![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাঁশ ও কাঠের যুগ পোকার আক্রমণের কথা-বেশি আমরা সবাই জানি। খাট, পালংক, কাঠের আলমারীসহ কাঠ, বেত ও বাঁশ জাত বিভিন্ন ধরণের আসবাবপত্র ও দ্রব্য সামগ্রীতে এদের আক্রমণ ঘটে এবং প্রভূত ক্ষতি সাধিত হয়।
পূর্ণাঙ্গ মূল পোকা আকারে খুবই ছোট এবং গাঢ় বাদামী রঙের হয়। দৈর্ঘ্য প্রায় ৭ মি.মি.। শুককীট অবস্থায় দেহ মাঝখানের মতো সাদা ও মাথা বাদামী রঙের এবং আকৃতি ইংরেজি সি (C) অক্ষরের ন্যায়। ডিম ফুটে পূর্ণাঙ্গ পোকা হতে প্রায় ৩-৪ মাস সময় নেয়। বছরে ৩-৪ টি প্রজন্ম দেখা যায়। ফলে প্রায় সারা বছরেই এ পোকার দ্বারা ক্ষতি সাধিত হয়ে থাকে।
কড়ই, শিমূল, শাল, সেগুন, আম, জাম, কাঁঠাল, পাইন, মাদার, নিম, শিশু,তুন, গর্জন, গামার, বট,অর্জুন, তেঁতল ইত্যাদি কাঠ ও বাঁশ- বেতে ঘুণ পোকার আক্রমণ দেখা যায়। এছাড়া বাঁশ, বেত, বা কাঠ দিয়ে তৈরি বিভিন্ন ধরনের আসবাবপত্র, নির্মাণ সামগ্রী, খেলনা, দরজার কপাটসহ বিভিন্ন ধরনের তৈরি সামগ্রী ঘুণ পোকার আক্রমণ হয়।
১. বাঁশ, বেত বা কাঠের ক্ষতিগ্রস্ত বা কাটা স্থান দিয়ে প্রাপ্ত বয়স্ক ঘুণ পোকা ভিতরে প্রবেশ করে।
২. বাঁশ ও বেতের ভিতর অংশ এবং কাঠের বাইরের অসার অংশে ঘুুুুণ পোকার আক্রমণ দেখা যায়।
৩. ঘুণ পোকা শুস্ক বাঁশ , বেত, বা কাঠের ভিতরে সুড়ঙ্গ তৈরি করে খাদ্য গ্রহণ ও বসবাস করে।
৪. সুড়ঙ্গ পথে বাঁশও বেত বা কাঠ গুড়া করে তা ভক্ষণ করে এবং খাদ্য হিসাবে শুধু শর্করা অংশ গ্রহণ করে সাদা অবশিষ্ট অংশ বর্জ্য হিসাবে দেহ থেকে বের করে দেয়।
৫. আক্রান্ত কাঠ, বাঁশ বা বেতের আসবাবপত্র ও দ্রবাদির উপরে কিংবা নিচে স্তুপাকারে গুড়া পড়ে খাকতে দেখা যায়।
ঘুণ পোকার নিয়ন্ত্রণ
প্রতিকারমূলক-
১.আক্রান্ত বাঁশ, বেত, ও কাঠের আসবাবপত্র ও দ্রব্যাদিতে ধুমায়িত বিষ প্রয়োগ করে ভেতরে অবস্থিত পোকা মেরে ফেলা যায়।
২. বাঁশ , বেত বা কাঠের ছোট সামগ্রী যেমন-ফুলদানী , ছাইদানী, খেলনা ইত্যাদি ফ্রিজের মধ্যে কয়েক দিন রাখলে পোকা মরে যায়।
৩. পোকাক্রান্ত বাঁশ, বেত, বা কাঠের অংশ আড়ত থেকে দ্রুত সরিয়ে ফেলতে হবে।
৪. গরম চুল্লীতে (৬০ সে, তাপমাত্রা ও ৮০-১০০% আর্দ্রতায়) আক্রান্ত কাঠ, বাঁশ বা বেত সামগ্রী ৩-৭ ঘন্টা রাখলে পোকা মরে যায়।
৫. আক্রান্ত বাঁশ , বেত বা কাঠের স্পর্শ জাতীয় কীটনাশক প্রতি লিটার পানিতে ৩-৪ মি. লি. হারে প্রয়োগ করলে পোকার আক্রমণ কমে যাবে।
অথবা যোগাযোগ করুন (চট্টগ্রাম) -ঘুনপোকা দমনের উপায়
০১৬৩৪৯০২২৩৫
অথবা যোগাযোগ করুন (ঢাকা)-ঘুনপোকা দমনের উপায়
০১৬৩৪৯০২২৩৭
২| ১২ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:১৫
পেস্ট কন্ট্রোল বলেছেন:
৩| ১৩ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:৪৮
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:৫২
মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: ভাল।
প্রাকৃতিক ভাবে মশা তাড়ানোর উপায় কী?