আইসিসির রুলসের বিপরিত দিক

১০ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:৫৮

আইসিসির নতুন রুলসের অনেক রুলস একে অপরের সাঙ্ঘর্ষিক।
লেগ বিফোর আউটের নিয়মের মধ্যে প্রথমে দেখা বল লেগ স্ট্যাম্পের বাহিরে পিচ করেছে কিনা।তারপর ইমপ্যাক্ট এবং উইকেট হিটিং দেখা হয়।বল যদি লেগ স্ট্যাম্পের বাহির পিচ করে তা নিয়ম অনুযায়ী নট আউট।
এইক্ষেত্রে লেগ স্পিনারদের জন্য নিয়মানুসারে ব্যাটসম্যানদের লেগ বিফোরের ফাঁদে পালানোটা কঠিন হয়ে যাবে।
তারা স্ট্যাম্প বরাবর বল পিচ করালে তা টার্ন করে স্ট্যাম্পের বাহিরে চলে যাবে, আর লেগ স্ট্যাম্পের বাহিরে পিচ করে বল মিডেল স্ট্যাম্পে লাগলেও তা নিয়মানুসারে নট আউট। তাই বর্তমানে শেন ওয়ার্নের মতো সুইং করানোর চেষ্টা কোনো লেগ স্পিনারই করতে চায়না।
আরেকটা নিয়ম হলো ম্যানকেড। এই নিয়মটার সাথে সবাই পরিচিত, কিছুদিন অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলার জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যানকে এই ফাঁদে পেলেন।বোলার বল করার আগে নন-স্ট্রাইকের ব্যাটসম্যান ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে আসলে বোলার বল করার আগে স্ট্যাম্পে লাগালে ব্যাটসম্যান আউট হবে।কিন্তু আবার বোলার বল করার সময় হাত স্ট্যাম্পে লেগে গেলে তা নো বল হয়।
আর এখন আইসিসির অঘোষিত নতুন রুলস জারি হয়েছে বিশ্বকাপের সময় বা বিশ্বকাপের আগে সেরা বোলারদের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে এবং নিয়মবহির্ভূত হলে নিষিদ্ধ করে। কিন্তু এই একই বোলার বিশ্বকাপের আগে সবধরনের ক্রিকেট নির্বিঘ্নে খেলে যায়।
গত বছর টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের সময় র‍্যাংকিংয়ের সেরা তিন বোলার নারিন, সেনানায়ক এবং আজমল প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।
অথচ তারা একই অ্যাকশন দিয়ে সেরা বোলার হয়েছে আইসিসি র‍্যাংকিংয়েই। আইসিসি কতটা নিরপেক্ষ তা নিয়ে সন্দেহ হচ্ছে।
যদি কোনো বোলার নিয়মবহির্ভূত অ্যাকশনে বল করে থাকে তাহলে সে এতোদিন কিভাবে খেলবে

পোস্ট কার্টেসি - আল আমিন ভুইয়া
পোস্ট লিংক - Click This Link

২ টি +০/-০