেইনে আপনি এক্সপার্ট হলেও ইসলাম বিষয়ে মূর্খ ছাড়া কিছুই অনুভুত হচ্ছে না।
কিছু কোরান হাদীসের অনুবাদ পড়লেই ইসলামের মূল সেমান্টিক বুঝা যায় না।
উকীল সাহেবের ডাক্তারী করলে যা হয় আর কি।

৪৬| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:০৮

পাংখারাজা বলেছেন: ভাই আপনি যে বিষয়ে পারদর্শী সেইটা নিয়েই থাকুন না, অন্য বিষয়ে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে লাভ কি ??
বিশেষ করে দাসপ্রথা নিয়ে যা লিখেছেন, খুবই বিভ্রান্তিমুলক।

৪৭| ০৬ ই মে, ২০২১ রাত ১:১১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:

লম্বা চওড়া মন্তব্যগুলিতে হরেক পদের তথ্য আছে দেখা যায় ,
পরে সময় পেলে পাঠ করে দেখব ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.