পথচলা

২৭ শে আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৮

হাসপাতালের কেবিনের বাইরে বসে আছে অভ্র । কেবিনে আছে নিতু নামের এক মেয়ে যে একটু আগে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে । রাত ১২টায় অভ্র হেটে যাচ্ছিলো গুলশান ২ এর নিঝুম সড়ক দিয়ে হঠাত দেখে একটা গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ল্যামপোস্ট এর সাথে ধাক্কা খেলো। অভ্র যেতে যেতে দেখে একটা ছেলে গাড়ি থেকে বের হয়ে দৌড় দিলো । ও গিয়ে দেখে একটা মেয়ে গাড়ির ভিতর অভ্র মেয়ে টাকে টেনে গাড়ি থেকে বের করে রাস্তার স্ট্রিট ল্যাম্পের আলোতে মুখ টা দেখে একটু চমকে যায় আরে এযে তার পরিচিত ।তখনই অভ্র একটা রিকশা ডেকে কাছের এক হাঁসপাতালে নিয়ে যায়।অভ্রের মনে পরে যায় সেই কলেজ জীবনের কিছু কথা এই সেই মেয়ে যার কথা ভেবে ভেবে দিন পার করেছে আর সাহসের অভাবে কিছুই বলতে পারেনি।কলেজের শেষ দিনে অনেক সাহস করে একটা গোলাপ নিয়ে গিয়েছিলো কিন্তু গিয়ে দেখে তার প্রিয় বন্ধুর হাত ধরে হাটছে সে তখনই সেখান থেকে কেটে পরলো ।সেই গোলাপটা আজো তার কাছে আছে কিন্তু শুকিয়ে গেছে ।এসব কথা ভাবতেছিলো তখন নিতু র পরিবারের লোকজন আসলো যেহেতু সে নিজেই খবর দিয়েছিলো নিতুর মোবাইল থেকে। তারা আসার পড় সে নিতু র বাবা কে সব বুঝিয়ে দিয়ে চলে যাচ্ছিলো তখন নিতুর বাবা জিজ্ঞেস করলো “বাবা তোমার নাম টা কি ” অভ্র মৃদু হেসে বলে “অভ্র”।নিতুর বাবার প্রশ্ন “তুমি কি নিতুর কোন বন্ধু” উত্তর ছিলো “হ্যা ,ব্যাচ ১২ বলবেন নিতু কে চিনবে আমাকে” । এই বলে অভ্র সেই রহস্য মাখা হাসি দিয়ে অভ্র হাসপাতালের করিডোর হাটা শুরু করলো ।নিতুর বাবা অবাক চোখে তাকিয়ে রইলো অভ্রের চলে যাওার দিকে আর ভাবতে লাগলেন কে এই ছেলে আসলে যে কিনা তার মেয়েকে রক্ত দিলো আর হাসপাতালের বিল ও দিয়ে গেলো ।ভোরের প্রথম আলোতে রাজপথ দিয়ে হেটে চলেছে এক যুবক আর মুখে আছে মৃদু হাসি আর সে হাসিতে যেন যোগ দিয়েছে সকালের মৃদু রৌদ্র আর ঝিরঝিরে বাতাস ।

০ টি +০/-০