![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মাননীয় বিরোধীদলীয় নেত্রী, মাঝে মাঝে হারতালের দিন আপনার আদালতে হাজিরার দিন থাকে। কিন্তু আপনি ওইদিন বাসা থেকে বের হন না, নিরাপত্তার আজুহাতে। মাননীয় নেত্রী, আপনি বাসা হতে বের না হয়ে পারলেও আমাদের বাসা হতে বের হতেই হয়, তা বাইরের পরিস্থিতি যতোই অনিরাপদ হোক না কেন। আপনি হরতাল ডেকে সেই হরতালে আপনি নিজেই বের হতে সাহস পান না, অথচ দেশের রাজনীতি না করা সব চাকুরীজীবী কিংবা শ্রমজীবী মানুষদের পেটের ধান্দায় ঠিকই বের হতে হয়। হারতাল যে শুধু আপনারাই দেন তা বলছিনা, আপনারা যখন সরকারে ছিলেন তখন আ. লীগ দিয়েছিল। আমার এই কথাগুলো তাই আ. লীগের জন্যও প্রযোজ্য।
মাননীয় নেত্রী, আপনাকে সবাই দেশনেত্রী বলে ডাকে, আপনার কাছে দেশের মানুষের প্রত্যাশা অনেক। আ লীগের বহুমুখী ব্যর্থতায় দেশের জনগন আপনার দিকে তাকিয়ে আছে, আপনি কি দেশের মানুষের প্রত্যাশার কথা বুঝতে পারেন না। মাননীয় নেত্রী, রাজনীতির প্রশ্নে আপনাদের সাথে আ। লীগ বা অন্য কোন দলের বিভেদ থাকতেই পারে, কিন্তু দেশের প্রশ্নে কেন থাকবে?
মাননীয় নেত্রী, শাহাবাগ আন্দোলনের আ. লীগ যোগ দিয়েছে, বলেন তো আপনাদের যোগ দিতে দোষ ছিল কথায়? আপনারাও তো মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি হিসাবে নিজেদের দাবি করেন তাইনা? শাহাবাগে নাস্তিকেরা আছে বলে তাদের ফাসির দাবি তোলা হয়, মাননীয় নেত্রী, চাঁদে ছাইদি আছে বলে যে বিভ্রান্ত্রি ছড়ানো হয়েছিল এটা কি ধর্মের অবমাননা নয়? শাহাবাগের আন্দোলনকারীদের ফাসি চাইলে তো তাদেরও ফাসি চাইতে হয়, তাই না, বলেন?
আপনারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবির প্রশ্নে একটা কথাই বলেন, প্রকৃত যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হতে হবে। মাননীয় নেত্রী, তা আপনারা আপনাদের মতে প্রকৃত যুদ্ধাপরাধী যারা তাদের তালিকা জনসম্মুখে প্রকাশ করেন না কেন?
আপনারা বরাবরই বলেন, বিচার হতে হবে আন্তর্জাতিক মানে, তা আপনারা আন্তর্জাতিক মানের লেভেল টা কি, তাই বা বলছেন না কেন? আবার জনসমাবেশে কেন কাদের মোল্লার মুক্তি চান?
মাননীয় নেত্রী, জিয়াউর রহমান একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন, একজন সেক্টর কমান্ডার ছিলেন, আমি বা আমরা যেই দলই করিনা কেন, মুক্তিযুদ্ধে তার অবদানের কথা আমাদের স্বীকার করতেই হবে। একজন মুক্তিযোদ্ধার গর্বিত স্ত্রী হিসাবে আপনি কেন যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রশ্নে দেশের মানুষের সাথে একমত হতে পারছেন না যেখানে খোদ আপনার দলেই জামাতের বিপক্ষে অনেক মুক্তিযোদ্ধা এবং অনেক তরুন নেতৃবৃন্দ আছেন।
মাননীয় নেত্রী, আপনারা আজ বলেছেন, হেফাজতের কোন সমাবেশে আপনারা আর সশরীরে যোগ দিবেন না এবং হেফাজতের সোমবারের হরতালে আপনারা সমর্থন দেননি। আপনাদের ধন্যবাদ কারন আপনারা বুঝতে পেরেছেন হেফাজতের দাবি মেনে এই দেশকে মধ্যযুগে ফিরিয়ে নেবার কোন সুযোগ নেই।
মাননীয় নেত্রী, সাম্প্রতিক এই অস্থিরতাময় পরিস্থিতিতে আপনার এবং বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর যৌথ উদ্যোগ একান্ত দরকার। এই দেশ’টা আমাদের, আমাদেরকেই এই দেশের সমস্যা গুলোর সমাধান করতে হবে। আপনার সুচিন্তিত পদক্ষেপের অপেক্ষায় রইলাম।
২| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:০৬
যুক্তিপ্রাজ্ঞ বলেছেন: পেন্সিল চোর বলেছেন: একা খালেদা জিয়াকে বললে হবে না। শেখ হাসিনাকেও বলতে হবে। কারন এই দুই দল ঠিক থাকলেই দেশে শান্তি আসবে।
এক হাতে তালি বাজবে না, দুই হাত একসাথে কাজে লাগেতে হবে. অবশ্য, পোস্টের সব ভালমানুষি কথা জলে যাবে, এতদিন তাই গিয়েছে.
৩| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:০৭
রাজীব নুর বলেছেন: সহজ সরল সত্য কথা।
৪| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:৩৩
মাজহারুল হুসাইন বলেছেন: GK প্রশ্ন ১: ১৯৭২ সালে গঠিত ট্রাইবুনালের চিফ প্রসিকিউটর কে ছিলেন ?
GK প্রশ্ন ২: রুয়ান্ডায় যুদ্ধাপরাধ ট্রাইবুনালে বাংলাদেশের একজন অংশগ্রহণ করেছিলেন । তিনি কে ?
৫| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:৪৭
মাজহারুল হুসাইন বলেছেন: GQ not GK sorry.
৬| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:৩৯
সাউন্ডবক্স বলেছেন: Apna der moto ek chokha vokchod der jonno e desher ai obosth....apner post deikha mone hocche Awami league fasi cay, vot chay na.... Kintu khaledar ekar jonno parche.... Allah apnake dui chokh dise, kintu ek chokh bondho kore rakhar jonno dey nai.....
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:০০
পেন্সিল চোর বলেছেন: একা খালেদা জিয়াকে বললে হবে না। শেখ হাসিনাকেও বলতে হবে। কারন এই দুই দল ঠিক থাকলেই দেশে শান্তি আসবে।