![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একটি ছোট গ্রাম ছিল। গ্রামের সকল মোটামুটি সচ্ছল ছিল। সুখে শান্তিতেই ছিলেন গ্রামের সকল।একদিন সেই গ্রামে এক ভণ্ড পীর আসলো। পীর তার ভণ্ড মন্ত্রের কারিশ্মায় গ্রামের সকলের মনে যায়গা দখল করে ফেললো।এমন ভাবে দখল করলো, পীর যদি বলে দাঁড়াতে তাহলে সবাই দাঁড়ায় যদি বলে বসতে তাহলে সবাই বসে। যাকে সোজা বাংলায় বলে অন্ধভক্ত। তো যেটা হয় সাধারণত আমদের সমাজে। পীরকে খুশি করার জন্য যার যেটা আছে তা দিয়ে খুশি করতে শুরু করলো। কিন্তু পীরের পেট কি এতোই ছোট?অল্পতে পেট ভরবে?এমন করে দিতে দিতে আস্তে আস্তে ঐ গ্রামের সবার ঘরে অভাব সৃষ্টি হোল। সবাই ঐ ভণ্ড পীরের কাছে গেলো। গিয়ে বলল পীর বাবা আমাদের অনেক অভাব। আপনি কিছু করেন বাবা। আপনি সব পারেন। পীর বলল আমার তো কিছু করার নেই,সব উপরে জিনি আছেন তিনি করার মালিক। আমি শুধু পথ দেখিয়ে দিতে পারি। তোমরা সদকায়ে জারিয়া দাও। গরু,ছাগল অথবা নগদ অর্থ ও দিতে পারো। সবাই পীরের কথা মত দিল।
এমন করে দিতেই থাকলো কিন্তু অভাব তো দূর হয় না যতদিন যাচ্ছে অভাব বাড়তেই থাকলো। অভাবের মা মরা তো দূরের কথা অভাব বাচ্চা দিতেই থাকলো। আর পীর বাবা আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ থেকে তাল গাছ, তাল গাছ থেকে বট গাছ হতেই থাকলেন।
একটা সময় বোকা গ্রামবাসী বোঝতে পারলো, এই ভণ্ড পীর কে দিতে দিতেই ওদের মধ্যে অভাব আজ। কিন্তু তখন অনেক দেরি হয়ে গেলো। সব হারিয়ে পথে নামার বাকী।
আমরা যতদিন অন্ধ দলিও ভক্তি থেকে বের না হয়ে মানুষ দেখে ভোট দেয়া শিখবো না ততদিন উপরের গল্পটার মত অবস্থা হবে। হয়তোবা একদিন বুঝবো কিন্তু সব হারিয়ে বুঝবো।
সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে এমন একটা মানুষ কে নগর পিতা বানালাম যে কিনা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় দেশের শীর্ষ ৫০ দুর্নীতিবাজদের মধ্যে একজন। ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত যার দাপটে সবাই ভয়ে ভীত ছিল। উনি ছিলেন মুকুট বিহীন এক সম্রাট। একজন সামান্য কমিশনার ছিলেন কিন্তু উনি ২৪ ঘণ্টা পুলিশ পাহারায় থাকতেন। সিলেটে ২০০৮ এর নির্বাচনে বি.এন.পির ভরাডুবির জন্য দায়ীদের মধ্যে এই আরিফুল হক চৌধুরী অন্যতম। কিন্তু দুঃখের বিষয় এই বি.এন.পির সমর্থনে নির্বাচিত আরিফুল হক চৌধুরী। আমি বলবো না বদরউদ্দিন আহমদ কামরান ধোয়া তুলশী পাতা। কিন্তু আরিফুল হক চৌধুরী থেকে ভালো তা বি.এন.পির সমর্থক ও নির্দ্বিধায় বলবে। আমাদের দেশের দল গুলো কখন ভালো মানুষ দেখে মনোনয়ন দিবে? আর কখন আমরা আম-জনতা ভালো মানুষ দেখে ভোট দিবো? যত তারাতারি আমরা ভালো খারাপ বুঝতে শিখবো ততই মঙ্গল। তা না হলে উপরের গল্পর মত সব হারিয়ে কাঁদতে হবে।
ওরে অন্ধভক্তের দল
চোখের বাঁধন খোলে তোরা দেখবি কখন মন্দ রে?
ন্যায় নীতি যুক্তি ছাড়া বিবেকী মন অন্ধ রে
আপনের দোষ তোরা দেখতে পাস
দেখে ও বলিস তোরা____তোরা নির্দোষ
সব দোষ তোরা এড়িয়ে যাস
যাকে তোরা পাস না ভাল
তার সব কর্মে____মন্দের সন্ধান চাস
করুক সে যত কিছু ভালো
তোদের কাছে সব কিছু নোংরা কালো
বলিস তোরা সব কিছু তার____নীচ ছাইপাঁশ
ওরে তোদের নিজ-মন-নয়নে অন্ধের বাস।
ওরে এ লড়াই আঁধারের লড়াই, আলোর নয়
ভালো কে ভালো বলা____ভালোত্বের পরিচয়।
ওরে অন্ধের বাঁধন খোলে দেখ, চতুষ্পার্শ কত সুন্দর
শান্তির পতাকাবাহী জাহাজের জন্য, খোলে দে মন বন্দর
হোক না জাহাজ টা চির শত্রুর
ভালো কে গ্রহণ কর, করিস না দূর।
এতে হবি না তোরা ছোট____হবি মহীয়ান
অনাবিল বাতাসে শোধন হবে, সারা বিশ্ব-জাহান।
উঁচু-নিচু জাতি ভেদ____কত বিভাজন
রাজা-প্রজা কত দল, হাজার ও মত-দর্শন
করিস না তোরা____এক পক্ষপাতী
ন্যায় নীতি দেখে "হ" সত্যের সাথী।
তোরা সৃষ্টির সেরা জীব____নয় মিথ্যা
তবে কেন বিবেকী মন মাটি চাপা, এত হীনতা?
খোলে ফেল সে অন্ধভক্তি বাঁধন
সত্য কে কাছে নিতে করেছে যে বারণ।
উড়া তোরা ঐক্য-শান্তি নিশান
জেগে উঠুক সত্য সুন্দর বিবেকী প্রান।
অভিনন্দন সকল নগর পিতাকে এখন আপনাদের কাছে একটাই চাওয়া, জনগণ আপনাদের কে যেমন ভাবে সম্মান দিয়েছে আপনারা ও জনগণকে সম্মান দিবেন।
©somewhere in net ltd.