নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পাভেল চৌঃ

কি লেখব আমার সম্পর্কে ?? আমি তো কিছু ই না।

পাভেল চৌঃ › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটি দেশ______ বিচিত্র মানুষ !!

০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৩০

আমরা সবাই জানি, বাংলাদেশ ষড়ঋতুর দেশ। ছয় ঋতুর দেশ আর

একটি ও নেই পৃথিবীতে। প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য,আছে সব কিছুতে বৈচিত্র্য, সোজা কথা বলতে গেলে বৈচিত্র্য ঘেরা এই দেশ। সবচে বিচিত্র হোল মানুষ। এমন বিচিত্র মানুষ বুধোয় আর কোথাও নেই ঋতুর মত। না আমি

প্রাকৃতিক এর সাথে মানুষের সামঞ্জস্য আছে তা প্রমাণ করতে লেখতে বসি নাই। ইদানীং মানুষের কিছু কর্মকাণ্ডে বৈচিত্র্য শব্দ টা মাথার মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে। যদিও শব্দ টা ভালো অর্থে ব্যবহার করা হয় কিন্তু এই শব্দটা আমার মাথায় ঘুরপাক খাওয়ার কারণ ভালো কিছু দেখে নয়, তাই বৈচিত্র্য বা বিচিত্র শব্দটা ব্যবহার না করে অদ্ভুত শব্দ টাই বলাই ভালো। যেমন ধরুন আজ রাজাকার সাকার রায় হোল, এই রায়ে আমি অনেক খুশি, আমার মত লক্ষ বাঙ্গালী খুশি। কিন্তু বাংলাদেশের জনগণের একটা বিড়াট অংশ খুশি না, শুধু যে খুশি না তা কিন্তু নয়, পারলে নিজের জীবন দিবে এমন ভাব। কেন, কেন এমন হবে? ১৯৭১ সালে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা এই দেশ চায় নি, যারা শুধু চায় নি বলে বসে থাকেনি, আমাদের ৩০ লক্ষ শহীদ কে হত্যা ২ লক্ষ মা বোনের সম্ভ্রম কেড়ে নিয়েছিলো এবং নিতে সাহায্য করেছিল, বাড়িঘর লুট, আগুন ধরিয়ে উল্লাস করেছে। তাদের জন্য আজ আমাদের দেশের জনগণের বড় একটি অংশ কাঁদছে। জীবন দিতে এক পায়ে দাঁড়িয়ে আছে। ভাবতেই তা অবাক লাগে। বাংলাদেশ বিরোধী যেই সংখ্যা টা ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় ১ বা ২ শতাংশ সেই সংখ্যা টা আজ অনেক বড়। তাই অদ্ভুত বাঙ্গালী বলতেই হয়। সুশীল সমাজ জেগে উঠে পুলিশ যখন আত্মরক্ষারতে গুলি করে, কিন্তু ওরা জেগে উঠে না পুলিশকে গুলি করা হলে, ওরা জেগে উঠে না পুলিশের মাথা থেঁতলে দিলে, বোমা মেরে পুলিশের হাত উড়িয়ে দিলে। হয়তো ওদের কাছে পুলিশ মানুষ না, ওদের কাছে মানুষ ওরা যারা বাসের ভিতর মানুষ রেখে বাসে আগুন দেয়। যাদের হাতে পায়ে ধরে 'ভুল হইয়া গেছে, ভাই মাফ কইরা দেন' বলে ও আগুন থেকে বাঁচতে পারে নি বাস চালক নজরুল ইসলাম, তাকে বাসে আটকে রেখে আগুন দেয় যারা তারাই হয়তো সুশীলদের কাছে মানুষ। মানুষ।কেউ কিছু বলে না রাজাকারের সন্তান যখন বুক ফুলিয়ে হুমকি দেয় রাজাকারের ফাঁসি হলে ঘরে ঘরে আগুন জ্বলবে। আমরা সুশীল বাঙ্গালীরা তখন কিছু বলি না।মজা দেখি ঘরে বসে বসে। গতকাল সাকার আজ রায় হবে ঘোষণার খবরের সাথে সাথে আরো একটি খবর ছিল, সাকার রায়ের ঘোষণার সাথে তুলনা করলে খবর টা ছোট কিন্তু অদ্ভুত শব্দ টা মনে করিয়ে দেয়।

গত শনিবার পুরান ঢাকার মিটফোর্ড এলাকার নয়টি মার্কেটে ভেজাল ও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রির অভিযোগে ১০৩ জনকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।

তাঁদের মধ্যে ২০ জনকে এক বছর করে কারাদণ্ড দেন র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। বাকি ৮৩ জনকে সোয়া কোটি টাকা জরিমানা করা হয়। এ সময় ২৮টি ওষুধের দোকান সিলগালা করে দেওয়া হয়। সাজাপ্রাপ্ত ওষুধ ব্যবসায়ীদের মুক্তির দাবিতে গতকাল রোববার দিনভর পুরান ঢাকার মিটফোর্ড রোডের ওষুধ ব্যবসায়ীরা দোকান বন্ধ করে প্রায় দিনভর বিক্ষোভ করে। গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তি এবং জব্দ করা ওষুধ ফেরত না দেওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট চলবে বলেও জানায় তাঁরা। আগামী বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত দেশের সব ওষুধের দোকান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। কি মারাত্মক বেপার, অন্যায় করবে,ভেজাল ঔষধ বিক্রি করে মানুষ হত্যা করবে আর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের বিরুদ্ধে একশন নিতে পারবে না। ওদের দেয়া ভেজাল ঔষধে কারো জীবন গেলে সবাই জেগে উঠবে, সরকারের উপর সবাই ঝাঁপিয়ে পরবে, সব দোষ দিবে সরকারকে কিন্তু এখন সরকার ওদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে, তাই ওরা আন্দোলন করছে এতে কারো বলার কিছু নেই। কি অদ্ভুত আমরা বাঙ্গালী। ঠিক একই রকম ভাবে কিছুদিন আগে চট্টগ্রামে অস্ত্রোপচারের পর রোগীর শরীর থেকে নিডেল বের না করার অভিযোগে আটক ডাঃ মো. সুরমান আলীর জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর প্রতিবাদে ডাকা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট, আন্দোলন করছিল চট্টগ্রামের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সমাজ রোগীদের বিপাকে ফেলে। তখন আমরা সুশীল কিছু বলি না, কারণ ওরা শিক্ষিত সমাজের লোক, ওদের সাত খুন পাফ। কিন্তু ওদের বেতন ভাতা বারাতে আমরা জেগে উঠি, সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করি। আমরা বাঙ্গালীরা দেখি না অবৈধ ভাবে কেউ গ্যাস, বিদ্যুৎ সংযোগ নিলে। আমরা দেখি সরকার গ্যাস, বিদ্যুৎ দিচ্ছে না তা।

গ্যাস, বিদ্যুৎ না পেলে আমরা আন্দোলন করি, জ্বালিয়ে দেই গ্যাস, বিদ্যুৎ কার্যালয়। এ যে এক হলি খেলা। বড়ই মজা। কিন্তু আমরা তখন কিছু বলি না অবৈধ গ্যাস, বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করতে গিয়ে গ্রাম বাসীর হামলায় পড়তে হয় অভিযান কারীদের। অদ্ভুত আমরা বাঙ্গালী। দাবী তুলেই কেউ ঝাঁপিয়ে পড়ে রাজপথে,দাবী কি তা বুঝার আগেই ভেঙ্গে চুরে ধ্বংস করে দেশের সম্পদ, অন্য কারো সম্পদ, ভাঙলে তো তাদের কিছু না, অন্যের ক্ষতি হলে তাদের কি, ভাঙলে নিজেকে নেতা নেতা মনে হয়,তাই ভাঙতেই থাকে।আমরা বলি না তাদের কিছু। আমরা প্রশ্ন করি সরকার দাবি মানবে না কেন। আমরা অন্যায়কে প্রশ্রয় দেই অন্যায়কারী কে কিছু বলি না। নিজে সচেতন না হয়ে সরকার কে দোষ দিতেই থাকি। আমরা আজ এই বাঙ্গালী। হওয়ারই কথা কারণ আমরা একাত্তরের বাঙ্গালী এখন নই, আমরা একাত্তরের চেতনা ধারণ করি না আমাদের মনে। একাত্তরের চেতনা ধারণ করি না,তাহলে আমাদের মধ্যে দেশ প্রেম থাকবে কি ভাবে?

আমরা এখন দেশের কথা চিন্তা করি না, আমরা দেশের ভালো চাই না আমরা এখন নিজের টাই আগে দেখি। যখন আবার সবার মনের মধ্যে একাত্তরের চেতনা বাসা বাঁধবে তখন আর থাকবে না ঝগড়া বিবাদ, দেশের হাজারো সমস্যা থাকবে না,থাকবে না দেশের এই বেহাল অবস্তা, আমাদের দেশ হয়ে উঠবে সোনার বাংলাদেশ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.