নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দুখিনী বাংলার সন্তান

চন্দ্রভুক

এম এ তিতাস

চন্দ্রভুক › বিস্তারিত পোস্টঃ

যে বিষয়গুলো যুক্তরাষ্ট্রের ৫৮ তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে ইতিহাসে স্থান করে দিবে

০৮ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৫



যুক্তরাষ্ট্রের ৫৮ তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে গাধা ও হাতির পিঠে চড়ে সাদা ঘরে পৌঁছার লক্ষ্যে যে দৌড় শুরু হয়েছে তাতে হিলারি ও ট্রাম্প দ্রুত গতিতেই এগিয়ে চলেছেন । ডেমোক্র্যাটিক দল থেকে হিলারি ক্লিনটন ও রিপাবলিকান দল থেকে ট্রাম্প মনোনয়ন পাবেন সার্বিক পরিসংখ্যানে এটা মোটামুটি নিশ্চিত । ২০০৮ সালের ৫৭ তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রথম কালো প্রেসিডেন্ট হিসেবে বারাক ওবামার জয় লাভ যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এক নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করেছিল । ঠিক তেমনি আগামি নভেম্বরের নির্বাচনও বেশ কিছু দিক থেকে নতুন ইতিহাসের সূচনা করবে । তেমনই কয়েকটি দিক নিচে তুলে ধরা হল ঃ
প্রথমত,
১৭৭৬ সালে স্বাধীনতা লাভের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত ৫৭ টি নির্বাচনের মাধ্যমে মোট ৪৪ জন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন যাদের মধ্যে সবচেয়ে কম বয়সে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন ২৬ তম প্রেসিডেন্ট থিওদর রুজভেল্ট ( ৪২ বছর ৩২২ দিন) আর সব চেয়ে বেশি বয়সে শপথ নেন ৪০ তম প্রেসিডেন্ট রনালদ রিগ্যান ( ৬৯ বছর ৩৪৯ দিন) ।
বয়স বিবেচনায় রিপাবলিকান দলের ট্রাম্প ১৪ জুন ২০১৬ তে ৭০ বছরে পদার্পণ করবেন এবং ডেমোক্র্যাটিক দলের স্যান্দারস এর বয়স এখন ৭৫ বছর । তাই তাদের দুজনের যে কোন একজন নির্বাচিত হলেই তিনি হবেন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সব চেয়ে বেশি বয়সে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ।
অন্যদিকে হিলারি ক্লিনটন আগামি ২৮ অক্টোবর ৬৯ বছর বয়সে পদার্পণ করবেন । তিনি নির্বাচিত হলে বেশি বয়সে নির্বাচিত প্রেসিডেন্টের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকবেন । শপথ গ্রহণের দিন সবচেয়ে বেশি বয়সের দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে আছেন নবম প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম হেনরি হ্যারিসন(প্রেসিডেন্ট হিসেবে সপথ নেওয়ার দিন তার বয়স ছিল ৬৮ বছর ২৩ দিন ) ।
সুতরাং এবারের নির্বাচনে যেই বিজয়ী হোক তা হবে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এক নতুন রেকর্ড।

দ্বিতীয়ত ,
১৯৪৪ সালের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কোন নির্বাচনের দুজন প্রতিদ্বন্দ্বীই নিউ ইয়র্কের অধিবাসী ছিলেন না। কিন্তু এবারের নির্বাচনে ট্রাম্প বনাম স্যান্দারস অথবা ট্রাম্প বনাম হিলারি যেই অংশগ্রহণ করুক সবাই নিউ ইয়র্কের অধিবাসীই হবেন ।
যদিও হিলারি ক্লিনটন শিকাগোতে জন্মগ্রহণ করেন বর্তমানে তিনি নিউ ইয়র্কের অধিবাসী এবং ২০০১ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত তিনি নিউ ইয়র্ক থেকে নির্বাচিত সিনেটর ছিলেন ।

তৃতীয়ত,
রিপাবলিকান দলের ট্রাম্প নিউ ইয়র্কের একজন রিয়েল এস্টেট টাইকুন এবং হোটেল এবং ক্যাসিনো চেইনের মালিক । তাই প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের বিজয় যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে নতুন এক অভিজ্ঞতার সুচনা করবে। কেননা এর আগে কোন প্রেসিডেন্টই হোটেল বা ক্যাসিনো চেইনের মালিক ছিলেন না। এছাড়াও বিগত ৬০ বছরে নির্বাচিত সকল প্রেসিডেন্টের সবাই গভর্নর ,কংগ্রেস সদস্য অথবা সিনেটর ছিলেন ।

চতুর্থত ,
প্রেসিডেন্ট হিসেবে হিলারি ক্লিনটনের ডেমোক্র্যাটিক পার্টির মনোনয়ন লাভ এবং নির্বাচনে জয়লাভ দুটি বিষয়ই যুক্তরাষ্ট্রের ২২৭ বছরের ইতিহাসে নবদিগন্ত উন্মোচন করবে । কেননা এর আগে কোন নারী ব্যাক্তিত্বই ডেমোক্র্যাটিক পার্টির মনোনয়ন লাভ করেননি ।
যুক্তরাষ্ট্রের ৪৪ জন প্রেসিডেন্টের সবাই পুরুষ ছিলেন । তাই প্রেসিডেন্ট হিসেবে হিলারি ক্লিনটনের নির্বাচনে জয়লাভ নারীর ক্ষমতায়ন ও অগ্রগতির ক্ষেত্রে একুশ শতকের সবচেয়ে বড় অর্জন হিসেবে স্থান পাবে ।

পঞ্চমত ,
যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের ইতিহাসে ডেমোক্র্যাটিক পার্টি পরপর দুবার জয় লাভ করেছে এমন ঘটনা মাত্র দুবার ঘটেছে।
তাই বারাক ওবামার পর প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডেমোক্র্যাটিক পার্টি থেকে হিলারি ক্লিনটনের বিজয় ডেমোক্র্যাটিক পার্টির ইতিহাসে আরেকটি মাইলফলক ।
সুতরাং দেখা যাক ইতিহাসের পাতায় কে স্থান পায় ।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৬

মিঃ অলিম্পিক বলেছেন: জটিল একখান খবর.....

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.